রোহিঙ্গা
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্র
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীর সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্রের এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (ইউএসএইড) আরও ৮৭ মিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা প্রদান করছে।
নতুন এই অর্থায়নের মাধ্যমে ইউএসএইড জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) সঙ্গে জরুরি খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা; সেইসঙ্গে অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস, এবং স্বনির্ভরতা ও জীবিকা সহায়তা প্রদানের জন্য কাজ করবে।
বুধবার ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস বলেছে, এই অতিরিক্ত তহবিল অন্যান্য দাতাদের অবদানের সঙ্গে ডব্লিউএফপিকে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীর জন্য খাদ্য রেশন সংগ্রহ করতে সক্ষম করবে।
আরও পড়ুন: মানবিক সহায়তায় শরণার্থীদের স্বস্তির ব্যবস্থা করতে বিদেশি সরকারগুলোর সমর্থন বাড়াতে হবে: আন্তর্জাতিক ক্রাইসিস গ্রুপ
খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তার মধ্যে রয়েছে নির্ধারিত বিতরণের জায়গায় খাবারের জন্য ইলেকট্রনিক ভাউচার, ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী অপুষ্টির শিকার শিশুদের এবং গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের খাদ্যপ্রদান কর্মসূচিতে সহায়তা।
এছাড়াও অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে, ডব্লিউএফপি ক্যাম্পের অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নয়নে জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করবে।
এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গা সংকটে সবচেয়ে বেশি মানবিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালের আগস্টে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে। যার মধ্যে প্রায় ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার দিয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং বাংলাদেশে আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠীকে সহায়তা করার জন্য।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ৩০ বিলিয়ন ইয়েন সহায়তার আশ্বাস জাপানের: মোমেন
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে মোখায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা নারীদের জন্য চীনের অনুদানে ইউএনএইচসিআরের ধন্যবাদ
বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি উন্নয়নে চীনের ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদানকে স্বাগত জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
১২ থেকে ৫০ বছর বয়সী ৬০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা নারী ও কিশোরী চায়না ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্ট কোঅপারেশন এজেন্সির মাধ্যমে ২০২৫ সাল পর্যন্ত এর সুফল পাবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি (রিপ্রেজেন্টেটিভ) সুম্বুল রিজভী বলেন, ‘চীনের তরফ থেকে এই অনুদান এল এমন এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, যখন চলমান রোহিঙ্গা সংকটটির সপ্তম বছর চলছে।’
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বিশ্বব্যাংক-এডিবির ঋণ নয়, অনুদান চাই: টিআইবি
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ একটি দেশ হিসেবে চীন তার দায়িত্ব পালন করছে এবং বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে সহায়তা দিচ্ছে। আমরা ভবিষ্যতে ইউএনএইচসিআরের আরও কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হওয়ার আশা রাখি। তবে এই সংকটের দীর্ঘস্থায়ী সমাধান হলো বাস্তুচ্যুত জনগোষ্ঠীর মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন।’
শরণার্থী নারী ও কিশোরীরা প্রতি বছর দুটি করে হাইজিন কিট পাচ্ছে। চীনের সহায়তায় আড়াই লাখের বেশি হাইজিন কিট রোহিঙ্গা নারীদের কাছে পৌঁছে দেবে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ইউএনএইচসিআর।
এই হাইজিন কিটগুলো সরবরাহ করতে ইউএনএইচসিআর ও চীন সরকার একসঙ্গে কাজ করবে। চীনের অনুদান নিশ্চিত করবে গোসলের ও কাপড় ধোয়ার সাবান ও বালতিসহ কিছু সামগ্রী। কক্সবাজারে শরণার্থী ও স্থানীয় বাংলাদেশিদের মধ্য থেকে দুইশোর বেশি নারী এসব হাইজিন কিটগুলোর বাকি জিনিসগুলো তৈরি করবেন। এর মাধ্যমে তারা তাদের দক্ষতাকে নিজ জনগোষ্ঠীর কাজে ব্যবহার করতে পারবেন এবং সীমিত পরিসরে জীবিকা নির্বাহের কাজে নিজেদের স্বনির্ভর করার একটি প্রয়াস পাবেন।
ইউএনএইচসিআর-এর রিপ্রেজেন্টেটিভ সুম্বুল রিজভী আরও বলেন, ‘শরণার্থী নারী যারা আমাদের সঙ্গে কথা বলেন তারা এই কিটের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেছেন। তাদের কাছে এটি অতি প্রয়োজনীয়, আর নিজ সমাজের নারীদের মাধ্যমে তৈরি এই সামগ্রীর গুণগত মান নিয়েও তারা সন্তুষ্ট।’ ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশে নারী ও বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য।
রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য চলমান মানবিক কার্যক্রমে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তার জন্য চীন ও অন্যান্য দেশের মানবিক সাহায্য অত্যন্ত জরুরি। ৯ লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী ও ৪ লাখ ৯৫ হাজার স্থানীয় বাংলাদেশি মিলিয়ে মোট প্রায় ১৫ লাখ মানুষের সহায়তার জন্য প্রায় ৮৭৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের আবেদন করেছিল মানবিক সংস্থাগুলো। ডিসেম্বরের শুরুর সময় পর্যন্ত জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যানটি (যৌথ কর্ম পরিকল্পনা) প্রায় ৫০ শতাংশ তহবিল পেয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত খাত: টিআইবি জরিপ
উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইমাম হোসেন (৩০) নামক এক রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় উখিয়া ৪নং ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমাম হোসেন উখিয়ার ক্যাম্প- ৪ নং ক্যাম্পের মনির উল্লাহর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসাইন।
ওসি জানান, দুপুরের দিকে ক্যাম্পে অস্ত্রধারী কয়েকজন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী ইমাম হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার পর ঘটনাস্থলে টহল বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় আরসা-আরএসও 'বন্দুকযুদ্ধে' রোহিঙ্গা নিহত
সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা ও আরএসও'র দুই সদস্য নিহত
মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে ঢাকা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ এবং রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণভাবে প্রত্যাবাসন শুরু করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রবিবার (৩ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য বর্তমানে বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ চলছে।
মিয়ানমারে পরিস্থিতির উন্নতি হলে শিগগিরই রাখাইনে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে তিনি সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেন।
তিনি বলেন, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরু করতে রোহিঙ্গারা রাখাইনে ফিরে যাওয়ার পর তারা কী কী সুবিধা ভোগ করবে সে সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে: পররাষ্ট্র সচিব
এই বছরের আগস্টে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছিলেন, সরকার এই বছর প্রাথমিকভাবে প্রায় এক হাজার শরণার্থী নিয়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু করতে চায়।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, নিরাপদ, স্বেচ্ছামূলক ও টেকসই প্রত্যাবাসন শুরু করতে আরও বিলম্ব ও মানবিক সহায়তার ঘাটতি সমগ্র অঞ্চলকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের টেকসই প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা দেওয়া চালিয়ে যেতে হবে।
কোনো সমাধান ছাড়াই সপ্তম বছরে পা দিয়েছে রোহিঙ্গা সংকট।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতির কোনো সুযোগ নেই: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা সংকটে ‘নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখছে’ ইইউ: রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
আন্দামান সাগরে দুর্ঘটনাকবলিত রোহিঙ্গাদের উদ্ধারে আঞ্চলিক উদ্যোগের আহ্বান ইউএনএইচসিআরের
শত শত রোহিঙ্গা নিয়ে দুর্ঘটনাকবলিত নৌযানগুলো উদ্ধারে দ্রুত অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালাতে সব দেশ বিশেষ করে আন্দামান সাগরের আশেপাশের দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর।
এছাড়াও, এই বিপজ্জনক সামুদ্রিক যাত্রা মোকাবিলা করতে ব্যাপক আঞ্চলিক পদক্ষেপের জন্য তার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছে ইউএনএইচসিআর।
২০২২ সাল থেকে আজ পর্যন্ত রোহিঙ্গা শরণার্থীসহ ৫৭০ জনেরও বেশি মানুষ সমুদ্রে মৃত বা নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ফের সতর্ক করেছে, উপকূলীয় দেশগুলো সময়মতো উদ্ধার অভিযান না চালালে এবং দুর্ঘটনাকবলিতদের নিরাপদ স্থানে না আনলে অনেকের মৃত্যু হতে পারে।
বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্যে জেনেছে ইউএনএইচসিআর, যাত্রীবাহী দুটি নৌকারই ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে গেছে এবং বর্তমানে আন্দামান সাগরে ভেসে বেড়াচ্ছে।
আরেকটি বিষয় হলো আগামী দিনে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা।
শনিবার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা জানিয়েছে, দুটি নৌকায় প্রায় ৪০০ জন যাত্রী আছে।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের জন্য ৮৭৬ মিলিয়ন ডলার সহায়তার আহ্বান জানাল ইউএনএইচসিআর
১৫০ জন রোহিঙ্গা নিয়ে আরেকটি নৌকা শনিবার ভোরে আচেহের উত্তরে একটি দ্বীপ সাবাং-এ পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।
দুর্ঘটরাবকলিতদের খাবার ও পানি ফুরিয়ে যেতে পারে বলেও ইউএনএইচসিআর উদ্বিগ্ন।
তাদের আশঙ্কা দুর্ঘটনাকবলিতদের উদ্ধার না করা হলে বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে।
নন-ফুলমেন্টের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সমুদ্র আইনের অধীনে আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা বজায় রাখতে হবে এবং জাতীয়তা বা আইনি অবস্থা নির্বিশেষে সমুদ্রে দুর্ঘটনাকবলিতদের উদ্ধার করার দায়িত্ব অবশ্যই পালন করতে হবে।
১৪ নভেম্বর থেকে ১ হাজার জনেরও বেশি মানুষকে উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক প্রতিশ্রুতিকে সম্মান করার জন্য ইন্দোনেশিয়ার প্রশংসা করেছে ইউএনএইচসিআর।
ইন্দোনেশিয়ার সংহতি ও মানবতার উদাহরণ এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোকে অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বলেছে, ইউএনএইচসিআর এবং তার অংশীদারেরা দুর্ঘটনাকবলিতদের জন্য প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা দিতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতদের স্থায়ী সমাধানে শক্তিশালী অংশীদারিত্ব চায় ইউএনএইচসিআর-এনজিও
রোহিঙ্গাদের সহায়তায় সাড়ে ৪ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই করল জাপান-ইউএনএইচসিআর
রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে: পররাষ্ট্র সচিব
পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে স্থায়ী ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরুর প্রস্তুতি অব্যাহত থাকবে।
বুধবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের ৪৩তম বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রোহিঙ্গা সংকটে বিশ্ব সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের প্রচেষ্টা বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হয়।
ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক লুইস গুইন, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও দপ্তরের প্রতিনিধিরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে কক্সবাজার ও ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতির কোনো সুযোগ নেই: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা সংকটে ‘নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখছে’ ইইউ: রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
কুষ্টিয়ায় পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা আটক
কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে জালয়াতি করে পাসপোর্ট করার সময় মো. সবুজ নামে এক রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে।
বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে পৌনে দুইটার দিকে তাকে আটক করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন।
আরও পড়ুন: ভাসানচর থেকে পালিয়ে আসা নারী, শিশুসহ ৭ রোহিঙ্গা আটক
আটক মো. সবুজ, কুষ্টিয়া পৌর ১৭নং ওয়ার্ড ঢাকা ঝালুপাড়া গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করেছেন। এতে বাবার নাম মো. খেদের আলী ও মাতা মরিয়ম বেগম লিখেছেন।
পাসপোর্ট অফিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার মো. সবুজ আবেদনপত্র জমা দেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে নিজের ভোটার আইডি কার্ড, নাগরিক সনদ দাখিল করেন।
পরে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকতা হাসান আলীর আবেদনকারীকে সন্দেহ হয়। এরপরই তদন্তের মাধ্যমে শনাক্ত করে তাৎক্ষণিক রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে আটক করা হয়।
কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বুধবার সোয়া ১টার দিকে সবুজ আবেদনপত্র জমা দেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে নিজের ভোটার আইডি কার্ড ও নাগরিক সনদ দাখিল করেন।
তিনি আরও বলেন, পরে ফিঙ্গারপ্রিন্ট করার সময় আবেদনকারীকে সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপরই তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসে তিনি একজন রোহিঙ্গা। পরে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: শ্রীমঙ্গলে শিশু ও নারীসহ ১৬ রোহিঙ্গা আটক
কুমিল্লা সীমান্ত থেকে ৩০ রোহিঙ্গা আটক
উখিয়ায় আরসা-আরএসও 'বন্দুকযুদ্ধে' রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের উখিয়া ৩ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সন্ত্রাসীদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন।
রবিবার(১৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।
নিহত সৈয়দ আমিন উখিয়া ৩ নং ক্যাম্পের বাসিন্দা।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন জানান, রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের ওপর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মিয়ানমারের আরসা ও আরএসও'র সদস্যদের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকটে ‘নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখছে’ ইইউ: রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
তাদের গুলিতে একজন নিহত হয়েছেন। পরে এপিবিএনের একটি দল ঘটনাস্থলে গেলেও দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গাদের দীর্ঘায়িত উপস্থিতির কোনো সুযোগ নেই: জাতিসংঘে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা সংকটে ‘নিজেদের সমর্থন অব্যাহত রাখছে’ ইইউ: রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সফররত প্রতিনিধি দল সোমবার (১৩ নভেম্বর) ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে মতবিনিময় করে এবং তাদের সহায়তার অব্যাহত রাখার আশ্বাস দেয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি সফররত প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সঙ্গে ছিলেন।
হোয়াইটলি বলেন, ‘ইউরোপিয়ান এক্সটারনাল অ্যাকশন সার্ভিস (ইইেএস) পাওলা পাম্পালোনির এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপব্যবস্থাপনা পরিচালকের বাংলাদেশে আজকের কর্মসূচি ছিল রোহিঙ্গা শিবিরসহ নারী শরণার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময়, স্কুল, রোহিঙ্গা সাংস্কৃতিক স্মৃতি কেন্দ্র ও খাদ্য কেন্দ্র পরিদর্শন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ, রোহিঙ্গা রিফিউজি রেসপন্স সেন্টার, জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় কমিশনের (ইসিএইচও) মানবিক সহায়তা বিভাগকে ধন্যবাদ জানান।
ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) রোহিঙ্গা সংকটে ‘তার সমর্থন বজায় রাখছে’।
ইইএএস-এর উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনির নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি দেশের শ্রম খাতে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে রবিবার ঢাকায় এসেছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ব্রাসেলস থেকে প্রতিনিধি দলের কয়েকজন সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, 'শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার বিষয়ে বাংলাদেশের অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময়ের জন্য সদ্য ঢাকায় এসেছি।
তারা ঢাকার বাড্ডায় প্রতিবন্ধী শিশুদের জন্য একটি স্কুল পরিদর্শন করেন।
আরও পড়ুন: শ্রম পরিস্থিতি মূল্যায়নে ইইউ প্রতিনিধি দল ঢাকায়
ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি বলেন, 'ঢাকায় আসতে পেরে আমি আনন্দিত।’
বুধবার তারা সরকারের শ্রম, বাণিজ্য ও পররাষ্ট্র সচিবদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ইউএনবিকে বলেন, শ্রম খাতের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে 'অগ্রগতি পর্যালোচনা' করার লক্ষ্যে এই সফর।
বাংলাদেশ শ্রম খাতে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০২১-২০২৬) গ্রহণ করেছে এবং এই পরিকল্পনাটি আইএলও গভর্নিং বডির কাছে বাংলাদেশ সরকারের জমা দেওয়া রোডম্যাপের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত।
রোডম্যাপের লক্ষ্য হলো সংগঠনের স্বাধীনতা এবং সম্মিলিত দরকষাকষির অধিকারসহ দেশের শ্রম অধিকারগুলো পালনের উন্নতি করা।
গত মাসে রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেছিলেন, বাজারে প্রবেশাধিকার, জিএসপি প্লাসের জন্য বাংলাদেশের আবেদন বিবেচনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এবং কমিশনের জন্য আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে শ্রম আইনকে একত্রিত করা একটি ‘অপরিহার্য উপাদান’ হবে।
ঢাকায় এক সেমিনারে তিনি বলেন, 'এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) এর পর জিএসপি প্লাসে যোগদানের বিকল্প বাংলাদেশের রয়েছে।
আরও পড়ুন: শ্রম খাতে অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে রবিবার ঢাকায় আসছে ইইউ দল
শ্রম খাতের অগ্রগতি পর্যালোচনা: আগামী সপ্তাহে আসছে পাওলা পাম্পালোনির নেতৃত্বে ইইউ প্রতিনিধি দল
আঞ্চলিক শান্তি-স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইইউ’র সমর্থন চান প্রধানমন্ত্রী
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের একটি ‘দ্রুত, নিরাপদ ও স্থায়ী’ প্রত্যাবাসনের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ (ইইউ) সব আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমর্থন চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার স্বার্থে বাংলাদেশে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন প্রয়োজন।
২৫ অক্টোবর বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার হোটেল স্যুটে দেখা করার সময় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন ইউরোপিয়ান কমিশনার ফর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট জেনেজ লেনারসিক।
প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা; বিশেষ করে ভূমিকম্প প্রস্তুতিতে অব্যাহত সহায়তার জন্য ইইউকে ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় কমিশনার জুত্তা উরপিলাইনেনের সঙ্গে আলোচনায় বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আ. লীগের সংগ্রাম তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী
বৈঠকে ইউরোপীয় কমিশনার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অসামান্য আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগাম সতর্কতা ব্যবস্থাসহ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের সাফল্যেরও প্রশংসা করেন তিনি।
তিনি রোহিঙ্গাদের উদার আতিথেয়তার জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেন এবং রোহিঙ্গাদের জন্য আরও ১০ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো সহায়তা ঘোষণা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এসময় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ওষুধ ও ভ্যাকসিন উৎপাদনে বৈচিত্র্য আনতে ইইউ'র প্রচেষ্টায় সহায়তা করতে পারে বাংলাদেশ: ইআইবি প্রেসিডেন্টকে প্রধানমন্ত্রী
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের যুদ্ধবিরোধী অবস্থান তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী