সরকারি কর্মকর্তা
জনগণের কাছে যান ও তাদের জন্য কাজ করুন: সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তাদের জনগণের কাছে যান এবং তাদের জন্য কাজ করতে বলেছেন, কারণ জনকল্যাণই তার সরকারের প্রতিটি কর্মসূচির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের সকলকে এই আহ্বান জানাবো যে মানুষের পাশে যান, মানুষের জন্য কাজ করেন… আমাদের সব কর্মকাণ্ড দেশের মানুষের কল্যাণে।’
বুধবার (৬ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত নৈশভোজে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: রমজানে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: র্যাবকে প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তার সরকার স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক, জ্ঞানভিত্তিক ও কল্যাণমুখী দক্ষ ও স্মার্ট প্রশাসন গড়ে তুলতে চায়, যাতে জনগণ উন্নত ও মানসম্মত সেবা পায়।
তিনি আরও বলেন, তার সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।
তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘এই ইশতেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমরা ক্ষমতায় এসেছি। ইশতেহার বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে দেশ বদলে গেছে।’
আরও পড়ুন: মুসলিম দেশগুলোকে অভিন্ন মুদ্রা চালুর পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর
মিয়ানমার সংঘাত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কঠিন করে তুলেছে: প্রধানমন্ত্রী
উপসচিব পদে পদোন্নতি পেলেন ২৪০ সরকারি কর্মকর্তা
জনপ্রশাসনে সর্বশেষ রদবদলে ২৪০ সরকারি কর্মকর্তাকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শনিবার এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে বিদেশে অবস্থিত বিভিন্ন দূতাবাস ও মিশনে পদায়ন করা সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার ৯ জন কর্মকর্তা রয়েছেন।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন পদ সৃষ্টি করে পদোন্নতি পেলেন ২৯০ পুলিশ কর্মকর্তা
সরকারি কর্মকর্তাদের প্রথম ধাপের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে আজ
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের প্রথম পর্ব আজ শনিবার থেকে শুরু হচ্ছে।
নির্বাচন কমিশন পর্যায়ক্রমে জেলা প্রশাসক, ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ দেবে।
ইলেক্টোরাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের (ইটিআই) মহাপরিচালক এস এম আসাদুজ্জামান জানান, বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশ কমিশনার, পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সাধারণ নির্বাচন পরিচালনা, সমন্বয় ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ভূমিকা।
আরও পড়ুন: সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে ভোট কেন্দ্রে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে: নির্বাচন কমিশনার
তিনি আরও বলেন, প্রশিক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হলো হালনাগাদ নির্বাচনী আইন ও বিধিমালা, অনলাইনে মনোনয়ন দাখিল প্রক্রিয়া, নির্বাচনী তথ্য সংগ্রহ ও প্রেরণের জন্য মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেম, সংশোধিত নির্বাচনী বিধিমালা এবং সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা দেওয়া।
নয়টি ব্যাচের প্রতিটি ঢাকার আগারগাঁওয়ে ইলেক্টোরাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) দুদিনের প্রশিক্ষণ সেশনে সম্পন্ন করা হবে।
১৪ ও ১৫ অক্টোবর প্রশিক্ষণের প্রথম ধাপে মোট ১১৬ জন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ নেবেন। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২৭ ও ২৮ অক্টোবর আরও ১১৪ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন এই প্রথম এ ধরনের কর্মসূচির আয়োজন করছে।
এই প্রশিক্ষণ উদ্যোগের প্রাথমিক লক্ষ্য হলো আগামী বছরের জানুয়ারিতে নির্ধারিত জাতীয় নির্বাচন কার্যকরভাবে পরিচালনা করার জন্য বর্তমান প্রশাসনকে প্রস্তুত করা।
গত ৭ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন তার কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি বৈঠকও করে। এতে আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের আগে-পরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর: সিইসি
দুর্নীতি না করলে অসাধ্য সাধন করা যায়: সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অগ্রগতির জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত করতে এবং তৃণমূল পর্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে সরকারি কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘কাজের প্রতি আন্তরিকতা, আত্মমর্যাদাবোধ, জবাবদিহি নিয়ে এগিয়ে গেলে এবং দুর্নীতি থেকে দূরে থাকলে যেকোনো কঠিন অবস্থা কাটিয়ে ওঠা যায়, এমনকি অসাধ্য সাধন করা যায়। সেটা কিন্তু আজকের বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে।’
আরও পড়ুন: অবাধ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের অঙ্গীকারের সম্পূরক মার্কিন ভিসা নীতি: প্রধানমন্ত্রীকে আজরা জেয়া
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে এপিএ সই করেছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের কাছ থেকে এপিএ গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে এপিএ বাস্তবায়ন ও সেবা প্রদানে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০২১-২০২২ অর্থবছরের জন্য এপিএ পুরস্কার এবং ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর কর্মকর্তাদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা তাদের অধীনস্থ দপ্তরগুলোর সঙ্গে এপিএ সইয়ের মাধ্যমে জবাবদিহি নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘আপনারা (মন্ত্রণালয়গুলো) আপনাদের অন্যান্য অফিসের সঙ্গে এপিএ সই করবেন, যাতে তৃণমূল পর্যন্ত (সরকারি অফিসে) যোগাযোগ ও জবাবদিহি নিশ্চিত হয়। এভাবে কাজ করতে পারলে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করা সম্ভব।’
প্রধানমন্ত্রী সরকারের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট ও সোনার বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের পূর্বসুরিদের যোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করে সরকার বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি আসতে পারে মানবসৃষ্ট দুর্যোগ। সব ধরনের দুর্যোগ অতিক্রম করে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হব। আমি তা বিশ্বাস করি।’
খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে এবং এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখতে সবার প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে খাদ্য ঘাটতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে যাতে অন্যের উপর নির্ভর করতে না হয়।
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বক্তব্য রাখেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
শুদ্ধাচার পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার এবং জনপ্রশাসন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীও বক্তব্য দেন।
২০২১-২০২২ সালের এপিএ বাস্তবায়নে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রথম, বিদ্যুৎ বিভাগ দ্বিতীয় ও কৃষি মন্ত্রণালয় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছে।
এপিএ বাস্তবায়নে চতুর্থ থেকে দশম স্থান অর্জনকারী মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো হলো অর্থ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি), জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়, পরিকল্পনা বিভাগ, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ।
আরও পড়ুন: ক্যান্টিনে কাজ করা ১১ বছরের রাব্বির দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী
মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সরকারি কর্মকর্তাদের নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার নবনিযুক্ত সরকারি কর্মচারীদের একটি দলকে জনগণের জীবন পরিবর্তনে আত্মনিয়োগ করতে বলেছেন।
তিনি বলেন, ‘সবাইকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে হবে, দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে।’
বুধবার রাজধানীর শাহবাগে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যাকাডেমিতে ১২৪তম, ১২৫তম ও ১২৬তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সার্টিফিকেট প্রদান ও সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি তাদেরকে ‘জনসাধারণের সেবক’ হিসাবে নিজেদের পরিচয় দিতেও নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, আমি চাই দেশকে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে আপনারা জনগণের সেবা করবেন।
তিনি তাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে একটি দেশকে জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি গ্রহনের পাশাপাশি একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে যোগাযোগ অবকাঠামো, স্বাস্থ্য, কৃষি, শিক্ষা ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়নে মনোনিবেশ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আমাদের নতুন অফিসাররা সেই অনুযায়ী কাজ করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী নতুন কর্মকর্তাদেরকে ২০৪১ সালের পরিবর্তিত পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত হতে বলেছেন। কেননা সরকার ওই সময়ের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত দেশে রূপান্তর করার সময়সীমা নির্ধারণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘প্রশাসনের নতুন কর্মকর্তাদের ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করে এবং তাদের যথাযথ পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হতে হবে।’
প্রশাসনের নতুন কর্মকর্তাদের সাধারণ মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করার সুযোগ রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তার সরকার দেশের তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়।
১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণকে সেবা দেয়ার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদেরকে নিজেদেরকে নিবেদিত করতে হবে এবং সর্বোপরি জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
তিনি উল্লেখ করেন যে সরকারি কর্মকর্তাদের দেশপ্রেম ও আত্মমর্যাদাবোধ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
শেখ হাসিনা জনগণকে শিক্ষিত করা এবং যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, তার সরকার বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
তিনি বলেন, কোনও জাতি কাঙ্ক্ষিত উন্নতি করতে পারে না, যদি না একটি সমাজে নারী-পুরুষ উভয়ে মিলে অগ্রসর হতে পারে।
কোভিড মহামারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পরে নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী দেশে খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উৎপাদন বাড়ানোর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি সত্ত্বেও সরকার দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।
তবে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপের অন্যান্য দেশসহ উন্নত বিশ্বের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় গ্রামীণ জনগণকে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে উৎসাহিত করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি দেশে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
হাসিনা পরিবেশ রক্ষায় দেশব্যাপী পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা এবং চারা রোপণের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন।
গৃহহীন মানুষকে বাড়ি উপহার দেয়ার তার সরকারের পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একটি পরিবারও গৃহহীন থাকবে না। এটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল।
তিনি সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেন যে পাকিস্তান আমলে সেক্রেটারি জেনারেল ও মেজর জেনারেল পদে কোনো বাঙালি ছিল না, কেবল একজন কর্নেল ছিল।
তিনি বলেন, এখন স্বাধীন বাংলাদেশে সবাই সেই সুযোগ পাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী ১২৪তম, ১২৫তম ও ১২৬তম আইন ও প্রশাসনের ১০৩জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করেন।
এর আগে তিনি সেখানে বঙ্গবন্ধু অধ্যয়ন কেন্দ্রের ফলক উন্মোচন ও পরিদর্শন করেন। তিনি অ্যাকাডেমিতে তার বক্তব্য সম্বলিত একটি সংকলন বইয়ের মোড়কও উন্মোচন করেন।
বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমির ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারিও প্রদর্শিত হয়
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম ও বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন একাডেমির রেক্টর মমিনুর রশিদ আমিন।
জনগণের কল্যাণে কাজ করুন: সরকারি কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী
জাতীয় উন্নয়নের সুফল ভোগ করতে জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য সরকারি কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আপনাদেরকে জনগণের সেবক হতে হবে। মানুষের সেবা করাই সবচেয়ে বড় বিষয়। আপনাদের সবাইকে সেই নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।’
সোমবার (২২ আগস্ট) সাভারে বাংলাদেশ পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ট্রেনিং সেন্টারে (বিওএটিসি) ৭৩তম ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সের কোর্স সনদ বিতরণ ও কোর্স সমাপ্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এদেশের মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করা সবার দায়িত্ব।
তিনি বলেন, ‘এটা আমাদের দেশ। দেশের সব জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। সব সময় এটা আপনাদের মনে রাখতে হবে।’
তিনিনবীন সরকারি কর্মকর্তাদের জনগণের কল্যাণ ও দেশের উন্নয়নে আত্মনিয়োগ করার আহ্বান জানান।
সরকারপ্রধান বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ ভালো থাকলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনিবার্য হয়ে ওঠে। এটা কেউ আটকাতে পারবে না।’
অনুষ্ঠানে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কেএম আলী আজম এবং বিপিএটিসির রেক্টর রামেন্দ্র নাথ বিশ্বাস বক্তব্য দেন।
প্রশিক্ষানার্থীদের পক্ষে আল মাহমুদ হাসান এবং ফারজানা ইয়াসমিন বক্তব্য দেন।
৭৩তম ফাউন্ডেশন ট্রেনিং কোর্সে একটি অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ করেন।
পড়ুন: ২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের জন্য বিএনপি-জামায়াত সরকার দায়ী: প্রধানমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে: জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানকে শেখ হাসিনা
সরকার নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানোর উপায় বের করছে: প্রধানমন্ত্রী
যৌন হয়রানির অভিযোগে নেত্রকোনায় সরকারি কর্মকর্তার স্ট্যান্ড রিলিজ
কলেজ ছাত্রীদেরকে যৌন হয়রানির অভিযোগে নেত্রকোনা সমাজকল্যাণ কর্মকর্তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ (তাৎক্ষণিব বদলি) করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানায়, নেত্রকোনা সরকারি মহিলা কলেজের সমাজকল্যাণ বিভাগের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা লিখিত অভিযোগ দিলে গত ২ আগস্ট সদর উপজেলার অভিযুক্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সুনামগঞ্জ জেলায় বদলি করা হয়।
সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাছে অভিযোগ জমা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: সাতক্ষীরা সদর থানার ওসি আসাদুজ্জামান স্ট্যান্ড রিলিজ
অভিযোগে বলা হয়, গত জুলাই মাসে ১২ জন শিক্ষার্থী ৬০কর্মদিবসের জন্য সমাজসেবা বিভাগের অধীনে প্রশিক্ষণার্থী হিসেবে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকে আবদুল্লাহ আল মামুন তাদের নম্বর কম দেয়ার হুমকি দিয়ে যৌন হয়রানি করছিলেন।
রবিবার ইউএনবির প্রতিবেদকে সমাজসেবা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি এই বিষয়ে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
নীলফামারীতে দুর্ঘটনায় আহত সরকারি কর্মকর্তার মৃত্যু
নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত সাদেকুল ইসলাম সৌরভ (২৮) ইটাখোলা ইউনিয়নের মার্কাস মসজিদ পাড়া এলাকার আনোয়ারুল হক মিন্টুর ছেলে ও ডিসি অফিসের শিক্ষা শাখার অফিস সহকারী।
আরও পড়ুন: সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ইবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু
দুর্ঘটনায় নিহতের স্ত্রী অনন্যা রোজি ও দেড় বছরের ছেলে ফাইজান আহত হয়। বর্তমানে তারা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি নীলফামারী জেলা শাখার সভাপতি ইউসুফ আলী জানান, সৌরভ তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে নীলফামারী থেকে দিনাজপুরের খানসামার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে পুলেরহাট এলাকায় অটোরিকসার সঙ্গে সংঘর্ষ হলে মোটরসাইকেলের তিনআরোহী আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে প্রথমে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে, সেখানে কর্মকর্ত সাদেকুল ইসলাম সৌরভের অবস্থার অবনতি হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা-আড়াইহাজার সড়কে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২ বন্ধু নিহত
সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যায়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) রমিজ আলম বলেন, এখনো তার লাশ বাড়িতে আসেনি। পারিবারিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে জানাযা ও দাফনের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক চান কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সরকারের কাজ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য রাজনীতিবিদ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিবিদদের সাথে সরকারি কর্মকর্তাদের ভালো সম্পর্ক থাকা উচিত। রাজনীতিবিদরা সিদ্ধান্ত নেন এবং সরকারি কর্মকর্তারা সেগুলো বাস্তবায়ন করেন।’
তিনি নব্য-আওয়ামী লীগারদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘যারা সরকারের তোষামোদ করে ‘বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার’পক্ষে স্লোগান দিতে দেখা যায়, এটা কি সত্যিই তাদের মনের কথা?’
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের আগে অনেকে ‘মুজিব কোট’পরতো, কিন্তু ১৫ আগস্টের পর অনেকেই কোট লুকানোর চেষ্টায় ছিল।
কাদের বলেন, সচিবালয়ের চারপাশে বিলবোর্ড ও পোস্টার দেখলে আজ ভয় হয়, এটি ১৫ আগস্টের আগের দৃশ্যের কথা মনে করিয়ে দেয় যখন অনেকে বঙ্গবন্ধুর কাছে ফুল ও মিছিল নিয়ে এসেছিল। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তারা পালিয়ে যায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার স্বচ্ছতা, সততা এবং নিরপেক্ষতা বিশ্বাস করে।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এবং পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম প্রমুখ সভায় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: বরিশালে ইউএনও-পুলিশের দুই মামলায় ১২ আসামির জামিন
বরিশালের ভুল বোঝাবুঝি সমাধানের পথে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বরিশালে ইউএনও’র বিরুদ্ধে ২ মামলার আবেদন
নতুন সচিব পেল ভূমি, বিমান ও রেলপথ মন্ত্রণালয়
প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ের সর্বশেষ রদবদলে অতিরিক্ত সচিবসহ পাঁচজন সরকারি কর্মকর্তাকে বদলি/পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।