প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
ঢাকার উদ্দেশে জোহানেসবার্গ ত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা
দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকার উদ্দেশে জোহানেসবার্গ ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ২২-২৪ আগস্ট জোহানেসবার্গে অনুষ্ঠিত ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট শনিবার দুপুর ২টায় (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা) জোহানেসবার্গের ওআর তাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ২ ঘণ্টা যাত্রাবিরতির পর ফ্লাইটটি রবিবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
ব্রিকস ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) জোহানেসবার্গে পৌঁছান শেখ হাসিনা। জোটটির সদস্য রাষ্ট্র হচ্ছে- ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা।
আরও পড়ুন: ব্রিকসকে বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতার দায়িত্ব নিতে হবে: জোহানেসবার্গে প্রধানমন্ত্রী
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা এবং দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা সম্মেলনে যোগ দেন।
২৩ আগস্ট বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 'বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড বিজনেস সামিট' এ প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।
একই দিনে আফ্রিকার দেশগুলোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের আয়োজিত 'বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূত সম্মেলনে' বক্তব্য রাখেন তিনি।
বিকালে হোটেল হিলটন স্যান্ডটনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সন্ধ্যায় তিনি ব্রিকস ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও 'রাষ্ট্রীয় ভোজসভায়' যোগ দেন।
প্রধানমন্ত্রী ২৪ আগস্ট ৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে 'ব্রিকস-ফ্রেন্ডস অব ব্রিকস লিডারস ডায়ালগ' (ব্রিকস-আফ্রিকা আউটরিচ অ্যান্ড ব্রিকস প্লাস ডায়ালগস) অনুষ্ঠানে 'নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব ব্রিকস'-এর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে ভাষণ দেন।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে বিদেশি নেতারা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন: মোমেন
একই দিনে স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে শেখ হাসিনা এবং ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট ফিলিপে জ্যাকিন্টো নিউসি, তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট ড. সাইমা সুল্লুহু ও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
একই স্থানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট দিলমা ভানা রুসেফের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বৈঠকের সময় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
সফরকালে প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ আফ্রিকায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: আজ ঢাকার উদ্দেশে জোহানেসবার্গ ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী
ব্রিকস সম্মেলনে বিদেশি নেতারা প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন: মোমেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও জোরদারে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের এক ফাঁকে আফ্রিকার ৩ দেশসহ ৪ দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা পারস্পরিক স্বার্থে আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করতে চাই।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা পারস্পরিক স্বার্থে বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ‘লুটেরাদের’ ক্ষমতায় আসতে দেবেন না: দ. আফ্রিকায় প্রবাসীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
বুধবার স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে শেখ হাসিনা ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট ফিলিপে জ্যাকিন্টো নিউসি, তানজানিয়ার প্রেসিডেন্ট ড. সাইমা সুল্লুহু এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
একই স্থানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট দিলমা ভানা রুসেফের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৫ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ব্রাজিল সফরের আমন্ত্রণ জানান।
শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বাংলাদেশের ব্যাপক উন্নয়ন ব্যক্তিগতভাবে দেখার জন্য আবারও বাংলাদেশ সফরের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কারণ, ৩০ বছর আগে তিনি যখন বাংলাদেশের যশোর সফর করেছিলেন, তখন দেশটি খুবই দরিদ্র ছিল।
তিনি বলেন, ‘আপনি যে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন তা দেখতে আমি বাংলাদেশ সফর করতে চাই।’
আরও পড়ুন: ব্রিকসকে বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতার দায়িত্ব নিতে হবে: জোহানেসবার্গে প্রধানমন্ত্রী
মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট ফিলিপে জ্যাকিন্টো নিউসির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দেশটির কাছ থেকে বৃহত্তর পরিসরে বিশেষ করে ফার্মাসিউটিক্যালসে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট দিলমা ভানা রুসেফ বাংলাদেশকে বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়নের প্রকল্পে সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করে বলেছেন, বিশ্বব্যাংক ইতোমধ্যে বাংলাদেশে দুটি উন্নয়ন প্রকল্পে ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে পারি যে আমি যতদিন ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট থাকব ততদিন বাংলাদেশ নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কাছ থেকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে।’
ব্রিকসের বর্তমান সভাপতি দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে ২২ আগস্ট ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে জোহানেসবার্গে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: গ্লোবাল সাউথে পরিবর্তনের প্রতিনিধি হতে হবে মেয়েদের: ব্রিকস মধ্যাহ্নভোজে প্রধানমন্ত্রী
ব্রিকস প্লাস ডায়ালগের এক ফাঁকে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো এর আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, উগান্ডার ভাইস প্রেসিডেন্ট, দক্ষিণ আফ্রিকার উপ-প্রধানমন্ত্রী, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রীও শেখ হাসিনার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে জোহানেসবার্গে আসা রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের সঙ্গে ফটোসেশনেও যোগ দেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত হওয়ার যাত্রায় যোগ দিন: দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যবসায়ীদের প্রধানমন্ত্রী
ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে জোহানেসবার্গ পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে পৌঁছেছেন।
প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার ঐতিহাসিক ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা। কোভিড-১৯ মহামারির উত্থান এবং পরবর্তী বিশ্বব্যাপী বিধিনিষেধের পরে এটিই হবে প্রথম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলন, যা সশরীরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ বিশ্ব নেতারা আফ্রিকার দেশটি সফর করছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসার আমন্ত্রণে সম্মেলনে যোগ দিতে তারা ২২ থেকে ২৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকা সফর করছেন।
আরও পড়ুন: ১৫তম ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে দ. আফ্রিকা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায় এবং স্থানীয় সময় রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৩৫ মিনিটে) জোহানেসবার্গের ওআর তাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
জোহানেসবার্গ যাওয়ার পথে তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক ঘণ্টারও বেশি যাত্রাবিরতি করেন।
বিমানবন্দর থেকে শেখ হাসিনাকে রেডিসন ব্লু হোটেল স্যান্ডটনে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী ২৩ আগস্ট সকাল ১০টায় রেডিসন ব্লু হোটেল অ্যান্ড কনভেনশন সেন্টারে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 'বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড বিজনেস সামিট'-এ প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন।
একই দিন দুপুর সাড়ে ১২টায় প্যালেস অব রেসিডেন্সের রিভোনিয়া সপ্তম তলায় আফ্রিকার দেশগুলোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের আয়োজিত 'বাংলাদেশ দূত সম্মেলনে' বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী।
বিকালে হোটেল হিলটন স্যান্ডটনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী জোহানেসবার্গের গ্যালাঘের এস্টেটে ব্রিকসের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ও দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট আয়োজিত একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও 'রাষ্ট্রীয় ভোজসভায়' যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: ব্রিকস সম্মেলনে যোগ দিতে মঙ্গলবার ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ২৪ আগস্ট সকাল ৯টায় স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে ৭০টি দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে 'ব্রিকস-ফ্রেন্ডস অব ব্রিকস লিডারস ডায়ালগ' (ব্রিকস-আফ্রিকা আউটরিচ ও ব্রিকস প্লাস ডায়ালগ) এ 'নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক অব ব্রিকস'-এর সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের পক্ষে ভাষণ দেবেন।
একই দিন শেখ হাসিনা স্যান্ডটন কনভেনশন সেন্টারে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা, মোজাম্বিকের প্রেসিডেন্ট ফিলিপে জ্যাকিন্টো নিউসি এবং নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট দিলমা ভানা রুসেফের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৪ আগস্ট কমিউনিটি নেতৃবৃন্দের একটি সভায় যোগ দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী ২৬ আগস্ট স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে দেশের উদ্দেশে জোহানেসবার্গের ওআর তাম্বো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করবেন।
দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতির পর ২৭ আগস্ট সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য: প্রধানমন্ত্রীকে সারাহ কুক
প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০০৯ সাল থেকে প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট সব দুর্যোগ মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
এখানে টানা ২০০৯ সাল থেকে একটি গণতান্ত্রিক সরকার রয়েছে। দেশে স্থিতিশীলতা প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মানবসৃষ্ট দুর্যোগ,অগ্নিসংযোগসহ সহিংসতার মতো অনেক কিছু মোকাবিলা করেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
রবিবার (২০ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ভবন ও তথ্য কমিশন ভবন নামে নবনির্মিত দু’টি বহুতল অফিস ভবন উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ১৫ তলা বিটিআরসি ভবন ও ১৩ তলা তথ্য কমিশন ভবন উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল রুট ২০ অক্টোবর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী
এ ছাড়া শেখ হাসিনা রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের জন্য একটি বহুতল নতুন কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য বিএফডিসি কমপ্লেক্সের ভিত্তিপ্রস্তর উন্মোচন করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে সেবা করার সুযোগ করে দেওয়ায় বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
এক একর জমিতে বিটিআরসি ভবন এবং শূন্য দশমিক ৩৫ একর জমিতে তথ্য কমিশন ভবন নির্মাণ করা হয়।
এ সময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রওশন এরশাদ
বিএনপি-জামায়াতের পেছনে কোনো বৈশ্বিক শক্তি নেই: প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত জোটের পেছনে কোনো বৈশ্বিক শক্তি নেই বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘তারা দাবি করেছে তারা (বৈশ্বিক ক্ষমতা) আছে। কোন শক্তি তাদের সঙ্গে আছে? আমরা জানতে চাই। তাদের সঙ্গে কোনো (এরকম বৈশ্বিক) শক্তি নেই। কেউ লুটেরাদের পাশে নেই।’
শনিবার (১২ আগস্ট) শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির (এএলসিডব্লিউসি) বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বিএনপি-জামায়াত চক্র সম্পর্কে জনগণকে সতর্ক করে বলেন, তারা আবার ক্ষমতায় আসলে দেশ ও গণতন্ত্র ধ্বংস করবে।
তিনি বলেন, বিএনপি ও জামায়াতের ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তারা দেশে গণতন্ত্র রাখতে পারবে না, তারা দেশকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে।
আরও পড়ুন: ৬ দফা দাবিতে হরতাল সফলের নেপথ্যে ছিলেন বঙ্গমাতা: প্রধানমন্ত্রী
তিনি ঘাতক, সন্ত্রাসী, জঙ্গি, গ্রেনেড হামলাকারী, ১০ ট্রাক আগ্নেয়াস্ত্র চোরাকারবারি-বিএনপির বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান।
যুদ্ধাপরাধী, বুদ্ধিজীবীদের খুনি, ধর্ষক ও লুটেরা-জামায়াতের বিরুদ্ধে জনগণকে সতর্ক থাকতেও বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বিএনপির ১৯৯১-৯৬ এবং ২০০১-০৬ শাসনামলকে অন্ধকারের যুগ হিসেবে বর্ণনা করেন।
বিএনপি ক্ষমতায় এলে দেশ আবার অন্ধকারের যুগে ফিরে যাবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
তিনি আওয়ামী লীগ সরকারকে অপসারণ এবং পরবর্তী নির্বাচনের আগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রচেষ্টার জন্য বিএনপির কঠোর সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, বিএনপি ভোট কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার কারণে জনগণ তাদের ক্ষমতায় ফিরে আসতে বাধা দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি প্রহসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৬ সালের ৩০মে বিএনপি সরকার থেকে পদত্যাগ করে।
শেখ হাসিনা জানান, তার দল দেশের গণতন্ত্র রক্ষা করেছে এবং ক্ষমতায় ফেরার জন্য তাদের কারচুপি করার কোনো দরকার নেই।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশ ও জনগণের কল্যাণে কাজ করে এবং এভাবেই তাদের মন জয় করে। ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য ভোট কারচুপির প্রয়োজন হয় না।’
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াত সহিংসতা ছাড়া কিছুই বোঝে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী ২০২৬ সালের মধ্যে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে দেশের মর্যাদা নিশ্চিত করতে আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাংলাদেশে একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য বিএনপির দাবিকে প্রত্যাখান করে তিনি প্রশ্ন করেন, ‘কেন খালেদা জিয়া ১৯৯৬ সালে এই ব্যবস্থা প্রত্যাখ্যান করে বলেছিলেন যে শুধুমাত্র পাগল ও শিশুরা নিরপেক্ষ?’
বিএনপি কি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের জন্য পাগল ও শিশুদের খুঁজে পেয়েছে?
বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও কাজী জাফরুল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আল-কায়েদার হাতে অপহৃত জাতিসংঘের বাংলাদেশি কর্মকর্তার সাক্ষাৎ
পাবনার ৯০ বছর বয়সী বৃদ্ধাকে বাড়ি দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
৯০ বছর বয়সে সুন্দরী বেগম ঘুরে বেড়ান কাঠের লাঠির সাহায্যে। গত বছর পর্যন্ত সুন্দরীর এমন কোনো বাড়ি ছিল না যাকে তিনি নিজের বলতে পারবেন। তার এক ছেলে, এক মেয়ে ও নাতি-নাতনিদের নিয়ে প্রতিবেশির একটি ভাঙা বাড়িতে থাকতেন।
পাবনা সদর ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় গত বছর তাকে একটি বাড়ি ও এক টুকরো জমি দেওয়া হলে তার পরিবারের সংকটের অবসান ঘটে।
সুন্দরী বেগম বলেন, ‘যেহেতু আমি বাড়ি পেয়েছি, তাই কেউ আমাকে গৃহহীন বা নিঃস্ব বলতে পারবে না। (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) আমাকে বাড়িটি দিয়েছেন বলে আমি অনেক খুশি’। আল্লাহ তাকে দীর্ঘায়ু দান করুন।
২০২০-২১ অর্থবছরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষ উদযাপনের পর থেকে প্রকল্পটি হাজার হাজার দরিদ্র মানুষকে জমি ও আশ্রয় দিয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী ২২ হাজার পরিবারকে বিনামূল্যে বাড়ি-জমি দেবেন বুধবার
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় আরও ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা করার পর আরও ২২ হাজার ১০১ জন এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে আধা-পাকা ঘর বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
দেশের ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলা নিয়ে এ পর্যন্ত ২১টি জেলা ও ৩৩৪টি উপজেলা গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারমুক্ত হয়েছে।
দেশের বিভিন্ন জেলায় ২২ হাজার ১০১টি বাড়ির চাবি ও দুই শতক জমির মালিকানার দলিল পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব বাড়িতে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার মানুষকে পুনর্বাসন করা হচ্ছে।
মুজিববর্ষের পর ষষ্ঠবার ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর বিতরণকালে প্রধানমন্ত্রী তিনটি স্থানের উপকারভোগী ও স্থানীয় জনগণের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
এই তিনটি স্থান হলো- খুলনার তেরোখাদা উপজেলার বারাসত সোনার বাংলা পল্লী আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট, পাবনার বেড়া উপজেলার চাকলা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প সাইট এবং নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার আমানউল্লাহপুর আশ্রয়ণ প্রকল্প সাইট।
মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, শেরপুর, দিনাজপুর, নওগাঁ, নাটোর, পাবনা, কুষ্টিয়া, পিরোজপুর ও ঝালকাঠি এই ১২টি জেলা ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারমুক্ত হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: আরও ১২ জেলা ও ১২৩ উপজেলাকে গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী
ইয়েমেনে আল-কায়েদার হাতে অপহৃত বাংলাদেশি জাতিসংঘ কর্মকর্তা উদ্ধার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ নির্দেশে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইয়েমেনে আল-কায়েদার হাতে অপহৃত জাতিসংঘের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুফিউল আনামকে উদ্ধার করেছে জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)। তিনি শারীরিকভাবে সুস্থ আছেন।
বুধবার তাকে দেশে আনা হতে পারে এবং তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
২০২২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘে কর্মরত লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুফিউল আনামকে ইয়েমেনের মুদিয়াহ প্রদেশ থেকে অপহরণ করে আল-কায়েদার সদস্যরা এবং মুক্তিপণ হিসেবে ৩ মিলিয়ন ডলার দাবি করে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি জাতিসংঘ কর্মকর্তা অপহৃত: সরকার-জাতিসংঘের কাছে মুক্তির আর্জি স্বজনদের
সুফিউল আনাম তাকে উদ্ধার করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন।
এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘আমি ভালো আছি। আমি সব মেডিকেল টেস্ট করিয়েছি। আমি আমার ও আমার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি এনএসআই-এর কাছে কৃতজ্ঞ। সরকার ও এনএসআই উদ্ধার করার জন্য অনেক কিছু করেছে।’
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সুদানে অপহৃত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী উদ্ধার
অপহৃত ভারতীয় তরুণীকে উদ্ধার করল এপিবিএন, গ্রেপ্তার ১
বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ খাতে নেদারল্যান্ডসের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ খাতে বিনিয়োগের জন্য নেদারল্যান্ডসকে জায়গা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত অ্যান ভ্যান লিউয়েনকে বলেন, ‘আপনারা (নেদারল্যান্ডস) চাইলে আমরা আপনাদেরকে ড্রাইডকের জন্য জায়গা দিতে পারি।’
বৃহস্পতিবার বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রদূত দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
আরও পড়ুন: রংপুরে ২৭ উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রেস সচিব বলেন, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০, জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যু, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয় আলোচনায় উঠে আসে।
বিদায়ী রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এখানে কাজ করতে পেরে আমি আনন্দিত। বাংলাদেশ আমার হৃদয়ে থাকবে।’
অ্যান ভ্যান লিউয়েন বলেন, ডেল্টা প্ল্যান একটি চমৎকার ধারণা এবং এটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে নেদারল্যান্ডস।
তিনি বলেন, পানি ব্যবস্থাপনা, কৃষি উন্নয়ন ও আইসিটি বিষয়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ উপকৃত হতে পারে। কারণ নেদারল্যান্ডসের এসব খাতে যথেষ্ট দক্ষতা রয়েছে।
নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত আশা প্রকাশ করেন, আগামী দিনগুলোতে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও গভীর ও শক্তিশালী হবে।
আরও পড়ুন: ‘নৌকায়’ ভোট দিয়ে আ. লীগকে আরেকবার সুযোগ দিন: রংপুরের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, নেদারল্যান্ডসের মতো বাংলাদেশও ভূমি পুনরুদ্ধার করতে চায়।
জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে আলোচনার সময় তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মধ্যেও বাংলাদেশকে টিকে থাকতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি আমাদের সাফল্যের সঙ্গে পরিচালনা করতে হবে।’
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে বিপুল সংখ্যক মানুষ মারা গিয়েছিলেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেন এবং পরে তার সরকার এ কর্মসূচির প্রসার ঘটায়।
বৈশ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের মতো দেশগুলো প্রচণ্ড অর্থনৈতিক চাপের মধ্যে রয়েছে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে তারেক-জুবাইদার বিরুদ্ধে দুর্নীতির রায়: বিএনপি
রংপুর পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহাসমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে যোগ দিতে একদিনের সফরে রংপুর পৌঁছেছেন।
বুধবার দুপুর ১টা ১৩ মিনিটে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী একটি হেলিকপ্টার রংপুর সেনানিবাসে অবতরণের পর সার্কিট হাউজে নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানে তিনি রংপুর বিভাগীয় সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তিনি বিকাল ৩টার দিকে রংপুর জিলা স্কুলে মহাসমাবেশে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে, যা আওয়ামী নেতৃবৃন্দের মতে জেলার সর্বস্তরের ১০ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে সবচেয়ে বড় সমাবেশ হবে।
ঢাকা ও রাজশাহীর কর্মীরা নৌকা আকৃতির একটি বিশাল মঞ্চ নির্মাণ করেন যেখানে ৩০০ নেতা-কর্মী একসঙ্গে বসতে পারেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে উৎসবমুখর পরিবেশ রংপুরে
পরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী রংপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ১২ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিশাল জনসভায় ভাষণ দেবেন।
২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর পীরগঞ্জ ও তারাগঞ্জ সফরের পর প্রায় পাঁচ বছর পর রংপুর জেলায় প্রধানমন্ত্রীর সফরকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে কয়েক দিন ধরে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
সাজসজ্জা ও আলোকসজ্জায় পুরো রংপুর নতুন চেহারা ধারণ করেছে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে নগরীর সড়কগুলোও সাজানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: আ. লীগ কখনো জনগণকে ছেড়ে পালায় না: প্রধানমন্ত্রী
জাতির জনক ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত পোস্টারে বেশিরভাগ উঁচু দালান, গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, গোলচত্বর এবং দেয়ালে রঙিন ব্যানার ও ফেস্টুন দেখা যাচ্ছে এবং সড়কে তোরণ ও স্বাগত গেট স্থাপন করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো আজকের সমাবেশকে রংপুরের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ সমাবেশে পরিণত করতে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এর পক্ষে শক্তি ও জনসমর্থন প্রদর্শনে আন্তরিক।
আরও পড়ুন: রংপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে স্মার্ট এভিয়েশন: বিমান প্রতিমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম এভিয়েশন হাবে পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই লক্ষ্যকে সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সবার আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পকে স্মার্ট এভিয়েশন শিল্পে রূপান্তর করা।
আরও পড়ুন: পর্যটন কেন্দ্রে সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
এ ছাড়া এদেশের স্মার্ট এভিয়েশন শিল্প শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সোমবার (৩১ জুলাই) ‘যশোর বিমানবন্দর’র নবনির্মিত টার্মিনাল ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার মানেই দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। দেশ ও জনগণের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, বিনিয়োগ, কৃষি, অবকাঠামো, রাস্তা-ঘাট, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা, এভিয়েশন ও পর্যটনসহ দেশের প্রতিটি খাত উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন জনগণের জীবনমান উন্নত করার পাশাপাশি আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের নীতিগত সমর্থনের কারণে দেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের এভিয়েশন শিল্পের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কারিগরি ও জনদক্ষতা উন্নয়ন এবং সময়োপযোগী আইন ও নীতি প্রণয়নের ফলে দেশের এভিয়েশন শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি লাভ করছে।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন মার্কেট প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের প্রবৃদ্ধি হবে প্রায় তিনগুণ।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের সব বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মানোন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সম্মানিত যাত্রীদের জন্য নিরাপদ ও স্বস্তির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এরই অংশ হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এয়ার ফিল্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং ১৯৬০ সালে অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করা যশোর বিমানবন্দরে গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে।এর অপারেশনাল কার্যক্রমও বেড়েছে বহুগুণ।
তিনি বলেন, নতুন এই টার্মিনাল নির্মাণের ফলে যাত্রীরা বিমান যাত্রায় এখন থেকে আরও উন্নত ও আধুনিক সেবা পাবেন। এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রসারেও ভূমিকা রাখবে এই বিমানবন্দর।
এ ছাড়া এই দৃষ্টি নন্দন ও আধুনিক টার্মিনাল এই এলাকার মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার।
আরও পড়ুন: থার্ড টার্মিনালের ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন: বিমান প্রতিমন্ত্রী
শিগগিরই নিউইয়র্কে বিমানের ফ্লাইট চালু করা হবে: বিমান প্রতিমন্ত্রী