ছাত্রলীগ
যুবলীগ-ছাত্রলীগের ৬৩ নেতাকর্মীর বিচার শুরু
রেলওয়ের টেন্ডারবাজিকে কেন্দ্র করে ২০১৩ সালে চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের ঘটনায় যুবলীগ ছাত্রলীগের ৬৩ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিন চার্জ গঠন করেন। একই সঙ্গে আগামী ২৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন আদালত। এছাড়া চার্জশিটভুক্ত আসামি অমিত মুহুরি মারা যাওয়ায় তাকে বাদ রেখে বাকিদের বিচার শুরুর আদেশ দেয়া হয়েছে। এসময় কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন এজাহারভুক্ত ৫৪ জন আসামি।
চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, সিআরবি এলাকায় চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের মামলায় আসামিদের অব্যাহতির আবেদন নামঞ্জুর করে চার্জ গঠন করেছেন আদালত। একইসঙ্গে আদালত আগামী ২৫ মে সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করেছেন।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ: আহত ১
তিনি জানান, অভিযুক্ত ৬৩ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলায় ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ সময় কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ অর্থবিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, ছাত্রলীগের বহিস্কৃত নেতা সাইফুল আলম লিমন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলমগীর টিপুসহ ৫৪ জন আসামি। আগামী ২৫ মে থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, আসামি সাবেক যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী, সাইফুল আলম লিমন ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপুসহ উপস্থিত আসামিদের অভিযোগ পড়ে শোনান। রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পিপিকে মামলার চার্জ গঠনে সহযোগিতা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট কেশব চন্দ্র নাথ, সাব্বির আহমেদ শাকিল ও সাহাব উদ্দিন।
উল্লেখ্য, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ৪৮ লাখ টাকা মূল্যের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ২০১৩ সালের ২৪ জুন যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর এবং ছাত্রলীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতা সাইফুল আলম লিমনের অনুসারীদের মধ্যে চট্টগ্রামের সিআরবি এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিতে প্রাণ হারান যুবলীগ কর্মী সাজু পালিত (২৮) ও পথচারী শিশু মোহাম্মদ আরমান (৮)।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮
এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানার এসআই মহিবুর রহমান বাদী হয়ে বাবর-লিমনসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৩০ থেকে ৩৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন। এই মামলায় বাবর-লিমন দুজনই গ্রেপ্তার হন। পরে তারা জামিনে মুক্তি পান।
২০১৫ সালের নভেম্বরের ৬২ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। সে সময় আসামি পক্ষের নারাজী আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেয়।
পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি দীর্ঘ আড়াই বছর পর পিবিআই নতুন করে দুজনকে যুক্ত করে ৬৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে সম্পূরক চার্জশির্ট দাখিল করে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ: আহত ১
ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে ছাত্রলীগের এক কেন্দ্রীয় নেতার হামলায় আহত হয়েছেন নগর ছাত্রলীগের এক নেতা। সোমবার ভোররাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
আহত এহসানুল হক ইয়াসির ঢাকা মহানগর (দক্ষিণ) ছাত্রলীগের সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক এবং অভিযুক্ত বেনজির হোসেন নিশি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। আহত এহসানুল হক ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে এহসানুলকে আহত করার অভিযোগ উঠেছে বেনজিরের বিরুদ্ধে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
এর আগে সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হল শাখার পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় বাঁশের লাঠি হাতে কয়েকজন সদস্যের মধ্যে হাতাহাতি হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বেদির সামনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এ সময় জগন্নাথ হল ও শহীদুল্লাহ হলের নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান করছিলেন। তাদের ব্যানার বহনে ব্যবহৃত বাঁশের লাঠি নিয়ে একে অপরের দিকে ছুটতে দেখা যায়।
এছাড়াও শহীদ মিনারের বেদির সামনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।
চট্টগ্রামে ফুল দেয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮
আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস উপলক্ষে শহীদ মিনারে ফুল দেয়া নিয়ে চট্টগ্রাম সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আটজন আহত হয়েছেন। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- বোরহান উদ্দিন (২৬), রিয়াজ (১৯), মো. সুলতান (১৯), প্রিন্স দাশ (১৯), মো. রাকিব (২০), এস এম ইব্রাহীম (২০), জনি দাশ (২১) ও নুর আলম (২২)। তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী ছাত্রলীগের দু’পক্ষ কলেজের শহীদ মিনারে পৃথকভাবে ফুল দিতে গেলে কে আগে ফুল দেবে তা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান বলেন, ভাষা দিবসে ফুল দিতে গিয়ে মহসিন কলেজে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ঢাবি ছাত্রলীগের হল নেতাদের শ্রদ্ধা
বিএম কলেজ ছাত্রীকে রাস্তায় ফেলে ছাত্রলীগ কর্মীর মারধর
২৭ দিন পরে নিজ অফিসে শাবি উপাচার্য
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ২৭ দিন পর তার অফিসে ফিরেছেন। রবিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ ইশফাকুল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে, একই দিন শাবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগ উপাচার্য বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেছে। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এ কথা জানান।বিজ্ঞপ্তিতে তারা সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু ও পাঠদানের যথোপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে কিছু দাবি উপস্থাপন করেছে। দাবি গুলো হচ্ছে- অতিদ্রুত ক্যাম্পাস খুলে দেয়ার ব্যবস্থা করা। যত দ্রুত সম্ভব অনলাইন/অফলাইনে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু করা। ১৬ জানুয়ারি পুলিশি হামলায় আহত ছাত্রলীগ সহ সকল শিক্ষার্থী যারা ইতোমধ্যে নিজের ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসা করেছেন তাদের ব্যয় বহন করা। সকল হলের ডাইনিং-ক্যান্টিন-ক্যাফেটেরিয়া খুলে দেয়া এবং খাবারের গুণগত মান বৃদ্ধি ও মূল্য হ্রাস করা। অতি দ্রুত ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত আধুনিক ফুডকোর্টের ব্যবস্থা করা ও নির্মাণাধীন ফুডকোর্টের কাজ শেষ করা। বিভিন্ন দেয়ালে দেয়াল লিখন মুছনসহ ক্যাম্পাসের স্বাভাবিক সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির প্রত্যাশা করে’।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগে ছাত্রীরা তার পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েকশ’ ছাত্রী।
এছাড়া ১৬ জানুয়ারি শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ের জন্য উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ লাঠিচার্জ ও রাবার বুলেট ছুঁড়ে ভিসিকে মুক্ত করে। এতে অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হন। এরপর থেকে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রত্যাহার: ক্লাস-পরীক্ষা শুরুর আহ্বান
এতে ১৯ জানুয়ারি বুধবার বেলা ৩টা থেকে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। এতে শুরুতে ২৪ জন শিক্ষার্থী অনশনে অংশ নেয়।
পরে ২৩ জানুয়ারি গণঅনশনের অংশ হিসেবে যোগ দেয় পাঁচজন শিক্ষার্থী।
২৬ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় অধ্যাপক ড. জাফর ইকবাল সস্ত্রীক ক্যাম্পাসে এসে পানি পান করিয়ে শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ ১৬৩ ঘন্টার এ অনশন ভাঙান।পরে, শনিবার (১২ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে চলমান আন্দোলন শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসে স্থগিত করে শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: অবশেষে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শাবিপ্রবি উপাচার্যের দুঃখ প্রকাশ
শাবিপ্রবি উপাচার্যকে ‘দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার’ পরামর্শ শিক্ষামন্ত্রীর
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ঢাবি ছাত্রলীগের হল নেতাদের শ্রদ্ধা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের হল শাখার নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।
সোমবার সকাল ৯টায় হলের নেতারা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িতে যান এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে তারা একসঙ্গে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন।
ঢাবি ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ ১৮টি হলের সদ্য মনোনীত শীর্ষস্থানীয় ছাত্রলীগ নেতারা কর্মসূচীতে যোগ দেন।
আরও পড়ুন: ঢাবি ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণা
ঢাবির গেস্টরুমে নির্যাতন: ৩ ছাত্র বহিষ্কার
ঢাবি ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণা
দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্রলীগের হল কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
১৮ হলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
১৩টি ছাত্র হলের নেতৃত্বে যারা
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সভাপতি মো. মেহেদী হাসান শান্ত ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান; কবি জসীমউদ্দীন হলের সভাপতি মো. সুমন খলিফা ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফুর রহমান; মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের সভাপতি আজহারুল ইসলাম মামুন ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম শান্ত; বিজয় একাত্তর হলের সভাপতি সাজিদুর রহমান সজিব ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউনুস; মাস্টারদা সূর্য সেন হলের সভাপতি মারিয়াম জামান খান সোহান ও সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান; হাজী মোহাম্মদ মুহসীন হলের সভাপতি শহীদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন; সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের সভাপতি কামাল উদ্দিন রানা ও সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন; স্যার এ এফ রহমান হলের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পদক মুনায়েম শাহরিয়ার মুন; জগন্নাথ হলের সভাপতি কাজল দাস ও সাধারণ সম্পাদক অতনু বর্মন; সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের সভাপতি তানভীর শিকদার ও সাধারণ সম্পাদক মিশাত সরকার; ড. মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ হলের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিম; ফজলুল হক মুসলিম হলের সভাপতি আনোয়ার হাসান নাঈম ও সাধারণ সম্পদক আবু হাসিব মুক্ত; অমর একুশে হলের সভাপতি এনায়েত এইচ মনন ও সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হাসান সোহাগ।
আরও পড়ুন: ঢাবির হলের ‘গেস্টরুমে’ অসুস্থ শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ
পাঁচ ছাত্রী হলের নেতৃত্বে যারা
বেগম রোকেয়ায়া হলের সভাপতি আতিকা বিনতে হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক অন্তরা দাস পৃথা; শামসুন্নাহার হলের সভাপতি খাদিজা আক্তার উর্মি ও সাধারণ সম্পাদক নুসরাত রুবাইয়াত; বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের সভাপতি কোহিনূর আক্তার রাখি ও সাধারণ সম্পাদক সানজিদা ইয়াসমিন; বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলের সভাপতি রাজিয়া সুলতানা কথা ও সাধারণ সম্পাদক জান্নাতুল হাওয়া আঁখি এবং কবি সুফিয়া কামাল হলের সভাপতি হিসেবে পূজা কর্মকার ও সাধারণ সম্পাদক রিমা আক্তার ডলি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘নতুন হল নেতাদের খুব অল্প সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস বন্ধ
‘করোনা ঝুঁকিতে’ শাবিপ্রবি থেকে ছাত্রলীগের মেডিকেল টিম প্রত্যাহার
করোনা ঝুঁকির কথা জানিয়ে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) থেকে মেডিকেল টিম প্রত্যাহার করেছে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ছাত্রলীগ। সোমবার গভীর রাত থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের দলটি নিজেদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়।এর আগে গত বৃহস্পতিবার থেকে তারা শাবিপ্রবির অনশনরত শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা সেবা দিচ্ছিলেন।মেডিকেল টিমের সদস্য নাজমুল বলেন, ‘অনশনকারীদের অনেকেরই করোনার উপসর্গ আছে। কিন্তু তারা টেস্ট করাতে রাজি হচ্ছেন না। সেভাবে স্বাস্থ্যবিধিও মানছেন না। এতে আমরা ঝুঁকিতে পড়ছি। আমাদের অনেককেই আবার হাসপাতালে ফিরতে হয়। ফলে অন্যরাও ঝুঁকিতে পড়ছেন।’তিনি বলেন, ‘গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় আমরা যেসব অনশনকারীকে হাসপাতালে পাঠাই, তারা হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র না নিয়েই আবার ক্যাম্পাসে চলে যান। ফলে তাদের জীবন যেমন সংকটে পড়ছে, তেমনি আমরাও সমস্যায় পড়ছি।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’র প্রতিবাদে রাবি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি
নাজমুল আরও বলেন, ‘শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের সেবা দিতে গিয়ে আমাদের মেডিকেল টিমের একজনের এরই মধ্যে করোনা হয়েছে। আরও কয়েকজনের উপসর্গ দেখা দিয়েছে। তারা করোনা পরীক্ষার নমুনা দিয়েছেন। আপাতত আমরা শাবিপ্রবিতে কার্যক্রম বন্ধ রাখছি।’এদিকে, ছাত্রলীগের মেডিকেল টিম প্রত্যাহার করায় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা আর কারো কাছ থেকে কোনো চিকিৎসা সহায়তা পাচ্ছেন না।সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক বলেন, ‘ওখানে আমাদের অফিসিয়াল কোনো টিম ছিল না। সেখানে যারা কাজ করেছেন তারা স্বেচ্ছায় গিয়েছেন। কেন তারা ফিরে এসেছেন এটা আমরা জানি না। এটা আমাদের কোনো বিষয় না।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি আন্দোলনে ‘টাকা পাঠানো’য় আটকদের নিয়ে সিলেটের পথে সিআইডি
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অর্থ সংগ্রহের ৬ অ্যাকাউন্ট বন্ধ
বিএম কলেজ ছাত্রীকে রাস্তায় ফেলে ছাত্রলীগ কর্মীর মারধর
বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের এক ছাত্রীকে রাস্তায় ফেলে মারধরের অভিযোগ উঠেছে নুজাইম ইসলাম শাওন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষ ও থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে মারধরের শিকার ওই ছাত্রী। রবিবার সন্ধ্যায় কলেজের প্রথম গেটের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার ছাত্রী বিএম কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
ওই ছাত্রী জানায়, সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ছাত্র নুজাইম ইসলাম শাওন বিভিন্ন সময়ে তাকে উত্যক্ত করতো। এক বছর আগে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। সে প্রস্তাব প্রত্যাখান করে। এতে তার পরিচিতজনের কাছে একাধিকবার হুমকি দিয়েছে। সর্বশেষ রবিবার সন্ধ্যায় সরকারি ব্রজমোহন কলেজের প্রথম গেটের সামনে মূল সড়কের মধ্যে আটকে মারধর করে। মারধরে হাতের মোবাইল পড়ে গিয়ে ভেঙে যায়। মারধরের ঘটনা কাউকে জানালে নুজাইম শাওনের সহযোগী বিএম কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র সাগর ওই ছাত্রীকে কলেজে ঢুকতে দিবে না বলে হুমকি দেয়।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১২
এই ঘটনায় সোমবার দুপুরে অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিমুল করিম জানান, ছাত্রীকে মারধরের ঘটনায় নুজাইম ও সাগর নামে দুইজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। হামলাকারীদের দ্রুতই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।
সরকারি ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ গোলাম কিবরিয়া বলেন, কিছুক্ষণ আগে ওই ছাত্রী লিখিত অভিযোগ দিয়ে গেছেন। আমরা প্রফেসর আক্তারুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। প্রতিবেদন পেলেই হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
ঢাবিতে অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ নেতা আটক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হল থেকে মঙ্গলবার রাতে অস্ত্রসহ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
আটক আল-আমিন খান রাজন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সমর্থক বলে জানা গেছে।
ঢাবি সংবাদদাতা জানান, আগামী ৩০ জানুয়ারি হতে যাওয়া হল সম্মেলনে আল আমিন পদ প্রত্যাশী বলে জানা গেছে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার জানান, অস্ত্র থাকার অভিযোগে ঢাবি প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আল-আমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ১০১ নম্বর কক্ষে থাকতেন কিন্তু তার ছাত্রত্ব ছিল না। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১২
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
মধ্যরাতে চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১২
পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে ক্যাম্পাসের সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে ছাত্রলীগের উপগ্রুপ 'বিজয়' ও সিএফসির সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
প্রতক্ষ্যদর্শী শিক্ষার্থীরা জানায়, মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে বিজয়ের নেতা-কর্মীদের অনেকেই সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে ছিলেন। আর সিএফসির নেতা-কর্মীরা ছিলেন শাহ আমানত হলে। দুই উপপক্ষের কাছেই রামদা ও লাঠিসোঁটা ছিল। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
আরও পড়ুন: চবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বিজয়ের নেতা-কর্মীদের দাবি, রাত ১২ টার দিকে বিনা উসকানিতে সিএফসির নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে এসে তাঁদের নেতা-কর্মীর ওপর হামলা করেন। পরে তাঁরা প্রতিহত করেছেন। অন্যদিকে সিএফসির নেতা-কর্মীদের দাবি, বিজয় গ্রুপের কর্মীরা কয়েক দিন ধরে হুমকি ধমকি, উস্কানি দিয়ে আসছিল। আজকে তাদের জবাব দিয়েছে তারা।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শেখ নাজমুল ইসলাম ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ ক্যাম্পাসে গেলে পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবিতে তাঁদের মূল ফটকে আটকে দেন নেতা-কর্মীরা।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৮ জন বিজয় গ্রুপ ও ৪ জন সিএফসি গ্রুপের সমর্থক বলে জানা গেছে। তাদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর গুরুতর আহত ৩ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর শহিদুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঝামেলা এড়াতে প্রক্টরিয়াল বডি তৎপর রয়েছে। পুলিশ প্রহরা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: উপাচার্য পদত্যাগ না করলে আমরণ অনশনের ঘোষণা শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের