খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার
বাজারে মোটা চালের দাম বাড়েনি: খাদ্যমন্ত্রী
বাজারে মোটা চালের দাম বাড়েনি বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দাম কমতির দিকে। মোটা চালের অধিকাংশ নন হিউম্যান কনজামশনে চলে যাওয়ায় এবং মানুষের খাদ্যাভাস পরিবর্তনের কারণে সরু চালের ওপর নির্ভরতা বেড়েছে। এই কারণে সরু চালের দাম কিছুটা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির ভার্চুয়াল সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: কোনভাবেই চালের বাজার অস্থিতিশীল করতে দেয়া হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আসন্ন বোরো সংগ্রহ ২০২২ মৌসুমে ছয় দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন ধান, ১১ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, শূন্য দশমিক ৫০ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সংগ্রহ মৌসুম ২৮ এপ্রিল থেকে শুরু ৩১ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত চলবে। প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ধান ২৭ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪০ টাকা এবং আতপ চাল ৩৯ টাকা।
এছাড়া ২০২১ সালে ধান চালের দাম একই ছিল বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পরনির্ভরতা কমাতে কৃষি প্রণোদনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
এ সময় তিনি সরু ধানের উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণে সভায় উপস্থিত কৃষিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সভায় কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, খাদ্য সচিব ও মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের সচিব মতামত তুলে ধরেন।
ধানের নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে কাজ করছে সরকার: মন্ত্রী
কৃষকের ধানের নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে খাদ্য মজুত বাড়াতে এবং কৃষকের নায্য মূল্য নিশ্চিত করতে কাজ করেছে সরকার।’
রবিবার নারায়ণগঞ্জে সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপো (সিএসডি) ক্যাম্পাসে রাইস সাইলো এবং প্রিমিক্স কার্নেল ফ্যাক্টরি নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: পরনির্ভরতা কমাতে কৃষি প্রণোদনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা এরই মধ্যে নিশ্চিত হয়েছে, এখন পুষ্টিকর খাদ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেয়া সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। নারায়ণগঞ্জ রাইস সাইলো এবং কার্নেল ফ্যাক্টরি এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
পরনির্ভরতা কমাতে কৃষি প্রণোদনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, ‘নিজেদের প্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে পরনির্ভরতা কমাতে সরকারি প্রণোদনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’ এ সময় তিনি প্রণোদনা নিয়ে চাষাবাদ বাড়াতে কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
সোমবার নওগাঁর পোরশা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রবি ২০২১-২২ মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ অনুষ্ঠানের তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
মন্ত্রী বলেন, ‘বাজারে প্রায়শই যে সকল পণ্যের দাম বাড়ে সেগুলো আমাদের দেশে কম উৎপাদন হয়। পরনির্ভরতার কারণে সেসব পণ্য আমদানি করতে হয়।’
আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশেও দাম বাড়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটি অনেক উর্বর, এখানে যা ফলাতে চান তাই ফলবে।’
আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় রেখে দেশে ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এতে কৃষক কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কৃষক বান্ধব সরকার কৃষককে প্রণোদণার মাধ্যমে সে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সাহায্য করবে।’
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘গ্রামীণ অর্থনীতির বাংলাদেশ তিন স্তম্ভের ওপর দাঁড়িয়ে আছে। এগুলো হলো কৃষি খাত, গার্মেন্টস খাত ও প্রবাসীদের রেমিটেন্স। এ সেক্টরগুলো শক্তিশালী হওয়ার কারণে করোনাকালে বিশ্ব অর্থনৈতি মন্দায় পতিত হলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ছিল শক্তিশালী।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা আরও বাস্তবমুখী ও শক্তিশালী করা হচ্ছে:খাদ্যমন্ত্রী
অনুষ্ঠানে ১ হাজার চারশত জন কৃষকের মাঝে গম, ২০০ জন কৃষকের মাঝে ভুট্টা, ১ হাজার ৫০০ কৃষকে সরিষা, ১০০ কৃষকে সূর্যমুখী, ১৫০ কৃষকের মশুর, ১০০ কৃষকে খেসারী, ২০ কৃষকের চিনাবাদাম, ৩০ কৃষকে মুগ ও ২০ জন কৃষকের মাঝে পেঁয়াজ বীজ বিতরণ করা হয়েছে।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে আগামী ৬ মাসের মধ্যে স্মার্ট কার্ড: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে আগামী ছয় মাসের মধ্যে স্মার্ট কার্ড প্রবর্তন করা হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে খাদ্য সহায়তা বিতরণে আরও সচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘সরকার খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২ শত পেডি সাইলো নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। আধুনিক এ সাইলোগুলো হবে ৫ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার। কৃষকের ভেজা ধান সংগ্রহ করে এখানে প্রক্রিয়াকরণ হবে। কৃষকের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।’
আরও পড়ুন: সরকার খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টিমান উন্নয়নে কাজ করছে: খাদ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার মানিকগঞ্জের শিবালয়ে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকল্পের আওতায় উপকারভোগীদের মধ্যে হাউজহোল্ড সাইলো বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রতি একনেকে ৩০টি সাইলো নির্মাণের অনুমতি পাওয়া গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে খাদ্য শস্য সংরক্ষণ সক্ষমতা ৩৫ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে সফলভাবে করোনা মোকাবিলা করা হয়েছে। দেশে খাদ্য সংকট হয়নি, কেউ না খেয়ে মারা যায়নি।’
আরও পড়ুন: চালের মূল্য সহনীয় পরিস্থিতিতে রয়েছে, দাবি খাদ্যমন্ত্রীর
আসন্ন নির্বাচনের প্রতি ইঙ্গিত করে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, যে দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না জনতার আদালতে তাদের বিচার হওয়া উচিৎ।’
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুফলভোগী সকলেই। এমন কোন সেক্টর নাই যেখানে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ছৌঁয়া লাগেনি। অথচ বিএনপি শেখ হাসিনার উন্নয়ন দেখতে পায় না।
চালের মূল্য সহনীয় পরিস্থিতিতে রয়েছে, দাবি খাদ্যমন্ত্রীর
দেশে চালের মূল্য সহনীয় পরিস্থিতিতে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
তিনি বলেন, ‘দেশে বর্তমানে খাদ্য পরিস্থিতি সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে খাদ্যবান্ধব সরকারের যথপোযুক্ত পদক্ষেপের কারণে বিশেষ করে চালের মূল্য সহনীয় পরিস্থিতিতে রয়েছে। দেশে কোন খাদ্য সংকট নেই।’
রবিবার সকাল ১০টার দিকে নওগাঁর সান্তাহার কেন্ত্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগারে (সিএসডি) বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশের মানুষের কল্যাণই প্রধানমন্ত্রীর ‘ধ্যান জ্ঞান’: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সাধারণ মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে ১০ টাকা কেজি মূল্যে খোলা বাজারে চাল বিক্রি ব্যবস্থা চালু রয়েছে। গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) ও কাজের বিনিময়ে খাদ্য (কাবিখা) কর্মসূচি যথাযথভাবে চলমান রয়েছে। সারাদেশে খাদ্য সংরক্ষণের জন্য গুদামগুলোতে ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সেগুলোতে মানসম্মত খাদ্য মজুদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: উন্নয়নের ছোঁয়া সবখানে পৌঁছে গেছে: খাদ্যমন্ত্রী
সাধন চন্দ্র মজুমদর বলেন, খাদ্য গুদামগুলোতে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীদের জীবনমান উন্নত করতে আধুনিকমানের আবাসন ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগারগুলোতে গেস্ট হাউজ ও কনফারেন্সরুম নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনাকালেও দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী অবস্থানে: খাদ্যমন্ত্রী
সান্তাহার কেন্দ্রীয় খাদ্য সংরক্ষণাগারে (সিএসডি) এক কোটি ৩৩ লাখ ৫ হাজার ৪৭৬ টাকা ব্যয়ে দ্বিতল ভবন বিশিষ্ট আনসার ব্যারাক, সাত কোটি ৫৫ লাখ ৫৮ হাজার ১১০ টাকা ব্যয়ে আভ্যন্তরীণ আরসিসি রাস্তা নির্মাণ এবং ৯৬ লাখ ৭৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ম্যানেজারের দ্বিতল অফিস ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। মন্ত্রী এসব প্রকল্প সরেজমিন পরিদর্শন করে কাজরে অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বঙ্গবন্ধু বাঙালির অনুপ্রেরণার বাতিঘর: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির অনুপ্রেরণার বাতিঘর। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার কাজে নিবেদিত হওয়া তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের সর্বোত্তম উপায়।
তিনি বলেন, ‘টুঙ্গিপাড়ার খোকার জন্ম না হলে বাঙালি স্বাধীন দেশ পেত না। বঙ্গবন্ধু মানেই একটি স্বাধীন দেশ, একটি পতাকা। মুজিব স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা। যিনি সারা জীবন মানুষের সেবায় কাজ করে গেছেন।’
রবিবার সকালে ঢাকায় খাদ্যভবন অডিটোরিয়ামে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বস্তনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে সাংবাদিকদের আরও বেশি ভূমিকা চান খাদ্যমন্ত্রী
সাধন চন্দ্র বলেন, ১৫ আগস্ট প্রেক্ষাপট ছিল ভিন্ন। শেখ মুজিবকে স্বপরিবারে হত্যার পর প্রতিবাদ করা যায়নি। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ঘরে থাকতে পারেনি। শুধু তাই নয় পঁচাত্তরের পরবর্তী সময়ে টেলিভিশন কিংবা বেতারে বঙ্গবন্ধুর নাম পর্যন্ত প্রচার হতো না। ইনডেমিনিটি বিলের মাধ্যমে বিচারের পথ রুদ্ধ করা হয়েছিল। চক্রান্তকারীরা ভেবেছিল তাকে হত্যা করলে ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলা যাবে। তাদের সে চক্রান্ত মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। ইতিহাস থেকে সত্যকে মুঁছে ফেলা যায়নি, জীবিত মুজিব থেকে মৃত মুজিব হয়েছেন আরও শক্তিশালী।
মন্ত্রী বলেন,বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার বাংলার মাটিতে শুরু হয়েছে। এখনও যে সকল হত্যাকারী দেশের বাইরে পালিয়ে আছে দ্রুততর সময়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে আইনের আওতায় আনা হবে। হত্যাকাণ্ডের মূল চক্রান্তকারী ছিলেন জিয়া, তার নেতৃত্বেই ১৫ আগস্ট কলঙ্কজনক হত্যাকাণ্ড সংঘঠিত হয়েছিল।
আরও পড়ুন: খাদ্য মজুদের জন্য স্থান সংকট হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্য অধিদপ্তেরর মহাপরিচালক শেখ মুজিবর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (এফপিএমইউ) মো. শহীদুজ্জামান ফারুকী,অতিরিক্ত সচিব খাজা আব্দুল হান্নান, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য রেজাউল করিম,খাদ্য অধিদপ্তেরর অতিরিক্ত মহাপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বক্তব্য দেন।
দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, অনেকেই মনে করেন সরকারের খাদ্যের মজুদ কমে গেছে। তাদের ধারণা সঠিক নয়। খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, দেশে খাদ্য ঘাটতি নেই। খাদ্য মজুদের পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে বলে এ সময় তিনি উল্লেখ করেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর খাদ্য ভবনের সভাকক্ষে ‘বরিশাল স্টিল সাইলো নির্মাণ ও অনলাইন ফুড স্টক মনিটরিং সিস্টেম ক্রয় চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, উন্নত বাংলাদেশ গঠনের যে কার্যক্রম চলছে তার সাথে সঙ্গতি রেখে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমকেও আধুনিক ও সময়োপয়োগী করা হচ্ছে। আঞ্চলিক খাদ্য কার্যালয়, জেলা কর্যালয়, উপজেলা কর্যালয়সহ খাদ্যগুদামসমূহ অনলাইন মনিটরিং এর আওতায় আসলে খাদ্য বিভাগের কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।
আরও পড়ুন: সরকার খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে: খাদ্যমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে খাদ্যের মজুদ যাতে বেশি করা যায় সে লক্ষ্যে স্টিল সাইলো নির্মাণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ময়মনসিংহ, আশুগঞ্জ ও মধুপুর সাইলোর নির্মাণ কাজ শেষের পথে। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে এগুলো হস্তান্তর হবে।
আরও ৫টি স্টিল সাইলো শিগগিরই নির্মাণের কাজ শুরু হবে উল্লেখ করে সাধন চন্দ্র বলেন, এ সকল সাইলোতে কীটনাশক ব্যবহার না করে অত্যাধুনিক কুলিং সিস্টেমে খাদ্যশস্য সংরক্ষণ করা হবে –যা দুই বছর পর্যন্ত খাদ্যশস্যের গুণগতমান ও পুষ্টিমান অক্ষুন্ন রাখবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ হাসিনার বাংলাদেশ-ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ’ লক্ষ্যকে সামনে রেখে খাদ্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে। কৃষকের নায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সারাদেশে ২০০ পেডি সাইলো নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। সম্প্রতি ৩০টির অনুমোদন পাওয়া গেছে। এগুলো নির্মিত হলে প্রান্তিক কৃষক সহজেই ধান সরবরাহ করতে পারবেন। ২৪ শতাংশ ময়েশ্চারাইজার থাকলেও কৃষকের ধান নেওয়া সম্ভব হবে। স্টিল সাইলোতে পরে সে ধান প্রক্রিয়াকরণ করে উন্নতমানের চাল পাওয়া সম্ভব হবে।
তিনি আরও বলেন, চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই ক্ষণগণনা শুরু হবে। প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করতে হবে। কাজের গুণগতমানের সাথে কোন সমঝোতা হবে না উল্লেখ করে চুক্তি স্বাক্ষরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতি সময় মতো কোয়ালিটি কাজ নিশ্চিত করার আহবান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ফড়িয়াদের কাছ থেকে ধান কিনবে না সরকার: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ মুজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। এছাড়াও বক্তব্য দেন বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেডের সিনিয়র এডভাইজর সামিরা জুবেরী হিমিকা ও কনফিডেন্স ইনফ্রাষ্ট্রাকচার লিমিটেড বাংলাদেশ এর ভাইস চেয়ারম্যান ইকরাম উদ্দিন।
পরে খাদ্য অধিদপ্তরের সাথে বেক্সিমকো কম্পিউটার্স লিমিটেডের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির আওতায় বেক্সিমকো কম্পিউটার্স খাদ্য অধিদপ্তরের ৬৪ জেলায় ১২ শত সাইটে অনলাইন কানেক্টিভিটি নিশ্চিতের মাধ্যমে অনলাইন মনিটরিং সম্ভব হবে এবং একই সাথে অধিদপ্তরের ৩৫ হাজার জনবলকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আইটিতে দক্ষতা বাড়াতে কাজ করবে। অধিদপ্তরের সাথে কনফিডেন্স ইনফ্রাষ্ট্রাকচার লিমিটেড বাংলাদেশ ও জিএসআই ইউএসআই জেভির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির শর্তানুসারে তারা বরিশাল স্টিল সাইলো নির্মাণ করবে। ৪৮ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতার এ সাইলো খাদ্যের মজুদ বৃদ্ধির পাশাপাশি খাদ্যের গুণগত মান ও পুষ্টিমান বজায় রাখতে ভূমিকা র
সরকার খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে: খাদ্যমন্ত্রী
পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে সরকার খাদ্য ব্যবস্থাপনাকে শক্তিশালী করতে কাজ করছে বলে উল্লেখ করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ‘বাংলাদেশ দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা খসড়া মনিটরিং রিপোর্ট ২০২১ পর্যালোচনা ও অনুমোদন সংক্রান্ত সভায়’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুনঃ প্রান্তিক কৃষকের কাছে প্রণোদনার সুফল পৌঁছে দিতে হবে: খাদ্যমন্ত্রী
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্র(এসডিজি)অর্জনে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন সন্তোষজনক। ২০১৬ সাল থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় বছরে ৫ মাস ৫০ লাখ নিম্ন আয়ের মানুষকে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ করা হচ্ছে। করোনাকালে কর্সমূচির মেয়াদ ১ মাস বাড়ানো হয়। করোনা পরিস্থিতিতে দেশের দরিদ্র ও স্বল্প আয়ের ৪২ লাখ মানুষের কাছে ১০ টাকা কেজিতে চাল বিতরণ করেছে সরকার।
আরও পড়ুনঃ খাদ্যশস্য সংগ্রহে কৃষক যেন হয়রানির শিকার না হয়: খাদ্যমন্ত্রী
পরোক্ষভাবে যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে বলেও মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, ভেজালমুক্ত ও পুষ্টিকর খাদ্য ভোক্তা যাতে পায় সে লক্ষ্যে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন:ধান-চালের দর বেঁধে দেয়ার সুফল পাচ্ছে সবাই: খাদ্যমন্ত্রী
প্রতিটি জেলায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের জেলা কার্যালয়ের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সাল থেকে খাদ্য নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে চলেছে।
২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন ফুড প্লানিং এন্ড মনিটরিং ইউনিটের মহাপরিচালক শহীদুজ্জামান ফারুকী। গবেষণা পরিচালক হাজিকুল ইসলাম ২০২১ সালের রিপোর্ট উপস্থাপন করেন।
রিপোর্টের উপর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. লুৎফুল হাসান, ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইন্সটিটিউটের এর ড. মেহরাব বখতিয়ার, জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার ললিতা ভট্টাচার্য, রবার্ট সিম্পসন, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ড. মোহাম্মদ ইউনুস এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মেহের নিগার ও মি. কোয়েন মতামত জানিয়ে বক্তব্য দেন।
বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ও উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত ছিলেন।
সাড়ে ১১ লাখ টন চাল ও সাড়ে ৬ লাখ টন ধান কিনবে সরকার
চলতি বোরো মৌসুমে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন ধান ও সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন চাল (আতপ ও সিদ্ধ) কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ৪০ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ চাল, ৩৯ টাকা কেজি দরে দেড় লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ২৭ টাকা কেজি দরে সাড়ে ছয় লাখ মেট্রিক টন ধান কেনা হবে।
আগামী ২৮ এপ্রিল ২০২১ থেকে বোরো ধান ও ৭ মে থেকে চাল সংগ্রহ শুরু হবে। আগামী ৩১ আগস্ট সংগ্রহ শেষ হবে।
আরও পড়ুন:মন্ত্রী-এমপিদের আগে টিকা গ্রহণ নিয়ে সমালোচনার আশঙ্কায় খাদ্যমন্ত্রী
সোমবার বেলা ১১টায় এক অনলাইন ভার্চুয়াল সাংবাদিক সম্মেলনে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এসব তথ্য জানান।
শেখ হাসিনার আমলে সংবাদ মাধ্যমগুলোকে অবাধ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে: খাদ্যমন্ত্রী
রাজনীতিবিদ, প্রশাসন ও সরকারের অন্যান্য কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের প্রতিদ্বন্দ্বী নয় উল্লেখ করে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে সংবাদ মাধ্যমগুলোকে অবাধ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে।