ঈদ
এবারের ঈদ আয়োজনে বড় পর্দার ১০টি চলচ্চিত্র
নতুন সিনেমার মাধ্যমে ঈদ বিনোদনটা বেশ পুরনো। বিগত কয়েক দশকে ঢালিউড চলচ্চিত্রের অনেক চড়াই- উৎরাই হলেও ঈদের সময় বাংলা ছবির শোরগোলটা ছিল স্বাভাবিক। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। এমনকি ব্যবসায়িক সিনেমাগুলোর পাশাপাশি মূলধারার কাতারে শামিল হচ্ছে শৈল্পিক ও নিরীক্ষাধর্মী ছবিগুলোও। তাই ভিন্ন স্বাদে বাড়ছে দর্শকদের প্রত্যাশা। চলুন, ঈদুল ফিতর ২০২৪-এ মুক্তির অপেক্ষায় থাকা তেমনি কিছু বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক।
আসন্ন ঈদুল ফিতর ২০২৪ এ যে ১০টি বাংলাদেশী সিনেমা দর্শক মাতানোর অপেক্ষায়
রাজকুমার
২০২২ সালের ২৯ মার্চ সিনেমার ফার্স্ট লুক প্রকাশের পর থেকেই হৈচৈ শুরু হয়েছে ‘রাজকুমার’ নিয়ে। রোমান্টিক-অ্যাকশন ঘরানার এই মুভিতে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের নায়িকা হয়েছেন মার্কিন অভিনেত্রী কোর্টনি কফি। আর এ নিয়ে মোট ৩টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করলেন পরিচালক হিমেল আশরাফ।
এখানে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুবর্ণা মোস্তফা, আফজাল হোসেন, ফারুক আহমেদ এবং ডা. এজাজ।
‘রাজকুমার’ বাংলাদেশের একটি গ্রাম্য যুবকের আমেরিকার যান্ত্রিক শহরে তার মাকে খোঁজার গল্প। এই অক্লান্ত যাত্রায় একে একে যুবকটি সম্মুখীন হয় অভিবাসন বাধা, ভিন্ন সংস্কৃতি, এমনকি প্রেম-ভালবাসার।
আরও পড়ুন: অ্যামাজন প্রাইমের পর এবার টফির পর্দায় আসছে ‘ওরা ৭ জন’
কাজলরেখা
দেশের সাড়া জাগানো চলচ্চিত্রকার গিয়াস উদ্দিন সেলিমের দীর্ঘ ১২ বছরের গবেষণার ফসল এই চলচ্চিত্র। মৈমনসিংহ গীতিকার ‘কাজলরেখা’ অবলম্বনে নির্মিত সিনেমাটির গল্প, পরিচালনা এবং প্রযোজনা করেছেন সেলিম নিজেই। সিনেমার পটভূমিক আজ থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগের।
মুভির নাম ভূমিকায় দেখা যাবে মন্দিরা চক্রবর্তীকে। সুচ কুমারের ভূমিকায় থাকছেন শরিফুল রাজ। আর খলচরিত্র কঙ্কণ দাসী হিসেবে রয়েছেন রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা।
চলচ্চিত্রটিতে আরও আছেন ছোট পর্দার তারকা খায়রুল বাশার, সাদিয়া আয়মান, ইরেশ যাকের, আজাদ আবুল কালাম, ও শাহানা সুমি।
লাস্ট ডিফেন্ডারস অব মনোগামী
ওটিটি (ওভার-দ্যা-টপ) প্ল্যাটফর্ম চরকি’র ‘মিনিস্ট্রি অব লাভ’ প্রজেক্টের ১২টি ওয়েব ফিল্মের একটি ‘মনোগামী’। পরিচালনায় আছেন স্বয়ং প্রজেক্ট তত্বাবধায়ক প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। প্রজেক্টের অধীনে ইতোমধ্যে তার পরিচালিত ও অভিনীত ‘অটোবায়োগ্রাফি’ ফিল্মটি বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে। এবারের ঈদুল ফিতরে ‘মনোগামী’র মাধ্যমে তিনি তুলে ধরতে যাচ্ছেন নারী-পুরুষের সম্পর্কের তীক্ত সত্য কিছু দিক। এর আগে তার এই প্রচেষ্টা দেখা গিয়েছিলো ‘ব্যাচেলার’ (২০০৪) ছবিতে। এবারে আলোকপাত করা হয়েছে বিবাহিত জীবনের দিকে।
আরও পড়ুন: সর্বোচ্চ আয়কারী ১০ বাংলাদেশি চলচ্চিত্র
সিনেমার শ্রেষ্ঠাংশে রয়েছেন এ সময়ের বিনোদন পাড়ার সবচেয়ে পরিচিত মুখ চঞ্চল চৌধুরী। তার সঙ্গে সহশিল্পী হিসেবে আছেন সঙ্গীতশিল্পী ও ইউটিউবার জেফার রহমান এবং নৃত্যশিল্পী সামিনা হোসেন প্রেমাকে।
দেয়ালের দেশ
বাংলাদেশ সরকারের অনুদানে নির্মিত এই রোমান্টিক ছবির মাধ্যমে প্রথমবারের মতো চিত্র-পরিচালনা করলেন মিশুক মনি। ছবির কাহিনি, সংলাপ ও চিত্রনাট্যও সবই তার লেখা। চলচ্চিত্রের গল্প এগিয়েছে দুটি ভিন্ন সময়কে কেন্দ্র করে।
‘দেয়ালের দেশ’-এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো জুটিবদ্ধ হয়েছেন শরিফুল রাজ ও শবনম বুবলী। ব্যবসায়িক ছবির নায়িকা হিসেবে সুপরিচিত বুবলীকে এবার দেখা যাবে অকৃত্রিম বাস্তবধর্মী চরিত্রে।
চলচ্চিত্রের অন্যান্য সহশিল্পীরা হলেন জিনাত শানু স্বাগতা, আজিজুল হাকিম, সাবেরী আলম, শাহাদাত হোসেন, এ কে আজাদ সেতু, সমাপ্তি মাশুক, এবং দীপক সুমন।
আরও পড়ুন: ঈদের কেনাকাটায় জনপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
মেট্রো সিনেমার ব্যানারে যৌথ ভাবে ছবির প্রযোজনা করেছেন মাহফুজুর রহমান ও মিশুক মনি।
ওমর
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী চলচ্চিত্রকার মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ দীর্ঘদিন পর বিনোদন পাড়ায় ফিরছেন ‘ওমর’-এর মাধ্যমে। মুভির শিরোনামটি ঠিক করেছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ছবির গল্প নিয়ে এখনও ‘ওমর’ টিমের কেউই তেমন কিছু প্রকাশ করেননি। তবে চিত্রনাট্য লিখেছেন সিদ্দিক আহমেদ।
চলচ্চিত্রের নাম চরিত্রে রয়েছেন শরীফুল রাজ। বিশেষ একটি চরিত্রে আবির্ভূত হবেন কলকাতার অভিনেত্রী দর্শনা বণিক। এছাড়া আরও থাকছেন ফজলুর রমান বাবু, নাসির উদ্দিন খান, শহীদুজ্জামান সেলিম, রোজী সিদ্দিকী, এরফান মৃধা শিবলু, ও আয়মান সিমলাকে। মাস্টার কমিউনিকেশন্সের ব্যানারে মুভির প্রযোজনায় ছিলেন খোরশেদ আলম।
আরও পড়ুন: টুয়েলভথ ফেইলের মতো অনুপ্রেরণা সৃষ্টিকারী ১০ সিনেমা
ঈদের কেনাকাটায় জনপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
পোশাক বিপণনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় ঈদের মৌসুম। বিশেষ করে ঈদুল ফিতরকে উদ্দেশ্য করে রোজা শুরু হতে না হতেই সরব হতে শুরু করে পোশাকের বাজার। নতুন কাপড়ের উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখতে নিজেদের প্রিয় ব্র্যান্ডের শরণাপন্ন হন ফ্যাশন সচেতন ক্রেতারা। এই শৌখিন শ্রেণিটিকে উদ্দেশ্য করে নিজেদের নতুন শৈলী নিয়ে হাজির হয় দেশ সেরা ব্র্যান্ডগুলো। এই উপলক্ষে চলুন, দেশের জনসমাদৃত ১০টি পোশাক ব্র্যান্ডের ঈদ সংগ্রহ দেখে নেওয়া যাক।
ঈদের বাজারে লোকপ্রিয় ১০টি বাংলাদেশি পোশাক ব্র্যান্ড
আড়ং
বাংলাদেশের প্রসিদ্ধ বেসরকারি সংগঠন ব্র্যাকের সামাজিক উদ্যোগ হিসেবে আড়ংয়ের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর। প্রতিষ্ঠাতা আয়েশা আবেদ এবং আমেরিকান শিক্ষাবিদ ও সমাজকর্মী মার্থা চ্যান।
প্রতিবারের মতো এবারও দেশীয় সিল্ক ও মসলিনের মতো দামি ফেব্রিকের সংমিশ্রণ ঘটাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। স্বভাবতই এক্সক্লুসিভ কালেকশনের অন্যতম আকর্ষণ হ্যান্ড এম্ব্রয়ডারি। কাট, প্যাটার্ন ও নকশার সমন্বয়ে করা প্রতিটি পোশাকেই ফ্যাব্রিক নির্বাচনে গুরুত্ব পেয়েছে উৎসবমুখরতা ও স্বস্তি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পুরুষদের পোশাকের সেরা ব্র্যান্ডসমূহ
মেয়েদের সালোয়ার কামিজে প্রাধান্য পেয়েছে লেয়ারিং ডিজাইন। পরিচিত রঙের সঙ্গে রয়েছে সাগর নীল, ল্যাভেন্ডার, টিল, প্লাম, মিন্ট গ্রিন, আইভরি, ময়ুর নীল, ও প্যাস্টালের মতো ভিন্নধর্মী রঙের ব্যবহার।
পুরুষদের পাঞ্জাবিতে থাকছে বয়সভিত্তিক বিচিত্র ডিজাইন। গরমকে কেন্দ্র করে তরুণদের পাঞ্জাবিগুলো প্রায় সবই খুব হালকা নকশার।
কে-ক্র্যাফট
১৯৯৩ সালে দেশের ঐতিহ্যবাহী বস্ত্র ও শৈলীকে উপজীব্য করে খালিদ মাহমুদ খান এবং শাহনাজ খান প্রতিষ্ঠা করেন কে-ক্র্যাফট।
প্রতি উৎসবের মতো এবারও পুরুষদের জন্য নিজস্ব স্টাইলের রেগুলার ও ফিটেড পাঞ্জাবির সংগ্রহ রেখেছে কে-ক্র্যাফট। পাশাপাশি রয়েছে কাট নির্ভর একরঙা পাঞ্জাবিও।
আরও পড়ুন: এই গরমে ট্যানিং এড়াতে কিছু টিপস
নারীদের জন্য নির্ধারিত পোশাক সারিতে দেখা গেছে ঐতিহ্য, ক্ল্যাসিক, রেট্রো, ফিউশন, ও লং প্যাটার্ন। এগুলোর মধ্যে অন্যতম ডাবল লেয়ার্ড সালোয়ার কামিজ, ডাবল লেয়ার্ড কুর্তি, টিউনিক, কাফতান, এবং টপ্স-পালাজো সেট। এ ছাড়া শাড়ির ক্যাটাগরিকে সমৃদ্ধ করেছে কটন, মসলিন, সিল্ক, খাদি মসলিনের বৈচিত্র্যগুলো।
প্যাটার্ন, ফ্যাব্রিক এবং রঙের দিক দিয়ে বড়দের মতো বাচ্চাদের পোশাকেও মিলছে একই বৈশিষ্ট্যের দেখা।
রঙ বাংলাদেশ
বিপ্লব সাহা, সৌমিক দাস, মামুন আল কবির এবং জাকিরুল হায়দার। ১৯৯৪ সালে সদ্য স্নাতক পাশ করা এই চার বন্ধু মিলিত প্রচেষ্টায় জন্ম নেয় রঙ। কবির এবং হায়দার কয়েক বছরের মধ্যে তাদের অংশীদারিত্ব ছেড়ে দেন। কিন্তু বিপ্লব এবং সৌমিক টানা ২১ বছর ধরে চালিয়ে যান কাপড়ের ব্যবসা। অতঃপর ২০১৬ সালে, রঙ ‘বিশ্ব রঙ’ এবং ‘রঙ বাংলাদেশ’- এই দুই ভাগে বিভক্ত হয়। এখানে ‘বিশ্ব রঙ’-এর কর্ণধার বিপ্লব সাহা, আর ‘রঙ বাংলাদেশ’-এর একমাত্র মালিক সৌমিক দাস। প্যারেন্ট কোম্পানি ‘রঙ’-এর দৌলতে বর্তমানে দুটোই বেশ স্বনামধন্য ব্র্যান্ড।
আরও পড়ুন: প্যারিস ফ্যাশন উইক: বেলা হাদিদের শরীরে জাদুকরী 'স্প্রে প্রিন্টেড' পোশাক
ঈদুল ফিতর ২০২৪ কে উপলক্ষ করে ‘রঙ বাংলাদেশ’ নিয়ে এসেছে ৪ উপাদান বিশিষ্ট ক্লাসিক্যাল থিম।
এগুলো হচ্ছে বাতাস, আগুন, পানি ও মাটি। এই থিমের সঙ্গে সব ধরনের পোশাকের নকশায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দেশীয় সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় আবহকে।
গ্রীষ্মের উষ্ণতার সঙ্গে মানিয়ে চলতে পোশাক তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বাতাস চলাচল করতে পারে এমন হালকা ওজনের ফেব্রিক। এগুলোর মধ্যে আছে স্লাব কটন, লিনেন, জ্যাকার্ড কটন, হাফসিল্ক, বারফি, জর্জেট ও ভিসকস। আর রঙের ভিত্তিতে প্রাধান্য পেয়েছে মেরুন, ফিরোজা, নীল, আকাশী, লাল, খয়েরি, হালকা কমলা, গাঢ় সবুজ ও কফি রঙগুলো।
অঞ্জন্স
১৯৯৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি শাহীন আহমেদের হাত ধরে শুরু হয় অঞ্জন্সের পথ চলা। এবারের ঈদে অঞ্জন্সের নকশা শৈলী, রঙ ও ফেব্রিকে থাকছে বসন্ত থেকে গ্রীষ্মে রূপান্তরের আবহ।
সালোয়ার কামিজ ও ওড়নার মুল উপাদান লিনেন, জ্যাকার্ড কটন, রেয়ন, ডুপিয়ান, ও হাল্কা সিল্ক।
আরও পড়ুন: হাই হিল কিভাবে পুরুষের পা থেকে নারীর পায়ে এলো?
শাড়ি বিভাগে ঠায় পেয়েছে মসলিন, রাজশাহী বলাকা সিল্ক, টাঙ্গাইল কটন, লিনেন কটন, ও ভয়েল কাপড়। কামিজের পাশাপাশি শাড়ির নকশারও বিশেষ বিষয় ব্লকপ্রিন্ট, এমব্রয়ডারি, স্ক্রিন প্রিন্ট, কারচুপি ও ডিজিটাল প্রিন্ট।
কাপড় ও নকশার একই রকম হাল্কা কাজ দেখা যাচ্ছে পুরুষদের সেরা পোশাক পাঞ্জাবিতেও। স্লিম ফিট, কলিদার কাট, ও রেগুলার ফিট সব ধরনের আকারই মিলবে এবারের ঈদ আয়োজনে।
এক্স্ট্যাসি
১৯৯৭ সাল থেকে শুরু হওয়া দেশের স্বনামধন্য রেডিমেড পোশাক ব্র্যান্ড এক্স্ট্যাসির প্রতিষ্ঠাতা তানজিম আশরাফুল হক। এক্স্ট্যাসির অধীনে পুরুষদের জন্য স্বতন্ত্র ব্র্যান্ড ‘তানজিম’ এবং নারীদের জন্য ‘জারজাইন’। শুধুমাত্র তরুণদেরকে উদ্দেশ্য করে গড়ে ওঠা এই প্রতিষ্ঠানের সর্বাঙ্গীন মনোনিবেশ থাকে হাল ফ্যাশনের প্রতি।
সাধারণত পার্টি পরিধান, বোতাম-সমেত লম্বা হাতা, পিনস্ট্রিপ্ড শার্ট, ক্যাজুয়াল টি-শার্ট, ডেনিম জিন্স, এবং স্পোর্টস জ্যাকেট পুরুষদের মুল আকর্ষণ। এর সঙ্গে উৎসবগুলোতে যুক্ত হয় তানজিম স্কোয়াডের টি-শার্ট ও তানজিম পাঞ্জাবিগুলো। আর মেয়েদের ক্ষেত্রে জারজাইনের কাফতান, শ্রাগ, টপস, শার্ট, এবং টপ-বটম সেট সর্বাধিক বিক্রয়ের তালিকায়। বিশেষ করে যারা এক রঙের পোশাক পরতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এই এক্স্ট্যাসি সেরা।
আরও পড়ুন: নতুন পোশাক কেনার আসক্তি কমানোর উপায়
ঈদ উপলক্ষে দারাজ নিয়ে এলো গ্র্যান্ড ঈদ ফেস্টিভ্যাল ২০২৪
ঈদ সামনে রেখে দারাজ বাংলাদেশ নিয়ে এসেছে ঈদের সেরা ক্যাম্পেইন ৩.৩ থেকে ৪.৪ গ্র্যান্ড ঈদ ফেস্ট।
১০ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত মাসব্যাপী এই ক্যাম্পেইনে ক্রেতারা পাবেন অসাধারণ ডিসকাউন্ট, অনন্য অফার এবং সুরক্ষিত কেনাকাটার অভিজ্ঞতা।
প্রতিটি ক্রয়ের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রিয়জনদের ভালোবাসা ও আনন্দ উপহার দিতে পারবেন।
আরও পড়ুন: স্থানীয় ব্যবসা ও কমিউনিটিকে সংযুক্ত করে ই-কমার্সকে সবার কাছে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ ১১.১১ সেল
‘ভালোবাসা পৌঁছে যায় দারাজ থেকে দরজায়’ এই স্লোগানের অধীনে গ্র্যান্ড ঈদ উৎসব আপনাকে প্রতিদিনের সেরা দামের নিশ্চয়তা দেয়।
৫০০০ টাকা পর্যন্ত ছাড়ের ফায়ারওয়ার্ক ভাউচার থেকে শুরু করে ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের হট ডিলে এবং ফ্ল্যাশ সেলের মাধ্যমে আপনি আপনার পছন্দের পণ্যগুলি সাশ্রয়ী মূল্যে কিনতে পারবেন।
এছাড়াও, বেশি কিনে বেশি ছাড়ের অফারের সুবিধা ও ৪৯৯ টাকার নিচের পণ্যগুলিতে প্রতিদিনের কম দামের সুযোগ নিয়ে ফ্রি ডেলিভারি উপভোগ করতে পারবেন।
সর্বোচ্চ ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় এবং ১০ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রি পেমেন্টে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ের সুযোগ থাকছে।
পাশাপাশি ৪২০ টাকায় যেকোনো ৩টি পণ্য এবং ১৯৯ টাকার নিচের প্রতিদিনের অফার সমূহ থাকছে ক্রেতাদের জন্য।
ইলেকট্রনিক্স, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, ফ্যাশন আইটেম, হোম ডেকোর, গ্রোসারি পণ্য, মা ও শিশুর প্রয়োজনীয় পণ্য এবং বিউটি পণ্যসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরির পণ্য সরবরাহ করে দারাজ।
গ্রাহকরা ইলেকট্রনিক্স আপগ্রেড করতে অথবা হোম ডেকোরের পুনর্নির্মাণ করতে যাই চান, সবার জন্যই দারাজের কাছে কিছু না কিছু অফার থাকছে।
কো স্পন্সর হিসেবে এই ক্যাম্পেইনে আছে লটো, প্যারাসুট এডভান্সড, বিয়ারডো, হায়ার, বাটা, এবং নেসলে।
ব্র্যান্ড পার্টনার হিসেবে আছে লিভন, ওগেরিও, সাফোলা, বেসআস, লুই উইল, স্কেমেই, ইউগ্রিন, অরাইমো, হোমেল, স্কিনক্যাফে, মোশন ভিউ, ইস্কয়ার ইলেক্ট্রনিক্স, এপেক্স, আর স্প্রিন্ট।
এছাড়াও এই ক্যাম্পেইনে পেমেন্ট পার্টনার হিসেবে থাকছে বিকাশ, সিটি ব্যাংক, ইবিএল, ইবিএল কো ব্র্যান্ডেড ক্রেডিট ও প্রিপেইড কার্ড, এইচএসবিসি, লংকাবাংলা ফাইন্যান্স লিমিটেড, এনসিসি ব্যাংক, পিবিএল, এসসিবি, এসইবিএল, ব্রাক ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, ঢাকা ব্যাংক, এবং ব্যাংক এশিয়া।
আরও পড়ুন: দেশে প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে দারাজ ফ্রি ডেলিভারি ফেস্টিভ্যাল
টানা তৃতীয় বারের মতো দেশের সর্বপ্রিয় ই-কমার্স ব্র্যান্ড খেতাব জিতল দারাজ
বিষাদের আবহে মুক্তি পেল ‘পেয়ারার সুবাস’
ঈদ ছাড়া সারা বছর সিনেমা মুক্তির দিন শুক্রবার। আর সেই দিনটিই যেন সংশ্লিষ্টদের কাছে ‘ঈদের দিন’। দীর্ঘদিনের অপেক্ষায় থাকা নির্মাতা নূরুল আলম আতিকের ‘পেয়ারার সুবাস’ মুক্তি পেল আজ (শুক্রবার)। স্বাভাবিকভাবেই পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনয়শিল্পীদের মনে আনন্দ থাকার কথা ছিল। কিন্তু সেটি যে এভাবে ম্লান হয়ে যাওয়া এক শুক্রবার আসবে সেটি কে বা জানত!
আরও পড়ুন: আহমেদ রুবেলের বর্ণাঢ্য জীবন
‘পেয়ারার সুবাস’ সিনেমায় অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল। তবে এখন তার নামের আগে ‘প্রয়াত’ যোগ হয়েছে। সদ্য প্রয়াত অভিনেতা আহমেদ রুবেল। বেশ উচ্ছ্বাস নিয়ে সিনেমাটির প্রিমিয়ারে যাচ্ছিলেন আহমেদ রুবেল। পৌঁছেও গিয়েছিলেন নির্ধারিত স্থানে। কিন্তু লিফট দিয়ে উঠতেই হৃদরোগে আক্রান্ত হোন তিনি। হাসপাতালে নিয়ে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
একটি সিনেমা মুক্তির সময় সংশ্লিষ্টদের এতটা মন খারাপ হয়তো কখনো হয়নি। মুক্তির নির্ধারিত দিনেই দেশের ২৭ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল ‘পেয়ারার সুবাস’। নূরুল আলম আতিক পরিচালিত এই সিনেমায় আহমেদ রুবেল ছাড়াও অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, তারেক আনাম খান, সুষমা সরকার, দিহান, নূর ইমরান মিঠু প্রমুখ। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে আলফা-আই স্টুডিওজ লি. ও সহ-প্রযোজনায় চরকি। আর সিনেমাটি উৎসর্গ করা হয়েছে আহমেদ রুবেলকে।
সিনেমা মুক্তি পেলেও বুকের মধ্যে বিষাদ ‘পেয়ারার সুবাস’ এর কলাকুশলি ও অভিনয়শিল্পীদের। গণমাধ্যমে অনেকেই জানিয়েছেন নিজেদের অনুভূতির কথা।
আরও পড়ুন: 'আয়নাবাজি' এখন ওটিটির পর্দায়
প্রিমিয়ার শোতে আহমেদ রুবেলের ঘটনা জেনে অঝরে কাঁদেন জয়া আহসান। পরবর্তীতে গণমাধ্যমে বলেন, ‘রুবেল ভাইকে নিয়ে এভাবে বলতে হবে সেটিই বিশ্বাস হচ্ছে না। পরপর দুটি সিনেমায় আমরা স্ক্রিন শেয়ার করেছি। রুবেল ভাই দর্শকের ভালোবাসায় বেঁচে থাকবেন। আমার মনে হয় রুবেল ভাই থাকলে নিশ্চয়ই চাইতেন না আমাদের শো বাতিল হোক। মানুষ তার কাজের মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকে। রুবেল ভাইও আমাদের মধ্যে আছেন। শো চলবে।’
নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু বলেন, ‘রুবেল সিনেমার কাজ করতে করতেই চলে গেল আমাদের ছেড়ে। তার মৃত্যু মেনে নেওয়া কঠিন। তার এ অসময়ের প্রস্থান আমাদের শূন্য করে দিল।’
তারিক আনাম খান বলেন, ‘অনেকেই জানেন সিনেমাটি রুবেলকে উৎসর্গ করা হয়েছে। একজন শিল্পী বাঁচেন কিন্তু তার কাজ দিয়ে। দর্শক পর্দায় তাকে দেখে হাসে-কাঁদে। শিল্পী বাঁচে দর্শকের হৃদয়ে। রুবেলও সেভাবেই আমাদের মাঝে থাকবে।’
উল্লেখ্য, মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে আহমেদ রুবেলের ‘প্রিয় সত্যজিৎ’ সিনেমাটি। উপমহাদেশের কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে নির্মিত ট্রিবিউট ফিল্ম ‘প্রিয় সত্যজিৎ’ পরিচালনা করেছেন প্রসূন রহমান। এরই মধ্যে সেন্সরের ছাড়পত্র পেয়েছে সিনেমাটি।
আরও পড়ুন: আহমেদ রুবেলকে উৎসর্গ করা হয়েছে ‘পেয়ারার সুবাস’
এবারের ঈদে আসিফ ইকবালের বাজিমাত
এবারের ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের মাধ্যমে দীর্ঘদিন পরে দৃশ্যপট যেন বদলে যেতে শুরু করেছে। ঈদে একাধিক ছবির প্রতি কৌতুহলী হয়েছে দর্শকেরা। সিনেমাহলমুখী হয়েছেন বাংলাদেশি দর্শকেরা।
তবে বরাবরই বাংলা চলচ্চিত্রের সাফল্যের পেছনে বা সঙ্গে হেঁটেছে গান। এমনকি অনেক সময় বাংলা চলচ্চিত্রের জন্য প্রধান ইএসপি হয়ে দাঁড়িয়েছে এর গানগুলো।
আরও পড়ুন: ঈদ সিনেমা: আলোচনা বড় শক্তি
তবে এবারের ঈদে চলচ্চিত্রের গানে বাজিমাত করেছেন গীতিকবি আসিফ ইকবাল।
এবারের ঈদে আলোচিত দুইটি চলচ্চিত্রে তার গান রয়েছে। হিমেল আশরাফের পরিচালনায় শাকিব খান ও ইধিকা পাল অভিনীত চলচ্চিত্র ‘প্রিয়তমা’র টাইটেল গানটি লিখেছেন তিনি। যেটিতে কন্ঠ দিয়েছেন বালাম ও কোনাল।
এছাড়া চয়নিকা চৌধুরী পরিচালিত ‘প্রহেলিকা’র সবকটি গান লিখেছেন আসিফ ইকবাল। এরই ভেতরে এই ছবিটির ‘মেঘের নৌকা’ সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত গান হিসেবে প্রশংসিত হচ্ছে। গানটি গেয়েছে ইমরান ও কোনাল।
অন্যদিকে ভিউএর দৌড়েও রেকর্ড গড়ছে প্রতিনিয়ত প্রিয়তমা’র টাইটেল ট্র্যাকটি।
আসিফ ইকবালের লেখা একাধিক গান এদেশের রকস্টারসহ একাধিক আধুনিক শিল্পীদের কন্ঠে কালজয় করেছে। এমনকি এদেশের সবচেয়ে বড় ও আলোচিত রিয়েলিটি শো ‘ক্লোজআপ ওয়ান বাংলাদেশ’- এর টাইটেল ট্র্যাকটিও তার লেখা।
তবে চলচ্চিত্রের গানে দেরিতে হলেও তার পদচারণার মুগ্ধতা নিলেন দর্শক-শ্রোতারা।
এ প্রসঙ্গে আসিফ ইকবাল ইউএনবিকে বলেন, ‘গান লিখতে আমার ভালো লাগে। জীবনের সবটুকু আনন্দ নিয়ে আমি গান লিখি। এবারের ঈদে আলোচিত দুটি ছবির গান লেখার দায়িত্ব যখন দিলেন চয়নিকা চৌধুরী ও হিমের আশরাফ’।
তিনি আরও বলেন, ‘সত্যিই এক নতুন অভিজ্ঞতা হলো। আমার লেখনীর মধ্য দিয়ে ছবির গল্প ধরার চেষ্টা করেছি। শিল্পীরাও চমৎকার গেয়েছেন, নির্মাতারাও দারুণ দৃশ্যায়ন করেছেন। সবকিছু ছাপিয়ে গানগুলো যে দর্শকদের মন কেড়েছে সেটিই সবচেয়ে বড় আনন্দের।’
আরও পড়ুন: সৌদি আরবের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘সুড়ঙ্গ’
দর্শক আগ্রহে এগিয়ে ‘সুড়ঙ্গ’, ‘প্রিয়তমা’ ও ‘প্রহেলিকা’
ক্ষমতাসীনদের স্বার্থ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থ রক্ষায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙ্গে পড়েছে।
রবিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি শোকপ্রকাশ করে বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গাফিলতির কারণে ঈদের ছুটিতে সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ৩৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘দলীয় কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নীরব ভূমিকার মধ্যে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা তৎপর থাকায় পুরো জাতি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।’
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, দেশ সন্ত্রাসীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হওয়ায় শুধু সাধারণ মানুষই নয়, পুলিশ সদস্যদেরও হত্যা করা হচ্ছে।
রিজভী বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ বাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এতটাই ভেঙ্গে পড়েছে যে প্রতি পদে পদে মানুষের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।’
তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ প্রাণ হারালেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেপরোয়া চালকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না।
বিএনপি নেতা বলেন, ক্রমবর্ধমান সামাজিক অবক্ষয়ের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের মদদপুষ্ট বিকৃত যুবকরা জনমনে উপদ্রব সৃষ্টি করছে এবং বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর সুইজারল্যান্ড সফর ‘অত্যন্ত রহস্যময়’: রিজভী
তিনি বলেন, ‘এই দানবরা তাদের আক্রমণ থেকে নারীসহ কাউকে রেহাই দিচ্ছে না…আমরা এমন একটি খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি যে বোনদের উত্যক্ত করার বিচার চাইতে গেলে তরুণদের হত্যা করা হচ্ছে। বাবা-মা তাদের মেয়েদের সম্ভ্রম ও মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হাতে প্রাণ হারাচ্ছেন।’
রিজভী বলেন, ‘মানবাধিকার এখন সর্বত্র ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুধুমাত্র বিরোধী দলের কর্মসূচি নস্যাৎ করার জন্য সহিংস হামলা চালাচ্ছে এবং বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করছে; তাই সমাজে নৈরাজ্যের অন্ধকার নেমে এসেছে।’
বাজার মনিটরিং করতে এবং ব্যবসায়িক সিন্ডিকেটদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ও রান্নার জিনিসপত্রের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ানো থেকে বিরত রাখতে ব্যর্থতার জন্য বিএনপির এই নেতা সরকারের সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ‘গডফাদার, মাফিয়া ও সিন্ডিকেটররা চারিদিকে লাভবান হচ্ছে। বিভিন্ন মন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা জড়িত থাকায় এসব সিন্ডিকেট খুবই শক্তিশালী।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ভারতে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের দাম ২৫ টাকা, কিন্তু সিন্ডিকেটের অসাধুতার কারণে বাংলাদেশে বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকায়। ‘কিছু জায়গায় কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজিতে। এই ধরনের সিন্ডিকেশন শুধুমাত্র একটি দুর্নীতিবাজ ও দুর্নীতিবাজ সরকারের অধীনেই সম্ভব। তারা মানুষের ক্ষুধা নিয়ে মজা করে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের প্ররোচনায় বিএনপির সমাবেশে হামলা করা হচ্ছে: রিজভী
সুষ্ঠু নির্বাচন ঠেকাতে মরিয়া আ.লীগ: রিজভী
মানুষ দেশের সব জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
মানুষ দেশের সব জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করেছে। কোন অপ্রীতিকর বা বড় ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
তিনি বলেন, এবছর মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পেরেছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করতে পেরেছে।
রবিবার (০২ জুলাই) দুপুর সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ঈদশুভেচ্ছা বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের সব জায়গা শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করেছে। ঢাকায় আনুমানিক দুই কোটি মানুষের বাস। সেখান থেকে প্রায় এক কোটির পাশাপাশি কমবেশি হতে পারে, ঈদের তিনদিন আগে থেকে তারা নিজ গ্রামে ফিরে যান। এই কয়েক বছর ধরে যাতায়াত ব্যবস্থা, নিরাপত্তা, পদ্মাসেতুসহ বিভিন্ন কারণে ঘরমুখী মানুষের যে ঢল নামে সেখানে কিন্তু কোন অসুবিধা হয়নি। কোন কোন জায়গায় হয়ত লম্বা লাইন লেগেছে, তবে সেটি দ্রুত সমাধানও হয়েছে। আমরা বলতে পারি মানুষ নির্বিঘ্নে বাড়ি যেতে পেরেছে এবং শান্তিপূর্ণভাবে ঈদ উদযাপন করতে পেরেছে।
আরও পড়ুন: সড়ক-মহাসড়কে কোনো পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঈদে আইনশৃঙ্খলা কেমন ছিলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা মনে করি সারা বাংলাদেশেই স্বাভাবিক অবস্থা ছিলো। কোন অপ্রীতিকর বা বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। ছোটখাটো দুই একটি ঘটনা বাদ দিলে বড় ধরনের কোনো দুর্ঘটনা ঘটেনি। এরমধ্যে একটি ঘটনা আমাদের খুব নাড়া দিয়েছে। ঈদের পরে শনিবার এক পুলিশ কনস্টেবলকে ছিনতাইকারীরা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেছিলো, রক্তক্ষরণে তিনি ইন্তেকাল করে রাত তিনটার সময়। আরেকজন সাংবাদিককেও উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়, তিনিও ছিনতাইয়ের কবলে পড়েছিলেন। এই দুইটি ঘটনা ছাড়া ঢাকায় তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি। মোটামুটি সব জায়গায়ই খুব শান্তিপূর্ণভাবে ঈদুল আজহাটা উদযাপিত হয়েছে।
রাজধানীতে বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই বেড়েছে এতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কোন দুর্বলতা আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, নাই বলেইতো দুইটি ঘটনা ঘটেছে। এরকম কিছু হলে আমি এ প্রসঙ্গটা এড়িয়ে যেতাম। আমি স্পষ্ট করে বললাম এই দুইটি ঘটনা সাত দিনের মধ্যে ঘটেছে। যেটা অনাকাঙ্ক্ষিত যেটা হওয়া উচিত হয়নি। আমরা মনে করি যে কারো যদি দুর্বলতা থাকে আমাদের কমিশনার কিছুক্ষণ আগে এসেছিলেন তিনি এটা সিরিয়াসলি নিচ্ছেন। যে কারো দুর্বলতা থাকলে সেটা তিনি দেখছেন এবং ব্যবস্থা নেবেন। এর ব্যবস্থাটা আমরা করে ফেলছি।
ঈদে বাস ভাড়া বেশি নিচ্ছে কেন জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যোগাযোগমন্ত্রী এটা বলতে পারবেন। আমরা সব কিছু নিয়ে আলাপ করি। গার্মেন্টসের বেতন-বোনাস যেন সময় মতো হয়ে যায় সেটা নিয়ে আলোচনা করি। রাস্তায় খানা-খন্দ থাকলে রোডস এন্ড হাইওয়েকে জানিয়ে দেই। আমরা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়টি যেমন দেখি। ঠিক তেমনি ঘরমুখো মানুষগুলো যাতে নিরাপদে ঘরে ফিরতে পারে সে সব বিষয় নিয়ে আমরা কথা বলি।
তিনি আরও বলেন, সভায় মালিক সমিতি বলেছেন যে একটি বাস ঈদের সময় যখন যায়, তখন ফেরত আসে খালি। সে ভাড়াটা যাতে পুষে যায় সে দাবি তাদের ছিলো। এটা সবসময় যোগাযোগ মন্ত্রণালয় নির্ধারণ করে থাকে। এটার সদুত্তর তারাই দিতে পারবে।
আরও পড়ুন: বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা চাইলে বাড়তি নিরাপত্তা ফেরত দিতে পারেন, তার জন্য অর্থ দিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
পাহাড়ে কোনো অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীকে ছাড় দেওয়া হবে না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঈদের দিনে সিলেটে ৩ জনের লাশ উদ্ধার
সিলেটে পবিত্র ঈদ-উল-আজহার দিনে আত্মহত্যা ও সড়ক দুর্ঘটনায় নারীসহ ৩ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) দিনের বিভিন্ন সময় সিলেট মহানগরী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এরমধ্যে ২ জন পুরুষ ও ১জন নারী রয়েছেন। নিহত ৩ জনের মধ্যে ২ জন আত্মহত্যা ও একজন সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ব্যবসায়ীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার
আত্মহননকারী এক কিশোরের পরিচয় পাওয়া গেলেও সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত নারী ও অপর যুবকের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে সিলেট নগরীর তালতলার সুরমা টাওয়ার থেকে আরিফুল ইসলাম বাবু (১৬) নামে এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে।
সে ২০১১ সাল থেকে সিলেট এসওএস শিশু পল্লী সেন্টারে প্রতিপালন হয়। সেখানে তার একজন বড় বোনও রয়েছে। সে সুরমা টাওয়ারের ১২ তলায় একটি রুমে বসবাস করত।
রুমমেটরা জানান, ঈদের দিন তারা বাহিরে ছিলেন। সে বিকেল থেকেই শয়ন কক্ষে ছিল। রাত ১০ টার দিকে তারা ফিরে রুমের দরজা ভেতর থেকে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। পরে ডাকাডাকি করে কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে মার্কেটের সিকিউিরিটির সহযোগিতায় দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে তাকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।
পরে থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠান।
কিশোরের লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন কুমার চৌধুরী।
আরও পড়ুন: সিলেটে ঈদের দিনে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মায় নৌকাডুবিতে নিখোঁজ ৩ জনের লাশ উদ্ধার
সিলেটে ঈদের দিন আহত হয়ে ৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি
সিলেটে ঈদের দিন আহত হয়ে ৪০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আহতরা পশু কোরবানি দিতে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে হাসপাতালে গিয়ে এই তথ্য জানা গেছে।আহত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পশু কোরবানি দিতে গিয়ে দুর্ঘটনাবশত তাঁরা আহত হয়েছেন। কেউ পশু জবাই দেওয়ার সময় আহত হয়েছেন।
আবার কেউ আবার মাংস কাটতে গিয়ে ধারালো দায়ের আঘাত পেয়েছেন। হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি ইউনিটে আজ সকাল থেকে বিকাল সাড়ে চারটা পর্যন্ত ৬০ জন ভর্তি হয়েছেন।
এর মধ্যে ৪০ জনই কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ট্রাক-পিকআপ সংঘর্ষ: নিহত ১৪ জনের পরিচয় মিলেছে
হাসপাতালের ওই ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার আরকান্দিা গ্রামের সেলিম আহমদ (৪৬)।
তিনি বলেন, সকালে তিনিসহ আরও কয়েকজন মিলে গ্রামে পশু কোরবানির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনিসহ চারজন গরুটি ধরে রেখেছিলেন। হঠাৎ গরুটি লাফিয়ে ওঠে। তখন অন্যরা গরুর রশি ছেড়ে দেন।
এ সময় পাশে থাকা আরেক ব্যক্তির ধারালো দা তাঁর হাতে লেগে কেটে গেছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। পরে তাকে হাসপাতালে আনা হয়েছে।
একই উপজেলার ডৌবারি এলাকার বাসিন্দা আলাউদ্দিন (৪৫) বলেন, গরু কোরবানির পর মাংস কাটছিলেন তিনি। এ সময় দায়ের আঘাত লাগে বাঁ হাতে। এতে বেশ রক্তক্ষরণ হয়েছে।
বালাগঞ্জ উপজেলার হারিয়ারগাঁও গ্রামের বাসিন্দা রাসেল আহমদ (২৮) বাঁ হাতে দায়ের আঘাত পেয়েছেন।
তাঁর ভাই জুবের আহমদ বলেন, কোরবানির মাংস কাটতে গিয়ে এমনটি হয়েছে। প্রথমে তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাঁকে সিলেটে পাঠিয়েছেন।
সুনামগঞ্জের চরের বন্দ এলাকার বাসিন্দা আকিব আলী (৪০) বলেন, কোরবানির সময় নিজ হাতে থাকা ছুরি পায়ে লেগেছে। এতে বাঁ পায়ের বেশ কিছু অংশ কেটে গেছে। পরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
মৌলভীবাজারের শামসের নগর এলাকার বাসিন্দা মিঠু মিয়া (২১) বাঁ হাতে ধারালো ছুরির আঘাত পেয়েছেন।
তাঁর ভাই শাকিল আহমদ (২৩) বলেন, কোরবানির সময় ডান হাতে থাকা ছুরি পশুর গলায় চালাতে গিয়ে বাঁ হাতে লেগেছে। এতে মিঠুর চারটি আঙুলের বেশ কিছু অংশ কেটে গেছে।
ওসমানী হাসপাতালের ক্যাজুয়ালিটি বিভাগের চিকিৎসক নিরুপম দত্ত বলেন, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনের এক্স-রে করতে বলা হয়েছে। অন্যদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের কেউ গুরুতর অবস্থায় নেই। তাঁরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে ঈদের দিনে যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
সিলেটে বাসের ধাক্কায় টমটম চালকসহ নিহত ২
ঈদের দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরা হলো না বৃদ্ধের
চুয়াডাঙ্গায় ঈদের দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে ট্রাকচাপায় প্রাণ গেল এক বৃদ্ধের।
বৃহস্পতিবার (২৯ জুন) বিকাল ৪টার দিকে আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়নের উদয়পুর গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত আকুব্বর হোসেন (৭০) বৈদ্যনাথপুর গ্রামের মৃত খেদআলী মণ্ডলের ছেলে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাগলবাহী ট্রাকচাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুরে ছেলে ও দুই নাতিকে নিয়ে উপজেলার আঠারোখাদা গ্রামে বিয়াই বাড়ি কোরবানি ঈদের দাওয়াতে যান আকুব্বর। বিকালে ফেরার পথে ছেলে মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। দুই নাতিকে নিয়ে পেছনে বসেছিলেন তিনি।
মোটরসাইকেল উদয়পুর গ্রামের মাঠের কাছে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে বেপরোয়া গতিতে একটি ট্রাক ছুঁটে আসে। সেটিকে সাইড দিতে গিয়ে বৃষ্টির কারণে পিচ্ছিল রাস্তায় মোটরসাইকেল ব্রেক করলে স্লিপ করে।
এসময় গাড়ির পেছন থেকে ছিটকে চলন্ত ট্রাকের নিচে চাপা পড়ে আকুব্বর সেখানেই মারা যান। বাকিরা অন্যপাশে পড়ে যাওয়ায় সামান্য আঘাত পেলেও প্রাণে বেঁচে যান।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশের সুরতহাল রিপোর্ট শেষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ট্রাকচাপায় নির্মাণশ্রমিক নিহত
গাজীপুরে ট্রাকচাপায় সিএনজির ২ যাত্রী নিহত