ছাত্রলীগ
বিভাগীয় সমাবেশে বিশৃঙ্খলা: রংপুরে ছাত্রলীগের ৯ কর্মীকে স্থায়ী বহিষ্কার
রংপুরে ছাত্রলীগের বিভাগীয় সমাবেশে বিশৃঙ্খলা ও মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থগিত করা রংপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সেই সঙ্গে ওই ঘটনায় জড়িত ৯ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জুলাই) সকালে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাব্বির আহমেদ।
এর আগে রবিবার (২৩ জুলাই) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ৯ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করে এবং জেলা ছাত্রলীগের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্প্রতি সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা-পরিপন্থী অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয় এমন কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ৯ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ৩০
বহিষ্কৃতরা হলেন- রংপুর টেক্সটাইল কলেজের সিয়াম আলম, লালমনিরহাট কাকিনা উত্তর বাংলা কলেজের জিহাদ রহমান জিসান, রংপুর সরকারি কলেজের মোনাজাত, আল আমিন হোসাইন, রাজন হোসাইন, কারমাইকেল কলেজের শাহাদত হোসনে রিমন, ইমন ইসলাম ও মাসুদ রানা সাফিন ও আল আমিন হোসেন।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভবিষ্যতে যে কোনো শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজে না জড়ানোর জন্য সতর্ক করে রংপুর জেলা ছাত্রলীগের উপর আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস এম সাব্বির আহমেদ জানান, একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ রংপুর জেলার কমিটি স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে ও তাদের কর্মকাণ্ড অনুযায়ী প্রকৃত দোষীদের চিহ্নিত করে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়। সেই সঙ্গে আমাদের উপর আরোপিত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ জুলাই রংপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি স্থগিত করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। একই দিনে মহানগর ছাত্রলীগ ও রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) ছাত্রলীগের মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার কারণে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে চিকিৎসা কেন্দ্র ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের তিন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে।
তারা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্য, আতিক আরমান ও সালমান অহিন। তারা সবাই ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মী।
আরও পড়ুন: ইবিতে আবারও ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত
ইবি মেডিকেল সেন্টারের চিকিৎসক ওয়াহিদুর রহমান মিল্টন ইউএনবিকে বলেন, বুকে ব্যথা নিয়ে কাব্যসহ আরও দু’জন তার কাছে আসেন। চিকিৎসা নেওয়ার ১০ মিনিট পর কাব্য তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন।
তিনি আরও জানান, সেসময় কাব্য 'মদ্যপ' ছিলেন এবং তার কাছে অ্যাম্বুলেন্স চেয়েছিলেন।
পরে ওই তিন শিক্ষার্থী মেডিকেল সেন্টারে ভাঙচুর করে অ্যাম্বুলেন্স চালককে কুষ্টিয়া শহরে নিয়ে যেতে বাধ্য করেন।
মঙ্গলবার সকালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক এম আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া ও প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন আজাদ মেডিকেল সেন্টারটি পরিদর্শন করেন।
প্রক্টর বলেন, মেডিকেল সেন্টার ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসানের কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৩ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি-বিধান লঙ্ঘনের দায়ে কাব্বোকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: ইবিতে প্রথম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে
শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের ১ নেতা ও ৪ কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করল ইবি
ইবিতে আবারও ছাত্রলীগ কর্মীর হাতে শিক্ষার্থী লাঞ্ছিত
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করেছে ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতাকর্মীরা।
ভুক্তভোগী শরিফুজ্জামান শোভন বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।
তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি চেয়ে শোভন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক শাহাদাত হোসেন আজাদ ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক শেলিনা নাসরিনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ইংরেজি বিভাগের ছাত্র এম মাসুদুর রহমানের নেতৃত্বে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে বাংলা বিভাগের তৌহিদ ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সজিবসহ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একদল কর্মী শোভন সাড়ে ১০টার দিকে তার ক্লাশ শেষ করে ইবির ডায়না চত্বরে যাওয়ার সময় তার ওপর হামলা চালায়। তারা সবাই ইবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মৃদুল রাব্বির সমর্থক।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদনে ৬ শিক্ষার্থী অভিযুক্ত
একপর্যায়ে ছাত্রলীগ কর্মীরা শোভনকে লাঞ্ছিত করে এবং ঘটনাস্থলেই তাকে আহত করে। পরে অন্য শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থল থেকে শোভনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ইবি মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যায়।
তারা নির্যাতিতাকে হত্যার হুমকিও দেয়। অভিযোগে বলা হয়েছে, ভিকটিমকে লাঞ্ছিত করার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
যোগাযোগ করা হলে ভুক্তভোগী শোভন জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মাসুদসহ অন্যরা তাকে মারধর করে। তিনি বলেন, আমার ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত অভিযুক্তদের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি।
আরও পড়ুন: ইবিতে প্রথম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে
ঘটনার কথা স্বীকার করে মাসুদ বলেন, শোভনকে গালিগালাজ করায় তারা তাকে মারধর করে।
ইবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মৃদুল রাব্বি বলেন, শোভনকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। বরং তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে এটি ঘটেছে বলেও জানান তিনি।
অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার র্যাগিং ও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
তারা আরও বলেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, এবং যারা দোষী প্রমাণিত হয়েছে, যাতে তারা ভবিষ্যতে এমন জঘন্য কাজ করতে সাহস না পায়।, তারা যোগ করেছে।
ইবি প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন জানান, ভুক্তভোগীর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন।
তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের ১ নেতা ও ৪ কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করল ইবি
বরিশালে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৫
নবনির্বাচিত সিটি মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বরিশালে ফিরে জেলার কাশীপুর ইউনিয়নে ছাত্র ও যুবলীগের দুই গ্রুপ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার রাতে কাশীপুরের পেট্রোল পাম্পে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। সকলেই বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০
নগরীর ২৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইমরান মোল্লা জানান, টুঙ্গীপাড়ায় খাবার দেওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে তর্ক হয়। তারা কাশীপুর পেট্টোল পাম্পে এসে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। কে কোন পক্ষের তিনি জানেন না।
বরিশাল এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলালউদ্দিন জানান, দুই পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক নেতা রিয়াজ ভুইয়া জানান, তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুইটি পক্ষ হয়ে মারামারি হয়েছে। উভয় পক্ষের আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। এখানে কোন অনুসারী তা বিষয় নয়।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মফিজুল ইসলাম জানিয়েছেন যে এখন পর্যন্ত ১৫ জন হাসপাতালের সার্জারি ও অর্থোপেডিক্স ইউনিটে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে ৬ জন গুরুতর আহত রয়েছেন।
আরও পড়ুন: সিলেটে পশুর হাট নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪
ভোলায় আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ, একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত ২০
বরিশালে কুপিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীর হাত বিচ্ছিন্ন, যুবক গ্রেপ্তার
বরিশাল নগরীতে প্রতিপক্ষরা ছাত্রলীগ কর্মী রেদোয়ান আহম্মেদ আকন রাধোর (২৬) একটি হাত কুপিয়ে বিচ্ছিন্ন করেছে। সোমবার (০৩ জুলাই) রাতে বরিশাল জিলা স্কুলের পিছনের গেটে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় মঙ্গলবার জুনায়েদ আল মামুন (২৪) নামে একজন নামধারীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৭/৮ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর বাবা জয়নাল। মামলার প্রেক্ষিতে তানভীর হাওলাদার নবীন (২৪) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ঢাকায় জামায়াতুল আনসার ফিল হিন্দাল শরকিয়ার প্রতিষ্ঠাতাকে গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার নবীন নগরীর ভাটিখানা সুন্নিয়া মসজিদ এলাকার লিটন হাওলাদারের ছেলে। মামলার প্রধান আসামি মামুন নগরীর বেলতলা এলাকার বাসিন্দা মো. শামসুর ছেলে।
আহত রেদোয়ান আমানতগঞ্জ এলাকার জয়নাল আবেদীনের ছেলে। তিনি বর্তমানে ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
জয়নাল আবেদীন জানান, তার ছেলে ছাত্রলীগের রাজনীতি করলেও নির্দিষ্ট কারও অনুসারী নয়।
তবে মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ান জানিয়েছেন রেদোয়ান তার অনুসারী।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, নামধারী আসামি মামুন (৩০) আহত রেদোয়ানের পূর্ব পরিচিত এবং তাদের মধ্যে পূর্ব বিরোধ রয়েছে। সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে মামুন ফোন করে রেদেয়ানকে জিলা স্কুলের পিছনের গেটে নিয়ে যায়।
রাত ১১টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর মামুনসহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন রেদোয়ানকে মারধর করে। পরে অজ্ঞাতরা রেদোয়ানের বাঁ হাত টেনে ধরে। তখন মামুন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে কনুইয়ের ওপর থেকে হাত বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
ভূক্তভোগীর বাবা জয়নাল আবেদীন জানান, হাসপাতাল থেকে রাত ১২টার দিকে ফোন করে বিষয়টি জানানো হয়। হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি উন্নত চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকরা তাকে দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
ঢাকা পৌঁছালেও নির্ধারিত সময় পার হয়ে যাওয়ায় হাতটি জোড়া লাগানো যায়নি। তার হাত থেকে রক্তপাত চলমান থাকায় অবস্থা ভালো নয়। রেদোয়ান অচেতন হওয়ার আগে মামুনসহ বেশ কয়েকজনের নাম জানিয়েছিলো।
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। দায়ের হওয়া মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নবীন নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি রেদোয়ানের ওপর হামলার সঙ্গে জড়িত কিনা তদন্ত করা হবে। এছাড়া হাত বিচ্ছিন্ন করায় ব্যবহৃত ধারালো রামদাটি উদ্ধার করেছি।
আরও পড়ুন: চৌগাছায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামীসহ ৩জন গ্রেপ্তার
ঢাকায় জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান, গ্রেপ্তার ৯
ইবিতে প্রথম বর্ষের আরেক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ ছাত্রলীগ কর্মীর বিরুদ্ধে
কুষ্টিয়ায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একদল নেতাকর্মী তাকে নির্যাতন ও অপমান করেছে।
মঙ্গলবার ভোরে তাকে এই নির্যাতন করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে নির্যাতরেন শিকার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র ইয়াশ রোহান এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন আজাদ ও ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক শেলিনা নাসরিনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়, ভর্তির পর থেকে রোহান বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ‘গণরুমে’ অবস্থান করছিলেন।
রোহান বলেন, মঙ্গলবার ভোরে চারুকলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আফিফ হাসান ও তন্ময় বিশ্বাসসহ ছাত্রলীগের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার একদল কর্মী তাকে হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে যায়। তারা সকলেই ছাত্রলীগের আইইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের সমর্থক।
আরও পড়ুন: ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: বিচার বিভাগীয় প্রতিবেদনে ৬ শিক্ষার্থী অভিযুক্ত
একপর্যায়ে আফিফ, তন্ময় ও অন্যরা তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে বলে রোহান জানান।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী র্যাগিং ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন।
রোহান অবশ্য বুধবার আইইউ প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে করা অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
এ ব্যাপারে তার বক্তব্যের জন্য বারবার চেষ্টা করেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
ছাত্রলীগের আইইউ শাখার সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয় জানান, তিনি তার সমর্থক ও রোহানের মধ্যে বিষয়টি মিমাংসা করেছেন। পরে তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন বলে জানান জয়।
অনেক শিক্ষার্থী জানান, প্রশাসন জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেছে।
আইইউ প্রক্টর অধ্যাপক এম শাহাদাত হোসেন আজাদ জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ভুক্তভোগীর কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছিল।
তিনি বলেন, অভিযুক্ত এবং তার মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি হওয়ায় ভিকটিম তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
এর আগে, চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে আইইউ-এর ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে ছাত্রলীগের আইইউ শাখার সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীরা নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখিয়েছিলেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সারাদেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের ১ নেতা ও ৪ কর্মীকে সাময়িক বরখাস্ত করল ইবি
ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতন: ছাত্রলীগের ১ নেত্রী ও ৪ কর্মী বহিষ্কার
হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৪০
ক্যাম্পাসে আধিপত্যের জের ধরে দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে।
শনিবার (১৭ জুন) রাত ১২ পর্যন্ত দফায় দফায় ৪ ঘন্টা ধরে ওই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল ছাত্রলীগের দুই পক্ষের কর্মীরা।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আহতদের মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাঁশখালীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে চাচা-ভাতিজা নিহত
জানা গেছে,বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসিক হলে সিট বরাদ্ধসহ বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধার কর্তৃত্ব নিতে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে একক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টায় জড়িয়ে রয়েছে ধারাবাহিকভাবে ছাত্রলীগের দুইটি গ্রুপ।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানান,বিশ্ববিদ্যালয়ে সিট বাণিজ্য আধিপত্য বিস্তারে চেষ্টায় দীর্ঘদিন ধরেই ছাত্রলীগের রিয়াদ-সজল গ্রুপের সঙ্গে আলমগীর হোসেন আকাশ গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে
কোন্দল রয়েছে। এরই জের ধরে শনিবার বিকালে ছাত্রলীগ নেতা আকাশের সঙ্গে রিয়াদ ও সজলের বাকবিতণ্ডা ঘটে। একা পেয়ে আকাশকে ক্যাম্পাস থেকে তারা বের করে দেন। পরে আকাশের সমর্থকরা ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করলে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। দফায় দফায় রাত ১২টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে। সংঘর্ষে জিয়া হলে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়।
অন্য সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে শেখ রাসেল হলে শেখ রাসেল কর্নারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মঞ্চে সামনের আসনে ছিলেন ছাত্রলীগের একাংশের নেতা আলমগীর হোসেন আকাশসহ তার অনুসারীরা। আকাশ ওই হলের নুর হোসেন অংশের আবাসিক ছাত্র।
অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন অপর অংশের নেতা শেখ রাসেল এক্সটেনশন হলের আবাসিক ছাত্র রিয়াদ খান এবং সফিকুল ইসলাম সজলসহ তাদের অনুসারীরা। এসময় উভয়ের মধ্যে কথাকাটিকাটির মত ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে পরদিন রিয়াদ ও সজলদের গালিগালাজ করে ফেসবুক স্ট্যাটাস দেন শোয়াইব নামে আকাশের অনুসারী। ফেসবুকের ওই স্ট্যাটাসকে কেন্দ্র করে শনিবার সন্ধ্যা থেকে সংঘাতের সূত্রপাত ঘটে দুই গ্রুপের মধ্যে।
কোতোয়ালি থানার ইনচার্জ তানভীরুল ইসলাম তানভীর জানান, ফেসবুকের স্ট্যাটাস নিয়ে দুই গ্রুপের মধে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটেছিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মামুনুর রশিদ বলেন,পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ যুবলীগ কর্মী নিহত
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ২ মামলা
চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৫
চট্টগ্রামে বিএনপির আঙ্গ সংগঠন সমূহের উদ্যোগে তারুণ্য সমাবেশকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ৫ জন আহত হয়েছে।
বুধবার (১৪ জুন) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম কলেজ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে ৩ কমিটি
আহতদের মধ্যে চান্দগাঁও থানা যুবদল কর্মী ফয়সাল সায়েম, মহসিন, জুনায়েদ রয়েছেন।
আহত যুবদল কর্মী সায়েম জানায়, চান্দগাঁও এলাকা বাস নিয়ে আমরা কাজীর দেউড়ি এলাকায় তারুণ্যের সমাবেশ যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম কলেজ এলাকায় আমাদের গাড়িকে লক্ষ্য করে ইটপাটকের মেরে গাড়ি থামিয়ে ২০/২৫ জন ছাত্রলীগ কর্মীরা হামলা চালায়। পরে আমরা সংগঠিত হয়ে তাদের ধাওযা করি। এছাড়া তাদের হামলায় কয়েকজন আহত হয়েছে।
সিএমপির চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুর কাদের বলেন, ছাত্রলীগ ও যুবদলের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন আছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে পৌরসভা নির্বাচন: ২ কাউন্সিল প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ
বরিশাল সিটি নির্বাচন: হাতপাখার প্রার্থীর ওপর হামলা, নৌকার কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ
পাবনায় বিএনপির মিছিলে যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০
দেশে ‘অসহনীয় লোডশেডিং ও বিদ্যুত খাতে ব্যাপক দুর্নীতি‘র প্রতিবাদে কেন্দ্র ঘোষিত বিদ্যুৎ অফিসের সামনে বিএনপির অবস্থান ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে ফেরার পথে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পাবনা শহরের বড় ব্রিজের পাশে লতিফ টাওয়ার সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এতে জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিবসহ ১০ আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে ৮ জুন দেশব্যাপী বিএনপি’র অবস্থান কর্মসূচি
বিএনপির নেতাকর্মী ও প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে গোপালপুরস্থ জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের পাওয়ার হাউজ পাড়াস্থ বিদ্যুৎ অফিসে দিকে রওনা হয়। কিন্তু পথে বড় ব্রিজের মাথায় পুলিশ বাধা দেয়, এসময় পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বড় ব্রিজের পাশে ঘোড়া স্ট্যান্ডে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।
আরও পড়ুন: যুবলীগের পাল্টা কর্মসূচির কারণে বিএনপির ৬টি যুব সমাবেশের সূচি পরিবর্তন
এদিকে একই সময়ে পাবনা জেলা পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম সোহেলের নেতৃত্বে যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা ট্রাফিক মোড়ে অবস্থান নেন।
বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশ শেষে ফেরার পথে লতিফ টাওয়ার সামনে আসলে ট্রাফিক মোড়ে অবস্থান নেয়া যুবলীগ-ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সিনিয়র যুগ্ম-আহবায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টুসহ অনেকে আহত হন।
আরও পড়ুন: বিএনপির কাছে সংলাপ নিয়ে আমুর বক্তব্যের কোনো গুরুত্ব নেই: ফখরুল
চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে ৩ কমিটি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) ছাত্রলীগের দুই পক্ষের দফায় দফায় সংঘর্ষ ও প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা দেওয়ার ঘটনা তদন্তে তিনটি কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
শুক্রবার (২ জুন) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চবির শাটল ট্রেনে যান্ত্রিক ত্রুটি, ১৫ মিনিট দেরিতে শুরু ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা
প্রক্টর জানান, গত বুধবার রাতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় আলাওল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরিদুল আলমকে আহ্বায়ক এবং আমানত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক নির্মল কুমার শাহা ও সহকারী প্রক্টর হাসান মোহাম্মদ রোমানকে সদস্য করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সংঘর্ষের ঘটনায় গঠিত কমিটিতে আহ্বায়ক করা হয়েছে শহীদ আব্দুর রব হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. দানেশ মিয়াকে।
এ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- শাহ জালাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক জামাল উদ্দিন ও সহকারী প্রক্টর মোর্শেদুল আলম।
একই দিন দুপুরে প্রক্টরের কার্যালয়ে তালা দেওয়ার ঘটনায় আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
চবি জাদুঘরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বশির আহাম্মদকে আহ্বায়ক করে এই কমিটিতে প্রীতিলতা হলের প্রভোস্ট আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং গোপনীয় শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফজলুল করিমকে সদস্য করা হয়েছে।
প্রক্টর ড. নূরুল আজিম সিকদার বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় দুইটি এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার আরেকটি ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এর আগে খাবার হোটেলে বসা নিয়ে তুচ্ছ ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার সংঘর্ষে জড়ায় শাখা ছাত্রলীগের বগিভিত্তিক গ্রুপ সিএফসি ও সিক্সটি নাইনের কর্মীরা।
সেই ঘটনার জেরে বৃহস্পতিবার দুপুরে আরেক দফা সংঘর্ষে জড়ায় তারা।
এছাড়া উভয় ঘটনায় প্রক্টর, সহকারী প্রক্টর ও পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ২২ জন আহত হন।
সংঘর্ষ চলাকালে দুই পক্ষই প্রকাশ্যে অস্ত্র প্রদর্শন করে। একইদিন দুপুরে চাকরি চেয়ে প্রক্টর কার্যালয়ে তালা দেয় ছাত্রলীগের একাংশ।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে চবি কর্তৃপক্ষ ও হাটহাজারী পুলিশ যৌথভাবে বিভিন্ন হলে তল্লাশি চালিয়ে বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা উদ্ধার করে। এসব ঘটনায় কাউকে আটক করেনি পুলিশ।
আরও পড়ুন: চবিতে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ৮
চবিতে ফের সংঘর্ষ: ছাত্রলীগের অস্ত্রের মহড়া