ঈদ
সাতক্ষীরায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত লক্ষাধিক পশু
সাতক্ষীরায় কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার পশু। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এসব পশু প্রস্তুত করেছেন সাতক্ষীরার খামারিরা।
জেলার কোরবানির চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার কোরবানির গরু পাঠানো যাবে অন্য জেলায়।
এছাড়া এ বছর ভারত থেকে গরু না আসায় খামারিরা বেশ খুশি। তবে গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধিতে আশানুরুপ লাভ করতে না পারার আশঙ্কা খামারিদের।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় কোরবানিতে ৮,৬০৬ পশু উদ্বৃত্ত থাকবে: প্রাণিসম্পদ বিভাগ
সাতক্ষীরা প্রাণীসম্পদ অফিসের তথ্যমতে, এবছর ৯ হাজার ৯২৬ জন খামারি কোরবানির জন্য গরু প্রস্তুত করেছেন। জেলায় মোট ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯৮ টি গরু বিক্রয়ের জন্য প্রস্তুত।
আর কোরবানির চাহিদা রয়েছে ৮০ হাজার ৪৩৮টি। অর্থাৎ ৩৪ হাজার ৫৬০টি গরু অতিরিক্ত থেকে যাবে।
যা পাশ্ববর্তী জেলায় কোরবানির জন্য পাঠানো যাবে।
এদিকে, অন্যবারের তুলনায় এবার লাভ কম হবার আশঙ্কা করছেন খামারিরা।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার মথুরাপুর এলাকার খামারি মজনুর রহমান বলেন, গোখাদ্যের দাম বেড়েছে। আমরা যারা শহরাঞ্চলে গরু পালন করি তারা পুরোটাই বাজার থেকে কেনা খাবারের ওপর নির্ভরশীল।
তিনি আরও বলেন, যার ফলে একটি গরু পালন করতে যে খরচ হয় তা বাদ দিয়ে সামান্য লভ্যাংশ থাকছে।
সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী কুশখারী গ্রামের খামারি অজিয়র রহমান বলেন, এ বছর ভারতীয় গরু সীমান্ত দিয়ে না আসায় আশার আলো দেখছেন গরুর খামারিরা।
তিনি বলেন, অন্যান্যবছর সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসার কারণে দেশি খামারীর মালিকরা গরুর ভালো দাম পেত না।
এবার ভালো দাম পাওয়া যাবে বলে তার আশা।
সাতক্ষীরা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এবিএম আব্দুর রউফ বলেন, সাতক্ষীরায় কোরবানির গরুর চাহিদা ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৯৮ টি। আর কোরবানির চাহিদা রয়েছে ৮০ হাজার ৪৩৮টি। প্রায় ৩৫ হাজার গরু অতিরিক্ত থেকে যাবে। যা পার্শ্ববর্তী জেলায় কোরবানির জন্য পাঠানো যাবে।
তিনি আরও বলেন, গো-খাদ্যের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এসেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। অন্যান্য জেলার মতো সাতক্ষীরাতেও ‘নেপিয়ার ঘাস’ নামে একপ্রকার ঘাস বিভিন্ন জায়গায় লাগিয়েছেন তারা। এতে কিছুটা হলেও খামারিরা উপকৃত হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরের কোরবানির হাট কাঁপাবে যুবরাজ, রাজাবাবু ও কালোমানিক
চাঁপাইনবাবগঞ্জে দেড় লক্ষাধিক কোরবানির পশু প্রস্তুত
ঈদের ছুটি একদিন বাড়িয়ে মোট ৪ দিন
ঈদুল আজহার ছুটি ২৭ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত চার দিন বাড়িয়েছে সরকার। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
বাংলাদেশ সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।
আগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৮ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত তিনদিনের ঈদের ছুটি ছিল।
কিন্তু এখন ২৭ জুনকে ঈদের ছুটিতে অন্তর্ভুক্ত করে চারদিনের ছুটি করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘ঈদের আগে ছুটি কাটাতে গ্রামে যাওয়া মানুষদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত নিশ্চিত করতে সরকারের একটি নির্বাহী আদেশে ২৭ জুনকেও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।’
গত ঈদুল ফিতরের ছুটির মতোই ঈদুল আযহার আগের দিন ছুটির দিনে যাত্রীদের ভিড় কমাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে: বাংলাদেশে ২৯ জুন ঈদুল আজহা
ঈদের আগেই পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে বাড়ি যাবে: জাতীয় কমিটি
ঈদের আগেই পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঈদুল আজহার আগে পোশাক শ্রমিকদের জুন মাসের অর্ধেক বেতন এবং ঈদ বোনাস পরিশোধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টস মালিকদের জুন মাসের ১৫ দিনের বেতন এবং ঈদুল আযহার ছুটির আগে ঈদ বোনাস দিতে বলা হয়েছে এবং বেতন পরিশোধকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের গার্মেন্টস অস্থিরতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারি রাখবে।’
রবিবার সচিবালয়ে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে পোশাক মালিকদের পর্যায়ক্রমে ঈদের ছুটি দিতে বলেন তিনি।
জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৯ জুন বা ৩০ জুন ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকায় এ বছর সারাদেশে মোট ৮ হাজার ৩৯৯টি পশুর হাট বসবে।
সতর্কবার্তা জারি করে মন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ কাউকে রাস্তায় গরু বোঝাই গাড়ি থামাতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ গরু বোঝাই যানবাহন থামানোর সঙ্গে জড়িত থাকে তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্থানীয় সুপারকে অবহিত করতে হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে ও গরুর হাটে ওয়াচ টাওয়ার ও সিসিটিভি বসানো হবে।
তিনি গরু ব্যবসায়ীদের গরুবোঝাই গাড়ির উপরে নির্দিষ্ট গরুর হাটের ট্যাগ দিয়ে একটি ব্যানার টাঙাতে বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, মহাসড়ক ও সড়কে কোনো পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না এবং গরুর হাটে ‘হাসিল’ সাইনবোর্ড দেখতে হবে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গরুর হাটে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হবে এবং এর পাশাপাশি সেখানে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আমরা লক্ষ্য রাখব সড়কে যাতে পশুর হাট না বসে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, এটিএম বুথ, জাল নোট শনাক্ত করার মেশিন এবং পশুচিকিৎসক গরুর হাটে পাওয়া যাবে।
বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও ফেরি ঘাটে ডোপিং গ্যাং সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, এই চক্রের তৎপরতা সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্ক থাকবে।
ঈদের ছুটিতে ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে গোয়েন্দা দলের নজরদারি বাড়ানো হবে এবং এই সময়ে র্যাবের টহল দৃশ্যমান থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, যান চলাচল নিশ্চিত করতে সড়ক, মহাসড়ক এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও মোড়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
২৪টি পয়েন্টকে যানজটের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান বলেন, এসব স্থানে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ঈদের ছুটিতে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাত্রা নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে কাজ করবে।
নৌপথে দুর্ঘটনা এড়াতে মন্ত্রী বলেন, লঞ্চের ধারণক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া এবং যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ঈদের জামাতের কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটি একদিন বাড়ানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সীমান্ত এলাকা দিয়ে কোনো দেশ থেকে গবাদিপশু প্রবেশের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে এবং প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে গবাদিপশু প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তরক্ষী সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দিলেও নীতি পরিবর্তন করেনি আ. লীগ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা চাইলে বাড়তি নিরাপত্তা ফেরত দিতে পারেন, তার জন্য অর্থ দিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঈদের ছুটিতে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ৩০ লাখ মানুষ নৌপথে বাড়ি যাবে: জাতীয় কমিটি
বৃহত্তর বরিশালগামী যাত্রীর সংখ্যা কমলেও ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ আসন্ন ঈদে নৌপথে উপকূলীয় জেলায় রওনা হবেন।
এর মধ্যে তিন লাখ যাত্রী নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দর দিয়ে এবং বাকি ২৭ লাখ যাত্রী ঢাকা নদীবন্দরের সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল দিয়ে যাবেন।
নৌ-পরিবহন, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির একটি প্রাক-ঈদ পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সদরঘাট গৃহমুখী মানুষের অস্বাভাবিক চাপের সম্মুখীন হবে।
রবিবার সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশিস কুমার দে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ প্রকাশ করেন।
অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ সামাল দিতে এবং ঝামেলামুক্ত ও নিরাপদ ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে সরকারকে বিকল্প উপায়ে জাহাজের সংখ্যা বাড়ানোর সুপারিশ করেছে জাতীয় কমিটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোরবানির ঈদে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ ছেড়ে যাবেন প্রায় দেড় কোটি মানুষ।
এরমধ্যে এই ঈদে লঞ্চে যাবে ৩০ লাখ (মোট যাত্রীর ২০ শতাংশ)। এসব যাত্রীর বেশির ভাগই উপকূলীয় জেলা-বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, চাঁদপুর, শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঈদুল আযহার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস ২২ জুন থেকে ঘরমুখো মানুষের ভিড় শুরু হবে। বৃহত্তর ঢাকা অঞ্চলের নৌপথের সব যাত্রী ২২ থেকে ২৬ জুন (ঈদের আগের দিন) এই ৭ দিনের মধ্যে বাড়ি যাবেন।
তবে শিক্ষার্থী ও গৃহিণীসহ প্রায় ১৫ শতাংশ (৪ লাখ ৫০ হাজার) মানুষ ঈদযাত্রা শুরুর আগেই ঢাকা ত্যাগ করবেন।
আরও পড়ুন: ঈদে নৌপথের ২৭ লাখ যাত্রীর চাপ পড়বে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে: জাতীয় কমিটি
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২২ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫ লাখ ৫০ হাজার যাত্রী নৌপথে তাদের গন্তব্যে যাবে। এর মধ্যে ২২ লাখ ৮৫ হাজার মানুষ সদরঘাট টার্মিনাল থেকে যাত্রা শুরু করবে।
নাব্যতা সংকটের কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে সরকারিভাবে ৪১টি নৌপথ রয়েছে।
তবে নাব্যতা সংকট ও যাত্রী সংকটের কারণে অন্তত ১৫টি নৌপথ দৃশ্যত ইতোমধ্যে পরিত্যক্ত হয়েছে।
নৌযানের স্বল্পতার কথা উল্লেখ করে জাতীয় কমিটি বলেছে, বাকি ২৬টি নৌপথে সর্বোচ্চ ৭০টি লঞ্চ নিয়মিত চলাচল করে। ঈদের আগে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৮০-এর কাছাকাছি।
এর মধ্যে সদরঘাট থেকে ৯০টি নৌযান বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এবং ৯০টি বিভিন্ন স্থান থেকে আসবে।
নাগরিক সংস্থাটি আরও বলেছে, যদি প্রতিদিন ৯০টি লঞ্চে ৩ লাখ ২৭ হাজার যাত্রী বহন করা হয়, তবে একটি লঞ্চ গড়ে ৩ হাজার ৬৪২ জন যাত্রী বহন করবে। কিন্তু কোনো লঞ্চেরই দুই হাজারের বেশি লোক বহন করার ক্ষমতা নেই। এমনকি অনেক লঞ্চের ধারণক্ষমতা এক হাজারেরও কম। এ ছাড়া ঈদের আগের তিন দিনে ভিড় বাড়বে দেড় গুণ।
অনেক লঞ্চ চাপ সামলানোর ক্ষমতার বাইরে দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ যাত্রী বহন করে। এর ফলে ছাদে ও ডেকে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হবে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
সংগঠনটি নৌপথে দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগের ঝুঁকি কমাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছে।
এতে নৌপথ ও টার্মিনালগুলোতে সর্বোচ্চ নজরদারি ও কঠোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: লঞ্চ ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে কমল ১৫ পয়সা
লঞ্চ ভাড়া ৩০ শতাংশ বাড়ল
যশোরে ‘লালু পালোয়ান’
আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে বাড়িতে বিশাল আকৃতির একটি ষাঁড় লালন-পালন করেছেন আসমা খাতুন। শখ করে নাম রেখেছেন ‘লালু পালোয়ান’। মাত্র তিন বছরে ষাঁড়টির ওজন হয়েছে ৮০০ কেজি (২০ মণ)।
এর দাম হাঁকছেন পাঁচ লাখ টাকা।
ষাঁড়টির মালিক আসমা খাতুনের বাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলার কন্যাদহ গ্রামের দক্ষিণ পাড়ায়। ‘লালু পালোয়ান’কে একনজর দেখতে প্রতিদিন তার বাড়িতে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন।
ইউটিউবে বড় বড় গরু দেখে তা পালনের শখ জাগে আসমা খাতুনের। এখন বাড়িতে জন্ম নেওয়া নেপাল জাতের ষাঁড়টি তার স্বপ্ন পূরণ করতে চলেছে।
মাত্র তিন বছরেই তৈরি করে ফেলেছেন ‘লালু পালোয়ান’ নামের শখের ষাঁড়টিকে।
আরও পড়ুন: সুন্দরবন থেকে গরু আনতে গিয়ে বাঘের মুখে কৃষক
চার দাঁতের ষাঁড়টির উচ্চতা প্রায় পাঁচ ফুট। ওজন ৮০০ কেজি। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ছয় ফুট। কোনো হরমোন ইনজেকশন ছাড়াই প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে সন্তানের মতো করে ষাঁড়টিকে বড় করেছেন আসমা খাতুন।
আসমা খাতুন বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে সন্তানের মতো লালন-পালন করেছি লালু পালোয়ানকে। এখন অনেক বড় হয়ে গেছে। তাকে রাখার মতো জায়গা আমার নেই। আমরা সাধারণ মানুষ। তাই ভালো দাম পেলে বিক্রি করে দিব’।
আসমা খাতুনের স্বামী বাবলু হোসেন বলেন, তিনি জমি মাপের (আমিন) কাজ করেন। পাশাপাশি বাড়িতে গরু পালন করেন। এর দেখাশোনা করেন তার স্ত্রী আসমা খাতুন।
শার্শা বাজার থেকে আসা জাফর উদ্দিন বলেন, ‘মানুষের মুখে শুনে কন্যাদাহ গ্রামের আসমা খাতুনের ষাঁড়টি দেখতে এসেছি। আমারও ইচ্ছা হচ্ছে একটা গরুর খামার করার।
বেনাপোলের গরু ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ষাঁড়টি দেখলাম। তবে দামটা একটু বেশি। আরও কয়েকটি গরু দেখবো। তারপর সিদ্ধান্ত নিব কোনটি কিনবো’।
তিনি আরও বলেন, তাছাড়া আমাদেরও তো বিক্রি করতে হবে।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে গরু ও মহিষের ১০ গাড়িতে করে বরযাত্রা!
‘গরিবের কসাইখানায়’ ১০ টাকায় গরুর মাংস!
ঈদে লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারে থাকছে না নিষেধাজ্ঞা
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, এবার ঈদে লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা থাকছে না।
তিনি বলেন, অনেকেই লঞ্চে মোটরসাইকেল নিয়ে পরিবারসহ বাড়ি যায়। আমরা বিআইডব্লিউটিএকে বলেছি, বিষয়টি যতটুকু পারা যায়, সামঞ্জস্য করতে।
এছাড়া লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারের বিষয়টি আমরা লঞ্চ মালিকদেরও বলেছি।
আরও পড়ুন: মোটরসাইকেল পারাপারে শিমুলিয়ায় ফেরি সার্ভিস চালু হবে ১৮ এপ্রিল থেকে: বিআইডব্লিউটিসি
বুধবার (৩১ মে) সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সুষ্ঠুভাবে নৌযান চলাচল এবং যাত্রী নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঈদ ব্যবস্থাপনা কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এ তথ্য জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনি যদি একা বরিশাল, মাদারীপুর বা দক্ষিণাঞ্চলে যান, নিশ্চিত মোটরসাইকেল চালিয়ে যাবেন। আপনার সঙ্গে যদি পাঁচজন থাকে, সবাইকে তো মোটরসাইকেলে তুলতে পারবেন না।
তিনি বলেন, সেখানে যদি মোটরসাইকেল নিতে চান, তাহলে বিকল্প ব্যবস্থায় নিতে হবে। হয়তো বাসের ছাদে অথবা লঞ্চে করে নিতে হবে। সে বিষয়টি আমরা এডজাস্ট করব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, লঞ্চে মোটরসাইকেল পারাপারের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে। তবে নৌপথে ভাড়া আগের মতোই থাকবে। ভাড়ার বিষয়ে কোনো উঠানামা নেই।
আরও পড়ুন: শিমুলিয়ায় পিপিই ছাড়াই কাজ করছেন বিআইডব্লিউটিসি’র কর্মচারীরা
জাহাজ ও ফেরি ভাড়া ২০ শতাংশ বাড়াল বিআইডব্লিউটিসি
ঈদে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু ১৪ জুন
পবিত্র ঈদুল আজহায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১৪ জুন থেকে। প্রথম দিনে ২৪ জুনের টিকিট দেওয়া হবে। আর সর্বশেষ ১৮ জুনে দেওয়া হবে ২৮ জুনের অগ্রিম টিকিট।
মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২ টায় রেলভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন।
তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আজহায় ঈদের বিশেষ ট্রেন চলবে ৮টি। এসব ট্রেনের টিকিট শুধুমাত্র অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। ঢাকা থেকে বর্হিগামী আন্তঃনগর ট্রেনের মোট ২৯ হাজার আসন হবে।
তিনি বলেন, ঈদের ফিরতি টিকিট দেওয়া হবে ২২ জুন থেকে। সেদিন কাটা যাবে ২ জুলাইয়ের টিকিট। ২৬ জুন পর্যন্ত কাটতে পারবে ফিরতি টিকিট। সেদিন দেওয়া হবে ৬ জুলাইয়ের অগ্রিম টিকিট।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু হবে: রেলমন্ত্রী
ঈদে স্বস্তির ট্রেন যাত্রায় মন্ত্রীর সন্তুষ্টি
ঈদ যাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮৫ জন নিহত, আহত ৪৫৪: আরএসএফ
রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের (আরএসএফ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ বছর ঈদুল ফিতরের ১৪ দিনে ২৪০টি সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ২৮৫ জন নিহত ও ৪৫৪ জন আহত হয়েছেন।
৯টি জাতীয় দৈনিক, সাতটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়েছে, মোট মৃত্যুর ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ মোটরসাইকেল দুর্ঘটনার কারণে ঘটেছে, যা সমস্ত দুর্ঘটনার ৫২ দশমিক ৯১ শতাংশ।
মোট মৃতদের মধ্যে, ৫২ জন পথচারী ছিলেন; যা মোট মৃত্যুর ১৮ দশমিক ২৪ শতাংশ এবং ২৭ জন চালক ও হেলপার ছিলেন; যা মোট মৃত্যুর ৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেখা যায় যে দুর্ঘটনায় জড়িত যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেল ৩২ দশমিক ১১ শতাংশ, বাস ১৪ দশমিক ১২ শতাংশ এবং থ্রি-হুইলার ১৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
১৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ দুর্ঘটনা মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে, ২২ দশমিক ০৮ শতাংশ দুর্ঘটনা পথচারীদের ধাক্কা দিয়ে, ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ যানবাহনের পেছনের অংশে আঘাত করে এবং ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ অন্যান্য কারণের কারণে ঘটেছে।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারি মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৮৭ জন মারা গেছে: রোড সেফটি ফাউন্ডেশন
পরিসংখ্যান দেখায় যে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে, যথাক্রমে ২৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং ২৬ দশমিক ৩১ শতাংশ।
সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে চাঁদপুর, কক্সবাজার, রাঙামাটি, মাগুরা ও বরগুনা জেলায়।
প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে যে দক্ষ চালক তৈরির প্রচেষ্টা নেওয়া উচিত এবং চালকদের বেতন এবং কাজের সময় নির্দিষ্ট করতে হবে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর সক্ষমতা বাড়াতে হবে এবং পরিবহন অপারেটর, যাত্রী এবং পথচারীদের জন্য ট্রাফিক আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।
প্রতিবেদনে হাইওয়েতে কম গতির যানবাহনের জন্য সার্ভিস রোড তৈরি এবং পর্যায়ক্রমে সমস্ত হাইওয়েতে রোড ডিভাইডার নির্মাণের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
অন্যান্য সুপারিশের মধ্যে রয়েছে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে প্রযুক্তি ব্যবহার করা, গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করা, সড়কে চাপ কমাতে রেলপথ ও নৌপথ সংস্কার করা, মোটরসাইকেল ব্যবহার নিরুৎসাহিত করা এবং টেকসই পরিবহন কৌশল বাস্তবায়ন করা।
আরএসএফ সরকারকে ‘রোড ট্রান্সপোর্ট অ্যাক্ট- ২০১৮’- এর সুষ্ঠু প্রয়োগ নিশ্চিত করতে এবং ঈদের আগে এবং পরে সড়ক, সমুদ্র ও রেলপথে আরও প্রাণহানি রোধ করার জন্য একটি কঠোর মনিটরিং ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানায়।
আরও পড়ুন: সেপ্টেম্বরে ৪০৭ সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
ঈদের ছুটিতে সড়কে ৩৭৬ জনের প্রাণহানি: আরএসএফ
ঈদে স্বস্তির ট্রেন যাত্রায় মন্ত্রীর সন্তুষ্টি
এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শতভাগ অনলাইনে টিকেট ক্রয়-বিক্রয়ে ভোগান্তি কম হওয়া এবং সিডিউল বিঘ্ন না ঘটায় ঈদ যাত্রা স্বস্তিদায়ক উল্লেখ করে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন রেলপথ মন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
রবিবার রেল ভবনে ঈদ পরবর্তী রেল ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত মূল্যায়ন সভায় রেলপথ মন্ত্রী উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্যে এ সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তার পাশাপাশি রেল ব্যবস্থাও এগিয়ে যাচ্ছে। রেল ব্যবস্থাকে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ধীরে ধীরে উন্নত বিশ্বের মতো পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। রেলওয়ের কয়েকটি মেগা প্রকল্প এই বছরই উদ্বোধন করা হবে। রেলওয়ের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি রেল পরিচালনায় পরিবর্তন আনা হচ্ছে। নতুন নতুন ইঞ্জিন, কোচ সংযুক্ত হচ্ছে, নতুন ডাবল লাইন করা হচ্ছে। যাত্রী সেবা বৃদ্ধির জন্য নানা ধরনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
আলোচনায় অংশগ্রহণকারী সকলেই এবারের টিকেট বিক্রয়ের পদ্ধতিকে স্বাগত জানান এবং আগামী ঈদগুলোতেও একইভাবে শতভাগ অনলাইনে দেওয়ার প্রস্তাব করেন।
আরও পড়ুন: টিকিটবিহীন কোনো যাত্রী স্টেশনে ঢুকতে পারবে না: রেলমন্ত্রী
উল্লেখ্য, এবারের ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অগ্রিম টিকেট ৭ এপ্রিল থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের শতভাগ টিকেট অনলাইনে বিক্রি করা হয়েছে। ফলে যাত্রীরা কোনরকম ভোগান্তি ছাড়াই ঘরে বসে অনলাইনে টিকিট কাটতে পেরেছেন। টিকেট বিক্রয়ের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য টিকেট বিক্রয়ের কপিসমূহ স্টেশন এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। বিভিন্ন স্টেশন সমূহে অস্থায়ী বাশের বেড়া নির্মাণ করে যাত্রী নিয়ন্ত্রিত করায় টিকেট ছাড়া কোন যাত্রী স্টেশনে প্রবেশ করার সুযোগ পায়নি। ঈদযাত্রায় তেমন কোনো সিডিউল বিপর্যয় না ঘটায় এবং ট্রেনের ভিতরে এবারের ঈদযাত্রা যাত্রীদের কাছে বিগত কয়েক বছরের মধ্যে ছিল সবচেয়ে আরামদায়ক ও নিরাপদ। শোভন চেয়ারের যাত্রীরাও তাদের সিটে যেতে কোনো ভোগান্তিতে পড়েনি। মাঝখানে দাঁড়ানো কোনো লোক ছিল না। ছাদের যাত্রী নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।
এ সভায় অতিরিক্ত মহাপরিচালক অপারেশন কয়েকটি ঈদের যাত্রী পরিবহন ও আয়ের চিত্র তুলে ধরে বলেন ২০২২ সালের ঈদুল ফিতরে ঈদ যাত্রায় ঢাকা থেকে পাঁচ দিনে যাত্রী পরিবহন হয়েছিল ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯৬৩ জন এবং আয় হয়েছিল ৫ কোটি ১৯ লক্ষ ৬১ হাজার ৪৭৮ টাকা। একই বছর ঈদুল আযহায় ঈদ যাত্রায় ঢাকা থেকে যাত্রী পরিবহন হয়েছিল ১ লক্ষ ৯৫ হাজার ৫১৯ জন এবং আয় হয়েছিল ৫ কোটি ৬১ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৪৭ টাকা। এই বছর ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঢাকা থেকে পাঁচ দিনে (১৭ থেকে ২১এপ্রিল) যাত্রী পরিবহন করা হয়েছে ২ লক্ষ ১৪ হাজার ৯৭৩ জন এবং আয় হয়েছে ৬ কোটি ৭১ লক্ষ ৬১ হাজার ৮০৯ টাকা।
আরও পড়ুন: রেলওয়ে টিকিটিং ব্যবস্থায় তিনটি সেবা অন্তর্ভুক্ত: রেলমন্ত্রী
ঈদে নানাবাড়িতে এসে পানিতে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
ঝালকাঠিতে ঈদের ছুটিতে নানাবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে খালের পানিতে ডুবে দুই বোনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) বিকালে সদর উপজেলার নবগ্রামের বাউকাঠি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে পানিতে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
নিহত দুই শিশু হলো-সোনালী (৮) ও রূপালী (৬)। তারা নবগ্রাম ইউনিয়নের দারিয়াপুর গ্রামের কামাল হাওলাদারের মেয়ে এবং শাজাহান মিয়ার নাতনী।
স্বজনরা জানান, দুপুরে দুই বোন বাড়ির পাশে খালে গোসল করতে নেমে ডুবে যায়। অনেক খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যায় স্থানীয়রা দুই শিশুর লাশ খালে ভাসতে দেখে স্বজনদের খবর দেয়।
পরে স্বজনরা গিয়ে খাল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে।
নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুল হক আকন্দ বলেন, দুই বোন পানিতে ডুবে গেলে তাদের অনেক খোঁজাখুঁজি করার পর বিকালে লাশ উদ্ধার করা হয়। দুই বোন স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করত।
তাদের লাশ বাবার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ঝালকাঠি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খোকন হাওলাদার বলেন, শিশু দু’টি পানিতে ডুবেই মারা গেছে। এখানে পরিবারের কোনো অভিযোগ নেই, তাই লাশ সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে দাফন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: নাসিরনগরে পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
ঠাকুরগাঁওয়ে পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু