আওয়ামী লীগ
আ. লীগ নাৎসিদের মতো দেশ শাসন করছে: রিজভী
আওয়ামী লীগ নাৎসিদের মতো দেশ শাসন করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যর্থতার পাশাপাশি গণতন্ত্রের ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে নাৎসিদের মতো চরম বর্বরতার সঙ্গে দেশ শাসন করছে।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে প্রতিবেশী দেশের 'যুদ্ধের করিডোরে' পরিণত করা হচ্ছে: রিজভী
রিজভী বলেন, মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উদযাপনের জন্য দেশের মানুষ অপেক্ষা করছে। কিন্তু উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে সীমিত আয়ের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা এখন কঠিন। তাই তাদের মুখে আনন্দের চিহ্ন নেই।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘শাসক মহলের ব্যাপক দুর্নীতি ও লুটপাট ধনী-দরিদ্রের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ব্যবধান বাড়িয়ে দিয়েছে। দেশের নিম্ন মধ্যবিত্ত ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে দৈনন্দিন জীবন যাপনে কষ্টের মধ্যে ফেলেছে।’
আরও পড়ুন: উন্নয়নের নামে জনগণের টাকা লুটপাট করেছে আ. লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলো: রিজভী
তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে গরিব মানুষ নিঃশব্দে কাঁদছে। সরকার মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ না করে, সিন্ডিকেটের চক্র ধ্বংস না করে বিরোধী দলকে দমন করতে ব্যস্ত।’
বিদেশে চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত করে সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৬ বছর ধরে কারাগারে আটকে রেখেছে বলে দাবি করেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, প্রায় প্রতিদিনই বিএনপির কিছু নেতাকর্মী খুন বা গুমের শিকার হচ্ছে, কারারুদ্ধ হচ্ছে অথবা মিথ্যা মামলা দেওয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘ওদের (বিএনপির নেতাকর্মীদের) সারাদিন আদালত প্রাঙ্গণে কাটাতে হয়। ফলে যাদের চাকরি ছিল তারা চাকরি হারিয়েছেন, ব্যবসা ধ্বংস হয়ে গেছে। সরকার দেড় লাখ মামলা দিয়েছে, যেখানে বিএনপির ৫০ লাখ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে।’
বিএনপির উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নেতাকর্মী চাকরি ও ব্যবসা হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে জানান রিজভী।
আরও পড়ুন: সরকার জনগণের কাছে সিন্ডিকেট ও লুটেরা হিসেবে পরিচিত: রিজভী
আওয়ামী লীগ সরকারের একমাত্র সাফল্য অর্থ পাচার: মঈন খান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্যের গল্প মাত্র দুটি- বিরোধী দলের ওপর জুলুম-নির্যাতন এবং গরিব মানুষের অর্থ বিদেশে পাচার। ‘অন্য সব সেক্টরে ব্যর্থ হয়েছে।’
বৃহস্পতিবার বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের পরিবারের সঙ্গে তার সার্কিট হাউজ রোডের বাসভবনে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি।
এ সময় গত ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির প্রায় ১৮ জন নেতা-কর্মীকে হত্যা এবং আরও অনেককে গুম করা হয়েছে বলে দাবি করেন ড. মঈন।
সরকার কীভাবে হাবিব উন নবীর বিরুদ্ধে চার শতাধিক মামলা করতে পারে, তা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেন বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি: মঈন খান
মঈন অভিযোগ করেন, ‘যারা সরকারের অবৈধ কর্মকাণ্ডকে চ্যালেঞ্জ করে এবং সমালোচনা করে তাদের প্রায়শই মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত করা হয় এবং কারাদণ্ড ও অমানবিক নির্যাতন করা হয়।’
জাতীয় নির্বাচন তদারকিতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গত বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিরোধী দলের মহাসমাবেশ বানচাল করার পর সরকার বিএনপির ২৬ হাজার নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর গঠিত সংসদের নিন্দা জানান।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান সংসদ একতরফা ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত হয়েছে। এটা দেশের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না।’
আওয়ামী লীগ সরকার বিচার বিভাগ, সিভিল প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, এমনকি নির্বাচন কমিশনসহ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে বলে দাবি করেন মঈন।
তিনি বলেন, ‘এসব প্রতিষ্ঠান পুনর্গঠন ছাড়া আইনের শাসন ও একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ সম্ভব হবে না। এই রকম সহিংস পরিবেশে বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না।’
মঈন খান আরও বলেন, সরকার শুধু রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকেই ধ্বংস করেনি, দেশের আর্থিক ব্যবস্থাকেও ধ্বংস করেছে।
আরও পড়ুন: পকেট ফাঁকা থাকায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে পারছে না জনগণ: মঈন খান
বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিদেশে পাচার হওয়ায় ব্যাংকিং খাত তারল্য সংকটে ভুগছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
মঈন খান বলেন, ‘তারা গরিব মানুষের টাকা লুটপাট করে কানাডায় বেগম পাড়া, দুবাইয়ে গুলশান ৩, মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম প্রতিষ্ঠা করেছে।’
তিনি বলেন, টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে ব্যাংক ম্যানেজাররা এখন গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছেন।
তিনি আরও বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে তথাকথিত সবল ব্যাংকগুলোর সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়ার নামে সরকার নতুন খেলা শুরু করেছে।
ড. মঈন বলেন, সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয়েছে কারণ তারা একজন রোহিঙ্গাকেও মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে সফল হয়নি। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার রোহিঙ্গাদের দেশে ফেরত পাঠাতে পারত।
আরও পড়ুন: আ. লীগ গণতন্ত্রের পরিবর্তে দেশে একটি ‘অলিগার্কি’ তৈরি করেছে: মঈন খান
সুবিধাভোগীরা ছাড়া সবাই সরকারের বিপক্ষে কথা বলছে: আমীর খসরু
আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগীরা ছাড়া সবাই সরকারের বিপক্ষে কথা বলছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, একটি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ আজকে কোথায় দাঁড়িয়ে আছে। দেশে-বিদেশে সবার মধ্যে একটি প্রশ্ন- বাংলাদেশ কোথায় আছে?
সোমবার (১ এপ্রিল) বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর নাসিরাবাদ কনভেনশন হলে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) চট্টগ্রাম শাখার চিকিৎসক সমাবেশ ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: নাশকতা মামলায় মির্জা ফখরুল ও আমীর খসরুর জামিন নামঞ্জুর
তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে। ৭ জানুয়ারি তো কোনো নির্বাচন হয়নি, হয়েছে গণভোট। বিএনপির পক্ষ থেকে ডাক দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষ যাতে নির্বাচনে না যায়। সেদিন বাংলাদেশের ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ নির্বাচনে না গিয়ে গণভোটে শেখ হাসিনার নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রত্যাখান করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ গণভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অবস্থান আবার পরিষ্কার করেছে। তারা এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে চায়। তারা তাদের ভোটাধিকার, গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। গণমাধ্যমের অধিকার ফিরে পেতে চায়। ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ সেদিন জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। পাঁচ শতাংশেরও কম মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, সুশীল সমাজ, যারা আগে মুখ খুলত না, তারাও পরিষ্কার ভাষায় এ অবৈধ সরকারকে প্রত্যাখান করেছে, তারা আজ গণতন্ত্রের পক্ষে কথা বলছে।
চট্টগ্রাম জেলা ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. তমিজ উদ্দিন আহমেদ মানিকের সভাপতিত্বে ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ড্যাবের সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. ফয়েজুর রহমানের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য দেন- ড্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদ।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় বিশেষ সাংবাদিক গোষ্ঠী সৃষ্টি করা হয়েছে : আমীর খসরু
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর
‘নির্বাচনী ইশতেহারের অগ্রাধিকার বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের দৃষ্টি আকর্ষণ’
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যে ১১টি বিষয়কে অগ্রাধিকার দেওয়া আছে, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান।
সোমবার (৪ মার্চ) ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সেশন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি না: শ্রমপ্রতিমন্ত্রী
ডিসিদের জন্য আপনাদের কোনো নির্দেশনা ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কৃচ্ছ্রসাধনের বিষয়টি ডিসিদের আগেই বলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে আজ সার্বিক বিষয়ে কথা বললাম। প্রকল্প বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে তারাই কাজ করেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যে ১১টি অগ্রাধিকার দেওয়া আছে, সে বিষয়েও তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
সে অগ্রাধিকারের যে নির্দেশনা আছে সে বিষয়ে কথাগুলো উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অনুপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী
ছোট-বড় যেকোনো দুর্নীতি নির্মূলের চেষ্টা করব: সমবায় প্রতিমন্ত্রী
‘মুখে বঙ্গবন্ধু, অন্তরে আরেক’ এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে: দীপু মনি
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, রাজনীতি করতে হলে স্বচ্ছতার প্রয়োজন। তাই মুখে বঙ্গবন্ধু, অন্তরে আরেক- এর থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
দীপু মনি মবলেন, সব নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে।
আরও পড়ুন: বিএনপি অসহযোগের নামে মানুষ হত্যা করছে: দীপু মনি
শনিবার (২ মার্চ) সকাল ১১টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার ফরক্কাবাদ ডিগ্রি কলেজ মাঠে জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী বালিয়া ইউনিয়নের কেন্দ্র কমিটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বালিয়া ইউনিয়নে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অন্য ইউনিয়নের চেয়ে বালিয়া ইউনিয়নে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। তবে কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোট ভালো হয়েছে। ইউনিয়নের মধ্যে সাপদি ভোট কেন্দ্রে সবচেয়ে বেশি ভোট হয়েছে। এজন্য কেন্দ্র কমিটিকে ধন্যবাদ।
দীপু মনি আরও বলেন, কেন্দ্র কমিটির সঙ্গে মত বিনিময়ের কারণ হলো ভুল ত্রুটিগুলো পরবর্তী সময়ে নির্বাচনগুলোর জন্য সংশোধন করা। আমাদের ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডগুলোকে গোছাতে হবে।
আগামীতে কেন্দ্র কমিটিগুলো ওয়ার্ডে বসে গঠন করা হবে। এমন লোকদের কমিটিতে আনতে হবে, যারা নির্বাচনে আগের দিন অর্থের কাছে বিক্রি হয় না কিংবা দলের সঙ্গে বেইমানি করে না।
আরও পড়ুন: সাংবাদিকতায় অনেক সময় নিরপেক্ষতার কথা বলে দায়িত্ব এড়িয়ে যাওয়া হয়: দীপু মনি
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের চেষ্টার পাশাপাশি সবারই সহযোগিতা প্রয়োজন: দীপু মনি
হেফাজত নেতা মামুনুলের ২ মামলায় জামিন আপিল বিভাগে বহাল
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও থানায় আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর করার অভিযোগে দায়ের করা দু’টি মামলায় হেফাজতে ইসলামের সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
সোমবার (৫ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে মামুনুল হকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট এ আর রায়হান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।
পরে জয়নুল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, প্রায় তিন বছর থেকে জেলে আছেন মামুনুল হক। এ দু’টি মামলায় আজ পর্যন্ত পুলিশ অভিযোগ পত্র দাখিল করেননি। ফলে তিনি জামিন পেতে পারেন। পরে আপিল বিভাগ তার জামিন বহাল রেখেছেন।
আরও পড়ুন: দুই মামলায় মামুনুল হকের জামিন আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ
২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে মামুনুল হককে নারীসহ অবরুদ্ধ করেন স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ লোকজন।
পরে পুলিশ গিয়ে মামুনুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় খবর পেয়ে হেফাজত ও মাদরাসার ছাত্ররা ওই রিসোর্টে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেন। পরে হেফাজতের নেতা–কর্মীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেন এবং টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এসময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর চালান নেতা-কর্মীরা।
এরপর একই বছরের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে ঢাকা মহানগর তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
রয়েল রিসোর্ট কাণ্ডের ২৭ দিন পর ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় হাজির হয়ে কথিত স্ত্রী জান্নাত আরা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর, রয়েল রিসোর্টে ভাঙচুরসহ বেশ কিছু অভিযোগে পৃথক মামলা হয় তার বিরুদ্ধে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফর ঘিরে সহিংসতা ও রিসোর্টকাণ্ডে রাজধানীর পল্টন থানা ও নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ থানায় দু’টি মামলা হয় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে। পরে তাকে বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত বছরের ৯ মে বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ নারায়ণগঞ্জের সোনাগাঁও থানায় করা দুই মামলায় মামুনুল হককে জামিন দেন।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ১০ মে এই দুই মামলায় জামিন স্থগিত করেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত। এরপর বিষয়টি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য ওঠে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আপিল বিভাগ দু’টি মামলায় তার জামিন বহাল রাখেন।
আরও পড়ুন: আরও ৩ মামলায় জামিন পেল মামুনুল হক
প্রশাসন একপেশে আচরণ করছে: এ কে আজাদ
আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের বাহিনী দিয়ে ঈগল প্রতীকের কর্মী-সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে ফরিদপুরে একটা ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ।
এ ছাড়া পুলিশ প্রশাসনও একপেশে আচরণ করছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা
নির্বাচনের ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকার নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ঈগল প্রতীকের প্রার্থী এ কে আজাদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মী।
এ কে আজাদ বলেন, বাংলাদেশকে বেকারত্ব ও ক্ষুধামুক্ত করার মিশনে ঈগলের পক্ষে জনসমর্থন দেখে তা নস্যাৎ করার চেষ্টা করছেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শামীম হক ও তার সমর্থকরা। সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে বারবার নানা কায়দায় বাধার সৃষ্টি করছেন। এতে সরকারের সুনাম ক্ষুণ্ণ হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির চক্রান্ত বন্ধ করতে নৌকায় ভোট দিন: ফরিদপুরে শেখ হাসিনা
তিনি বলেন, গত ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ঈগল সমর্থক নেতা-কর্মীদের হামলা-মামলা, ভয়-ভীতি দেখানো অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্প পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটাচ্ছে। এসব ঘটনায় পাঁচটি মামলা এবং ১৪টি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার পরও দুই-একটি ছাড়া তেমন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে উল্লেখ করে এ কে আজাদ বলেন, নির্বাচনের পরিবেশকে অস্থিতিশীল করতে আমার নেতা-কর্মীদের বাড়ি গিয়ে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। তারা যাতে বাসায় না থাকেন এই ভয়ও দেখানো হচ্ছে। শামীম হকের গুণ্ডাবাহিনী ও পুলিশ হুমকি দেওয়া অব্যাহত রেখেছে। একই সঙ্গে ঈগল সমর্থক নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ফরিদপুরে আ. লীগের নেতা-কর্মীদের উপচেপড়া ভিড়
তিনি বলেন, গত রাতেও পুলিশ ঈগল প্রতীকের সমর্থক ও একাধিক নেতা-কর্মী বাসায় হানা দিয়ে নানা রকম ভয়ভীতি দেখিয়েছে। এতে করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
সংবাদ সম্মেলনে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিরপেক্ষ করার আহ্বান জানান এ কে আজাদ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর চেম্বারের সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
নাটোরে লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির সঙ্গে পুলিশ-আ. লীগের সংঘর্ষে ৭ জন আহত
নাটোরের সিংড়ায় লিফলেট বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে ২ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন।
এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দাউদার মাহমুদসহ ৩ জনকে।
ভাঙচুর করা হয়েছে বিএনপির দাউদার মাহমুদের পেট্রোল পাম্প, পুলিশের একটি গাড়িসহ অন্তত ৭টি গাড়ি।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দাউদার মাহমুদের নেতৃত্বে সিংড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লিফলেট বিতরণ শুরু করে বিএনপি। এ সময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও যানবাহন ভাঙচুর করা হয়। আওয়ামী লীগের কর্মীরা বিএনপির কর্মীদের ধাওয়া করে এবং দাউদার মাহমুদের পেট্রোল পাম্পে ভাঙচুর করা হয়।
পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বরিশালে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২৫
নৌকার প্রচারের মধ্যে বেজে উঠল হিন্দি গান, সংঘর্ষে আহত ৭
বিএনপি চোরাগুপ্তা হামলা করে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে: ড. মোমেন
আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র বিশ্বাস করে বলেই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছে। অন্যদিকে বিএনপি চোরাগুপ্তা হামলা চালিয়ে দেশে সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টির পায়তারা করছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, বিএনপির অসহযোগ আন্দোলন দুঃখজনক। তারা মনে করছে নির্বাচনে এলে তারা ভোট পাবে না। বিএনপি ভুল পথে চলছে। আল্লাহ তাদের হেদায়েত দান করুক।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সকালে সিলেট নগরীতে নির্বাচনী প্রচারের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মোমেন এসব কথা বলেন।
সিলেট-১ আসনের আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সকালে লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচার চালান।
এরপর তেরো রতন ও গোটাটিকর শিল্প এলাকায় লিফলেট বিতরণ করেন এবং ভোট চান।
এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১৭০ মিলিয়ন মানুষের দেশ, বিশ্বের ৩৩তম বৃহত্তম অর্থনীতি। আমরা এখন আত্মনির্ভরশীল। সব দেশের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক আছে। বাংলাদেশ আফগানিস্তান নয়, কাজেই দু-একটি দেশের হুমকি-ধমকিতে কোনো লাভ হবে না।
প্রচারের সময় ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সালেহ আহমদ সেলিম, কৃষি ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, আফসর আহমদ, ২২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ফজলে রাব্বী চৌধুরী মাসুম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি ডা. আব্দুল ওয়াহিদ, মো. আবুর কামাল, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহসাধারণ সম্পাদক সাজেদা পারভীন, সৈয়দা রাবেয়া ইসলাম, সুলতানা বেগম, ওয়ার্ড সভাপতি জাভেদ আহমদ, ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি হোসেন আহমদ, তারেক আহমদ, সুয়েব আহমদসহ স্থানীয় নেতারা।
আরও পড়ুন: এমন নির্বাচন হবে যা দেখে দুনিয়ার সবাই শিখবে: মোমেন
গণতন্ত্রে নির্বাচনের বিকল্প নেই: ড. মোমেন
শুধু দেশ নয়, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্যেও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ড. মোমেন
আ. লীগের ইশতেহারে নারী উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বড় পদক্ষেপের অঙ্গীকার
উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী নারীদের সুবিধার্থে বড় ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে আওয়ামী লীগ।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে 'স্মার্ট বাংলাদেশ: উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান' স্লোগান নিয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ উন্মোচন করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
সরকারের উন্নয়ন ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের সঙ্গে নারীদের জন্য নীতিমালা সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকবে বলে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
ইশতেহারে বলা হয়, নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা অর্জন, অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং নারীর উন্নয়নে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। গ্রামীণ নারীদের সামাজিক অবস্থার উন্নতি হবে এবং শ্রমশক্তিতে তাদের অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়বে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন-শান্তি-সমৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিয়ে আ. লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন শেখ হাসিনা
এতে আরও বলা হয়েছে, সাধারণ আসনগুলোতে ক্রমবর্ধমান সংখ্যায় নারীরা নির্বাচিত হচ্ছেন এবং রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় কমপক্ষে ৩৩ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা আওয়ামী লীগের লক্ষ্য।
কর্মক্ষেত্রে নারীর নিরাপত্তা, বন্ধুত্বপূর্ণ কর্মপরিবেশ, মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। ঢাকা ও জেলা সদরে শিশুদের জন্য ডে-কেয়ার সেন্টার এবং কর্মজীবী নারীদের জন্য হোস্টেলের বাস্তবায়ন অব্যাহত থাকবে।
ইশতেহারে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার মানব পাচার, বিশেষ করে নারী ও শিশু পাচার কঠোরভাবে মোকাবিলা করতে আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করেছে এবং তা আরও সক্রিয় ও কার্যকর করা হবে।
এতে বলা হয়, বিশেষ করে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন খাতে নারী উদ্যোক্তা ও স্টার্টআপগুলোর জন্য আর্থিক সহায়তা, উপদেষ্টা সেবা ও সম্পদ নিশ্চিত করা হবে। অনুদান, ঋণ ও বিনিয়োগ উদ্যোগের মাধ্যমে ই-কমার্স বা মালিকানাধীন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নারীদের মূলধনের প্রাপ্যতা সহজ করা হবে।
আরও পড়ুন: ভয়ভীতি সত্ত্বেও আসন্ন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি সন্তোষজনক হবে: কাদের
ইশতেহারে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় নারী ও পুরুষ শিক্ষার্থীর অনুপাত প্রায় সমান, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নারীর সংখ্যা ৩৬ দশমিক ৩০ শতাংশ। নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদান এবং কর্মসংস্থানের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলাসহ উচ্চশিক্ষায় নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের ইশতেহারে আরও বলা হয়েছে, নারী উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে জয়িতা ফাউন্ডেশনের ভূমিকা সম্প্রসারণ করা হবে। জয়িতা ফাউন্ডেশনের আওতায় সব বিভাগীয় সদর, জেলা ও উপজেলায় নারীবান্ধব বিপণন অবকাঠামো গড়ে তোলা হবে।
আওয়ামী লীগের ইশতেহারে বলা হয়েছে, তা ছাড়া নারী হয়রানির মামলা নিষ্পত্তির জন্য পৃথক আদালতে বাদীদের সরকারের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তার বিধান আরও কার্যকর করা হবে। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নে আরও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা বুধবার