আইসিসি
ক্রিকেটার নাসির ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ: আইসিসি
দুর্নীতি দমন আইন লঙ্ঘনের দায়ে দুই বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রম থেকে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার নাসির হোসেনকে নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি)।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) তার নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি।
৩২ বছর বয়সী নাসিরের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে আইসিসির আনা তিনটি অভিযোগ স্বীকার করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটার নাসির-তামিমার বিয়ে অবৈধ: পিবিআই
অভিযোগের মধ্যে রয়েছে- ৭৫০ ডলারের বেশি মূল্যের উপহার প্রকাশ না করা- বিশেষ করে একটি নতুন আইফোন ১২। তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অভিযোগটি হলো আইফোন-১২ এর মাধ্যমে দুর্নীতিতে জড়িত হওয়ার আমন্ত্রণ সম্পর্কিত সম্পূর্ণ বিবরণ প্রকাশ না করা এবং তৃতীয় অভিযোগটি হলো তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কর্মকর্তার তদন্তে সঠিক ও সম্পূর্ণ তথ্য সরবরাহ করতে অস্বীকারের মাধ্যমে অসহযোগিতা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটার নাসির ও তার স্ত্রী-শাশুড়ির জামিন, চার্জ গঠন ২৪ জানুয়ারি
একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবে নাসির ২০১১ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন ফরম্যাটে ১১৫টি ম্যাচে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছেন। এই সময়ে ৩৯টি উইকেটসহ তার ক্যারিয়ারে যোগ করেন ২ হাজার ৬৯৫ রান। আন্তর্জাতিক বিরতি সত্ত্বেও ঘরোয়া অঙ্গনে সক্রিয় ছিলেন তিনি। এছাড়া সম্প্রতি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে খেলেছেন নাসির।
নাসিরের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হবে ২০২৫ সালের ৭ এপ্রিল। তবে নিষেধাজ্ঞার স্থগিত অংশের জন্য নির্ধারিত শর্ত পূরণ করলে নাসির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবারও ফিরতে পারবেন।
আরও পড়ুন: বিসিবি সভাপতির মেয়াদ আরও ১ বছর বাড়ানোর ইঙ্গিত পাপনের
আইসিসি বিশ্বকাপ ট্রফি উন্মোচন,বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের উচ্ছাস
মুশফিকুর রহিম গর্বিতভাবে দীপ্তিময় হাসিমাখা মুখে আইসিসি বিশ্বকাপ ট্রফি একটি অস্থায়ী মঞ্চে উপস্থাপনের সময় তার নিখুঁত আনন্দ প্রকাশ পায়।
চলতি বছরের শেষের দিকে ভারতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসন্ন আইসিসি বিশ্বকাপের দিকে এগিযে যাওয়া বৈশ্বিক সফরের অংশ হিসাবে আকর্ষণীয় ট্রফিটি বিশ্ব ভ্রমণ করছে। বর্তমানে মর্যাদাপূর্ণ ট্রফিটি বাংলাদেশে রয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে স্বপ্নের ট্রফিটি হোম অফ ক্রিকেট ঢাকার শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আনা হয়। এসময় মুশফিক ট্রফিটি বহন করে অস্থায়ী ডিসপ্লে টেবিলে রাখার সম্মান পেয়েছিলেন।
জাতীয় দলের সদস্যরা ট্রফিটি দেখতে এবং এর সঙ্গে মুহূর্তগুলো ছবিতে ফ্রেমবন্দি করতে আজ ঢাকার শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে জড়ো হয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: আইসিসি বিশ্বকাপ ২০২৩ ভেন্যু: ভারতের যে স্টেডিয়ামগুলোতে খেলা হবে
ট্রফির পাশে পোজ দেওয়ার সময় মুশফিকুর অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি অবিশ্বাস্যভাবে ভাগ্যবান মনে করি যে চারটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি। আমরা আমাদের আগের বিশ্বকাপ অর্জনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভাল পারফরম্যান্সের বিশ্বাস রাখি।’
বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দল টাইগারদের আরও ভালো ফলাফল অর্জন করতে পারদর্শী হতে হবে বলেও জোর দেন মুশফিক।
মুশফিক আরও খোলামেলাভাবে বলেন, ‘খেলায় শক্তিশালী শুরুটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। গত ৪ থেকে ৫ বছরে আমরা ওয়ানডেতে ব্যতিক্রমী ক্রিকেট প্রদর্শন করেছি। আসন্ন বিশ্বকাপ উদীয়মান খেলোয়াড়দের তাদের দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ দেয়। আমাদের স্কোয়াডে রয়েছে প্রতিভাবান তরুণ এবং অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের সংমিশ্রণ। আমি আশাবাদী যে তারা কার্যকরভাবে সহযোগিতা করবে।’
আরও পড়ুন: লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগের নতুন মৌসুমে ডাক পেয়েছেন তাসকিন ও তৌহিদ
বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে ফটো সেশনে আরও উচ্ছাস দেখালেন ডানহাতি ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ।
তাসকিন বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে আমাদের পেস ইউনিট নিরলস প্রচেষ্টা বিনিয়োগ করেছে।’‘আমাদের পেস ইউনিট সম্মিলিতভাবে ভালো পারফর্ম করছে এটা শুনে সত্যিই আনন্দ লাগছে। আমি আত্মবিশ্বাসী যে আগামী বছরগুলোতে আমরা আমাদের বর্তমান অর্জনগুলোকে ছাড়িয়ে যেতে পারব।’
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট কিংবদন্তি ও বাংলাদেশের স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ। তিনি ভারতে এই বছরের বিশ্বকাপে স্পিনারদের যে মুখ্য ভূমিকা পালন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে তা তুলে ধরেন।
তিনি নিশ্চিত করেছেন যে ‘আমি বিশ্বাস করি যে সাকিব (আল হাসান) এবং মেহেদি হাসান মিরাজের মতো স্পিনাররা বিশ্বকাপে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’ ‘বর্তমানে আমরা একটি প্রস্তুতিমূলক ক্যাম্প পরিচালনা করছি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আমাদের স্পিন খেলোয়াররা আমাদের পথে আসা যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য সুসজ্জিত।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ ওয়ানডে অধিনায়কের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন তামিম
বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে ফটো সেশনে শুধু পুরুষ জাতীয় দলের সদস্যরা নয়, বাংলাদেশ মহিলা দলের ক্রিকেটাররাও অংশগ্রহণ করেছিলেন।
মহিলা দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি তার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, উল্লেখ করেছেন যে পুরুষ দল ওয়ানডেতে প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স করেছে, যা এই বছরের বিশ্বকাপের প্রত্যাশা বাড়িয়েছে।
আকর্ষণীয় বিশ্বকাপ ট্রফির সঙ্গে ফটো তোলার জন্য যোগ দিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান, নাইমুর রহমান এবং খালেদ মাহমুদও।
বিশ্বকাপের ট্রফিটি আগামীকাল ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মলে প্রদর্শন করা হবে, যা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। প্রোগ্রামটি সকাল ১১টায় শুরু হবে এবং রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। জনসাধারণ আকর্ষণীয় ট্রফি সরাসরি দেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার পেলেন তাসকিন
যত দ্রুত সম্ভব রোহিঙ্গাদের মামলা নিষ্পত্তি করুন: আইসিসির প্রসিকিউটরকে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বিশ্বের কোথাও আর কোথাও গণহত্যা না ঘটে তা নিশ্চিত করতে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে সম্পর্কিত মামলা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিষ্পত্তি করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) জোর প্রচেষ্টা চেয়েছেন।
মঙ্গলবার তিনি আইসিসির প্রসিকিউটর করিম এ.এ খানকে বলেন, ‘যত দ্রুত সম্ভব মামলাটি শেষ করার জন্য আপনাদের প্রচেষ্টা করা উচিত। বিচার বিলম্বিত হলে, ন্যায়বিচারকে অস্বীকার করা হয়।’
২০১৯ সালের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) বিচারকরা আদালতের এখতিয়ারের মধ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত কথিত নৃশংসতার সম্পূর্ণ তদন্ত সম্পন্ন করার অনুরোধ মঞ্জুর করেছিলেন।
তদন্ত শুরুর এই অনুমোদনকে ন্যায়বিচারের অন্বেষণ এবং সত্য প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ‘উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন’ হিসেবে মনে করা হয়; বিশেষ করে এই পরিস্থিতিতে অভিযুক্ত অপরাধের শিকারদের জন্য।
প্রসিকিউটর অফিসের তদন্তকারীরা এখন সতর্কতার সঙ্গে এবং পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা জনগণের সঙ্গে কী ঘটেছিল যা তাদের বাংলাদেশে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছিল কিনা- সে সম্পর্কে সত্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের জবাবদিহি করতে হবে। ‘আমরা বলি আর কখনো গণহত্যা হবে না।’
মোমেন আরও বলেন, প্রসিকিউটর খান কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন এবং আরআরআরসি’র সঙ্গে বৈঠক করবেন।
আরও পড়ুন: মানবাধিকার ইস্যুতে শিগগিরই ভালো খবর পাবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জন্মদিনে ফিরে দেখা: আইসিসির টুর্নামেন্টে শচীন টেন্ডুলকারের আইকনিক ১০টি মুহূর্ত
আজ জীবনের অর্ধশতক পূর্ণ করলেন ক্রিকেটের ঈশ্বরখ্যাত কিংবদন্তী ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার।
ভারতীয় গণমাধ্যম এএনআইয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী আসুন ৫০ তম জন্মদিন উপলক্ষে 'মাস্টার ব্লাস্টার' শচীনের আইকনিক কিছু মুহূর্ত ফিরে দেখি-
১৯৯২ বিশ্বকাপ: পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫৪ রান
১৯৯২ সালে ১৮ বছর বয়সী টেন্ডুলকার তার প্রথম বিশ্বকাপ খেলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫৪ রান করে প্রথমবারেই তিনি তার জাত চিনিয়েছিলেন।
তার স্কোর ওই ম্যাচে ভারতকে ৫০ ওভারে ২১৬/৭ পৌঁছাতে সাহায্য করেছিল। পাকিস্তান সেদিন ভারতের কাছে ৪৩ রানে হেরে যায়।
১৯৯২ বিশ্বকাপ: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৪ রান
অজয় জাদেজা চোট পেয়ে অবসর নিতে বাধ্য হওয়ার পর ১০৭ বলে ৮৪ রানের এব দৃর্দান্ত ইনিংস খেলেন শচীন। ওই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২৩০/৬ রান করে ভারত।
ম্যাচে শচীন তার দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন; তবে ভারত ম্যাচটি হেরে যায়।
এছাড়া শচীন তার অভিষেক বিশ্বকাপে সাত ইনিংসে তিনটি অর্ধশতক এবং ৪৭ দশমিক ১৬ গড়ে ২৮৩ রান করেছিলেন।
১৯৯৬ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯০ রান
অজিদের বিরুদ্ধে ২৫৯ রান তাড়া করতে গিয়ে ভারত ৭ রানে ২ উইকেট হারানোর পরে টেন্ডুলকার দলের পক্ষে মজবুত দেয়ালের ভূমিকা রাখেন।
সেদিন ৮৪ বলে ১৪ চার ও একটি ছক্কায় ৯০ রান করেছিলেন তিনি। এছাড়া গ্লেন ম্যাকগ্রা ও শেন ওয়ার্নের মতো বিশ্বমানের বোলারদের তিনি ঘাম ছুটিয়েছিলেন।
কিন্তু মিডল অর্ডার টিকে থাকতে ব্যর্থ হয় এবং ভারত ১৬ রানে হেরে যায়।
১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অলরাউন্ডার পারফরম্যান্স
প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলেতে নেমে লিটল মাস্টার অজিদের বিপক্ষে মাত্র ১২৮ বলে ১৩টি চার ও তিনটি ছক্কায় ১৪১ রান করে ভারতকে ৩০৭/৮ পৌঁছে দেন।
এছাড়া তিনি স্টিভ ওয়া, মাইকেল বেভান এবং ড্যামিয়েন মার্টিনের মতো খেলোয়ারদের রীতিমতো নাস্তানাবুদ করেন।
১৯৯৯ বিশ্বকাপ: কেনিয়ার বিপক্ষে ১৪০ রান
বাবার মৃত্যুর কারণে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি ম্যাচ মিস করার পর টেন্ডুলকার ১০১ বলে ১৬ চার এবং তিনটি ছক্কায় ১৪০ রান করেন।
তার রান ভারতকে ৩২৯ রানে ২ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিততে সাহায্য করে। টুর্নামেন্টে পরপর দুইটি হারের পর এ জয় তাদের আশার আলো দেখায়।
আরও পড়ুন: 'সবচেয়ে ধনী টি-টোয়েন্টি লিগ' চালু করার পরিকল্পনা করছে সৌদি আরব
আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি মুশফিক ও সাকিবের
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে মুশফিকুর রহিমের অসাধারণ পারফরম্যান্সে তার র্যাঙ্কিংয়ে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। দুই ইনিংসে একটি সেঞ্চুরি ও একটি হাফ সেঞ্চুরি করে ম্যাচের সেরা ব্যাটার হয়েছেন তিনি।
আইসিসির সর্বশেষ সাপ্তাহিক র্যাঙ্কিং আপডেটে, মুশফিক এই সংস্করণের ব্যাটারদের তালিকায় ১৭ নম্বরে উঠে এসেছেন।
টেস্ট বোলারদের মধ্যে সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলামের উন্নতি হয়েছে বলেও র্যাঙ্কিং আপডেটে জানা গেছে। বোলারদের তালিকায় তাইজুল তিন স্থান এগিয়েছে এবং বর্তমানে বাংলাদেশের পক্ষে তার সেরা অবস্থানে রয়েছে ২০ নম্বরে, যেখানে সাকিব তিন স্থান উন্নতি করেছে এবং এখন টেস্ট বোলারদের মধ্যে ৩৮ তম স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা টেস্ট: আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে লড়াইয়ে দ্রুত চার উইকেট নিয়ে শীর্ষে বাংলাদেশ
এদিকে দুই ধাপ নেমে গেলেও বাংলাদেশের সেরা অবস্থানে আছেন লিটন দাস। টেস্ট ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার মার্নাস লাবুসচেন এবং বোলারদের তালিকায় শীর্ষে ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
তবে বাংলাদেশের সব খেলোয়াড়ের র্যাঙ্কিংয়ে ইতিবাচক পরিবর্তন আসেনি। মেহেদি হাসান মিরাজ র্যাঙ্কিংয়ে চার ধাপ নেমে এখন সাকিবের সঙ্গে ২৬ নম্বরে রয়েছেন। অন্যদিকে, এবাদত হোসেন র্যাঙ্কিংয়ে ১৫ নম্বরে দুর্দান্ত উন্নতি করে টেস্ট বোলারদের মধ্যে এখন ৬৭ নম্বরে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে ৭ উইকেটে জয় বাংলাদেশের
পুতিন-শি জিনপিং বৈঠক, বিচ্ছিন্ন রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য রাজনৈতিক উৎসাহ
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার পর বিচ্ছিন্ন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে রাজনৈতিক উত্সাহ দিতে তার সঙ্গে বৈঠক করবেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
এই বৈঠকের কারণ ও উদ্দেশ্য কি তার কোনো বিশদ বিবরণ দেয়নি শি’র সরকার।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলার আগে শি ও পুতিন ঘোষণা করেছিলেন যে তাদের ‘সীমাহীন বন্ধুত্ব’ ছিল, তবে যুদ্ধের পুরোটা সময়ই চীন নিজেকে নিরপেক্ষ হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছে। এমনকি বেইজিং গত মাসে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছিল।
চীন সরকার জানিয়েছে, শি সোমবার থেকে বুধবার মস্কো সফর করবেন, তবে তিনি চলে গেছেন কিনা তার কোনও ইঙ্গিত তারা দেয়নি।
রুশ সরকার জানিয়েছে যে শি’র মধ্যাহ্নে পৌঁছানোর কথা রয়েছে এবং এরপরে পুতিনের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে।
বৈঠকের আগে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিসির প্রতি একজন রাষ্ট্রপ্রধানের ‘বিচার বিভাগীয় অনাক্রম্যতাকে সম্মান করার’ এবং ‘সবকিছুকে রাজনীতিকরণ এবং ডাবল স্টান্ডার্ড ত্যাগের’ আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেন আন্তর্জাতিক আদালত
চীন রাশিয়াকে তার অর্থনীতির জন্য তেল ও গ্যাসের উৎস হিসেবে এবং বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমেরিকার আধিপত্যের বিরোধিতা করার অংশীদার হিসেবে মনে করে।
ওয়াশিংটনের আমেরিকান ইউনিভার্সিটির চীনা-রাশিয়ান সম্পর্কের বিশেষজ্ঞ জোসেফ টোরিজিয়ান বলেছেন,এ বৈঠক পুতিন ও শি’কে ওয়াশিংটনের সঙ্গে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের সময়ে ‘শক্তিশালী অংশীদারিত্ব’- দেখানোর একটি সুযোগ দেবে।
টোরিজিয়ান বলেন, ‘এই বৈঠক চীনের দেয়া এমন ইঙ্গিত হতে পারে যে রাশিয়াকে সাহায্য করার জন্য তারা আরও বেশি কিছু করতে পারে; যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের আরও অবনতি হয় তবে তারা রাশিয়াকে শক্তিশালী করতে এবং ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়াকে সহায়তা করতে আরও অনেক কিছু করতে পারে।’
প্রযুক্তি, নিরাপত্তা, মানবাধিকার এবং হংকং ও মুসলিম সংখ্যালঘুদের প্রতি ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির আচরণ নিয়ে বিরোধের কারণে ওয়াশিংটন, ইউরোপ এবং এর প্রতিবেশীদের সঙ্গে বেইজিংয়ের সম্পর্ক তিক্ত।
কেউ কেই ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে রাশিয়ার দাবি এবং তাইওয়ানের প্রতি বেইজিংয়ের দাবি একই বলে মনে করেন।
কমিউনিস্ট পার্টির দাবি, ১৯৪৯ সালে গৃহযুদ্ধের পরে চীন থেকে বিভক্ত হওয়া স্ব-শাসিত দ্বীপ তাইওয়ানকে প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে হলেও মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে একত্র হতে বাধ্য করা হবে।
শি’র সরকার তাইওয়ানের চারপাশ দিয়ে ফাইটার জেট উড়িয়ে এবং সমুদ্রে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে দ্বীপটিকে ভয় দেখানোর প্রচেষ্টা জোরদার করছে।
পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে রাশিয়ার রাজস্ব বাড়াতে সাহায্য করার জন্য চীন ক্রেমলিনের থেকে তেল ও গ্যাস কেনা বাড়িয়েছে। তবে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা ও সামরিক সহায়তার বিধানের ক্ষেত্রে ওয়াশিংটন এবং ইউরোপীয় সরকারগুলোর নির্ধারিত নিয়ম ভাঙে, এমন কোনও পদক্ষেপ নেয়নি চীন।
আরও পড়ুন: সৌদি-ইরান চুক্তির পর বিশ্বে বৃহৎ ভূমিকা রাখতে চায় চীন
গত শুক্রবার আইসিসি অভিযোগ করে যে ইউক্রেন থেকে হাজার হাজার শিশু অপহরণের জন্য পুতিন ব্যক্তিগতভাবে দায়ী। যেসব দেশের সরকার এই আদালতের কর্তৃত্ব স্বীকার করে, পুতিন তাদের দেশে গেলে তাৎক্ষণিক তাকে গ্রেপ্তার করতে তারা বাধ্য থাকবে।
পুতিন এখনও এই ঘোষণার বিষয়ে মন্তব্য করেননি, তবে ক্রেমলিন এই পদক্ষেপকে ‘আপত্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে।
বরং এ রায়কে অবজ্ঞা করে পুতিন ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার ক্রিমিয়ান উপদ্বীপ দখলের নবম বার্ষিকী উপলক্ষে ক্রিমিয়া এবং দখলকৃত ইউক্রেনীয় বন্দর শহর মারিউপোল পরিদর্শন করেন।
রাশিয়ান সংবাদ প্রতিবেদনে তাকে মারিউপোলের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে এবং ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপলে একটি আর্ট স্কুল এবং একটি শিশু কেন্দ্র পরিদর্শন করতে দেখা গেছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, আইসিসির উচিত ‘একটি বস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখা এবং একজন রাষ্ট্রপ্রধানের প্রাপ্য বিচার বিভাগীয় অনাক্রম্যতাকে সম্মান করা’ এবং ‘সবকিছুকে রাজনীতিকরণ এবং ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ত্যাগ করা উচিত’।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন যুদ্ধের সমালোচনা করায় শিক্ষার্থীর ৮ বছরের কারাদণ্ড
ওয়াং বলেন, ‘চীন ইউক্রেনের সঙ্কটের বিষয়ে তার বস্তুনিষ্ঠ ও ন্যায্য অবস্থান বজায় রাখবে এবং শান্তি আলোচনার প্রচারে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে।’
রুশ সংবাদপত্র রাশিয়ান গেজেটে সোমবার প্রকাশিত একটি নিবন্ধে শি বলেছেন যে চীন ‘সক্রিয়ভাবে শান্তি আলোচনার চেষ্টা করেছে’।
চীনের সিনহুয়া নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে জানা যায় যে শি বলেছেন, ‘আমার আসন্ন রাশিয়া সফর হবে বন্ধুত্ব, সহযোগিতা ও শান্তি স্থাপনের যাত্রা।’
শি আরও বলেছেন, ‘সঙ্কট সমাধানের একটি যুক্তিসঙ্গত উপায়’- খুঁজে পাওয়া যেতে পারে; যদি ‘সব পক্ষ অভিন্ন, সর্বাঙ্গীন, সহযোগিতামূলক এবং টেকসই নিরাপত্তার মনোভাব পোষণ করে।’
বেইজিংয়ে সেঙ্গে বৈঠকের পর ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের আশ্চর্য ঘোষণার পর শি এই সফর করছেন।
টোরিজিয়ান বলেন, শি একজন বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে নিজেবে দেখতে চান, যিনি শান্তির কথা বলে ‘গঠনমূলক ভূমিকা পালন করছেন’। কিন্তু যুদ্ধ শেষ করার জন্য শি পুতিনকে চাপ দেবেন এমন কোনও সম্ভাবনা নেই।
২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপের সেরা ৬ ক্যাপ্টেন
প্রতিটি ম্যাচের হারজিতের জন্য প্রাথমিকভাবে দায়ী থাকেন দলনায়ক। খেলার মাঠে জটিল মুহূর্তগুলোতে সিদ্ধান্ত দিয়ে স্কোয়াডের শক্তিগুলো কাজে লাগান তিনি। পাশাপাশি নিজের ভাগের কাজটুকুর প্রতিও তাকে নিরঙ্কুশ খেয়াল রাখতে হয়। টি-২০-এর মত দ্রুততম ক্রিকেট ফরম্যাটে অধিনায়কের দায়িত্ব আরো দ্বিগুণ বৃদ্ধি পায়। কারণ এখানে পুরো ম্যাচ ঘুরে যাওয়ার ধাক্কাটা আসে প্রতি বল ও ব্যাটে। দলের প্রতিটি খেলোয়ারের সম্মিলিত প্রয়াস স্বাভাবিকভাবেই দলকে সাফল্যের দিকে নিয়ে যায়। তবে কখনো কখনো একজনের হাতেই পুরো ম্যাচ জয়ের শাতকাহন রচিত হয়। আর সেই একজনটা যদি হয় স্বয়ং দলপতি, তখনি সৃষ্টি হয় ইতিহাস। আজকের নিবন্ধে ২০২২ আইসিসি টি-২০ বিশ্বকাপের সেরা ৬ ক্যাপ্টেন বাছাই করা হয়েছে, তাদের বিগত জয় এবং নিজ নিজ পারফর্মেন্সের পরিসংখ্যান যাচাই করে।
আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২ এর শীর্ষ ৬ ক্যাপ্টেন
রোহিত শর্মা | ভারত
অধিনায়কত্বে সবচেয়ে বেশি ২০ ওভারের ম্যাচ জয় এবং ব্যক্তিগত পারফর্মেন্সের পরিসংখ্যানের দিক থেকে শীর্ষস্থানীয় নামটি হচ্ছে মাহেন্দ্র সিং ধনী। তার ৪১টি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডটি এখনো স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ আছে। ২০০৭ থেকে ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু করে অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগ পর্যন্ত ৮৯টি স্বল্পদৈর্ঘ্য খেলায় তার সংগ্রহ ছিল গড়ে ৩০.৬১ রান। আর নেতৃত্ব অর্জনের পর থেকে ৪৫টি খেলায় ব্যাট করে তিনি সংগ্রহ করেছেন গড়ে ৩৪.৭১ রান।
আরও পড়ুন: আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশ দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণ
সামগ্রিকভাবে বলতে গেলে তার ভালো দিনগুলোতে তার সমকক্ষ কেউই নেই। চাপ সামলাতে জানা এই ব্যাটসম্যান যে কোন ইনিংসকে বহুদূর টেনে নিয়ে যেতে পারদর্শী। বিরাট কোহলির পর থেকে রোহিতের অধীনে ভারত ৪৫টির মধ্যে জয় পেয়েছে মোট ৩৫টি ম্যাচে। অর্থাৎ জয়ের সংখ্যা শতকরা ৭৭.৭৮ ভাগ। এবার তিনি ভারতকে জয়ের পথে নিয়ে যেতে পারেন কিনা সেটাই দেখার বিষয় হবে।
সাকিব আল হাসান | বাংলাদেশ
সংযুক্ত আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ ২০২২ এর ঠিক আগে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের পরিবর্তে সাকিব আল হাসানকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। টি-টোয়েন্টিতে সাকিব আল হাসান এ পর্যন্ত ১০৩ ম্যাচে ১২১.৪৯ স্ট্রাইক রেটে ২১৩১ রান করেছেন। বোলিংয়ে ৬.৭১ ইকোনোমির পাশাপাশি ১২২ উইকেট শিকার করেছেন।
সাকিবের নেতৃত্বে এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ভালো করতে পারেনি, বাদ পড়েছে গ্রুপ পর্ব থেকেই। তবে সেই টুর্নামেন্টের মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভালো কৌশল কী হওয়া উচিত সে সম্পর্কে কিছু ধারণা পেয়েছেন সাকিব।
আরও পড়ুন: ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ: ভেন্যু ও প্রাইজ মানি
সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটের এই সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে বাংলাদেশ দল ভালো করছে না, ফলে সাকিবের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সমস্যাগুলো সমাধান করা এবং বড় দলের বিপক্ষে জয়ের অভ্যাস তৈরি করা। বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার একজন স্মার্ট ক্রিকেটার হিসেবে জানেন যে কীভাবে সমস্যাগুলো সমাধান করতে হয়।
বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে অন্যান্য অধিনায়কদের তুলনায় সাকিবকে সম্ভবত খেলোয়াড় হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব নিতে হবে। তবে বাংলাদেশ যখনই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে তখনই সাকিব তা করেছেন।
বাবর আজম | পাকিস্তান
৫৬টির মধ্যে ৩৪টিতেই জয়; অর্থাৎ জয়ের শতাংশ ৬০.৭১। পরিসংখ্যানটি মধ্যম ক্যাটাগরির জন্য দারুণ একটি রেকর্ড। ২০১৯ থেকে দলের ভার পাওয়ার পর থেকে এই রেকর্ডটাই অর্জন করেছেন বাবর আজম। ২১ শতকে পাকিস্তানের জন্য সেরা উপহার ছিল ২০০৯ এর টি-২০ বিশ্বকাপ জয়।
আরও পড়ুন: আমাদের উন্নতি করতে হবে: সাকিব
কিন্তু ২০১০ এর পর কিছু উল্লেখযোগ্য খেলোয়াড়ের বিদায় গোটা দলের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। ২০১৬ তে ক্রিকেট অঙ্গনে পা রাখেন আজম। অতঃপর গত ২ বছর ধরে তার অধিনায়কত্বে দলটি মোটামুটি আত্মবিশ্বাসের সাথেই খেলছে। দলের বোলিং সামঞ্জস্যতাকে বাবর খুব ভালো ভাবে কাজে লাগাতে পারেন। হারিস রউফ কোন ওভারে বল করবেন আর কোন ওভারে শাহীন করবে, তা তিনি জানেন। এছাড়া টি-২০ আন্তর্জাতিক র্যাংকিং-এ ৩য় স্থান অধিকার করা তাদের পুনরায় বিশ্বকাপ জয়ের আগ্রহটাকে ন্যায্যতা দিয়েছে।
অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগে ৩৩ ইনিংসে বাবরের গড় রান ছিল ৪৯.৬২, যেটি অধিনায়ক হওয়া পর হয়ে যায় ৫১ ইনিংসে ৪১.১১। তাই ব্যক্তিগত পারফর্মেন্সের দিক থেকে একটু শঙ্কা থেকেই যায় এই ডান হাতি ব্যাটসম্যানকে নিয়ে।
অ্যারন ফিঞ্চ | অস্ট্রেলিয়া
স্বল্পদৈর্ঘ্য ম্যাচ জয়ের শীর্ষ তালিকায় ৩য় অবস্থানটিতে রয়েছে এই অসি ক্রিকেটার। ২০১৪ তে ক্যাপ্টেন হওয়ার পর থেকে ৭১টি ম্যাচের ৩৯টিতে জয় পেয়ে তিনি ৫৪.০৫ শতাংশ জয়ের সম্মানজনক অবস্থানটি ধরে রেখেছেন। এছাড়া বর্তমান টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ান হওয়ার কৃতিত্বটাও এসেছে অ্যারন ফিঞ্চের পরিচালনায়। ব্যাট হাতেও তার জুড়ি মেলা ভার। মাঠ কাঁপানো অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তিনি এখনকার সবচেয়ে পরিচিত ব্যক্তিত্ব।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জার্সি অনলাইনে বিক্রির পরিকল্পনা বিসিবির
২০১১ তে ক্রিকেটের ভূবনে অবতরণ করে অধিনায়ক হওয়ার আগ পর্যন্ত ২৭ ইনিংসে তিনি সংগ্রহ করেন গড়ে ৪০.১৮ রান। কিন্তু নেতৃত্ব দানের সময় ৭১ ইনিংসে তার গড় রান দাড়ায় ৩২.৫৫। এই ধারাবাহিকতায় স্বাভাবিক ভাবেই তার রানের গ্রাফটা আরো অধ্বঃগামী হওয়ার কথা। কিন্তু সম্প্রতি মার্কি ইভেন্টের ইতিহাস পুরো বিশ্ববাসীকে একদম ভিন্ন ছবি দেখিয়েছে। আর এই অফুরন্ত সম্ভাবনাটি নিশ্চয়তায় রূপান্তর হবে, যদি তিনি টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার-১২ স্টেজে অস্ট্রেলিয়াকে একটি শক্তিশালী সূচনা এনে দিতে পারেন।
কেন উইলিয়ামসন | নিউজিল্যান্ড
অনেক ক্রিকেট বোদ্ধারাই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, যে টেস্ট খেলোয়াররা খেলার এই সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে টিকে থাকতে পারবেন না। কারণ তাদের কাছে নাকি টি-২০ মাত্রার পাহাড়সম স্ট্রাইকিং রেট সৃষ্টির দক্ষতা নেই। তাদের এই ধারণাকে শক্ত হাতে বাউন্ডারির ওপারে নিক্ষেপ করেছেন কিউই অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন।
২০১১ তে ক্রিকেটে পদার্পণ করার পরের বছরেই পুরো দলের দায়িত্ব পেয়ে যান। একজন সাধারণ অল রাউন্ডার হিসেবে ক্যারিয়ারের প্রথম বছরটিতে তিনি ১৬ ইনিংসে ৩২.৪৬ গড় রান সংগ্রহ করেছিলেন। আর বোলিংয়ে রান দিয়েছিলেন গড়ে ৫০। এরপর অধিনায়কত্বের দীর্ঘ ১০ বছরে ৬১ ইনিংসে সংগৃহিত ৩২.১৩ এবং বোলিংয়ে প্রদানকৃত ১৬ রানের গড় ধরে রেখেছেন। উইলিয়ামসন নিউজিল্যান্ডের জন্য এখন একজন নির্ভরযোগ্য ক্যাপ্টেন।
আরও পড়ুন: শেষ ম্যাচও হারল বাংলাদেশ
বিগত টি-২০ বিশ্বকাপে ব্ল্যাক ক্যাপদের ফাইনাল পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার অবদান অনস্বীকার্য। তার দীর্ঘ নেতৃত্বে নিউজিল্যান্ড ৬১টি খেলায় ৩১টিতে জয়ের মুখ দেখেছে। অর্থাৎ জয়ের সংখ্যা ৫০.৮২ শতাংশ, যেটি এবারের শিরোপা জয়ের নিমিত্তে কোন ভাবেই উপেক্ষনীয় নয়।
দাসুন শানাকা | শ্রীলঙ্কা
২০১৫ থেকে ক্যারিয়ারের শুরু; ২০১৯ এ দলপতি হওয়া, অতঃপর মোট নেতৃত্ব দেয়া ম্যাচের অর্ধেকটিতে দলকে জয় এনে দেয়া। এই বৃত্তান্ত এই সময়কার স্বনামধন্য অল রাউন্ডার দাসুন শানাকার। ক্যাপ্টেন হওয়ার আগের ৪ বছরে নিজেকে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে গড়েছেন শানাকা। ৩৯ ইনিংসে রানের গড় ১৫.৩৮ আর বোলিংয়ে রানের গড় সীমাবদ্ধ রেখেছেন ২০.৬৪-এ। পরিসংখ্যানটি আহামরি না হলেও ক্যাপ্টেন হওয়ার পর তার রানের গড় বেড়ে হয়েছে ২৮.৮২ (৩১ ইনিংসে)। দুভার্গ্যজনকভাবে বোলিংয়েও গড়টা বেড়ে ২৮.১১ হয়েছে।
কিন্তু তার বোলিংয়ে আছে ম্যাচের ভাগ্য বদলানোর যাদু। পাওয়ার প্লের সময় বোলিং করেন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া ম্যাচে তিনি ভারসাম্য ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারেন। এবারের এশিয়া কাপে সবাই যখন ভারত-পাকিস্তান নিয়ে ব্যস্ত, তখন সবার অলক্ষ্যে সুকৌশলে তিনি লঙ্কানদের এনে দিলেন এশিয়া কাপের শিরোপা। শুধুমাত্র এই আত্মবিশ্বাসটাই এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার আধাআধি জয়ের পাল্লাটাকে ইতিবাচক দিকে ভারী করে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজক ৭ শহর ভ্রমণ
শেষাংশ
আইসিসি টি-২০ ২০২২ বিশ্বকাপের সেরা ৬ ক্যাপ্টেন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় এই সুপার খেলোয়াররা বিশ্বজুড়ে ক্রিকেটপ্রেমিদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু থাকবেন। যুক্তির মাপকাঠিতে সংখ্যার ভবিষ্যদ্বাণী কখনো বিফলে যায় না। কিন্তু এরপরেও ক্রিকেট যুদ্ধের এক বিশাল বলয় জুড়ে রয়েছে অদৃষ্ট। ভাগ্যের বিভ্রমে খেলার মাঠে যে কোন কিছুই ঘটে যেতে পারে। সেই দিক থেকে টি-২০ আন্তর্জাতিক র্যাংকিং-এ ২য় অবস্থানে থাকা ইংল্যান্ডের নতুন ক্যাপ্টেন জস বাটলারকেও ছোট করে দেখা যাবে না। ঠিক যেভাবে একদমই মুছে ফেলা যাবে না টাইগার দলনেতা বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানের নাম।
২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজক ৭ শহর ভ্রমণ
পুরো একটি বছর পার করে আবারো বসতে যাচ্ছে আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপের আসর। তাও আবার মন্ত্রমুগ্ধ কর দ্বীপ দেশ অস্ট্রেলিয়ার। অস্ট্রেলিয়ার ৭টি সুন্দর শহরে (সিডনি, মেলবোর্ন, অ্যাডিলেড, জীলং, হোবার্ট, পার্থ এবং ব্রিসবেন) আয়োজিত হবে বিশ্বনন্দিত ক্রিকেট উৎসবের ৮ম আসর। শুধু স্টেডিয়াম-ই নয়, ভ্রমণপিপাসু ক্রিকেটপ্রেমিদের জন্য অনেক চমক নিয়ে অপেক্ষা করছে ওশেনিয়া মহাদেশের এই বৃহত্তম দেশটি। সূর্যস্নাত সৈকত এবং মনোরম বন থেকে শুরু করে বিদেশি বন্যপ্রাণী ক্রিকেট ভক্তদের সফরটিকে নিমেষেই পরিপূর্ণ করে তুলতে পারে। শহরগুলোর নান্দনিকতা এবং প্রাণবন্ত সংস্কৃতি প্রতিটি ভ্রমণকারির উপলব্ধ অভিজ্ঞতা চিরস্মরণীয় করে রাখতে পারে। সেই সূত্রে, অস্ট্রেলিয়ামুখী পরিব্রাজকদের উদ্দেশ্যেই ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজক অস্ট্রেলিয়ার ৭টি শহরের বিস্তারিত নিয়ে এবারের নিবন্ধ।
২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ আয়োজক ৭টি শহর
অ্যাডিলেড
সংস্কৃতি, খাবার, উৎসব এবং বিনোদনে ভরপুর অ্যাডিলেড মানেই ভিন্ন ভিন্ন ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন উৎসবের আমেজ আর নতুন নতুন সব মজার অভিজ্ঞতা।
অভ্যন্তরীণ-শহরের মুল দর্শনীয় স্থানগুলো সব পায়ে হাটা দূরত্বে। ঝকঝকে শহরতলি থেকে ২০ মিনিট এগোলেই দৃশ্যমান হতে শুরু করবে সৈকত ও পাহাড়ের প্রাকৃতিক বিস্ময়গুলো। স্টেডিয়াম ওভালের দক্ষিণে হাল্কা ম্যারাথন করলেই পৌছে যাওয়া যাবে অপূর্ব রিভারব্যাঙ্ক ব্রিজ এবং নতুন পুনর্নির্মিত ফেস্টিভাল সেন্টারে। অ্যাডিলেড বোটানিক গার্ডেন এবং ন্যাশনাল ওয়াইন সেন্টার পেরনোর সময় চোখে পড়বে উত্তর টেরেসের সাংস্কৃতিক বুলেভার্ড বরাবর দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার আর্ট গ্যালারি, স্টেট লাইব্রেরি এবং দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ান যাদুঘর।
অ্যাডিলেড সেন্ট্রাল মার্কেট দক্ষিণ গোলার্ধের মধ্যে বৃহত্তম। শহরের রাস্তাগুলো ভোজনশালায় ভরা। ইতালীয়-অনুপ্রাণিত অস্টেরিয়া ওগি এবং ফুগাজি থেকে শুরু করে আফ্রিকোলায় খাবারের পসড়া, শোবোশোর গুঞ্জন এবং ফিশব্যাঙ্কে পরিশ্রুত সামুদ্রিক খাবার। রান্ডেল, হাট, এবং গাউজার রাস্তাগুলো রাতের খাবারের জন্য নির্ধারিত।
অ্যাডিলেড ভিত্তিক দর্শনার্থীদের জন্য ডে-ট্রিপ এবং সাপ্তাহিক ছুটির সুযোগ প্রচুর। ক্যাঙ্গারু দ্বীপের প্রাকৃতিক নৈসর্গে প্রাচীন পৃথিবীর খোঁজে হারিয়ে যেতে সাদরে আমন্ত্রণ জানায় ফ্লিন্ডার রেঞ্জ এবং আউটব্যাক। আর এখানকার নিখুঁত সৈকত এবং ফ্লিন্ডার চেজ ন্যাশনাল পার্কের মধ্যে কোনটা আগে দেখবেন, তা নিয়ে পর্যটকরা প্রায়ই দ্বিধায় পড়ে যান।
পড়ুন: আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২: বাংলাদেশ দলের সোয়াট (SWOT) বিশ্লেষণ
ব্রিসবেন
ভূরিভোজন করানোর দিক থেকে এই শহরের রেস্তোরাঁগুলোও পিছিয়ে নেই। তবে তার আগে অবশ্যই আউটডোর কার্যক্রমগুলো শেষ করে নিতে হবে। কারণ সেগুলো নিরতিশয় রোমাঞ্চকর। অ্যাবসেইলিং, স্টোরি ব্রিজে আরোহণ, হেলিকপ্টারে দ্বীপ ভ্রমণ বা নৌকায় করে পিকনিক করতে যেয়ে বেশ হাপিয়ে উঠতে হবে। ব্রিসবেনের ৫-তারকা বিলাসবহুল হোটেল বা আকাশক্ষত তারার নিচে ক্যাম্পিং নিমেষেই ভুলিয়ে দিতে পারে সেই ক্লান্তি।
২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ: ভেন্যু ও প্রাইজ মানি
সময় ঘনিয়ে এসেছে আইসিসি ২০ ওভারের ক্রিকেট বিশ্বকাপের। নয়নাভিরাম দ্বীপদেশ অস্ট্রেলিয়ায় বসতে যাচ্ছে বিশ্বনন্দিত এই স্পোর্টস ইভেন্টের অষ্টম আসর। ২০২১ এর ১৫ নভেম্বর আইসিসি থেকে ২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপ ভেন্যু নিশ্চিত করা হয়। আইসিসি পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ান অস্ট্রেলিয়াই এবার আয়োজন করবে পুরো ইভেন্টটি। ১৬ অক্টোবর, ২০২২ থেকে শুরু হয়ে ১৩ নভেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত চলবে এই ক্রিকেট উৎসব। আজকের নিবন্ধটিতে এই ভেন্যুগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত জানার সাথে সাথে আইসিসি পুরুষ টি-২০ ২০২২ বিশ্বকাপের প্রাইজ মানি সম্বন্ধেও আলোচনা করা হবে।
২০২২ আইসিসি পুরুষ টি-২০ বিশ্বকাপের ৭টি ভেন্যু
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড, মেলবোর্ন
ধারণ ক্ষমতা: ১,০০,০২৪
১৮৫৩ সালে নির্মিত এমসিজি বা মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড দক্ষিণ গোলার্ধের বৃহত্তম এবং গোটা বিশ্বে ১০তম বৃহত্তম স্টেডিয়াম। এটি একটি ইতিহাস সমৃদ্ধ স্টেডিয়াম, যা অস্ট্রেলিয়ান খেলাধুলার সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্তগুলোর সাক্ষী হয়ে আছে। এমসিজি-তে প্রথম ক্রিকেট ম্যাচটি খেলা হয় ১৮৫৪ সালের সেপ্টেম্বরে। ১৮৫৬ সালের মার্চ মাসে প্রথম আন্তঃ-ঔপনিবেশিক ম্যাচে মুখোমুখি হয় ভিক্টোরিয়া ও এনএসডব্লিউ (নিউ সাউথ ওয়েলস)।
এমসিজি টেস্ট ক্রিকেট (১৮৭৭) এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের (১৯৭১) জন্মস্থান। এছাড়া এএফএল গ্র্যান্ড ফাইনালের জন্য সব সময় এই ভেন্যুটি নির্ধারিত থাকে। ১৯৫৬ সালের অলিম্পিক গেমস এবং ২০০৬ এর কমনওয়েলথ গেমস সহ বিভিন্ন বড় আন্তর্জাতিক স্পোর্ট্স ইভেন্ট ও কনসার্টের আয়োজন করেছে এমসিজি।
আরও পড়ুন: আইসিসি ওয়ানডে বর্ষসেরা দলে ৩ বাংলাদেশি ক্রিকেটার
নতুন এফটিপিতে যাদের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ
পুরুষদের জন্য ভবিষ্যত সফর সূচি (এফটিপি) প্রকাশ করেছে আইসিসি। ২০২৩-২৭ চক্রে এই এফটিপিতে আইসিসির পূর্ণ সদস্য সবগুলো দেশের বিপক্ষেই ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ।
নতুন এফটিপি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুনে আয়ারল্যান্ড সফর করবে বাংলাদেশ। এরপর জুনেই আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দুটি টেস্ট, তিনটি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের হোম সিরিজ হবে। ২০২৪ সালে বাংলাদেশের আরও ব্যস্ত সূচি। ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কা এবং জিম্বাবুয়েকে আতিথেয়তা দেবে বাংলাদেশ। তারপর বছরের মাঝামাঝি সময়ে আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলবে।
ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। যা আইসিসি ২০২৩-২৫ ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হবে। তবে ২০২৫-২৭ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশ ঘরের মাঠে ইংল্যান্ড এবং দুই যুগ পর অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়ে টেস্ট খেলবে।
২০২৩-২৫ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ২০২৫-২৭ এ ইংল্যান্ড, পাকিস্তান এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে হোম সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং শ্রীলঙ্কায় নির্ধারিত সিরিজ রয়েছে। এই সব সিরিজই টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ।
পুরুষদের এফটিপি ঘোষণার আগে প্রথমবারের মতো আইসিসি নারীর এফটিপি ঘোষণা করেছিল।
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, ‘২০২৩-২০২৭ এফটিপি বাংলাদেশের জন্য খুবই আনন্দের। আমরা সব ফরম্যাটেই সদস্য দেশগুলোর বিরুদ্ধে ম্যাচ পেয়েছি।’
বর্তমানে বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে ২৭ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপ ২০২২ এর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। ইতোমধ্যে সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক করে এশিয়া কাপের জন্য দল ঘোষণা করেছে বিসিবি।
পড়ুন: ভারতকে নিষিদ্ধ করল ফিফা
টি-টোয়েন্টি দলের নতুন অধিনায়ক সাকিব