বাজেট
জাতীয় বাজেট উত্থাপন শুরু করেছেন অর্থমন্ত্রী
কোভিড-১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা থেকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের দিকে বিশেষ মনোযোগ দিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট উত্থাপন শুরু করেছেন।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী প্রায় ছয় লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন শুরু করেন।
চতুর্থবারের মতো জাতীয় বাজেট পেশ করছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল।
এটি দেশের ৫১তম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম বাজেট।
ইউএনবি জানতে পেরেছে, এবারের বাজেটে কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং ক্ষুদ্র খাতের উন্নয়নে কর ছাড়ের বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তাজউদ্দীন আহমদ স্বাধীনতা-উত্তর বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রথম অর্থমন্ত্রী হিসেবে প্রথম বাজেট পেশ করেন ১৯৭২ সালে।
আসন্ন বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে।
বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়।
জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন
আজ বাজেট উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী
মন্ত্রিসভায় ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট অনুমোদন
মন্ত্রিসভার এক বিশেষ বৈঠকে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট অনুমোদন করেছে।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামালসহ মন্ত্রিসভার অন্যান্য মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতির বাজেটের প্রমাণীকরণের পর অর্থমন্ত্রী আজ বিকালে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট উত্থাপন করবেন।
আ হ ম মুস্তাফা কামাল বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদে প্রায় ছয় লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উত্থাপন করবেন।
এটি দেশের ৫১তম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ২৩তম বাজেট।
আরও পড়ুন: আজ বাজেট উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী
বাজেট সাপোর্টে ১৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহের চেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী
আজ বাজেট উত্থাপন করবেন অর্থমন্ত্রী
বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ দশমিক ৮০ ট্রিলিয়নের (৬ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা) জাতীয় বাজেট উত্থাপন করবেন।
বাজেটের আকার হবে দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ১৫ শতাংশ।
এটি দেশের ৫১তম এবং আওয়ামী লীগ সরকারের পাঁচ মেয়াদে ২৩তম বাজেট।
ইউএনবির সূত্র মতে, বাজেটে কৃষি, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং ক্ষুদ্র খাতের উন্নয়নে কর ছাড়ের বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিশেষজ্ঞরা খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পদক্ষেপের পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও দেশের বৈদেশিক মুদ্রার হার স্থিতিশীল করার ব্যবস্থা রাখার ওপর জোর দিয়েছেন।
আসন্ন বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হবে।
আরও পড়ুন: বাজেট সাপোর্টে ১৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহের চেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী
আবারও বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ
৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনীতির উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি
কথিত দুর্নীতি, দুর্বল প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আঘাত সত্ত্বেও গত ৫০ বছরে বাংলাদেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বিস্ময়কর।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময় তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে বিবেচিত বাংলাদেশ খাদ্যশস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার জন্য কঠোর বাধা অতিক্রম করেছে এবং নির্মাণ খাতেও বেশ অগ্রগতি করেছে।
১৯৭২ সাল থেকে জাতীয় বাজেটের একটি কালানুক্রম ধারায় এই উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সবচেয়ে ভালোভাবে প্রতিফলিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাজেট সাপোর্টে ১৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহের চেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী
১৯৭২ সালে বাংলাদেশের বাজেট ছিল ৭৮৬ কোটি টাকা। তখন মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ছিল ছয় দশমিক ২৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। জিডিপি অনুসারে ১৯৭২ সালে মাথাপিছু আয় ছিল ৯৪ দশমিক চার মার্কিন ডলার বা ৫৬৬ টাকা এবং জনসংখ্যা ছিল প্রায় সাত কোটি।
২০২১-২২ অর্থবছরে দেশের বাজেটের আকার বেড়ে হয়েছে ছয় লাখ তিন হাজার ৬৮১ কোটি টাকা (৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। আনুমানিক জিডিপি ছিল ৪৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং ২০২১ সালে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬ কোটিরও বেশি।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এক প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২১-২২ সালে অস্থায়ী হিসাব অনুযায়ী মাথাপিছু আয় ছিল দুই হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলার; যা আগের বছরের চেয়ে দুই হাজার ৫৯১ ডলার বেশি।
এছাড়া অর্থবছরে ‘নামমাত্র পদে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি দাঁড়িয়েছে ৪৬৫ বিলিয়ন ডলারে।
বন্যা, ঘূর্ণিঝড় ও খরার মতো নানা প্রকিৃতিক দুর্যোগের সঙ্গে লড়াই করে বাংলাদেশ খাদ্য উৎপাদন, নির্মাণ ও জনশক্তি রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: বাজেট শুধু বাৎসরিক দলিল নয়, আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
বর্তমানে বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশ হিসেবে স্বীকৃত। বর্মতানে এদেশ বিশ্বের ৪১তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ এবং ক্রয় সক্ষমতার বিচারে এ দেশের অবস্থান ৩০তম।
এক নজরে বাংলাদেশের বাজেট:
অর্থবছর – বাজেট উত্থাপক - বার্ষিক ব্যয়-
১৯৭২-৭৩, তাজউদ্দীন আহমদ, ৭৮৬ কোটি টাকা
১৯৭৩-৭৪, তাজউদ্দীন আহমদ, ৯৯৫ কোটি টাকা
১৯৭৪-৭৫, তাজউদ্দীন আহমদ, ১ হাজার ৮৪ দশমকি ৩৭ কোটি টাকা
১৯৭৫-৭৬, আজিজুর রহমান, ১ হাজার ৫৪৯ দশমিক ১৯ কোটি টাকা
১৯৭৬-৭৭, মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান, ১ হাজার ৯৮৯ দশমকি ৮৭ কোটি টাকা
১৯৭৭-৭৮, লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান, ২ হাজার ১৮৪ কোটি টাকা
১৯৭৮-৭৯, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, ২ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা
১৯৭৯-৮০, এমএন হুদা, ৩ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা
১৯৮০-৮১, এম সাইফুর রহমান, ৪ হাজার ১০৮ কোটি টাকা
১৯৮১-৮২, এম সাইফুর রহমান, ৪ হাজার ৬৭৭ কোটি টাকা
১৯৮২-৮৩, এএমএ মুহিত, ৪ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা
১৯৮৩-৮৪, এএমএ মুহিত, ৫ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা
১৯৮৪-৮৫, এম সাইদুজ্জামান, ৬ হাজার ৬৯৯ কোটি টাকা
১৯৮৫-৮৬, এম সায়েদুজ্জামান, ৭ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা
১৯৮৬-৮৭, এম সাইদুজ্জামান, ৮ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা
১৯৮৭-৮৮, এম সাইদুজ্জামান, ৮ হাজার ৫২৭ কোটি টাকা
১৯৮৮-৮৯, মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম, ১০ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা
১৯৮৯-৯০, ওয়াহিদুল হক, ১২ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা
১৯৯০-৯১, মেজর জেনারেল (অব.) মুনিম, ১২ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা
১৯৯১-৯২, এম সাইফুর রহমান, ১৫ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা
১৯৯২-৯৩, এম সাইফুর রহমান, ১৭ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা
১৯৯৩-৯৪, এম সাইফুর রহমান, ১৯ হাজার ৫০ কোটি টাকা
১৯৯৪-৯৫, এম সাইফুর রহমান, ২০ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা
১৯৯৫-৯৬, এম সাইফুর রহমান, ২৩ হাজার ১৭০ কোটি টাকা
১৯৯৬-৯৭, শাহ এএমএস কিবরিয়া, ২৪ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা
১৯৯৭-৯৮, শাহ এএমএস কিবরিয়া, ২৭ হাজার ৭৮৬ কোটি টাকা
১৯৯৮-৯৯, শাহ এএমএস কিবরিয়া, ২৯ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা
১৯৯৯-২০০০, শাহ এএমএস কিবরিয়া, ৩৪ হাজার ২৫২ কোটি টাকা
২০০০-০১, শাহ এএমএস কিবরিয়া, ৩৮ হাজার ৫২৪ কোটি টাকা
২০০১-০২, শাহ এএমএস কিবরিয়া, ৪২ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা
২০০২-০৩, এম সাইফুর রহমান, ৪৪ হাজার ৮৫৪ কোটি টাকা
২০০৩-০৪, এম সাইফুর রহমান, ৫১ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা
২০০৪-০৫, এম সাইফুর রহমান, ৫৭ হাজার ২৪৮ কোটি টাকা
২০০৫-০৬, এম সাইফুর রহমান, ৬১ হাজার ৫৮ কোটি টাকা
২০০৬-০৭, এম সাইফুর রহমান, ৬৯ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা
২০০৭-০৮, এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম, ৮৭ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা
২০০৮-০৯, এবি মির্জা আজিজুল ইসলাম, ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকা
২০০৯-১০, এএমএ মুহিত, ১ লাখ ১৩ হাজার ৮১৫ কোটি টাকা
২০১০-১১, এএমএ মুহিত, ১ লাখ ৩২ হাজার ১৭০ কোটি টাকা
২০১১-১২, এএমএ মুহিত, ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা
২০১২-১৩, এএমএ মুহিত, ১ লাখ ৯১ হাজার ৭৩৮ কোটি টাকা
২০১৩-১৪, এএমএ মুহিত, ২ লাখ ২২ হাজার ৪৯১ কোটি টাকা
২০১৪-১৫, এএমএ মুহিত, ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা
২০১৫-১৬, এএমএ মুহিত, ২ লাখ ৯৫ হাজার ১০০ কোটি টাকা
২০১৬-১৭, এএমএ মুহিত, ৩ লাখ ৪০ হাজার ৬০৫ কোটি টাকা
২০১৭-১৮, এএমএ মুহিত, ৪ লাখ ২৬৬ কোটি টাকা
২০১৮-১৯, এএমএ মুহিত, ৪ লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকা
২০১৯-২০, আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা
২০২০-২১, আ হ ম মুস্তফা কামাল, ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা
বাজেট সাপোর্টে ১৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহের চেষ্টা চলছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট ভবিষ্যতের জরুরি পরিস্থিতি এবং অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাজেট সাপোর্ট হিসেবে অতিরিক্ত এক হাজার মিলিয়ন মার্কিন ডলার সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য এম মোজাফফর হোসেনের (জামালপুর-৫) এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাপী দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে সকলকে মিতব্যয়ী হওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
সংসদে বাজেট অধিবেশন শুরু
রবিবার জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন শুরু হয়েছে।
একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট বিতর্ক এবং অনুমোদিত হবে।
বিকাল ৫টায় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
আগামী ৯ জুন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বাজেট প্রস্তাব পেশ করার কথা রয়েছে।
এর আগে গত ১৮ মে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২(১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতা অনুযায়ী জাতয়ি সংসদ অধিবেশন আহ্বান করেন।
গত ৬ এপ্রিল একাদশ জাতীয় সংসদের সপ্তদশতম অধিবেশন আটটি বৈঠকের পর স্থগিত করা হয়।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশন ৫ জুন শুরু
২০২২-২৩ অর্থবছরে ৩৪১ কোটি টাকা পেল সংসদ
বাজেট শুধু বাৎসরিক দলিল নয়, আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতীক: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাজেট সরকারের শুধু বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের দলিল নয়। বাজেট ঘোষণার মাধ্যমে দেশের মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটে থাকে।
রবিবার (৫ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বণিক বার্তা ও গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত 'জন-বাজেট সংসদ ২০২২' এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করেই বাজেট ঘোষণা করে থাকে। কারণ এর মাধ্যমে মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণ হয়। দেশের কোন মানুষকে বাদ দিয়ে উন্নত দেশে গড়া সম্ভব না। দেশের প্রবৃদ্ধি বৃদ্ধি পায় সকল মানুষের অংশগ্রহণের ফলে।
এবারের বাজেটেও জাতির আশা-আঙ্খার প্রতিফলিত ঘটবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, দেশ অর্থনীতির সকল সূচকে অনেক এগিয়েছে। এটি সবাইকে মানতে হবে। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে অনেক চ্যালেঞ্জ আছে। সেগুলোকে চিহ্নিত করে সমাধান করতে হবে। আর এটি একদিনে হবে না। স্বাধীনতার পর মাথাপিছু আয় ছিল ১২৫ ডলার। এখন এটি বহুগুণ ছাড়িয়ে গেছে। আগে খাদ্যের চরম অভাব ছিল। এখন সেটি নেই। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগসহ সকলে খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, দেশে একসময় ভয়াবহ দরিদ্রতা ছিল। আমি নিজে দরিদ্রতা দেখেছি। না খেয়ে থাকা মানুষের আহাজারি শুনেছি। মানুষ দরজায় এসে বলতো ' মাগো সারাদিন কিছু খাই না, দয়া করে ক'টা খাবার দেন'। কিন্তু এখন মানুষ না খেয়ে মরছে না। মানুষ এখন খেতে পারছে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রকোপ কেটে উঠতে না উঠতেই ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে পুরো বিশ্বে টালমাটাল শুরু হয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের পাশাপাশি অনেক জিনিস-পত্রের দাম বেড়েছে। আমরা পণ্যের মূল্য নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করছি। সরকার নানাভাবে এই সমস্যা সমাধানে কাজ করছে।
মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। বঙ্গবন্ধুও তাঁর সময়ে কৃষিকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখনো শেখ হাসিনা কৃষিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে। এখনও অন্যান্য খাতের মত তিনি কৃষিকেও গুরুত্ব দিচ্ছেন।
কৃষিকে একক গুরুত্ব দিয়ে মানুষে চাহিদা মেটানো সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার কৃষির পাশাপাশি শিল্পায়নকেও গুরুত্ব দিচ্ছে। গার্মেন্টস শিল্পে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এটা আমাদের জন্য গর্বের। এর অবদান একা কারো নয়। একজন সাধারণ পোষাক শ্রমিকও এর কৃতিত্ব পাবে।
মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ করার জন্য পথ নকশা তৈরি করেছে। এই লক্ষমাত্রা অর্জনে পঞ্চম বার্ষিকীসহ বিভিন্ন প্রোগ্রাম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। দেশে যে অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞ চলছে তা বাস্তবায়িত হলে প্রচুর কর্মসংস্থান তৈরি হবে। দেশ পৌঁছে যাবে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান ড. এম এম আকাশ, রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আব্দুল মজিদ, দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ।
আরও পড়ুন: পানির অপচয় রোধে রিসাইক্লিং করার উদ্যোগ নিতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
রাজধানীর প্রত্যেক বাসা-বাড়িতে সেপটিক ট্যাংক থাকতে হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করছে: আসন্ন বাজেট প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়ণে তিনি অর্থনীতিতে বহির্বিশ্বের সৃষ্ট সংকটের চাপের সম্মুখীন হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র যুদ্ধের (রাশিয়া-ইউক্রেন) কারণে অনিশ্চয়তা এবং বাহ্যিক দুর্বলতার কারণে এই চাপ সৃষ্টি হচ্ছে।’
বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির (সিসিজিপি) ফলাফল সম্পর্কে ব্রিফ করার সময় তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট আগামী ৯ জুন সংসদে পেশ হওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি বলেন, যখন দেশের অর্থনীতি কোভিড-১৯ মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করছিল, ঠিক তখনই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়। যার ফলে বিশ্বব্যাপী এক বিশাল নাজুকতা ও অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বের প্রতিটি দেশকে এই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে এবং (এটা করতে গিয়ে) তারা (সব দেশ) চাপের মধ্যে রয়েছে।’
আরও পড়ুন: পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে সাধারণ ক্ষমার কথা ভাবছে সরকার: অর্থমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, তবে এই অনিশ্চয়তা ও দুর্বলতাগুলোও সুযোগ তৈরি করবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ চাই না। আমরা চাই অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ হোক।’
কামাল বলেন, বাজেটে তার মূল লক্ষ্য হবে অর্থনীতিকে অনিশ্চয়তা ও দুর্বলতা থেকে পুনরুদ্ধার করা।
তিনি বলেন, ‘আমরা অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনার চেষ্টা করব।’
দেশের আর্থিক খাত দুর্বল নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে বলে সিপিডির পর্যবেক্ষণের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ বিশ্বের সেরা দেশ।
তিনি বলেন, ‘আমরা যেভাবে একটি সংকটময় পরিস্থিতিতে অর্থনীতি পরিচালনা করেছি, আমরা যে প্রশাসনিক দক্ষতা দেখিয়েছি, তা বিশ্বে অন্যান্য দেশের তুলনায় অনন্য।’
তবে তিনি জাতীয় বাজেটের মূল বিষয়গুলো প্রকাশ করতে রাজি হননি মন্ত্রী।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু অপেক্ষা করুন... দেখবেন সময়মতো সংসদে বাজেট পেশ হবে।’
আসন্ন বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি জোরদার করার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে বলে তিনি ইঙ্গিত দেন।
আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কঠিন সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত অর্থমন্ত্রীর
ভর্তুকি বা মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি সরকার: অর্থমন্ত্রী
আবারও বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ
বিদেশে পাচারকৃত অর্থ ও সম্পদ কোনো সরকারি সংস্থার জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই যথাক্রমে ১০ বা ১৫ শতাংশ কর প্রদান করে বৈধ করা যাবে।
বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান বাড়াতে দেশে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার লক্ষ্যে সরকার এ ধরনের বিশেষ সুযোগ চালু করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
অর্থনীতিবিদরা এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করে বলছেন, এটি সৎ বিনিয়োগকারীদের নিরুৎসাহিত করবে, যারা কিনা রাষ্ট্রকে কর প্রদান করে।
অর্থ বিভাগের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মঙ্গলবার ইউএনবিকে বলেছেন, ‘দেশে যে পরিমাণ অর্থ আনা হবে তা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স (বিএফআইইউ) দ্বারা আয়ের উৎস সম্পর্কে কোনও প্রশ্ন ছাড়াই মাত্র ১০ শতাংশ আয়কর দিয়ে বৈধ করা যাবে।
আরও পড়ুন: ২০ দশমিক ৫০ ট্রিলিয়ন টাকার বিকল্প বাজেট প্রস্তাব বিইএ’র
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই কর্মকর্তা অর্থমন্ত্রী মোস্তফা কামাল গত সপ্তাহে সাংবাদিকদের যা বলেছিলেন তা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে অর্থমন্ত্রী বাজেট কর্মকর্তাদের আগামী ২০২১-২২ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে এ ধরনের সুযোগ অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
৯ জুন বাজেট প্রস্তাব সংসদে পেশ করা হবে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ইউএনবিকে বলেন, এই উদ্যোগ সম্পূর্ণ অনৈতিক, বেআইনি এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আওয়ামী লীগের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন দর্শনের পরিপন্থী।
তিনি বলেন, জাতীয় বাজেটে এ ধরনের বিধান আনার আগে সরকারের উচিত দুদক, এনবিআর ও বিএফআইইউসহ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো বন্ধ করে দেয়া।
দেবপ্রিয় এটিকে ‘বাজেট ক্যাপচার’ হিসাবে অভিহিত করে বলেন, যেসব প্রভাবশালী অবৈধভাবে দেশে অর্থ সংগ্রহ করছে এবং অবৈধভাবে তা দেশের বাইরে পাচার করেছে তাদের এখন নামমাত্র ট্যাক্স দিয়ে সেই অবৈধ অর্জিত সম্পদকে বৈধ করার অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
সিদ্ধান্তটি দেশের হাজার হাজার সৎ করদাতা এবং পরিশ্রমী উদ্যোক্তাদের সঙ্গে বিকৃত তামাশা বলে মন্তব্য করেছেন এই বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ।
তিনি বলেন, এই ধরনের অসৎ সিদ্ধান্ত ট্যাক্স সংহতি বা উৎপাদনশীল বিনিয়োগ তৈরিতে অবদান রাখবে না।
আরও পড়ুন: বাজেট ২০২২-২৩: অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা ও পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ প্রধান চ্যালেঞ্জ হতে পারে
সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান ডক্টর মুহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, যারা বৈধ আয়ের প্রায় ৩০ শতাংশ কর দিচ্ছেন এই উদ্যোগ তাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়।
তিনি বলেন, সৎ করদাতাদের নৈতিক বিষয়টি বিবেচনা করে অবৈধ আয়ের ওপর করের হার দেশে নিয়মিত করের হারের নিচে নেয়া উচিত নয়।
সিদ্ধান্তটি অনুসারে চোরাচালান বা পাচারকৃত কালো টাকা নির্ধারিত হারে কর প্রদানের মাধ্যমে বৈধ করা যেতে পারে।
সূত্র জানিয়েছে, কারো কাছে নগদ টাকা ছাড়াও বিদেশে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি থাকলে তিনি তার আয়কর রিটার্নে সেই সম্পত্তি দেখাতে পারেন। এর জন্য ১৫ শতাংশ কর দেয়া হলে কোনও আইনি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হবে না।
আরও পড়ুন: জাতীয় বাজেট উপস্থাপন ৯ জুন: মুস্তফা কামাল
চলতি বছরের জুলাই থেকে ৩০ জুন, ২০২৩ পর্যন্ত এই সুযোগ দেয়া হবে।
বর্তমানে নগদ অর্থ, ব্যাংক আমানত, শেয়ারবাজার এবং সঞ্চয়পত্রে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ কর এবং ২৫ শতাংশ জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া আসন্ন বাজেটে অর্থ পাচারকে বৈধ করার সুযোগ দিতে যাচ্ছে সরকার।
আগামী অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা
সরকার ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটের জন্য ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের ২০২২-২৩ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট আগামী ৯ জুন ২০২২ সংসদে পেশ করা হবে। জাতীয় বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হয়েছে ছয় দশমিক ৭৭ ট্রিলিয়ন টাকা (৬ লাখ ৭৭ হাজার ৮৬৪ কোটি টাকা) যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ১৫ দশমিক চার শতাংশ।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) একটি শাখা জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সাধারণত সরকারের জন্য রাজস্ব সংগ্রহ করে। আসন্ন বাজেটে চার লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্বের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪৪ হাজার কোটি টাকা বেশি এবং জিডিপির ৯ দশমিক ৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন: রাজস্ব আদায়ের লক্ষমাত্রা পূরণে হিমশিম খাচ্ছে এনবিআর
সরকার এনবিআরের জন্য রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ালেও, গত কয়েক অর্থবছরে রাজস্ব বোর্ডের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে না পারার হার বাড়ছে। কর্মকর্তাদের প্রযুক্তিগত জ্ঞানের অভাব, বন্ধুত্বপূর্ণ রাজস্ব সংগ্রহের পদ্ধতি এবং ব্যাকডেটেড প্রযুক্তি রাজস্ব বোর্ডের জন্য বাধা।
হিসাব অনুযায়ী, বাজেট ঘাটতি দাঁড়াবে ২ লাখ ৪৪ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রস্তাবিত বাজেটে সরকার অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এক লাখ ২৮ হাজার ৩৪১ কোটি টাকা এবং বাজেট ঘাটতি মেটাতে বিদেশ থেকে এক লাখ ১৬ হাজার ৫২৩ কোটি টাকা ঋণ নেবে।
দেশীয় ঋণের মধ্যে ৯৩ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে এবং ৩৪ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা সঞ্চয়পত্র থেকে ধার করা হবে।
আরও পড়ুন: এ বছরও রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যর্থ হতে পারে এনবিআর
পর্যটন খাতে রাজস্ব বাড়াতে আইন সংশোধিত হচ্ছে