উদ্ধার
বগুড়ায় মাদরাসা শিক্ষকের লাশ উদ্ধার
বগুড়ার কাহালুতে আব্দুল মোমিন নামে এক মাদরাসা শিক্ষকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) কাহালু থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে।
মৃত আব্দুল মোমিন কাহালু উপজেলার বিরকেদার ইউনিয়নের অবিলম্ব গ্রামের মৃত মমতাজ আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে কৃষি ব্যাংকের ছাদ থেকে নৈশপ্রহরীর হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার
কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম রেজা জানান, আব্দুল মোমিনের লাশ হাফেজিয়া মাদরাসার বারান্দার গ্রিলের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তবে কী কারণে এ ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি।
তিনি আরও জানান, পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে আব্দুল মোমিনের ভাই মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে কাহালু থানায় একটি ইউডি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ফুটপাত থেকে নারীর লাশ উদ্ধার
বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি: আরও একজনের লাশ উদ্ধার
সিলেটে আরও একটি মর্টার শেল উদ্ধার
সিলেটের গোয়াইনঘাটে চার দিনের ব্যবধানে আরও একটি পরিত্যক্ত মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে উপজেলার মধ্যজাফলং ইউনিয়নের বাউরভাগ হাওর এলাকা থেকে এটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার বাউরভাগ হাওরের দক্ষিণপাড়া এলাকায় এক ব্যক্তি নদী পারাপারের সময় নদীর মধ্যবর্তী স্থানে তার পায়ে লোহার স্পর্শ লাগে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিএসআরএমের কারখানা থেকে ২টি মর্টার শেল উদ্ধার
তিনি লোহার বস্তুটি তুলে পরিষ্কার করে পাড়ে এনে দেখেন তা একটি মর্টার শেল। পরে স্থানীয়রা থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সাধারণ মানুষকে মর্টার শেল থেকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দেয়।
স্থানীয়দের ধারণা, এটি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের মর্টার শেল হতে পারে।
সিলেটের গোয়াইনঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী হাসান সুমন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মর্টার শেল থেকে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনে। বর্তমানে পুলিশ সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাফলং থেকে পরিত্যক্ত মর্টার শেল উদ্ধার
মিয়ানমার থেকে আর কোনো মর্টার শেল বাংলাদেশে পড়বে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রবাসী বন্ধুর প্রতারণা, ২৩ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করল পুলিশ
কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। অবশেষে পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার হল সেই স্বর্ণালঙ্কার। ফেরত দেওয়া হলো প্রকৃত মালিককে।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন এক সঙ্গে সৌদি আরবে থাকার কারণে বন্ধুত্ব গড়ে উঠে মানিকগঞ্জের বাবুল মিয়ার সঙ্গে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার বসতনগর গ্রামের মো. সাইমন উদ্দিনের।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পুলিশ সেজে পুলিশের সঙ্গেই প্রতারণা, গ্রেপ্তার ১
সম্প্রতি ছুটি নিয়ে সাইমন সীতাকুণ্ডে আসার সময় বন্ধু বাবুল মিয়া তাকে দিয়ে বাড়ির জন্যে ২৩ ভরি স্বর্ণালংকার পাঠায়।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সাইমন দেশে ফিরে প্রতারণা করেন। দেশে ফিরেই তিনি তার মোবাইল বন্ধ করে রাখেন। স্বর্ণগুলো বাবুল মিয়ার পরিবারকে না দিয়ে নিজের কাছে রেখে দেন।
বিষয়টি বুঝতে পেরে বাবুল মিয়ার ভাই আব্দুল খালেক চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।
জিডির পরিপ্রেক্ষিতে সীতাকুণ্ড থানার একটি টিম শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) অভিযান পরিচালনা করে তথ্যপ্রযুক্তি ও গোয়েন্দা তথ্যর ভিত্তিতে সাইমন উদ্দিনের কাছ থেকে ১২টি স্বর্ণের চুড়ি ও একটি স্বর্ণের বারসহ ২৩ ভরি স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে।
পরে তা বাবুল মিয়ার ভাই খালেককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনার বিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন পিপিএম বলেন, বাদী আব্দুল খালেক সাইমন উদ্দিনের বিরুদ্ধে কোনো মামলা মোকদ্দমা করতে রাজি না হওয়ায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
আরও পড়ুন: মাস্টারকার্ড ও ভিসা কার্ড প্রতারণা চক্রের ২ সদস্য গ্রেপ্তার
ই-অরেঞ্জের প্রতারণা: ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
জাফলং থেকে পরিত্যক্ত মর্টার শেল উদ্ধার
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় মধ্য জাফলং ইউনিয়নের পিয়াইন নদীর তীর থেকে একটি পরিত্যক্ত মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বালতি দিয়ে বালু উত্তোলনের সময় বারকি শ্রমিকের হাতে মর্টার শেলটি লাগে।
পরে দুইজন শ্রমিক মর্টার শেলটি উদ্ধার করে নদীর পাড়ে নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: হিলিতে ধানের জমি থেকে পরিত্যক্ত মর্টার শেল উদ্ধার
স্থানীয়রা জানান, পিয়াইন নদীর এলাকায় বালতি দিয়ে বালু তুলছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। এ সময় এক শ্রমিকের হাতে শক্ত কিছু একটা লাগে। পরে বস্তুটি উঠিয়ে নদীর পাড়ে এনে দেখা যায়, সেটি মর্টার শেল। পরে শ্রমিকরা গোয়াইনঘাট থানা-পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মর্টার শেলটি উদ্ধার করে।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মর্টারসেলটি থেকে জনগণকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে আসেন। বর্তমানে একদল পুলিশ এখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন।
ওসি বলেন, পিয়াইন নদীতে বালতি দিয়ে বালু তোলার সময় শ্রমিকরা একটি মর্টার শেল দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। শেলটি উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মিয়ানমার থেকে আর কোনো মর্টার শেল বাংলাদেশে পড়বে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সীতাকুণ্ডে বিএসআরএমের কারখানা থেকে ২টি মর্টার শেল উদ্ধার
শাহ আমানত বিমানবন্দে ওমান ফেরত উড়োজাহাজ থেকে ৬৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার
চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ওমান ফেরত উড়োজাহাজের সিটের নিচ থেকে ৬৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। প্রায় সাড়ে ৭ কেজি ওজনের এসব বারের বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ৯টায় ওমান থেকে আসা ওমান এয়ারের একটি উড়োজাহাজ থেকে এসব স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তসলিম আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিমানবন্দরের কর্মরত শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে উড়োজাহাজটির সিটের নিচ থেকে ৬৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে ৪টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ২
যার ওজন প্রায় সাড়ে ৭ কেজি এবং বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৬ কোটি টাকা বলে জানান তিনি।
বিমাবন্দরে দায়িত্বরত কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আল আমিন প্রধান বলেন, রাতে ওমান এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজে স্বর্ণের বড় চালান আসবে এমন গোপন সংবাদের ভিক্তিতে গোয়েন্দা টিম প্রস্তুত ছিল। বিমানটির ২৫বি নম্বর আসনে এই সোনা থাকতে পারে তথ্য ছিল। উড়োজাহাজটির সিটের নিচে কালো স্কচটেপে মোড়ানো ৪টি দণ্ডাকৃতির বস্তু পাওয়া যায়। এগুলো খুলে ৬৪টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারের পর বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন স্বীকৃত স্বর্ণকার দিয়ে এসব পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় এসব ২৪ ক্যারেটের সোনা বলে নিশ্চিত হন কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে ১০টি স্বর্ণের বার জব্দ, আটক ৩
ঢাকা বিমানবন্দর থেকে ৩.৪৯ কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ১
সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় একদিনের ব্যবধানে ২ লাশ উদ্ধার
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় এক দিনের ব্যবধানে ২ জনের লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে।
উপজেলার মোগলাবাজারের সোনারগাঁও আবাসিক এলাকার লালমাটিয়া ও কুচাই এলাকা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার মোগলাবাজারের সোনারগাঁও আবাসিক এলাকায় একটি গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় অজ্ঞাতনামা এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে খাল থেকে অজ্ঞাত লাশ উদ্ধার
পরে উদ্ধার হওয়া লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোগলাবাজার থানাধীন কুচাই এলাকায় সাবের হোসেনের কলোনির বাসিন্দা মো. মইজ উদ্দিনকে (৭০) কলোনির পাশে একটি পুকুর থেকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
মইজ উদ্দিন কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ঘুপদীঘি এলাকার এলাহী বক্সের ছেলে।
লাশ দুটি উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোশারফ হোসেন বলেন, উদ্ধার হওয়া দুই জনের লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: বাবার লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিলেন ছেলে
সিরাজগঞ্জে ধানখেত থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার, সৎ বাবাসহ গ্রেপ্তার ২
সিরাজগঞ্জে ধানখেত থেকে শিশুর লাশ উদ্ধার, সৎ বাবাসহ গ্রেপ্তার ২
সিরাজগঞ্জে নিখোঁজ শিশু সানজিদা খাতুনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় সৎ বাবা ও প্রতিবেশী মামাকে গ্রেপ্তারের পর তাদের দেওয়া তথ্যমতে বৃহস্পতিবার সকালে থানার ওলিদহ পশ্চিমপাড়া গ্রামের ধানখেত থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
শিশু সানজিদা (৯) আমসড়া গ্রামের শাহিনের মেয়ে। প্রতিবেশী মামা শরিফুল ওলিদহ গ্রামের মো. নুরালের ছেলে ও সৎ বাবা হাসমত আলী একই গ্রামের আবু হানিফের ছেলে।
আরও পড়ুন: আশুলিয়ায় তালাবদ্ধ ঘরে আগুনে পুড়ে শিশুর মৃত্যু
সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, প্রথম স্বামী শাহিনের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর শরিফুলকে বিয়ে করেন নিহত সানজিদার মা জরিনা খাতুন। তিনি ছিলেন শরিফুলের চতুর্থ স্ত্রী। পারিবারিক দ্বন্দ্বের জের ধরে দেড় মাস আগে জরিনা বাবার বাড়ি চলে যান। শরিফুল তাকে ফিরিয়ে আনতে অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
তিনি আরও জানান, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি মাদরাসায় যাবার পথে সানজিদাকে অপহরণের চেষ্টা করেন হাসমত ও শরিফুল। কিন্তু শিশুটি চিৎকার করলে তাকে গলা টিপে হত্যার পর কবরস্থানের জঙ্গলে লাশ ফেলে রেখে যায় তারা। এরপর ওই দিন রাতেই তারা লাশ পাশের একটি ধানখেতে পুঁতে রাখেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে নিখোঁজের ১০ দিন পর শিশুর বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
এদিকে, খোঁজাখুঁজির পরও সানজিদার সন্ধান না পেয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন জহুরুল ইসলাম।
ওসি জানান, জিডি হওয়ার পর অনুসন্ধান চালিয়ে তাদের দুইজনকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ তারা শিশু হত্যার কথা স্বীকার করে। এরপর তাদের দেওয়া তথ্যমতে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: জাপানি ২ শিশুর বিষয়ে যে রায় দিলেন হাইকোর্ট
চাঁদপুরে বস্তি থেকে কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে রেলওয়ে বস্তির একটি ঘর থেকে কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আবদুর রশিদ বলেন, কিশোরের নাম মো. খলিল। তার মূল বাড়ি নেত্রকোণা জেলার কেন্দুয়া থানায়। সে মৃত ছিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। খলিল তার মা সাফিয়া খাতুনের সঙ্গে হাজীগঞ্জের বস্তিতে থাকত।
মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে পৌরসভাধীন মকিমাবাদ গ্রামের চাঁদপুর-কুমিল্লা রেললাইনের পাশে অবস্থিত বস্তির একটি ঝুপড়ি ঘর থেকে গলায় গামছা পেঁচানো ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করা হয়।
প্রতিবেশী শরীফা বেগম জানান, তার মা সাফিয়া বেগম ভিক্ষা করে ছেলেকে নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনিসহ খলিলের মা ভিক্ষা করে নিজ নিজ ঘরে ফেরেব। এরপরই তিনি সাফিয়া বেগমের চিৎকার শুনে ওই ঘরে ছুটে যান।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় প্রবাসীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বজনদের দাবি হত্যা
এ সময় তিনি দেখেন ঝুপড়ি ঘরে গলায় গামছা দিয়ে পেঁচানো খলিলের ঝুলন্ত লাশ।
খবর পেয়ে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ চাঁদপুর রেলওয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে হাজীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সহিদুল হাসান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে খলিলের লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন সম্পন্ন করেন এবং লাশ থানা হেফাজতে নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার ওসি বলেন, কিশোরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য আগামীকাল বুধবার সকালে চাঁদপুর সদর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। তদন্তপূর্বক পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বাবা-ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
শরীয়তপুরে ছাত্রলীগ নেত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সুন্দরবনের খাল থেকে মৃত বাঘ উদ্ধার
সুন্দরবনের খাল থেকে একটি মৃত বাঘ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে শরণখোলা উপজেলাধীন সুন্দরবনের কচিখালী এলাকার একটি খাল থেকে বাঘটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
তবে বাঘটি কি কারণে মারা গেছে তা জানাতে পারেনি বন বিভাগ। মৃত্যুর কারণ জানতে মঙ্গলবার বনের কচিখালী কার্যালয়ে বাঘটির ময়নাতদন্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে গত ৫ বছরে বাঘের সংখ্যা বেড়েছে
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে জানান, বাঘের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করা হবে। এছাড়া বাঘটির শরীরে কোন আঘাত বা গুলির চিহৃ পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর বাঘটির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে বন কর্মকর্তার ধারণা করছেন যে- বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে বাঘটি।
বাগেরহাট জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা. ছাহেব আলী জানান, মোড়েলগঞ্জ ও শরণখোলা উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা সুন্দরবনের কচিখালী স্টেশনে গিয়ে মৃতবাঘটির ময়নাতদন্ত করেছে। সংগ্রহ করা বাঘের বিভিন্ন নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বাঘের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে বাঘ সংরক্ষণ প্রকল্প, ব্যয় হবে প্রায় ৩৬ কোটি টাকা
সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মুহাম্মদ নুরুল করিম জানান, খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করার পর বাঘটির ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর বাঘের মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এর আগে ২০২২ সালের ২৮ জানুয়ারি সুন্দরবনের দুবলার চরের কাছে রুপার খাল থেকে মৃত অবস্থায় একটি বাঘ উদ্ধার করেছিল বন বিভাগ।
২০২১ সালের মার্চে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ভোলা নদীর ধনচেবাড়িয়ার চর থেকে মৃত অবস্থায় একটি বাঘ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে আরও গবেষণা প্রয়োজন: ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কমিটি
এর আগে ২০২০ সালের জুলাই মাসে মাত্র সাড়ে পাঁচ মাসের ব্যবধানে সুন্দরবন পূর্ব এবং পশ্চিম বিভাগের আওতাধীন এলাকায় বনে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল দুইটি বাঘ। পরে বন বিভাগের সদস্যরা ওই মৃত বাঘ দু’টি উদ্ধার করে।
নাটোরে অপহরণের ৪ দিন পর স্কুলছাত্রী উদ্ধার, বাবা-ছেলে গ্রেপ্তার
নাটোরের বাগাতিপাড়া থেকে অপহৃত স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ জনকে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয় এবং তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- অন্তর আহমেদ (১৯) ও তার বাবা আতাহার আলী (৪৫)।
নাটোর র্যাব ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি সনজয় কুমার সরকার জানান, প্রেমের প্রস্তাবে প্রত্যাক্ষাত হয়ে ৮ ফেব্রুয়ারি বাগাতিপাড়া উপজেলার রহিমানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রীকে প্রাইভেট পড়তে যাওয়ার সময় অপহরণ করে অন্তর ও তার সহযোগীরা।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় মামলা হলে বাদী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে অভিযানে নামে র্যাব। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গত রাতে নাটোর শহরের বড় হরিশপুর এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার করা হয় ওই ছাত্রীকে। সেখান থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বাবা-ছেলেকে।
তাদেরকে বাগাতিপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হবে বলে জানান এএসপি।
আরও পড়ুন: নাটোর বিআরটিএ কার্যালয়ে দুদকের অভিযান
নাটোরে কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড