আহত
গোপালগঞ্জে ট্রাক-অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ৩
গোপালগঞ্জের সদরে ট্রাক ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তিনজন।
বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সদর উপজেলার পূর্ব মিয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনটি লিখা পর্যন্ত নিহত চারজনের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তিনি হলেন- অ্যাম্বুলেন্সের চালক মোমিন।
আহতরা হলেন- ট্রাক চালক পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় দেউলবাড়ি ইউনিয়নের বিলডুমুরিয়া গ্রামের মোহাম্মাদ আলি (৭০), পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালি গ্রামের কামাল হোসেন (৪২) এবং একই গ্রামের বায়েজিদ হোসেন (২১)।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে বাস-সিএনজি সংঘর্ষে নিহত ২
দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ।
প্রত্যক্ষদর্শী ট্রাক চালক মো. আলি বলেন, ‘আমি ট্রাকে করে এস্কেভেটর (ভেকু) নিয়ে ঢাকা থেকে রওনা হই। সকালে নাস্তা করে গোপালগঞ্জ পৌঁছালে হঠাৎ করে সামনে দেখি গাড়িটি রঙ (ভুল) সাইডে চলে আসছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অ্যাম্বুলেন্সকে বাঁচাতে গিয়ে আমি আমার গাড়ি বামদিকে ফেলে দেই। আমার গাড়িতে ভেকুর তিনজন ও আমার সহযোগী সাগর (২৫) ছিল। এখন কে কোথায় আছে তা জানি না।’
ওসি জাবেদ মাসুদ বলেন, রোগীসহ চারজন একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপালগঞ্জ সদরের পূর্ব মিয়াপাড়া এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত ও চার জন আহত হয়।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সের চালক নিহত হন।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় এখনও জানা সম্ভব হয়নি বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: জকিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৫
কুড়িগ্রামে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শিশুর মৃত্যু, আহত ১
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বিদ্যুৎচালিত মোটরের পানিতে গোসল করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এসময় আরও এক শিশু আহত হয়েছে।
বুধবার (৫ জুলাই) দুপুরে উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে অটোরিকশা চার্জ দেওয়ার সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবক নিহত
মৃতরা হলো- সোনাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মমিনুল ইসলামের মেয়ে মাহি আক্তার (৮) ও বদ্দু মিয়ার মেয়ে বিন্দু আক্তার (৯)। আহত অপর শিশু ফজলুল হকের মেয়ে মারিয়া আক্তার (৮)। তাদের বাড়ি সোনাপুর গ্রামে।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, দুপুরে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে কয়েকজন শিশু গোসল শেষ করে বাড়ি এসে বিদ্যুৎচালিত পানির পাম্প (বিদ্যুৎচালিত মটর) দিয়ে দ্বিতীয় বার গোসল করতে গিয়ে মাহি প্রথমে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। এসময় তাকে ছাড়াতে গিয়ে আরও দুই শিশু বিদ্যুৎতায়িত হয়।
পরে শিশুদের চিৎকারে পরিবারের লোকজন ছুটে এসে আহত শিশুদের উদ্ধার করে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসক সাবরিনা ছাত্তার দুই শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর আহত শিশুকে স্থানীয় পল্লীচিকিৎসক দিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপকুমার সরকার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে ‘অটোরিকশা চার্জ দিতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে’ গ্যারেজ মালিকের মৃত্যু
তেজগাঁওয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু
জকিগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৫
সিলেটে পিকআপের ধাক্কায় দুইজন পথচারী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৫ জন।
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) রাত ৮টার দিকে জকিগঞ্জ উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের বটরতল বাজারে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নিহত পথচারী ময়নুল হকের (৩০) বাড়ি উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের পরচক গ্রামে।
জানা যায়, এক সঙ্গে দু’জন রাস্তা পারাপারের সময় ময়নুল হক এই দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মারা যান। অপর পথচারী জলিল আহমদকে গুরুতর আহত অবস্থা হাসপাতালে পাঠানো হলে পথেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, একটি পিকআপ ভ্যান কালিগঞ্জ থেকে যাত্রী নিয়ে শাহগলী বাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে বটরতল বাজারে আসা মাত্র পেছন থেকে বাসের ধাক্কায় পিকআপটি পথচারীকে ধাক্কা মেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে খাদে উল্টে যায়। এসময় গাড়িতে থাকা ৪ জন যাত্রীসহ ৫জন আহত হন।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশাররফ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারী নিহত, আহত ৫
কুর্মিটোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভাই ও বোনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে মাদক ব্যবসা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, আটক ১৪
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে একজন গুলিবিদ্ধসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া সংঘর্ষে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ১৪ জনকে আটক করেছে।
সোমবার (৩ জুলাই) রাত থেকে মঙ্গলবার (৪ জুলাই) সকাল পর্যন্ত উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০
এ সময় হৃদয় হাসান নামে এক যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে এবং অন্যান্য আহতদের স্থানয়ি বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়।
জানা যায়, উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্রে মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জয়নাল এবং শমসের গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। তাদের মধ্যে প্রায় সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। সোমবার রাতে দুই গ্রুপের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। দফায় দফায় এ সংঘর্ষ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত চলে।
এ সময় খাবার হোটেল বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে হৃদয় নামে এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খবর পেয়ে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ মঙ্গলবার সকালে চনপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকে আটক করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবির হোসেন বলেন, দুইদিন ধরে চনপাড়া উত্তপ্ত ছিল। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মধ্য রাত থেকে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সেখানে অভিযান চালিয়ে এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১৪ জনকে আটক করেছি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা অস্ত্র উদ্ধারের চেষ্টা করছি। পাশাপাশি অস্ত্র ব্যবহারকারীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে পশুর হাট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪
মাগুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
কুড়িগ্রামে পিকআপ-ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ২জন নিহত, আহত ৫
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে পিকআপ ও ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় ইজিবাইকের পাঁচ যাত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৪জুলাই) সকালে উপজেলার মিলের পাড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সিরাজুল ইসলাম (৪৪) জেলার উলিপুর উপজেলার নাওডাঙ্গা গ্রামের গাফ্ফার আলী মোল্লার ছেলে এবং রহিমা বেগম (৩৫) রাজারহাট উপজেলার নাজিমখান ইউনিয়নের বাসিন্দা।
এলাকাবাসী ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, উলিপুর রাজারহাট সড়কের মিলের পাড় নাম এলাকায় উলিপুরগামী একটি পিকআপ ও রাজারহাটগামী একটি ইজিবাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ইজিবাইকটি সড়ক থেকে নিচে দুমড়ে-মুচড়ে পড়ে যায়। ঘটনার পর পিকআপের চালক পালিয়ে যায়। এতে ইজিবাইকের যাত্রী সিরাজুল ইসলাম ও রহিমা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
আরও পড়ুন: নাটোরে মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে আম ব্যবসায়ী নিহত
ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার আক্তারুজ্জামান জানান, রাজারহাট ফায়ার সার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে আহতদের রাজারহাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়। রাজারহাট থানার পুলিশ হাসপাতালে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট করেছে।
রাজারহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহিল জামান জানান, এ ঘটনায় পিকআপভ্যান ও ইজিবাইকটি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে তেলের ট্যাংকারে আবারও বিস্ফোরণ, আহত ১১
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে সোমবার সন্ধ্যায় ‘সাগর নন্দিনী-২’ নামের তেলের ট্যাংকারে আবারও বিস্ফোরণের পর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।
প্রায় ১১ লাখ লিটার পেট্রোল ও ডিজেল বহনকারী সাগর নন্দিনী-২ নামের জাহাজটিতে শনিবার ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে চারজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। ট্যাংকারের এক কর্মী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
আমাদের ঝালকাঠি সংবাদদাতার অনুসারে, শনিবারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর জাহাজ থেকে ৭ লাখ লিটার ডিজেল সরানো হয় এবং বড় ধরনের তেল ছড়িয়ে পড়া এড়ানো সম্ভব হয়। কিন্তু গতকালকের (সোমবার) বিস্ফোরণের পরে কিছু পেট্রোল নদীতে ছড়িয়ে পড়েছে। তাছাড়া, জেলার বাসিন্দারা এর প্রভাব এবং নিজেদের সাধারণ নিরাপত্তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।
আরও পড়ুন: বরিশালে তেল ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিখোঁজ কাশেমের সন্ধান মেলেনি
আজ (সোমবার) সন্ধ্যা ৭টার দিকে অপর একটি জাহাজ সাগর নন্দিনী-৪ ট্যাংকার থেকে অবশিষ্ট ৪ লাখ লিটার পেট্রোল খালাসের প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন আগুনের সূত্রপাত হয়।
এ সময় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উদ্ধারকারী জাহাজটি সারাদিন উদ্ধার অভিযান শেষ করে নদীতে অপেক্ষা করছিল।
প্রচণ্ড বিস্ফোরণে আগুন লাগার পর সাগর নন্দিনী-৪ এর কর্মীরা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা করেন।
তবে এ ঘটনায় পুলিশসহ ১১ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন ডা. এইচএম জহিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে তেলের ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩
সর্বশেষ প্রতিবেদকের পাঠানো তথ্য অনুযায়ী, জেলা, উপজেলা ও নৌ ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।
আইএসপিআর (আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে যে উদ্ধার অভিযানে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ নৌবাহিনীর একটি কন্টিনজেন্ট মোতায়েন করা হয়েছে এবং বরিশাল থেকে নৌবাহিনীর একটি জাহাজ ‘ডলফিন’ ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
এদিকে আগের ঘটনার জন্য জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. রুহুল আমিনের নেতৃত্বে তদন্ত দল তদন্ত শুরু করেছে এবং আজ জেলা প্রশাসকের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে তেলের ট্যাংকার বিস্ফোরণ: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪
খুলনায় যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় নারীর মৃত্যু, আহত ৩
খুলনার পাইকগাছায় যাত্রীবাহী বাসের চাপায় ইঞ্জিনচালিত ভ্যানের এক নারী যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সময় ভ্যানচালকসহ তিনজনগুরুতর আহত হন।
রবিবার (২ জুলাই) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার কপিলমুনির কাশিমনগরের শ্মশানঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত সাহিদা বেগম (৬০) সাতক্ষীরার তালা উপজেলার গঙ্গারামপুরের দলিল উদ্দিন খা’র স্ত্রী।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
আহতরা হলেন- ভ্যানচালক পাইকগাছার হরিঢালীর আজিজুল ইসলামের ছেলে সবুজ (২৫), তালা উপজেলার নলতার করিম খানের ছেলে মেহেদী হাসান (২০) এবং তালার গঙ্গারামপুরের হাশেম গাজীর স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৭০)।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা থেকে যাত্রীবাহী একটি বাস পাইকগাছার দিকে যাচ্ছিল। একই দিক থেকে যাত্রীবাহী ইঞ্জিনচালিত ভ্যান উপজেলার কপিলমুনির দিকে যাচ্ছিল।
এ সময় পেছন থেকে বাসটি ভ্যানকে চাপা দিলে ভ্যানচালকসহ যাত্রীরা রাস্তায় ছিটকে পড়েন। পরে বাসটি এক নারী যাত্রীকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ সময় স্থানীয়রা ভ্যানচালকসহ আহতদের উদ্ধার করে বেলা ১১ টার দিকে আশংকাজনক অবস্থায় তালা হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাদের অবস্থার অবনতি হলে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়ে।
পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘাতক বাসটিকে স্থানীয়রা আটক করলেও এর চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারী নিহত, আহত ৫
কুর্মিটোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভাই ও বোনের মৃত্যু
নারায়ণগঞ্জে দুর্ঘটনাবশত পুলিশের বন্দুকের গুলিতে যুবক আহত
নারায়ণগঞ্জে একটি বন্য মহিষ তাড়ানোর সময় পুলিশের ছোঁড়া গুলিতে ২৪ বছর বয়সী এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার দেপটরায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
আহত শান্ত ওই এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমদাদুল ইসলাম তৈয়ব জানান, তিনি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
আরও পড়ুন: ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, একটি বন্য মহিষ হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে কয়েকজনকে আক্রমণ করে।
পরে স্থানীয় লোকজন উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দলকে খবর দেয়।
এরপর এসআই শহিদুল মহিষটিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লেও তা শান্তকে আঘাত করলে তিনি আহত হন।
শান্তকে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন:লালমনিরহাট সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি গুলিবিদ্ধ
দিনাজপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় নারী নিহত, আহত ৫
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে দুইটি মিনি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন নারী আরোহী নিহত হয়েছেন।
এক ঘণ্টার ব্যবধানে একই এলাকায় একটি দূর পাল্লার কোচ, ট্রাকসহ আরও পাঁচটি যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্ট যায়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে সড়ক দুর্ঘটনায় ব্যবসায়ী নিহত
শনিবার ভোরে ফুলবাড়ী উপজেলায় পৃথক দুর্ঘটনা ঘটে।
পৃথক দুর্ঘটনায় দুইজন গুরুতরসহ পাঁচজন আহত হয়েছে।
রাস্তা নির্মাণে ত্রুটিসহ অতিরিক্ত বিটুমিনাস ব্যবহারে কারণে বৃষ্টির পানিতে ভিজে পিচ্ছিল হয়ে পড়ায় দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ফুলবাড়ী থানা পুলিশের।
ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশ্রাফুল ইসলাম জানান, ফুলবাড়ীর রাঙ্গামাটিতে বিজিবির ২৯ ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরের রাস্তার পূর্বপাশে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে প্রথমে দুইটি মিনি ট্রাকের মধ্যে সংঘর্ষে রহিমা বেগম (৩৬) নামে একজন নারী আরোহী নিহত হয়।
খবর পেয়ে ফুলবাড়ীর ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা গুরুত্বর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্হ্য কেন্দ্রে ভর্তি করে। ওই দুর্ঘটনার ঘন্টা খানেকের মধ্যে একই এলাকায় একটি দূর পাল্লার কোচ এবং ট্রাকসহ পাঁচটি যানবাহন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়।
সম্প্রতি রাস্তাটি নির্মাণের সময় কিছু স্থানে অতিমাত্রায় বিটুমিনাস দেওয়ায় বৃষ্টির পানিতে পিচ্ছিল হওয়ায় দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এর আগেও রাস্তার ওই অংশে একাধিকবার দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে ত্রুটিপূর্ণ রাস্তার কারণে একের পর এক দুর্ঘটনার প্রতিবাদে গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন স্থানীয়রা।
পুনরায় মেরামতের আশ্বাসের পর অবরোধ তুলে নেন তারা।
আরও পড়ুন: কুর্মিটোলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ভাই ও বোনের মৃত্যু
গাইবান্ধায় সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ভোলায় বিয়ের অনুষ্ঠানে বরের কাছে টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষ, কনেসহ আহত ১৫
ভোলায় বিয়ে বাড়িতে গেটে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়ে বরযাত্রীদের কাছে ৫ হাজার টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে কনে, তার বাবা ও শ্বশুরসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটির ফলে পন্ড হয়ে গেছে আয়োজনটি।
শুক্রবার (৩০ জুন) দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার জামিরালতা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
স্থানীয়রা জানান, ভোলার মুসলিম পাড়া এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে শরিফের সঙ্গে জামিরালতা এলাকার হারুন মিয়ার মেয়ে নুপুরের দু’মাস আগে বিয়ে হয়। শুক্রবার দুপুরে জামিরালতায় মেয়ের বাড়িতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বরকে অভ্যর্থনা জানাতে গেটে লাল ফিতা কেটে ভেতরে বরসহ অতিথিদের প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়। এ সময় বরের কাছে ৫ হাজার টাকা চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটিসহ হট্টগোল বাধে। এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংর্ঘষ, মারধরসহ চেয়ার-টেবিল, আসবাবপত্র ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
অতিথি আপ্যায়নের জন্য দুপুরের খাবার ফেলে দেয়া হয়। এতে করে নুপুর, তার বাবা হারুন, বরের বাবা জাকির হোসেনসহ দুই পক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছে।
এদের মধ্যে কনেসহ গুরুতর ৯ জনকে ভোলা ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ভোলা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিন ফকির জানান, বিয়ে বাড়িতে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তবে এখনও কেউ অভিযোগ দেয়নি।
আরও পড়ুন: ভোলায় ধান রোপন নিয়ে দুই পক্ষের সংর্ঘষে নিহত ১
চট্টগ্রামে পুলিশের সাথে বিএনপি সংর্ঘষ, আটক ৪৪