ছাত্রলীগ
ইবিতে ছাত্রী নির্যাতনের সত্যতা মিলেছে, ছাত্রলীগ নেত্রীসহ ৪ জনের সিট বাতিল
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় স্থায়ীভাবে অভিযুক্ত পাঁচজনের আবাসিকতা (হলের বরাদ্দকৃত সিট) বাতিল করেছে কর্তৃপক্ষ।
সোমবার হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ঘটনার সত্যতা মিলেছে। এতে সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, তাবাসসুম, হালিমা খাতুন উর্মি, ইশরাত জাহাম মীম ও মোয়াবিয়ার সিট বাতিল করা হয়েছে। একইসঙ্গে স্থায়ীভাবে আবাসিকতা বাতিল করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: ইবিতে ছাত্রী হেনস্তা, বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
প্রসঙ্গত, বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে গত ১১ ও ১২ই ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী ফুলপরীকে রাতভর র্যাগিং, শারীরিকভাবে নির্যাতন ও বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করার অভিযোগ ওঠে। এতে শাখা ছাত্রলীগ সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী তাবাসসুম ইসলাম, মোয়াবিয়া জাহান, ইসরাত জাহান মিমি ও হালিমা খাতুন উর্মীসহ কয়েকজন জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর।
পরে ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৫ই ফেব্রুয়ারি একটি তদন্ত কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পরে ১৫ই ফেব্রুয়ারি পৃথকভাবে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল ও শাখা ছাত্রলীগ তদন্ত কমিটি গঠন করে।
এছাড়া, হাইকোর্টের নির্দেশেও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ইবিতে ছাত্রীকে শারীরিক নির্যাতন: ৩ সদস্যের কমিটি গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের
চবিতে ছাত্রলীগের উপগ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষে ৮ কক্ষ ভাঙচুর, আহত ৩
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের উপগ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে জড়িয়েছে ‘বিজয়’ গ্রুপ। এদের এক পক্ষ আলাওল ও এএফ রহমান হল এবং আরেকটি পক্ষ সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান করছে।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সোহরাওয়ার্দী হল মাঠে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এতে উভয় পক্ষের ইট পাটকেল নিক্ষেপে তিন ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে। এছাড়া ভাঙচুর করা হয়েছে সোহরাওয়ার্দী হলের আটটি কক্ষ। সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নিজ নিজ হলের সামনে অবস্থান করতে দেখা গেছে।
ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের অনুসারীরা দুই ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষ আলাওল হল ও এএফ রহমান হল থাকে। অপরপক্ষ সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান করে। ২০ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতের সংঘর্ষের পর উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলতে থাকে। সেই রাতের সংঘর্ষের জের ধরেই আজ আবারও হামলার ঘটনা ঘটেছে। সেদিন ঘটনার মীমাংসা না হওয়ায় কয়েকদিন থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলতে থাকে।
আরও পড়ুন: শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো নিয়ে চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো নিয়ে চবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০
একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই উপগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১টায় সংঘর্ষে জড়ায় দুই পক্ষ।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, চবি ছাত্রলীগে উপগ্রুপ বিজয়ের অনুসারীরা ‘ব্রাদার্স’ ও ‘মকু’ নামক দুটি ভাগে বিভক্ত। এর মধ্যে ‘ব্রাদার্স’ পক্ষটি আলাওল হল ও এ এফ রহমান হলে এবং অপরপক্ষ ‘মকু’ সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থান করে।
সোমবার রাত ১২টার পর একুশের প্রথম প্রহরে ব্রাদার্সের নেতাকর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের উদ্দেশ্যে যেতে চাইলে সোহরাওয়ার্দী হলে অবস্থানরত মকুর নেতাকর্মীরা তাদের বাধা দেয়। এ সময় দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয় বলে দুপক্ষ দাবি করে। আহতদের একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চবি মেডিকেল সেন্টারের কর্তব্যরত কর্মকর্তা দেলোয়ার জানান, ১১ জন খাতায় নাম লিখেছেন। কিন্তু প্রায় ২০ জনের মতো এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছেন। পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর। দু-একটি করে সেলাই লেগেছে। এর মধ্যে একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (সিএমসি) পাঠানো হয়েছে।
বিজয় গ্রুপের একাংশের নেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ওরা আমাদের রুম দখল করে রাখছিল। এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে তারা আমাদের ধাওয়া করে। পরে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। গত কয়েক দিন ধরে আলাওল হলে থাকা আমাদের কিছু কর্মীকে তারা বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আজকে রাতে আমরা আলাওল হলের দিকে যেতে চাইলে তারা আমাদের ধাওয়া করে।
ব্রাদার্সের একাধিক নেতাকর্মী জানান, একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের উদ্দেশে পুষ্পস্তবক নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।
জানা গেছে, ঘন্টাব্যাপী দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হলেও ঘটনাস্থলে পুলিশ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাউকে দেখা যায়নি। ফলে দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ রাত ২টা পর্যন্ত চলে।
চবির ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর ড. শহিদুল ইসলাম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি শান্ত করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব আমরা।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৬
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার রাতভর এ সংঘর্ষে কমপক্ষে ছয় জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
জানা যায়, রবিবার রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে প্রথম দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর রাত ৩টা পর্যন্ত এ সংঘর্ষ চলে।
আহতেরা হলেন-মহিউদ্দিন আহম্মেদ সিফাত, তাহমিদ জামান নাভিদ, রুম্মান হোসেন, আতাউর রাফি, মাহামুদুল হাসান তমাল ও গণিত বিভাগের আবিদ হোসেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৮ জন আহত
অন্যদিকে, সংঘর্ষের ঘটনাকে হামলা দাবি করে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে সোমবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন ছাত্রলীগের একাংশের নেতাকর্মীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের ছাত্র আল সামাদ শান্ত ও আইন বিভাগের মাহামুদুল হাসান তমাল গ্রুপের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র আতাউর রাফি ও বাংলা বিভাগের তাহমিদ হাসান নাভিদ গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলে আসছিলো।
এদের মধ্যে শান্ত ও তমাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহম্মেদ সিফাতের অনুসারী এবং রাফি ও নাভিদ ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ মোল্লার অনুসারী। সিফাত ও রিয়াজের মধ্যে কিছুদিন পূর্বে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিলো। এতে গুরুতর আহত হয়ে সিফাত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন দীর্ঘদিন।
সিফাত ক্যাম্পাসে ফিরে পুনরায় তার সমর্থকদের দিয়ে আধিপত্য বিস্তারেরর চেষ্টা করায় সংঘর্ষ বাধে রিয়াজ মোল্লার অনুসারী রাফি-নাভিদ গ্রুপের সঙ্গে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা আতাউর রাফি বলেন, দুই থেকে এক দিন আগে রুপাতলীতে বহিরাগতদের সঙ্গে একটু ঝামেলা হয়েছিলো আমাদের। রবিবার এটা মীমাংসার কথা ছিলো। তবে বহিরাগতরা দেশিয় অস্ত্র নিয়ে রাত ১০টার দিকে আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের ওপর দফায় দফায় হামলায় আমাদের তিনজন আহত হয়েছি। এই হামলায় বহিরাগতদের সঙ্গে যোগ দেয় আল সামাদ শান্ত ও মাহামুদুল হাসান তমালের অনুসারীরা।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় শোক সভায় আ. লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০
২০১৮-১৯ বর্ষের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা শরীফুল ইসলাম বলেন, কোনো কারণ ছাড়াই আল সামাদ শান্তর নেতৃত্বে বহিরাগতরা নাভিদ, রুম্মান ও আতাউরের ওপর হামলা চালায়। এতে তারা তিনজনই আহত হয়েছে। আমরা শান্তর বিচার দাবীতে ক্যাম্পাসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছি।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে আল সামাদ শান্তর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। তার মুঠোফোনের নম্বরটিতে কল করে বন্ধ পাওয়া গেছে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) প্রক্টর খোরশেদ আলম বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ৭ম ও ৮ম ব্যাচের দুই গ্রুপ ছাত্রদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। তাদেরকে বলে দিয়েছি ক্যাম্পাসে বিশৃঙ্খলা করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ফজলুল করিম বলেন, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে কয়েক দফায় সংঘর্ষের খবর শুনেছি। পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে এবং ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চবির শাটলে কথা কাটাকাটি, ছাত্রলীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ৩
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: ক্যাম্পাসে ফিরেছে ছাত্রলীগের নির্যাতনের শিকার
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের হাতে নির্যাতিত কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ওই ছাত্রী হাইকোর্টের শনিবারের নির্দেশনার আদেশ অনুযায়ী কড়া নিরাপত্তায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরেছে।
১২ ফেব্রুয়ারি শেখ হাসিনা হলে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়(আইইউ) ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শানজিদা চৌধুরী অন্তরা এবং তার কর্মীদের হাতে নির্যাতন ও ভয় দেখানোর পাঁচ দিন পর তিনি তার বাবা-মায়ের সঙ্গে ক্যাম্পাসে ফিরে আসেন।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ওই শিক্ষার্থীকে বহনকারী একটি পুলিশ ভ্যান ক্যাম্পাসে আসে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠিত তদন্ত কমিটির সামনে সাক্ষ্য দিতে তাকে সরাসরি দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে নিয়ে যাওয়া হয়।
পরে বেলা ১টা থেকে ৪টা পর্যন্ত যথাক্রমে হল কর্তৃপক্ষ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটি তার সাক্ষাৎকার নেয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আন্নুর জায়েদ বিপ্লব ইউএনবিকে বলেন, শিক্ষার্থীর নিরাপত্তার জন্য ক্যাম্পাসে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন বলে জানান ওসি।
এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি আইইউ ছাত্রলীগ শাখার সহ-সভাপতি ও আবাসিক ছাত্রী শানজিদা চৌধুরী অন্তরা ওই ছাত্রীকে তার কক্ষে ডেকে নেন।
শনিবার রাতে অসুস্থতার কারণে অন্তরার সঙ্গে দেখা না করায় অন্তরা এবং তার অর্থ ও ব্যাংকিং বিভাগের শিক্ষার্থী তাবাসসুমের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ কর্মী ভিকটিমের কক্ষে যায় এবং তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে।
পরে, অন্তরা ও তার সহকর্মীরা তাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে লাঞ্ছিত ও নির্যাতন করে। অন্তরা একপর্যায়ে ভিকটিমকে কাপড় খুলে ফেলতে বাধ্য করে এবং তার মোবাইল ফোনে ‘র্যাগিং’ ঘটনার ভিডিও করে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে ঢাবিতে মশাল মিছিল
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, অন্তরা হুমকি দিয়েছিল যে যদি ভিকটিম বিষয়টি কাউকে প্রকাশ করেন তাহেলে তিনি ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করবেন। সব মিলিয়ে তার অগ্নিপরীক্ষা ৪ ঘন্টারও বেশি স্থায়ী হয়েছিল বলে জানা গেছে।
১৪ ফেব্রুয়ারি ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টা ও হল প্রভোস্টসহ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও আইনজীবী গাজী মোহাম্মদ মহসিন বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে একটি রিট আবেদনও করেন।
বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখতে এবং আগামী ১০ দিনের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অভিযুক্তকে হল ও বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিযুক্ত কমিটির পাশাপাশি, ঘটনার আরও তদন্তের জন্য একটি পৃথক কমিটি গঠন করতে এবং আগামী সাত দিনের মধ্যে একটি প্রতিবেদন জমা দিতে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দিয়েছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি: ঢাবির ২ ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
ঢাবিতে ছাত্র অধিকারের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় বেশ কয়েকজন আহত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্যদের ওপর ছাত্রলীগের হামলায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার টিএসসিতে ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মীরা সংগঠনের ৬ষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের প্রস্তুতি নেয়ার সময় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা জানান, তারা তাদের কর্মসূচি পালন করতে টিএসসিতে প্রবেশের চেষ্টা করলে ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী তাদের বাধা দেয় এবং হামলা চালায়।
হামলায় অধিকার পরিষদের কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান তারা।
আহতদের চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে অধিকার।
তাছাড়া, ঢাকা পোস্ট এর ক্যাম্পাস প্রতিনিধি আমজাদ হোসেন সার্জেন্ট জহরুল হক হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ছাত্রলীগ নেতা ফরিদ জামানের হাতে হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বরগুনায় বিএনপির কার্যালয়ে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ, আহত ৮
আমজাদ বলেন, ‘সংঘর্ষের ভিডিও করার সময় ফরিদ জামান ও তার কয়েকজন অনুসারী আমার কাছে এসে আমার মোবাইল ছিনতাই করে চেক করার চেষ্টা করে।
আমজাদ বলেন, আমার রিপোর্টার পরিচয় জেনেও ফরিদ আমার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে।
তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানবীর হাসান সৈকত উভয় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এ হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পর্ক নেই। যতটুকু শুনেছি, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, হামলার কথা শুনেছি। তবে ছাত্র অধিকার পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনো অনুমতি নেয়নি। ক্যাম্পাসে কোনো অশান্তি সৃষ্টি করা তাদের উচিৎ নয়।’
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগের চাপে চট্টগ্রাম সিটি কলেজের ২ শিক্ষকের পদত্যাগ
ছাত্রলীগের চাপে চট্টগ্রাম সিটি কলেজের ২ শিক্ষকের পদত্যাগ
চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজে ছাত্রলীগের আন্দোলন ও চাপের মুখে দুই শিক্ষক নেতা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কলেজের বর্ষপঞ্জিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি না দেয়ার অভিযোগ তুলে দুই শিক্ষক নেতা শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আজম মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত ও শিক্ষক ক্লাবের সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে লরির সঙ্গে শিক্ষা সফরের বাসের সংঘর্ষ, ২৬ ছাত্র-শিক্ষক আহত
তাদের দাবির মুখে বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক ও শিক্ষক ক্লাবের সম্পাদক কলেজের অধ্যক্ষ ড. সুদীপা দত্তের কাছে এ পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম সিটি কলেজ মুদ্রিত একাডেমিক বর্ষপঞ্জি (আপন ভুবন) বের হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননার অভিযোগ তুলে ছাত্রলীগ নেতারা। গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে তারা। এ সময় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে চার দফা দাবি কলেজ অধ্যক্ষ বরাবর উপস্থাপন করা হয়।
দাবিগুলো হল- শিক্ষক ক্লাব ও শিক্ষক পরিষদের দায়িত্ব থেকে দুই শিক্ষক নেতাকে অব্যাহতি প্রদান। মুদ্রণ কমিটির আহ্বায়ক মো. আলমগীর ও সদস্য সচিব আরিফ মঈন উদ্দিন খানের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ। বর্তমান মুদ্রিত একাডেমিক বর্ষপঞ্জি (আপন ভুবন) ২০২৩ বাজেয়াপ্ত করে পুনঃসংস্করণ করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী ও প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠীর শিক্ষকদের ভবিষ্যতে কলেজে অনুষ্ঠেয় জাতীয় দিবস ও অন্যান্য অনুষ্ঠান পরিচালনার জন্য গঠিত বিভিন্ন উপ-কমিটিতে যাতে দায়িত্ব অর্পণ করা থেকে বিরত রাখা।
সুদীপা দত্ত বলেন, ছাত্রলীগের দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আজম মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত ও শিক্ষক ক্লাবের সম্পাদক মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিন পদত্যাগ করেছেন। তারা আমার কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন।
এ ব্যাপারে পদত্যাগকারী দুই শিক্ষক নেতা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আশীষ সরকার নয়ন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি অবমাননাকারী আজম মোহাম্মদ আনোয়ার সাদাত ও মোহাম্মদ গোলাম মহিউদ্দিনের পদত্যাগের দাবিতে শুরু থেকেই আন্দোলন করে আসছি। আমাদের দাবির মুখে ওই দুই শিক্ষক তাদের পদ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।
উল্লেখ্য, এর কয়েকদির আগে চট্টগ্রাম সরকারি হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজে ছাত্রলীগ নেতাকে নকল করতে বাধা দেয়ার কারণে কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী নাঈমের হাতে লাঞ্ছিত হন শিক্ষক মুজাহিদুল ইসলাম। ওই ছাত্রলীগ নেতা শিক্ষককে মেরে বদলির হুমকি দেয় এবং গালাগাল করে।
সহকর্মীকে এমন লাঞ্ছনার ঘটনার প্রতিবাদ করেন ওই কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সুবীর দাশ। এ ঘটনার কোনো ধরনের সুরাহা না হওয়ায় পদত্যাগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রাথমিক শিক্ষকদের বদলির কাজ চলতি মাসে শুরু
ইবি শিক্ষকের গাড়ির ধাক্কায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু
চবিতে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের মধ্যে মধ্যরাতে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে চবির শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক ছাত্রলীগের বিজয়, সিএফসি ও সিক্সটি নাইন নামের তিনটি গ্রুপের (উপ-দল) মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়েছে। এতে তিন থেকে পাঁচজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে, আহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বিজয় ও সিএফসি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এবং সিক্সটি নাইন নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।
আরও পড়ুন: চবির চারুকলা সংস্কারকাজে এক মাস বন্ধ ঘোষণা
ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়ায় উভয়পক্ষের মধ্যে চলে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ। এসময় দেশীয় অস্ত্র হাতে কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মীকে দেখা যায়।
জানা যায়, রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেশন তলায় সিক্সটি নাইনের এক কর্মীর সঙ্গে সিএফসির এক কর্মীর কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সিএফসিকে সমর্থন দেয় বিজয় গ্রুপ। এতে সংঘর্ষ ত্রিমুখী হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বিদ্যুতের লাইন বিচ্ছিন্ন করে তিন গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষ চলতে থাকে।
আরও জানা যায় যে ঘটনাস্থলে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। এছাড়া দেশীয় অস্ত্র হাতে মহড়া দিতে দেখা যায় তিন পক্ষের নেতাকর্মীদের।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর আহসানুল কবীর পলাশ বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমরা পুলিশের সহযোগিতায় ছাত্রলীগের তিন পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: চবির চারুকলায় পুলিশের অভিযান, ছাত্র হোস্টেল থেকে ছাত্রী আটকের দাবি
রাজধানীতে ট্রেনে কাটা পড়ে চবি’র সাবেক শিক্ষকের মৃত্যু
চট্টগ্রামে পিকআপের ধাক্কায় ছাত্রলীগ নেতা নিহত
চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় পিকআপের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী এক ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের গার্লস স্কুলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আহতাবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিলে রাত ১টায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত ওবাইদুল হক জাহেদ (২৫) একই ইউনিয়নের সাপলেজাপাড়া এলাকার আমিনুল হকের ছেলে এবং উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক ছিলেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কুকি চিনের সংঘর্ষ, নিহত ১
জানা গেছে, ছাত্রলীগ নেতা জাহেদ পদুয়া দশমাইল বাজার থেকে কাজ শেষে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফেরার পথে সড়কের গার্লস স্কুলের সামনে এলে একটি দ্রুতগামী গাছভর্তি পিকআপ তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে রাত ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবাইদুল ইসলাম বলেন, পিকআপ ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে জাহেদ মারা গেছেন।
খবর পেয়ে পুলিশ দুর্ঘটনাস্থল থেকে পিকআপটি জব্দ করেছে। চালক ও সহকারী পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় জাহেদের পরিবার থেকে মামলা না করার কথা জানিয়েছেন বলেও জানান ওসি।
আরও পড়ুন: পাকিস্তানে যাত্রীবাহী বাসে আগুন, নিহত ৪০
ববিতে হলে ঢুকে শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম: আটক ৪
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) গণিত বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা দাবীদার মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাতকে হলে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ ছাত্রলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার আলী আশরাফ ভূঁঞা।তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাতভর অভিযান চালিয়ে আলীম সালেহী, রিয়াজ উদ্দিন মোল্লা, শামীম সিকদার ও শেখ রেফাত মাহমুদকে আটক করে বন্দর থানা পুলিশ। বাকি আসামিদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। হামলার শিকার ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে কোনো মামলার আবেদন জানানো হয়নি এখনো।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ঢুকে ঘুমন্ত দুই ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে জখমতিনি আরও জানান, কি কারণে এ ঘটনা ঘটেছে এই বিষয়ে আমরা জিজ্ঞেসাবাদ করছি। আশা করছি মূল ঘটনা দ্রুতই বেরিয়ে আসবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের ৪০১৮ নম্বার রুমে হেলমেট পরিহিত একদল যুবক মহিউদ্দিন আহমেদ সিফাতের ওপর হামলা করে। এ সময় তাকে বাঁচাতে গিয়ে জিএম ফাহাদ ও একে জিহাদ নামের দুই শিক্ষার্থী আহত হয়। তারা সবাই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শেরে বাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
আর হামলাকারী হিসেবে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারাও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রলীগের সংগঠক।
হামলার শিকার ও হামলায় অভিযুক্ত সকলেই বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী।
আরও পড়ুন: বরিশালে প্রেমিককে ভিডিও কলে রেখে প্রেমিকার আত্মহত্যা!
বরিশালে পাখি শিকারের দায়ে যুবকের ৬ মাসের কারাদণ্ড