প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
যুদ্ধের জন্য নয়, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়ন: প্রধানমন্ত্রী
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকার সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, কারো সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। তবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে সশস্ত্র বাহিনীর সার্বিক উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
বুধবার পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত নৌঘাঁটি বিএনএস শের-ই-বাংলা এবং চারটি ল্যান্ডিং ক্রাফট ইউটিলিটি (এলসিইউ)সহ আটটি জাহাজের কমিশনিং অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গঠনমূলক সমালোচনা করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
তিনি বলেন, আমরা কারো বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চাই না। আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত রাখার উপর আমাদের গুরুত্ব থাকবে।
তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সরকার নৌবাহিনীসহ সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে পদক্ষেপ নিয়েছে; যাতে তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দক্ষতা অর্জন করতে পারে। এই উদ্দেশ্যে আমরা বিশেষ পদক্ষেপ নিয়েছি।
আরও পড়ুন: ‘মুজিবপিডিয়া’র মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সমুদ্রে নজরদারি ও নিরাপত্তা জোরদার করতে হেলিকপ্টার ছাড়াও বেশ কিছু যুদ্ধজাহাজের সরঞ্জাম সংগ্রহ ও নির্মাণের কাজ চলছে।
নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম শাহীন ইকবাল অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে নৌ ঘাঁটি শের-ই-বাংলাদেশ এবং আটটি জাহাজের উপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আরও পড়ুন: এসডিজি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার এখনই সময়: প্রধানমন্ত্রী
এসডিজি অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার এখনই সময়: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় উল্লিখিত জনস্বাস্থ্যবিষয়ক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশ্বব্যাপী একযোগে কাজ করার সময় এসেছে।
তিনি বলেন, ‘এর মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর স্বাস্থ্য ঝুঁকি মোকাবিলা করার সক্ষমতা বাড়াতে এক সঙ্গে কাজ করা সহায়ক হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ মঙ্গলবার রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের গ্র্যান্ড বলরুমে জনস্বাস্থ্য ও কূটনীতিবিষয়ক দুই দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি আমাদের দেখিয়েছে যে যতই বিচ্ছিন্ন বোধ করি না কেন, আমরা সবাই সংযুক্ত।
তিনি বলেন, ‘আমরা কেউই সত্যিকার অর্থে নিরাপদ হতে পারি না যতক্ষণ না নিশ্চিত করি যে সবাই নিরাপদ। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৩ ও লক্ষ্যমাত্রা-১৭ এ উল্লিখিত জনস্বাস্থ্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিশ্বব্যাপী একযোগে কাজ করার এখনই সময়।’
তিনি আরও বলেন, এটি অর্জনের জন্য সব দেশের কাছ থেকে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পাওয়া এবং কেন্দ্রীভূত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও কোভিড মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় অতীতের সাফল্য বিবেচনায় বাংলাদেশ এই প্রচেষ্টায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’
আরও পড়ুন: ‘মুজিবপিডিয়া’র মোড়ক উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য পাঁচটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তুলে ধরেন।
সেগুলো হলো:
প্রথমত, ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে জরুরি অবস্থার জন্য বর্ধিত প্রস্তুতি এবং সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া নিশ্চিত করতে পদক্ষেপগুলো আরও সমন্বয় করা।
দ্বিতীয়ত, প্রতিরোধযোগ্য সংক্রামক রোগ নির্মূলে একসঙ্গে কাজ করা এবং ক্রমবর্ধমান অসংক্রামক রোগের বোঝা মোকাবিলায় উন্নত অনুশীলন ভাগাভাগি করা।
তৃতীয়ত, জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় মানসিক স্বাস্থ্যকে মূলধারায় আনার দিকে মনোযোগ দেওয়া এবং পানিতে ডুবে ও দুর্ঘটনার মতো মারাত্মক জনস্বাস্থ্যের ঝুঁকিতে সহযোগিতা করা।
আরও পড়ুন: ঢামেককে উন্নত করার পরিকল্পনা, একসঙ্গে চিকিৎসা নিতে পারবে ৪০০০ রোগী: প্রধানমন্ত্রী
চতুর্থত, জলবায়ুর প্রভাবের কারণে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রোগ মোকাবিলায় বিশেষ মনোযোগ দিয়ে চিকিৎসাবিষয়ক শিক্ষা ও গবেষণার জন্য সম্মিলিত সুযোগ-সুবিধা সংগ্রহ করা।
পঞ্চমত, এই অঞ্চলে সর্বজনীন স্বাস্থ্য নিয়ে প্রচারের লক্ষ্যে এসডিজি-৩ এর মাধ্যমে আমাদের অর্জনের মানদণ্ড হিসেবে মা, শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের স্বাস্থ্যকে বিবেচনা করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আসুন আমরা একযোগে কাজ করি যাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে কেন্দ্র করে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য প্রশাসন আগামী ৭৫ বছর এবং তার পরেও অর্থবহভাবে আমাদের সমগ্র মানবতার সেবা করা যায়। আসুন আমরা একে অপরকে সাহায্য করি এবং আমাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় করি।’
আরও পড়ুন: গঠনমূলক সমালোচনা করতে গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
গোপালগঞ্জে দুই দিনের সফরে কোটালীপাড়ায় পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকালে নিজ জেলা গোপালগঞ্জে দুই দিনের সফরে কোটালীপাড়ায় পৌঁছেছেন।
সকাল ৮টার দিকে গণভবন থেকে যাত্রা শুরু করে বেলা ১১টা ২৭ মিনিটে তার গাড়িবহর কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পৌঁছায়।
প্রধানমন্ত্রী ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করবেন।
আরও পড়ুন: ঈদুল আজহা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশিদের নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা
পরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা শনিবার বিকালে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশে কোটালীপাড়া ত্যাগ করবেন।
তিনি টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, ফাতেহা পাঠ এবং মোনাজাতে যোগ দেবেন।
সফরে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় তার সফরসঙ্গীদের মধ্যে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঈদের দিন মুক্তিযোদ্ধাদের ফুল, ফল ও মিষ্টি পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঈদুল আজহা উপলক্ষে রবিবার সকালে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় নেতাকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
রবিবার (২ জুলাই) বিকালে প্রধানমন্ত্রীর ঢাকার উদ্দেশে টুঙ্গিপাড়া ত্যাগ করার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা ও প্রধানমন্ত্রীর নামে সেই গরু কোরবানি দিয়েছেন কিশোরগঞ্জের কৃষক দম্পতি
ঈদুল আজহা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশিদের নরেন্দ্র মোদির শুভেচ্ছা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশের জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
বুধবার নরেন্দ্র মোদি এক চিঠিতে গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করেন যে ঈদুল আজহার এই পবিত্র উৎসব ত্যাগ, সহানুভূতি ও ভ্রাতৃত্বের মূল্যবোধের একটি শক্তিশালী অনুস্মারক হিসেবে কাজ করে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন যে ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে বন্ধন যৌথ ইতিহাস ও সাংস্কৃতিক সম্পর্কের পাশাপাশি উভয় পক্ষের মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে নির্মিত হয়েছে।
তিনি আস্থা প্রকাশ করেন যে পবিত্র ঈদুল আজহার এই উৎসব জনগণকে আরও কাছাকাছি নিয়ে আসবে।
আরও পড়ুন: নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নরেন্দ্র মোদির অভিনন্দন
নরেন্দ্র মোদি ও সোনিয়া গান্ধীকে উপহার হিসেবে আম পাঠালেন শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদি
বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
বৈঠক শেষে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটে বঙ্গভবনে পৌঁছালে রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ফুলের তোড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান এবং প্রধানমন্ত্রীও রাষ্ট্রপ্রধান ও তার স্ত্রীকে ফুলের তোড়া উপহার দেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক বিদেশ সফরের বিভিন্ন দিক রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। তিনি তার সাম্প্রতিক সুইজারল্যান্ডের জেনেভা সফরসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের সময় জনস্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গত ১৪-১৫ জুন অনুষ্ঠিত 'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল' এ যোগ দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান।
সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফর বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী পরস্পরের স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর নেন এবং কুশল বিনিময় করেন।
এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ: রাষ্ট্রপতি
ভিয়েতনামের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে আসার আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
ফিনল্যান্ডের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনার অভিনন্দন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ফিনল্যান্ডের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী পেটেরি অর্পোকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
এক চিঠিতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আপনার দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণ, সরকার এবং আমার নিজের পক্ষ থেকে আপনাকে অভিনন্দন জানাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও ফিনল্যান্ডের মধ্যকার দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব বিগত বছরগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে জোরদার করেছে এবং দুই সরকারকে বিভিন্ন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক ইস্যুতে বিশেষ করে আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা, অভিবাসন, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন ও টেকসই উন্নয়নে পারস্পরিক সহায়ক ভূমিকা পালনে উৎসাহিত করেছে।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ সিংহাসনে আরোহণে তৃতীয় চার্লসকে রাষ্ট্রপতির অভিনন্দন
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে আমাদের দুই বন্ধুপ্রতীম দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্ব, সমঝোতা ও সহযোগিতার বন্ধন আগামী দিনগুলোতে আরও গভীর ও সুসংহত হবে।’
তিনি দু'দেশের জনগণের অভিন্ন সমৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে বহুমাত্রিক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও উন্নত করতে পেটেরি অর্পোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার জন্য আগ্রহী।
শেখ হাসিনা ফিনল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য, সুখ ও সাফল্য এবং ফিনল্যান্ডের জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনকে অভিনন্দন পত্র পাঠিয়েছেন শি জিনপিং
নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে নরেন্দ্র মোদির অভিনন্দন
স্থানীয়ভাবে তৈরি কোস্ট গার্ডের অত্যাধুনিক ৫ জাহাজ কমিশনিং করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের স্থানীয়ভাবে তৈরি পাঁচটি অত্যাধুনিক জাহাজ কমিশনিং করেছেন, যা সামুদ্রিক আইন প্রয়োগকারী বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করবে।
জাহাজগুলো হলো- 'বিসিজিএস অপূর্ব বাংলা' ও 'বিসিজিএস জয় বাংলা' নামে দুটি টহল জাহাজ, 'বিসিজিটি প্রত্যয়' ও 'বিসিজিটি প্রমত্ত' নামে দুটি টাগবোট এবং 'বিসিজিএফসি শক্তি' নামে একটি ভাসমান ক্রেন।
প্রধানমন্ত্রী এখানে তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চট্টগ্রামের কোস্ট গার্ড পতেঙ্গা বার্থে জাহাজগুলোর উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
নারায়ণগঞ্জে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কস লিমিটেডের তৈরি দুটি টহল জাহাজ এবং খুলনা শিপইয়ার্ড দুটি টাগবোট ও ভাসমান ক্রেনটি তৈরি করেছে।
নতুন জাহাজগুলোতে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি, সেন্সর এবং নজরদারি রাডার সংযুক্ত রয়েছে। উপকূলীয় টহল জাহাজে তিনটি স্বয়ংক্রিয় কামান রয়েছে, যা আমাদের নিজেদের সুরক্ষা এবং অপারেশনাল কার্যক্রম পরিচালনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জাহাজগুলোর নজরদারি ক্ষমতা ৯৬ নটিক্যাল মাইল এবং কামানের পরিসীমা চার কিলোমিটার। জাহাজগুলো এই পরিসীমার মধ্যে অন্যান্য জাহাজ, অপরাধী বা শত্রুদের মতো যে কোনো বিষয় শনাক্ত করতে সক্ষম এবং কামানগুলো কোস্ট গার্ডকে অপারেশনাল কার্যক্রম মসৃণভাবে পরিচালনা করতে সহায়তা করবে।
কমিশনিং অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন ও জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফিজুর রহমান বক্তৃতা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কোস্ট গার্ডের মহাপরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল আশরাফুল হক চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ইউক্রেন সংকটের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তির আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
প্রধানমন্ত্রী সুইজারল্যান্ড সফর সম্পর্কে বুধবার সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন
জেনেভা থেকে বিমান বাংলাদেশের নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়মিত বাণিজ্যিক ফ্লাইটের যাত্রীদের চমকে দিয়েছেন।
জেনেভা থেকে দেশে ফেরার পথে তিনি বিমানটির ভেতরে ঘুরে দেখেন এবং যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
যাত্রীতে পরিপূর্ণ বাণিজ্যিক ফ্লাইটটিতে প্রধানমন্ত্রী যখন তাদের সিটের কাছে যান এবং কুশল বিনিময় করেন, তখন সবাই একদিনে বিস্ময় ও অন্যদিকে আনন্দ অনুভব করেন।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, ‘ফ্লাইটে আসনের পাশেই তাদের (যাত্রী) প্রধানমন্ত্রীকে দেখে অনেকেই অবাক ও বিস্মিত হয়েছিলেন।’
আরও পড়ুন: ৩ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে জেনেভা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা যাত্রীদের ছবি তোলার অনুরোধ গ্রহণ করেন।
তিনি খুব স্নেহ নিয়ে বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলেন এবং বেশ কয়েকজনকে তার কোলেও নেন।
যাত্রীদের কেউ কেউ গত সাড়ে ১৪ বছরে দেশের উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গত ১৪ ও ১৫ জুন অনুষ্ঠিত 'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল' এ যোগ দিতে গত ১৩ জুন জেনেভা যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট শুক্রবার দিবাগত রাত ১টা ৫৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: জেনেভায় নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
সুইজারল্যান্ড থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
সুইজারল্যান্ডে তিন দিনের সরকারি সফর শেষ করে জেনেভা থেকে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত ফ্লাইট শুক্রবার দিবাগত রাতে (সকাল ১টা ৫৫ মিনিটে) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
এর আগে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৩টা ৫০ মিনিট) জেনেভা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্লাইটটি যাত্রা শুরু করে।
প্রধানমন্ত্রী বিমানে থাকা যাত্রীদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তাদের খোঁজ-খবর নেন।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের সরকারি সফর শেষে দেশের উদ্দেশে জেনেভা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গত ১৪ ও ১৫ জুন অনুষ্ঠিত 'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট: সোশ্যাল জাস্টিস ফর অল' এ যোগ দিতে গত ১৩ জুন জেনেভা যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বুধবার প্যালাইস ডি নেশনস-এ 'ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক সামিট ২০২৩' এর প্লেনারি সেশনে ভাষণ দেন।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) শীর্ষ সম্মেলন সামাজিক ন্যায়বিচারের সমর্থনে বর্ধিত, সমন্বিত ও সুসঙ্গত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা মোকাবিলায় বৈশ্বিক কণ্ঠস্বরের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের ফোরাম।
সম্মেলনে এক ডজনেরও বেশি রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, জাতিসংঘ, অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
শেখ হাসিনা দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট মাতামেলা সিরিল রামাফোসা ও মাল্টার প্রেসিডেন্ট ড. জর্জ ভেলার সঙ্গে পৃথক দুটি বৈঠক করেন।
এছাড়া ওইদিন তিনি ইউএনএইচসিআর প্রধান ফ্লিপ্পো গ্র্যান্ডি, প্রিন্স রহিম আগা খান, সুইস কনফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট অ্যালেন বার্সেট এবং আইএলও মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাউংবোর সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন।
সুইস প্রেসিডেন্ট বার্সেটের সঙ্গে বৈঠক শেষে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: জেনেভায় নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী আইএলও'র সদর দপ্তরে এর মহাপরিচালক আয়োজিত উচ্চ পর্যায়ের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে নৈশভোজে অংশ নেন।
গত ১৫ জুন তিনি 'আ টক অ্যাট দ্য ডব্লিউইএফ' এ যোগ দেন এবং ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) অফিসে এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াবের সঙ্গে বৈঠক করেন।
তিনি ডব্লিউইএফ আয়োজিত 'নিউ ইকোনোমি অ্যান্ড সোসাইটি ইন স্মার্ট বাংলাদেশ' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
এছাড়া কাতারের শ্রমমন্ত্রী ড. আলী বিন সামিক আল মারি এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালক ড. ওকোনজো ইওয়েলা পৃথকভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
শেখ হাসিনা সন্ধ্যায় একটি নাগরিক সংবর্ধনায়ও যোগ দেন।
আরও পড়ুন: সংক্রামক রোগ থেকে বিশ্বব্যাপী শিশুদের রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে: জেনেভায় নাগরিক সংবর্ধনায় প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, বাংলাদেশে আগামী জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘জনগণ তাদের ভোট দেবে, জনগণ তাদের ভোটের একমাত্র মালিক হিসেবে তারা যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে। আর যে জনগণের ভোট পাবে সে সরকার গঠন করবে।’
বৃহস্পতিবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় হিলটন হোটেলে আয়োজিত এক নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সংক্রামক রোগ থেকে বিশ্বব্যাপী শিশুদের রক্ষায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষে চলতি বছরের ডিসেম্বরে অথবা আগামী জানুয়ারিতে বাংলাদেশে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে কারচুপি করা হবে বলে ভোট বর্জনের অঙ্গীকার করেছে, যদিও সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এর পরিবর্তে বিরোধী দলটি নির্বাচন আয়োজনের জন্য নিরপেক্ষ প্রশাসনের পথ প্রশস্ত করতে শেখ হাসিনার সরকারের পদত্যাগ দাবি করে।
শেখ হাসিনা বলেন, যেহেতু বিএনপি এটা ভালো করেই জানে যে তাদের খারাপ কর্মকাণ্ডের জন্য তারা জনগণের কোনো ভোট পাবে না এবং সে কারণে তারা এখন নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে পিছু হটার বাহানা খুঁজছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘আসলে তারা (বিএনপি) চোরের ও ভোট কারচুপিকারীদের দল। ভোট ডাকাতি করা ছাড়া তাদের পক্ষে ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণ তাদের আর চায় না এবং সে কারণে তারা জনগণের কাছ থেকে ভোট পায় না।’
সরকার পতনের জন্য বিএনপির বারবার হুমকি প্রসঙ্গে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার অতটা দুর্বল নয়।
নির্বাচনকালীন সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে বিএনপির দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, একটি সম্পূর্ণ স্বাধীন নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবদানের জন্য প্রিন্স রহিম ও আগা খান ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ককে প্রধানমন্ত্রীর ধন্যবাদ