আহত
৬ মাসে রেল দুর্ঘটনায় নিহত ১৩১: এসসিআরএফ
চলতি বছরের (২০২৩ সালের) প্রথম ৬ মাসে ১৩৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১৩১ জন নিহত হয়েছেন। এ সময়ে আহত হয়েছেন আরও ১১০ জন।
শনিবার (৫ আগস্ট) শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন: আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক যাত্রা
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর মধ্যে জানুয়ারিতে সবচেয়ে কম ১২টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৫ জন নিহত ও ৭ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে, ফেব্রুয়ারিতে সর্বাধিক ৪৪টি দুর্ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হয়েছেন ৩৭ জন এবং আহত হয়েছেন ৮ জন।
এসসিআরএফ’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মার্চে ১৮টি দুর্ঘটনায় ১৫ জন নিহত এবং ৫ জন আহত হয়েছেন।
এ ছাড়া এপ্রিলে ১৭টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ২০ জন এবং আহত হয়েছেন আর ৬৯ জন।
এদিকে মে মাসে দুর্ঘটনা ঘটেছে ২৪টি। এতে ২৫ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ৮ জন।
আরও পড়ুন: ছয় মাসে রেলপথে দুর্ঘটনায় নিহত ১১৩: জিসিবি ও জাতীয় কমিটির যৌথ প্রতিবেদন
অপরদিকে, জুন মাসে ২২টি রেলপথ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত হয়েছেনে ১৯ জন এবং আহত হয়েছেন আরও ১৩।
এসসিআরএফ জানায়, রেলপথ দুর্ঘটনার উপর নিয়মিত পর্যবেক্ষণ চালিয়ে এবং ১২টি বাংলা জাতীয় দৈনিক, ৫টি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক, ৯টি অনলাইন নিউজপোর্টাল ও সংবাদ সংস্থা ও ৬টি আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত তথ্যউপাত্ত বিশ্লেষণ করে এ পরিসংখ্যান তৈরি করা হয়েছে।
এদিকে রেল পরিবহন ব্যবস্থা ও দুর্ঘটনার উপর পর্যবেক্ষণ চালিয়ে এবং বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করে দুর্ঘটনার ৯টি কারণ চিহ্নিত করেছে এসসিআরএফ।
আরও পড়ুন: রেল কর্মীদের অবরোধ: ৫ ঘণ্টা পর ঢাকার সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক
দুর্ঘটনার ৯টি কারণ হলো-
কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা, সিগনালিং ব্যবস্থায় ত্রুটি, ঝুঁকিপূর্ণ রেলক্রসিং, ইঞ্জিনের সক্ষমতার অতিরিক্ত বগি সংযোজন, রেললাইনে পাথরের স্বল্পতা, ঝুঁকিপূর্ণ রেলসেতু, আধুনিক প্রযুক্তির অভাব, জনবল সংকট এবং নড়বড়ে ট্র্যাক তথা রেললাইনে নিম্নমানের স্লিপার ও ফিশপ্লেটসহ বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার।
পর্যবেক্ষণে বলা হয়-
সরকার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। উন্নয়ন বাজেটেও অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
রেলপথ বাড়লেও দীর্ঘদিনের পুরোনো লাইনগুলো ঠিকমতো সংস্কার না করায় দ্রুতগতির ট্রেন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না।
আরও পড়ুন: ছয় মাসে রেলপথে দুর্ঘটনায় নিহত ২০৯: এসসিআরএফ
জুলাই মাসে ৫০৫ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫৭৬
জুলাই মাসে সারা দেশে ৫০৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৭৬ জন নিহত হয়েছেন। এসব দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ১ হাজার ৫৫ জন।
শনিবার (৫ আগস্ট) সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই প্রতিবেদন তুলে ধরে সংগঠনটি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, একই সময় রেলপথে ৪৭টি দুর্ঘটনায় ৪৮ জন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছে।
নৌ-পথে ১৬টি দুর্ঘটনায় ২১ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছে এ সময় ৩৮ জন নিখোঁজ রয়েছে বলেও জানা যায়।
সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৬৮টি দুর্ঘটনায় ৬৪৪ জন নিহত ও ১ হাজার ৭৫ জন আহত হয়েছে। এই সময়ে ১৮০টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯৫ জন নিহত ও ১২২ জন আহত হয়েছে। যা মোট দুর্ঘটনার ৩৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ, নিহতের ৩৮ দশমিক ৬১ শতাংশ ও আহতের ২৪ দশমিক ১৫ শতাংশ।
এই মাসে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকা বিভাগে। ১৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭৩ জন নিহত ও ২৭১ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া সবচেয়ে কম সড়ক দুর্ঘটনা হয়েছে বরিশাল বিভাগে। ২৩টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত ও ১৩৮ জন আহত হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
সড়কে দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তির মধ্যে ১০ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ১৫৪ জন চালক, ৮৯ জন পথচারী, ৪২ জন পরিবহন শ্রমিক, ৩৬ জন শিক্ষার্থী, ৮ জন শিক্ষক, ১১৭ জন নারী, ৬৪ জন শিশু, একজন সাংবাদিক এবং ১০ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীর পরিচয় মিলেছে।
এদের মধ্যে নিহত হয়েছে- একজন সেনাবাহিনীর সদস্য, ৩ পুলিশ সদস্য, একজন নৌ বাহিনীর সদস্য, একজন বিজিবি সদস্য, একজন ফার্য়ার র্সাভিস কর্মী, ১১৯ জন বিভিন্ন পরিবহনের চালক, ৭৭ জন পথচারী, ৮২ জন নারী, ৪২ জন শিশু, ২৯ জন শিক্ষার্থী, ১৭ জন পরিবহন শ্রমিক, ৭ জন শিক্ষক, ও ৭ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী।
এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত ৭৩১টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে।
এতে দেখা যায়, ২৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২ দশমিক ৮৪ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৮ দশমিক ৭৪ শতাংশ বাস, ১৫ দশমিক ৩২ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৫ দশমিক ৭৪ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৪ দশমিক ৫১ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৫৪ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১৩ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ৫ দশমিক ৫৪ শতাংশ বিবিধ কারণে, শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ গাড়ির চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে এবং শূন্য দশমিক ১৯ শতাংশ ট্রেন ও যানবাহনের সংঘর্ষ হয়।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, এ মাসে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৬১ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩০ দশমিক ৬৯ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২৪ দশমিক ১৫ শতাংশ ফিডার রোডে ঘটেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এ ছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, শূন্য দশমিক ৩৯ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে শূন্য দশমিক ৭৯ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে ঘটেছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানিয়েছে, দেশের জাতীয়, আঞ্চলিক ও অনলাইন সংবাদপত্রে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ পথের দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে, জুলাই মাসের উল্লেখযোগ্য সড়ক দুর্ঘটনার কারণ হলো- মহাসড়কে ধীরগতির থ্রি-হুইলার ও হিউম্যান হলার চলাচল, তিন চাকার যানবাহনের চলাচল বৃদ্ধি, স্ট্রিট নাইট ও রোড সাইনের অভাব, ট্রাফিক আইন অমান্য, ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল, মহাসড়কে ত্রুটিপূর্ণ নির্মাণ কাজ, বিপজ্জনক ওভারটেকিং, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহন, চাঁদাবাজি, অদক্ষ চালক ও হেলপার এবং বেপরোয়া গাড়ি চালানোকে দুর্ঘটনা ও মৃত্যুর জন্য দায়ী করেছে সংগঠনটি।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩
রাজশাহীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৩
রাজশাহীর মোহনপুরে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ জন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
বুধবার (২ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার বাকশৈল এলাকায় রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কে এ দর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা হতাহতদের উদ্ধার করেন।
নিহতরা হলেন- জেলার মোহনপুর উপজেলার মোহনপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর আলম (২৮), সাঁকোয়া গ্রামের আবুল হোসেন (৭৫) ও বাগমারা উপজেলার গোবিন্দপাড়া ইউনিয়নের জিয়াপাড়া গ্রামের গরু ব্যবসায়ী আজিবর রহমান (৪০)।
আহতরা হলেন- মোহনপুর উপজেলার আমরাইল গ্রামের মজিবর রহমান (৬০), তৈয়বুর রহমান (৪৫), গাঙ্গোপাড়া গ্রামের আনসারুজ্জামান(৮০), বাগমারা উপজেলার জিয়াপাড়া গ্রামের ইব্রাহিম হোসেন (৩২) ও ভটভটি চালক মামুন (৩৫)।
আরও পড়ুন: বিজিবির সঙ্গে সংঘর্ষে রোহিঙ্গা নিহত
মোহনপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়কের বাকশৈল গ্রামের গরুবাহী ইঞ্জিনচালিত ভটভটি, অটোরিকশা ও বাইসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত ও আহত হয়েছে পাঁচজন হয়েছে।
আহতদের উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হরিদাস মণ্ডল বলেন, এই ঘটনায় একটি মামলা করা হয়েছে।
আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে বাসের সঙ্গে সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
লক্ষ্মীপুরে বাসের সঙ্গে সিএনজির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫
লক্ষ্মীপুরে বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষের ঘটনায় এক কিশোর নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন।
মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার হাজিরপাড়া ইউনিয়নের চরচামিতা এলাকায় লক্ষ্মীপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যু
নিহত কিশোর মো. আকাশ (১৩) সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের শান্তিরহাট এলাকার কাঠালি গ্রামের মানিক হোসেনের ছেলে।
আহতরা হলেন- পারভিন আক্তার, মনির হোসেন ও মোসলেহ উদ্দিন। বাকি দুইজনের পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার যাত্রীবাহী বাসটি নোয়াখালী থেকে লক্ষ্মীপুরের দিকে আসছিল। এ সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি লক্ষ্মীপুর থেকে চন্দ্রগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল।
পরে ঘটনাস্থল পৌঁছালে বাসের সঙ্গে সিএনজির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে সিএনজিচালক ও পাঁচ যাত্রী আহত হন। এ সময় স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকৎসক আকাশকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, আহত অবস্থায় হাসপাতালে ৬ জনকে আনা হয়েছে। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। বাকিদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়ে থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুর রহমান বলেন, আহতদেরকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং বাসটি আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৭: আশুলিয়া থেকে বাসচালক গ্রেপ্তার
টঙ্গীতে দেয়াল ধসে ৩ জনের মৃত্যু, আহত ৪
গাজীপুরের টঙ্গীতে দেয়াল ধসে ৩ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার (২৯ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে টঙ্গীর পাগাড় ঝিনু মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪ জন। আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে দেয়াল ধসে নিহত ৯
নিহতরা হলেন- ময়মনসিংহের নান্দাইলের করইকান্দি গ্রামের আলী হোসেনের ছেলে বকুল হোসেন, একই গ্রামের বাসিন্দা সুবজ ও নয়ন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত ২০ দিন ধরে ঝিনু মার্কেট এলাকায় গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ড্রেন নির্মাণের কাজ করছিলেন তারা। প্রতিদিনের মতো শনিবারও ড্রেন নির্মাণের জন্য মাটি কাটছিলেন শ্রমিকরা। এসময় একটি বাড়ির সীমানাপ্রাচীর ধসে পড়লে গুরুতর আহত হন শ্রমিকরা। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক ৩ জনকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযোগ পাওয়ার পর এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে দেয়াল ধসে শিশু নিহত, আহত ৪
গাজীপুরে মাটির দেয়াল ধসে নিহত ১
সাপের কামড়ে স্কুলছাত্রীসহ নিহত ২, আহত ১
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা এবং যশোরের কেশবপুরে সাপের কামড়ে এক নারী ও এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। একই দিনে জেলার জীবননগর উপজেলায় সাপের কামড়ে এক শিশু আহত হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাপসতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই নারীর মৃত্যু হয়।
নিহত জোসনা বেগম (৪৫) আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের নওলামারী গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার শাহিন আলীর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: বনশ্রীতে ভবন থেকে পড়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
পরিবার সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় নিজ বাড়ি গোয়াল ঘরে কাজ করার সময় একটি হলুদ রঙের বিষধর সাপ জোসনা বেগমের পায়ে কামড় দেয়। জোছনা বেগম বুঝতে পারে না যে তাকে সাপে কামড়িয়েছে।
পরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়। এসময় চিকিৎসক জোবাইদা জামান (জয়া) তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
যশোরের কেশবপুরে সাপের কামড়ে এক স্কুলছাত্রী মারা গেছে। সোমবার (২৪ জুলাই) রাতে উপজেলার গৌরীঘোনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মোহনা চক্রবর্তী মিতু (১২) গৌরীঘোনা গ্রামের কার্তিক চক্রবর্তীর মেয়ে এবং কাঁঠালতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী।
এলাকাবাসী ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গৌরীঘোনা গ্রামের কার্তিক চক্রবর্তীর মেয়ে মোহনা চক্রবর্তী মিতু সোমবার রাতে তার দাদির সঙ্গে ঘুমিয়েছিল।
রাত ১১টার দিকে তাকে ঘুমের ভেতর বিষাক্ত সাপে কামড় দেয়। বিষের যন্ত্রণা শুরু হলে পরিবারের লোকজন তাকে স্থানীয় একজন ওঝার কাছে নিয়ে যান। সেখানে ঝাড়-ফুঁকে কোনো কাজ না হওয়ায় মিতুকে অন্য আরেক ওঝার কাছে নেওয়া হয়।
এখানে ঝাড়-ফুঁক করার সময় মিতুর অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সকালে গৌরীঘোনা দক্ষিণপাড়া মহাশ্মশানে তার শেষ কৃত্যানুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়।
অন্যদিকে, একই সময়ে জীবননগর উপজেলার রাজানগরে বাড়ির উঠানে খেলার সময় সাপের কামড়ের শিকার হয় শিশু সাইফ (৮)।
সাইফ ওই এলাকার পুলিশ সদস্য মাসুদের ছেলে ও জীবননগর পৌর কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
জানা যায়, সাপে কামড়ানোর পর শিশুটি চিৎকার করলে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়।
শিশু সাইফের মা শিল্পী খাতুন বলেন, বাড়ির উঠানে খেলার সময় আমার ছেলেকে সাপে কামড়িয়েছে। ছেলে আমাকে জানিয়েছে সাপটি হলুদ ও কালো রঙের।
পরে আমি তৎক্ষণাৎ তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসক জোবাইদা জামান বলেন, শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে অবজারভেশনে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শিশুটি শঙ্কামুক্ত কিনা এখনই বলা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: শরণখোলায় বসত ঘর থেকে ৬ ফুট লম্বা সাপ উদ্ধার, বনে অবমুক্ত
কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে বউ-শাশুড়ির মৃত্যু
দিনাজপুরে পৃথক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৯
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে ও ভাদুরিয়া এলাকায় পৃথক দুর্ঘটনায় দুইজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৯ জন।
সোমবার (২৪ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে নবাবগঞ্জের রত্নাদিঘী এলাকায় ঘরের টিউবওয়েলের পাশে পানি ভর্তি ড্রামে পড়ে ৪ বছর বয়সী শিশু আলী হাসানের মৃত্যু হয়। এ ছাড়া ভাদুরিয়া এলাকায় বেলা ১১টার দিকে মিনি ট্রাকের ধাক্কায় চলন্ত ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে ৬০ বছর বয়সী আদিবাসী নারী ব্লান্দিনা মুর্মু মারা যান।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে আদিবাসী নৈশ প্রহরীর লাশ উদ্ধার
সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্তাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাওহীদুল ইসলাম এবং উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদ নবী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও সদর হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির পাশে পানি ভর্তি ড্রামে পড়ে আলী হাসান নামে ৪ বছর বয়সি এক শিশু প্রাণ হারিয়েছে।
অপরদিকে, মিনি ট্রাকের ধাক্কায় চলন্ত ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে ৬০ বছর বয়সি আদিবাসী নারী ব্লান্দিনা মুর্মুর মৃত্যু ঘটে। এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৯ জন।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্তাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) তাওহীদুল ইসলাম জানান, ঘরের টিউবওয়েলের পাশে পানি ভর্তি ড্রামে পড়ে শিশু আলী হাসান প্রাণ হারিয়েছে। সে মনিরুল ইসলামের ছেলে।
উপপরিদর্শক (এসআই) মাহমুদ নবী জানান, মিনি ট্রাকের ধাক্কায় চলন্ত ভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে আদিবাসী নারী ব্লান্দিনা মুর্মু গুরুত্বর আহত হন।
তিনি আরও বলেন, পরে মুর্মুকে উদ্ধার করে দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজের হাসপাতালে যাওয়ার পথে মারা যায়। তিনি নবাবগঞ্জে চিহাবগাঁও গ্রামের বার্নাবাস সরেনের স্ত্রী।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু
দিনাজপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় পল্লী চিকিৎসক নিহত
কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে ৯ শিক্ষার্থী আহত
কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলায় সোমবার (২৪ জুলাই) বজ্রপাতে চকিরপাশা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার ৯ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন- আব্দুর রাজ্জাক, নাজমিন নাহার, সুমাইয়া, রোকসানা, আফরোজা, নির্মা, আলী রাজ, ফারজানা ও সানজিদা।
মাদরাসার সুপার মানিক মিয়ার বরাত দিয়ে রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ হিল জামান জানান, বিকালে বৃষ্টির মধ্যে তাদের টিনশেড শ্রেণিকক্ষে বসে থাকা অবস্থায় মাদরাসার ৯ জন ছাত্র বজ্রপাতে আহত হয়।
পরে তাদের চিকিৎসার জন্য রাজারহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দী
কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
কুড়িগ্রামে বন্যায় ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী
নিউজিল্যান্ডে নারী বিশ্বকাপের আগে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ২
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে ফিফা নারী বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতির সময় একটি নির্মাণাধীন স্থানে বন্দুকধারীর গুলিতে দুই জন নিহত হয়েছেন। বন্দুকধারীও নিহত হয়েছেন এবং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে এক পুলিশ কর্মকর্তা এবং ৪ জন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।
নরওয়ে ও অন্যান্য ফুটবল দল যে সব হোটেলে অবস্থান করছে, সেখানেই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানিয়েছে যে পুরুষ অফিসারকে গুরুতর অবস্থায় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়। অন্যদের মধ্যে মাঝারি থেকে গুরুতর পর্যন্ত আঘাত দেখা যায়, তবে তারা কীভাবে আহত হয়েছিলেন তা তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার নয়।
আরও পড়ুন: জার্মানিতে নির্বিচার গুলিতে ৮ জন নিহত: পুলিশ
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিনস বলেছেন, টুর্নামেন্টটি পরিকল্পনা অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে।
হিপকিনস বলেন, ‘স্পষ্টতই আজ সন্ধ্যায় ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হওয়ায় অকল্যান্ডের দিকে অসংখ্য মানুষ তাকিয়ে আছে। সরকার আজ সকালে ফিফা আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলেছে এবং টুর্নামেন্টটি পরিকল্পনা অনুযায়ী চলবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি পুনরায় বলতে চাই যে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বৃহত্তর কোনো হুমকি নেই। এটি একজন ব্যক্তির কাজ বলে মনে হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: টেক্সাসে শপিং মলে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৮, হামলাকারী নিহত
হিপকিনস বলেন যে বন্দুকধারী একটি পাম্প-অ্যাকশন শটগান নিয়ে হামলা চালায়। প্রথম জরুরি কল পাওয়ার এক মিনিট পরেই পুলিশ ঘটনাস্থলে জীবন বাঁচাতে ছুটে যায়।
ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সানি প্যাটেল জানিয়েছেন, সকাল ৭টা ২০ মিনিট নাগাদ লোয়ার কুইন স্ট্রিটে ওই ব্যক্তি গুলি চালাতে শুরু করেন। পুরো এলাকা পুলিশ ঘিরে ফেলে তখন। লোকটি সেখানকার বিল্ডিংয়ের মধ্য দিয়ে চলে যায়, সেখানে লোকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি যে পুলিশ বন্দুকধারীকে গুলি করেছে না-কি সে আত্মহত্যা করেছে, জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সৌদি আরবে মার্কিন কনস্যুলেটে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ২
লক্ষ্মীপুরে বিএনপি-আ.লীগ সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ৫০
লক্ষ্মীপুরে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি চলাকালে বেশ কয়েকটি স্থানে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সজীব নামের একজন নিহত হয়েছেন।
এসব ঘটনায় সাংবাদিক, পুলিশসহ বিএপির অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এসময় বেশ কয়েকটি দোকান ও গাড়ি ভাঙচুর করার ঘটনাও ঘটে।
মঙ্গলবার বিকাল ৪টা থেকে ৫টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে সংবাদকর্মীসহ আহত ৫০
প্রাথমিকভাবে জানা যায় নিহত যুবক সজিবের বাড়ি চন্দ্রগঞ্জ। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পঠান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ এ দু’দলের পূর্ব নির্ধারিত পৃথক কর্মসূচি পালনের জন্য দলীয় নেতা-কর্মীরা শহরে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে সমবেত হতে শুরু করেন।
বিকাল ৪টার দিকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বিএনপি’র কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক এ্যানি চৌধুরীর নেতৃত্বে শহরের গোডাউন রোড থেকে পদযাত্রায় মিছিল নিয়ে বের হন।
এসময় শহরের সামাদ একাডেমির মোড়ে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ব্যানার ফেষ্টুন ছেঁড়া শুরু করে বিএনপির কর্মীরা। মিছিলের মাঝামাঝি স্থান থেকে বিএনপি’র ৩০ থেকে ৪০ জন নেতা-কর্মী হঠাৎ করে কলেজ রোডের দিকে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ আসা ১৫ থেকে ২০ জনকে ধাওয়া করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় মদিন উল্যাহ হাউজিং এর একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় আশ্রয়ের জন্য দৌড়ে গিয়ে লুটিয়ে পড়ে এক যুবক। এর কিছুক্ষণ পর ওই যুবক প্রচুর রক্তক্ষরণে মারা যায় বলে জানান বাড়ির মালিক।
এদিকে বিএনপির মিছিলটি ঝুমুর এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে ছাত্রলীগের লোকজন তাদের ধাওয়া করে। একইভাবে শহরের বাগবাড়ি এলাকায়ও সংঘর্ষ হয় বিএনপি ও আওয়ামী লীগ কর্মীদের।
এদিকে ঝুমুর এলাকায় বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে হাইওয়ে সড়কে উঠতে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এসময় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোঁড়ে তারা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি, টিয়ারসেল ও কাঁদানী গ্যাস নিক্ষেপ করে।
লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ জানান, বিএনপি মিছিল নিয়ে নাশকতার উদ্দেশ্যে হাইওয়ে সড়কে উঠতে চাইলে পুলিশ বাধা দিলে তারা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
তিনি আরও বলেন, এসময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়ে। বিএনপি’র হামলায় সদরের ওসি মোসলেহ উদ্দিন, সদর সার্কেল অফিসার সোহেল রানাসহ পুলিশের ১০ সদস্য আহত হন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, লাঠিচার্জ-গুলি
লালমনিরহাটের পচা আম বিক্রি নিয়ে সংঘর্ষ, প্রাণ গেল বৃদ্ধের