বৃষ্টি
বৃষ্টিতে রাজধানীতে জনজীবন বিপর্যস্ত, ঘটছে প্রাণহানিও
গতকাল রাতে মাত্র ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের ফলে রাজধানীর জনজীবন স্থবির হয়ে পড়ে এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে। রাজধানী ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দেশের বেশ কয়েকটি জেলায় সন্ধ্যা ৬ টা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়।
আরও পড়ুন: বরিশালে অস্ত্রোপচার করে সুঁই বের করার সময় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ
অবিরাম বৃষ্টিপাতের ফলে ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। যার ফলে যাত্রীরা আটকা পড়েন এবং প্রচণ্ড অসুবিধার সম্মুখীন হন। রাস্তাগুলো জলমগ্ন ছিল এবং প্রধান সড়কগুলোতে ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়।
রাজধানীর মিরপুর ১০, মিরপুর ১১, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, পুরানা পল্টন, গুলিস্তান, পুরান ঢাকা, বংশাল রোড, বিজয় সরণি, ইস্কাটন, ফার্মগেট, তেজগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে যায়।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন ভারতের ঝাড়খণ্ডে অবস্থানরত নিম্নচাপের কারণে ঢাকা শহরে অবিরাম বৃষ্টি ও বজ্রপাত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিপ্তরের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: অতি বৃষ্টির কারণে চবির ২২ বিভাগের পরীক্ষা স্থগিত
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান জানান, রাজধানীতে ১২২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার এ রিপোর্ট লেখাপর্যন্ত রাজধানীর বংশাল, সিদ্দিক বাজার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, খিলগাঁও, রামপুরা, পুরান ঢাকার কিছু এলাকাসহ বেশ কিছু এলাকায় পানি আটকে রয়েছে।
বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড প্রথম ওয়ানডে ম্যাচ বৃষ্টির কারণে কমিয়ে ৪২ ওভার করা হয়েছে
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে, বৃহস্পতিবার মিরপুরে বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচে ওভারের সংখ্যা কমিয়ে সংক্ষিপ্ত করা হয়েছে। এ ম্যাচে দুই দলের মধ্যে প্রতিযোগিতা হবে ৪২ ওভারে।
আনুমানিক ২টা ২২মিনিটে ৪ দশমিক ২ ওভারের পরে বৃষ্টির কারণে খেলা বাধাগ্রস্ত হয়, যার ফলে ম্যাচটি দুই ঘণ্টা থেমে থাকে।
আরও পড়ুন: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের
সংশোধিত প্লেয়িং কন্ডিশনের অধীনে, প্রতিটি দল সর্বোচ্চ ৪২ ওভার ব্যাট করবে। দুই বোলার সর্বোচ্চ নয় ওভার করতে পারবেন, আর তিনজন বোলার সর্বোচ্চ আট ওভার করতে পারবেন।
প্রথমে নয়টি ওভারকে প্রথম পাওয়ারপ্লে হিসেবে নির্ধারণ করা হবে, তারপরে ১০ তম থেকে ৩৪তম ওভার পর্যন্ত দ্বিতীয় পাওয়ারপ্লে এবং বাকি ওভারগুলো নিয়ে তৃতীয় পাওয়ারপ্লে গঠন করবে।
এই ম্যাচে টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
এই সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় ম্যাচটি একই ভেন্যুতে ২৩ ও ২৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে- রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণও হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকাল ৬টা হতে আগের ২৪ ঘণ্টায় বরিশালের খেপুপাড়ায় দেশের সর্বোচ্চ ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশে মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি আকারে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির ফলে মঙ্গলবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'ভালো'
ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ ৮ বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে- ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দুই-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, ঢাকা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস রবিবার সকালে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর'
এ ছাড়া ঢাকা, টাঙ্গাইল, রাজশাহী সিরাজগঞ্জ, রংপুর, সৈয়দপুর, বড়িগ্রাম, পঞ্চগড়, মৌলভীবাজার, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম মধ্য প্রদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রফুল, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
এদিকে, রবিবার সকাল ৬টা হতে আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে সৈয়দপুরে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে কুতুবদিয়ায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস শনিবার সকালে 'অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকাসহ দেশের ৮ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের
ঢাকাসহ দেশের আট বিভাগে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীদমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’
মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সর্বোচ্চ ৫২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
বুলেটিনে আরও বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা, রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারী ও চুয়াডাঙ্গা জেলার উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং কিছু কিছু জায়গায় তা প্রশমিত হতে পারে।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি এবং ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ এর মধ্যে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৮ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের
ঢাকাসহ ৮ বিভাগে বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের
ঢাকাসহ ৮ বিভাগে সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রংপুর, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৮ বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
এতে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এছাড়া চট্টগ্রামের কুতুবদিয়ায় দেশের সর্বোচ্চ ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে রাজশাহী, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, রংপুর, নীলফামারী, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, বরিশাল, পটুয়াখালী ও ভোলা জেলার উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং কিছু জায়গায় তা প্রশমিত হতে পারে বলে বুলেটিনে বলা হয়েছে।
এছাড়া মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস শনিবার সকালে 'সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর'
ঢাকার বাতাসের মান রবিবার সকালে 'মধ্যম'
দেশের বিভিন্ন স্থানে বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ, আছে বৃষ্টির সম্ভাবনাও
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত আবহাওয়া পূর্বাভাসের একটি বুলেটিনে এই তথ্য জানায় বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে বলা হয়, ঢাকা, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ ও সিলেট জেলাসহ রংপুর বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা কিছু কিছু জায়গা থেকে প্রশমিত হতে পারে।
ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানানো হয় আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম'
এছাড়া দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে এবং সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন অন্ধ্র-উড়িষ্যা উপকূলের অদূরে পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড়, উড়িষ্যা, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকা ষষ্ঠ
ঢাকাসহ ৮ বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি) মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ আট বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে।
বিএমডির নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, ‘রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের কয়েকটি স্থানে মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।’
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে
এতে বলা হয়েছে, আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটে।
সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়েছে, সোমবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে খুলনার মোংলায় ৩৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৮ বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে
ঢাকাসহ অন্যান্য বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে
বর্ষা এলেই জলাবদ্ধতায় নাজেহাল রাজধানীবাসী
ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের। বর্ষা মৌসুম এলেই প্রতি বছর জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় রাজধানীবাসীকে। টানা ২/১ ঘণ্টার বৃষ্টিতে তলিয়ে যায় শহরের বিভিন্ন রাস্তাঘাট।
রাজধানীর নিচু এলাকায় পানি জমে যায়। এতে বেশ বিপাকে পড়তে হয় কর্মজীবী নগরবাসীকে।
অন্যদিকে, সেসময় পরিবহন সংকট তীব্র হয়ে যায়। কোনোমতে রিকশা বা সিনজি পাওয়া গেলেও দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করে চালকেরা।
এভাবে প্রতি বছর জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় রাজধানীবাসীকে।
বৃষ্টি হলেই নগরীর অলিগলি ও ছোট পরিসরের রাস্তাগুলোতে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। রাজধানীর পানি নিষ্কাশনের পথগুলো আবর্জনায় ভরাট থাকায় দ্রুত পানি নামতে পারে না। ফলে প্রতিবারই এমন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
সামান্য বৃষ্টিতে বিশেষ করে মতিঝিল, বাড্ডা, মালিবাগ, রামপুরা, শান্তিনগর, মৌচাক, বেইলি রোড, কাকরাইল, গুলিস্তান, কারওয়ান বাজার, ফার্মগেট, মিরপুর, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, ভাটারা- বসুন্ধরা, খিলক্ষেতসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যায়।
এ বিষয়ে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বলছে, অন্যান্যবারের তুলনায় এ বছর জলাবদ্ধতা অনেকাংশে কম হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ হচ্ছে। এবার রাজধানীতে আর আগের মতো জলাবদ্ধতা থাকবে না।
কিন্তু গত ৯ আগস্টে টানা প্রায় এক ঘণ্টা ভারী বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছিল। ওইদিন প্রবল বর্ষণে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
বৃষ্টির ফলে তলিয়ে গিয়েছিল শাহবাগ, বাংলামোটর, ধানমন্ডি, মগবাজার, মতিঝিল, কাকরাইল, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক, বেইলি রোড, কাকরাইল, রামপুরা, শাহবাগ, ধানমন্ডি, পল্টন, প্রেস ক্লাব, মিরপুর, বসুন্ধরা ও ভাটারাসহ বিভিন্ন এলাকা।
তবে জলাবদ্ধতায় সবচেয়ে বেশি নাকাল হতে হচ্ছে পুরান ঢাকাবাসীকে।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: বিমান সিইও
রামপুরার বাসিন্দা কামরুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, প্রতি বছর বৃষ্টি হলেই রামপুরাসহ আমাদের এলাকাসহ আশপাশের এলাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সিটি করপোরেশনের দুই মেয়রের বক্তব্যে আমরা প্রায় শুনি রাজধানীতে আগের মতো আর জলাবদ্ধতা হবে না। গত কিছুদিন আগে এক ঘণ্টার বৃষ্টির পর আমাদের এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
তিনি আরও বলেন, বারবার শুনি এবার আর জলাবদ্ধতা হবে না, কিন্তু বর্ষা শুরুর আগেই অল্প বৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে সড়ক।
রাজধানীর জুরাইন, শ্যামপুর, যাত্রাবাড়ী, কদমতলী, বনশ্রী ও ভূঁইয়া পাড়া এলাকায় জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের সমস্যা।
ভূঁইয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন ইউএনবিকে জানান, প্রতি বছর জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় আমাদের। অনেক বছর ধরে রাস্তা-ঘাট, ড্রেনেজ ব্যবস্থার কোনো সংস্কার হয়নি। ফলে বৃষ্টি হলেই জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। আর বেশি বৃষ্টি হলে পানি নেমে যেতে সময় লাগে আরও বেশি।
বৃষ্টির ফলে প্রগতি সরণির কুড়িল-রামপুরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা যায়।
এই এলাকার বাসিন্দা ওয়াহিদ বলেন, বর্ষা মৌসুম এলেই প্রতি বছর জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ফলে কর্মজীবী মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এ ছাড়া অতিবৃষ্টি হলে এই সড়কে যানবাহনও ধীরগতিতে চলাচল করে। জলাবদ্ধতার কারণে সড়কে পানি জমে থাকায় যানবাহনও কম পাওয়া যায়।
জলাবদ্ধতার মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- খালগুলো অবৈধ দখলে থাকা, পানিপ্রবাহ ঠিক না থাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর কার্যকর পরিকল্পনা না থাকা।
তবে, ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে ওয়াসার দায়িত্বে থাকা সব নালা ও খাল দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন কী করছে জানতে চাইলে মেয়র আতিকুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, আমাদের ১ হাজার ২৫০ কিলোমিটার ড্রেন আছে। এগুলো নিয়মিত পরিষ্কারের পাশাপাশি সেখানে পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে। খালগুলো থেকে বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। আশা করা যায় এবার জলাবদ্ধতা কিছুটা হলেও কমবে।
তিনি বলেন, এ ছাড়া আমাদের কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা আছে। জলাবদ্ধতার কারণে সবচেয়ে বেশি জনদুর্ভোগে পড়েন কাজীপাড়া ও শেওড়াপাড়ার বাসিন্দারা। ওয়াসা থেকে প্রাপ্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থায় এসব জটিলতার অবসান হয়েছে। এছাড়া ২৯টি খাল নিয়ে কাজ করছি। উদ্ধারের পর কিছু খনন, পরিষ্কার, খালপাড় সবুজায়ন, ওয়াক ওয়ে নির্মাণকাজ করা হচ্ছে। পাশাপাশি জিআইএস পদ্ধতিতে খালের সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম চালু রেখেছে তার। সেখানে তারা এখন পর্যন্ত ৫২৪টি পিলার স্থাপনের কাজ শেষ করেছে। খালগুলোর নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলমান আছে। খাল দখলমুক্তের কাজ করছে।
আরও পড়ুন: ডিমের দাম বৃদ্ধির পেছনে বাজার অব্যবস্থাপনা
তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে ইব্রাহিমপুর, লাউতলা, কল্যাণপুর, রূপনগর, আব্দুল্লাহপুর, সিভিল এভিয়েশন, বাইশটেক ও বাউনিয়া খাল দখলমুক্তের কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, উত্তরের মোট ১০৩টি স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির পরিবেশ আছে। সেখানে অল্প বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। স্থানগুলো চিহ্নিত করে সংস্থাটি কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়া তাৎক্ষণিক কোথাও জলাবদ্ধতা হলে ডিএনসিসির কুইক রেসপন্স টিম এবার কাজ করবে। এ ছাড়াও গত এক বছরে প্রায় ২ লাখ টন বর্জ্য অপসরণ করেছে।
অন্যদিকে, কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ড-কে একটি অত্যাধুনিক হাইড্রো ইকোপার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সেখানে বেদখল হওয়া ৫৩ একর জায়গা উদ্ধারের পর এখন খনন কাজ চলছে। কল্যাণপুর রিটেনশন পন্ড থেকে অপসারণ করা হয়েছে ৩০ লাখ ঘনফুট স্ল্যাজ। জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনা হিসেবে মগবাজার, মধুবাগ, কারওয়ান বাজার, উত্তরা ১ নম্বর সেক্টরসহ এয়ারপোর্ট রোড ও বনানী রেলগেট থেকে কাকলী মোড় পর্যন্ত ড্রেন নির্মাণ ও পাইপলাইন স্থাপন করা হচ্ছে।
জলাবদ্ধতা নিরসনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কী করছে জানতে চাইলে প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম ইউএনবিকে বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা খালসহ করপোরেশনের আওতাভুক্ত নালা-নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার করছি। আপনারা জানেন ঢাকা শহরের জলাবদ্ধতা একটা নিয়মিত বিষয়। এ ছাড়া কিছু জায়গাতে রাস্তার নির্মাণকাজ চলমান থাকায় সেখানে কিছু জলাবদ্ধতা হচ্ছে, যা কয়েক দিনে ঠিক হয়ে যাবে।
জলাবদ্ধতা নিরসনের পদক্ষেপের বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ইউএনবিকে বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুরু করেছি। ইতোমধ্যে এর সুফল নগরবাসী পাওয়া শুরু করেছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন, খাল, নর্দমা ও বক্স-কালভার্ট হতে বর্জ্য ও পলি অপসারণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আধুনিকায়ন, আদি বুড়িগঙ্গা চ্যানেল পুনরুদ্ধার এবং খাল সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির মতো কার্যক্রমের সুফল নগরবাসী ইতোমধ্যে পাওয়া আরম্ভ করেছে। আশা করা যায় জলাবদ্ধতাবিষয়ক সমস্যা অনেকাংশে কমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। গত তিন বছরে জলাবদ্ধতা নিরসনে নিজস্ব অর্থায়নে ২২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ১৩৬টি স্থানে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নে কাজ হয়েছে। যার সুফল গত বছর থেকেই নগরবাসী পেতে শুরু করেছে। আগে বৃষ্টির সময় নগরীর ৭০ শতাংশ ডুবে যেত। কিন্তু এখন জলাবদ্ধতা আগের মতো হচ্ছে না।
মেয়র তাপস বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে নিজস্ব অর্থায়নে ২২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গত তিন বছরে ১৩৬টি স্থানে অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন করেছে।
ধানমন্ডি- ২৭, পলাশী মোড়, আজিমপুর মোড়, শান্তিনগর, রাজারবাগ, বাংলাদেশ সচিবালয়, মতিঝিল এলাকার নটরডেম কলেজের সামনের অংশ, বাংলাদেশ ব্যাংক ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সামনের রাস্তা, সূত্রাপুর শিল্পাঞ্চল এখন আগে থেকে কম পানি জমে বলে ডিএসসিসি দাবি করেছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন শ্যামপুর, মান্ডা, জিরানী ও কালুনগর- এ চার খালের বর্জ্য ও পলি অপসারণ এবং খাল সংস্কার করে নান্দনিক পরিবেশ গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে ডিএসসিসি। ৮৯৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়িত হতে যাওয়া এ চার খালের নকশা, অঙ্কন ও জরিপ কাজ চলছে। একই সঙ্গে এসব খাল থেকে বর্জ্য অপসারণ ও ভূমি উন্নয়নের লক্ষ্যে দরপত্র কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।
অন্যদিকে, কামরাঙ্গীরচরের মুসলিমবাগ থেকে রায়েরবাজার পর্যন্ত প্রায় সাত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নিজস্ব অর্থায়নে ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চ্যানেলের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম চলমান বলে জানায় ডিএসসিসি।
উল্লেখ্য, ঢাকা ওয়াসা দীর্ঘ ৩৪ বছর পর ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর শাখা-প্রশাখাসহ ১১টি অচল খাল, বর্জ্যে জমাটবদ্ধ পাঁচটি বক্স কালভার্ট ও প্রায় ২০০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের নর্দমার মালিকানা ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করেছে। দায়িত্বভার গ্রহণের পর এসব খাল, বক্স-কালভার্ট ও নর্দমা থেকে বর্জ্য অপসারণ, সীমানা নির্ধারণ ও দখলমুক্ত কার্যক্রম শুরু করে তারা।
এসব খাল, বক্স-কালভার্ট ও নর্দমা থেকে ২০২১ সালে ৮ লাখ ২২ হাজার টন, ২০২২ সালে ৪ লাখ ৪৪ হাজার টন এবং ২০২৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ১ লাখ ৩৫ হাজার টন বর্জ্য ও পলি অপসারণ করা হয়েছে বলে দাবি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের।
আরও পড়ুন: শিগগিরই শেষ হচ্ছে না হাতিরঝিলে চলাচলকারী যাত্রীদের ভোগান্তি
২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
আগামী ২৪ ঘণ্টায় (সকাল ৯টা থেকে শুরু) ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
শনিবার (১৯ আগস্ট) আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীদমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: রংপুর ও সিলেট বিভাগসহ ২ জেলায় মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটি বর্তমানে ভারতের ঝাড়খন্ড ও উত্তর ওড়িশার ওপর অবস্থান করছে।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাসের মান শুক্রবার সকালে 'মধ্যম'