কয়েদি
চট্টগ্রাম কারাগারে কয়েদির আত্মহত্যা, ৩ কারারক্ষী বরখাস্ত
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ইব্রাহিম নেওয়াজ (৩০) নামে এক কয়েদির আত্মহত্যার ঘটনায় ৩ কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়া অপর ৩ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
সাময়িক বরখাস্ত কারারক্ষীরা হলেন- এরশাদ উল্লাহ, হাবিবুর রহমান ও আল আমিন। এছাড়া প্রধান কারারক্ষী মো. জসিম, সহকারী প্রধান কারারক্ষী আবদুল লতিফ এবং কারারক্ষী মাসুদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করে কারাকর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
এর আগে সোমবার রাতে ইব্রাহিম নেওয়াজ নামে ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এই কয়েদি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে গলায় ফাঁস দেয়। উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত ইব্রাহিম নেওয়াজ রাঙামাটি সদর উপজেলার আলম ডক এলাকার আলী নেওয়াজের ছেলে। চট্টগ্রামের রাউজান থানার এক অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হয়ে গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে কারাবন্দি ছিলেন তিনি।
কারা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় কারাগারের ভেতরে বন্দি গণনার সময় একজন কম পাওয়া যায়। তাকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর খাদ্য গুদামের সামনে চৌবাচ্চার টিনশেডের রডের সঙ্গে প্লাস্টিকের বস্তা ও কম্বলের বর্ডারের অংশ দিয়ে ঝুলে থাকতে দেখা যায়। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
নিহত ইব্রাহিম নেওয়াজের মামাতো ভাই নাইমুর রহমান তুর্য বলেন, ‘আমার ভাইকে অস্ত্র মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এর মধ্যে জেল সুপার হঠাৎ ফোন করে জানান আমার ভাই মারা গেছেন। এরপর সকালে আমরা কারাগারে যাই। আমরা এর সঠিক তদন্ত চাই।’
চট্টগ্রাম কারা বিভাগের উপমহাপুলিশ পরিদর্শক (ডিআইজি) টিপু সুলতান বলেন, ‘কারাগারের ভেতরে এক কয়েদি আত্মহত্যা করেছে। ওই বন্দির আত্মহত্যার চেষ্টা ও পরে মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের জন্য ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে কারো বিরুদ্ধে অবহেলার প্রমাণ পাওয়া গেলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কারা হাসপাতালের সহকারী সার্জন ডা. রেজা মো. সরোয়ার আকবর বলেন, ‘বন্দির গলায় ফাঁসের দাগ রয়েছে। আমাদের কাছে আনার সঙ্গে সঙ্গে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’
আরও পড়ুন: যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
ঝিনাইদহে কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
ঝিনাইদহ জেলা কারাগারে নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় মিলন লস্কর নামে দণ্ডপ্রাপ্ত এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে তিনি মারা যান।
মিলন লস্কর ঝিনাইদহ জেলা শহরের পরবহাটি গ্রামের আতিয়ার লস্করের ছেলে। কারাগারেরর চিত্রা ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েদি ছিলেন মিলন।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পিকনিক বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
খবরটি নিশ্চিত করেছেন জেলার মহিউদ্দিন হায়দার।
তিনি জানান, ফজরের নামাজ আদায় শেষে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটের সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গত ২ জানুয়ারি মিলনকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে সিলিন্ডার বিস্ফোরণ: চমেকে আরও এক রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে মা ও ২ ছেলেকে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক বন্দির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার থানার লক্ষ্মীবরদী এলাকার মৃত ফাজিল উদ্দিনের ছেলে জহিরুল হক ভূঁইয়া (৭০)।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু
গত রাতে কারাগারের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়ে জহিরুল হক ভূঁইয়া। এসময় তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সকাল ৬ টার দিকে চিকিৎসাধীন জহিরুল হক ভূঁইয়া মারা যান।
গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, রাতে বুকে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে আনা হয়েছিল জহিরুল হক ভুঁইয়াকে। হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল, শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
আড়াইহাজার থানার একটি মামলায় তিনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ছিলেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে জাহাঙ্গীর কবির (৫২) নামে এক বন্দির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকালে কারাগার থেকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত জাহাঙ্গীর কবির শহরের কারবালা এলাকার মৃত আমজাদ ওরফে আসাদের ছেলে এবং শহরের এইচএমএম রোডের জনতা সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী ছিলেন। চেক জালিয়াতি মামলায় তিনি কারাগারে ছিলেন।
আরও পড়ুন: যশোরে যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
মৃতের ছেলে সামিউল কবির আলভী জানান, চলতি বছরের ১৯ জুলাই চেক জালিয়াতি মামলায় তার বাবার এক বছরের সাজা হয়। ওই মাসেই তিনি আত্মসমর্পণ করেন। ১২ অক্টোবর কারা কর্তৃপক্ষ ফোন করে জানায় যে তার বাবা অসুস্থ, তার ডায়রিয়া হয়েছে। তখন থেকে কারা হাসপাতালে ছিলেন। কয়েকদিন পরপর ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তিনি।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাসিব মোহাম্মদ আলী হাসান জানান, বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মৃত অবস্থায় জাহাঙ্গীর কবির নামে এক ব্যক্তিকে নিয়ে আসে কারা কর্তৃপক্ষ। ময়নাতদন্ত শেষ হলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার জানান, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। কী কারণে তার মৃত্যু হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে তা সঠিকভাবে জানা যাবে।
আরও পড়ুন: যশোরে ট্রাকচাপায় এনজিও কর্মকর্তা নিহত
যশোর সফরে সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন
যশোর কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে একজন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির (৩৮৯১/ এ) মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৩০ জুলাই) রাতে তার মৃত্যু হয়।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি তোরাব আলী শেখ (৫৬) মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার খড়িবাড়িয়া গ্রামের ইব্রাহিম শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: নাটোরে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুরাইয়া আক্তার জানান, মাগুরা জেলা দায়রা জজ আদালতে একটি হত্যা মামলায় তোরাবকে ২০০৫ সালের ৩০ জানুয়ারি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।
তিনি জানান, এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন কারাগারে ছিলেন তোরাব। ২০২০ সালে ১৬ নভেম্বর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। রবিবার রাত ১টা ২৫ মিনিটে হঠাৎ তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে তাকে ওই রাতেই যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
তিনি আরও জানান, হাসপাতালে যাওয়ার পরে তার মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আসিফ মোহাম্মদ আল হাসান বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে ২ কয়েদির মৃত্যু
সিরাজগঞ্জ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
কাশিমপুর কারাগারে ২ কয়েদির মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এ যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। সোমবার সকালে তাদের মৃত্যু হয়।
মৃত ব্যক্তিরা হলেন- গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার তাইজুদ্দিন (৭৬) এবং কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার মধ্য গোবিন্দপুর গ্রামের নূর ইসলাম ওরফে শেখ চান (৬৯)।
কারাগার-১ এর সিনিয়র জেল সুপার আমিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার সকালে কারাগারের ভেতরেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক কারা হাসপাতালে তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দুই জনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি বলেনব, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। তারা দু’জনেই হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ছিলেন।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে বন্দির মৃত্যু
কাশিমপুর কারাগারে একদিনে দুই বন্দির মৃত্যু
কাশিমপুর কারাগারে ফাঁসির আসামির ‘আত্মহত্যা’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কারাগারে সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকালে তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন জেলার মো. দিদারুল আলম।
মৃত কয়েদির নাম নুরুল ইসলাম (৩৮)। তিনি জেলার আখাউড়া উপজেলার আব্দুল্লাহপুর গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে।
জেলার জানান, ধারণা করা হচ্ছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
জেলার জানান, মাদক মামলায় দেড় বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত ছিলেন নুরুল। গত ১১মে তাকে কারাগারে আনা হয়। শুক্রবার সকালে হঠাৎ অসুস্থবোধ করার কথা অন্য কয়েদিদের জানান নুরুল। কারারক্ষীদের বিষয়টি জানানোর পর তাকে কারাগারের হাসপাতালে নেয়া হয়। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকলে তাকে জেলা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেলে কয়েদির মৃত্যু
নাটোরে সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
নাটোরে মাদক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
মৃত ওসমান শেখ (৩৩) শহরতলীর দিঘাপতিয়া এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
জেল সুপার আব্দুর রহিম জানান, ওসমান শেখকে গাঁজা সেবনের অপরাধে তিনদিন আগে গত সোমবার ২৯ দিনের সাজা দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে তিনি অসুস্থ বোধ করেন। সন্ধ্যায় ওসমান শেখকে কারা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে তাকে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আইনগত সকল প্রক্রিয়া শেষে ওসামানের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানায় কারা কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেলে কয়েদির মৃত্যু
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়াজ মোর্শেদ (৩২) নামে এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তিনি মারা যান।
নিয়াজ মোর্শেদ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কয়েদি ছিলেন। তার বাবার নাম মজিবুর রহমান।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো.বাচ্চু মিয়া জানান,অসুস্থ বোধ করায় ওই কয়েদিকে হাসপাতালে নেয়া হয়। রাত ১১টার দিকে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও জানান,লাশের ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জ কারাগারে কয়েদির মৃত্যু
প্রতিষ্ঠার ৪০ বছরেও দেখা মেলেনি কয়েদির, খোকসার উপকারাগারে হাঁস-মুরগির খামার
কাশিমপুর কারাগারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
সম্রাট কেন জেলে? পাঁচ তারা জেল চাই!
মিডিয়া বলছে সম্রাট পিজিতে ছিল ২৪৪ দিন। পিজি কর্তৃপক্ষ বলছে ১৫ দিন। মিডিয়ার সূত্র জেল কর্তৃপক্ষ। পাবলিক মনে করছে এটা অংকের সমস্যা, সিস্টেমের নয়। ক্যাসিনো ঝামেলায় ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট।
ব্যাপার কি?
এই প্রসঙ্গে ‘আমাদের পত্রিকা’ বিভিন্ন মানুষের সাথে কথা বলে মতামত নেয়।
সকল বিষয় সজ্ঞ বিশ্ষেজ্ঞকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘এতো চিন্তিত হবার কিছু নেই। তিনি খুবই নিরীহ প্রকৃতির ভালো মানুষ এবং দেশে অনেক বড় বড় রাজনৈতিক কাজ করেছেন। তিনি আসলে একটু রেস্টে ছিলেন, সম্ভবত বাসাতেই ছিলেন। আমার সাথে ফোনে কথা হয় তবে ঠিকানা দেননি কারণ আমি ধরে নিয়েছি তিনি জেলেই আছেন বা পিজিতে বা বাসা। তবে মিডিয়ার সব দোষ। ধন্যবাদ।’
বিদেশে থাকা এক পন্ডিত যিনি দেশের বিষয় গবেষণা করেছেন তিনি বলেন, ‘এই বিষয়টার উত্তর জানা যাবে এডওয়ার্ড সাঈদের লেখায়, দেরিদার ভাবনায়। আমাদের বুঝতে হবে যে পশ্চিমা উদার পুঁজিবাদী সমাজের আদলে জেল ব্যবস্থা চলবে না। নতুন করে ফাঁনো ও ফুকোর আদলে জেল ব্যবস্থা দরকার।’
জনৈক রাজনীতিবিদকে জিজ্ঞাসা করা হলে জানান, তিনি কোনোদিনই তাকে ‘সম্রাট’ ডাকবেন না। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি সবার জন্য। আমরা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই। সম্রাট এই দেশের রাজতন্ত্রপন্থী নাম। এই ধরণের নাম যেমন, সম্রাট, রাজা, বাদশা ইত্যাদি সাংবিধানিকভাবে নিষিদ্ধ করতে হবে।’
নারীবাদী কর্মী সুলতানাকে জিজ্ঞাসা করা হয়। তিনি এটাকে পুরুষতন্ত্রের একটি প্রকাশ বলে জানান। তার কথা হচ্ছে, ‘আমরা দেখলাম সকল আসামি পুরুষ এবং তাদের সবার বিভিন্ন হেলথ প্রব্লেম হচ্ছে। তারা পিজিতে যাচ্ছে এবং থাকছে অথচ আমরা কেউ শুনছি না নারী জেলবাসীদের কি হচ্ছে। তাদের অনেকেরই হৃৎপিণ্ড পুরুষতন্ত্রের নির্যাতনে ক্ষতিগ্রস্ত কিন্তু কই তারা তো পিজিতে নেই? আমরা সরকারের কাছে দাবি করছি এর সমাধানের জন্য এবং যদি না হয় আমরা দেশের বিভিন্ন জেলের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি নেব।
কয়েদির কথা
করম আলী মিয়া একজন পেশাদার বাটপার। তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে ঢাকা জেলে ছিলেন কয়েদি হিসেবে। তার বক্তব্য হচ্ছে, জেল বলে কিছু নাই, সবই মায়া। এটি একটি জানালার মতো। কখনো খোলা কখনো বন্ধ। প্রয়োজনে জেলের দরজা খুলবে, কিন্তু খরচ করতে হবে। ‘কোথাও কি লেখা আছে যে সব সময় জেলে থাকতে হবে? আমি জেলে যেতাম মাসে একবার, কয়েকদিন থেকে আমার বাড়িতে আসতাম। ব্যবসা বাণিজ্য ভালোই চলতো, একাধিক বিয়ে করেছি, বহু সন্তান আমার, এটা কি করে সম্ভব হলো। আসলে জেল একটি মনের ব্যাপার, ভাবলে আছে, ভাবলে নেই।’
সবার সাথে আলাপ করে বোঝা গেলো এই জেল ব্যবস্থা ব্রিটিশদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত কিন্তু সেই কাল আর নেই। তাই জেল ব্যবস্থার সংস্কার চাই। আমাদের সাপ্তাহিক ও মাসিক জেলের সিস্টেম বানাতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ লোকদের দীর্ঘ দিন ভেতরে রাখা ঠিক হবে না। এতে দেশের ক্ষতি। তাছাড়া জেলে এসি, ফ্রিজ কিছুই নেই, এইভাবে জেল চলতে পারে না। পিজি আর কত লোড নেবে। আমরা আশা করবো যাতে সরকার পাঁচ তারা জেলের ব্যবস্থা করেন যাতে সবাই জেলে যেতে আগ্রহী হয়!
(লেখাটা কাল্পনিক)
লেখক: এডিটর এট লার্জ, ইউএনবি