কাপ্তাই
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২০৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন
সপ্তাহজুড়ে থেমে থেমে রাঙামাটির কাপ্তাই লেক এবং এর আশেপাশে এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। ফলে উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লেকের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০৩ মেগাওয়াটে।
যা চলতি বছরে কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সর্বাধিক বিদ্যুৎ উৎপাদন।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে পানি বাড়ায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে, একসঙ্গে চালু হলো ৫ ইউনিট
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে ২০৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রুলকার্ভ (পানির পরিমাপ) অনুযায়ী ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কাপ্তাই লেকে পানি থাকার কথা ৯৯ দশমিক ৬৯ ফুট মিন সি লেভেল (এমএসএল)। কিন্তু লেকে এখন পানি রয়েছে ১০৫ দশমিক ৮৮ ফুট এমএসএল। কাপ্তাই লেকে পানির ধারণ ক্ষমতা ১০৯ ফুট এমএসএল।
প্রসঙ্গত কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ ২৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট ২০২৪ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত
কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে ২০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন
কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে সাড়ে ১০ ফুট লম্বা অজগর অবমুক্ত
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) বিকাল ৩টায় প্রায় ১০ ফুট ৮ ইঞ্চি লম্বা একটি অজগর সাপ অবমুক্ত করা হয়েছে।
কাপ্তাই বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার মাহমুদুল হক মুরাদ জানান, অজগর সাপটির ওজন প্রায় ১১ কেজি।
রাঙ্গামাটি জেলা ঊর্ধ্বতন বন কর্মকর্তার নির্দেশে রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার মাহমুদুল হক মুরাদ এর উপস্থিতিতে বন বিভাগের কর্মীরা কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের গভীর অরণ্যে এই অজগরটি অবমুক্ত করেন।
রেঞ্জ কর্মকর্তা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় রাঙ্গামাটি শহরের রিজার্ভ বাজার এলাকার একটি বাসা থেকে অজগরটি উদ্ধার করে বন বিভাগের কর্মীরা।
পরে বিকাল ৩টায় সাপটিকে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে অবমুক্ত করা হয়। অজগরটি অবমুক্ত করার সঙ্গে সঙ্গে গভীর জঙ্গলের দিকে চলে যায়।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে ১৫ ফুট ও ১৭ কেজি ওজনের অজগর সাপ অবমুক্ত
কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে ১২ফুট লম্বা অজগর অবমুক্ত
কাপ্তাইয়ের সীতা মন্দিরে মহাবারুণী স্নানে ভক্তদের ঢল
মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী তিথিতে প্রাগৈতিহাসিক তীর্থস্থান রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ের সীতাঘাট শ্রী শ্রী মাতা সীতা মন্দিরে মহা বারুণী স্নান উপলক্ষে রবিবার (১৯ মার্চ) হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটেছে।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা সনাতন ধর্মের ভক্তরা কর্ণফুলি নদীতে স্নান, সীতা মন্দির, শম্ভুনাথ মন্দির, কালি মন্দিরে পূজা দেয়া এবং মহাপ্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে সীতা দেবীর কাছে তাদের মনের বাসনা ব্যক্ত করেছেন।
এ উপলক্ষে রবিবার সকাল থেকে অষ্টপ্রহরব্যাপী তারকব্রহ্ম মহানামযজ্ঞ ও সীতা মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতি,ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে একটি মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে সীতা মন্দির। ঐতিহাসিক এই মন্দিরে বিভিন্ন নির্দশন ঘুরে ফিরে দেখছেন ভক্তরা।
মহাবারুণী স্নানে আসা অনেক ভক্ত জানান, ‘ঐতিহাসিক এই পবিত্র তীর্থ স্থানে আসতে পেরে নিজেদেরকে পূণ্যবান মনে হচ্ছে। আমরা মা সীতা দেবীর বিভিন্ন নিদর্শন ঘুরে ফিরে দেখছি এবং মহাবারুণী স্নানে স্নাত হয়ে পবিত্র হচ্ছি।’
আরও পড়ুন: লোহাগড়ায় জগন্নাথ মন্দির থেকে দেব-দেবীর মূর্তি চুরি!
সীতাঘাট মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি রতন দাশ জানান, ‘ঐতিহাসিক এই সীতা মন্দিরে দূর- দূরান্ত থেকে ভক্তরা আসছেন। সীতা মন্দির, শম্ভুনাথ মন্দির ও কালি মন্দিরসহ মা সীতার বিভিন্ন ঐতিহাসিক নিদর্শন দেখছেন ভক্তরা। গত শনিবার থেকে শুরু হয়ে সোমবার সকাল পর্যন্ত এই উৎসব চলবে।’
মন্দির পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দাশ জানান, ‘এই মন্দিরে মা সীতার অনেক নিদর্শন আছে। মা সীতা যে ঘাটে স্নান করেছেন, আজ সে ঘাটে ভক্তরা স্নান করেছেন। এই স্থানে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে আমাদের অনেক প্রতিকূলতা সৃষ্টি হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপরও এমপি দীপংকর তালুকদার, স্থানীয় প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ,পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরাকারি সংস্থার সহায়তায় আমরা এই অনুষ্ঠান করতে পারছি।’
শ্রী শ্রী মাতা সীতাদেবী মন্দির এর অধ্যক্ষ শ্রীমৎ জ্যোতির্ময়ানন্দ পুরী মহারাজ জানান, এটি একটি প্রাগৈতিহাসিক তীর্থস্থান। আমি বিশ্বের সকল ভক্তের কাছে অনুরোধ জানাই, সকলে মিলে এই তীর্থস্থানকে জাগিয়ে তোলেন।
এদিকে মহাবারুণী স্নান উপলক্ষে রবিবার (১৯ মার্চ) বেলা ১২টায় মন্দির প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে রাঙ্গামাটি সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। আর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি অসাম্প্রদায়িক চেতনার দল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সনাতন সম্প্রদায়সহ সকল ধর্মের মঠ-মন্দিরের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। কিন্তু কিছু অবৈধ অস্ত্রধারী ও চাঁদাবাজ এই পার্বত্যঞ্চলকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি করতে চাই সবসময়। তাই তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।’
এর আগে প্রধান অতিথি রাঙ্গামাটি জেলা পরিষদ এর অর্থায়নে ১ কোটি টাকা ব্যয়ে সীতারঘাট মন্দির কমপ্লেক্স ভবনের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেন।
এছাড়া মহাবারুণী স্নান উপলক্ষে গত শনিবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টায় মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং রাত ৮টায় মহানামযজ্ঞের শুভ অধিবাস অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মন্দির ও প্রতিমা ভাঙচুর: সুষ্ঠু তদন্তের দাবি ফখরুলের
কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে ২টি অজগর সাপ অবমুক্ত
রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার ৪১ বিজিবি অফিস এবং শহরের কলেজ গেইট এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া দুটি অজগর সাপকে অবমুক্ত করা হয়েছে।
রবিবার সন্ধ্যায় এই সাপগুলোকে উদ্ধার করে কাপ্তাই ফরেস্ট রেঞ্জে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার সকাল ১১টার দিকে কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের গহীণ অরণ্যে এই অজগর সাপগুলো অবমুক্ত করা হয়।
এ বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কাপ্তাই ফরেস্ট রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার মাহমুদুল হক মুরাদ।
তিনি আরও জানান, উদ্ধার হওয়া সাপগুলোর মধ্যে একটি প্রায় ৮ ফুট এবং অন্যটি প্রায় ৭ফুটের মতো। সোমবার সকালে অজগর সাপগুলো কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানে অবমুক্তের সময় কাপ্তাই প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. কবির হোসেন, ফরেস্টার মো. আবু বক্কর, গিয়াস উদ্দিন, মো. আক্তার হোসেনসহ স্থানীয় স্হানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় বিষাক্ত রাসেল ভাইপার সাপ উদ্ধার
শহরে ভয়ংকর রাসেল ভাইপার সাপ, আতঙ্কে চাঁদপুরবাসী
কুষ্টিয়ায় সাপের কামড়ে বউ-শাশুড়ির মৃত্যু
কাপ্তাইয়ে দুর্লভ প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার
কাপ্তাইয়ের ব্যাঙছড়ি বিটের গভীর অরণ্য থেকে বিপন্ন প্রজাতির 'বেঙ্গল স্লো লরিস' নামের একটি লজ্জাবতী বানর উদ্ধার করা হয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ সংঘের (আইইউসিএন) তালিকায় থাকা লজ্জাবতী বানরটি শনিবার (২২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় কাপ্তাই বনবিভাগ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
কাপ্তাই বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার মাহমুদুল হক মুরাদ জানান, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের আওতাধীন কাপ্তাই রেঞ্জের ব্যাঙছড়ি বিটের গহীন অরণ্যে এক পাহাড়ি ব্যক্তি লজ্জাবতী বানরটি পাচার করার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ওই পাচারকারী বানরটি কাগজের বাক্স বন্দী অবস্থায় ফেলে রেখে দৌড়ে জঙ্গলে পালিয়ে যায়।
পরে কাপ্তাই বনবিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা খন্দকার মাহমুদুল হক মুরাদেরর নেতৃত্বে বনপ্রহরী মো. গিয়াসউদ্দিন, মো. আবু বক্কর, মো. আক্তার হোসেন পিএম বানরটিকে উদ্ধার করেন।
উদ্ধার হওয়ার পর প্রাণিটি রাঙামাটির বন সংরক্ষক মো. মিজানুর রহমান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) ছালেহ মো. শোয়ইব খানের নির্দেশে শনিবার রাত ৮টায় কাপ্তাই জাতীয় উদ্যানের গহীন অরণ্যে অবমুক্ত করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন মাহমুদুল হক মুরাদ।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে বিপন্ন প্রজাতীর লজ্জাবতী বানর উদ্ধার
কাপ্তাই হ্রদ দখলকারীদের তালিকা চান হাইকোর্ট
আগামী ৩০ দিনের মধ্যে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের অবৈধ দখলকারীদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে আদালত কাপ্তাই হ্রদের মাটি ভরাট বা স্থাপনা নির্মাণ আর যাতে না হয় সে ব্যাপারে কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে রাঙামাটি ডিসি ও এসপিসহ সংশ্লিষ্ট ১২ বিবাদীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এ বিষয়ে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট
হ্রদটির অবৈধ দখল বন্ধ, জরিপ করে হ্রদের সীমানা নির্ধারণ এবং অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ চেয়ে জনস্বার্থে করা রিটের শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদীর বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন।
এছাড়া আদালত কাপ্তাই হৃদের অবৈধ দখল-মাটি ভরাট ও স্থাপনা নির্মাণ বন্ধে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন।
চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন এডভোকেট রিপন বাড়ৈ ও এডভোকেট সঞ্জয় মন্ডল।
আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মাঈনুল হাসান।
হ্রদটি দখলের বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদযুক্ত করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস এন্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রবিবার হাইকোর্টে রিট করেন আইনজীবী মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী ও আইনজীবী রিপন বাড়ৈ।
ওই রিটের ওপর সোমবার শুনানি হয়।
আরও পড়ুন: সিজেএম’র সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ, পিরোজপুরের পিপিকে হাইকোর্টে তলব
জামিন চেয়ে হাইকোর্টে মিন্নির আবেদন
কাপ্তাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছে।শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে উপজেলার ২নং রাইখালী ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড এর চন্দ্রঘোনা-বাঙ্গালহালিয়া সড়কের হাতিমারা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সুইসাই মং মারমা (৩৫) কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের মতিপাড়া তালতলি এলাকার মংচো মারমার ছেলে।
এই ঘটনার কথা নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রঘোনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী।
তিনি জানান, ইকবাল নিজ বাড়ি থেকে মোটর সাইকেল যোগে বাঙ্গালহালিয়া বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন।
এদিকে ঘটনার সংবাদ পেয়ে চন্দ্রঘোনা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশ এবং মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এরপর পুলিশ রাইখালী ফেরিঘাট এলাকা থেকে প্রাইভেট কারটি জব্দ করে। কারের চালক পলাতক রয়েছেন।
ওসি আরও জানান, এই ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং লাশ শনিবার ময়নাতদন্তের জন্য রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: গোয়ালন্দে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১
রাজধানীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
কাপ্তাইয়ের কর্ণফুলী নদীতে গোসল করতে নেমে শিশুর মৃত্যু
রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে কর্ণফুলি নদীতে গোসল করতে নেমে জয় কান্তি দে (১৩) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার ২নং চিৎমরম ইউনিয়নের চিৎমরম বাজার ঘাটের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জয় চিৎমরম ইউনিয়নের স্কুল পাহাড় এলাকার মৃত রনধির দে’র ছেলে।
চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়েশ্লিমং চৌধুরী জানান, শনিবার ১টা থেকে দেড়টার মধ্যে জয় চিৎমরম বাজার ঘাটে গোসল করতে নামলে পানিতে তলিয়ে যায়।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান তৎক্ষণাৎ কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং কাপ্তাই শহীদ মোয়াজ্জেম ঘাঁটির নৌ ডুবুরি দলকে শিশুটি উদ্ধারের জন্য অনুরোধ করেন। পরে কাপ্তাই নৌ বাহিনী ডুবুরি দলের প্রধান লেফটেন্যান্ট আক্কাসের নেতৃত্বে দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে কর্ণফুলি নদীতে শিশুটির খোঁজে উদ্ধারে নামেন তাঁরা। মাত্র ১৫ মিনিটে বিকাল ৩টা ৪৫ মিনিটে চিৎমরম বাজার ঘাট এলাকার কর্ণফুলি নদীতে নৌ ডুবুরি দল নিখোঁজ জয়ের লাশ উদ্ধার করেন। এসময় কাপ্তাই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাহীন আলমের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার কার্যক্রমে সহায়তা করেন।
আরও পড়ুন: যমুনায় গোসল করতে নেমে ভাই-বোন নিখোঁজ
এদিকে ঘটনা খবর জানার সঙ্গে সঙ্গে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এইসময় চিৎমরম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওয়েশ্লিমং চৌধুরী, চিৎমরম মৌজার হেডম্যান ক্যাওসিং চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
ইউএনও মুনতাসির জাহান এসময় নিহত শিশু জয়ের পরিবারের সদস্যদের শান্তনা দেন এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সৎকারের জন্য নগদ পাঁচ হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন। এদিকে লাশটি তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টাঙ্গন নদীতে গোসল করতে নেমে ২ শিশুর মৃত্যু
কাপ্তাইয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
পারিবারিক কলহের জেরে রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে পলিটেকনিক এক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা করেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অভ্যন্তরে ৮নং ওয়ার্ডের এ ব্লক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত মমতাজ জাহান রিয়া (১৯) ওই এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে ও বাংলাদেশ সুইডেন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের মেকানিকেল ডিপার্টমেন্টের ৩য় বর্ষের ছাত্রী।
আরও পড়ুন: পাহাড়তলীতে ঋণগ্রস্ত গার্মেন্টস মালিকের আত্মহত্যা!
কাপ্তাই পুলিশ ফাঁড়ির আইসি পুলিশ পরিদর্শক মো. শাহিনুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ৮টা ৪৫ মিনিটে রিয়া কাপ্তাই প্রজেক্ট এলাকায় তাঁর নিজ শয়ন কক্ষ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে কাপ্তাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডা. তায়েফ মাহমুদ জানান, হাসপাতালে আসার আগে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে নারীর ‘আত্মহত্যা’
কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দীন জানান, প্রেম ঘটিত বিষয় নিয়ে প্রবাসী বড় ভাই কাতার থেকে মোবাইল ফোনে ছোট বোনকে শাসন করায় অভিমান করে আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। লাশ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে এবং পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
কাপ্তাইয়ে ১৫ ফুট দীর্ঘ অজগর উদ্ধারের পর অবমুক্ত
রাঙ্গামাটির কাপ্তাইয়ে বিশালাকৃতির একটি অজগর সাপ উদ্ধারের পর কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত করা হয়েছে। অজগরটি ১৫ ফুট দীর্ঘ এবং এর ওজন প্রায় ২০ থেকে ২২ কেজি।
বুধবার সকাল ৮টার দিকে উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের রেশম গবেষণা কেন্দ্র এলাকায় সাপটি দেখতে পেয়ে তরনমনি তনচংগ্যা নামে এক ব্যক্তি বস্তাবন্দি করেন এবং বন বিভাগকে খবর দেন।
পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ কর্মকর্তা তানজিলুর রহমান গিয়ে সাপটি বন বিভাগের রাম পাহাড় বিটের কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে নিয়ে যান। সাপটি বর্তমানে সুস্থ রয়েছে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: ধানখেতে মিলল ১২ ফুট লম্বা অজগর, সুন্দরবনে অবমুক্ত
পরে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) গঙ্গা প্রসাদ চাকমার উপস্থিতিতে অজগর সাপটিকে কাপ্তাই ন্যাশনাল পার্কে অবমুক্ত করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অজগরটি ডার্ক পাইথন প্রজাতির বয়স্ক সাপ। এই ধরনের সাপের আবাসস্থল দিন দিন সংকুচিত হয়ে যাওয়ার কারণে অথবা রাতে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে পড়েছিল সাপটি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে ২০ ফুট দীর্ঘ অজগর উদ্ধারের পর অবমুক্ত