অগ্নিকাণ্ড
সরকার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটর ব্যবসায়ীদের পাশে আছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের পাশে আছেন, কেউ কষ্ট পাবেন না।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলা ও দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে পুনর্বাসন করার কার্যক্রমে বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল।
আরও পড়ুন: শতবছর পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
এনামুর রহমান বলেন, বেশিরভাগ দোকানে দেখা যায় শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগছে। দক্ষ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার দিয়ে ডিজাইন করে বিদ্যুৎ সংযোগ নিতে হবে।
তিনি বলেন, যদি সাধারণ বৈদ্যুতিক মিস্ত্রি দিয়ে যেনতেনভাবে লাইন টানা হয়, তাহলে আগুনের ঘটনা বারবার মোকাবিলা করতে হবে। কাজেই শুধু সরকার নয়, জনগণকে সচেতন করতে হবে এবং জনগণকেও কমপ্লেক্স তৈরিতে এগিয়ে আসতে হবে।
ব্যবসায়ী ও দোকান মালিক সমিতির নেতাদের কথা শুনে প্রতিমন্ত্রী ঘোষণা দেন, রবিবারের মধ্যে কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য ১ হাজার বান্ডিল টিন ও ১ কোটি টাকা দেওয়া হবে।
এ সময় তিনি বলেন, লাগলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের চাল ও নগদ টাকা দেওয়া হবে। আগুন লাগার আগে যার যে পরিমাণ জায়গায় দোকান ছিল তারা যেন আগের অবস্থায় ফিরে যেতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, কারো জায়গা কেউ যেন দখল না করে। আগের অবস্থায় কাজ শুরু হবে। কৃষি মার্কেটের মালিক যেহেতু সিটি করপোরেশন তারা এখানকার সৌন্দর্য বাড়িয়ে দিতে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এবাদুর মারা গেছেন
ঘূর্ণিঝড় মোখার কারণে উপকূলের ৬ জেলায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি
রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের পরিচালক (অপারেশনস অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম চৌধুরীকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সদর দপ্তরের (মিডিয়া সেল) গুদাম পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
কমিটির অন্য সদস্যদের নাম তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড
বুধবার দিবাগত রাত ৩টা ৪৩ মিনিটের দিকে মার্কেটে আগুনের সূত্রপাত হয়।
আগুন পুরোপুরি নেভাতে কাজ করে ফায়ার সার্ভিসের ১৭টি ইউনিট। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
ওয়াসা, বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ ফায়ার সার্ভিসকে আগুন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
মার্কেটটিতে ৫ শতাধিক দোকান রয়েছে বলে জানান ওই এলাকার ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ড: সর্বস্ব হারিয়ে হাহাকার ব্যবসায়ীদের
অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে কৃষি মার্কেটের আগুন নেভাতে সমস্যায় পড়েছেন কর্মীরা: ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক
সৌদি আরবে ফার্নিচার কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে ৯ বাংলাদেশি নিহত
সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ হতে ৩৫০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থিত আল-আহসা শহরের হুফুফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল সিটি এলাকায় একটি সোফা কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৯ বাংলাদেশি ও ভারতীয় ১ জন নিহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) বিকাল ৪টার (স্থানীয় সময়) দিকে আল-আহসা ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল সিটি এলাকায় একটি সোফা কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা সংঘটিত হয়। এতে ৯ জন অভিবাসী বাংলাদেশি ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করেন ও ২ জন আহত হয়।
দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে রাষ্ট্রদূত ড. পাটোয়ারীর নির্দেশে কাউন্সেলর (শ্রম) মুহাম্মাদ রেজায়ে রাব্বী দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। তারা ঘটনাস্থল, হুফুফ কিং ফাহাদ হাসপাতাল মর্গ এবং সিভিল ডিফেন্স কার্যালয় পরিদর্শন করেন ও প্রয়োজনীয় সহায়তা দেন।
ঘটনাস্থল থেকে জীবিত উদ্ধার বাংলাদেশি কর্মী বিপ্লব হোসেন ও মো. জুয়েল হোসেন দূতাবাস প্রতিনিধিকে জানান যে একজন ভারতীয় নাগরিকের পরিচালনাধীন সোফা কারখানাটিতে ১৪ জন বাংলাদেশি কর্মী কাজ করতেন।
তারা আরও জানান, শুক্রবার জুমার নামায শেষে খাওয়া-দাওয়া করে কারখানার উপরের আবাসনে কর্মীরা ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ নীচ থেকে আগুন আগুন চিৎকার শুনে তারা দু’জন দ্রুত সিড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। চারদিকে কালো ধোঁয়ায় অন্ধকারে প্রবেশপথ আচ্ছন্ন হয়ে যায়। তারা অনুমানের ওপর নির্ভর করে সুস্থ অবস্থায় বেরিয়ে আসতে পেরেছেন।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে মার্কিন কনস্যুলেটে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ২
অন্যান্য সহকর্মীরা কালো ধোঁয়ায় নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যান। তিনজন কর্মী ঘটনার সময় কারখানার বাইরে থাকায় আক্রান্ত হননি বলে জানান তারা।
নিহত বাংলাদেশিরা হলেন-
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার জফির উদ্দিনের ছেলে মো. রুবেল হোসাইন; নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার মো. দবির উদ্দিনের ছেলে মোহাম্মদ উবায়দুল; নওগাঁর আত্রাই উপজেলার আইজাক প্রামানীকের ছেলে রমজান; রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার জমিরের ছেলে মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম; রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মোঃ শাহাদাত হোসাইনের ছেলে আরিফ; নওগাঁর আত্রাই উপজেলার রহমান সরদারের ছেলে বারেক সরদার; মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ইউনুস ঢালীর ছেলে মো. জুবায়েত ঢালী; ঢাকার সাভার উপজেলার মৃত আলাউদ্দীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম; রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার মো. আনিসুর রহমান সরদারের ছেলে মো. মো. ফিরুজ আলী সরদার।
রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন। তিনি পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী মরদেহগুলো দ্রুত বাংলাদেশে পাঠানো বা স্থানীয়ভাবে দাফনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য শ্রমকল্যাণ উইংকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সার্বিক সহায়তার নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রদূত। রিয়াদস্থ শ্রম কল্যাণ উইং বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ১০ দোকান
ইতালির মিলানে বৃদ্ধাশ্রমে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৬
লালমনিরহাটে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ১০ দোকান
লালমনিরহাটের আলোরূপা মোড়ে আগুনে ১০ দোকান ও গোডাউনের মালামাল পুড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, খবর পেয়ে লালমনিরহাট সদর ও আদিতমারী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে টানা দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ৫ বসতঘর
ফায়ার সার্ভিস আরও জানায়, তবে ততক্ষণে গোডাউন ও দোকানে থাকা অধিকাংশ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে।
স্থানীয়রা জানান, বিদ্যুতের তার থেকে মুহূর্তে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
লালমনিরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর উপ-সহকারী পরিচালক মো. ওয়াদুদ হোসেন বলেন, আগুন লাগার পরপরই খবর পেয়ে সদর ও আদিতমারী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এক যোগে প্রায় দুই ঘণ্টা কাজ করা হয়েছে। বর্তমানে আগুন পুরোপুরি নিভে গেছে।
তিনি আরও বলেন, অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি তদন্ত শেষে জানানো হবে।
দোকান মালিকেরা বলছেন, আগুনে তাদের কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুন: ওয়ারীতে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ড: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২
বরিশালে অগ্নিকাণ্ডে ৪ বসতঘর পুড়ে ছাই
ইতালির মিলানে বৃদ্ধাশ্রমে অগ্নিকাণ্ড, নিহত ৬
ইতালির রাজধানী মিলানে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে একটি বৃদ্ধাশ্রমে আগুন লাগার পর ধোঁয়ায় বিষক্রিয়া হয়ে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৮১ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে পাঁচজন নারী ও একজন পুরুষ, যাদের বয়স ৬৯ থেকে ৮৭ বছরের মধ্যে।
যে কক্ষে বিছানা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে, সেখানে দুই নারী পুড়ে মারা গেছেন এবং অন্য দুই নারী ধোঁয়ায় দম আটকে মারা গেছেন বলে জানা গেছে।
সবমিলিয়ে ভবনটিতে ১৬৭ জন বসবাস করতেন।
আরও পড়ুন: উগান্ডায় স্কুলে বিদ্রোহীদের হামলায় নিহত ৪১
মিলানের মেয়র জিউসেপ সালা, যিনি নিরাপত্তার জন্য সিটি কাউন্সিলর মার্কো গ্রানেলির সঙ্গে ভবনটি পরিদর্শন করেছিলেন।
মিলানের মেয়র জিউসেপ সালা নিরাপত্তা বিষয়ক সিটি কাউন্সিলর মার্কো গ্রানেলির সঙ্গে ভবনটি পরিদর্শন করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সংখ্যায় ছয়জনের এই মৃত্যু বেশ বড়।’
পাবলিক প্রসিকিউটরের কার্যালয় এর তদন্ত শুরু করেছে।
লোমবার্ডির গভর্নর অ্যাটিলিও ফন্টানা হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন এবং বলেছেন যে আঞ্চলিক কর্তৃপক্ষ ঘরহারা এই বয়স্ক নাগরিকদের জন্য বিকল্প বাসস্থান খুঁজে পেতে সহায়তা করার জন্য অবিলম্বে নিজেদের প্রস্তুত করছে।
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে বাস দুর্ঘটনার পর আগুন লেগে নিহত ২৫
সৌদি আরবে মার্কিন কনস্যুলেটে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ২
ওয়ারীতে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ড: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২
রাজধানীর ওয়ারীতে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মঙ্গলবার আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুইজনে।
নিহত আনোয়ার নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলার রামপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় সোহেলের শরীরের ২২ শতাংশ পুড়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার ওয়ারীতে গ্যাস লাইন লিকেজের আগুনে দদ্ধ একজনের মৃত্যু
গত ১২ জুন ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) কর্মচারী সোহেল একই হাসপাতালে মারা যান।
প্রসঙ্গত, গত ৭ জুন (বুধবার) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ওয়ারীর টিপু সুলতান রোডে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে নিরাপত্তারক্ষী মো. হেলাল (৪০), ১০ শতাংশ শতাংশ দগ্ধ, আব্দুর রশিদ (৬৫) ৭ শতাংশ দগ্ধ এবং মামুন বিল্ডার্সের প্রকল্প পরিদর্শক মামুন (৫০) ৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীর ওয়ারীতে গ্যাসলাইনের আগুন নিভেছে
ঢাকার ওয়ারীতে ভবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে
বরিশালে অগ্নিকাণ্ডে ৪ বসতঘর পুড়ে ছাই
বরিশাল নগরীতে অগ্নিকাণ্ডে চারটি ঘর পুরোপুরি পুড়ে গেছে। শনিবার (১৭ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নগরীর হাটখোলা এলাকায় ঘনবসতিপূর্ণ গগণগলিতে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ধারণা, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত ঘটেছে।
তদন্ত ছাড়া ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্নয় করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বরিশাল ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের গুদাম পরিদর্শক মো. আব্বাস উদ্দিন।
বরিশাল সদর ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোলরুম থেকে জানানো হয়েছে, ‘রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে গগণগলিতে অগ্নিকাণ্ডের খবর পান তারা। পরে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় রাত সাড়ে ৯টায় আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
আরও পড়ুন: বিশ্বনাথে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ৫ বসতঘর
প্রত্যক্ষদর্শী গগণগলির বাসিন্দা রাজিব জানিয়েছেন, ‘হঠাৎ করেই আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। যেখানে আগুন লেগেছে সেটা ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। যে কারণে মুহূর্তেই আগুন এক ঘর থেকে অপর ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছাবার আগেই আগুনে অনেক ঘর পুড়ে যায়।
আব্বাস উদ্দিন বলেন, ‘আগুনে চারটি বসতঘর একেবারে পুড়ে গেছে।’
এছাড়া আগুণ নিয়ন্ত্রণের সময় দমকলের পানিতে আরও বেশ কয়েকটি বসতঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তদন্ত করে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিশ্চিত হওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ড: ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দিল এফবিসিসিআই
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা বাস স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ৬০টি দোকান ভস্মীভূত
বিশ্বনাথে অগ্নিকাণ্ডে পুড়েছে ৫ বসতঘর
সিলেটের বিশ্বনাথে অগ্নিকাণ্ডে পাঁচ পরিবারের আধা-পাকা টিনসেডের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ জুন) বিকাল পৌনে ৪টার দিকে উপজেলার দৌলতপুর ইউনয়িনের মালিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন গ্রামের সৌদি প্রবাসী ছুরুক মিয়া, ফারুক মিয়া ও তাদের চাচাতো ভাই বকুল মিয়া, নেছার মিয়া ও লয়লুস মিয়া। প্রায় ৬০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফারুক মিয়া।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার ঝড়-বৃষ্টি ও ভূমিকম্পের কারণে বিশ্বনাথ উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বৈদ্যুতিক খুঁটি নড়ে যায়। এতে পুরো উপজেলা জুড়ে বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। এরপর বিকাল পৌনে ৪টার দিকে বিদ্যুৎ সংযোগ সচল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উপজেলার মালিপাড়া গ্রামের সৌদী প্রবাসী ছুরুক মিয়ার বসতঘরে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের শুরু হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বসতঘরে আগুন: নারী-শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু
আগুন ছড়িয়ে পড়লে পাঁচটি পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও ওসমানীনগরের ফায়ার ব্রিগেডের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার আগেই সব পুড়ে যায়।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সন্ধ্যায় স্থানীয় সংসদ সদস্য মোকাব্বির খান ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের খোঁজখবর নেন এবং ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে তাৎক্ষণিক নগদ ১০ হাজার টাকা অনুদান দেন। পরবর্তীতে তাদেরকে আরও ৬০ হাজার টাকা ও ২০ বান্ডিল টিন এবং একটি গভীর নলকূপ দেওয়ার আশ্বাস দেন।
বিশ্বনাথ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেদওয়ান ও ওসমানীনগর ফায়ার ব্রিগেডের ফায়ারম্যান মো. স্বপন মিয়া বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে অগ্নিকাণ্ডে ৮ বসতঘর পুড়ে ছাই
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন নিয়ন্ত্রণে, ৫০০ বসতঘর পুড়ে ছাই
বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ড: ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দিল এফবিসিসিআই
ঢাকার বঙ্গবাজারে সাম্প্রতিক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক ব্যবসায়ীদের পুনর্বাসনের জন্য অনুদানের এক কোটি টাকার চেক হস্তান্তর করেছে ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
শনিবার চেম্বারের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন এফবিসিসিআই আইকন, ঢাকায় বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স দোকান মালিক সমিতির কাছে চেক হস্তান্তর করেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন,‘যে কোনো ধরনের অগ্নিকাণ্ড যেকোনো ব্যবসায়ীর জন্যই দুর্ভাগ্যজনক। বঙ্গবাজারে যখন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে তখন আমি দেশের বাইরে ছিলাম। আগুন এতটাই ভয়াবহ ছিল যে সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়, সেখানে কিছুই অবশিষ্ট থাকেনি। এই সংকটে আমাদের একটু হলেও অবদান রাখা উচিত। তাই আমরা ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের এক কোটি টাকা সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা অনুদান দেবে এফবিসিসিআই
সার্ক চেম্বারের নতুন সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন,‘আমাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা আজ এই চেক হস্তান্তর করছি। আমি মনে করি, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অগ্নিকাণ্ডে সকল সক্ষম ব্যবসায়ীদের ছোট ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।’
জসিম উদ্দিন বলেন, ব্যবসায়ীদের অবশ্যই কমপ্লায়েন্স মেনে চলতে হবে। তবে শুধু ব্যবসায়ীদের দোষ দিলে হবে না, বাণিজ্যিক ভবন ও কারখানার লাইসেন্স প্রদানকারী কোম্পানিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে।
ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে এফবিসিসিআই সভাপতি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য স্থায়ী ও আধুনিক ভবন নির্মাণের পদক্ষেপ নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এফবিসিসিআই প্রধান ব্যবসায়ী নেতারা এবং বাজার কমিটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বাজার সম্পর্কে সচেতন হতে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার করার আহ্বান জানান।
দেশের কারখানায় অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এফবিসিসিআই সরকারের সঙ্গে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বেসরকারি খাতে অগ্নি নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে আমরা ফায়ার সেফটি কাউন্সিল গঠন করেছি।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ৩,৮৪৫ জন: ডিএসসিসি
এই নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার কোম্পানি পরিদর্শন করা হয়েছে। এই নিরাপত্তা পরিষদ সারাদেশে মোট ৪৪ হাজার কোম্পানি পরিদর্শন করবে। এ ছাড়া প্রতিটি কারখানায় অগ্নিনির্বাপণ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান জসিম।
তিনি বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি এবং এফবিসিসিআই ফায়ার সেফটি কাউন্সিলকে দোকান ও শপিং মলে অগ্নি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দেন।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ফায়ার সার্ভিস ইউনিট বঙ্গবাজারকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে কয়েকবার সতর্ক করে দিলেও বাজার কমিটি বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি।
সরকারকে দোষারোপ না করে সবাইকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বাংলাদেশ দোকন মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন জানান, রাজধানীর বিদ্যমান বাজারগুলো পরিদর্শন করা হচ্ছে। কোনো ধরনের ঝুঁকি লক্ষ্য করা গেলে তাদেরকে সতর্ক করার পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংস্কারের নির্দেশনা দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, মো. হাবিব উল্লাহ ডন, পরিচালকবৃন্দ, মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ (অব.), বঙ্গবাজার কমপ্লেক্সের দোকান মালিক সমিতির সভাপতি ও সেক্রেটারি এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গবাজার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঈদ উপহার হিসেবে ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রধানমন্ত্রীর
নিউজিল্যান্ডে হোস্টেলে অগ্নিকাণ্ডে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী
নিউজিল্যান্ডের রাজধানীতে একটি হোস্টেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটনায় কমপক্ষে ছয়জন নিহত হয়েছে। এসময় অন্য আরও অনেকে চারতলা ওই ভবন ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। মঙ্গলবার ওয়েলিংটন হাসপাতালের কাছে চারতলা একটি ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে।
দেশটির ফায়ার সার্ভিসের প্রধান এটিকে সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন বলে অভিহিত করেছেন।
ওয়েলিংটন ফায়ার প্রধান নিক পিয়াট বলেছেন, ৫২ জন লোক ভবনটি থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। তবে দমকলকর্মীরা এখনও অন্যদের জন্য হিসাব করার চেষ্টা করছেন।
লোফার্স লজের বাসিন্দা তালা সিলি নিউজ আউটলেট আরএনজেডকে বলেছেন যে তিনি তার দরজার নীচে ধোঁয়া উড়তে দেখেছেন। এরপর দরজা খুলে দেখেন সিঁড়িতে কালো ধোয়া।
আরও পড়ুন: ভোলায় অগ্নিকাণ্ডে ১১ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত
সিলি বলেন, ‘আমি উপরের তলায় ছিলাম এবং আমি সিঁড়ি দিয়ে যেতে পারিনি কারণ সেখানে খুব বেশি ধোঁয়া ছিল, তাই আমি জানালা দিয়ে লাফ দিয়েছিলাম।’
তিনি বলেন, তিনি দোতলায় একটি ছাদে পড়ে যান।
সিলি আরএনজেকে বলেছেন, ‘এটি কেবল ভীতিকর ছিল, এটি সত্যিই ভীতিকর ছিল, কিন্তু আমি জানতাম যে আমাকে জানালা দিয়ে লাফ দিতে হবে, আর না হলে ভবনের ভিতরে জ্বলতে হবে।’
তিনি বলেছিলেন যে তাকে প্যারামেডিকরা ছাদ থেকে উদ্ধার করে এবং একটি মচকে যাওয়া গোড়ালির জন্য চিকিৎসা দেন।
লোফার্স লজ বিভিন্ন বয়সের লোকেদের জন্য শেয়ার্ড লাউঞ্জ, রান্নাঘর এবং লন্ড্রি সুবিধা সহ মৌলিক, সাশ্রয়ী মূল্যের কক্ষের সুবিধা দেয়। কিছু সরকারি সংস্থার দ্বারা সেখানে রাখা হয়েছিল এবং তাদের কাছে সম্পদ বা সহায়তা নেটওয়ার্কের পথে খুব কম ছিল বলে দুর্বল হিসেবে বিবেচিত।
হোস্টেলটি একটি শিল্প এলাকায় এবং একদিকে বিলবোর্ড রয়েছে। গাঢ় ধোঁয়ার দাগ বিল্ডিংয়ের উপরের তলায় বাইরের দেয়াল পর্যন্ত ছড়িয়েছে।
পিয়াট বলেন, প্রায় রাত সাড়ে ১২টায় অগ্নিনির্বাপক কর্মীদের হোস্টেলে ডাকা হয়েছিল। জরুরি কর্মকর্তারা বলেছিলেন যে ভবনটিতে কোনও অগ্নি নির্বাপন ব্যবস্থা নেই। প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স বলেছিলেন যে পুরানো বিল্ডিংগুলোর জন্য নিউজিল্যান্ডের বিল্ডিং কোডের প্রয়োজন নেই, যেগুলোকে পুনঃনির্মাণ করতে হবে।
তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণ জানা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বাসিন্দারা সাংবাদিকদের বলেছিলেন যে ভবনে ফায়ার অ্যালার্ম নিয়মিত বাজবে, সম্ভবত ধূমপানকারী বা অত্যধিক সংবেদনশীল ধুমপান পর্যবেক্ষণ করার জন্য। তাই অনেকেই প্রাথমিকভাবে ভেবেছিলেন অ্যালার্মটি অন্যদের জন্য।
হিপকিন্স বলেছেন যে ভবনটি বর্তমানে পুলিশের প্রবেশের জন্য নিরাপদ নয় এবং নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের কিছুটা সময় লাগতে পারে। তিনি এএম মর্নিং নিউজ প্রোগ্রামকে বলেছেন যে তিনি বুঝতে পেরেছেন যে ছয়জন মারা গেছে এবং নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে।
পুলিশ বলেছে যে তাদের সঠিক গণনা নেই, যদিও তারা বিশ্বাস করে যে মৃতের সংখ্যা ১০ এর কম।
প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেছেন ‘এটি একটি পরম ট্র্যাজেডি। এটি একটি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি।’ ‘সময়ের সাপেক্ষে অবশ্যই কী ঘটেছে এবং কেন এটি ঘটেছে সে সম্পর্কে বেশ কয়েকটি তদন্ত হবে। তবে আপাতত, পরিস্থিতি মোকাবিলায় অগ্রাধিকার দিতে হবে। ’
স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ভবনটিতে থাকা দু’জন লোককে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং দুজনের অবস্থাই স্থিতিশীল। অন্য তিনজনকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, যখন ষষ্ঠ রোগী চিকিৎসা পাওয়ার আগে চলে যেতে চেয়েছিল।
দমকল বাহিনীর প্রধান পিয়াট বলেছেন, তার চিন্তাভাবনা তাদের পরিবারের সঙ্গে যারা নিহত হয়েছে এবং ক্রুদের সঙ্গে যারা উদ্ধার হতে পেরেছিল তারা এখনো যাদের উদ্ধার করা যায়নি তাদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছেন।
পিয়াট বলেন, ‘এটি আমাদের সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন।’ ‘এটি এর চেয়ে খারাপ হয় না।’
ওয়েলিংটন সিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র রিচার্ড ম্যাকলিন বলেছেন, শহর এবং সরকারি কর্মকর্তারা প্রায় ৫০ জনকে সাহায্য করছেন যারা আগুন থেকে রক্ষা পেয়েছেন এবং একটি জরুরি কেন্দ্রে কাউন্সিলের একটি চলমান ট্র্যাকে স্থাপন করা হয়েছে যেখানে ঝরনা এবং অন্যান্য সুবিধা রয়েছে।
তিনি বলেন, বেশ কয়েকজন বয়স্ক ব্যক্তি তাদের পরা পায়জামা নিয়ে ভবন থেকে পালিয়ে গেছে।
তিনি বলেছিলেন, ‘যা ঘটেছে তা নিয়ে অনেকেই স্পষ্টভাবে আতঙ্কিত এবং হতবাক।’
ওয়েলিংটন আঞ্চলিক হাসপাতালের কাছে লোফার্স লজ -এ ৯২টি কক্ষ রয়েছে।
ম্যাকলিন বলেন, হোস্টেল স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী ভাড়ার সংমিশ্রণ প্রদান করে। তার কাছে সমস্ত বিবরণ ছিল না। তবে তিনি বিশ্বাস করেন যে এটি বিভিন্ন সরকারি সংস্থাগুলো গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় আবাসন সরবরাহ করতে ব্যবহার করেছিল।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ সাংবাদিকদের বলেছেন যে তিনি হিপকিন্সের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং অস্ট্রেলিয়ান সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছেন।
আলবেনিজ বলেছেন, ‘এটি একটি ভয়ঙ্কর মানবিক ট্র্যাজেডি।’ ‘এই কঠিন সময়ে নিউজিল্যান্ডে আমাদের বন্ধুদের কাছে আমি অস্ট্রেলিয়ার পক্ষ থেকে আমার সমবেদনা প্রকাশ করছি।’
আরও পড়ুন: নবাবগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে ৩টি বাড়ি ও ৮টি গরু