শ্রমিক
লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের ধর্মঘট, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ
চট্টগ্রামে লাইটার জাহাজ শ্রমিকরা পাঁচ দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছে।
ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে পণ্য পরিবহনও বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার নগরীর বাংলাবাজার এলাকায় ‘সর্বস্তরের নৌযান শ্রমিকদের’ ব্যানারে এক সমাবেশে লাইটার জাহাজের শ্রমিকরা কাজ বন্ধের ঘোষণা দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম পৌঁছেছে ইউক্রেনের সাড়ে ৫২ হাজার টন গম
পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যানকে প্রত্যাহার, লাইটার জাহাজের শ্রমিকদের ওঠা–নামায় ব্যবহৃত চরপাড়া ঘাটের ইজারা বাতিল, পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার (ওসি) অপসারণ, সাঙ্গু নদের মুখ খনন করে লাইটার জাহাজের নিরাপদ পোতাশ্রয় করা।
লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, ৩ নভেম্বর চরপাড়া ঘাটের কয়েকজন ইজারাদারের লোকজন ৮-৯ শ্রমিককে মারধর করলেও পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিকরা সব লাইটার জাহাজ পারকির চরে নিয়ে যায় এবং চীনা ঘাট ব্যবহার করে জাহাজ ওঠা-নামা শুরু করে কিন্তু কর্তৃপক্ষ ওই ঘাটটিও উচ্ছেদ করে।
জসিম উদ্দিন বলেন, দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে নদীপথে পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ডাম্পিং এ ফেলে দেয়া মিট অ্যান্ড বোন মিল পণ্য পাচার কালে ১০ ট্রাক জব্দ
চট্টগ্রামে র্যাবের ওপর হামলার ঘটনায় ৫ জনের কারাদণ্ড
সিত্রাংয়ের প্রভাবে সাগরে ড্রেজারডুবি: ৮ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে চট্টগ্রামে মিরসরাই সমুদ্র উপকূলে থাকা ড্রেজার ডুবে নিখোঁজ আট শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হেয়েছে। মঙ্গলবার সারাদিন অভিযান চালিয়ে শ্রমিকদের লাশ উদ্ধার করে মিরসরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এর আগে গতকাল সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে ড্রেজারটি ডুবে যায় বলে স্থানীয়রা জানায়।
নিহত শ্রমিকরা হলেন- মাহমুদ মোল্লা, আলামিন, ইমাম মোল্লা, আবুল বশর, তারেকসহ আটজন নিখোঁজ হন। তাদের সবার বাড়ি পটুয়াখালীর জৈনকাঠি ও মোল্লাবাড়ি থানায়।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সাগরে বালি তোলার কাজে নিয়োজিত একটি ড্রেজার ডুবে গতকাল রাতে নিখোঁজ হওয়া ৮ শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের একটি টিম রাত ১২টা থেকে ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: মোংলা বন্দরে ট্রলার ডুবে জেলে নিখোঁজ, উদ্ধার ২১
ওসি আরও জানান, আজ দুপুর ২টার দিকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, উপজেলার ১৬ নম্বর সাহেরখালি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ৩ নম্বর বসুন্ধরা এলাকায় বেড়িবাঁধ থেকে ১০০০ ফুট দূরত্বে সাগরের মাঝে রাখা বালু উত্তোলনের ড্রেজারটি (সৈকত-২) রাখা ছিলো। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সাগরে জোয়ারের পানির উচ্চতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ঝড়ো হাওয়ায় ড্রেজারটি ডুবে যায়। এ সময় ড্রেজারে থাকা আট শ্রমিক নিখোঁজ হন।
ড্রেজারে থাকা শ্রমিক আব্দুস সালাম বলেন, ড্রেজারে আমিসহ নয়জন ছিলাম। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কথা শুনে সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে আমি ড্রেজার থেকে নেমে আসি। এ সময় বাকিরা সেখানেই ছিল।
মিরসরাই ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মকর্তা ইমাম হোসেন পাটোয়ারি বলেন, মঙ্গলবার সকালে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার তৎপরতা অব্যাহত রেখেছি।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৭ দিন পর ভ্যানচালকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
প্রতিমা বিসর্জন দিতে গিয়ে নিখোঁজ ২ শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
মাগুরায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু
মাগুরা সদর উপজেলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক নির্মাণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাত ৮টার দিকে উপজেলার পারনান্দুয়ালী মাগুরা ফিলিংস পেট্রোল পাম্প সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মৃত শীলন (৩০) ঝিনাইদহ জেলার বাসিন্দা।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুস্তাফিজুর রহমান জানান, ট্রাকের বডি নির্মাণের গ্যারেজে ইলেকট্রিক যন্ত্র দিয়ে কেবিনের কাজ চলাকালীন সময় আকস্মিক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শীলন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাকে দ্রুত উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডা. অমর প্রসাদ তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ওসি আরও জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে সদর থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
শ্রমিকের দুর্বলতাকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলে ব্যবহার করবেন না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘দয়া করে শ্রমিকের দুর্বলতাগুলোকে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবেন না। বরং উদার সমর্থন এবং অর্থায়নের মাধ্যমে সেই দুর্বলতাগুলোকে কাটিয়ে উঠতে সাহায্যের চেষ্টা করুন।’
তিনি আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতি বাংলাদেশকে দুর্ভাগ্যজনক অতীতে টেনে না নিয়ে এর দূরদর্শী প্রচেষ্টায় যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় শুধুমাত্র কিছু ‘স্থায়ী’ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বার্থ এবং কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা করাই হবে বলে মন্তব্য করেছেন।
বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে শ্রম অধিকার, শালীন কাজ এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে অগ্রগতি নিয়ে আয়োজিত ‘কাজের মৌলিক নীতি ও অধিকার’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে বিতর্কের চর্চা করতে হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আইএলও-এর সদস্য রাষ্ট্র হওয়ার ৫০ বছর পূর্ণ হয়েছে বাংলাদেশের। দিবসটি উপলক্ষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও আইএলও যৌথভাবে সেমিনারটির আয়োজন করে।
মোমেন জানান, তিনি প্রকাশ্যে আইএলও’র সঙ্গে বাংলাদেশের ‘গঠনমূলক সম্পৃক্ততার’ চেতনায় এবং তাদের পারস্পরিক স্বার্থে এই পর্যবেক্ষণগুলো করেছেন।
যে কোনও সময়ে আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটের প্রতিক্রিয়া হিসেবে শ্রম ও কর্মসংস্থান খাতে যথাযথ কোর্স-সংশোধনের সুবিধা দেয়ায় বাংলাদেশ সরকারের আগ্রহ পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
মোমেন বলেন, ‘তবে আমরা আশা করব আইএলওসহ আমাদের প্রাসঙ্গিক আন্তর্জাতিক অংশীদাররা স্থানীয় পর্যায়ের জ্ঞান এবং অন্তর্দৃষ্টির মূল্য স্বীকার করবে। সকলের সঙ্গে খাপ খায় এমন একটি মডেল নিবে। একতরফা নির্দেশনামূলক পদ্ধতি গ্রহণ করবে না।
তিনি বলেন, সরকার ইউক্রেনের যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমান জীবনযাত্রার ব্যয়-সঙ্কট সমন্বয় করতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তরুণ কর্মশক্তির জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখে এবং মুদ্রাস্ফীতির চাপের সময় দরিদ্র পরিবারগুলোকে সহায়তা করতে সামাজিক নিরাপত্তার পরিধি প্রসারিত করে।
তিনি বলেছেন, ‘এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সম্ভাব্য বৈশ্বিক মন্দার মুখে কিছু বাস্তবিক নীতি গ্রহণ করে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে প্রয়োজনীয় আর্থিক সুযোগ দিয়েছে।’
আরও পড়ুন: শেখ রাসেলের মতো যেন আর কোন শিশুকে জীবন দিতে না হয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মোমেন ২০০৮-০৯ সালের বৈশ্বিক আর্থিক সংকটের সময় আন্তর্জাতিক নীতির আলোচনায় আইএল’র পুনরুত্থান এবং প্রাসঙ্গিকতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই যে আইএলও তার প্রত্যাশিত ভূমিকা পালন করছে। কারণ আমরা আরও একাধিক সংকটকাল মোকাবিলা করছি।’
সেমিনারে বক্তব্যে আইএলও-এর সহকারি মহাপরিচালক এবং এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক চিহোকো আসাদা-মিয়াকাওয়া বলেন, আইএলও অনুসমর্থিত কনভেনশনের প্রয়োগে সরকারের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
আইএলও দক্ষতাভিত্তিক শাসনের পদ্ধতিকে সহযোগিতা করছে এবং আরও আধুনিকীকরণের প্রত্যাশা করছে। আইএলও এই অংশীদারিত্ব অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘সরকার এবং সামাজিক অংশীদারদের সঙ্গে আমরা সাধারণ লক্ষ্যে পৌঁছাতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’
আইএলও’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সার্বিক লক্ষ্য হলো বাংলাদেশকে এই সংকট থেকে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পুনরুদ্ধার অর্জন করা যা সম্পূর্ণ অন্তর্ভুক্তিমূলক, পদ্ধতিগত এবং স্থিতিস্থাপক।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী নীতিগুলোকে শক্তিশালীকরণে জোর দিয়েছিলেন যা সকলের জন্য শালীন কাজে অগ্রাধিকার দেয় এবং বৈষম্যের সমাধান করে।
আসাদা-মিয়াকাওয়া বলেন, এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর অর্থ হবে একটি ব্যাপক সূচির মাধ্যমে অগ্রগতি করা এবং মানসম্পন্ন কর্মসংস্থান, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, শ্রমিকদের সুরক্ষা, সার্বজনীন সুরক্ষা এবং সামাজিক সংলাপের প্রচার করা।
তিনি সকলের জন্য নিরাপদ কাজকে অগ্রাধিকার দেয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আইএলও-এর সঙ্গে ভবিষ্যত সহযোগিতাকে শক্তিশালীকরণ ও পুনঃনির্মাণে আগ্রহের পাঁচটি সুনির্দিষ্ট বিষয় চিহ্নিত করে। মোমেন আশা করেন যে জলবায়ু পরিবর্তন, ডিজিটাইজেশনের কারণে কাজের জগতে দ্রুত পরিবর্তনের জন্য আইএলও ও সরকার সহযোগিতা করবে।
মোমেন বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে আন্তর্জাতিক ট্রেড ইউনিয়ন সংস্থাগুলো প্রায়শই অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার জন্য মৌখিক পরিষেবা ছাড়া আর কিছুই দেয় না।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সক্ষমতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে আইএলওকে অংশীদার হিসেবে দেখতে চায় এবং স্থানীয় যোগ্যতার ক্ষেত্রে যা হওয়া উচিত তা অগত্যা উপযুক্ত নয়।
অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও শ্রম খাতে কিছু গুরুতর দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে, এমনকি সম্প্রতি ঘটেছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে উপযুক্ত কর্মপরিবেশে উৎপাদনশীল কর্মী বাহিনী নিয়োজিত না থাকলে রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করা তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
সেমিনারে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনসহ সংশ্লিষ্টরা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: খাদ্য-জ্বালানি নিরাপত্তার বিষয়ে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে আহত শ্রমিকের মৃত্যু
চট্টগ্রামে বিভিন্ন পণ্যের বৃহত্তর পাইকারী বাজার খাতুনগঞ্জে ভ্যানচালকের ছুরিকাঘাতে আহত মাসুদ (২৯) নামে শ্রমিক মারা গেছেন।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির জানান, ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার পরই একটি মামলা হয়েছে। এটি এখন হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ কাজ করছে। খাতুনগঞ্জে এখন অতিরিক্ত পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে।
স্থানীয়রা জানায়, গত ১৭ অক্টোবর সোমবার সন্ধ্যায় তর্ক-বিতর্কের জেরে খাতুনগঞ্জের চাঁনমিয়া লেইনে পিকআপ ভ্যানের চালকের ছুরিকাঘাতে ট্রাকে মালামাল তোলার কাজে নিয়োজিত শ্রমিক শ্রমিক মাসুদ গুরুত্বর আহত হয়। এ ঘটনার পরপরই শত শত শ্রমিক ক্ষুব্ধ হয়ে গাড়ি থেকে পণ্য উঠানামা বন্ধ করে ঠেলাগাড়ি দিয়ে পথরোধ করে বিক্ষোভ করেন। আহত মাসুদকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পর আজ সকালে মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র নিহত, আটক ৪
নেত্রকোণায় ছুরিকাঘাতে কলেজছাত্র খুন, আটক ২
ফতুল্লায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে যুবক খুন
গজারিয়ায় ক্রেন ধসে শ্রমিক নিহত
মুন্সিগঞ্জে একটি স্টিল মিলে ক্রেন ধসে ৩২ বছর বয়সী এক শ্রমিকের মৃত্যু এবং অপর একজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে জেলার গজারিয়া উপজেলার বাউশিয়া এলাকায় ম্যাগনাম স্টিল মিল এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোল্লা সোহেব আলী জানান, নিহত আবুল কালাম পোড়াচক বাউশিয়া পূর্ব নয়াকান্দি গ্রামের মৃত রইছ উদ্দিনের ছেলে।
আহতকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
নিহতের চাচা আব্দুল গাফফার জানান, কালাম স্টিল মিলের ফার্নেস সেকশনে কর্মরত অবস্থায় ক্রেনটি তার ওপর পড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে ক্রেন পড়ে বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণ শ্রমিক নিহত
বিআরটি প্রকল্প এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে: কাদের
উত্তরায় ক্রেন দুর্ঘটনা: বিআরটির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
অভিবাসী শ্রমিকদের জন্য সমান বিধান নিশ্চিত করুন: ব্রুনাইয়ের প্রতি বাণিজ্যমন্ত্রী
ব্রুনাইয়ে বাংলাদেশি শ্রমিকদের জামানত হিসেবে এক হাজার ৬শ’ ডলার দিতে হয়। মালয়েশিয়ার জন্য এ পরিমাণ ৫’শ ডলার। এই বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
রবিবার সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা সফররত ব্রুনেইয়ের অর্থমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন, সরকারের বিদেশি বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালার কারণে বাংলাদেশ এখন বৈশ্বিক উদ্যোক্তাদের জন্য সবচেয়ে আদর্শ গন্তব্য। এদেশে কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের অভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি চীন-ভারতের ২৭০ কোটি মানুষের বাজারও ধরা যাবে। কেননা দুটি দেশেই বেশিরভাগ পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পায় বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন: ব্রুনাইয়ের জন্য বাংলাদেশ হতে পারে বিনিয়োগের উপযুক্ত জায়গা: বাণিজ্যমন্ত্রী
বৈঠকে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো.শাহরিয়ার আলম ব্রুনেইকে বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি মানবসম্পদ নেয়ার আহ্বান জানন।
এছাড়াও আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর জন্য আলাদা একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার প্রস্তুাব দিয়ে ব্রুনেইকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
বৈঠকে ব্রুনেইয়ের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী দাতো সেরি সেটিয়া ড. আওয়াং হাজী মোহাম্মদ আমিন লিউ আবদুল্লাহ তার দেশকে ট্রান্সশিপমেন্ট হাব হিসেবে ব্যবহারের জন্য আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ব্রুনেইয়ের বন্দর ব্যবহার করলে চীনের সঙ্গে দূরত্ব অনেক কমবে। এতে খরচ ও সময় সাশ্রয় করা সম্ভব হবে।
বাংলাদেশী কর্মীদের প্রশংসা করে ব্রুনেইয়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতো সেরি পাদুকা আওয়াং হাজি আহমাদদিন বিন হাজী আবদুল রহমান বলেন, ব্রুনেইয়ের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে এসব কর্মীর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
এছাড়াও বৈঠকে বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন, বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান ও বিদেশি উদ্যোক্তাদের সংগঠন ফিকি’র সভাপতি নাসের এজাজ। অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মো.আমিন হেলালী, সালাহউদ্দিন আলমগীর ও মো.হাবীব উল্ল্যাহ ডন।
বৈঠক শেষে বাংলাদেশের ব্রুনেইয়ের হালাল খাদ্যপণ্য বিপণনে দেশটির ঘানিম ইন্টারন্যাশনাল ও বাংলাদেশের জেডইএস ট্রেডিংয়ের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই হয়। ঘানিম ইন্টারন্যাশনালের পক্ষে সিইও নূর রহমান ও জেডইএস ট্রেডিংয়ের পক্ষে এফবিসিসিআই পরিচালক ড. কাজী এরতেজা হাসান চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রীর
নেপালের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক
রংপুরে বজ্রপাতে ৫ শ্রমিকের মৃত্যু
রংপুরের পীরগঞ্জে বজ্রপাতে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের বিটিসি মোড় নামক স্থানে এ বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন-পার্শ্ববর্তী গাইবান্ধার সাদুল্যাপুর উপজেলার ধাপেরহাট তিলকপাড়া গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে নাজমুল (১৮), একই উপজেলার ইদিলপুর ইউনিয়নের চকনদী গ্রামের সিরুলের ছেলে সিয়াম (২০), আল আমিনের ছেলে শাহাদত (২৫), আয়তালের ছেলে রাশেদুল (২৪) এবং পীরগঞ্জর চকশোলাগাড়ী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে জব্বার।
এসময় আহত হয়েছেন আরও একজন।
আহত মেহেদুল পীরগঞ্জ উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নে রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাবিলপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, নিহতরা সকলেই শ্রমিক। তারা ধাপেরহাট ৩২ মাইল এর পূর্ব পাশে পীরগঞ্জ উপজেলার চকশোলাগাড়ীর একটি ইটভাটার শ্রমিক।
তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে বৃষ্টির মধ্যে আকস্মিক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়।
পীরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল আউয়াল বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
রাজধানীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শ্রমিকের মৃত্যু
রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এক দিনমজুরের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার নগরীর খিলগাঁও তালতলা এলাকায় একটি ফ্ল্যাটের আসবাবপত্র বদলাতে গিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. ইসহাক হাওলাদার (৬০) বরিশালের গৌরনদী থানার বিল্লো গ্রামের মফিজ হাওলাদারের ছেলে। তিনি তালতলা বাজার এলাকায় বসবাস করতেন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় তালাবদ্ধ ঘর থেকে দম্পতির লাশ উদ্ধার
খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর ই আলম বলেন, রাত সাড়ে ১২টার দিকে ফ্ল্যাট থেকে আসবাবপত্র স্থানান্তরের সময় বৈদ্যুতিক তারে স্পর্শ করলে ইসহাক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
সহকর্মীরা ইসহাক হাওলারকে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে বিকাল ৪টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে নিহত শাওনের লাশ দাফন
ফরিদপুরে পৃথক স্থান থেকে ২জনের লাশ উদ্ধার
বরগুনায় পরিবহন শ্রমিকের ধর্মঘট প্রত্যাহার
বরগুনায় বাস ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে জেলা দূরপাল্লার যাত্রীবাহী পরিবহন পরিচালনা কমিটি। মঙ্গলবার রাতে পরিবহন শ্রমিকরা তাদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে।
বুধবার সকাল থেকে বরগুনা জেলায় বাস চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
মিনিবাস ও কোচ মালিক সমিতির সভাপতি কিসলু বলেন, ‘মঙ্গলবার রাতে আমরা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি এবং তারা আমাদের সব দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন।’
আরও পড়ুন: বরগুনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ৩ জনের মৃত্যু
ইউনিয়ন নেতাদের মতে, জেলা প্রশাসন তাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিলে সংক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকরা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে।
বরগুনার পরিবহন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক এ কে আজাদ বাবলু বলেন, সোমবার সকাল থেকে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলাম। এ তথ্য জানার পর জেলা প্রসাশক আমাদের বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সভায় ডাকেন।
তিনি আরও বলেন, বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় টানা তিন ঘণ্টার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় বুধবার থেকে বাস চলাচল করবে। এছাড়াও বরিশাল বিভাগীয় আঞ্চলিক সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি সিটি মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তিনিও সম্মতি দিয়েছেন, তাই আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়ক দিয়ে ঢাকা-বরগুনা রুটের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বরিশাল রুপাতলী বাস মালিক সমিতি। ফলে বাসগুলো পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ এবং বরগুনার আমতলী ফেরি পার হয়ে বরগুনা থেকে ঢাকা এবং ঢাকা থেকে বরগুনা যাওয়া-আসা শুরু করে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় ছাত্রলীগের ওপর লাঠিচার্জ: ১৩ পুলিশের বিরুদ্ধে শাস্তির সুপারিশ
বরগুনায় ছাত্রলীগকে লাঠিপেটা: অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলী প্রত্যাহার