অগ্নিকাণ্ড
কাতারে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪ বাংলাদেশির মধ্যে ২ জন ফেনীর
কাতারের রাজধানী দোহায় একটি গাড়ির গ্যারেজে অগ্নিকাণ্ডে ৪ বাংলাদেশিসহ ৬ অভিবাসী নিহত হয়েছেন।
স্থানীয় সময় রবিবার রাতে দোহার ফিরোজ আবদুল আজিজ এলাকায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। পরে তা নিকটবর্তী একটি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
নিহত ৪ বাংলাদেশির মধ্যে ২ জন ফেনীর এবং আরও দু’জনের পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নিহত বাকি দু’জন পাকিস্তানি নাগরিক।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৫ সদস্য দগ্ধ
ফেনীর নিহতরা হলেন, পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের দিস মোহাম্মদ ভূঁইয়া বাড়ির বাসিন্দা মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান। দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে মীর হোসেন ফরহাদ ।
জায়লস্কর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মামুনুর বশীদ মিলন কাতারের দোহায় একটি গাড়ির গ্যারেজে আগুনে মীর হোসেন ফরহাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন। ফেনী পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সেলর বাহার মিয়া মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন।
আরও পড়ুন: রূপসায় জুটমিলে অগ্নিকাণ্ড, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা
খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে আইআইজি, ইন্টারনেটের গতি ব্যাহত
নারায়ণগঞ্জে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৫ সদস্য দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে একই পরিবারের ৫ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার সকালে এই তথ্য নিশিত করে পুলিশ জানায়, শুক্রবার (৩ নভেম্বর) রাত ১১টার দিকে রূপগঞ্জের আওকাবো বাজার এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- হাসুন বানু (৫৫), তার স্বামী অলি আহমেদ (৬৫), ছেলে ওমর ফারুক (১৮), মেয়ে সাহারা বেগম (২৪) ও ভাই সোনাউদ্দিন (৪৫)।
হাসপাতালে হাসুন বানুর ভাতিজা মো. নূরে আলম জানান, রূপগঞ্জের ওই বাড়ির নিচ তলায় ভাড়া থাকেন তারা। হাসুন বানু গৃহিণী, তার স্বামী ও ভাই গাউছিয়া বাজারে শুটকির দোকান করেন। এছাড়া মেয়ে সাহারা প্রতিবন্ধী এবং ছেলে ওমর ফারুক স্থানীয় অনুপম গার্মেন্টসে চাকরি করেন।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার সারাদেশে ৭টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
তিনি আরও জানান, বাসাটিতে লাইনে তেমন গ্যাসে থাকে না। সেজন্য রান্নার কাজে গ্যাসের চাপ বাড়াতে ২ সপ্তাহ আগে একটি যন্ত্র লাগিয়েছেন। রাতে তারা যখন ঘুমিয়ে ছিলেন, তখন ওই গ্যাসলাইন থেকেই এই বিস্ফোরণ ঘটে বলে তাদের ধারণা।
ঘটনার পরপরই প্রতিবেশিরা তাদেরকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের ইউএস-বাংলা হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি দেখে মধ্যরাতে তাদের ঢাকায় নিয়ে আসা হয়।
তবে হাসুন বানুর বড় ছেলে গার্মেন্টস কর্মী ফরমুজ সেসময় বাসায় না থাকায় দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, হাসুন বানুর শরীরের ৪৬ শতাংশ, তার স্বামী অলি আহমেদের ৫৮, মেয়ে সাহারার ৩০, ছেলে ওমর ফারুকের ১৫ এবং ভাই সোনাউদ্দিনের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাদের সবার অবস্থাই গুরুতর।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এস এম সাঈদ জানান, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আরও পড়ুন: খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে আইআইজি, ইন্টারনেটের গতি ব্যাহত
মঙ্গলবার সারাদেশে ৭টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধের প্রথম দিনে মঙ্গলবার সারাদেশে অন্তত সাতটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে সাতটি অগ্নিসংযোগের খবর পেয়েছেন তারা।
এর মধ্যে ঢাকা শহরে একটি, ঢাকা বিভাগে (নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর) চারটি, চট্টগ্রাম বিভাগে একটি এবং রাজশাহী বিভাগে (বগুড়া) একটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
আগুনে তিনটি যাত্রীবাহী বাস, একটি কাভার্ডভ্যান, একটি পিকআপ ভ্যান, দুটি বাণিজ্যিক পণ্যের শোরুম এবং একটি পুলিশ বক্স পুড়ে গেছে।
আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চাপ দিতে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর তিন দিনের সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির অবরোধের প্রথম দিন: চট্টগ্রাম থেকে দূরপাল্লার বাস বন্ধ, আটক ১৪
বিএনপির অবরোধ: বগুড়ায় ৩টি মোটসাইকেলে আগুন, বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাঙচুর
হাইকোর্ট এলাকায় বাসে আগুন
খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে আইআইজি, ইন্টারনেটের গতি ব্যাহত
মহাখালীর খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনে অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) নামে একটি ডাটা সেন্টার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হতে কমপক্ষে এক সপ্তাহ সময় লাগবে।
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এমদাদুল হক ইউএনবিকে বলেন, 'খাজা টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাতে ইন্টারনেটের গতি স্বাভাবিক হতে অন্তত এক সপ্তাহ সময় লাগবে। এবং যদি ডিভাইসগুলো পুড়ে যায়, তাহলে আরও বেশি সময় লাগতে পারে।
আরও পড়ুন: মহাখালীর খাজা টাওয়ারের আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি
ততদিন পর্যন্ত সারাদেশে ইন্টারনেটের গতি ধীর হতে পারে।
কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জানতে চাইলে এমদাদুল হক বলেন, 'প্রাথমিকভাবে জানা গেছে লেভেল থ্রি, ম্যাক্স হাব, উই নেটওয়ার্কস, আর্থনেট ও উইনস্ট্রিম আইআইজি পুড়ে গেছে। এর ফলে আমরা ইতোমধ্যে আমাদের ব্যান্ডউইথের ৭০-৮০ শতাংশ হারিয়েছি। সারাদেশে ৫৫০-৬০০ আইএসপি প্রতিষ্ঠানের সেবা বন্ধের পর্যায়ে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার সেখানে গিয়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে অনুমান করা যাবে।
তবে আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানাবো, যত দ্রুত সম্ভব ভবনটিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হোক অথবা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হলে মালামাল স্থানান্তরের অনুমতি দেওয়া হোক।
যাতে যত দ্রুত সম্ভব পরিষেবাটি ঠিক করা যায়, অন্যথায় আরও সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: মহাখালীর আগুন নিয়ন্ত্রণে, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২
রূপসায় জুটমিলে অগ্নিকাণ্ড, ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শঙ্কা
খুলনার রূপসায় আলাইপুর এলাকায় ভিশন এশিয়া জুটমিলে ভয়াবহ আগুন লাগে।
শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টায় জুটমিলের পূর্ব-উত্তর কোণা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো না জানা গেলেও বড় অংকের ক্ষতি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ দম্পতি দগ্ধ
ভিশন এশিয়া জুটমিল খুলনা অঞ্চলের একটি বড় পাটজাত পণ্য প্রক্রিয়া করার কারখানা। এখানে পাট থেকে সুতা ও চটজাত মালামাল উৎপাদন করা হয়।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টায় জুটমিলের পূর্ব-উত্তর কোণায় বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে পাট প্রক্রিয়া করার প্রথম শেডে আগুনের সূত্রপাত হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এবং আশপাশের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের সহাকরী পরিচালক মো. ফারুক শিকদার জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে খুলনা সদর, রূপসা ও তেরখাদার ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: মাগুরায় অগ্নিকাণ্ডে ২ জনের মৃত্যু
মাগুরায় অগ্নিকাণ্ডে ২ জনের মৃত্যু
মাগুরার শ্রীপুরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন আরও একজন।
শনিবার (১৪ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে উপজেলার আমলসার ইউনিয়নের কচুবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- আরশেদ শেখ কানু (৪৫) ও সবিরন বেগম (৪০)। দুজনই কচুবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা। আর আহত হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছেন জাহাঙ্গীর শেখ।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাঞ্চন কুমার রায় জানান, আরশেদ শেখ কানু ও সবিরন বেগম এর মধ্যে সবিরনঅগ্নিদগ্ধ হয়ে ও আরশেদ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। আহত জাহাঙ্গীর শেখকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: উত্তরার সাঈদ গ্র্যান্ড সেন্টারে ৩ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোর ৪টার দিকে কচুবাড়িয়া গ্রামের আলম শেখের রান্নাঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। দ্রুত পাশের ঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। পাশের বসতঘরে থাকা সবিরন বেগম আগুনে আটকে পড়েন।
পরে শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। সবিরন বেগমকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। আগুন নেভানোর জন্য প্রতিবেশি আরশেদ শেখ ও জাহাঙ্গীর শেখ এগিয়ে এলে তারা দু’জন বিদ্যুৎস্পৃষ্টে আহত হন।
পরে তাদের উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে আরশেদ শেখের মৃত্যু হয়।
শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন লিডার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। ঘটনাস্থল থেকে মৃত অবস্থায় একজন এবং আহত দু’জনকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন,আগুনে তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে গোডাউনসহ ২ দোকান আগুনে পুড়ে ৪০ লাখ টাকার ক্ষতি
নারায়ণগঞ্জে গ্যাস লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে শিশুসহ দম্পতি দগ্ধ
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে শিশুসহ দম্পতি দগ্ধ হয়েছেন।
শনিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- অরিজিৎ (৩৫), তার স্ত্রী রিংকু (২৮) ও তাদের ১৯ মাস বয়সী সন্তান কাব্য। অরিজিৎ একটি এনজিওতে চাকরি করেন। আর তার স্ত্রী গৃহিণী। তাদেরকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
রবিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।
আরও পড়ুন: ফেনীতে আগুনে ঘুমন্ত ২ শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ মা
তাদেরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশি আরমান আলী মোল্লা বলেন, রাত ৩টার দিকে আড়াইহাজারের নাগেরচর এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের একটি বাড়ির নিচ তলায় দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ওই বাসা থেকে দগ্ধ ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়।
তাদের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন, রাত ৩টার দিকে বাচ্চার জন্য দুধ গরম করতে রান্না ঘরে যান রিংকু। এরপর দিয়াশলাই জ্বালাতেই ঘরে আগুন ধরে যায়। এতে তারা ৩ জন দগ্ধ হন।
তার ধারণা- গ্যাস লিকেজের কারণে গ্যাস জমে ছিল। সেখান থেকেই আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, রিংকুর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে গেছে। এছাড়া তার স্বামীর ১৪ শতাংশ এবং সন্তানের ২০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে ডাইং কারখানায় বিস্ফোরণে দুই শ্রমিক দগ্ধ
সিলেটে ফিলিং স্টেশনে বিস্ফোরণ: দগ্ধ আরও ২ জনের মৃত্যু
মুম্বাইয়ের বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৬, আহত ৩৮
ভারতের মুম্বাইয়ে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) একটি ছয়তলা আবাসিক ভবনে আগুন লেগে কমপক্ষে ৬ জন নিহত হয়েছেন। এ অগ্নিকাণ্ডে ৩৮ জন আহত হয়েছেন।
দেশটির ফায়ার সার্ভিসের একজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা অশোক তারাপদে জানিয়েছেন, গোরেগাঁও পশ্চিম জেলার ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট তিন ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আহতদের দুটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগুনের সূত্রপাত নিচতলায় কয়েকটি দোকানে এবং মুহূর্তের মধ্যে ধোঁয়া কয়েকটি ফ্লোরে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ভারতের হিমালয়ের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যায় ৩১ জনের মৃত্যু
চিফ ফায়ার অফিসার রবীন্দ্র আম্বুলগেকারকে উদ্ধৃত করে হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, ভবনটি ২০০৬ সালে মুম্বাইয়ের একটি বস্তি থেকে স্থানান্তরিত লোকদের থাকার জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল এবং এতে সঠিক অগ্নিনির্বাপক সরঞ্জাম ছিল না।
তিনি বলেন, লিফটের ফাঁকা জায়গা দিয়ে ধোঁয়া ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।
ভারতে প্রায়ই অগ্নিকাণ্ড ঘটে। কারণ দেশটির ডেভেলপার ও বাসিন্দারা ভবন নির্মাণ আইন ও নিরাপত্তার নিয়মগুলো লঙ্ঘন করে নির্মাণকাজ করে।
২০২২ সালে নয়াদিল্লিতে একটি চারতলা বাণিজ্যিক ভবনে একটি বিশাল অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০১৯ সালে নয়াদিল্লির একটি ভবনে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে লাগা অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভারতের সিকিমে আকস্মিক বন্যায় নিহত ১৪, নিখোঁজ শতাধিক
ভারতের শিমলায় ভূমিধসে ২১ জনের মৃত্যু: মুখ্যমন্ত্রী সুখু
সেপ্টেম্বরে সারাদেশে ১৫৭৭টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে: ফায়ার সার্ভিস
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সারাদেশে ১ হাজার ৫৭৭টি অগ্নিকাণ্ডে চারজন নিহত এবং ১১ জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) ফায়ার সার্ভিসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এর মধ্যে ঢাকা মহানগরীতে ১৫৫টি অগ্নিকাণ্ডে ৭ জন আহত হলেও কেউ মারা যায়নি।
আরও পড়ুন: ফায়ার সার্ভিসকে আধুনিক সরঞ্জাম সরবরাহের সুপারিশ জাতীয় সংসদের
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আগস্টে ঢাকা শহরে ১২৮টি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল। সে হিসেবে সেপ্টেম্বরে ২৭টি দুর্ঘটনা বেশি হয়েছে।
তবে মাসিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, আগস্টে সারাদেশে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ১ হাজার ৬৬৭ টি থেকে সেপ্টেম্বরে ৯০ টি হ্রাস পেয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত মাসে ঢাকা বিভাগে ৬০৩টি, ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৩টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৮৯টি, রাজশাহী বিভাগে ২২৫টি, খুলনা বিভাগে ১৩২টি, সিলেট বিভাগে ৫৭টি, বরিশাল বিভাগে ৬০টি এবং রংপুর বিভাগে ২৪৮টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
এতে আরও বলা হয়, অন্যান্য দুর্ঘটনায় ৭ জন আহত ও ১৮৪ জন নিহত হয়েছেন এবং ৫৯০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে।
এছাড়া, রান্নাঘরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ১০টি, গ্যাস লাইনে ত্রুটির কারণে ১৩টি, লিফটে ১৫টি, বজ্রপাতে ১৯টি এবং পানিতে ডুবে ১১৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে।
গত মাসে সারাদেশে নদী, পুকুর ও অন্যান্য জলাশয়ের পানিতে ডুবে ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এসব দুর্ঘটনার মধ্যে শুধু ঢাকা সিটি করপোরেশন এলাকায় ৪৯টি দুর্ঘটনা ঘটেছে, এতে ১১ জন নিহত হয়েছেন।
ফায়ার সার্ভিস আরও জানায়, সেপ্টেম্বর মাসে অগ্নিকাণ্ড ও দুর্ঘটনার ঘটনায় সারাদেশে তাদের কার্যালয়গুলো ৪ হাজার ৩৫৪টি কলের জবাব দিয়েছে।
এছাড়া ফায়ার সার্ভিস ১ হাজার ১৫২টি কলের জবাবে অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিয়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে সারাদেশে ১ হাজার ৯৮ জন রোগীকে পরিবহন সেবা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে কৃষি মার্কেটের আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েছেন কর্মীরা: ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক
পুলিশ নদীতে খোয়ালেন রাইফেল, উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদল
বেনিনে পেট্রোল গুদামে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৩৫
বেনিনের স্বরাষ্ট্র ও জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয় বলেছে, বেনিনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় ওউইমে বিভাগের একটি পেট্রোল গুদামে শনিবার অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৩৫ জন নিহত এবং ১০ জনেরও বেশি গুরুতর আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নাইজেরিয়া সীমান্তের নিকটবর্তী একটি শহরে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি গাড়ি থেকে পেট্রোলের ব্যাগ নামানোর সময় আগুনের সূত্রপাত হয়।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড: সর্বস্ব হারিয়ে হাহাকার ব্যবসায়ীদের
বিবৃতিটিতে আরও বলা হয়, আগুন জায়গাটিকে গ্রাস করে, যার ফলে প্রাথমিকভাবে এক শিশুসহ ৩৫ জনের মৃত্যু হয় এবং এক ডজনেরও বেশি গুরুতর আহতকে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়, পাশাপাশি উল্লেখযোগ্য বস্তুগত ক্ষয়ক্ষতি হয়।
পরিস্থিতি সামাল দিতে তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার ব্রিগেড, পুলিশ ও মেডিকেল টিম মোতায়েন করা হয়। পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয় দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য একটি সম্পূর্ণ তদন্ত শুরু করেছে।
বেনিনে চোরাচালান করা পেট্রোল তার পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিবেশি নাইজেরিয়া থেকে আসে। দেশটি মূলত প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশ, যেখানে জ্বালানি বেশ সস্তা।
বেনিনের শহর এবং আশেপাশের রাস্তায় বিক্রি হওয়া হাজার হাজার লিটার পেট্রোল সাধারণত বেনিন-নাইজেরিয়া সীমান্তে অবস্থিত স্টেশনগুলো থেকে আসে।
এই বাণিজ্যে প্রচুর মুনাফা তৈরি হয়। তবে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে সংরক্ষণ করার কারণে বড় ঝুঁকিও রয়েছে। ফলস্বরূপ, প্রায়শই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি
কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে দুই শতাধিক দোকান পুড়ে গেছে: ডিএনসিসি সিইও