জাপান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল পূর্ব জাপান, সুনামির সতর্কতা নেই
একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে শুক্রবার টোকিও এবং পূর্ব জাপানের অন্যান্য এলাকা কেঁপে ওঠে, তবে সুনামির কোনো সতর্কতা জারি করা হয়নি।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ জানিয়েছে, ৬ দশমিক ১ মাত্রার ভূমিকম্পটি চিবা উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলে ৪৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার (২৮ মাইল) গভীরতায় কেন্দ্রীভূত হয়েছিল।
চিবা ও ইবারাকি প্রিফেকচারে শক্তিশালী কম্পনের খবর পাওয়া গেছে, কিন্তু ইউএসজিএস বলেছে যে গুরুতর ক্ষতি বা প্রাণহানির সম্ভাবনা কম।
কিয়োডো নিউজ সার্ভিস জানিয়েছে, ইবারাকির টোকাই নং ২ পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কোনো সমস্যা দেখা যায়নি।
৫ মে মধ্য জাপানে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে, এতে অন্তত একজন নিহত এবং ২০ জনেরও বেশি আহত হয়।
জাপান বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। দেশটির উত্তর-পূর্বে ২০১১ সালের একটি বিশাল ভূমিকম্পের ফলে একটি বিধ্বংসী সুনামি হয় এবং পারমাণবিক প্ল্যান্ট গলে যায়।
আরও পড়ুন: প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, ভানুয়াতুতে ছোট সুনামি
জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামির আশঙ্কা নেই
নিউজিল্যান্ডে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত
১৫ দিনের বিদেশ সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৫ দিনের সরকারি সফর শেষে মঙ্গলবার সকালে লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন।
প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট সকাল ১০টা ৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। ফ্লাইটটি সোমবার (লন্ডন সময়) সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যায়।
গত ২৫ এপ্রিল শেখ হাসিনা তার তিন দেশ সফরের প্রথম ধাপে জাপানে চার দিনের সরকারি সফরে টোকিওর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। তিনি তার জাপানি সমকক্ষ কিশিদা ফুমিওর আমন্ত্রণে জাপানে যান।
টোকিওতে অবস্থানকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে দেখা করেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিওর সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করেন।
তিনি এবং তার জাপানি সমকক্ষ আটটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে, যা কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প-উন্নয়ন, জাহাজ-রিসাইক্লিং, শুল্কবিষয়ক, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত।
আরও পড়ুন: ১৫ দিনের বিদেশ সফর শেষ করে দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন এবং একটি কমিউনিটি রিসেপশনে যোগদানের পাশাপাশি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য দুই জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদান করেন।
এছাড়া শেখ হাসিনা জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) প্রেসিডেন্ট ড. তানাকা আকিহিকো, জাপান-বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্শিয়াল এন্ড ইকোনোমিক কো-অপারেশন (জেবিসিসিইসি) চেয়ারম্যান ফুমিয়া কোকুবু, জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইশিগুরো নোরিহিকো এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের (জেবিপিএফএল) সভাপতি তারো অ্যাসোর সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন।
২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে যোগ দিতে তার তিন দেশ সফরের দ্বিতীয় ধাপে যুক্তরাষ্ট্রে ছয় দিনের সরকারি সফরে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে টোকিও ত্যাগ করেন।
তিনি ১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছরের প্রতিফলন’- শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা এবং ইউএস চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সুজান পি. ক্লার্কের সঙ্গেও আলাদাভাবে বৈঠক করেন।
এছাড়াও, তিনি মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে একটি উচ্চ-পর্যায়ের কার্যনির্বাহী গোলটেবিল বৈঠক এবং একটি কমিউনিটি সংবর্ধনায় অংশ নেন।
৪ মে প্রধানমন্ত্রী ৬ মে বাকিংহাম প্যালেসে আয়োজিত যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করেন।
লন্ডনে শেখ হাসিনা রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
তিনি কমনওয়েলথ লিডারস ইভেন্ট, বাকিংহাম প্যালেসে রাজা ও রাণী কনসোর্টের রাজ্যাভিষেক পূর্ব অনুষ্ঠান, রাজার সংবর্ধনা এবং একটি কমিউনিটি রিসিপশনে যোগ দিয়েছিলেন।
তিনি সেখানে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক এবং রানী জেটসুন পেমার সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়া রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিশর ও রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট, সিয়েরা লিওন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, গাম্বিয়া, নামিবিয়া ও উগান্ডার প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: বিনিয়োগ আকর্ষণে বাংলাদেশকে সহায়তা করার প্রস্তাব টনি ব্লেয়ারের
বাংলাদেশে আগামী নির্বাচনের জন্য কমনওয়েলথের পর্যবেক্ষক চান প্রধানমন্ত্রী
১৫ দিনের বিদেশ সফর শেষ করে দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী
জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ১৫ দিনের বিদেশ সফর শেষ করে সোমবার দেশের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ১১টা ২৫ মিনিটে) লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় ফ্লাইটটি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের কথা রয়েছে।
গত ২৫ এপ্রিল শেখ হাসিনা তার তিন দেশ সফরের প্রথম ধাপে জাপানে চার দিনের সরকারি সফরে টোকিওর উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। তিনি তার জাপানি সমকক্ষ কিশিদা ফুমিওর আমন্ত্রণে জাপানে যান।
টোকিওতে অবস্থানকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে দেখা করেন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা ফুমিওর সঙ্গে শীর্ষ বৈঠক করেন।
তিনি এবং তার জাপানি সমকক্ষ আটটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই করেছে, যা কৃষি, মেট্রোরেল, শিল্প-উন্নয়ন, জাহাজ-রিসাইক্লিং, শুল্কবিষয়ক, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা এবং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত।
তিনি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন এবং একটি কমিউনিটি রিসেপশনে যোগদানের পাশাপাশি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানের জন্য দুই জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদান করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী
এছাড়া শেখ হাসিনা জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) প্রেসিডেন্ট ড. তানাকা আকিহিকো, জাপান-বাংলাদেশ কমিটি ফর কমার্শিয়াল এন্ড ইকোনোমিক কো-অপারেশন (জেবিসিসিইসি) চেয়ারম্যান ফুমিয়া কোকুবু, জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অর্গানাইজেশন (জেট্রো) এর চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইশিগুরো নোরিহিকো এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের (জেবিপিএফএল) সভাপতি তারো অ্যাসোর সঙ্গে পৃথকভাবে বৈঠক করেন।
২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনে যোগ দিতে তার তিন দেশ সফরের দ্বিতীয় ধাপে যুক্তরাষ্ট্রে ছয় দিনের সরকারি সফরে ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে টোকিও ত্যাগ করেন।
তিনি ১ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক অংশীদারিত্বের ৫০ বছরের প্রতিফলন’- শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেন।
ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ হাসিনা আইএমএফের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিভা এবং ইউএস চেম্বার অব কমার্সের প্রেসিডেন্ট ও সিইও সুজান পি. ক্লার্কের সঙ্গেও আলাদাভাবে বৈঠক করেন।
এছাড়াও, তিনি মার্কিন ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের সঙ্গে একটি উচ্চ-পর্যায়ের কার্যনির্বাহী গোলটেবিল বৈঠক এবং একটি কমিউনিটি সংবর্ধনায় অংশ নেন।
৪ মে প্রধানমন্ত্রী ৬ মে বাকিংহাম প্যালেসে আয়োজিত যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যুক্তরাজ্যে পাঁচ দিনের সরকারি সফরে লন্ডনের উদ্দেশ্যে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করেন।
লন্ডনে শেখ হাসিনা রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাকের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন।
তিনি কমনওয়েলথ লিডারস ইভেন্ট, বাকিংহাম প্যালেসে রাজা ও রাণী কনসোর্টের রাজ্যাভিষেক পূর্ব অনুষ্ঠান, রাজার সংবর্ধনা এবং একটি কমিউনিটি রিসিপশনে যোগ দিয়েছিলেন।
তিনি সেখানে ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক এবং রানী জেটসুন পেমার সঙ্গে বৈঠক করেন।
এছাড়া রাজা তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিশর ও রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট, সিয়েরা লিওন, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, গাম্বিয়া, নামিবিয়া ও উগান্ডার প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
আরও পড়ুন: ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী সুনাকের সঙ্গে শুক্রবার দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সম্ভাবনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার
ওয়াশিংটনের উদ্দেশে টোকিও ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী
জাপানে শক্তিশালী ভূমিকম্প, সুনামির আশঙ্কা নেই
জাপানের মধ্যাঞ্চলে শুক্রবার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, তবে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে প্রাথমিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং সুনামির কোনো আশঙ্কাও নেই।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার ভূমিকম্প তথ্য কেন্দ্র জানিয়েছে, জাপানের প্রধান দ্বীপ হোনশুর মধ্য পশ্চিম উপকূলের কাছে ইশিকাওয়া অঞ্চলে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পটি আঘাত হেনেছে।
জাপানের কিয়োডো নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, নিগাতা প্রিফেকচারের নিকটবর্তী একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে চিন্তার তেমন কিছু নেই।
জাপানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ছোট ছোট ঢেউ আসতে পারে, তবে সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই।
জাপান বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্প প্রবণ দেশগুলোর একটি। ২০১১ সালে দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ ভূমিকম্পের ফলে সুনামি ও পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র ধসের ঘটনা ঘটে, যা আজও সেখানকার মানুষদের মধ্যে প্রতিধ্বনিত হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত
চট্টগ্রামে ৪ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্প
জাপান-সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ১ হাজার ২৬৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি
জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসেছে আমদানিকৃত এক হাজার ২৬৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি। ডলার সংকটে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ৫০০ কোটি টাকার এসব গাড়িবোঝাই ‘এমভি মালয়েশিয়া স্টার’ নামের জাহাজটি সম্প্রতি বন্দরে নোঙ্গর ফেলেছে। রেকর্ড পরিমাণ গাড়ির চালান নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের ৭ এবং ৮ নম্বর জেটিতে বার্থিং করেছে এমভি মালেয়শিয়া স্টার নামের এই জাহাজ।
বৃহস্পতিবার (৪ মে) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের উপ-কমিশনার ব্যারিস্টার বদরুজ্জামান মুন্সি এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, এর মধ্যে ৫৬৯টি গাড়ি খালাস হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। বাকিটা হবে মোংলা বন্দরে।
আরও পড়ুন: ঈদের পর হিলি স্থলবন্দরে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু
তিনি আরও বলেন, দেশে বিলাশবহুল গাড়ির আমদানি বাড়ছে। সর্বশেষ বন্দরে আমদানিকৃত গাড়ি নিয়ে আসা জাহাজ থেকে খালাস কার্যক্রম চলছে। এই জাহাজে করেই জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে আনা হয়েছে ১ হাজার ২৬৫টি গাড়ি।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্র জানায়, ডলার সঙ্কটের কারণে বিলাসবহুল পণ্য হিসেবে দীর্ঘদিন গাড়ির এলসি খোলা বন্ধ ছিল। সম্প্রতি অর্থনীতির পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে যাওয়ায় ফের গাড়ির এলসি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরেই গাড়ি আমদানিকারকরা রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে সক্রিয় হয়। সর্বশেষ জাপান ও সিঙ্গাপুর থেকে ১২৬৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে এমভি মালয়েশিয়া স্টার নামক একটি জাহাজ। এই জাহাজ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হয়েছে ৫৬৯টি গাড়ি। বাকি গাড়ি খালাস হবে মোংলা বন্দরে।
চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস হওয়া গাড়িগুলো বর্তমানে শুল্কায়ন পর্যায়ে রয়েছে। এসব গাড়ি থেকে ২০০ কোটি টাকার উপরে রাজস্ব আয় হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কর্তৃপক্ষ।
গাড়ির বিশাল এই চালান আমদানির সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রামের ১২ থেকে ১৫ জন ব্যবসায়ী।
বিশেষ করে আসন্ন বাজেটে আমদানি করা গাড়িতে শুল্কহার বাড়তে পারে- এই তথ্য থেকেই বেশি লাভের আশায় বাড়ছে গাড়ি আমদানি।
গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ রিকন্ডিশন্ড ভেহিক্যালস্ ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বারভিডা) সাবেক সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, দেশের অর্থনীতি সচল রাখতে হলে গাড়ির ব্যবহার সচল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত হওয়া এলসিগুলোতে এসব গাড়ি এসেছে। নতুন করে বাজেটকে কেন্দ্র করে এখন পর্যন্ত কোনো গাড়ি আসেনি।
আরও পড়ুন: জাপান-সিঙ্গাপুর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এলো ১ হাজার ২৬৫টি রিকন্ডিশন্ড গাড়ি
চট্টগ্রাম বন্দরে শিপ হ্যান্ডেলিং এ নতুন অপারেটরদের নিয়োগ ৬ মাসের জন্য স্থগিত
জাপানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জাপানি চিত্রকলা বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠান
বাংলাদেশ-জাপান বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সংগ্রামী জীবন নিয়ে জাপানের টোকিওতে জাপানি চিত্রকলা 'মাঙ্গা' ফর্মের কমিক বই 'ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু' এর দ্বিতীয় প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার জাপানের রাজধানী টোকিওতে বাংলাদেশ দূতাবাসের অডিটোরিয়ামে এ প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ।
রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, 'ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু' বইটিতে ছবি ও বর্ণনার মাধ্যমে বাংলাদেশের জন্য বঙ্গবন্ধুর অবদান সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। শিশু ও কিশোররা বইটি পড়ার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকে যেমন জানতে পারবেন তেমনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
বিশেষ অতিথি লেখক ও সাংবাদিক মনজুরুল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন কমিক বই আর হয়নি। এই কমিক বই তিন ভাষায় প্রকাশিত হওয়ায় বাংলাদেশের তরুণদের পাশাপাশি জাপানি তরুণদের আকৃষ্ট করবে। এছাড়া ইংরেজি পাঠকদেরও বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে। এই বই থেকে অ্যানিমেশন মুভি হলে তা আরেকটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে জাপানি চিত্রকলা 'মাঙ্গা' ফর্মে কমিক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের সময় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এই মাঙ্গা কমিক বই প্রকাশ করা একটি দারুণ ব্যাপার। এর ফলে জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আরও একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ হলো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন জাপান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের বাংলা রেডিও বিভাগের প্রধান শিখা মুরাকামি, বইটির লেখক ও প্রকাশক স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা এম ই চৌধুরী শামীম, বইটির সহ-লেখক শাইন পার্টনারস করপোরেশন জাপানের প্রধান নির্বাহী ইয়েমতো কিয়েতা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপা।
শুক্রবার জাপানের রাজধানী টোকিও'র আকাসাকা প্যালেসে জাপান সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার বোনের হাতে বইটি তুলে দেন বইটির লেখক ও প্রকাশক স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা এম ই চৌধুরী শামীম ও বইটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক স্কলার্স বাংলাদেশের সোসাইটির উপদেষ্টা, ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান, বুয়েট গ্র্যাজুয়েটস ক্লাবের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীর। এ সময় পাঁচ পর্বে প্রকাশিতব্য বইটির বাকি চার পর্বের প্রকাশ ও প্রকাশনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অবহিত করা হয় এবং প্রধানমন্ত্রী তার মূল্যবান দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
বইটি হস্তান্তরের সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন, স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী দিলারা আফরোজ খান রূপা, সহ-লেখক শাইন পার্টনারস করপোরেশন জাপানের প্রধান নির্বাহী ইয়েমতো কিয়েতা, শাইন পার্টনারস করপোরেশনের সিএফও ইয়েমতো এআই, লেখক ও অভিনেতা আল মনসুর বেলাল, তথ্যচিত্র নির্মাতা কায়সার কাদের সেলিম।
গত ৫ এপ্রিল ঢাকায় বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি। বইটি প্রকাশ করেছে স্কলার্স বাংলাদেশ সোসাইটির সহপ্রতিষ্ঠান এনএস পাবলিশার্স।
প্রকাশনা সহযোগী হিসেবে রয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকাস্থ জাপান দূতাবাস ও ম্যাক্স গ্রুপ।
জাপানিদের কমিক ও কার্টুন ধাঁচের চিত্রকলার একটি সৃজনশীল এবং সুপরিচিত ধরন হচ্ছে মাঙ্গা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দীর্ঘ সংগ্রামের ইতিহাস মাঙ্গা ফর্মে তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে। বইটিতে বর্ণনা এবং ব্যতিক্রমী ছবির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবন তুলে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম এবং বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবদানের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।
জাপানি আর্ট ফর্ম 'মাঙ্গা' চিত্রকলার একটি ব্যতিক্রমী ধারা, যা নিজ বৈশিষ্ট্যে স্বতন্ত্র। এর সঙ্গে পাশ্চাত্য ধারা বা অন্য কোনো ফর্মের সম্পৃক্ততাও নেই। জাপানি কমিকের অত্যন্ত জনপ্রিয় এই ফর্মটি জাপানি চিত্র ও প্রকাশনা শিল্পে স্থায়ী আসন করে নিয়েছে। অভিযান কাহিনি থেকে ফ্যান্টাসি, শিশুপাঠ থেকে বরণীয় ব্যক্তিত্বের জীবনী, লোককথা থেকে শুরু করে আধুনিক বাস্তব ও পরাবাস্তববাদী উপন্যাস, ইতিহাস থেকে শুরু করে রোমাঞ্চ, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী থেকে শুরু করে রহস্যভেদী কাহিনি সবই অল্পকথায় এবং অসনাতন ছবিতে মাঙ্গায় মূর্ত হয়ে থাকে।
‘ফাদার অব দ্য ন্যাশন বঙ্গবন্ধু' বইটি মাঙ্গা ফর্মে বাংলা, ইংরেজী এবং জাপানি ভাষায় প্রকাশের মধ্য দিয়ে চিত্রশিল্পের এই ফর্মটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপরিচিত হওয়ার প্রয়াস পাবে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর সংগ্রামী জীবন সুপাঠ্য আকারে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবে।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে অনুষ্ঠিত হলো ৭টি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ প্রতিযোগিতা
বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষ্যে জাতিসংঘে শিশু-কিশোর আনন্দমেলা
জাপানে ইয়ানমারের কারখানা পরিদর্শন কৃষিমন্ত্রীর, বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান
কৃষিযন্ত্র তৈরির অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ইয়ানমার-এর কারখানা পরিদর্শন ও প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে জাপান সফররত কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
শুক্রবার সকালে টোকিও থেকে ওকায়ামার ইনামিতে ইয়ানমার এগ্রিবিজনেস কারখানায় পৌঁছান কৃষিমন্ত্রী। সেখানে তিনি কম্বাইন হারভেস্টার, ট্রাক্টর, ট্র্যান্সপ্লান্টারসহ বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র তৈরির কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।
এছাড়া, গ্রিনহাউজে বিশেষায়িত ফসল যেমন আম, পেঁপে, স্ট্রবেরি প্রভৃতির গবেষণার বায়ো-ল্যাব কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
ইয়ানমারকে বাংলাদেশে কৃষিযন্ত্র তৈরির আহ্বান জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কৃষি যান্ত্রিকীকরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে শ্রমিক সংকট আরও বাড়বে, একইসঙ্গে কৃষিযন্ত্রের চাহিদাও বাড়বে এবং বিশাল বাজার তৈরি হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ইয়ানমারের কৃষিযন্ত্রের সুনাম আছে, চাহিদাও। কাজেই, ইয়ানমার বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে,কারখানা স্থাপন করে স্থানীয়ভাবে কৃষিযন্ত্র তৈরি করলে অনেক লাভবান হতে পারবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ রয়েছে এবং সরকার সবরকম সহযোগিতা প্রদান করবে।
আরও পড়ুন: তরুণরাই বাংলাদেশে ‘স্মার্ট এগ্রিকালচারের’ নেতৃত্ব দেবে: কৃষিমন্ত্রী
ইয়ানমারের প্রেসিডেন্ট মাসাদা স্যান এ সময় জানান, বাংলাদেশে কারখানা স্থাপনের বিষয়ে সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। সামনের বছর থেকে এসিআই’র সহযোগিতায় বাংলাদেশে কম্বাইন হারভেস্টার ও রাইস ট্র্যান্সপ্লান্টার তৈরির কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এছাড়া, বাংলাদেশে স্মার্ট কৃষি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ইয়ানমারের স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি দিয়ে সহযোগিতার বিষয়েও উদ্যোগ নেওয়া হবে জানায় ইয়ানমার কর্তৃপক্ষ।
এ সময় ইয়ানমারের প্রেসিডেন্ট মাসাদা স্যান, গ্লোবাল মার্কেটিং পরিচালক উয়েদা স্যান, শিমিগ স্যানসহ শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা, এসিআই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ দৌলা, এসিআই এগ্রিবিজনেসের প্রেসিডেন্ট এফএইচ আনসারী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ুসহনশীল ও উচ্চ ফলনশীল ফসলের জাত উদ্ভাবন করে কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে মধ্যস্থতা করতে পারে জাপান: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জাপান মধ্যস্থতা করতে পারে এবং রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সহায়তা করতে পারে।
জাপানের সর্ববৃহৎ ইংরেজি দৈনিক দ্য জাপান টাইমস-এ প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি বলেন, ‘এখন তারা (রোহিঙ্গারা) বাংলাদেশ ও পুরো অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তা হুমকি হয়ে উঠছে। জাপান মধ্যস্থতা করতে পারে এবং রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরিয়ে নিতে সহায়তা করতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চার দিনের জাপান সফরকালে গত ২৫ এপ্রিল 'জাপান হোল্ডস আ স্পেশাল প্লেস ইন আওয়ার হার্টস' শিরোনামে একটি নিবন্ধ প্রকাশ করে জাপান টাইমস।
শেখ হাসিনা বলেন, গণহত্যার মুখে থাকা রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গত ছয় বছরে বাংলাদেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের প্রায় ১১ লাখ নাগরিকের যত্ন নিতে দ্বিধাদ্বন্দ্বের সম্মুখীন হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৪ দিনের জাপান সফর শেষে শুক্রবার ওয়াশিংটন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘তাদের প্রাপ্য উপস্থিতি স্থানীয় সম্প্রদায়ের জীবন ও জীবিকাকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করছে।’
তার সফর সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমার দেশ, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও জোরদার করতে আমি আবার টোকিওতে এসেছি, যখন আমাদের দেশগুলো কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫১তম বার্ষিকী উদযাপন করছে। আমি সম্রাট নারুহিতো ও সম্রাজ্ঞী মাসাকোর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই এবং আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে ধন্যবাদ জানাই। আমি বাংলাদেশের মহান বন্ধু সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকেও শ্রদ্ধা জানাই।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বাধীনতা অর্জনের দুই মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ১৯৭২ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী কয়েকটি দেশের মধ্যে জাপান অন্যতম। এমনকি ১৯৭১ সালে আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও জাপান প্রয়োজনীয় সমর্থন ও সহায়তা প্রদান করেছিল, যা আমরা কখনও ভুলিনি এবং কখনও ভুলব না।’
তিনি বলেন, সবচেয়ে অবিস্মরণীয় ছিল জাপানি স্কুল শিক্ষার্থীদের দাতব্য উদ্যোগ, যারা তাদের টিফিনের অর্থ সঞ্চয় করে ঘূর্ণিঝড় ও আমাদের দেশকে ধ্বংস করে দেওয়া যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তা করার জন্য দান করেছিল। তারপর থেকে জাপান আমাদের সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু হয়ে আছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু জাপান: প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাপান আমার হৃদয়ের খুব কাছের একটি দেশ, ঠিক যেমন এটি আমার পরিবার ও আমাদের জনগণের জন্য। আমার বোন শেখ রেহানা ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে আমাদের বাবা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আমাদের কনিষ্ঠ ভাই শেখ রাসেলের সঙ্গে জাপানে তাদের প্রথম সফরে গিয়েছিলেন। আমার বাবা জাপানের উন্নয়নে মুগ্ধ হয়েছিলেন এবং দেশটিকে একটি মডেল হিসেবে অনুসরণ করতে চেয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, জাপানি পতাকার নকশায় বঙ্গবন্ধুও অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন। উভয় পতাকাই আয়তক্ষেত্রাকার ও মাঝখানে লাল বৃত্ত, এর চারিদিকে বাংলাদেশের পতাকায় রয়েছে সবুজ ও জাপানের পতাকায় সাদা রঙ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাপান আমাদের বিশ্বস্ত উন্নয়ন অংশীদার। বাংলাদেশ এর উন্নয়নের জন্য অবিচল সমর্থন পেয়েছে এবং আমাদের স্বাধীনতার পর থেকে জাপানের কাছ থেকে সর্বাধিক সরকারি উন্নয়ন সহায়তা পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি ওডিএ ঋণ প্যাকেজে জাপান বাংলাদেশকে দুই দশমিক ৬৭ বিলিয়ন ডলার সফট লোন দিয়েছে, যা অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। আমাদের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২০২১-২০২২ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো চার বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
আরও পড়ুন: জাপানের ‘মিরাইকান’ জাদুঘর পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের সময়ের পরীক্ষিত বন্ধু জাপান: প্রধানমন্ত্রী
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে জাপান সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে এবং একে সুযোগের দেশে পরিণত করবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী যে জাপান অতীতের মতো আমাদের পাশে থাকবে। আমি এও আত্মবিশ্বাসী যে জাপানের জনগণ অতীতে আমাদের প্রয়োজনে তাদের সরকারের পাশাপাশি সবসময় আমাদের পাশে থাকবে।’
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মহান অবদানের জন্য টোকিওর আকাসাকা প্যালেস গেস্ট হাউসে চার জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বিগত পঞ্চাশ বছরের দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্ব এবং ঈর্ষণীয় অংশীদারিত্ব আগামী বছরগুলোতে নতুন প্রজন্ম এগিয়ে নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের বন্ধুদের কখনই ভুলি না।’
শেখ হাসিনা দেশের আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিতে জাপানের টেকসই অর্থনৈতিক সহযোগিতা ও সমর্থনের কথা স্বীকার করেন যা এলডিসি মর্যাদায় উন্নীত হয়ে একটি উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হতে সহায়তা করেছে।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সত্যিকারের সোনার বাংলা (সোনার বাংলা) স্বপ্নে এবং বাংলাদেশকে সুযোগের দেশে পরিণত করতে আমরা নিজেদেরকে উৎসর্গ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধে জাপানের জনগণ বাংলাদেশের দুঃখী মানবতার পাশে দাঁড়িয়েছিল।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ভালো ব্যবসার জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা হবে: জাপানি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন যে বাংলাদেশের ৮ জন সম্মানিত ব্যক্তির একটি পরিমিত তালিকা ছিল যাদেরকে ২০১২ সালের ২৭ মার্চ এবং ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর 'ফ্রেন্ড অব লিবারেশন ওয়ার অনার' দিয়ে সম্মানিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আজ সন্ধ্যায় আমরা টোকিওতে রয়েছি বাংলাদেশের আরও চারজন মহান বন্ধুকে সম্মান জানাতে, যারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন, নৈতিক ও বৈষয়িক সহায়তার আয়োজন করেছেন এবং সহায়তা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে জাপানের জনগণের সমর্থনের কথা স্মরণ করেন, যা পুনরায় নিশ্চিত করেছে যে কারণটি সঠিক ছিল এবং এটি নষ্ট করা যাবে না।
‘আপনারা আমাদের ন্যায়বিচার, সম্মান, মর্যাদা এবং মানবাধিকারের আকাঙ্ক্ষা শুনেছেন। আপনাদের কণ্ঠস্বর আমাদের কণ্ঠে শক্তি যোগ করেছে এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে বড় হয়েছে। আপনারা আমাদের উদ্দেশ্য নিয়ে সমাবেশ করেছেন এবং একসঙ্গে একটি নির্মম শক্তির বিরুদ্ধে একটি মানব দুর্গ গড়ে তুলেছেন। উদীয়মান সূর্যের দেশে, আমরা মর্যাদা ও মানবতার সঙ্গে একটি জাতির প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই।
তিনি উল্লেখ করেন যে জাপানের জনগণ নৃশংসতার প্রতিবাদে উঠে এসেছে এবং বাংলাদেশের অসহায় মানুষের জন্য মানবিক ত্রাণ, চিকিৎসা সুবিধা পাঠিয়েছে।
‘এটি ছিল দুঃখের সময় যা নিছক কথায় প্রকাশ করা যায় না। আমাদের দেশ দখলদার বাহিনীর হাতে ধ্বংস হয়ে গেছে।’
সেই সংকটময় মুহূর্তের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জাপানি বন্ধুরা আমাদের দুর্দশা বুঝতে পেরে মানবতার স্বার্থে এগিয়ে গেছে। তারা বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল, কিন্তু পিছিয়ে যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘তাদের নিঃস্বার্থ আচরণ হুমকির মুখে আমাদের আত্মাকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। সবচেয়ে অবিস্মরণীয় ছিল জাপানি স্কুলের শিশুদের দাতব্য কার্যক্রম যারা
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ ব্যাপক সাফল্য বয়ে আনবে: জাপানি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
আমাদের লোকেদের সাহায্য করার জন্য তাদের টিফিনের অর্থ সঞ্চয় এবং দান করেছিল।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক পারস্পরিক আস্থা, শ্রদ্ধা, বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার ওপর প্রতিষ্ঠিত।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৩ সালের অক্টোবরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক জাপান সফর একটি অটল ও দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।
‘আমি আমার বাবার উত্তরাধিকারী হিসাবে আমাদের সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করতে ১৯৯৭, ২০১০, ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৯ সালে জাপান সফর করা আমার জন্য সম্মানের। আমি আজ খুশি যে আমার মেয়াদে, আমাদের সময়-পরীক্ষিত বন্ধুত্ব একটি ‘ব্যাপক অংশীদারিত্ব’ থেকে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’-এ গভীরতা এবং মাত্রায় বিকশিত হয়েছে।
তিনি বলেন, সমতা, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক চর্চা, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন, সামাজিক ন্যায়বিচার ও আইনের শাসনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও জাপান একই মহৎ ধারণা ও নীতির।
উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা।
আরও পড়ুন: জাপানের ‘মিরাইকান’ জাদুঘর পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
জাপানের ‘মিরাইকান’ জাদুঘর পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার জাপানের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অব ইমার্জিং সায়েন্স অ্যান্ড ইনোভেশন পরিদর্শন করেছেন।
যা ‘মিরাইকান’ নামে পরিচিত এবং টোকিওর কত-কুতে অবস্থিত।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে মিরাইকানের বিভিন্ন বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘মিরাইকান’-এ পৌঁছালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
নজরুল বলেন, পরিবেশবান্ধব বায়ুমণ্ডলে মানবজাতি কীভাবে টেকসই উপায়ে টিকে থাকতে পারে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়।
কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমন, প্লাস্টিক এবং অন্যান্য মানব ক্রিয়া কীভাবে মানবজাতি ও গ্রহের অন্যান্য প্রাণীদের জীবনকে বিপন্ন করে এবং কীভাবে এটি থেকে বাঁচতে হয় সে সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জানানো হয়।
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী স্পেসশিপের একটি প্রদর্শনীও উপভোগ করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা সফরকালে তার বড় বোন শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন।
এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, জাপানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শাহাবুদ্দিন আহমেদ এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মো. কামরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
মিরাইকানের দর্শনার্থীরা প্রতিদিনের সহজ প্রশ্ন থেকে সাম্প্রতিক প্রযুক্তি, বৈশ্বিক পরিবেশ, মহাকাশ অনুসন্ধান এবং জীবন বিজ্ঞান পর্যন্ত আজকের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি উপভোগ করতে পারেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিনিয়োগ ব্যাপক সাফল্য বয়ে আনবে: জাপানি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশে ভালো ব্যবসার জন্য ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নিশ্চিত করা হবে: জাপানি ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী