সড়ক দুর্ঘটনা
কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
কুমিল্লায় সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। শুক্রবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নাজিরা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-বুড়িচং উপজেলার খোরশেদ আলমের ছেলে মোরশেদ আলম ও একই এলাকার লতিফ মিয়ার ছেলে আনন্দ
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রামগামী অজ্ঞাতনামা লংভেহিকেলের সঙ্গে একই দিকে থাকা মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এসময় মোটরসাইকেলে থাকা দুই আরোহী সড়কে ছিটকে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যুহয় আরোহী দুই যুবকের।
নিহত দুজনের লাশ ও দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছে ময়নামতি হাইওয়ে থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: শেরপুরে পৃথক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২
সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৩
সীতাকুণ্ডে শিপ ইয়ার্ডে দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
শেরপুরে পৃথক মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২
শেরপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার কুসুমহাটি ও শ্রীবরদী উপজেলার ভায়াডাঙ্গা এলাকায় এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পাবনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
নিহতরা হলেন, সদর উপজেলার কৃষ্ণপুর দড়িপাড়া এলাকার সাত্তার সরকারের ছেলে সাইফুল ইসলাম সরকার (৪৬) ও শ্রীবরদী উপজেলার শিমুলচুড়া এলাকায় বাসিন্দা সুলতান মিয়া।
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে শ্রীবরদী থানার ওসি (তদন্ত) মো. আবুল হাশেম জানান, শ্রীবরদীর ভায়াডাঙ্গা বাজার থেকে বাড়িতে যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছে ধাক্কা লাগলে ঘটনাস্থলেই সুলতান মিয়া নামের ওই মোটরসাইকেল চালকের নিহত হন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় মোটরসাইকেল চাপায় শিক্ষক নিহত
শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহমেদ জানান, সদর উপজেলার কুসুমহাটি এলাকায় ট্রলির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক সাইফুল ইসলাম নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ট্রাকচাপায় রাবি ছাত্রের মৃত্যু: প্রক্টরকে অব্যাহতি
সড়ক দুর্ঘটনায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর লিয়াকত আলীকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নিহত মাহমুদ হামিদ হিমেল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাফিক্স ডিজাইনের শিক্ষার্থী।
নতুন প্রক্টর হিসেবে গণিত বিভাগের অধ্যাপক আশাবুল হককে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। বুধবার রাবি রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে হিমেলকে চাপা দেয়া ট্রাকের চালককে আটক করেছে পুলিশ।
কাশিয়াডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ জানান, দুপুর দেড়টার দিকে নগরীর কাশিয়াডাঙ্গার বালিয়া গ্রাম থেকে চালক টিটুকে (৩৫) আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ট্রাকচাপায় নিহত রাবি শিক্ষার্থীর দাফন নাটোরে সম্পন্ন
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হাবিবুর রহমান হলের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণ কাজের পাথর বহনকারী ট্রাকের চাপায় চারুকলা অনুষদের ছাত্র হিমেল নিহত ও আরেক ছাত্র আহত হন। এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা পাঁচটি ট্রাকে আগুন দেয়।
পরে তারা রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়ক ও ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। গভীর রাতে সিটি মেয়র ও ভিসি গিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি মানার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে প্রথম নামাজে জানাযা শেষে হিমেলের লাশ নাটোর পাঠানো হয়।
বুধবার দুপুর ২টায় নাটোর পৌর জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় নামাজে জানাযা শেষে গাড়িখানা কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।
আরও পড়ুন: ট্রাকচাপায় রাবি শিক্ষার্থী নিহত, চালক গ্রেপ্তার
ক্যাম্পাসে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু: ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ
সিরাজগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত ৩
সিরাজগঞ্জ-রায়গঞ্জ আঞ্চলিক সড়কে ট্রাকচাপায় দুই মাছ ব্যবসায়ী নিহত ও তিনজন আহত হয়েছেন। বুধবার সড়কের রায়গঞ্জ উপজেলার হাসিল নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার নওদা ফুলকোঁচা গ্রামের মৃত গোপীনাথ হালদারের ছেলে মানিক হালদার (৫০) ও টাঙ্গাইল জেলা সদরের কাঠুরিয়া গ্রামের মৃত নব কিশোর সরকারের ছেলে দীনেশ সরকার (৪৫)।
রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহীদুল ইসলাম জানান, মাছ ব্যবসায়ীরা ব্যাটারিচালিত একটি ইজিবাইকে সিরাজগঞ্জের দিকে যাচ্ছিলেন। বুধবার সকাল ৮টার দিকে রায়গঞ্জ উপজেলার হাসিল নামক স্থানে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক ইজিবাইটিকে চাপা দেয়। এতে দুই মাছ ব্যবসায়ী নিহত ও আরও তিনজন আহত হয়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও ইজিবাইক জব্দ করা হলেও ট্রাকের চালক ও হেলপার পলাতক আছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় জেলা ফুটবল দলের গোলরক্ষক সাফায়াতের মৃত্যু
পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় আইনজীবী ও কলেজ ছাত্রসহ নিহত ৩
মাগুরায় সড়ক দুর্ঘটনায় টাইলস মিস্ত্রী নিহত
মাগুরার মহম্মদপুরে ট্রাক ও রিকশা ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক টাইলস মিস্ত্রী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচ জন। রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে যশপুর সড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত হুমায়ন (১৬) সদরের শত্রুজিৎপুর ইউনিয়নের রুপদিয়া গ্রামের উসমানের ছেলে। তিনি পেশায় টাইলস মিস্ত্রী।
আহতরা হলেন- আব্দুল করিম (৩৪), লিটন (২১), মুন্না (২২), রমজান (১৮), নয়ন (১৯) ও হুমায়ন (১৬)। তাদের বাড়ি মাগুরা সদরের জগদল ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে।
আরও পড়ুন: ডাকাতিয়া নদীতে বাল্কহেড-ট্রলার সংঘর্ষ, নিহত ৫
মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির হোসেন জানান, রবিবার সকালে রিকশা ভ্যানে করে সদর উপজেলা থেকে মহম্মদপুরে টাইলসের কাজ শেষ করে কয়েকজন কিশোর মহম্মদপুর থেকে মাগুরা সদরে যাচ্ছিলেন। পথে যশপুর বিপরীত দিক আসা ট্রাক ভ্যানটিকে চাপা দিলে পাঁচ জন গুরুতর আহত হন। দুর্ঘটনার পর মহম্মদপুর ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে মহম্মদপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক হুমায়নকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে আব্দুল করিমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
এ ব্যাপারে মহম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় জেলা ফুটবল দলের গোলরক্ষক সাফায়াতের মৃত্যু
মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালো নাটোর জেলা ফুটবল দলের গোল রক্ষক সাফায়াত ফারদিন। রবিবার বিকালে বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে শহরের নবীনগর বাইপাস এলাকায় এ্যাম্বুলেন্সের ধাক্কায় গুরুতর আহত হয় সাফায়াত ফারদিন ও তার বন্ধু শৈবাল।
স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে সেখানেই মৃত্যু হয় সাফায়াতের।
আরও পড়ুন: পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় আইনজীবী ও কলেজ ছাত্রসহ নিহত ৩
নাটোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আলী মুকুল জানান, সাফায়াত ফারদিন বিকেএসপি ১৯ ব্যাচের ছাত্র ছিল। সে ঢাকার পাইওনিয়ার ফুটবল লীগ, অনূর্ধ্ব-১৬ এবং নাটোর জেলা ফুটবল দলের নিয়মিত গোলরক্ষক ছিল। দুর্ঘটনায় এ্যাম্বুলেন্সের দুই যাত্রীও আহত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।
নাটোরের ঝলমলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সার্জেন্ট জাহিদুল ইসলাম জানান, কেউ মামলা না করলে পুলিশই বাদি হয়ে মামলা করবেন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় চালক-হেলপারসহ নিহত ৩
সাংবাদিক হাবীবের মৃত্যুর ঘটনায় দ্রুত তদন্ত দাবি
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক সময়ের আলোর সিনিয়র রিপোর্টার হাবীবুর রহমানের অকাল মৃত্যুর ঘটনাটি অবিলম্বে ‘সুষ্ঠু তদন্তের’ মাধ্যমে প্রকৃত কারণ তুলে ধরার দাবি জানিয়েছেন তার সাংবাদিক সহকর্মী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা ও পরিবারের সদস্যরা।
শনিবার সেগুনবাগিচায় ডিআরইউ আয়োজিত এক শোকসভায় বক্তারা বলেন, হাবীবের মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। তিনি আসলেই সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছে, নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন, এটা হত্যাকাণ্ড। তিনি কিভাবে মারা গেছেন তা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে খুঁজে বের করতে হবে।
তারা বলেন, ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যায় নি। মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি। তদন্তকারী সংস্থা কোনা সাংবাদিক সংগঠন বা তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। যেখানে হাবীবুর রহমানকে আহত অবস্থায় পাওয়া গেছে, সেখানের সিসিটিভি ক্যামেরা কেন নষ্ট ছিল? আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকেই খুঁজে বের করে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করতে হবে।
আরও পড়ুন: হাতিরঝিলে সড়ক দুর্ঘটনায় সাংবাদিক হাবীবুর নিহত
গত বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাত দুইটার দিকে রাজধানীর হাতিরঝিলে ‘মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায়’ নিহত হন হাবীবুর রহমান। ঢাকা মেডিকেল কলেজে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। ঘটনার পর পারিপার্শিক অবস্থা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটি গত ২৩ জানুয়ারি এক বিবৃতিতে ‘তদন্তের’ মাধ্যমে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ প্রকাশ করার দাবি জানান।
ডিআরইউ সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিবের সঞ্চালনায় ডিআরইউ নসরুল হামিদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত শোকসভায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াও এ দাবি জানান।
উল্লেখ্য, হাবীবুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ বিট কাভার করতেন।
শোকসভায় মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, হাবীবুর রহমান প্রতিভাবান সাংবাদিক ছিলেন। তার মতো সদালাপি ছেলে অকালে মারা যাবে তা মেনে নেয়া যায় না। তাকে নিয়ে শোকসভা করতে হবে কখনও ভাবিনি। ১২-১৩ বছর ধরে তার সঙ্গে যোগাযোগ।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক হাবীবের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সাংবাদিক ও হাবীবের পরিবারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা হতাশ হবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় সাংবাদিক বান্ধব। তিনি সময় পেলেই সাংবাদিকদের সঙ্গে বসেন। প্রধানমন্ত্রী থাকতে হতাশ হওয়ার কারণ নেই। যতদ্রুত সম্ভব আমরা হাবীবের স্ত্রী ও ভাইয়ের চাকরির ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো। একই সঙ্গে হাবীবের পরিবার যাতে দ্রুত আর্থিক সহায়তা পায় সেই ব্যাপারেও তিনি সবাইকে আশ্বস্ত করেন।
সাংবাদিক হাবীবুর রহমানের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করে তদন্তের মাধ্যমে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, হাবীবুর রহমানের মৃত্যু নিয়ে তদন্তটা দ্রুত হওয়া উচিত। আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে কথা বলবো। তারা যেন ঘটনাটি দ্রুত তদন্ত করে বিষয়টি বের করেন।
এর আগে সভাপতির বক্তব্যে ডিআরইউর সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র পক্ষ থেকে সাধ্যমতো তার পরিবারের পাশে থাকার চেষ্টা করা হচ্ছে। আমি আশা করবো ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, বিএফউজে এবং প্রেস ক্লাব হাবীবুর রহমানের পরিবারের জন্য একটি তহবিল তৈরি করার ব্যবস্থা নিবেন। একই সঙ্গে সরকার ও আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে হাবীবের স্ত্রী ও তার ছোট ভাইয়ের একটি চাকরির দাবি জানান তিনি।
শোকসভায় হাবীবুর রহমানের বাবা বলেন, ‘আমার বলার ভাষা নেই। আপনাদের সঙ্গে চলার পথে আমার ছেলে কোন বেয়াদবি করে থাকলে মাফ করবেন। বাবা হয়ে ছেলের লাশ কাঁধে নেয়া যে কি বেদনা এটা বলে বুঝানো যাবে না। আমি মনে করি না সে এ্যাক্সিডেন্ট করেছে, তাকে আঘাত করা হয়ে থাকতে পারে। আমার ছেলের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত চাই। ’
হাবীবুর রহমানের স্ত্রী হাসি আক্তার রিমি বলেন, ‘হাবীবের মৃত্যু নিয়ে যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে এটা নিয়ে আমার একার পক্ষে কিছু করা সম্ভব না। আপনারা আমার পাশে থাকবেন। হাবীব যে নেই এটা এখনও বিশ্বাস করতে পারিনা, হাবীবকে কেউ ভুলে যাবেন না।’
এছাড়াও শোকসভায় বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ (বাদল), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল মনসুর আহমেদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম শাখাওয়াত মুন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব দীপ আজাদ ও যুগ্ম মহাসচিব শেখ মামুনুর রশীদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ বিট পরিবারের পক্ষ থেকে সাংবাদিক উত্তম চক্রবর্তী ও অমরেশ রায় এবং সময়ের আলো পরিবারের পক্ষ থেকে সিটি এডিটর সৈয়দ শাহনেওয়াজ করিম।
সভায় ডিআরইউ’র সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরদার, শাহেদ চৌধুরী ও মুরসালিন নোমানী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ ও সৈয়দ শুকুর আলী শুভও বক্তব্য দেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক মসিউর রহমান খান।
পাবনায় সড়ক দুর্ঘটনায় আইনজীবী ও কলেজ ছাত্রসহ নিহত ৩
পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আইনজীবী, কলেজ ছাত্রসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এসময় আরও পাঁচজন গুরুতর আহত হয়। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- পাবনা জোজকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট আসাদুজ্জামান ফিরোজ (৪৮), পাবনা কলেজের ছাত্র মেহেদী হাসান রনি (২০) ও মোজাহার মোল্লা ওরফে মোজা (৫৭)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার দুপুরে শহর থেকে গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পথে একটি হাইসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ফিরোজ মারা যান। তিনি অটোরিকশার যাত্রী ছিলেন। তিনি দীর্ঘ ২২ বছর ধরে পাবনা কোর্টে আইনজীবী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের ইসলামগাঁতি গ্রামের জামাল সরকারের ছেলে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় চালক-হেলপারসহ নিহত ৩
এদিকে একই দিনে পাবনা শহরে বেপরোয়াভাবে মটরসাইকেল চালানোর সময় বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কায় মেহেদী হাসান রনি (২০) নামে এক কলেজ ছাত্র নিহত হয়েছে। এ সময় তার বন্ধু গুরুতর আহত হয়। শহরের হাসপাতাল রোডস্থ জালাল মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রনি সদরের মালঞ্চি ইউনিয়নের সিংগা পালপাড়া এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে ও পাবনা কলেজের ছাত্র। এ বছর তিনি এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।
অপর এক ঘটনায় একই দিনে পাবনা সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের বয়রা কাশিনাথপুর নামক এলাকায় ঢালারচর থেকে রাজশাহীগামী ঢালারচর এক্সপ্রেস ট্রেনের চাপায় মোজাহার মোল্লা ওরফে মোজা (৫৭) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি সদর উপজেলার দাপুনিয়া ইউনিয়নের লোকমান মোল্লার ছেলে।
পাবনা সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জুয়েল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ পৃথক পৃথক স্থান থেকে লাশ উদ্ধার করেছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পর লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: যাত্রাবাড়ীতে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৩ জন নিহত
মানিকগঞ্জে বাসচাপায় অটোরিকশার চালকসহ নিহত ৩
মানিকগঞ্জের শিবালয়ে যাত্রীবাহী বাসচাপায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালকসহ দুই যাত্রী নিহত হয়েছেন। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার মহাদেবপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- হরিরামপুর উপজেলার বড় হাপানিয়া গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম এবং একই গ্রামের ইনতাজ খাঁর ছেলে আব্দুর রহমান। অটো রিকশার চালক আব্দুর রাজ্জাক একই গ্রামের আব্দুল মোতালেব মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: পাবনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
বরংগাইল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রিয়াদ মাহমুদ জানান, বরঙ্গাইল হাট থেকে পেঁয়াজ বিক্রি শেষে অটোরিকশাযোগে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলেন জাহিদুল ও আব্দুর রহমান। পথিমধ্যে তাদের অটোরিকশাটি মহাদেবপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আসলে পাটুরিয়াগামী একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই দুই যাত্রী নিহত হন। এই ঘটনায় অটোরিকশার চালক গুরুতরভাবে আহত হন। দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তিকে স্থানীয় উথলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ঢাকায় যাবার পথে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
তিনি আরও জানান, লাশ উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। দুর্ঘটনার পরপরই ঘাতক বাসটি জব্দ করা হলেও এর চালক ও সহকারী পালিয়ে গেছে।
পাবনায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
পাবনা শহরে বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক কলেজছাত্র নিহত এবং তার বন্ধু গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে জেলা শহরের জালাল মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মেহেদী হাসান রনি (২০) সদরের মালঞ্চি ইউনিয়নের সিংগা পালপাড়া এলাকার রবিউল ইসলামের ছেলে ও পাবনা কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবক নিহত
আহত সাদির হোসেন (২০) চাটমোহর উপজেলার সোহাসপাড়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে ও একই কলেজের শিক্ষার্থী।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রওশন ইয়াজদানী জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর দুই বন্ধু শহর থেকে বেপরোয়াভাবে মোটরসাইকেল চালিয়ে হাসপাতাল রোড হয়ে সিংগা এলাকায় যাচ্ছিলেন। এই সময় জালাল মেমোরিয়াল হাসপাতালের সামনে সড়কের পাশে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে ছিটকে পড়েন। স্থানীয়রা তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক রনিকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
পরে লাশ উদ্ধার করে পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।