সমুদ্র সৈকত
ঘূর্ণিঝড় মোখা: এখনো শান্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত
সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় মোখায় রূপ নিয়েছে। এটি আরও শক্তিশালী হতে পারে।
আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, এর প্রভাবে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নং দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে সহ কক্সবাজারের এলাকাগুলোকে ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো প্রভাব পড়েনি।
সমুদ্র শান্ত আছে এখনও। পাড়ে আছড়ে পড়ছেনা বড় বড় ঢেউ, কিংবা এখনও পানির উচ্চতাও বাড়েনি। সকালে থেকেই কক্সবাজারে ঘুরতে আসা পর্যটকদের সমুদ্রে নেমে গোসল করতে দেখা গেছে।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তার কাজ করা সি সেইফ লাইফ কর্মী মোহাম্মদ ইউনুস জানিয়েছেন, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বর্তমানে গোসলের জন্য নিরাপদ। জেলা প্রশাসন বা সি সেইফ থেকে কোনো নির্দেশনা আসলে সে অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ৪০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
এদিকে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের ৫৭৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখ হয়েছে যেখানে ৫ লাখ ৫ হাজার ৯৯০ জন মানুষের ধারণক্ষমতা রয়েছে।
এছাড়া সম্ভাব্য দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য জেলার রিজার্ভে ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা, ৪৯০ মেট্রিক টন চাল, ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন মজুদ রয়েছে।
সেইসঙ্গে নতুন করে কক্সবাজার জেলার জন্যে ১০ লাখ নগদ টাকা, ৫০ মেট্রিক টন চাল, ৭ মেট্রিক টন শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।
সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান বলেন, ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ার আগেই সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক নির্ধারণ, খুব ঝুঁকিপূর্ণ-ঝুঁকিপূর্ণ-কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিতকরণ, পর্যাপ্ত শুকনা খাবার মজুদ রাখা, ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা, গবাদী পশু সংরক্ষণ ইত্যাদি দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং ইস্যু।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত সকল কর্মকর্তা/ কর্মচারী যাতে দুর্যোগ মুহুর্তে সরকারি ছুটির দিনে কর্মস্থল ত্যাগ না করেন, সে বিষয়েও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: বাগেরহাটের উপকূলীয় এলাকায় আতঙ্ক, ৪৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
ঘূর্ণিঝড় মোখা: সমুদ্রবন্দরগুলোকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে শতাধিক মৃত জেলিফিশ
কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলের বিভিন্ন পয়েন্টে বৃহস্পতিবার সকালে শতাধিক মৃত জেলিফিশ ভেসে এসেছে।
লাবণী, সুগন্ধা, সায়মনবিচ ও দরিয়া নগর পয়েন্টসহ হিমছড়ি পর্যন্ত দীর্ঘ ৫০ কিলোমিটারের একাধিক পয়েন্টে ছোট-বড় প্রায় শতাধিক মৃত জেলিফিশ জোয়ারের পানিতে ভেসে এসে বালুতে আটকে আছে। তবে এগুলো কি কারণে মারা যাচ্ছে এর সঠিক কারণ কেউ বলতে পারছেন না।
এবিষয়ে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আবু সাইয়েদ মো.শরীফ বলেন, ‘জেলিফিশ সাধারণত শীতকালে মারা যায় এবং মৃত অবস্থায় সাগর উপকূলে ভেসে আসে। বেশ কিছুদিন ধরে আমরা সাগরে ভেসে আসা জেলিফিশ গুলো পরীক্ষা করে দেখেছি, ভেসে আসা এসব জেলিফিশ জেলেদের জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে। যেহেতু, এতদিন সাগরে মাছ ধরা বন্ধ ছিল। এখন মাছ ধরা শুরু হওয়ায় জেলেদের জালে আটকা পড়ছে এসব জেলিফিশ। এছাড়াও জেলিফিশ যেহেতু কম সাঁতার কাটতে জানে, সেহেতু জোয়ারের পানিতে ভেসে এসে সাগর পাড়ে বালুচরে আটকে মারা যাচ্ছে। সাগরে পরিবেশ বিপর্যয়ের মত কিছুই হয়নি।’
কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বদরুজ্জামান জেলেদের বলেন, এই সময়ে মাছগুলো মরার কোন সিজন নয়। হয়তোবা জেলিফিশ উপকূলের কাছাকাছি এসে জেলেদের জালে আটকা পড়েছে। পরে জেলেরা মাছগুলো ফেলে দেয়ায় মরা মাছ সৈকতের বেলাভূমিতে আসতে শুরু করেছে।
অন্যদিকে, মৃত জেলিফিশের দুর্গন্ধের কারণে আশেপাশে হাঁটা-চলা করতে পারছেন না পর্যটকেরা। এভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে গোটা সৈকতে দুর্গন্ধ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে।
উল্লেখ্য, স্থানীয় জেলেদের কাছে জেলিফিশ সাগরের ‘লোনা’ হিসেবে পরিচিত।
আরও পড়ুন: আবারও কক্সবাজারের সৈকতে বিশাল মৃত তিমি
কুয়াকাটা সৈকতে ফের ভেসে এলো মৃত ডলফিন
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে নিখোঁজ ২ শিশুর লাশ উদ্ধার
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত থেকে মঙ্গলবার ভোররাতে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহতরা হলো-কক্সবাজারের কুতুবদিয়াপাড়ার মুফিজ আলমের ছেলে মো. জায়েদ (৫) ও মোহাম্মদ আলীর ছেলে রিয়াদ (৬)।
সমুদ্র সৈকতের তত্ত্বাবধায়ক মাহবুব আলম জানান, সৈকত কর্মীরা সমুদ্র সৈকতের ডায়াবেটিক ও নাজিরারটেক পয়েন্ট থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে।
কক্সবাজার পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আকতার কামাল জানান, সোমবার বিকাল ৩টার দিকে জোয়ারের পানি দেখতে গিয়ে নিখোঁজ হয় এ দুই শিশু।
আরও পড়ুন: উলিপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে বন্যার পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
কক্সবাজারের উন্নয়নে প্রকৃতি ও পরিবেশকে একীভূত করুন: প্রধানমন্ত্রী
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের উন্নয়নকে প্রকৃতি, বৃক্ষ ও পরিবেশের সঙ্গে একীভূত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমরা শুধু ইট-কাঠ দিয়েই নয়, প্রকৃতির সঙ্গে একীভূত করে সমুদ্র সৈকতের উন্নয়ন কর্মসূচি হাতে নেব। আমাদের সেখানে গাছ এবং ছায়া রাখতে হবে।’
বুধবার সমুদ্র তীরবর্তী রিসোর্ট শহরে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত বহুতল ভবন উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আ’লীগ ক্ষমতায় না থাকলে নিত্যপণ্যের জন্য রাজপথে মারামারি হতো: প্রধানমন্ত্রী
দুই বছর পর পর্যটকে মুখর কক্সবাজার
ঈদের ছুটিতে পর্যটকের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত। বিপুল পর্যটক আগমনে সন্তুষ্ট পর্যটন ব্যবসায়ীরাও।
করোনা মহামারির কারণে দুই বছর পর সৈকত এলাকা পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। হাজার হাজার পর্যটকের পদচারণায় সৈকত এলাকা উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। পর্যটকদের উপস্থিতিতে খুশি কক্সবাজারের হোটেল ও মোটেল মালিকরা।
এছাড়া স্থানীয় প্রশাসন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে পুলিশ, আনসার সদস্য ও লাইফগার্ড কর্মীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।
কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্ট ও সুগন্ধা পয়েন্ট পর্যটকদের কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় স্থান এবং যান্ত্রিক জীবন থেকে নিজেকে সতেজ করতে পর্যটকরা ওই এলাকায় ভিড় করেছেন। অনেককে আবার মোটরসাইকেলে করে সৈকত এলাকায় ঘুরতে দেখা গেছে।
হোটেল কক্স টুডের মহাব্যবস্থাপক (জিএম) আবু তালেব শাহ জানান, দুই বছরের দীর্ঘ বিরতির পর পর্যটকদের আগমনে সন্তুষ্ট পর্যটন ব্যবসায়ীরা। ঈদের ছুটির পরও হোটেল, মোটেল ৯০ ভাগ রুম আগামী ১১ মে পর্যন্ত বুকিং রয়েছে।
পড়ুন: ঈদের ছুটিতে জাফলংয়ে পর্যটকের স্রোত
হোটেল ব্যবসায়ী সেলিম নেওয়াজ জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে আগামী ১০ মে পর্যন্ত আরও বেশি পর্যটক আসবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এতে পর্যটন শিল্প আরও উন্নয়ন হবে।
হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেস জানান, এবার ঈদের ছুটির পরের এক সপ্তাহেও ৭০ ভাগ রুম বুকিং রয়েছে। নিজের গ্রামে বা শহরে যারা ঈদ উদযাপন করেছেন তাদের অনেকে ঈদের ছুটির পর কক্সবাজার ভ্রমণে আসছেন। তবে আবহাওয়া ঠিক থাকলে আরও অনেকদিন পর্যটকে ভরপুর থাকবে কক্সবাজার।
হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম জানান, ঈদের ছুটির পরেও এক সপ্তাহেও ৭০ ভাগ রুম বুকিং রয়েছে। নিজের গ্রামে বা শহরে যারা ঈদ উদযাপন করেছেন তাদের অনেকে ঈদের ছুটির পর কক্সবাজার ভ্রমণে আসছেন।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে আগত পর্যটকরা যাতে স্বাচ্ছন্দে ভ্রমণ করতে পারে সেই লক্ষ্যে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও পর্যটকদের চিকিৎসা সেবা ও খাবার পানির ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। প্রশাসনের তৎপরতায় এ পর্যন্ত কোন ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটেনি।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ উদ্দীন জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিকে চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের পাশাপাশি জেলা পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, লাইফ গার্ড, বিচ কর্মী সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
এখানে পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউজে দুই লাখেরও বেশি পর্যটকের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসনের এই কর্মকর্তা।
পড়ুন: ধানের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে না কিশোরগঞ্জের হাওরের ধানচাষিরা
সৈকতে নারীদের জন্য আলাদা জোন থাকছে না
উদ্বোধনের মাত্র ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবনী পয়েন্টে নারীদের জন্য বিশেষ জোন করার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসল প্রশাসন।
এর আগে বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা ‘সংরক্ষিত এলাকা’ উদ্বোধন করেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ। তার ১০ ঘণ্টার মধ্যে রাত ১০ টায় এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন জেলা প্রশাসন।
সমুদ্র সৈকতে নারী ও শিশুদের জন্য আলাদা ‘সংরক্ষিত এলাকা’ উদ্বোধন করার নিউজটি প্রচারের পর সারাদেশে নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে যাদের জন্য সংরক্ষিত করা হয়েছে সেই নারী পর্যটকরা তা মানতে নারাজ।
জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, পর্যটকদের নারী ও শিশু পর্যটকদের সুবিধার জন্য এমন বিশেষ জোন করা হয়েছে। কিন্তু পর্যটকরা এমন জোন পছন্দ করছেন না। পর্যটকরা যেমন চাইবেন তেমন পর্যটন হবে কক্সবাজার। কারণ পর্যটকদের জন্য কক্সবাজারের পর্যটন এলাকা। তাই তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, যেহেতু তারা এমন জোন চাচ্ছেন না তাই নারী ও শিশুদের জন্য বিশেষ জোন প্রত্যাহার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নারী পর্যটকের জন্য কক্সবাজার সৈকতে বিশেষ জোন
কক্সবাজারে ‘থার্টি ফাস্ট নাইট’: নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ৮০ ভাগ রুম বুকিং
২০২২ সালকে স্বাগত জানাতে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি নেই। করোনা মহামারির কারণে ৩১ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ‘থার্টি ফার্স্ট নাইট’ কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে আয়োজন করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তারপরও দেশের বিভিন্ন স্থানের লোকজন কক্সবাজারে ২০২১ সালের শেষ সূর্যাস্তকে বিদায় ও রাতে বিভিন্ন হোটেলের ইনডোরে বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে এবং বিশাল সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়িয়ে ইংরেজি নতুন বছর ২০২২ সালকে বরণ করতে কক্সবাজারে ছুটে আসবেন।
নতুন বছর বরণকে কেন্দ্র করে আগত পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। একইভাবে জেলা প্রশাসন বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করেছেন। শৃঙ্খলা রক্ষায় নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানা ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় কয়েক স্তরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লোনা জলে গা ভাসানো আর বালুকা বেলায় দাঁড়িয়ে নতুন বছরের নতুন সূর্যের রোদে আলোকিত হয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটতে পারে এমন আশা কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদারের।
আরও পড়ুন: চাঁদার ৫০ হাজার টাকা না পেয়ে কক্সবাজারে পর্যটককে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ
তিনি জানান, এবারে থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে এ পর্যন্ত ৭০ থেকে ৮০ ভাগ রুম বুকিং হয়েছে। সৈকতে উন্মুক্ত স্থানে অনুষ্ঠান আয়োজনে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকায় কোন আয়োজন হচ্ছে না। তাই এবার কক্সবাজারে পর্যটক আগমন আশানুরূপ হবে না।
আবুল কাশেম জানান, নতুন বছর ভালোভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ এবার একটি বিশেষ ছাড় দিচ্ছে। তা হচ্ছে রুমে দুজনের জায়গায় তিন জন, তিন জনের জায়গায় চার জন এভাবে প্রতিটি রুমে অতিরিক্ত পর্যটক থাকার ব্যবস্থা করা হবে। এ জন্য অতিরিক্ত কোন টাকা নেয়া হবে না। নিয়ন্ত্রিত মূল্যে সব রুম বুকিং দেয়া হচ্ছে।
ফ্লাই ডাইনিং: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বাংলাদেশের প্রথম ঝুলন্ত রেস্টুরেন্ট
পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের উপকন্ঠে সাগরের দিক মুখ করে থাকা রেঁস্তোরায় বসে খেতে খেতে দু’চোখ ভরে সাগর দেখাটা বেশ পুরোনো হয়ে গেছে। মেরিন ড্রাইভের বুকে রেঁস্তোরার ভীড় বাড়ার সাথে সাথে পর্যটকরা অভ্যস্ত হয়ে উঠেছেন বালুকাবেলায় দৃষ্টি রেখে সামুদ্রিক মাছ ভাজায় তৃপ্তি মেটানোতে। কিন্তু পাখির চোখে সৈকত আর উপকূলবর্তী শহরের আলো দেখতে দেখতে সান্ধ্যকালীন ভোজ শুধু অভিনব অভিজ্ঞতাই নয়, অনেক দুঃসাহসের কাজও বটে। এই অভিজ্ঞতা দিতেই ২০২১ এর ৩০ নভেম্বর কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে উদ্বোধন হলো বাংলাদেশের প্রথম ঝুলন্ত রেস্টুরেন্ট ফ্লাই ডাইনিং। এই বিস্ময়কর রেস্টুরেন্ট নিয়েই আজকের ফিচার।
ফ্লাই ডাইনিং-এর নান্দনিক লোকেশন
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতগামী পর্যটকদের সবচেয়ে প্রিয় স্থান সুগন্ধা পয়েন্টে গড়ে উঠেছে ফ্লাই ডাইনিং রেস্টুরেন্ট। হোটেল সি-প্রিন্সেসের পাশে অবস্থিত ফ্লাই ডাইনিং কিচেন ও রেঁস্তোরা থেকে সৈকতের পুরো দৃশ্যটাই চোখে পড়ে। কলাতলী পয়েন্টের উত্তর অংশের এই উন্মুক্ত পরিবেশের রেঁস্তোরাটি কক্সবাজারের অন্যান্য অভিজাত রেস্তোরাগুলোর মতই মনে হবে। কিন্তু কিচেনের পশ্চিম পাশের ক্রেনটি দেখার পর চমকের প্রথম ধাক্কাটা শুরু হবে। কেননা অন্যান্য রেস্টুরেন্টগুলোর যেমন উপরে উঠার জন্য সিড়ি বা লিফট থাকে, সেখানে এই ক্রেন দিয়ে অতিথিদের তোলা হবে শূন্যে।
আরও পড়ুন: ‘পিস রানার অ্যাওয়ার্ড' পেলেন বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পর্যটক নাজমুন নাহার
ঝুলন্ত ভোজনশালা ফ্লাই ডাইনিং-এর মূল আকর্ষণ
চব্বিশজনের সিট সমেত ডাইনিং প্ল্যাটফর্মটি যখন ওপরে উঠতে শুরু করবে তখন থেকে শুরু হবে রোমাঞ্চের ষোল কলা পূর্ণ হওয়া। আশেপাশের লম্বা লম্বা গাছপালা ছাড়িয়ে ডেকটি যখন অদূরের বহুতল স্থাপনাগুলোর সাথে সমান্তরালে থেকে ওপরে উঠতে থাকবে, একমাত্র তখনি বোধগম্য হবে ফ্লাই ডাইনিং-এর বিশেষত্বটা। কারণ নিচের কিচেনে খাবার অর্ডার করার সময় পাশের বিশাল স্তম্ভের সাথে সংযুক্ত ওপরের দৈত্যাকার ক্রেনের হুকটি দেখে তেমন কিছুই বোঝার উপায় নেই। সেই হুকটিই ডেকটাকে টেনে স্তম্ভের গা বেয়ে ওপরে তুলবে।
এই যান্ত্রিক কৌশলটা বোধগম্য হলেও ওটা দিয়ে ওপরে ওঠার সময়েই একমাত্র পিলে চমকানো অনুভূতিটা হবে। মাধ্যাকর্ষণের শিহরণ কাটিয়ে যদি চারপাশটায় চোখ বুলানোর সাহস সঞ্চয় করা যায়, তবে দেখা মিলবে দূরের ধূসর-কালো পাহাড়গুলোর। তখন ভয়, বিস্ময় ও ভালো লাগার এক অদ্ভূত অনুভূতি খেলে যাবে হৃদয় জুড়ে। আর মূলত এর জন্যই একবার হলেও সাহস সঞ্চয় করে চড়া উচিত এই ঝুলন্ত রেস্টুরেন্টে।
নিচের কিচেনে রসনা বিলাসের দারুণ এক ট্রেলার দেখানো হবে প্রতিটি অতিথিকে। যদিও ব্যাপারটাতে কোন নতুনত্ব নেই, কিন্তু ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ১৬০ ফুট উচ্চতায় বসে চারপাশের দৃশ্যের হাতছানি উপেক্ষা করে অর্ডার দেয়া খাবারগুলো মুখ পর্যন্ত তুলে আনাটাই হবে অভাবনীয় অভিজ্ঞতা।
মাথার ওপরে বিশাল ছাতার মত শেডটি সূর্যালোক থেকে ছায়া দেবে। আর ডানে-বায়ে, সামনে-পেছনের খোলা জায়গার পুরোটাই বরাদ্দ অসীম নিসর্গ উপভোগের জন্য।
আরও পড়ুন: মোটর বাইক রাইডারদের নিরাপত্তার জন্য সেফটি গিয়ার
ফ্লাই ডাইনিং-এ খাবারের ব্যবস্থা
এরকম অভিজ্ঞতা সারা জীবনের পাথেয় করে নেয়ার জন্য আগেই নিজের জায়গা নির্ধারণ করতে হবে সেই ডেকের চব্বিশটি সিটের মধ্যে। ফ্লাই ডাইনিং খাবারের তালিকায় আছে- পাকোড়া বেবি কর্ন ও তেঁতুলের সস, আচার দিয়ে মোরগ পোলাও, শাম্মি কাবাব, শসা ও গাজরের মিক্সড সালাদ, চিংড়ি ও সসেমি টোস্ট, প্লেইন রাইস সাথে মাটন কালা ভুনা, শাকসবজি শাসলিক, জার্মান আলুর সালাদ। মিষ্টির মধ্যে আছে- ফল কাস্টার্ড ও শেফ শাবেব চকোলেট ফাজ।
এছাড়া ভেজিটেরিয়ানদের জন্য আলাদা ভাবে থাকছে নিরামিষ রোল, ভেজি ব্ল্যাক বিন এনচিলাডাস এবং গলানো পনির। নেয়াপোলিটানার সাথে স্প্যাগেটি, পালং শাক এবং সরিষা দিয়ে ডিমের সালাদ। আর মিষ্টির মধ্যে আছে ডালিমের সাথে তাজা ফলের সালাদ।
পাশাপাশি আমিষভোজীদের জন্য আছে চিংড়ি রোল, সীফুড ফ্রাইড রাইস, গ্রিলড সীফুড, টুনা, টমেটো সালাদ এবং মিষ্টির ভেতর মিশরীয় চালের পুডিং।
উল্লেখ্য যে, এখানে রান্নার কাজটি তত্ত্বাবধানে নিয়জিত আছেন বাংলাদেশের প্রখ্যাত রন্ধনশিল্পী টনি খান।
ভিআইপিদের ক্ষেত্রে অথবা নির্দিষ্ট কোন দিন উদযাপনের জন্য ফ্লাই ডাইনিং-এর আছে গিফট ভাউচারের ব্যবস্থা। এগুলোর মাধ্যমে প্রাপককে তার ফ্লাই ডাইনিং অভিজ্ঞতার জন্য যে তারিখ ও সময়ে যেতে চান তা বেছে নেবার সুযোগ দেয়।
তাছাড়া জন্মদিনের গান থেকে শুরু করে অন্যান্য বিশেষ ঘোষণার ব্যবস্থা করা হয়। তবে এর জন্য তাদেরকে অবশ্যই আগাম জানাতে হবে।
আরও পড়ুন: সিঙ্গাপুর ভ্রমণ: সাগরের উপকন্ঠে অভিজাত উদ্যাননগরী
কক্সবাজার ও নয়াদিল্লীর ফ্লাই ডাইনিং-এর তুলনামূলক খরচ
ফ্লাই ডাইনিং-এর এই বুকিং নেয়া হয় মূলত চারটি সময়ে। সিজনগুলো হলো- বিকাল ৪টা, সন্ধ্যা ৬টা, রাত ৮টা এবং রাত ১০টা। এখানে শুধু সিজন-১ এর জন্য খরচ ৬ হাজার ৮৬৪ টাকা আর বাকি সময়গুলোর জন্য ৫ হাজার ৭২০ টাকা। এই খরচে সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় ঘন্টার মধ্যে দুজন অতিথি খাওয়া-দাওয়া সহ ফ্লাই ডাইনিং ট্রিপ সম্পন্ন করতে পারবেন।
ভারতের নিদার গার্ডেন গ্যালেরিয়া মলের ফ্লাই ডাইনিং-এ রিজার্ভেশনের ব্যবস্থা আছে সকাল থেকে রাত অব্দি মোট সাতটি সময়ের, যার প্রতিটির জন্য খরচ ৩ হাজার ৪৩১ টাকা।
উল্লেখ্য, এখানে ২০২১ এর ৪ ডিসেম্বরের ভারতীয় মুদ্রা রুপি থেকে বাংলাদেশের টাকার কনভার্সন রেট অনুসরণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বগালেক, দার্জিলিং পাড়া হয়ে কেওক্রাডং মানেই হারিয়ে যাওয়া রূপকথার রাজ্যে
কক্সবাজার ফ্লাই ডাইনিং-এর গঠন
ফ্লাই ডাইনিং ডিজাইন করা হয়েছে জার্মানিতে। জার্মান কোম্পানি এই রাইডটির সার্বিক সমন্বয় সাধন এবং গুণাগুণ নিশ্চিত করে বিভিন্ন দেশে প্রেরণ করে। পর্যটন প্রধান দেশগুলোর পর্যটন প্রতিষ্ঠানগুলো নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকিসমূহ দূর করে অতিথিদের স্মরণীয় অভিজ্ঞতা প্রদানের নিশ্চিয়তা প্রদান করে।
পুরো ফ্লাই ডাইনিং ডেকটি লম্বায় ৯ মিটার ও চওড়ায় ৫ মিটার। ৮টি নিচে এবং ৮টি উপরে এভাবে মোট ১৬টি ধাতব তারের দড়ি দিয়ে শক্ত করে বাঁধা পুরো প্ল্যাটফর্মটি। প্রতিটি দড়ি ৪ টন ওজন নেয়ার ক্ষমতা রাখে। তার মানে এই ১৬টির একটি দড়িই যথেষ্ট পুরো প্ল্যাটফর্মটি ধরে রাখতে। এক্ষেত্রে ওজন বহনে নিরাপত্তা হার বেড়ে যাচ্ছে ৮ গুন।
প্ল্যাটফর্মটির মাঝে একটি সেন্টার টেবিল সহ চারপাশ দিয়ে মোট ২৪টি সিট আছে। প্রতি রাইডে ডেকটি সেন্টার টেবিলে সর্বোচ্চ ৬ জন স্টাফ এবং ২৪ জন অতিথি ধারণ করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের দশটি প্রাচীন মসজিদ: দেশের ঐতিহাসিক স্থাপত্যের নিদর্শন
অতিথিদের সার্বিক নিরাপত্তা
ফ্লাই ডাইনিং-এর গাঠনিক বৈশিষ্ট্য থেকেই এর নিরাপত্তার ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। সেই সুবাদে অতিথিদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই আয়োজন করা হয়েছে এই রেস্টুরেন্টটি। চব্বিশটি সিটের নিচের প্ল্যাটফর্মের ভেতরে আছে অ্যালুমিনিয়াম ও স্টিল। যাত্রীদের প্রত্যেকে নিজেদের আসন গ্রহণ করার পর উড্ডয়নের পূর্বে সবার সিট বেল্ট বেঁধে দেয়া হয়। এ মুহুর্তের অনুভূতিটা অনেকটা প্লেন ছাড়ার আগ মুহুর্তের মত। সিট বেল্টের বন্ধনীর ফলে হাত ও মাথা মুক্তভাবে নেড়ে ওপরে ওঠার পুরো সময়টা উপভোগ করতে পারেন যাত্রীরা। তাছাড়া ভোজন পর্ব শুরু হওয়ার পর স্বাচ্ছন্দ্যে খেতে পারেন প্রতিটি অতিথি। এতে সিট বেল্ট অথবা ডেকটি কোন রকম জটিলতার সৃষ্টি করে না।
তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে যাত্রীদের জন্য ফ্লাই ডাইনিং সার্বজনীন নিয়মনীতি মেনে চলার পরামর্শ দেয়। যেমন উচ্চতা সর্বনিম্ন ৪ ফুট ৭ ইঞ্চি এবং ওজন সর্বোচ্চ ১৫০ কেজি ওজন সহ ১৩ বছরের বেশি বয়সী যে কেউ এই রাইডে উঠতে পারবে৷ ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য পিতামাতা বা আইনগত অভিভাবকের উপস্থিতি এবং স্বাক্ষর প্রয়োজন হবে। গর্ভবতী মহিলাদের এক্ষেত্রে অনুমতি দেয়া হয় না। হৃদরোগ, পিঠ ও ঘাড়ের সমস্যা, হাড় ভাঙা, সাম্প্রতিক অস্ত্রোপচার এবং উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ফ্লাই ডাইনিং নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ড ডে ট্যুর: একদিনে ঘুরে আসুন চন্দ্রনাথ পাহাড় ও মহামায়া লেক
কক্সবাজার ঝুলন্ত রেস্টুরেন্টটির নেপথ্যে রয়েছেন যারা
কক্সবাজার ফ্লাই ডাইনিং-এর সামগ্রিক নির্মাণ কাজ, আয়োজন ও ব্যবস্থাপনায় কাজ করেছে আন্তর্জাতিক পর্যটন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ইয়োর ট্রাভেল্স লিমিটেড। ম্যানেজার সানোয়ার শিহাব খানের ভাষায়, ‘১৬০ ফুট উচ্চতায় চব্বিশ জন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন এই ডেকে বসে মেঘের সাথে খাবার খাওয়া যাবে।’ পরিচালক দিব্যা পাঠাক বলেন, ‘অতিথিরা এই ঝুলন্ত রেঁস্তোরায় জন্মদিনসহ যে কোন পার্টি উদযাপন করতে পারবে।’
আরও পড়ুন: নেপাল ভ্রমণ: শত বছরের তীর্থস্থান ঘুরতে হিমালয়ের দেশে
পরিশিষ্ট
কক্সবাজার ফ্লাই ডাইনিং এর মতন বিশ্ব মানের বিনোদনমূলক কার্যক্রম সম্পূর্ণ বদলে দেবে কক্সবাজারের পর্যটন পরিবেশকে। পাশাপাশি বাংলাদেশের অন্যান্য ঐতিহাসিক পর্যটন এলাকাগুলোকেও আরও সাজিয়ে তুলতে অনুপ্রেরণা যোগাবে। ফ্লাই ডাইনিং এর শোভাযাত্রা অত্যাধুনিক নগরায়নের ক্রমবিকাশ তো বটেই, তার সাথে সাথে বিদ্যমান সম্পদের সদ্ব্যবহারেরও পরিচায়ক।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ঢল
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি উপেক্ষা করে নতুন বছর উপলক্ষে কক্সবাজারে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। শীতের হিমেল হাওয়া ও শিশির ভেজা বালিয়াড়িতে তারা ঘুরে বেড়াচ্ছেন মনের আনন্দে।
ইন্দোনেশিয়ার সৈকতে ৩০০ রোহিঙ্গার সন্ধান
ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের একটি সমুদ্র সৈকতে সোমবার প্রায় ৩০০ রোহিঙ্গা মুসলমানকে পাওয়া গেছে, খবর এপি।