প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখবে স্মার্ট এভিয়েশন: বিমান প্রতিমন্ত্রী
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেছেন, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম এভিয়েশন হাবে পরিণত করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই লক্ষ্যকে সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সবার আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের এভিয়েশন শিল্পকে স্মার্ট এভিয়েশন শিল্পে রূপান্তর করা।
আরও পড়ুন: পর্যটন কেন্দ্রে সবাইকে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে: পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
এ ছাড়া এদেশের স্মার্ট এভিয়েশন শিল্প শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সোমবার (৩১ জুলাই) ‘যশোর বিমানবন্দর’র নবনির্মিত টার্মিনাল ভবন উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার সরকার মানেই দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি। দেশ ও জনগণের উন্নয়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, বিনিয়োগ, কৃষি, অবকাঠামো, রাস্তা-ঘাট, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, শিক্ষা, এভিয়েশন ও পর্যটনসহ দেশের প্রতিটি খাত উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে। বাংলাদেশের এই উন্নয়ন জনগণের জীবনমান উন্নত করার পাশাপাশি আজ সারা বিশ্বে প্রশংসিত হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের নীতিগত সমর্থনের কারণে দেশের এভিয়েশন খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে। শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের এভিয়েশন শিল্পের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, কারিগরি ও জনদক্ষতা উন্নয়ন এবং সময়োপযোগী আইন ও নীতি প্রণয়নের ফলে দেশের এভিয়েশন শিল্প দ্রুত প্রবৃদ্ধি লাভ করছে।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন মার্কেট প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং আগামী ১৫ বছরে বাংলাদেশের এভিয়েশন সেক্টরের প্রবৃদ্ধি হবে প্রায় তিনগুণ।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের সব বিমানবন্দরে যাত্রী সেবার মানোন্নয়ন ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সম্মানিত যাত্রীদের জন্য নিরাপদ ও স্বস্তির পরিবেশ তৈরি করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, এরই অংশ হিসেবে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এয়ার ফিল্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং ১৯৬০ সালে অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর হিসেবে যাত্রা শুরু করা যশোর বিমানবন্দরে গত সাড়ে চৌদ্দ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন কাজ হয়েছে।এর অপারেশনাল কার্যক্রমও বেড়েছে বহুগুণ।
তিনি বলেন, নতুন এই টার্মিনাল নির্মাণের ফলে যাত্রীরা বিমান যাত্রায় এখন থেকে আরও উন্নত ও আধুনিক সেবা পাবেন। এই অঞ্চলের পর্যটন শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যসহ অন্যান্য অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রসারেও ভূমিকা রাখবে এই বিমানবন্দর।
এ ছাড়া এই দৃষ্টি নন্দন ও আধুনিক টার্মিনাল এই এলাকার মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উপহার।
আরও পড়ুন: থার্ড টার্মিনালের ৬০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন: বিমান প্রতিমন্ত্রী
শিগগিরই নিউইয়র্কে বিমানের ফ্লাইট চালু করা হবে: বিমান প্রতিমন্ত্রী
বিএনপির ভয়ঙ্কর অগ্নিসন্ত্রাসের রূপ আমরা আবারও দেখলাম: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণ আবারও বিএনপির ভয়ঙ্কর অগ্নিসন্ত্রাসের রূপ প্রত্যক্ষ করেছে। কারণ বিরোধী দলের কর্মীরা তাদের অবস্থান কর্মসূচির সময় বেশ কয়েকটি বাসে আগুন দিয়েছে।
রবিবার গতকালকে (শনিবার) শহরে বেশ কয়েকটি বাসে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা গতকাল তাদের ভয়ঙ্কর অগ্নিসন্ত্রাসের রূপ আবারও দেখলাম।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চম পর্যায়ে সারা দেশে আরও ৫০টি নবনির্মিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ৫০টি মসজিদের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন
শেখ হাসিনা বলেন যে বিএনপি ইসলামের নামে রাজনীতি করে, কিন্তু ধর্মীয় কাজে তাদের আন্তরিকতা নেই, বিএনপি যা করেছে তা দেখানোর জন্যই করেছে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা তাদের চরিত্র জানেন। তারাতো সন্ত্রাসী। আপনারা গতকালও অগ্নিসংযোগের সহিংসতা দেখেছেন। তারা বেশ কয়েকটি বাস পুড়িয়ে দিয়েছে। ২০১৩ ও ২০১৪ সালেও তারা চলমান বাস, ট্রেন, লঞ্চ, অফিস ও স্কুল জ্বালিয়েছে।’
এ ধরনের সন্ত্রাসীরা যাতে আর দেশের ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
সারা দেশে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ২৫০টি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের শিক্ষার মান উন্নত করুন: প্রধানমন্ত্রী
সমালোচনা-উপহাস সত্ত্বেও দেশকে ডিজিটালে রূপান্তরিত করেছি: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ম ধাপে সারা দেশে আরও ৫০টি নবনির্মিত মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছেন।
সারা দেশে ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ পর্যন্ত ২৫০টি মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে ৫০টি মসজিদের উদ্বোধন করেন।
এর আগে ২০২১ সালের ১০ জুন প্রথম ধাপে, এ বছরের ১৬ জানুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে, ১৬ মার্চ তৃতীয় ধাপে এবং ১৭ এপ্রিল চতুর্থ ধাপে ৫০টি করে মসজিদ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
অবশিষ্ট মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলোতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাসহ অজু ও নামাজের জন্য পৃথক স্থান রয়েছে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া হজযাত্রীদের নিবন্ধন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, গবেষণা কেন্দ্র ও ইসলামিক লাইব্রেরি, অটিজম কর্নার, দাফনের পূর্বে আচার-অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা, গাড়ি পার্কিং সুবিধা, হেফজখানা, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা ও কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা, ইসলামী সাংস্কৃতিক কার্যক্রম ও ইসলামী দাওয়াতের জন্য সম্মেলন কক্ষ, ইসলামিক বই বিক্রয় কেন্দ্র, দেশি-বিদেশি অতিথিদের জন্য বোর্ডিং সুবিধা থাকবে এসব মসজিদে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ইসলামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে প্রধানমন্ত্রী সারা দেশে ৫৬৪টি মডেল মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
প্রকল্পটির উদ্দেশ্য হচ্ছে ইসলামী সংস্কৃতি ও মূল্যবোধ প্রচারের পাশাপাশি চরমপন্থা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে ইসলামের মর্ম বাণী প্রচার করা।
'এ' ক্যাটাগরির আওতায় ৬৪টি জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় লিফট সুবিধা এবং ২ হাজার ৩৬০ দশমিক ০৯ বর্গমিটারের জায়গাসম্পন্ন ৬৯টি চারতলা বিশিষ্ট মসজিদ নির্মাণ করা হচ্ছে।
'বি' ক্যাটাগরিতে ১ হাজার ৬৮০ দশমিক ১৪ বর্গমিটারের জায়গাসম্পন্ন ৪৭৫টি মসজিদ এবং উপকূলীয় এলাকায় 'সি' ক্যাটাগরির ২ হাজার ৫২ দশমিক ১২ বর্গমিটার জায়গাসম্পন্ন ১৬টি মসজিদ নির্মাণ করা হবে।
নতুন ৫০টি মসজিদের মধ্যে রয়েছে মাগুরা জেলা মডেল মসজিদ ও ৪৯টি উপজেলা মডেল মসজিদ।
আরও পড়ুন: দেশীয় টাকায় নির্মাণ হচ্ছে ৫৬০ মডেল মসজিদ: ধর্ম প্রতিমন্ত্রী
৪৯টি উপজেলা মডেল মসজিদ হচ্ছে - গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ ও হোসেনপুর উপজেলা, মানিকগঞ্জের হরিরামপুর ও দৌলতপুর, শরীয়তপুরের ডামুড্যা, টাঙ্গাইল সদর উপজেলা, বগুড়ার আদমদীঘি ও সোনাতলা, নওগাঁর রাণীনগর ও বদলগাছি ও সদর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর, নাটোরের সিংড়া, পাবনার বেড়া, ঈশ্বরদী ও সদর, রাজশাহীর পুঠিয়া ও দুর্গাপুর, গাইবান্ধার পলাশবাড়ী, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, দিনাজপুরের বিরামপুর, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ, খালিয়াজুরী ও সদর, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ, ময়মনসিংহের ত্রিশাল, বরিশাল সদর, ভোলার দৌলতখান, ঝালকাঠির নলছিটি, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল, চাঁদপুরের হাইমচর ও হাজীগঞ্জ, কুমিল্লার নোয়াখালী সদর, নাঙ্গলকোট ও সদর, কক্সবাজার সদর, চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, ফেনীর ছাগলনাইয়া, রাঙামাটির কাউখালী, নানিয়ারচর ও রাজস্থলী, খুলনার ফুলতলা ও পাইকগাছা, মাগুরা সদর, মেহেরপুর সদর ও সিলেটের গোলাপগঞ্জ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কক্সবাজার সদর উপজেলা ও খুলনা জেলার ফুলতলায় আলেম-ওলামা, জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ ও সরকারি কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া সঞ্চালনা করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধর্ম সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।
আরও পড়ুন: সারাদেশে আরও ৫০ মডেল মসজিদের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
২০০টি মডেল মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ
বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমাদের শিক্ষার মান উন্নত করুন: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিক্ষার গুণগত মান আরও উন্নত করার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন হলো শিক্ষার মান আরও উন্নত করা, যাতে আমাদের শিশুরা সমগ্র বিশ্বের সঙ্গে মিলিয়ে চলতে পারে।’
শুক্রবার (২৮ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারি বাসভবন গণভবনে এ বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালি ছেলে-মেয়েরা যথেষ্ট মেধাবী এবং তারা বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে অসামান্য অবদান রাখছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যে শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য যথেষ্ট স্বীকৃতি অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন:
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে আধুনিক প্রযুক্তিগত জ্ঞান ও দক্ষতায় সজ্জিত দেশের জনশক্তি গড়ে তুলতে সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রযুক্তি, কম্পিউটার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বাড়ানো হবে। তাই, আমাদের এই দক্ষতা অর্জনে নজর দিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতের দিকে লক্ষ্য রেখে আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য আমাদের সন্তানদের শিক্ষা, দক্ষতা, চিন্তাভাবনা ও জ্ঞান দিয়ে গড়ে তুলতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।’
অভিভাবকদের তাদের সন্তানদের প্রতি আরও মনোযোগ দিতে এবং মেধা অনুযায়ী তাদের দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আপনার বাচ্চাকে অন্যের বাচ্চার সঙ্গে তুলনা করবেন না, বরং মেধা অনুযায়ী তার দক্ষতা বিকাশ করতে দিন।’
আরও পড়ুন: এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৮০.৩৯ শতাংশ
অভিভাবকদের সন্তানদের শিক্ষার প্রতি আরও আন্তরিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনার সন্তানরা কোথায় যায় এবং তারা কী করে সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার জন্য আমি অনুরোধ করছি।’
প্রধানমন্ত্রী এ বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের অভিনন্দন জানান।
তবে যারা সফল হতে পারেনি, তাদের বিচলিত না হয়ে পরের বারের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার সম্মিলিত ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
পরে ৯টি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ মোট ১১টি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা নিজ নিজ বোর্ডের ফলাফলের পরিসংখ্যান প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর হাতে এসএসসির ফলাফল হস্তান্তর
বিচার বিভাগকে স্মার্ট করতে পদক্ষেপ নিয়েছি: প্রধানমন্ত্রী
৩ দিনের ইতালি সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালিতে ৩ দিনের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন, যেখানে তিনি জাতিসংঘের ফুড সিস্টেমস সামিটে যোগ দিয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি নিয়মিত ফ্লাইট বুধবার দিবাগত রাত (২৭ জুলাই) ১টা ৫০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে তিনি স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট) রোম ফিউমিসিনো বিমানবন্দর ত্যাগ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে ২৩ জুন ইউনাইটেড নেশনস ফুড সিস্টেম সামিট+২ স্টকটেকিং মোমেন্টে (ইউএনএফএসএস+২) যোগ দিতে রোমে যান।
আরও পড়ুন: ইতালি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে রোম ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
২৪-২৬ জুলাই ২০ টিরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানসহ ১৬০টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ২ হাজার অংশগ্রহণকারী ইউএনএফএসএস+২ অংশ নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, 'ফুড সিস্টেমস অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন' শীর্ষক প্লেনারি সেশনে ভাষণ দেন এবং ২৪ জুলাই এফএও সদর দপ্তরে বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষ উদ্বোধন করেন।
জাতিসংঘের ফুড সিস্টেমস সামিটের এক ফাঁকে এফএও সদর দপ্তরে নবনির্মিত বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষে নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন শেখ হাসিনা।
ইতালির কৃষিমন্ত্রী ফ্রান্সেসকো লোলোব্রিজিদা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি এবং বিচারমন্ত্রী কার্লো নর্দিও এফএও সদর দপ্তরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এফএও'র মহাপরিচালক কিউ ডংইউ, আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (আইএফএডি) প্রেসিডেন্ট আলভারো লারিও এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী পরিচালক সিন্ডি হেন্সলি ম্যাককেইন পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচন নয়, দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায় বিএনপি: রোমে প্রধানমন্ত্রী
২৫ জুলাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন। দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে 'জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা' এবং 'সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি' শীর্ষক দু’টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইউরোপের ১৫টি দেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত 'কনফারেন্স অব বাংলাদেশ অ্যাম্বাসেডর ইন ইউরোপ'-এ যোগ দেন।
শেখ হাসিনা ২৫ জুলাই ইতালিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত একটি কমিউনিটি ইভেন্টেও অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিকদের বৈধ অভিবাসনে গুরুত্বারোপ ইতালির প্রধানমন্ত্রীর
বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি নিতে আগ্রহী ইতালি
বাংলাদেশ থেকে আরও জনশক্তি, বিশেষ করে কৃষি ও সেবা খাতে, নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ইতালি।
সোমবার ইতালির রাজধানী রোমে অবস্থিত খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে জাতিসংঘের ফুড সিস্টেমস সামিটের এক ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ইতালির ৩ মন্ত্রী এ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ইতালির কৃষিমন্ত্রী ফ্রান্সেসকো লোলোব্রিজিদা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেদোসি ও বিচারমন্ত্রী কার্লো নর্দিও।
আরও পড়ুন: তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ইতালি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
সোমবার বৈঠকটি সম্পর্কে সাংবাদিকদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, বৈঠকে মন্ত্রীরা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে ইতালি কৃষি ও সেবা খাতে বৈধ উপায়ে আরও কর্মী নিয়োগ দিবে।
তিনি বলেন, তবে ইতালির ভোটাররা তাদের নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বলে অনেক অবৈধ শ্রমিক নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। তাই অবৈধ শ্রমিকদের নিরুৎসাহিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতালির মন্ত্রীদের যেমনটা বলেছেন তা উদ্ধৃত করে তিনি বলেন যে বাংলাদেশও অবৈধ শ্রমিকদের নিরুৎসাহিত করতে চায়।
নথিভুক্ত ও অনিবন্ধিত কর্মীরা ইতালি ও বাংলাদেশ উভয় দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে উল্লেখ করে তিনি অনিবন্ধিত বাংলাদেশি কর্মীদের বৈধতা দেওয়ার জন্য ইতালের সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
মোমেন বলেন, ‘তারা (ইতালি) খুব খুশি যে বাংলাদেশ সরকার বৈধ উপায়ে শ্রমিকদের অভিবাসনে সহায়তা করবে।’
আরও পড়ুন: ইতালির মিলানে ইউএনবি ও এএনএসএ'র মধ্যে সংবাদ বিনিময় চুক্তি সই
জাতিসংঘের ফুড সিস্টেমস সামিটে যোগ দিতে রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৪-২৬ জুলাই রোমে অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘ ফুড সিস্টেমস সামিটে যোগ দিতে জাতিসংঘ মহাসচিবের আমন্ত্রণে ইতালির উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী কাতার এয়ারওয়েজের একটি নিয়মিত ফ্লাইট ভোর ৫টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
ফ্লাইটটি স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে) রোম ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি না করলে অসাধ্য সাধন করা যায়: সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
'সাসটেইন্যাবল ফুড সিস্টেমস ফর পিপল, প্ল্যানেট অ্যান্ড প্রসপারিটি: ডাইভার্স পাথওয়েজ ইন আ শেয়ারড জার্নি' প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে 'ইউনাইটেড ন্যাশনস ফুড সিস্টেমস+২ স্টকটেকিং মোমেন্ট' (ইউএনএফএসএস+২) শীর্ষক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
পূর্বনির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ইতালিতে অবস্থানকালে তিনি ২৫ জুলাই ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
২৪ জুলাই প্রধানমন্ত্রী সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এরপর প্রধানমন্ত্রী এফএও সদর দপ্তরে ফুড সিস্টেমস অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন বিষয়ক প্লেনারি সেশনে যোগ দেবেন, এফএও মহাপরিচালক কিউ ডংইউ; ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড অব এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্টের (ইফাদ) প্রেসিডেন্ট আলভারো লারিও-এর সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা করবেন, এফএও সদর দপ্তরে বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কক্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন এবং একই দিন এফএও মহাপরিচালক আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।
আরও পড়ুন: সেনাবাহিনীতে যোগ্য, বিচক্ষণ কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিন: প্রধানমন্ত্রী
সফরকালে দুই দেশের মধ্যে 'জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা' ও 'সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি' বিষয়ে দু’টি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া ২৫ জুলাই ইউরোপে অবস্থানরত ১৫ জন বাংলাদেশি রাষ্ট্রদূতের অংশগ্রহণে একটি আঞ্চলিক দূত সম্মেলন এবং একটি কমিউনিটি ইভেন্টে যোগ দেবেন শেখ হাসিনা।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান অন্যান্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে রয়েছেন।
শেখ হাসিনা ২৬ জুলাই দেশের উদ্দেশে রোম ত্যাগ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ইতালি যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াত ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি-জামায়াতের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই। তবে তারা কোনো ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি করলে ছাড় দেওয়া হবে না।
২০১৩-২০১৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের সহিংসতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের রাজনীতিতে বাধা দেব না এবং বাধা দিচ্ছি না। তবে তারা যদি আবার রেলে আগুন দেয় বা জনগণের কোনো ক্ষতি করে তবে তারা রেহাই পাবে না।’
বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) আখাউড়া-লাকসাম ডাবল লাইন রেলপথ প্রকল্পের আওতায় নবনির্মিত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনে ট্রেন চলাচলের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার চেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে কুমিল্লার লাকসামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
নবনির্মিত ৭২ কিলোমিটার ডুয়েল গেজ ডাবল লাইনের মাধ্যমে ৩২১ কিলোমিটার দীর্ঘ ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটটি ডাবল লাইনে পরিণত হয়েছে। এতে, এই রুটে ভ্রমণের সময় ৩০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টার সাশ্রয় হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই রুটের সর্বত্র ক্যামেরা থাকবে এবং যেকোনো ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের ক্ষেত্রে অপরাধীদের চিহ্নিত করে যথাযথ শাস্তি দেওয়া হবে।
বিএনপি ও জামায়াতকে সন্ত্রাসী দল আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, তারা ধ্বংস করতে জানে, কিন্তু তারা জানে না কীভাবে কিছু তৈরি করতে হয় বা জনগণের সেবা করতে হয়।
তিনি বলেন, ‘তারা জানে কীভাবে লুট করতে হয়, কীভাবে দুর্নীতি করতে হয় এবং নিজেদের লাভ করতে হয়।’
আরও পড়ুন: দুর্নীতি না করলে অসাধ্য সাধন করা যায়: সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বিএনপি-জামায়াতের হাত থেকে রক্ষা পেতে দেশের জনগণকে সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আমরা চাই তাদের হাত থেকে দেশ রক্ষা পাক।’
লাকসাম থেকে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এদিকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম (লাকসাম-মনোহরগঞ্জের স্থানীয় সংসদ সদস্য), আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক (আখাউড়া-কাশবা আসনের স্থানীয় সংসদ সদস্য) এবং বাংলাদেশে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেলপথ সচিব হুমায়ুন কবীর।
আরও পড়ুন: কলাগাছের তন্তু থেকে তৈরি কলাবতী শাড়ি গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনতে হবে: শিক্ষাবিদদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দরকার স্মার্ট দক্ষ জনশক্তি, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার ও স্মার্ট সমাজ। আমরা বাংলাদেশকে এভাবেই গড়ে তুলতে চাই। এজন্য সর্বাধিক প্রয়োজন শিক্ষা ব্যবস্থায় বৈচিত্র্য আনা।’
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজগুলোর অধ্যক্ষদের জাতীয় সম্মেলন এবং বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন যে তার সরকার তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে চায়।
তিনি উল্লেখ করেন যে সরকার ৩৯টি হাইটেক পার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। যা কম্পিউটার ও ইনকিউবেশন সেন্টারগুলোতে প্রশিক্ষণ, ন্যানো প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার শিক্ষা প্রদান করছে।
আরও পড়ুন: সরকার সব সময় আপনাদের পাশে আছে: ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম যাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারে সেজন্য আমরা এটা করছি। তারা আরও এগিয়ে যেতে পারে এবং তাদের ভবিষ্যত প্রজন্মও একই কাজ করতে পারে।’
তিনি বলেন, সরকার বাংলাদেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে চায়। সেটাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।
শিক্ষার্থীরা যাতে দেশকে স্মার্ট দেশে পরিণত করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে পারে সেজন্য তিনি শিক্ষকদের আরও আন্তরিকতার সঙ্গে পাঠদানের অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি আশা করি আজকের তরুণ প্রজন্মই ভবিষ্যত বাংলাদেশের নেতা হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন যে তার সরকার বিভিন্ন ধরনের মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
বিভিন্ন মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে দেশে অব্যাহত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সঙ্গে একটি স্থিতিশীল সরকার রয়েছে।’
আরও পড়ুন: ক্যান্টিনে কাজ করা ১১ বছরের রাব্বির দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বৃদ্ধি এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অংশীদার হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ে জ্ঞান অর্জনের জন্য তাদের পড়াশোনায় আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশকে এবং দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হবে। দেশের মানুষের প্রতি কর্তব্যপরায়ণতা থাকতে হবে। শুধু নিজেকে নিয়ে থাকলে হবে না। দেশের মানুষ যত উন্নত হবে, তত বেশি তোমরা উন্নত হবে।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিক্ষার্থীরা চালিকাশক্তি হিসেবে নিজেদের প্রস্তুত করবে।
শেখ হাসিনা দেশের শিক্ষার সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে তার সরকারের পদক্ষেপের কথা সংক্ষেপে বর্ণনা করেন।
তিনি বলেন, ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে মানিয়ে নিতে প্রজন্মের পর প্রজন্মকে যোগ্য করে গড়ে তুলতে সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আমরা পিছিয়ে থাকতে চাই না। আমাদের সন্তানরা মেধাবী হওয়ায় বৈশ্বিক শিক্ষার গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে।’
আরও পড়ুন: ঢাকার বাইরেও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা পৌঁছে দিন: প্রধানমন্ত্রী
সরকার সব সময় আপনাদের পাশে আছে: ব্যবসায়ীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্ভাবনী ধারণা কাজে লাগিয়ে নতুন পণ্য ও রপ্তানির নতুন বাজার খুঁজে বের করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় আপনাদের (ব্যবসায়ীদের) পাশে আছি।’
শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে 'বিজনেস কনফারেন্স অন বিল্ডিং স্মার্ট বাংলাদেশ' অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেসরকারি খাতের ভূমিকা নিয়ে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলনের আয়োজন করে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।
আরও পড়ুন: ক্যান্টিনে কাজ করা ১১ বছরের রাব্বির দায়িত্ব নিলেন প্রধানমন্ত্রী
বিদেশি বিনিয়োগকারী, শীর্ষ করপোরেট, সেক্টরভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশন এবং শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতৃরা, এফবিসিসিআই'র চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ পরিষদের সদস্যরা সম্মেলনে যোগ দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আওয়ামী লীগ কখনই ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা দেখে বিচার করে না। ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা সব সময় দেশের মানুষের কল্যাণের কথা ভাবি।’
এ প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে সরকার সবাইকে সুযোগ দিয়েছে, যা দেশের মানুষের জন্য কল্যাণকর।
এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন তার স্বাগত বক্তব্যে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরে বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রয়োজন।
তিনি বলেন, ‘দেশের ব্যবসা, উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হতে হবে।’
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
আরও পড়ুন: স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও সংগঠকের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সকল ব্যবসায়ী নেতারা তাদের বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা প্রকাশ করেন।
তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য আগামী দিনগুলোতে শেখ হাসিনার নেতৃত্ব প্রয়োজন।
ব্যবসায়ী নেতারা বিগত সাড়ে ১৪ বছরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার অভূতপূর্ব পরিবর্তন ঘটানো বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড বিশেষ করে মেগা প্রকল্পসমূহ তুলে ধরেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩ এর ফলাফলের ওপর তৈরি প্রতিবেদন উন্মোচন করেন।
সম্মেলনের শুরুতে এফবিসিসিআই'র ৫০ বছর এবং দেশের অর্থনীতি ও উন্নয়নে এফবিসিসিআইয়ের অবদানের ওপর একটি থিম সঙ পরিবেশন করা হয়। বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩ এর ফলাফলের ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়ালও প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাইরেও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা পৌঁছে দিন: প্রধানমন্ত্রী