রোহিঙ্গা
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করতে ওআইসির প্রতি আহ্বান বাংলাদেশের
রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে স্থায়ীভাবে প্রত্যাবাসনের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সক্রিয় করতে ওআইসির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সফররত ওআইসি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ এ অনুরোধ জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ওআইসির মানবিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক সহকারী মহাসচিব রাষ্ট্রদূত তারিগ আলী বাখেত প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জেল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনসহ অন্যরা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোরআন অবমাননার ঘটনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছে ওআইসির পক্ষে গভীর নিন্দা জানালেন রাষ্ট্রদূত
৪৫ মিনিটের বৈঠকে বাংলাদেশ ওআইসি প্রতিনিধিদলকে আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গাদের ইস্যুকে আলোচনায় রাখতে অনুরোধ করে এবং জিসিসি ও ওআইসিকে রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল গঠনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার আহ্বান জানায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের জন্য আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছে।
মিয়ানমারে ওআইসির বিশেষ দূত রাষ্ট্রদূত ইব্রাহিম খায়রাত, ওআইসি সহকারী মানবিকবিষয়ক পরিচালক, রোহিঙ্গা ইস্যুতে ওআইসি আইসিএইচএডি ফোকাল পয়েন্ট মোহাম্মদ আলী এলখামলিচি, কাতার ফান্ড ফর ডেভেলপমেন্ট, আফ্রিকা ও এশিয়া প্রকল্প বিভাগের প্রধান দানা আল মিসনাদ, ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক, কুয়েত জাকাত হাউস, ডা. মজিদ সুলেমান আল-আজমি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ, কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট তালাল আল বাকার এবং হাইকোর্টের সিনিয়র উপদেষ্টা, জিসিসি দেশগুলোর জন্য ইউএনএইচসিআরের প্রতিনিধি খালেদ খলিফা, বাংলাদেশে ইউএনএইচসিআর প্রতিনিধি জোহানেস ভ্যান ডার ক্লাউ এবং সহকারী নির্বাহী ইউএনএইচসিআর,বাংলাদেশের জেসিকা ওয়াটস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: পবিত্র কোরআন ও নবীর অবমাননা ঠেকাতে সম্মিলিত পদক্ষেপ চায় ওআইসি
ওআইসি মহাসচিবের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন
বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষে রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবি- স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত ও আরও পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
বুধবার (২ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তি রফিক (৪৮ ) ক্যাম্প ২৪ এর এ- ব্লকের সিরাজুল হকের ছেলে।
আহতরা হলেন- তৌহিদুল ইসলাম, মো. ইসমাঈল, মো. উসমান, হাফেজ মুজিবুর রহমান। আহত আরও একজনের নাম পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: চীনে বন্যায় নিহত ২০, নিখোঁজ ২৭
এ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ ২ বিজিবির অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লেদা এলাকার এক মাদক কারবারিকে আটক করা হলে রোহিঙ্গারা জড়ো হয়ে বিজিবি সদস্যদের ইট-পাটকেল মারে। এতে বিজিবির এক সদস্য আহত হন।
তিনি আরও বলেন, রোহিঙ্গাসহ মাদক কারবারিরা বিজিবি সদস্যদের বাধা দেওয়ার এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যদের ঘিরে ফেলে আতঙ্কজনক পরিবেশ তৈরি করলে বিজিবি সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুঁড়ে। এ ঘটনায় এক রোহিঙ্গা মারা যান।
ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানা যায়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে বাসের সঙ্গে সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
পাসপোর্ট করতে এসে রোহিঙ্গা যুবকসহ আটক ৩
বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে পাসপোর্ট করতে এসে এক রোহিঙ্গা যুবক আটক হয়েছেন। এ কাজে সহায়তা করার অভিযোগে আরও দুই বাংলাদেশিকে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুরে বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিস থেকে তাদের আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: টাঙ্গুয়ার হাওরে বেড়াতে গিয়ে বুয়েটের ৩৪ শিক্ষার্থী আটক
আটক রোহিঙ্গা হলো- মো. ইসমাইল (১৮)। তিনি উখিয়া থানার বালুখালী এলাকার মো. ইলিয়াসের ছেলে।
তাকে সহায়তা করার অভিযোগে আটকরা হলো- বরিশালের কাজীরহাট থানার চরসোনাপুর এলাকার হাসেম ফকিরের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৩৭) ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলার চান্দুয়া গ্রামের আব্দুল্লাহ হাওলাদারের ছেলে হোসাইন (২৬)।
বরিশাল বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের উপপরিচালক আবু নোমান মো. জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, সোমবার দুপুরে তাদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বরিশালের কাজিরহাট থানার শ্যামের হাট কসবা এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করেছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, সেখানে নিজের নাম মো. রাফি ও বাবা ছাদের আলী বেপারী উল্লেখ করেছে।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, এক রোহিঙ্গা আটক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ১২ কেজি গাঁজাসহ ২ মাদক কারবারি আটক
বেনাপোলে ১৮ স্বর্ণের বারসহ আটক ২
বিশ্বজুড়ে সংকট সত্ত্বেও রোহিঙ্গাদের ভুলে যায়নি ইইউ: ইউএনবিকে গিলমোর
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোর জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আরও কী কী করা দরকার সে বিষয়ে তারা অন্যান্য দেশের সঙ্গে আলোচনা করবেন। বিশেষত এই বছরে তাদের (রোহিঙ্গাদের) খাবার বরাদ্দ কমানোর বিষয়টি তাদের নজরে রয়েছে।
ইউএনবিকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘বিষয়টির সমাধান করতে হবে এবং মিয়ানমারেই এর সমাধান করতে হবে। এই সংকটের সমাধান হতেই হবে। তাই এমন পরিস্থিতি তৈরি করা দরকার; যাতে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা স্বেচ্ছায়, নিরাপদে ও সসম্মানে নিজ দেশে ফিরতে পারেন।’
গিলমোর সম্প্রতি বাংলাদেশে পাঁচ দিনের সফর শেষে ফিরে গেছেন।
তিনি বলেছেন, আন্তর্জাতিক দাতাদের অর্থায়ন কমায় কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য খাবার বরাদ্দ প্রথমে ১২ ডলার থেকে ১০ ডলার (প্রতি মাসে জনপ্রতি) এবং পরবর্তী সময়ে ৮ ডলার করা হয়েছে।
তিনি কক্সবাজারে একটি পুরো দিন কাটান। এসময় তিনি ৬ বছর আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের অভিজ্ঞতা ও সমস্যার কথা শোনেন।
গিলমোর চার বছর আগেও রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছিলেন।
এবারের সফরে তিনি রোহিঙ্গাদের আশ্বস্ত করেছেন, বিশ্বজুড়ে বর্তমান সংকট সত্ত্বেও ইইউ রোহিঙ্গাদের ভুলে যায়নি।
তিনি বাংলাদেশ সরকার ও শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের (আরআরআরসি) অফিসের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমরা প্রতিবেশী ও আসিয়ান দেশগুলোর সঙ্গে মিলে কাজ করছি।’
আরআরআরসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় গিলমোর সরকার ও রহমানের ‘বীরত্বপূর্ণ’ কাজের প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ও আরআরআরসি কৃতিত্বের সঙ্গে কাজ করছে।’
গিলমোর জানান, এ ছাড়া আরও কী করা দরকার তা নিয়ে তারা অন্যান্য দেশের সরকারের সঙ্গে আলোচনা করছেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত হবে বলে আশা করছে ইইউ: একান্ত সাক্ষাৎকারে গিলমোর
বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের জন্য ৩ মিলিয়ন ডলার মানবিক সহায়তা দেবে দ.কোরিয়া
কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সরকার বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য মানবিক সহায়তার জন্য ২০২৩ সালে তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার দেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
বুধবার (২৬ জুলাই) ঢাকায় কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস জানিয়েছে, এ বছরের মানবিক সহায়তা বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন- ইউএনএইচসিআর, আইওএম, ডব্লিউএফপি ও ইউনিসেফের মাধ্যমে দেওয়া হবে।
২০১৭ সাল থেকে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সরকার বাংলাদেশ সরকার এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের এবং তাদের স্বাগতিক সম্প্রদায়গুলোকে বার্ষিক তিন থেকে পাঁচ মিলিয়ন মার্কিন ডলার দিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন একমাত্র সমাধান: দ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত
জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি) সমর্থনে এলপিজি, শিক্ষা ও খাবারের ব্যবস্থাসহ গত ছয় বছরে দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থায়ন বিভিন্ন মানবিক কর্মকাণ্ডের জন্য ব্যবহৃত হয়েছে।
দূতাবাস বলেছে, কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সরকার শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের মধ্যে সংলাপ সমর্থন করে এবং রোহিঙ্গা শরণার্থীদের তাদের নিজ দেশে নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই প্রত্যাবর্তন সমর্থন করে।
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি ব্যবহারে সহযোগিতায় বাংলাদেশ ও দ. কোরিয়ার সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দ. কোরিয়ার ‘আরও উদ্যোগ’ চায় বাংলাদেশ
নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রথম দিনই স্কুলে ৩ লাখ রোহিঙ্গা শিশু: ইউনিসেফ
বাস্তুচ্যুতি, শিক্ষাকেন্দ্রগুলো আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাত কাটিয়ে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ক্লাস শুরু হয়েছে।
রবিবার (২৩ জুলাই) স্কুলের প্রথম দিনেই ৩ লাখ শিশু নিবন্ধন করেছে। কিশোর-কিশোরী ও মেয়েদের জন্য শিক্ষার সুযোগ বাড়ানোর কারণে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে।
নতুন শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মতো সব বয়সের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুরা মিয়ানমারের পাঠ্যক্রমে পড়াশোনা করবে।
২০২১ সালে চালু হওয়ার পর থেকে কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে এই আনুষ্ঠানিক পাঠ্যক্রমটি ধীরে ধীরে গ্রেড-৩ থেকে গ্রেড-৫ পর্যন্ত সম্প্রসারিত হয়েছে এবং রবিবার এটি প্রথমবারের মতো গ্রেড-১০ পর্যন্ত চালু হচ্ছে।
এই উদ্যোগ রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বড় ও ছোট উভয় শিশুদের জন্য শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতের পর ঝুঁকিতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারে লাখ লাখ শিশু: ইউনিসেফ
বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েট বলেন, ‘রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুরা শিখতে চায়। তারা তাদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশা ও স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে চায়। মিয়ানমারে এই শিশুদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- বাংলাদেশে থাকাকালীন তারা যেন তাদের শিক্ষা চালিয়ে যেতে পারে। প্রত্যেক রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুর জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমি আমাদের সহযোগী ও দাতাদের ইউনিসেফের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।’
বড় শিশুদের জন্য নতুন এই সুযোগের পাশাপাশি, একটি সর্বাত্মক প্রচারাভিযানের মাধ্যমে স্কুলের বাইরে থাকা ১৩ হাজারের বেশি শিশুকে শ্রেণিকক্ষে আনা সম্ভব হয়েছে। এ বছর রেকর্ড উপস্থিতির মূলে কাজ করেছে, কিশোরীদের শিক্ষা চালিয়ে যেতে সহায়তা দেওয়া।
সামাজিক রীতিনীতির কারণে অভিভাবকরা প্রায়ই বয়ঃসন্ধিকালে মেয়েদের স্কুলে পাঠাতে চান না। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় অভিভাবকদের কাছে মেয়েদের শিক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরতে, শুধুমাত্র মেয়েদের জন্য শ্রেণিকক্ষ তৈরি করতে এবং নারীদের সহচার্যে কিশোরীদের স্কুলে পাঠাতে ইউনিসেফ ও তার সহযোগীরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সাড়ে ৩৪ মিলিয়ন নারীর বিয়ে হয় ১৮ বছর বয়সের আগেই: ইউনিসেফ
বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরণার্থী শিবিরে শিক্ষাদান কার্যক্রম পরিচালনা করা একটি বিশাল কর্মকাণ্ড। সহিংসতা ও নিপীড়নের কারণে ২০১৭ সালে পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী, যাদের অর্ধেক শিশু। তারা একটি ঘনবসতিপূর্ণ শরণার্থী শিবিরে বসবাস করছে। সেখানে ৩ হাজার ৪০০ শিক্ষাকেন্দ্রে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের শিক্ষাদান কার্যক্রম চলছে। যার মধ্যে ২ হাজার ৮০০ শিক্ষাকেন্দ্র ইউনিসেফের সমর্থিত। আরও রয়েছে কমিউনিটি বেসড লার্নিং ফ্যাসিলিটি।
শরণার্থী শিবিরে স্কুলের প্রথম দিনে ইউনিসেফ ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনায় জরুরিভিত্তিতে ৩ কোটি ৩০ লাখ ডলারের জন্য আবেদন করেছে।
আরও পড়ুন: করোনাকালে শিশুদের লেখাপড়ার ওপর ডিজিটাল-বৈষম্যের ভয়াবহ প্রভাবের বিষয়টি উঠে এসেছে জরিপে: ইউনিসেফ
ভোলায় ইয়াবা জব্দ, রোহিঙ্গা যুবক আটক
ভোলা সদর উপজেলায় ১ হাজার ৩২৫ পিস ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে। এসময় এক রোহিঙ্গা যুবককে আটককের দাবি করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৭ জুলাই) সকালে উপজেলার ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: মীরসরাইয়ে ঝর্ণা দেখতে গিয়ে আটকে পড়া ১৫ পর্যটক উদ্ধার
আটক হেলাল উদ্দিন কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার কুতুবপালং রোহিঙ্গা আশ্রয়কেন্দ্রের ৬ নম্বর ক্যাম্পের মো. হোসেন আহম্মেদের ছেলে।
ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম মোস্তফা বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকালে ইলিশা লঞ্চঘাট এলাকায় অভিযান চালাই।
এ সময় লঞ্চঘাটের পন্টুন থেকে হেলাল উদ্দিন নামে ওই রোহিঙ্গা যুবককে আটক করি। তার কাছে ১ হাজার ৩২৫ পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, আটক রোহিঙ্গা যুবক হেলাল উদ্দিনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: অপহরণ চক্রের ৯ সদস্য আটক, ৩ রোহিঙ্গা শিশু উদ্ধার ও নিখোঁজ ৬
নারায়ণগঞ্জে মাদক ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, আটক ১৪
অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করে রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনের আহ্বান জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের
জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৫৩তম অধিবেশনে শুক্রবার রোহিঙ্গাদের বিষয়ে একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
এতে মিয়ানমারের রাখাইনে প্রত্যাবাসনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে এবং নির্যাতিত মানুষদের জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) কর্তৃক ‘হিউম্যান রাইটস সিচুয়েশন অব রোহিঙ্গা মুসলিম অ্যান্ড আদার মাইনরিটিস অব মিয়ানমার’- শিরোনামের প্রস্তাবটি পেশ করা হয়েছে।
একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিস্তৃত আলোচনার পর কোনো ভোট ছাড়াই এটি গৃহীত হয়েছে। যেখানে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে।
মিয়ানমারে বিরাজমান অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও অনিশ্চয়তার প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে রেজুলেশনের বিভিন্ন দিক নিয়ে মতপার্থক্য ছিল।
আরও পড়ুন: সেরা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুশীলন অন্যান্য দেশের সঙ্গে ভাগ করে নিতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জাতিসংঘের
মিয়ানমারে চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত প্রত্যাবাসন সম্ভব নয় এমন মতামতের বিপরীতে, অন্য দৃষ্টিভঙ্গি ছিল যে দীর্ঘস্থায়ী অনিশ্চয়তা এবং সংশ্লিষ্ট ঝুঁকির ভিত্তিতে প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু করা দরকার।
প্রস্তাবে প্রচুর চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয় প্রদান অব্যাহত রাখার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করা হয়।
তারা রোহিঙ্গাদের ক্রমবর্ধমান হতাশার মাত্রা এবং প্রত্যাবাসন নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী অনিশ্চয়তা থেকে উদ্ভূত স্পিল-ওভার প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এবং টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।
এতে রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদের একটি দল রাখাইনে ফিরে যাওয়ার পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে এবং তাদের মধ্যে আরও আস্থা তৈরির জন্য 'গো-এন্ড-সি ভিজিট’ নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তার জন্য ক্রমান্বয়ে কমছে এবং অপর্যাপ্ত তহবিলের প্রেক্ষাপটে এই প্রস্তাবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
রেজুলেশনে রোহিঙ্গাদের ওপর সংঘটিত নৃশংসতার আন্তর্জাতিক জবাবদিহির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়েছে।
এটি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে চলমান বিচারিক প্রক্রিয়ার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনের সঙ্গে যুক্ত কোনো বাহিনী তাদের সঙ্গে যুক্ত নয়: জাতিসংঘ
‘বাংলাদেশ থেকে আরও শান্তিরক্ষী নিয়োগে জাতিসংঘ বিশেষ বিবেচনা করবে’
রোহিঙ্গা নির্যাতনের কথা শুনলেন মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ও সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রতিনিধিদল।এসময় মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো নির্যাতন-নিপীড়নের কথা শুনেন তারা।
ক্যাম্পে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি ও সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ জোবায়ের।
তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে মার্কিন আন্ডার সেক্রেোরি ও সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ যুক্তরাষ্ট্রের দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।
এসময় তিনি নারীদের সঙ্গে কথা বলেন।
মিয়ানমার সেনারা কীভাবে তাদের গ্রাম আগুনে পুড়িয়ে উচ্ছেদ করেছে নারীরা তাকে সেটা বলেন।
তিনি আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রেরপ্রতিনিধি দলকে রোহিঙ্গাদের পক্ষ থেকে আমরা বলি, বাংলাদেশের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। ক্যাম্পে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রয়েছে। তবে যথেষ্ট শিক্ষাব্যবস্থা নেই। এই জীবন তাদের কাছে বন্দি মনে হয়। যত দ্রুত সম্ভব তারা স্বদেশে ফিরে যেতে চাই। প্রত্যাবাসনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র যেন মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করে। এর সমাধানের আশ্বাস রোহিঙ্গাদের দেওয়া হয়েছে বলে জানান এই রোহিঙ্গা নেতা।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন মার্কিন প্রতিনিধিদল
এর আগে বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে বেসরকারি উড়োজাহাজ ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইটে প্রতিনিধি দল কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছান।
এসময় ইউএনএইচসিআর, আইএমও এবং আরআরআরসি অফিসের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের স্বাগত জানান।
পরে সড়ক পথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা দেন প্রতিনিধি দলটি। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ উখিয়ার বালুখালীর ৯ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছে প্রতিনিধি দলটি।
এ সময় তারা জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার পরিচালনাধীন সেবা ও সহযোগিতা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে তারা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেন।
এছাড়াও উখিয়ার বিশেষায়িত হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে বিকেলে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ে একটি বৈঠক শেষ করে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে কক্সবাজার ত্যাগ করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধির দলটি।
আরও পড়ুন: উজরা জেয়ার সফর: রোহিঙ্গা, শ্রম, মানবাধিকার ও নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে
রোহিঙ্গাদের ন্যায়বিচারের প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার ওপর জোর আইসিসি’র চিফ প্রসিকিউটরের
রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন মার্কিন প্রতিনিধিদল
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের নাগরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়ার নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করছেন।
প্রতিনিধিদলে রয়েছেন- যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু এবং ইউএসএইডের এশিয়া ব্যুরোর ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটর অঞ্জলি কৌর।
আরও পড়ুন: জার্মান সংসদীয় প্রতিনিধিদল ২২ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ সফর করবে
এর আগে বুধবার (১২ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে ইউএস-বাংলার একটি ফ্লাইটে কক্সবাজার বিমানবন্দরে পৌঁছে প্রতিনিধি দলটি।
এ সময় তাদের স্বাগত জানান ইউএনএইচসিআর, আইএমও ও আরআরআরসি অফিসের কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসন ও শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
পরে প্রতিনিধি দলটি সড়ক পথে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের উদ্দেশে রওনা দেন এবং সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ উখিয়ার বালুখালীর ৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইসির সঙ্গে ইইউ প্রতিনিধিদলের বৈঠক