বৃষ্টি
ঢাকাসহ ৮ বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে
বুধবার (৯ আগস্ট) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকাসহ দেশের ৮টি বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত পূর্বাভাসে বলা হয়- রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে
এতে আরও বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এছাড়া, সারা দেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মৌসুসি বায়ুর অক্ষ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, হিমাচল, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর একটি বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
এদিকে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টা দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
আগামী ২৪ ঘণ্টা দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
মৌসুমি বায়ুর সক্রিয়তার কারণে সোমবার সকাল ৯টা থেকে শুরু করে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ আট বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ও ভারী বর্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় সোমবার ঢাকা ৫ম
এদিকে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বাগেরহাটের মোংলায় ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে গোপালগঞ্জে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কক্সবাজারের সন্দ্বীপে সর্বোচ্চ ৫৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস।
মৌসুমি বায়ুর অক্ষ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি নিম্নচাপ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা ও অন্যান্য বিভাগে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
রবিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম'
বৃষ্টির কারণে ঢাকার বাতাসের মান রবিবার (১৩ আগস্ট) সকাল ৮টা ৪০মিনিটে 'মধ্যম' পর্যায়ে রয়েছে। এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ৯০ স্কোর নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যাপী দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১৬তম স্থানে রয়েছে।
কুয়েতের কুয়েত সিটি, ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং কাতারের দোহা যথাক্রমে ১৬৪, ১৫৮, ১৫৬ এবং ১৫৪ একিউআই স্কোর নিয়ে তালিকার প্রথম চারটি স্থান দখল করেছে।
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর'বলে মনে করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস শনিবার সকালে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’
এছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস শুক্রবার সকালে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
পানি নেমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক
কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হওয়ায় দুই দিন বন্ধ থাকার পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। তবে এখনও বান্দরবানের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে সড়ক যোগাযোগ।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ ইরফান জানান, পানি নেমে যাওয়ায় সকাল থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। দুয়েক জায়গায় পানি রয়েছে, বৃষ্টি না হলে দুপুর নাগাদ তাও কমে আসবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে নিখোঁজের ৩২ ঘণ্টা পর যুবকের লাশ উদ্ধার
গত এক সপ্তাহ ধরে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ ও লোহাগাড়া উপজেলার রাস্তা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের হাশিমপুর ইউনিয়নের বড়পাড়া কসাইপাড়া থেকে সাতকানিয়ার কেরানী হাট কোমর সমান পানিতে তলিয়ে যায়।
চন্দনাইশ কলেজ গেট এলাকা থেকে কেরানিহাট অংশে সড়কে পানি বাড়তে শুরু করলে সোমবার রাতে মহাসড়কে যানজট তৈরি হয়। পরে রাত ৩টার পর থেকে যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যায়, তাতে দুর্ভোগে পড়েন বয়স্ক ও শিশুসহ অন্য যাত্রীরা।
গত দুই দিন কিছু কিছু যানবাহন বিকল্প সড়ক বাঁশখালী হয়ে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম শহরে আসা-যাওয়া করছিল।গতকাল থেকে ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় পানি সরে যাওয়ার পর আজ সকাল থেকে স্বাভাবিক হয়েছে যানবাহন চলাচল।
সাতকানিয়ার কেরানী হাটের ব্যবসায়ী মফিজুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এখনও চন্দনাইশ সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলার বেশ কিছু এলাকা পানির নিচে তলিয়ে আছে। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এখনো বন্ধ রয়েছে। জনজীবন স্বাভাবিক হতে আরও ২/৩ দিন লাগবে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু
চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর বন্যা পরিস্থিতি ২৪ ঘণ্টায় উন্নতি হতে পারে: এফএফডব্লিউসি
আগামী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে
মৌসুমী বায়ু মোটামুটি সক্রিয় থাকায় বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে শুরু করে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার বাতাসের মান বিশ্বে ‘দূষণে তৃতীয়’
এতে আরও বলা হয়েছে, সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মৌসুমী বায়ুর অক্ষ ভারতের পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত। এর সঙ্গে সম্পর্কিত একটি নিম্নচাপ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত।
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৮ বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের
৮ বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস আবহাওয়া অধিদপ্তরের
বুধবার (৯ আগস্ট) সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রাজশাহী, ঢাকা, বরিশাল, ময়মনসিংহ, খুলনা ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন: আগামী ৭২ ঘণ্টায় দেশে বৃষ্টিপাত কমতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
এতে আরও বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
এছাড়া সময়ের শেষে বৃষ্টিপাত বাড়তে পারে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়ায়।
এদিকে, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস বুধবার সকালে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে
বৃষ্টির কারণে চবিতে ১০ আগস্ট পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে মুষলধারে বৃষ্টিপাতের কারণে মঙ্গলবার থেকে আগামী ১০ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত সব অনুষদের ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৭ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কে এম নুর আহমেদের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়। তবে এই সময় অফিস খোলা থাকবে।
আরও পড়ুন: চবিতে সাংবাদিককে নির্যাতন, ২ ছাত্রলীগকর্মী বহিস্কার
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত কয়েকদিন ধরে টানা বর্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও যোগাযোগ ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে তিন দিনের জন্য সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ভূমিধসে গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ায় রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত চবি শাটল ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ বিরোধে চবির মূল ফটকে তালা
বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ঢাকার বাতাসের মান 'মধ্যম'
বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় সোমবার (৭ আগস্ট) সকালে ঢাকার বাতাসের মান ‘মধ্যম’ অবস্থায় রয়েছে।
এদিন সকাল ৯টা ১০ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ৯৫ স্কোর নিয়ে ঢাকা বিশ্বব্যাপী দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় তালিকায় ৯ম স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই এবং দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ যথাক্রমে ১৯৩, ১৬১ এবং ১৬০ নিয়ে তালিকার প্রথম তিনটি স্থানে রয়েছে।
একিউআই স্কোর ৫০ থেকে ১০০ এর মধ্যে থাকলে তাকে ‘মধ্যম’ বা ‘গ্রহণযোগ্য’ পর্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অন্যদিকে, একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ ধরা হয় এবং ১৫১ থেকে ২০০ এর মধ্যে একিউআই স্কোরকে 'অস্বাস্থ্যকর' বলে মনে করা হয়।
এছাড়া ২০১ থেকে ৩০০ একিউআই স্কোরকে 'খুব অস্বাস্থ্যকর' এবং ৩০১ থেকে ৪০০ একিউআই স্কোরকে 'ঝুঁকিপূর্ণ' হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে।
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে। সেগুলো হলো- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ু দূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (ডব্লিউএইচও) অনুসারে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।
আরও পড়ুন: ঢাকাসহ ৮ বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে
ঢাকার বাতাস রবিবার সকালে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
ঢাকাসহ ৮ বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে
রবিবার সকাল ৯টা থেকে পরের ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
এতে আরও বলা হয়েছে, দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এদিকে, সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হ্রাস পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আরও পড়ুন: ঢাকার বাতাস রবিবার সকালে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’
রবিবার সকাল ৬টা থেকে পূর্বের ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত ১৮৬ মিলিলিটার রেকর্ড করা হয়েছে বান্দরবানে।
অধিদপ্তরের পূর্বাভাসের বুলেটিনে আরও বলা হয়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি থেকে প্রবল অবস্থায় রয়েছে।
আরও পড়ুন: সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
বাঁশখালীতে অতি বৃষ্টিতে ঘরের দেয়াল ধসে শিশুর মৃত্যু
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ঘরের দেয়াল ধসে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৫ আগস্ট) রাতে উপজেলার সাধনপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মো. মিজবাহ (৩) সাধনপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বৈলগাঁও গ্রামের কৃষক রফিউল আলমের ছেলে।
বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দেয়াল ধসে নিহতের পরিবারকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
আরও পড়ুন: বরিশালে অস্ত্রোপচার করে সুঁই বের করার সময় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য মো. আব্দুল হামিদ বলেন, রাতের কোনো এক সময় দেয়াল ধসে শিশুটি মারা যায়। শিশুটির বাবা কৃষিকাজ করেন।
তিনি আরও বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে শিশুটির মা অসুস্থ। চিকিৎসাসহ বিভিন্ন কারণে আর্থিক অনটনে আছে পরিবারটি। তাই বর্ষা আসার আগে তারা বাড়িও মেরামত করতে পারেননি। অতি বৃষ্টির কারণে দেয়াল ধসের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় একদিনে পানিতে ডুবে ৩ শিশুর মৃত্যু