জাপান
২০২৩ সালে জাপানে কোনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়নি
জাপান সরকার ৩ বছরে প্রথমবারের মতো ২০২৩ সালে কোনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেনি।
জাপানের সংবাদপত্র আসাহি শিম্বুন বিচার মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে উল্লেখ করেছে, ৩ জনের অসুস্থতা ও অন্যান্য কারণে মৃত্যু এবং আরও ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড এ বছর চূড়ান্ত হওয়াসহ বর্তমানে জাপানে ১০৬ জন বন্দি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত।
বন্দিদের চিকিৎসা সংক্রান্ত আইনে বলা হয়েছে, ২৯ ডিসেম্বর থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত কোনো মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে না।
সর্বশেষ ২০২২ সালের ২৬ জুলাই তোমোহিরো কাতোকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। যিনি ২০০৮ সালে টোকিওর আকিহাবারা জেলায় হামলায় ৭ জনকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত হন।
আরও পড়ুন: মধ্য নাইজেরিয়ায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলায় ১৬০ জন নিহত
চেক প্রজাতন্ত্রের প্রাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে ১৪ জন নিহত
হবিগঞ্জে জাপানি অনুদানের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন রাষ্ট্রদূতের
হবিগঞ্জে জাপানি অনুদানের প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি।
বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) হবিগঞ্জে একটি কমিউনিটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে হবিগঞ্জ সফর করেন তিনি।
এই প্রকল্পটি জাপান সরকারের গ্রান্ট অ্যাসিসটেন্স ফর গ্রাস-রুটস হিউম্যান সিকিউরিটি প্রজেক্টের (জিজিএইচএসপি) মাধ্যমে ‘কমিউনিটি ইনিশিয়েটিভ সোসাইটি (সিআইএস)’ এনজিওকে দেওয়া হয়।
প্রকল্পের আওতায় একটি দোতলা কমিউনিটি স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার নির্মাণের মাধ্যমে এক হাজারের বেশি ঝুঁকিতে থাকা তরুণ-তরুণী বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাপানকে আরও দক্ষ কর্মী নিয়োগের আহ্বান বাংলাদেশের
রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা বলেন, ‘আমি আশা করি এই কেন্দ্র ঝুঁকিতে থাকা মানুষের কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করতে, আয়ের উৎস তৈরি করতে এবং তাদের সামাজিক ও অর্থনৈতিক দুর্বলতা কমাতে সক্ষম করবে।’
তৃণমূল পর্যায়ে অর্থনৈতিক ও সামাজিক মানব নিরাপত্তা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৮৯ সাল থেকে জাপান তার গ্রান্ট অ্যাসিস্ট্যান্স ফর গ্রাস-রুটস হিউম্যান সিকিউরিটি প্রজেক্টের (জিজিএইচএসপি) মাধ্যমে ২১৩টি এনজিও প্রকল্পকে সহায়তা করেছে।
এই জিজিএইচএসপি অনুদানের আওতায় বাংলাদেশের বিভিন্ন এনজিওকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৬ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রকল্পে জাপানের ৬৯ লাখ টাকা অনুদান
জাপানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
জাপানকে আরও দক্ষ কর্মী নিয়োগের আহ্বান বাংলাদেশের
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাংলাদেশে বিপুল সংখ্যক দক্ষ জনশক্তি রয়েছে। যা বৈদেশিক কর্মসংস্থানে পাঠানো যেতে পারে। তাই বৈচিত্র্যময় অর্থনৈতিক খাতে সহযোগিতার পাশাপাশি মানবসম্পদের দিকে মনোনিবেশ করার সময় এসেছে।
জাপানে বিদেশি কর্মীর ক্রমবর্ধমান চাহিদা রয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ কর্মী নিয়োগের জন্য জাপানের জনশক্তি নিয়োগকারী সংস্থা ও এজেন্সির প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জাপানে দক্ষ কর্মী নিয়োগে ঢাকা-টোকিও সহযোগিতা স্মারক সই
টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস জাপান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেইনি অ্যান্ড স্কিলড ওয়ার্কার কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (জিআইটিসিও) সহযোগিতায় টোকিওর তোশি কাইকানে ‘বাংলাদেশ: জাপানের জন্য দক্ষ মানবসম্পদের একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় উৎস দেশ’ শীর্ষক এক সেমিনারের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে জাপানি কোম্পানি ও জনশক্তি নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান এবং বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন।
বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ সুবিধা প্রকল্পে জাপানের ৬৯ লাখ টাকা অনুদান
বাংলা-জার্মান সম্প্রীতি (বিজিএস) নামের বাংলাদেশি এনজিওকে ৬৪ হাজার ৫০৭ মার্কিন ডলার (প্রায় ৬৯ লাখ টাকা) অনুদান দিয়েছে জাপান সরকার।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি ঢাকায় জাপান দূতাবাসে 'গ্রাস-রুটস হিউম্যান সিকিউরিটি প্রজেক্টস' (জিজিএইচএসপি) এর অনুদান চুক্তিতে সই করেন।
কক্সবাজার জেলায় বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের জন্য বিজিএসকে ৬৪ হাজার ৫০৭ মার্কিন ডলার অনুদান দেওয়া হচ্ছে।
কারিগরি ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ, যুব সহায়তা, মানবাধিকার সুরক্ষা, ক্ষুদ্রঋণ, দুর্যোগ ইস্যু, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা এবং জীবিকার উন্নয়নসহ বিভিন্ন কার্যক্রমে বিজিএস কাজ করে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: জাপানি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
জিজিএইচএসপি'র অর্থায়নে বিজিএস কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় একটি বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র নির্মাণ, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের হোস্ট কমিউনিটির সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল তরুণদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কোর্স প্রদান, কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণ এবং লক্ষ্যযুক্ত এলাকায় দারিদ্র্য বিমোচন জোরদার করবে।
ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস জানায়, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মানবিক নিরাপত্তা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ১৯৮৯ সাল থেকে জাপান এর 'গ্র্যান্ট অ্যাসিসটেন্স ফর গ্রাস-রুটস হিউম্যান সিকিউরিটি প্রজেক্টস' এর মাধ্যমে ২১৩টি এনজিও প্রকল্পকে সহায়তা করেছে।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের এনজিওগুলোকে প্রদত্ত এই জিজিএইচএসপি অনুদানের পরিমাণ প্রায় ১৬ দশমিক ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: ডিএনসিসি মেয়রের সঙ্গে জাপানি প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ
মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়নে ১৫০০ মিলিয়ন ডলার দিলো জাপান
মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভৌত অগ্রগতি ৭৮ দশমিক ৩০ শতাংশে পৌঁছেছে। যেখানে ২০২৩ সালের আগস্ট পর্যন্ত আর্থিক অগ্রগতি ৬৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। জাপান প্রকল্পটির জন্য আরও ১৫০০ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে এ লক্ষ্যে ৪৪তম জাপানি অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্স (ওডিএ) ঋণ প্যাকেজের (২য় ব্যাচ) অধীনে মাতারবাড়ী আল্ট্রা সুপারক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ৭ম ধাপের জন্য নোট বিনিময় ও 'ঋণ চুক্তি' সই হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব শরিফা খান বাংলাদেশের পক্ষে ‘এক্সচেঞ্জ অব নোট’ এবং ‘লোন এগ্রিমেন্টে’ সই করেন। বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি ‘এক্সচেঞ্জ অব নোটস’ সই করেছেন এবং জাপানের পক্ষে ‘ঋণ চুক্তি’ সই করেছেন জাইকা বাংলাদেশ অফিস, ঢাকা-এর প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তোমোহাইড।
ঢাকার শেরেবাংলা নগরের ইআরডি’র এনইসি-২ সম্মেলন কক্ষে চুক্তি সই অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।
এই জাপানি ওডিএ ঋণের অধীনে, জাপান সরকার প্রকল্পের জন্য ২ লাখ ১৭ হাজার ৫৫৬ মিলিয়ন জাপানিজ ইয়েন (জেপিওয়াই) বা প্রায় ১৫০০ মিলিয়ন ডলার প্রদান করবে।
এই ঋণের সুদের হার হবে নির্মাণের জন্য ১ দশমিক ৬ শতাংশ, পরামর্শ পরিষেবার জন্য শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ, একটি ফ্রন্ট-এন্ড ফি (এককালীন) শূন্য দশমিক ২ শতাংশ এবং ৩০ বছরের ঋণ পরিশোধের সময়কাল, যার মধ্যে ১০ বছরের গ্রেস পিরিয়ড অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: জাপানের নিরাপত্তা সহায়তা প্রাপ্ত প্রথম ৪ দেশে থাকছে বাংলাদেশ
কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে ১২০০ মেগাওয়াট (৬০০মেগাওয়াটx ২ ইউনিট) আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লা-চালিত পাওয়ার প্ল্যান্ট স্থাপনের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে এবং স্থিতিশীল বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নতির জন্য এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
প্রকল্পের মোট ব্যয় ৫১ হাজার ৮৫৪ দশমিক ৮৮ কোটি টাকা, যার মধ্যে জিওবি ৬ হাজার ৪০৬ হাজার ১৬ কোটি টাকা, জাইকা ৪৩ হাজার ৯২১ দশমিক ০৩ কোটি টাকা এবং সিপিজিসিবিএল ১ হাজার ৫২৭ দশমিক ৬৯ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়নের সময়কাল ২০১৪ সালের জুলাই থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।
জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন সহযোগী। স্বাধীনতার পর থেকে জাপান বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অব্যাহত সহায়তা দিয়ে আসছে।
ওডিএ প্রতিশ্রুতি এখন পর্যন্ত ৩০ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
জাপানি ঋণ ও অনুদান বিদ্যুৎ, সড়ক, সেতু, টেলিযোগাযোগ, কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন, গ্রামীণ উন্নয়ন, পরিবেশ ও মানবসম্পদ উন্নয়ন ইত্যাদির মতো বিস্তৃত ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জাপানি সহায়তা উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রেখেছে দেশের সার্বিক উন্নয়ন।
আরও পড়ুন: দেশের বড় প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে চায় জাপান: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ-জাপানের মধ্যে ৪৪তম ওডিএ ইয়েন ঋণচুক্তি সই
বিশ্বের শীর্ষ ১০ ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ
পৃথিবীর ভূত্বকের নিচে আধা-তরল আবরণে ভেসে থাকা ভূত্বকের বৃহৎ অংশগুলো টেকটোনিক প্লেট নামে পরিচিত। এই প্লেটগুলোর নড়াচড়ার সময় প্রতি দুই প্লেটের মাঝের জায়গায় ঘর্ষণের সৃষ্টি হয়। এই ঘর্ষণের আশেপাশের এলাকায় চাপ সৃষ্টি করে। এর চূড়ান্ত অবস্থায় একটি সিসমিক তরঙ্গ প্রবাহিত হয়, যা প্লেটগুলোর সংঘর্ষ সংলগ্ন এলাকাজুড়ে ভূমিকম্পের সৃষ্টি করে। এর প্রচণ্ডতায় ঘনবসতিপূর্ণ বিশেষ করে বড় বড় স্থাপনা সম্বলিত জায়গাগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আজকের নিবন্ধে অধিক ঝুঁকিতে থাকা ১০টি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ নিয়ে আলোচনা করা হবে।
ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে থাকা পৃথিবীর শীর্ষ ১০টি দেশ
জাপান
ভূমিকম্পন এলাকা হিসেবে ঐতিহাসিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ একটি দেশ জাপান। ভূমিকম্প ছাড়াও আগ্নেয়গিরি এবং উষ্ণ প্রস্রবণের জন্য রীতিমত প্রাকৃতিক দুর্যোগের দেশ বলা যেতে পারে জাপানকে। এটি ভৌগলিক ভাবে প্রশান্ত মহাসাগরীয়, ফিলিপাইন, ওখটস্ক এবং ইউরেশীয় প্লেট; এই চারটি টেকটোনিক প্লেটের সীমানায় অবস্থিত।
এই সীমান্তগুলোকে ঢেকে রাখা সামুদ্রিক পরিখা ও খাদের বিশাল জলাশয় ঘিরে রয়েছে জাপানী দ্বীপপুঞ্জকে। প্যাসিফিক রিং অফ ফায়ার হিসেবে পরিচিত প্রশস্ত এই এলাকায় সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পের শিকার হওয়া দেশটি জাপান।
১৯৯০ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে জাপানে মোট ৯৪টি ভূমিকম্প হয়েছে। এগুলোর মধ্যে একুশ শতকের সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকম্পের মধ্যে রয়েছে ২০১১-এর তোহোকু ভূমিকম্প ও সুনামি। ৯ থেকে ৯.১ মাত্রার এই ভূ-কম্পনে প্রাণহানি ঘটেছিল ১৯ হাজার ৭৫৯ জন মানুষের।
২০১৬-এর কুমামোটো ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে মৃত্যু সংখ্যা ছিলো ২৭৩ জন।
আরও পড়ুন: মরক্কোয় শক্তিশালী ভূমিকম্পে ২ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত, মারাকেচে ঐতিহাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত
বিমানের ঢাকা-নারিতা সরাসরি ফ্লাইট বাংলাদেশ-জাপান বাণিজ্য ও সম্পর্ক জোরদার করবে: বিসিসিআইজে সভাপতি
বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন জাপান (বিসিসিআইজে)- এর সভাপতি বাদল চাকলাদার জানিয়েছেন, জাপানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালুর ফলে দু’দেশের বাণিজ্য ও সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।
রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে টোকিওর একটি রেস্টুরেন্টে বিসিসিআইজে-এর আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
এছাড়াও বিমানবন্দরে হয়রানি, লাগেজ নষ্ট না হওয়ার, লাগেজ হারিয়ে যাওয়া, সময়মত লাগেজ পাওয়া ও বিমানের সেবার মান বৃদ্ধির দাবি জানিয়েছেন বিসিসিআইজে সভাপতি।
এসময় বিসিসিআইজে সভাপতি সরাসরি ফ্লাইট চালু করায় বাংলাদেশ সরকার ও বিমানকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ১৭ বছরে আগের মত যেন ফ্লাইট আবারও বন্ধ না হয়। আমরা সব সময় চাই জাপানিরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুক। কিন্তু সরাসরি ফ্লাইট না থাকায় বাংলাদেশে একবার গেলে দ্বিতীয়বার যেতে অনেক বিনিয়োগকারী আগ্রহী হতেন না। মালামাল পরিবহনেও খরচ বেশি হয়। আমরা এখন চাইবো এই ফ্লাইট আর যেন বন্ধ না হয়।
তিনি আরও বলেন, জাপানের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য আরও বৃদ্ধি করতে পর্যায়ক্রমে প্রতিদিন ফ্লাইট পরিচালনা করার উদ্যোগ নিতে হবে। বিমানের সেবার মানও আরও বাড়াতে হবে। তাহলে দেশি- বিদেশি যাত্রীরা বিমানকেই পছন্দ করে নিবে।
আরও পড়ুন: নারিতার পর বিশ্বের আরও কয়েকটি রুটে ফ্লাইট চালুর উদ্যোগ বিমানের
উপস্থিত জাপানে বসবাসকারী ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, সরাসরি ফ্লাইট না থাকার কারণে জাপানি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে যেতে আগ্রহী হন না। বাংলাদেশিদেরও জাপান থেকে দেশে যেতে দীর্ঘ সময় লাগতো। এখন সরাসরি চালু হওয়ায় দু’দেশের জন্য সম্পর্ক ও ব্যবসায়িক সম্প্রসারণ হবে। বাংলাদেশি প্রবাসীদের লাশ বিনা খরচে দেশে নিতেও আহ্বান জানানো হয়।
এছাড়াও, বিমানবন্দরে হয়রানি, লাগেজ নষ্ট না হওয়ার, লাগেজ হারিয়ে যাওয়া, সময়মত লাগেজ পাওয়া ও বিমানের সেবার মান বৃদ্ধির দাবি জানান ব্যবসীয়া।
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপানে ফ্লাইট চালু হওয়ায় ফলে আমাদের দু’দেশের সম্পর্ক আরও অনেক বৃদ্ধি পাবে। জাপানের সঙ্গে আমাদের ৫০ বছরের সম্পর্ক রয়েছে। এই সম্পর্ক আরও অনেক বাড়বে। ১৭ বছরে জাপানের টোকিওতে ফ্লাইট চালু করল বিমান। এতে যাত্রী পরিবহনের পাশাপাশি পণ্য পরিবহনও সহজ হবে। জাপানে ফ্লাইট চালু রাখা বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা লাগবে।
তিনি আরও বলেন, জাপান ফ্লাইট চালুর ফলে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে আসবেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবেন। বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনার দেশ।
জাপানে বাংলাদেশি প্রবাসীদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপান একটি উন্নত দেশ। আপনারাও যদি তাদের মতো কাজ করেন, তাহলে অনেকদূর এগিয়ে যাবেন।
বাংলাদেশে জাপানি পর্যটকদের আসার জন্য প্রবাসীদের ভূমিকা রাখতে আহ্বান জানান পর্যটন প্রতিমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঢাকা-নারিতা রুটে ১ সেপ্টেম্বর ফ্লাইট চালু করবে বিমান
বিমান সেবার মান বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম বলেন, দীর্ঘদিন পরে ফ্লাইট শুরু করতে পেরেছি। তাই জাপান রুট সফল করতে সব ধরনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। সেবা নিয়ে কোনো অভিযোগ পেলে কাউকে ছাড় দেবে না।
বিমানের এমডি বলেন, প্রবাসীদের প্রতি আমার অনুরোধ থাকবে আপনারা সহয়তা করুন, বিমানে ভ্রমণ করুন। বিমানের প্রমোট করুন। বিমান আপনাদেরই সম্পত্তি।
বিমান পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল বলেন, জাপানে ফ্লাইট জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। উনার ইচ্ছার ফলে ফ্লাইটটি আবার চালু করা গেছে। এর পিছনে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এবং জাপানে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত অনেক পরিশ্রম করেছেন।
বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ইন জাপানের প্রতি কৃতজ্ঞতা সংবর্ধনা আয়োজনের জন্য।
শুক্রবার রাতে ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা থেকে ২৪৩ যাত্রী নিয়ে ৬ ঘণ্টায় জাপানে আসে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট।
পরদিন শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় ফ্লাইটটি জাপানের নারিতা বিমানবন্দরে অবতরণ করে। উদ্বোধনী এই ফ্লাইটে বাংলাদেশি ছাড়াও নেপাল থেকে আসা যাত্রীরা ঢাকা হয়ে জাপানে গেছেন।
নারিতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ফ্লাইটটিকে ‘ওয়াটার ক্যানন’ স্যালুট দিয়ে স্বাগত জানিয়েছে। সেইসঙ্গে ফ্লাইটের যাত্রীদেরও উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়।
বিমানবন্দরে বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলীকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: বিমান সিইও
জাপানের নিরাপত্তা সহায়তা প্রাপ্ত প্রথম ৪ দেশে থাকছে বাংলাদেশ
জাপান তাদের নতুন অফিসিয়াল সিকিউরিটি অ্যাসিসটেন্স (ওএসএ) কর্মসূচির সুবিধাভোগী চারটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে বেছে নিয়েছে।
শনিবার দূতাবাসে এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, ‘এ থেকে বোঝা যায় জাপান বাংলাদেশকে কতটা গুরুত্ব দেয়।’
অন্য তিনটি দেশ হলো- ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও ফিজি।
এ লক্ষ্যে জাপান ও বাংলাদেশ তাদের নিজ নিজ দূতাবাসে প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে নিয়োগে সম্মত হয়েছে।
আরও পড়ুন: আইওএসএ সনদ পেল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স
চলতি বছরের এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সময়ও এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে 'অফিসিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিসট্যান্স (ওডিএ)' ছাড়াও জাপান সশস্ত্র বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার সুবিধার্থে উপকরণ ও সরঞ্জাম সরবরাহের পাশাপাশি দেশগুলোর নিরাপত্তা চাহিদার ভিত্তিতে অবকাঠামো উন্নয়নে সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে একটি নতুন সহযোগিতা কাঠামো 'অফিসিয়াল সিকিউরিটি অ্যাসিসটেন্স (ওএসএ)' প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুসারে, ২০২২ সালের ১৬ ডিসেম্বর মন্ত্রিসভা কর্তৃক অনুমোদিত নতুন ‘জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলে’ ওএসএ উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, বাংলাদেশ ও জাপান শিগগিরই প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের বিষয়ে একটি চুক্তি সই করতে পারে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমরা প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি হস্তান্তর সম্পর্কিত একটি চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছি। আমরা এই মুহূর্তে বিস্তারিত প্রকাশ করতে পারব না। তবে, আলোচনা ইতিবাচকভাবে চলছে।’
জাপান-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং দেশটি ১৯৭১ সাল থেকে বাংলাদেশকে সর্বাধিক বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তা (২৪ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার) প্রদান করেছে।
বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বেরিয়ে আসার পর এবং ২০২৬ সালের মধ্যে শুল্কমুক্ত সময়ে ঢাকা-টোকিও বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে একটি অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) সইয়ের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে।
ইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, জাপান-বাংলাদেশ জয়েন্ট স্টাডি গ্রুপ ইতোমধ্যে ইপিএ নিয়ে দুটি বৈঠক করেছে এবং তৃতীয় বারের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, জাপান বাংলাদেশের সব সময়ের বন্ধু এবং দু'দেশকেই একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে।
জাপানের একটি বিশাল জনশক্তির প্রয়োজন হবে এবং বাংলাদেশ এই ধরনের জনশক্তি সরবরাহ করতে পারে।
তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির জন্য জাপান বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল বাজার এবং বাংলাদেশি দক্ষ কর্মীদের জন্য একটি প্রধান গন্তব্য হতে পারে।
প্যান-এশিয়া রিসার্চ ইন্সটিটিউটের (পারি) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে জাপান দূতাবাসে আয়োজিত আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম কথা বলেন।
প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত জামিল মজিদ ও আশরাফ-উদ-দৌলা; এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. লাইলুফার ইয়াসমিন; পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় শাখার পরিচালক সায়েম আহমেদ; জাইকা বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি ইজি ইয়ামাদা; জাপানিজ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন ইন ঢাকা (জেসিআইএডি) এর সভাপতি তেতসুরো কানো; জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেবিসিসিআই) মহাসচিব মো. আনোয়ার শহীদ।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-জাপানের মধ্যে ৪৪তম ওডিএ ইয়েন ঋণচুক্তি সই
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাপানের প্রচেষ্টা জোরদার হবে বলে আশাবাদী বাংলাদেশ: শাহরিয়ার
অবকাঠামোগত উন্নয়নে জাপানের অব্যাহত সহায়তার প্রশংসা করেছে বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে মিয়ানমারের সঙ্গে তাদের সুসম্পর্ক থাকায় রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাপানের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ-জাপান সম্পর্কবিষয়ক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের পক্ষ থেকে আমরা আশা করি জাপান রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে প্রচেষ্টা আরও জোরদার করবে।’
শনিবার (২৬ আগস্ট) প্যান-এশিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিএআরআই) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন উপলক্ষে জাপান দূতাবাসে আয়োজিত আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনোরি এবং এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
জাপানে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত জামিল মজিদ ও আশরাফ-উদ-দৌলা, অ্যাপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. লাইলুফার ইয়াসমিন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় শাখার পরিচালক সায়েম আহমেদ, জাইকা বাংলাদেশের সিনিয়র প্রতিনিধি ইজি ইয়ামাদা, ঢাকায় জাপানিজ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (জেসিআইএডি) সভাপতি তেতুরো কানো এবং প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপান-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (জেবিসিসিআই) মহাসচিব মো. আনোয়ার শহীদ।
অনুষ্ঠানে শাহরিয়ার আলম মাতারবাড়ী প্রকল্পে বিনিয়োগ এবং ক্রমবর্ধমান জাপানি কোম্পানির উপস্থিতি ও সহযোগিতার কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা জাপানের সমর্থিত এই অবকাঠামো প্রকল্পগুলোকে দেশ ও জনগণের অনেক সমস্যার সমাধান হিসেবে মনে করছি।’
এর আগে বাংলাদেশ সরকার জানায়, প্রতি বছর রোহিঙ্গা শিবিরে প্রায় ৩০ হাজার শিশুর জন্ম এবং রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা অনেক কমে যাওয়ায় এই সংকট আরও জটিল হয়ে উঠেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নিরাপদ, স্বেচ্ছায় ও স্থায়ী প্রত্যাবাসন শুরু করতে আরও দেরি এবং মানবিক সহায়তার ঘাটতি পুরো অঞ্চলকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে।
মন্ত্রণালয় বলেছে, ১ দশমিক ২ মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাকে এত দীর্ঘ সময় আশ্রয় দেওয়ার আর্থ-সামাজিক, জনসংখ্যাগত ও পরিবেশগত ব্যয় বাংলাদেশকে ঝুঁকির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
এই জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মানুষদের নিরাপদ ও স্থায়ীভাবে তাদের স্বদেশে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছা ও অধিকার রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জনগুলো অসাধারণ এবং এ ধরনের অর্জন কিছু চ্যালেঞ্জ নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে উচ্চ আয়ের দেশে রূপান্তরে সহযোগিতা করবে জাপান: নিশিমুরা ইয়াসুতোশি
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে জনগণের আকাঙ্ক্ষা সমুন্নত রাখতে হবে। আমরা অনেক কিছু অর্জন করেছি। গত ৫০ বছরে আমরা যা অর্জন করেছি তা আরও বাড়ানোর জন্য আমাদের প্রতি জনগণের অনেক প্রত্যাশা রয়েছে।’
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘এটা (লক্ষ্য অর্জন) সহজ হবে না। একমাত্র জাপানের মতো বন্ধুরা আমাদের সেই লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করতে পারে।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও জাপান অবশ্যই সম্মিলিতভাবে কাজ করবে এবং উভয় দেশ ও তাদের জনগণের জন্য পারস্পরিক কল্যাণকর ভবিষ্যৎ অর্জনের যাত্রায় এক থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বর্তমানে শুধু একটি জিটুজি (সরকার-থেকে-সরকার) অংশীদারিত্ব রয়েছে।
ঢাকা-নারিতা রুটে ১ সেপ্টেম্বর ফ্লাইট চালু করবে বিমান
ঢাকা থেকে জাপানের নারিতায় আগামী ১ সেপ্টেম্বর সরাসরি ফ্লাইট চালু করবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম ইউএনবিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিইও জানান, উদ্বোধনী ফ্লাইটটি ১ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করবে। ২ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে জাপানের নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবে।
আরও পড়ুন: ৭ অক্টোবর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সফট ওপেনিং: বেবিচক চেয়ারম্যান
তিনি আরও বলেন, ২ সেপ্টেম্বর নারিতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে ফ্লাইট বিজি-৩৭৭ যাত্রা করবে।
শফিউল আজিম বলেন, ঢাকা থেকে নারিতা বিমানের ফ্লাইট প্রতি শুক্রবার, সোমবার ও বুধবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে এবং নারিতা থেকে ঢাকার উদ্দেশে প্রতি শনিবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ছাড়বে।
এ ছাড়া গত ২৫ জুলাই থেকে ঢাকা-নারিতা (টোকিও) সরাসরি ফ্লাইটের টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
এদিকে ঢাকা-নারিতা রুটে একমুখী সর্বনিম্ন ভাড়া ৭০ হাজার ৮২৮ টাকা এবং ফিরতি টিকিটের মূল্য জনপ্রতি ১ লাখ ১১ হাজার ৬৫৬ টাকা।
তবে নতুন রুট উদ্বোধন উপলক্ষে ছাড় দিয়েছে বিমান। ১৫ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ মূল্য ছাড় দেওয়া হয়।
এ সময় ঢাকা-নারিতা রুটে একমুখী সর্বনিম্ন ভাড়া জনপ্রতি সর্বমোট ৪৯ হাজার ১০০ টাকা এবং রিটার্ন টিকিটের ভাড়া শুরুতে ছিল ৮৪ হাজার ৪৯৬ টাকা। এরই মধ্যে উদ্বোধনী ফ্লাইটের অধিকাংশ টিকিট বিক্রি হয়েছে।
বিমানের মতে, জাপানে অবস্থান করা বাংলাদেশির সংখ্যা খুবই কম। বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে নিযুক্ত থাকা জাপানি নাগরিকরাই এই রুটের যাত্রী হবেন বলে আশা করা করে হচ্ছে।
বিমানের সিইও আরও বলেন, খুহ শিগগিরই আমরা ইন্টারন্যাশনাল সিস্টেমে ২৪ ঘণ্টা কল সেন্টার চালু করতে যাচ্ছি। যাত্রীরা ২৪ ঘণ্টাই বিমানের সব আপডেট তথ্য জানতে পারবেন কল সেন্টারের মাধ্যমে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সিইও জানিয়েছেন, স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ হিসেবে বিমানে ব্যাগেজ ব্যবস্থা অটো করা হবে। যার যত কেজি ব্যাগেজ অনুমোদন থাকবে তার থেকে ১ কেজিও বেশি নেওয়া যাবে না।
তিনি আরও বলেন, এটি সিস্টেমে আটকে যাবে। বেশি ওজন হলে বোর্ডিং আসবে না। ১ সেপ্টেম্বর থেকে এই অটোমেটিক সিস্টেম চালু করা হবে।
আরও পড়ুন: অক্টোবরে ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের সঙ্গে চালু হবে ১২ বোর্ডিং ব্রিজ: বেবিচক
ঢাকা বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার: বিমান সিইও