উচ্চশিক্ষা
মানসম্মত উচ্চশিক্ষা প্রদানের আহ্বান রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিনের
উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন।
বৃহস্পতিবার(১৫ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্টপতির প্রেস সেক্রেটারি জয়নাল আবেদীন ইউএনবি জানান, প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ইউজিসির ৪৯তম বার্ষিক প্রতিবেদন তার কাছে হস্তান্তর করেছেন।
রাষ্ট্রপতি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গবেষণা কার্যক্রম বাড়াতে ইউজিসিকে বাড়তি উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়নে শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি
তিনি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগের নীতিমালা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষকে একটি প্যানেল গঠনের পরামর্শ দেন।
রাষ্ট্রপতি 'স্মার্ট বাংলাদেশ' গড়ার সরকারের লক্ষ্যকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশ এখন স্মার্ট বাংলাদেশ হওয়ার পথে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রতিটি শিক্ষার্থীকেও স্মার্ট হতে হবে।’
তিনি ইউজিসিকে প্রতিটি সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও সামগ্রিক উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম কঠোরভাবে মনিটরিং করার নির্দেশ দেন।
সারাদেশে উচ্চশিক্ষা সম্প্রসারণে ইউজিসিকে কার্যকর ভূমিকা পালনের নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি।
সাক্ষাৎকালে ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কমিশনের সার্বিক কার্যক্রম, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
ইউজিসি প্রতিনিধিদল দেশে উচ্চশিক্ষা প্রসারে রাষ্ট্রপতির কাছে ১৪ দফা সুপারিশ পেশ করেন।
প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ইউজিসির কার্যক্রমে সহযোগিতার জন্য রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জানান এবং ভবিষ্যতের কর্মসূচিতে তার দিকনির্দেশনা কামনা করেন।
বৈঠকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সিইসির সাক্ষাৎ
ঢাকায় অনুষ্ঠিত হলো ‘এক্সক্লিউসিভ অস্ট্রেলিয়ান এডুকেশন এক্সপো ২০২৪’
বিদেশে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক ‘এক্সক্লিউসিভ অস্ট্রেলিয়ান এডুকেশন এক্সপো ২০২৪’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর গুলশানের লেকশোর হাইটস এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।
এক্সপোটির আয়োজক ছিল অস্ট্রেলিয়ান এডুকেশন টেকনোলজি কোম্পানি স্টাডিনেট।
এক্সপোতে অ্যাডিলেড ইউনিভার্সিটি, ম্যাককুয়ারি ইউনিভার্সিটি, লা ট্রোব ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব তাসমানিয়া, ইউনিভার্সিটি অব উলংগং, ফ্লিন্ডারস ইউনিভার্সিটি, সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি, ইসিইউ, আপ এডুকেশন, নেভিটাসের মতো আরও বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় ও এডুকেশন প্রভাইডাররা এক্সপোতে যোগ দেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কথা বলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, কোর্স বাছাই, স্কলারশিপসহ তাদের প্রয়োজনীয় সব তথ্য সংগ্রহ করতে পেরেছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মনিরুজ্জামান এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে নর্দান ইউনিভার্সিটির উপউপাচার্য ড. নজরুল ইসলাম এবং স্কুল অব বিজনেস, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ফ্যাকাল্টি মেম্বার কানতারা খান।
এছাড়াও স্টাডিনেটের পক্ষে বক্তব্য রাখেন প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান (অবসরপ্রাপ্ত) মেজর সিরাজুল আনোয়ার, সিনিয়র কান্ট্রি ম্যানেজার তানজিউল হক এবং সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং ম্যানেজার মইনুল হাসান।
অতিথিরা বাংলাদেশের উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
ডলার এনডোর্সমেন্ট কী, কীভাবে করবেন
উচ্চশিক্ষা, বিদেশ ভ্রমণসহ নানাবিধ আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের আর্থিক কর্মকাণ্ডগুলো পরিচালনার জন্য প্রয়োজন পড়ে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবহারের। আর এখানেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো ডলার এনডোর্সমেন্ট।
বিশ্ব অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের একটি পাওয়ার হাউস হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারকে বিশ্বব্যাপী সাধারণ বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে ধরা হয়ে থাকে।
কোনো একটি দেশের পণ্য বা সেবা ক্রয় করার সময় এই মুদ্রার এনডোর্সমেন্ট সংশ্লিষ্ট দেশটির মুদ্রা ব্যবহারে বৈধতা প্রদান করে। চলুন, এই ডলার এনডোর্সমেন্ট কী এবং কীভাবে করবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
ডলার এনডোর্সমেন্ট কী
এই আর্থিক কার্যক্রমটির মানে হলো দেশের অভ্যন্তরে বা বাইরে যে কোনো লেনদেনে ডলার ব্যবহারের অনুমোদন। এর মাধ্যমে বিদেশি পণ্য বা সেবা নেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলার ব্যবহারের বৈধতা পাওয়া যায়। এই ডলারগুলো পরবর্তীতে সরাসরি কিংবা প্রয়োজনের স্বাপেক্ষে বিশেষত বিদেশ ভ্রমণের সময় সেই দেশের মুদ্রায় পরিবর্তন করে নেওয়া যায়।
এটি শুধু বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত একটি প্রক্রিয়াই নয়, ডলার এনডোর্সমেন্ট ছাড়া ডলার সংক্রান্ত কোনো রূপ লেনদেনে জড়িত হওয়া বেআইনি।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে রেমিট্যান্স এসেছে ১.৯৭ বিলিয়ন ডলার
ডলার এনডোর্সমেন্টের সুবিধা
যে কাজগুলোর সঙ্গে আন্তর্জাতিক লেনদেন সম্পৃক্ত, এমন প্রতিটি কাজেই প্রয়োজন হয় ডলার খরচ করার। আর এই প্রয়োজনীয় খরচ সামাল দিতেই এনডোর্স করে নিতে হয় সেই পরিমাণ ডলারটি।
যেমন বিদেশে ভ্রমণ, উচ্চশিক্ষা, ও চিকিৎসার জন্য সেই দেশে যাওয়ার সময় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ডলার সঙ্গে নিতে হয়। চাকরি ও ব্যবসার কাজে যে দেশেই যাওয়া হোক না কেন, প্রাথমিক ব্যয়ের খাতগুলো নিরবচ্ছিন্ন রাখতে দরকার হয় ডলারের। ফলে অবধারিত হয়ে পড়ে সেই সংখ্যক ডলার সঙ্গে রাখার অনুমতি নেওয়া।
এছাড়া দেশের ভেতরে থেকেও বৈদেশিক কাজগুলো আঞ্জাম দিতে হলে ডলারের কোনো বিকল্প নেই। বিদেশি স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ, বিদেশি মার্কেট থেকে কেনাকাটা, এমনকি অনেক ক্ষেত্রে দেশে ফিরে ডলারের বাংলাদেশি টাকায় রূপান্তরের জন্যও ডলার অনুমোদনের গুরুত্ব অপরিসীম।
দেশের ভেতরে যারা ইউটিউব ও ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলোসহ ইন্টারনেটের অন্যত্রে বিজ্ঞাপন দেন, তাদের প্রায় ক্ষেত্রে ডলারের বৈধতা নিশ্চিত করে নিতে হয়।
এছাড়া আমদানি বা রপ্তানি ব্যবসার কাজগুলো বৈধভাবে কার্যকার করার জন্যও দরকার হয় ডলার আদান-প্রদানের অনুমতি।
আরও পড়ুন: খোলা বাজারে ১৫ টাকা বেশি দামে ডলার বিক্রি
ডলার এনডোর্সমেন্ট করার উপায়
আইনগতভাবে ডলার ব্যবহারের ক্ষমতা অর্জন করতে হলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর অনুমোদন নিতে হয় পাসপোর্টে সীলের মাধ্যমে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ইস্যু করা হয়ে থাকে সনদপত্র, যেখানে উল্লেখ থাকে নির্দিষ্ট সংখ্যক ডলারের অংক।
শুধু তাই নয়, এখানে একটি বড় বিষয় হচ্ছে অনুমোদনটি কে দিচ্ছে সেটা। অর্থাৎ ডলারগুলো কোত্থেকে ক্রয় করা হচ্ছে ও ডলার বিক্রয়ের জন্য তাদের যথাযথ অনুমোদন আছে কি না সেটি গুরুত্বপূর্ণ।
দেশের ভেতরে শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত ব্যাংক, মানি এক্সচেঞ্জার ও ডিলাররা আইনগতভাবে ডলার কেনা-বেঁচা করতে পারে। এছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ডলারের লেনদেনে জড়ানো বেআইনি।
চলুন, এবার এই এনডোর্সমেন্ট পদ্ধতিটির আরও খুঁটিনাটি জেনে নেওয়া যাক।
ব্যাংক থেকে ডলার এনডোর্স করার প্রক্রিয়া
দেশের যে কোনো সরকারি বা বেসরকারি ব্যাংক পাসপোর্ট বইয়ের শেষের দিকে এনডোর্সমেন্ট পাতায় সীল দিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলারের পরিমাণ লিখে দেয়। এটিই হলো অনুমোদনকৃত ডলারের পরিমাণ, যেটি এনডোর্সকারি কাগুজে ডলার উঠিয়ে কিংবা অনলাইনে ব্যবহার করতে পারেন।
এই ডলারপ্রাপ্তির জন্য এনডোর্সকারী সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে সমপরিমাণ বাংলাদেশি টাকা প্রদান করেন। এই পরিমাণটি ঠিক হয় বর্তমানে ডলার থেকে বাংলাদেশি টাকায় বিনিময় হার যত চলছে সে অনুসারে। এই হারটি অবশ্য একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জের মধ্যে বিভিন্ন ব্যাংকে কমবেশি হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে ডলারের সরবরাহ প্রয়োজনের চেয়ে বেশি: বাংলাদেশ ব্যাংক
সোনালী ব্যাংক ও অন্যান্য ব্যাংকে ডলার এনডোর্সমেন্টের ভিন্নতা
বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর মধ্যে শুধু সোনালী ব্যাংকে ডলার এনডোর্সের জন্য সেখানে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকার বা নতুন করে করার প্রয়োজন পড়ে না। শুধুমাত্র পাসপোর্ট নিয়ে গেলেই কাজ হয়ে যায়। ব্যাংক কর্মকর্তা ঐ দিনের ডলার রেট অনুসারে টাকা হিসাব করে সার্ভিস চার্জের বিনিময়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলারের অংক উল্লেখ করে পাসপোর্টে সীল মেরে দেন।
অন্যদিকে, বাকি সকল ব্যাংকে এই কার্যকলাপের জন্য অ্যাকাউন্ট থাকতে হয়। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে সাধারণত লোকাল শাখাগুলোতে এনডোর্স করা হয় না। এই সুবিধা দিয়ে থাকে শুধুমাত্র এডি বা অনুমোদিত ডিলার, শাখা বা ফরেইন এক্সচেঞ্জগুলো। বিভাগীয় শহর ও কিছু বাণিজ্যিক এলাকা ছাড়া কোথাও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর এডি শাখা নেই।
লোকাল শাখাতে এনডোর্স করতেই হলে সেখানে একটা ফরওয়ার্ডিং লেটার দিয়ে ডলার পরিবর্তনের চেষ্টা করা যেতে পারে।
এছাড়াও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর প্রত্যেকটিতে ডলার এনডোসিং-এর শর্তগুলোতে কিছু ভিন্নতা থাকে। তাই চূড়ান্তভাবে এনডোর্সমেন্টের পূর্বে অবশ্যই সেগুলোর সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া জরুরি।
ডুয়েল কারেন্সি কার্ডের বিপরীতে ডলার এনডোর্স
গত কয়েক বছর ধরেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে বিভিন্ন ব্যাংকের ডুয়েল কারেন্সি কার্ড সেবাগুলো। অনেকেই সরাসরি ডলার না তুলে এই আন্তর্জাতিক ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতে বৈধভাবে ডলার জমা করে নিচ্ছেন।
এই সেবার মাধ্যমে দেশ থেকে কার্ডে ডলার জমা করে বিদেশে নিয়ে গিয়ে সেখানে খরচ করা যায়। এমনকি প্রয়োজনে অন্যান্য বৈদেশিক মুদ্রাতেও পরিবর্তন করে নেওয়া যায়। তাছাড়া অনলাইন কেনাকাটার সুবিধা তো থাকছেই। এমনকি দেশের ভেতরে থেকেও বিশ্বের বিখ্যাত সব ই-কমার্স মার্কেটগুলো থেকে কোনো ঝামেলা ছাড়াই নানা সেবা ও পণ্য কেনা যায়।
বিদেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে খরচ করার জন্যও দেশি ব্যাংকের এই কার্ডগুলো বেশ উপকারি।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে রিজার্ভ ২১ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে: বাংলাদেশ ব্যাংক
এলসির মাধ্যমে ডলার এনডোর্সমেন্ট
এলসি বা লেটার অফ ক্রেডিট মুলত যারা আমদানি বা রপ্তানি ব্যবসার সঙ্গে জড়িতে তাদের জন্য দরকারি। এই ক্ষেত্রে ডলার এনডোর্সের জন্য এলসি করা হয় ব্যাংকের মাধ্যমে। এটি মূলত সেই আমদানি বা রপ্তানি কাজের জন্য ডলার বিনিময়ে বৈধতা দানকারী সনদপত্র।
মানি এক্সচেঞ্জ থেকে ডলার ক্রয় করার নিয়ম
ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠানগুলো অপেক্ষা মানি এক্সচেঞ্জারগুলোর ডলার এনডোর্সিং-এর প্রক্রিয়া তুলনামূলক ভাবে সহজ। যে কোনো বৈধ পাসপোর্টধারি ঐ দিনের রেট অনুযায়ী সমপরিমাণ টাকা দিয়ে ডলার তুলে নিতে পারবেন এই এক্সচেঞ্জারগুলো থেকে। এক্সচেঞ্জ ফি দেয়া ছাড়া এখানে ব্যাংকের মতো ডকুমেন্টেশনের বাড়তি বিড়ম্বনা নেই।
তবে এই এনডোর্সমেন্ট ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে ব্যবহারযোগ্য নয়। ভিসার জন্য শুধুমাত্র ব্যাংকের ডলার এনডোর্সমেন্ট গ্রহণযোগ্য।
অনেকেই অল্প কিছু টাকা বাঁচাতে যেয়ে এনডোর্স ছাড়া ডলার নিয়ে ইমিগ্রেশনে যেয়ে বিপদে পড়েন। কেননা প্রায়ই ক্ষেত্রে সেখানে ডলারের পাসপোর্ট এনডোর্সমেন্টটা চেক করা হয়। তাই সার্বিক দিক থেকে ঝক্কি-ঝামেলা মুক্ত থাকার জন্য ডলার পাসপোর্টে এনডোর্স করে নেওয়া উচিৎ।
আরও পড়ুন: আপনি কি মার্কিন ডলার না কিনে বিদেশে ভ্রমণ করতে পারবেন?
কত ডলার এনডোর্স করা যায়
ডলার এনডোর্সের পরিমাণ নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুষ্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। একজন প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি বিদেশ গমনকালে এক বছরে সর্বোচ্চ ১২ হাজার ডলার বা সমমানের বৈদেশিক মূদ্রা এনডোর্স করতে পারবেন। যারা ১২ বছরের নিচে রয়েছেন তারা এর অর্ধেক অর্থাৎ ৬ হাজার ডলার ব্যবহারের অনুমোদন নিতে পারবেন।
চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ ১০ হাজার ডলারের অনুমোদন নেওয়া যাবে, তবে এর জন্য অবশ্যই উপযুক্ত কাগজপত্র দেখাতে হবে। এর চেয়ে বেশি প্রয়োজন হলে যথাযথ কারণ ও প্রমাণ সহ যোগাযোগ করতে হবে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সঙ্গে।
ডলার এনডোর্সের মেয়াদ কত দিন
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মানুসারে, ডুয়েল কারেন্সি আন্তর্জাতিক ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের বিপরীতে পাসপোর্টের মেয়াদ যতদিন ততদিন থাকবে এনডোর্সমেন্টের মেয়াদ। তবে এক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে:
- খরচের পরিমাণ এনডোর্সকৃত ডলারের সর্বোচ্চ লিমিট অর্থাৎ ১২ হাজার অতিক্রম করতে পারবে না।
- সম্পূরক কার্ডধারিরা বিদেশ ভ্রমণকালে তাদের ভ্রমণ কোঠার আওতাতেই এই সুবিধা পাবেন।
- তবে ভ্রমণ কোটার যে অংশটুকু বাকি থাকবে, তা ব্যবহারের জন্য পরের বছরে স্থানান্তর করা যাবে না।
- এই সুবিধা প্রবাসী বাংলাদেশি বা শিক্ষার্থীদের জন্য প্রযোজ্য নয়।
শেষাংশ
সর্বসাকুল্যে, বাংলাদেশিদের জন্য যাবতীয় আন্তর্জাতিক লেনদেন সহজতর করার জন্যই এই ডলার এনডোর্সমেন্ট প্রক্রিয়া। অপেক্ষাকৃত সীমিত ডকুমেন্টেশনের আনুষ্ঠানিকতা থাকায় সোনালী ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জারগুলো এক্ষেত্রে সুবিধা প্রদানে এগিয়ে রয়েছে। এরপরেও প্রযোজ্য শর্তগুলো সতর্কতার সঙ্গে মেনে অগ্রসর হলে বেসরকারি ব্যাংকগুলো থেকেও পাওয়া যাবে কাঙ্ক্ষিত সেবা।
পরিশেষে, ডলার কী উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো হবে তা নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা থাকলে এনডোর্সমেন্টের নিয়মগুলোর সদ্ব্যবহার সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যেসব দেশে
উচ্চশিক্ষা সেবা নির্বিঘ্ন করার আহ্বান ইউজিসি’র
দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে সেবা নিতে এসে সেবা গ্রহীতারা যেন কোনো রকমের ভোগান্তির শিকার না হয় সেদিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।
তিনি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের সব ধরনের সেবা দৃশ্যমান করার ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।
এছাড়া, সেবাদান পদ্ধতি স্মার্ট করার মাধ্যমে সেবা গ্রহীতাদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
ইউজিসি ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের সিটিজেন চার্টার হালনাগাদকরণ বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ পরামর্শ দেন।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) সকালে ইউজিসিতে এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: হোম বাংলাদেশ শিক্ষা আসন্ন শিক্ষাবর্ষেও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: ইউজিসি
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কমিশনের জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব ও সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি কমিটির বিকল্প ফোকাল পয়েন্ট মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন।
ড. বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে মানসম্মত সেবা দিতে সবাইকে যথাযথ দায়িত্ব পালন করতে হবে। সেবা নির্বিঘ্ন করতে মানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে।
যথাসময়ে উচ্চশিক্ষা সেবাপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হলে ইউজিসিতে অভিযোগ করার পরামর্শ দেন তিনি।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, প্রজাতন্ত্রের মালিক জনগণ এবং তাদের কষ্টের টাকায় সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়। তাই সেবাদানের ক্ষেত্রে কোনোরকম অবহেলার সুযোগ নেই। উচ্চশিক্ষা সেবা নিতে এসে সেবা গ্রহীতারা কোনো ধরনের ভোগান্তির শিকার যেন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
কমিশনের উপপরিচালক ও সিটিজেন চার্টার ফোকাল পয়েন্ট মো. আব্দুল আলীমের সঞ্চালনায় প্রশিক্ষণে ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সিটিজেন চার্টার ফোকাল পয়েন্ট এবং ইউজিসি’র এপিএ বাস্তবায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মে ছাড় দেবে না ইউজিসি
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে বিডিরেনের সেবা গ্রহণের আহ্বান ইউজিসির
রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি আবেদনের সময়সীমা বৃদ্ধি
‘রাশিয়ায় উচ্চশিক্ষার সুযোগ’- নিয়ে ঢাকায় সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় রাশিয়ান হাউসে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হবে।
নিবন্ধন ছাড়াই যে কেউ সেমিনারে অংশ নিতে পারবে।
অন্যদিকে, ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে রাশিয়া সরকার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে ১২৪টি বৃত্তি ঘোষণা করেছে। শুধু অনলাইনে এই বৃত্তির আবেদন করা যাবে।
রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকা (সংস্কৃতি বিভাগ, রাশিয়ান দূতাবাস) শিক্ষা বিভাগ থেকে রবি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত এই আবেদনের নিয়মাবলী জানা যাবে।
অনলাইনে https://education-in-russia.com এই ঠিকানায় আবেদন করা যাবে।
আবেদনের পূর্ব ঘোষিত সময়সীমা আগামী ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
তবে আবেদন করার আগে সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ও মার্কসিট / ট্রান্সক্রিপ্ট এর মূল এবং ফটোকপি অবশ্যই বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কতৃক সত্যায়িত থাকতে হবে এবং পাসপোর্ট অবশ্যই ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে পরবর্তী ১৮ মাসের বেশি মেয়াদ থাকতে হবে।
অনলাইনে আবেদন সম্পন্ন হলে অনলাইন আবেদনের কপিসহ সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্র ও নম্বর পত্রের সত্যায়িত কপি, পাসপোর্টের ফটোকপি, ব্যক্তিগত তথ্য প্রক্রিয়াকরণে প্রার্থীর সম্মতিপত্র ও একটি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি রাশিয়ান হাউস ইন ঢাকার শিক্ষা বিভাগে জমা দিতে হবে।
রাশিয়ান হাউসে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময় রবি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত।
ভারতের আইআইটি-তে স্কলারশিপে উচ্চশিক্ষার সুযোগ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের
ভারতের ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি হায়দরাবাদে (আইআইটি হায়দরাবাদ) স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশসহ বিদেশের শিক্ষার্থীরা।
ভারতের তেলেঙ্গানার সাঙ্গারেডি জেলার কান্দি গ্রামে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থান। প্রায় ৬০০ একর জমির ওপর গড়ে ওঠা সরকারি এ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার অন্যতম পছন্দের হয়ে উঠেছে। এখানে প্রকৌশল, প্রযুক্তি, স্থাপত্য, কলা, মনোবিজ্ঞান, সাইবার নিরাপত্তা, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), শিল্প-বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন আধুনিক বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণার সুযোগ রয়েছে।
সম্প্রতি (২০ অক্টোবর, শুক্রবার) বাংলাদেশের সাংবাদিক প্রতিনিধি দল পরিদর্শন যায় ভারতের এই প্রতিষ্ঠানটিতে। আইআইটি হায়দরাবাদ এর প্রতিষ্ঠানের পরিচালক অধ্যাপক বি এস মূর্তি এক মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে আইআইটি হায়দরাবাদের উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি জানান, ভারতের আইআইটিগুলোর মধ্যে আইআইটি-হায়দরাবাদ অন্যতম। বর্তমানে গোটা ভারতে তৃতীয় অবস্থানে
আইআইটি এ প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে পড়াশোনা করছেন ৪ হাজার ২০০ শিক্ষার্থী, যার মধ্যে স্নাতক পর্যায়ে ১ হাজার ৭৬০, স্নাতকোত্তর ১ হাজার ২৮০ ও ডক্টরাল শিক্ষার্থী আছেন ১ হাজার ১৬০ জন। ভবনগুলো এমন প্রযুক্তিতে গড়ে তোলা হয়েছে যে এসির প্রয়োজন হচ্ছে না।
আইআইটি হায়দরাবাদে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে সিজিপিএ ১০-এর মধ্যে ন্যূনতম ৮ লাগে জানিয়ে তিনি বলেন, ফার্স্ট স্কিমের মাধ্যমে আমরা বিদেশি শিক্ষার্থীদের পূর্ণ অর্থনৈতিক সহযোগিতাসহ পিএইচডি করার সুযোগ দিচ্ছি। ফেলোশিপ হিসেবে প্রতিমাসে শিক্ষার্থী ৬০ হাজার রুপি করে পাবেন এবং বছরে গবেষণা সহায়তা হিসেবে এক লাখ রুপি করে পাবেন। এই ফেলোশিপের মেয়াদ থাকবে চার বছর।
আরও পড়ুন: চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও চলতি অর্থবছরে অর্থনীতিকে কোভিড পূর্ব অবস্থায় ফেরানোর আশা সরকারের
ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা টেকনোলজি সম্পর্কিত যে কোনো বিষয়ে ভালো ফলাফলসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকলে যে কেউ এই ফেলোশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন বলে জানান পরিচালক।
তিনি আরও বলেন, আমরা ইতোমধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, কীভাবে দুটি প্রতিষ্ঠান একসঙ্গে কাজ করা যায়। শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নয়, বাংলাদেশে গড়ে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে শিক্ষার্থীরা এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসুক। মেধা তালিকার ভিত্তিতে বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে।
বি এস মূর্তি বলেন, আইআইটি হায়দরাবাদের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় আগ্রহী হলে তাদেরও সে ব্যাপারে সার্বিক সহায়তা করব আমরা। প্রয়োজনে আমরা বাংলাদেশিদের জন্য আরও বেশি সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করব।
আরও পড়ুন: দেশের এভিয়েশন সেক্টরে রূপান্তরের অঙ্গীকার নিয়ে শাহজালালের তৃতীয় টার্মিনাল উদ্বোধন শনিবার
তিনি আরও জানান, অস্ট্রেলিয়ার সুইনবার্ন ইউনিভার্সিটি ও ডিকিন ইউনিভার্সিটির সঙ্গে যৌথ ডক্টরাল ডিগ্রি প্রোগ্রাম আছে আইআইটি হায়দরাবাদের। নানা সুযোগ-সুবিধার কারণে প্রতিষ্ঠানটিতে পিএইচডি শিক্ষার্থীর হার বাড়ছে। ২০২০ সালে এই প্রতিষ্ঠানে পিএইচডি করতে আসেন ২৩০ জন, পরের বছর সে সংখ্যা দাঁড়ায় ৩৭০ জনে।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্সের ডিন প্রফেসর তরুণ কান্তি পান্ডা বলেন, আমরা বাংলাদেশের বেশি বেশি শিক্ষার্থীকে এখানে দেখতে চাই। বাংলাদেশের সঙ্গে এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কাজ করবে। নিশ্চয় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য যথাসম্ভব ভালো কিছু করা হবে।
আরেক প্রশ্লে তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বা ইনস্টিটিউটের সঙ্গে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক যোগাযোগ নেই। বাংলাদেশ থেকে কোনো প্রতিষ্ঠান যোগাযোগ করলে আমরা অবশ্যই সহযোগিতাসহ সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে চিন্তা করতে পারবো।
অধ্যাপক তরুণ কান্দি বলেন, ২৫ থেকে ৩০ হাজার শিক্ষার্থী এখানে পড়াশোনা করতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, এখানে উচ্চশিক্ষার পাশাপাশি রয়েছে গবেষণার দারুণ সুযোগ। এখানকার শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর প্রায় ১০০ স্টার্ট আপ দাঁড় করান।
আরও পড়ুন: সরকার পতনের আন্দোলন নভেম্বরেই চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে চায় বিএনপি
উচ্চশিক্ষার মান এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
উচ্চশিক্ষার মান এখনো কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেনি বলে মন্তব্য করেছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম।
তিনি বলেন, ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির র্যাংকিংয়ে ৫০০ টি বিশ্বিবদ্যালয়ের মধ্যে বাংলাদেশের কোনো বিশ্বিবদ্যালয় নেই। আর ৮০০ টি বিশ্বিবদ্যালয়ের মধ্যে মাত্র দুটি বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) আর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়। এটা দুঃখজনক।’
রবিবার ( ৬ আগস্ট) সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের মাল্টিপারপাস হলে আয়োজিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই), টেক্সটাইল ও স্থাপত্য বিভাগের সামার সেমিস্টার ২০২৩-এ ভর্তি হওয়া নবাগত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়লেও শিক্ষার মান বাড়েনি। মান বাড়ানোর জন্য সব বিশ্বিবদ্যালয়ের আরো উদ্যোগী হতে হবে।
আরও পড়ুন: জিপিএ-৫ এ প্রথম স্থানে চট্টগ্রামে কলেজিয়েট স্কুল
বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক এম মফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মেজর জেনারেল ( অব.) কাজী ফখরুদ্দিন।
সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অব সাইন্স এক ইঞ্জিনিয়ার অধ্যাপক ড. আ ম ফারুক নবাগত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভাগের শিক্ষকদের পরিচয় করিয়ে দেন।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এএনএম মেশকাত উদ্দীন ।
অনুষ্ঠানে সাউথইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, পরিচালক, শিক্ষক, কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকেরাও উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জিপিএ-৫ প্রাপ্তিতে ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা
পাসের হারের দিক দিয়ে এগিয়ে বরিশাল শিক্ষা বোর্ড
উচ্চশিক্ষার জন্য আরও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নিচ্ছে দেখে উচ্ছ্বসিত: রাষ্ট্রদূত হাস
বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, আরও বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে বেছে নিচ্ছে দেখে তারা ‘উচ্ছ্বসিত’।
তিনি জানান, মার্কিন সরকারের কাছে বাংলাদেশসহ যোগ্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নের সুযোগ পৌঁছে দেওয়া একটি ‘শীর্ষ অগ্রাধিকার’।
তিনি আরও বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানায়। যুগান্তকারী গবেষণায় সম্পৃক্ত হওয়া থেকে শুরু করে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষাজীবনকে সমৃদ্ধ করা প্রভৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তাদের কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।’
মার্কিন দূতাবাস স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকারের জন্য বিশেষভাবে একটি ‘সুপার ফ্রাইডে’ ইভেন্টের আয়োজন করেছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় 'মোখা'র জরুরি ত্রাণ সহায়তায় আড়াই লাখ ডলার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: পিটার হাস
বাংলাদেশে থেকে জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পাওয়ার উপায়
জার্মান ভাষা শিক্ষা নিঃসন্দেহে উচ্চশিক্ষা এবং পেশাগত সমৃদ্ধির জন্য একটি নতুন দিগন্তের উন্মোচন করতে পারে। এর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, অর্থনীতি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রভাবশালী অবস্থানের কারণে শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে জার্মানি।
বিখ্যাত জার্মান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি অর্জন অথবা সেখানকার কোনো স্বনামধন্য কোম্পানিতে চাকরি- লক্ষ্য যাই হোক না কেন, তার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন জার্মান ভাষায় দক্ষতা অর্জন।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা প্রতিবছর এই অর্জনে অভাবনীয়ভাবে নিজেদের স্বাক্ষর রাখছেন। যারা তাদের সারিতে নিজেদের যুক্ত করতে চাইছেন, তাদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে এই নির্দেশিকা নিবন্ধটি।
এটি বাংলাদেশ থেকে জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পাওয়ার সার্বিক ধারণা প্রদান করবে। বিশেষ করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জার্মান ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষা ও কোর্সগুলোর ব্যাপারে অবগত হওয়ার জন্য এটি এক পরিপূর্ণ গাইড হিসেবে কাজ করবে।
আরও পড়ুন: অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
বাংলাদেশে জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পাওয়ার বিস্তারিত নির্দেশিকা
জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পাওয়ার যোগ্যতা
কমন ইউরোপীয় ফ্রেমওয়ার্ক অফ রেফারেন্স ফর ল্যাঙ্গুয়েজ (সিইএফআর) অনুযায়ী জার্মান ভাষায় দক্ষতা যাচাইয়ের স্তর ছয়টি- এ১, এ২, বি১, বি২, সি১ এবং সি২। এই ছয়টি স্তর যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন বয়সের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার আয়োজন করে গ্যোটে ইনস্টিটিউটের বাংলাদেশ শাখা। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এই পরীক্ষাগুলোতে উত্তীর্ণের মাধ্যমে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়ে থাকে।
চলুন, এই পরীক্ষাগুলোর বিভিন্ন শর্ত এবং ন্যূনতম কত বয়স হলে সেগুলোতে অংশগ্রহণ করা যাবে তা জেনে নিই।
এ১ স্তরের সার্টিফিকেট পরীক্ষা
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ১: ফিট ইন ডয়েচ ১ (এফডি ১)
বয়স: ১০ থেকে ১৬ বছর
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের ন্যূনতম সিইএফআর-এর এ১ স্তরে জার্মান ভাষায় সাবলীল হতে হবে।
প্রয়োজনীয় কোর্স: জার্মান ভাষায় পূর্ববর্তী জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীকে ৪৫-মিনিটের ৮০ থেকে ২০০ টিচিং ইউনিট শেষ করতে হবে।
আরও পড়ুন: সুইজারল্যান্ডে উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপ পাওয়ার উপায়
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ১: স্টার্ট ডয়েচ ১ (এসডি ১)
বয়স: সর্বনিম্ন ১৬ বছর।
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই জার্মান ভাষায় সিইএফআর-এর এ১ স্তরের দক্ষতা থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় কোর্স: জার্মান ভাষায় পূর্ববর্তী জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীকে ৪৫ মিনিটের ৮০ থেকে ২০০ টিচিং ইউনিট শেষ করতে হবে।
এ২ স্তরের সার্টিফিকেট পরীক্ষা
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ২: ফিট ইন ডয়েচ (এফডি)
বয়স: সর্বনিম্ন ১২ বছর
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই জার্মান ভাষাতে সিইএফআর-এর এ২ স্তরের দক্ষতা থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় কোর্স: জার্মান ভাষায় পূর্ববর্তী জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীকে ৪৫ মিনিটের ২০০ থেকে ৩৫০টি ক্লাস শেষ করতে হবে।
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ২
বয়স যোগ্যতা: সর্বনিম্ন ১৬ বছর।
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই সিইএফআর-এর এ২ স্তরের জার্মান ভাষা দক্ষতা থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় কোর্স: জার্মান ভাষায় পূর্ববর্তী জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীকে ৪৫ মিনিটের ২০০ থেকে ৩৫০টি ক্লাস শেষ করতে হবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চশিক্ষার আশায় নিরাশা এনে দিয়েছে লকডাউন!
বি১ স্তরের সার্টিফিকেটের জন্য মানদণ্ড
গ্যোটে-জার্টিফিকেট বি১
বয়স যোগ্যতা: সর্বনিম্ন ১২ বছর
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই জার্মান ভাষাতে সিইএফআর-এর বি১ স্তরের দক্ষতা থাকতে হবে।
বি২ স্তরের সার্টিফিকেটের জন্য মানদণ্ড
গ্যোটে-জার্টিফিকেট বি২
বয়স যোগ্যতা: ন্যূনতম ১৫ বছর
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই জার্মান ভাষায় সিইএফআর-এর বি২ স্তরের দক্ষতা থাকতে হবে।
সি১ স্তরের সার্টিফিকেটের জন্য মানদণ্ড
গ্যোটে-জার্টিফিকেট সি১
বয়স যোগ্যতা: সর্বনিম্ন ১৬ বছর
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই জার্মান ভাষাতে সিইএফআর-এর সি১ স্তরের দক্ষতা থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় কোর্স: জার্মান ভাষায় পূর্ববর্তী জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীকে ৪৫-মিনিটের ৮০০ থেকে ১ হাজার টিচিং ইউনিট শেষ করতে হবে।
সি২ স্তরের সার্টিফিকেট পরীক্ষা
গ্যোটে-জার্টিফিকেট সি২: গ্রসেস ডয়েচেস স্প্রাচডিপ্লোম (জিডিএস)
বয়স: ন্যূনতম ১৮ বছর
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই জার্মান ভাষাতে সিইএফআর অনুযায়ী দক্ষতার সর্বোচ্চ স্তর সি২-এর দক্ষতা থাকতে হবে।
প্রয়োজনীয় কোর্স: জার্মান ভাষায় পূর্ববর্তী জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীকে ৪৫ মিনিটের কমপক্ষে ১ হাজার টিচিং ইউনিট শেষ করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রবাসী বাংলাদেশিরা কিভাবে ই-পাসপোর্ট করবেন: দেশের বাইরে থেকে পাসপোর্ট নবায়নের উপায়
বিশেষ সার্টিফিকেট পরীক্ষা
টেস্টডিএএফ
বয়স: ন্যূনতম ১৮ বছর
ভাষা দক্ষতা: প্রার্থীদের অবশ্যই জার্মান ভাষাতে সিইএফআর-এর কমপক্ষে বি২ এবং সি১ স্তরের দক্ষতা থাকা জরুরি।
প্রয়োজনীয় কোর্স: জার্মান ভাষায় পূর্ববর্তী জ্ঞানের ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীর সম্পন্ন করা কোর্স ৪৫ মিনিটের ৭০০ থেকে ১ হাজার টিচিং ইউনিটের মধ্যে থাকতে হবে।
গ্যোটে-টেস্ট প্রো
বয়স: সর্বনিম্ন ১৬ বছর।
জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেশন পরীক্ষা
যে শিক্ষার্থীরা গোথ-ইন্সটিটিউটের কোর্সগুলোতে অংশগ্রহণ করেন, এমন আভ্যন্তরীণ প্রার্থীদের পরীক্ষার ফি’তে বিশেষ ছাড় থাকে। এই অভ্যন্তরীণ প্রার্থী হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের একটি কোর্সের অবশ্যই যে কোনো একটি নির্দিষ্ট স্তরের কোর্স সম্পূর্ণভাবে শেষ করতে হবে। বাইরের শিক্ষার্থী অর্থাৎ শুধুমাত্র পরীক্ষাতে যারা অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছেন তাদের পরীক্ষা সমূহের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো:
জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পরীক্ষা সমূহ
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ১ (এসডি১)
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ১ (ফিট ইন ডয়েচ)
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ১ (এসডি১)
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ২ (ফিট ইন ডয়েচ)
গ্যোটে-জার্টিফিকেট এ২
গ্যোটে-জার্টিফিকেট বি১
গ্যোটে-জার্টিফিকেট বি১ জুগ্যান্ডলিশ: ফিট ইন ডয়েচ
গ্যোটে-জার্টিফিকেট বি২
গ্যোটে-জার্টিফিকেট সি১
গ্যোটে-জার্টিফিকেট সি২
সূত্র: গ্যোটে ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ
আরও পড়ুন: অনলাইনে ই-পাসপোর্ট আবেদনে ভুল হলে সংশোধনের নিয়ম
বর্তমানে, বাংলাদেশ গ্যোটে ইনস্টিটিউট শুধুমাত্র এ১ থেকে বি২ স্তর পর্যন্ত সার্টিফিকেশন পরীক্ষার ব্যবস্থা করছে। পরীক্ষা সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্য শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের সময় নতুন ইস্তেহারে দেওয়া হয়ে থাকে। তাই এই পরীক্ষাগুলো হালনাগাদকৃত ফি-এর ব্যাপারে জানতে অনুগ্রহপূর্বক বাংলাদেশ গ্যোটে ইনস্টিটিউটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন বা সরাসরি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
জার্মান ভাষা আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেটের জন্য কোর্স
জার্মান ভাষা শেখা ও আন্তর্জাতিক জার্মান ভাষা সার্টিফিকেট পরীক্ষাগুলোতে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য বাংলাদেশে গ্যোটে ইন্সটিটিউট-এর এক্সটেনসিভ, ইনটেনসিভ, এবং ব্লেন্ডেড লার্নিং কোর্স রয়েছে।
প্রতিটি কোর্সে সাধারণত সর্বোচ্চ ২২ জন শিক্ষার্থী নেওয়া হয়। কোর্সগুলো সাধারণত জানুয়ারি, মার্চ, জুন এবং সেপ্টেম্বরে শুরু হয়ে থাকে।
কোর্সগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক:
এক্সটেনসিভ ও ইনটেনসিভ কোর্স
এক্সটেনসিভ অনলাইন লাইভ এ১.১/এ১.২
অনলাইনে পরিচালিত এই কোর্সটি এ১ স্তরে একদম নতুনদের জন্য। এর প্রতি সপ্তাহে ২টি সেশন থাকে, যার প্রতিটি সেশন ৪৫ মিনিটের ৪টি টিচিং ইউনিট পর্যন্ত দীর্ঘ হয়। এভাবে ১০ সপ্তাহে সর্বমোট ৭৫টি টিচিং ইউনিট সম্পন্ন করা হয় কোর্সটিতে।
এক্সটেনসিভ অনলাইন লাইভ এ২.১/এ২.২
এ২ স্তরে শিক্ষার্থীদের জন্য তৈরি করা এই অনলাইন কোর্সে প্রতি সপ্তাহে ২টি সেশন রাখা রয়েছে। প্রতিটি সেশন ৪৫ মিনিটের ৪টি টিচিং ইউনিট পর্যন্ত চলে। ১০ সপ্তাহে কোর্সটিতে মোট ৮০টি টিচিং ইউনিট সম্পন্ন করা হয়।
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ এ১
এ১ স্তরে দ্রুত অগ্রসর হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে বানানো হয়েছে এই কোর্সটি। প্রতি সপ্তাহে থাকে ৪টি সেশন, যেগুলোর প্রতিটি সাড়ে ৩ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ১০ সপ্তাহে কোর্সে সর্বমোট ১৫০টি টিচিং ইউনিট শেষ করা হয়, যেখানে এ১-এ দ্রুত দক্ষতা অর্জনের সুবিধা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষায় দেশের বাইরে যেতে প্রস্তুতির ধাপগুলো জেনে নিন
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ এ২
ইনটেনসিভ এ১ কোর্সের মতো একইভাবে এই প্রোগ্রামটিও শিক্ষার্থীদের এ২ স্তরের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করে। এরও প্রতি সপ্তাহে ৪টি সেশন এবং প্রতিটিতে সাড়ে ৩ ঘন্টা সময়। তবে ১০ সপ্তাহে কোর্সটি সব মিলিয়ে ১৬০টি টিচিং ইউনিট শেষ করে।
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ বি১
বি১ স্তরে পৌঁছাতে উচ্চাকাঙ্ক্ষী শিক্ষার্থীদের জন্য এই প্রোগ্রামটি। এই ইনটেনসিভ কোর্সের প্রতি সপ্তাহে রয়েছে ৫টি করে সেশন। প্রতিটি সেশন ৪ ঘন্টা ৫ মিনিট স্থায়ী হয়। কোর্সটি ১০ সপ্তাহে সর্বমোট ১৯০টি টিচিং ইউনিটে শেষ হয়। ইউনিটগুলো জার্মান ভাষায় তুলনামূলকভাবে আরও উন্নত দক্ষতা এবং সংস্কৃতি বোঝার ওপর জোর দেয়।
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ বি২
বি২ স্তরে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তৈরি এই ইনটেনসিভ কোর্সে প্রতি সপ্তাহে ৪টি সেশন থাকে। বি১-এর মত এই সেশনগুলোও ৪ ঘন্টা ৫ মিনিটের এবং ১০ সপ্তাহে মোট ১৯০টি টিচিং ইউনিটে পাঠদান করা হয়। এই কোর্সটি শিক্ষার্থীদের ভাষাকে পরিমার্জিত করা, শব্দভান্ডার প্রসারিত করা এবং উচ্চ-মধ্যবর্তী স্তরে যোগাযোগের ক্ষমতা জোরদার করতে সাহায্য করে।
ইনটেনসিভ হাইব্রিড এ১
এই কোর্সটি ক্লাসরুম এবং জুম স্ট্রিমিং এর সমন্বয়ে তৈরি। অংশগ্রহণকারীরা শারীরিকভাবে ক্লাসে যোগদান করতে পারে। আবার বিকল্পভাবে যোগদান করতে পারে অনলাইন সেশনগুলোতেও। এর প্রতি সপ্তাহে ৪টি সেশন, যেগুলোর প্রতিটি সাড়ে ৩ ঘন্টা পর্যন্ত স্থায়ী হয়। ১০ সপ্তাহে কোর্সটি মোট ১৫০টি টিচিং ইউনিট শেষ করে।
ইনটেনসিভ হাইব্রিড এ২
হাইব্রিড এ১ কোর্সের মতো, এই প্রোগ্রামটি তৈরি করা এ২ স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য। এখানেও প্রতি সপ্তাহে সাড়ে ৩ ঘন্টার ৪টি সেশন, যেগুলোতে ক্লাসরুম এবং জুম মিলিয়ে অংশগ্রহণ করা যায়। ১০ সপ্তাহে কোর্সটি মোট ১৬০টি টিচিং ইউনিট শেষ করে।
ব্লেন্ডেড লার্নিং কোর্স
এই কোর্সগুলো ৫০/৫০ অনুপাতে ক্লাসরুম সেশন এবং স্ব-অধ্যয়নকে একীভূত করে। কোর্সের অর্ধেক পরিচালিত হয় একজন শিক্ষকের সঙ্গে সরাসরি ক্লাসে যোগদানের মাধ্যমে। বাকি অর্ধেক সম্পন্ন হয় ইনস্টিটিউটের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে স্ব-অধ্যয়নের অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে।
ক্লাসরুমের সেশনে শিক্ষার্থীরা সরাসরি শিক্ষক এবং সহপাঠীদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এখানে তারা তাদের কথা বলা এবং শোনার দক্ষতা অনুশীলনের সঙ্গে সঙ্গে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া পান। অনলাইন স্ব-অধ্যয়নের অংশটি প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন শিক্ষার উপকরণ, অনুশীলনসহ বিভিন্ন সেবা ব্যবহারের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
এই কোর্স ফরমেটটি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা গ্রহণের ক্ষমতা, বুদ্ধি এবং সঠিক ক্রমবিকাশের ক্ষেত্রগুলো বিবেচনা করে পৃথক শিক্ষার প্রয়োজন মেটানোর লক্ষ্যে তৈরি করা হয়েছে। এখানে প্রতি সপ্তাহে ৪টি সেশন করে ১০ সপ্তাহ পর্যন্ত চলে।
প্রতি সেশনের স্থায়ীত্বকাল ৩ ঘন্টা এবং কোর্স শেষে শিক্ষার্থীরা এখানে ৪৫ মিনিটের মোট ১৬টি টিচিং ইউনিট সম্পন্ন করতে পারে। এই নমনীয় সময়সূচীটি অন্যান্য শিক্ষা ব্যবস্থার থেকে প্রতিশ্রুতিশীল বা বহুমুখী শিক্ষার পরিবেশের জন্য বেশ উপযুক্ত।
আরও পড়ুন: ডেনমার্কে উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট কোর্সের সময়
জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট কোর্সসমূহ
সময় (সপ্তাহ)
এক্সটেনসিভ অনলাইন লাইভ (এ১.১/এ১.২)
১০
এক্সটেনসিভ অনলাইন লাইভ (এ২.১/এ২.২)
১০
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ/হাইব্রিড এ১
১০
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ/হাইব্রিড এ২
১০
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ বি১
১০
ইনটেনসিভ অনলাইন লাইভ বি২.১/বি২.২
৯
পরীক্ষা প্রস্তুতি (এ১/বি১)
১
সূত্র: গ্যোটে ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ
এই কোর্সের সময়, ফিসহ বিবিধ বিষয় বিভিন্ন সময়ে পরিবর্তন হয়। সাধারণত শিক্ষার্থীদের নিবন্ধনের সময় হালনাগাদকৃত কোর্স ইস্তেহারে নতুন ফি ঘোষণা করা হয়। তাই সর্বশেষ তথ্যের ব্যাপারে অবগত হওয়ার জন্য বাংলাদেশ গ্যোটে ইনস্টিটিউটের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট-এ চোখ রাখার জন্য অনুরোধ করা যাচ্ছে।
শেষাংশ
সর্বোপরি, এই নিবন্ধটি বাংলাদেশে জার্মান ভাষার আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট পাওয়ার উপায় জানার সহজ সমাধান। জার্মান ভাষাতে ক্যারিয়ার গড়ায় উৎসাহীদের যাবতীয় প্রয়োজনগুলোই মূল কাঁচামাল বাংলাদেশ গ্যোটে-ইন্সটিটিউট-এর কোর্স এবং পরীক্ষা পদ্ধতির। তাই এই পদ্ধতিগুলো বাংলাদেশের জার্মান ভাষা শিক্ষার্থীদের পরম নির্ভরতার জায়গা।
আরও পড়ুন: মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা: উপায়, খরচ ও সুযোগ-সুবিধা
প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৩-২৪ পেলেন ৪৮ স্কলার
বিশ্বের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য বিভিন্ন খাতের ৪৮ জন স্কলার প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৩-২৪ পেয়েছেন।
রবিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কার্যালয়ের শাপলা হলে মাস্টার্স ও পিএইচডি করার জন্য তাদের ফেলোশিপ প্রদান করেন।
এর মধ্যে ৩৮ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ১০ জন পিএইচডি ফেলো যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাসহ বিশ্বের শীর্ষ স্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার জন্য বৃত্তি পেয়েছেন।
সিভিল সার্ভিস, শিক্ষাবিদ এবং দেশের যোগ্য নাগরিকদের জ্ঞান ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রীর ফেলোশিপ চালু করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী বছরের শেষ দিকে থাইল্যান্ডে বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দেবেন
এই ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় নির্বাচিত ফেলোদের যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডাসহ বিদেশে বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়।
ফেলোশিপ প্রোগ্রাম শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত ২৩৯ জন মাস্টার্স ফেলো এবং ৯৮ জন পিএইচডি ফেলো বিশ্বখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে গেছেন।
পিএইচডির জন্য স্কলারশিপ নিশ্চিত করতে আবেদনকারীদের প্রথমে তাদের নিজস্ব সামর্থ্যে বিশ্বের ১০০ সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটিতে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
মাস্টার্সের জন্য স্কলারশিপ নিশ্চিত করতে আবেদনকারীদের প্রথমে তাদের নিজস্ব সামর্থ্যে বিশ্বের ২০০ সর্বোচ্চ র্যাঙ্কিংয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটিতে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে।
আরও পড়ুন: ইউজিসির পোস্ট ডক্টরাল ফেলোশিপ পেলেন শাবিপ্রবি অধ্যাপক ফারুক মিয়া
ভর্তি নিশ্চিত হলেই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের (জিআইইউ) অধীনে বৃত্তির জন্য আবেদন করা যাবে।
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়াও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জিআইইউ'র মহাপরিচালক ড. মোহাম্মদ আবদুল লতিফ।
অনুষ্ঠানে দুই ফেলো শিবলী ইসলাম ও আফিফা আঞ্জুমান এবং ইতোমধ্যে এই বৃত্তি পেয়ে পিএইচডি করেছেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের উপসচিব এ এম আলমগীর কবির, তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
আরও পড়ুন: উন্নত সাংবাদিকতার লক্ষ্যে ইএমকে-বিজেএস ফেলোশিপ চালু