ছাত্রলীগ
ঢাবিতে অস্ত্রসহ ছাত্রলীগ নেতা আটক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মাস্টারদা সূর্যসেন হল থেকে মঙ্গলবার রাতে অস্ত্রসহ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার এক কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
আটক আল-আমিন খান রাজন ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সমর্থক বলে জানা গেছে।
ঢাবি সংবাদদাতা জানান, আগামী ৩০ জানুয়ারি হতে যাওয়া হল সম্মেলনে আল আমিন পদ প্রত্যাশী বলে জানা গেছে।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মওদুদ হাওলাদার জানান, অস্ত্র থাকার অভিযোগে ঢাবি প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় ওই ছাত্রলীগ কর্মীকে আটক করা হয়েছে।
তিনি বলেন, আল-আমিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলের ১০১ নম্বর কক্ষে থাকতেন কিন্তু তার ছাত্রত্ব ছিল না। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: মধ্যরাতে চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১২
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
মধ্যরাতে চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১২
পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে ক্যাম্পাসের সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে ছাত্রলীগের উপগ্রুপ 'বিজয়' ও সিএফসির সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
প্রতক্ষ্যদর্শী শিক্ষার্থীরা জানায়, মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে বিজয়ের নেতা-কর্মীদের অনেকেই সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে ছিলেন। আর সিএফসির নেতা-কর্মীরা ছিলেন শাহ আমানত হলে। দুই উপপক্ষের কাছেই রামদা ও লাঠিসোঁটা ছিল। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়া শুরু হয়। রাত প্রায় ১টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। পরে পুলিশ ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
আরও পড়ুন: চবি শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বিজয়ের নেতা-কর্মীদের দাবি, রাত ১২ টার দিকে বিনা উসকানিতে সিএফসির নেতা-কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে এসে তাঁদের নেতা-কর্মীর ওপর হামলা করেন। পরে তাঁরা প্রতিহত করেছেন। অন্যদিকে সিএফসির নেতা-কর্মীদের দাবি, বিজয় গ্রুপের কর্মীরা কয়েক দিন ধরে হুমকি ধমকি, উস্কানি দিয়ে আসছিল। আজকে তাদের জবাব দিয়েছে তারা।
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক শেখ নাজমুল ইসলাম ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক হায়দার মোহাম্মদ ক্যাম্পাসে গেলে পূর্ণাঙ্গ কমিটির দাবিতে তাঁদের মূল ফটকে আটকে দেন নেতা-কর্মীরা।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৮ জন বিজয় গ্রুপ ও ৪ জন সিএফসি গ্রুপের সমর্থক বলে জানা গেছে। তাদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর গুরুতর আহত ৩ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর শহিদুল ইসলাম বলেন, ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঝামেলা এড়াতে প্রক্টরিয়াল বডি তৎপর রয়েছে। পুলিশ প্রহরা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: উপাচার্য পদত্যাগ না করলে আমরণ অনশনের ঘোষণা শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের
শাবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের ওপর ‘পুলিশি হামলা’: ঢাবিতে বিক্ষোভ
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের ‘হামলার’ প্রতিবাদে সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।
প্রগতিশীল ছাত্র জোট, দুপুর ১২ টা ৩০ এর দিকে সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে শাবিপ্রবির আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করেছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এখনও অপরাধীদের খপ্পরে রয়েছে। গতকাল শাবিপ্রবির ভিসি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশি ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এর আগেও ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয় সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির ঘটনায় তদন্ত কমিটি
শাবিপ্রবি: আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যায় গোলচত্বরে তারা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেন। এসময় ছাত্রলীগের ৩০-৪০ জন নেতাকর্মী এসে গোলচত্বর এলাকায় অবস্থান নেয়। তারা ছাত্রীদের হলে ফিরে যাওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকেন। এসময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করে। এতে শাহারিয়ার আবেদীন, মাইনুল ইসলাম রাশু, ইয়াসির সরকার, রুপেল চাকমা, নাফিস হাসান ও অন্তিক আহত হয়েছেন বলে দাবি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের।
হল প্রাধ্যক্ষ ও সহকারী প্রাধ্যক্ষদের পদত্যাগের দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে বিক্ষোভ করছেন শাবিপ্রবির বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের আবাসিক ছাত্রীরা।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের সবধরনের সুযোগ-সুবিধায় পাশে আছে প্রশাসন: শাবিপ্রবি উপাচার্য
হামলার সময় ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক জহীর উদ্দীন আহমেদ ও প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. আলমগীর কবিরের হস্তক্ষেপে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সরে যায় বলে জানা গেছে।
এ ঘটনার পরেও শিক্ষার্থীরা ফের সংঘঠিত হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
তবে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতারা।
আরও পড়ুন: প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে মধ্যরাতে শাবিপ্রবি ছাত্রীদের বিক্ষোভ
ঢাবিতে হামলার প্রতিবাদে কাওয়ালি অনুষ্ঠান
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে কাওয়ালি অনুষ্ঠানে হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার একই স্থানে আরেকটি কাওয়ালি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সিলসিলা নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সাংস্কৃতিক সংগঠন।
অনুষ্ঠানে তারা বাংলা ও উর্দু ভাষার বিভিন্ন কাওয়ালি গান ও কবিতা আবৃতি করেন।
আরও পড়ুন: কাওয়ালি সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ, আহত ২
অনুষ্ঠানের পর প্রতি বৃহস্পতিবার টিএসসিতে কাওয়ালি অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন আয়োজকরা।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে কাওয়ালি অনুষ্ঠানে হামলার অভিযোগ উঠে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ হামলায় দু’জন ছাত্রী ও একজন সাংবাদিকসহ ১১ জন আহত হয়।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, জয়-লেখকসহ আহত ১০
টিএসসিতে কাওয়ালি অনুষ্ঠানে হামলা, আহত ৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত সুফি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে (কাওয়ালি) ছাত্রলীগ হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ হামলায় কমপক্ষে আট শিক্ষার্থী ও একজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় টিএসসিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাওয়ালি ব্যান্ড ‘সিলসিলা’ এ কাওয়ালি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পরপরই প্রায় ৭০-৮০ জন মঞ্চের চেয়ার ও বাদ্যযন্ত্র ভাঙচুর করে।
অনুষ্ঠানের সংগঠক মোল্লা মোহাম্মদ ফারুক বলেন, ‘এটা পরিষ্কার যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনের অনুসারীরা হামলা চালিয়েছে।’
অন্যদিকে, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন তার সমর্থকদের এই হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
এ ধরনের অভিযোগের নিন্দা জানিয়ে সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে জানি না। ষড়যন্ত্রকারীরা ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করছে এবং এ হামলাও ওইসব ষড়যন্ত্রকারীদের কাজ।’
আরও পড়ুন: এবার ঢাবির গণযোগাযোগের ১২ শিক্ষার্থী পেলেন ‘সিতারা পারভীন’ পুরস্কার
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে অনুষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। ছাত্রলীগ এই হামলার সঙ্গে জড়িত নয়।’
ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘ক্যাম্পাসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এমন জঘন্য হামলা প্রত্যাশিত নয়। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এ ঘটনার পরপরই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বামপন্থী সংগঠনগুলো হামলার প্রতিবাদে সমাবেশ করে।
পরে হামলার প্রতিবাদে প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে কাওয়ালী গান পরিবেশন করেন অনুষ্ঠানের আয়োজকরা।
আরও পড়ুন: ঢাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, জয়-লেখকসহ আহত ১০
ঢাবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচন: ১৫ পদের ১৪টিতে নীল দলের প্রার্থী নির্বাচিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি-ছাত্রলীগের সমাবেশ, ১৪৪ ধারা জারি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি ও ছাত্রলীগ একই স্থানে সমাবেশ ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রশাসন। শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত শহরের ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টার ও এর সংলগ্ন বালুর মাঠ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় এ আদেশ কার্যকর থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবিতে আগামীকাল (৮ জানুয়ারি) শনিবার শহরের ফুলবাড়িয়ায় মহাসমাবেশ ডাকে বিএনপি। একই স্থানে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সমাবেশের ডাক দেয় ছাত্রলীগও। এতে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ায় পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থাকে। তাই ফৌজধারী কার্যবিধির ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারায় বিধান মোতাবেক ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টার ও এর সংলগ্ন বালুর মাঠ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হল।
একই সাথে ৪ জনের অধিক ব্যাক্তির জমায়েত, রাজনৈতিক প্রচারণামূলক কর্মকাণ্ড, মাইক বা প্রচারযন্ত্রের ব্যবহারও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা: আরও ৪০ জেলায় সমাবেশ করবে বিএনপি
খালেদা জিয়ার কিছু হলে সরকারকে ‘হত্যা মামলার আসামি’ করার হুঁশিয়ারি বিএনপির
আবরার হত্যা: ২০ আসামির ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পৌঁছেছে। বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ডেথ রেফারেন্সটি পৌঁছায় বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান।
তিনি জানান, ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসে পৌঁছেছে। এখন বিধি অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে গত ৮ ডিসেম্বর দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান ২০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং পাচঁ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়ে ওই রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা: ২০ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের যাবজ্জীবন
আইন অনুযায়ী বিচারিক আদালতে কোন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলে তার মৃত্যু অনুমোদনের জন্য মামলাটির যাবতীয় নথি হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরপর এটি ডেথরেফারেন্স মামলা হিসেবে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অন্তর্ভূক্ত হয়। পরে মামলার পেপারবুক (যাবতীয় নথি সম্বলিত ফাইল) প্রস্তুত হলে সিরিয়াল অনুসরণ করে ডেথরেফারেন্সের শুনানি হয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহতাসিম ফুয়াদ, সাবেক গ্রন্থাগার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না, সাবেক আইন বিষয় উপসম্পাদক অমিত সাহা, সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী আকাশ হোসেন ও মোয়াজ আবু হুয়ারেরা। একইসঙ্গে আদালত তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: রায়ে সন্তুষ্ট পরিবার, বাকি ৫ আসামিরও ফাঁসি চান আবরারের মা
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন-বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান রাসেল ওরফে শান্ত, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক অনিক সরকার অপু, সাবেক সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, সাবেক সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপসম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মুস্তবা রাফিদ এবং সদস্য মুজাহিদুর রহমান মুজাহিদ, মুনতাসির আল জেমি এবং ইহতাশামুল রাব্বী তানিম। এ ছাড়া, ছাত্রলীগ কর্মী খন্দকার তাবাক্কারুল ইসলাম তানভীর, এএসএম নাজমুস সাদাত, মাজেদুর রহমান ওরফে মাজেদ, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, শামীম বিল্লাহ, মুহাম্মদ মোরশেদ-উজ-জামান মণ্ডল ওরফে জিসান, মোরশেদ অমর্ত্য ইসলাম, মিজানুর রহমান মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এসএম মাহমুদ সেতুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এদের মধ্যে জিসান, তানিম ও মুস্তবা রাফিদ পলাতক রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর বুয়েটের আবাসিক হল থেকে ইলেকট্রিক অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওয়াহিদুজ্জামান ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা মামলার রায়ে ন্যায়বিচার করা হয়েছে: আইনমন্ত্রী
কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: ছাত্রলীগের সম্পাদকসহ চার শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪ জন ছাত্রকে শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে। এর মধ্যে কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ চারজনকে কুয়েট থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভা শেষে ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার আনিসুর রহমান ভূঞা এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
শিকক্ষ সেলিম হোসেনকে বাসায় যেতে না দিয়ে অফিসে বসতে বাধ্য করায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের বা আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। এছাড়াও কুয়েটে ছাত্র রাজনীতির ওপর কতিপয় বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এর আগে সকাল ৯টায় ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির মূলতবি সভায় শাস্তির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিল কমিটি
কুয়েটের ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার আনিসুর রহমান ভূঞা জানান, পাচঁটি ধাপে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ধাপে আজীবন বহিষ্কৃতদের মধ্যে কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান, হাসান আব্দুল কাইয়ূম, মো. কামরুজ্জামান ও রিয়াজ খান নিলয়।
দ্বিতীয় ধাপে সাতজন শিক্ষার্থীকে দুই শিক্ষাবর্ষ এবং আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা হলেন- তাহমিদুল হক রিয়াজ, মাহমুদুল হাসান, সাদমান সাকিব, মাহিম মুনতাসির, এএসএম রাগিব আহসান, মীর জামিউর রহমান ও রুদ্রনীল সিংহ শুভ।
তৃতীয় ধাপে একজন শিক্ষার্থীকে এক শিক্ষাবর্ষ এবং আবাসিক হল থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ছাত্রের নাম আনিকুর রহমান।
চতুর্থ ধাপে ২২ জনকে এক শিক্ষাবর্ষ বহিষ্কার করা হয়েছে এবং পঞ্চম ধাপে আরও ১০জন ছাত্রকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা তবে, এই শাস্তি এখন কার্যকর হবে না। ভবিষ্যতে কোন ধরণের নৈতিক স্খলনজনিত অভিযোগ প্রমাণিত হলে এই শাস্তি কার্যকর করা হবে বলেও উল্লেখ করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার আনিসুর রহমান ভূঞা।
আরও পড়ুন: কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: ৪৪ শিক্ষার্থীকে শোকজ
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর বিকেলে মারা যান অধ্যাপক ড. মো. সেলিম হোসেন। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জানান, লালনশাহ হলের ডিসেম্বর মাসের খাদ্য ব্যবস্থাপক (ডাইনিং ম্যানেজার) নির্বাচন নিয়ে ড. সেলিমকে চাপ দিয়ে আসছিলেন ফজলুল হক হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও কুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজান। এরই ধারাবাহিকতায় ঘটনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টায় সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বাধীন কয়েকজন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের রাস্তায় ড. সেলিমকে জেরা শুরু করেন। পরে তারা শিক্ষককে অনুসরণ করে তার ব্যক্তিগত কক্ষে (তড়িৎ প্রকৌশল ভবন) প্রবেশ করেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, তারা আনুমানিক আধা ঘণ্টা তার সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন।
ব্যক্তিগত কক্ষ থেকে বেরিয়ে ড. সেলিম দুপুরের খাবার খেতে ক্যাম্পাস থেকে নিজ বাসায় যান। দুপুর আড়াইটার দিকে তার স্ত্রী লক্ষ্য করেন তিনি বাথরুম থেকে বের হচ্ছেন না। দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অভিযোগ ওঠে, দাপ্তরিক কক্ষে কুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানের নেতৃত্বে কিছু সাধারণ ছাত্রের জেরা, অপমান, অবরুদ্ধ করে রাখা ও মানসিক নির্যাতনে ড. সেলিমের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে দুই দফায় কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: শিক্ষকের মৃত্যু: কুয়েট বন্ধ থাকবে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত
ড. সেলিমের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে ২ ডিসেম্বর দুপুরে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে শিক্ষক সমিতি। প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে কুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান শিক্ষকরা।
ড. সেলিমের ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যুর ঘটনায় ৪ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদমান নাহিয়ান সেজানসহ ৯ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়। নতুন করে গঠন করা হয় পাঁচ সদস্যের নতুন তদন্ত কমিটি। কমিটিকে ১০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হলেও ওই সময়ের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে পারেনি কমিটি।
গত ২৩ ডিসেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৮তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় পাঁচ কর্মদিবসে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। ওই সভায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) হল ৭ জানুয়ারি খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। একইসঙ্গে ৯ জানুয়ারি থেকে ক্লাস শুরু হবে বলেও সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জনগণের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনেস্টটিউটে ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
এসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, হায়েনার দল যাতে দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সেজন্য বাংলাদেশ ছাত্রলীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনকে (আওয়ামী লীগ) সজাগ থাকতে হবে।
আগামী দিনে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ছাত্রলীগকে সুসংগঠিত করতে নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: এলডিসি থেকে উত্তরণ মসৃণে শিগগিরই জাতীয় কৌশলপত্র প্রণয়ন: প্রধানমন্ত্রী
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়ের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৫ আগস্টের গণহত্যা, ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জীবন উৎসর্গকারী সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ওপর একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
এসময় প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্থাপিত মাতৃভূমি গ্রন্থাগার উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা আব্দুর রহমান।
সংগ্রাম ও সাফল্যের গৌরবময় ঐতিহ্যের অধিকারী দেশের সর্ববৃহৎ ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরামর্শে ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের জন্ম হয়।
আরও পড়ুন: ব্যবসায়ীদের উন্নয়ন ও গবেষণায় বিনিয়োগের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
স্বপ্নের পদ্মা সেতু পরিদর্শন করলেন প্রধানমন্ত্রী