আওয়ামী লীগ
মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির সংঘর্ষে নিহত ১, আহত ২০
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সংঘর্ষে এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ ছাড়া এ সময় উভয় পক্ষের ২০ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার আজমপুর বাজার এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।
নিহত কিশোর জাহিদ হোসেন রুমন (১৬) উপজেলার ওসমানপুর এলাকার মরহুম নুরের জামানের ছেলে।
নিহত কিশোর জাহিদ হোসেনকে নিজেদের ছাত্র সংগঠনের কর্মী বলে দাবি করেছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয় দল।
নিহত জাহিদকে ছাত্রলীগ কর্মী দাবি করে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানা বলেন, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ওসমানপুর ইউনিয়নে আজমপুর বাজারে বিএনপির লোকজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ওসমানপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মোহাম্মদ হাসান, মিরাজ, আরেফিন, জাহিদ হোসেন রুমন ও রাফিসহ পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হন। তাদের মধ্যে জাহিদ হোসেন রুমন মারা যায়।
আরও পড়ুন: আগামী নির্বাচনে চুরি করলে রেহাই নেই: আমীর খসরু
জানা গেছে, আগামী ৫ অক্টোবর বিএনপির ১৫ দিনের কর্মসূচির মধ্যে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখে রোডমার্চ উপলক্ষে মিরসরাইয়ে একটি পথসভা করার কথা রয়েছে। তারই প্রস্তুতি হিসেবে শুক্রবার উপজেলার ৫ নম্বর ওসমানপুর ইউনিয়নে সভার প্রস্তুতি নিচ্ছেলেন দলটির নেতা-কর্মীরা।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান দাবি করেন, সভার প্রস্তুতি সময় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। এতে তাদের একজন মারা যায় এবং ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী: ফখরুল
ওসমানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. শাহ্ আলম বলেন, ‘বিএনপি নেতা নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের অনুসারীরা স্থানীয় আজমপুর বাজারে আমাদের ছাত্রলীগ নেতা হাসান ও তার কয়েক সহযোদ্ধার ওপর হামলা চালায়। এতে হাসপাতালে রুমন নামে এক ছাত্রলীগ কর্মী নিহত হন এবং আহত হয় পাঁচজন।’
জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘দুই দলের মারামারিতে একজন মারা গেছে শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় থাকার জন্য খালেদা জিয়াকে বন্দি করে রাখা হয়েছে: ফখরুল
সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন হবে: ওবায়দুল কাদের
আগামী নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই কারা নির্বাচনে অংশ নেবে বা কারা অংশ নেবে না সেদিকে নজর দেওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন: ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি : ওবায়দুল কাদের
বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের নির্বাচনী ইশতেহার কমিটির উদ্বোধনী সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই বাস্তবতার আলোকে গণতন্ত্রের পথ অনুসরণ করতে হবে। সামনের দিনগুলোতে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি উন্নয়নের সুবিধা নেয় কিন্তু প্রশংসা করতে পারে না: ওবায়দুল কাদের
জো বাইডেন বলেছেন তিনি নির্বাচনে দাঁড়াবেন, কারণ ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে আমেরিকার গণতন্ত্র ধ্বংস হবে। সেজন্য তার বয়স কোনো বিষয় নয়। এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আজ বলছি, বাংলাদেশের গণতন্ত্র রক্ষায় শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায়ন করতে হবে। বিএনপি ক্ষমতায় এলে গণতন্ত্র হুমকির মুখে পড়বে। আমাদের অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদেরও অ্যাকশনে যেতে হবে। ওই রকম ইশতেহার করেন। নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞা ভাবতে হবে। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ভাবতে হবে। ২০২৬ সাল, উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ। সর্বোপরি ২০৪০ সাল আমাদের মাথায় রাখতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে গেছে এখন স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হবে।’
আরও পড়ুন: খেলা হবে তারেক ও হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে: ওবায়দুল কাদের
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ১৫
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে আওয়ামী লীগের একাংশের কর্মীসভায় হামলা করেছে অপর অংশের নেতাকর্মীরা। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে মিরসরাই সদর ইউনিয়নের সুফিয়া রোডের নুরজাহান কমিউনিটি সেন্টারে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গিয়াস উদ্দিনের কর্মী সমাবেশে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিনের দাবি, মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানা এবং ৯ নম্বর সদর মিরসরাই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল আলম দিদারের নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনে সমর্থক।
হামলায় আহত কয়েকজন হলেন- হৃদয়, পলাশ, সাইফুল, নুরুল বাকী, সবুজ, কামরুল, সেলিম, রহিমউল্লাহ, রনি ও হাসান। আহতদের স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গিয়াস উদ্দিন জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানা এবং ইউপি চেয়ারম্যান দিদারের নেতৃত্বে আমার শান্তিপূর্ণ সমাবেশে লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় একদল সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় আমার বেশকয়েকজন নেতাকর্মী মারাত্মক আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মিরসরাই থেকে অপহৃত ব্যক্তি ভারতীয় সীমান্ত থেকে উদ্ধার, আটক ১
মিরসরাই ৯ নং সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুল আলম দিদার বলেন, এখানে রাজনীতি করতে হলে সাংগঠনিক উপজেলা ও ইউনিয়নের কমিটি রয়েছে। আগামী ৬ অক্টোবর মিরসরাইতে চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সমাবেশের কর্মসূচি রয়েছে। গিয়াস উদ্দিনকে অনুরোধ করতে যাই, যেন আগামী ৬ তারিখ পর্যন্ত অন্যকোনো সভা- সমাবেশ না করে। তখন তার কিছু অনুসারী উত্তেজিত হয়ে তেঁড়ে এসে আমাদের উপর হামলা করে। আমরা কারো উপর হামলা করি নাই।
মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, আমরা খবর পাই একটি রাজনৈতিক সমাবেশকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তবে কোনো পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ এখনো আসেনি থানায়।
তিনি আরও বলেন, নুরজাহান কমিউনিটি সেন্টারে রাজনৈতিক সমাবেশের ব্যাপারে প্রশাসনের কোনো অনুমতি ছিল না।
আরও পড়ুন: মিরসরাইয়ে হানিফের বাসের ধাক্কায় এনজিওকর্মী নিহত
মিরসরাইয়ে যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কারণ নেই: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সহযোগিতা ও বহুমাত্রিক সম্পর্ক দিন দিন দৃঢ়তর হচ্ছে। সুতরাং কোনো একটা ভিসানীতি বা কিছু নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এই নীতি তাদের বিরুদ্ধেই প্রযোজ্য হবে, যারা নির্বাচনে বাধা দেবে।'
তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ সেটিই প্রমাণ করে।'
রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অকুতোভয় বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ৯১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'আজকে বিএনপি নানা ধরণের কথা বলে। ভিসানীতি ঘোষণার পর এক কথা বলে, আবার পত্রিকায় গত পরশু দিন খবর আসার পর আরেক ধরণের কথা বলে। এগুলো বলে কোনো লাভ নেই।'
আরও পড়ুন: বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সময় বহু পরাশক্তি আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলো। কিন্তু সেইসব রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আমাদের পূর্বসূরী মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলো। আজকেও অনেকেই চোখ রাঙ্গায়, অনেক দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র হয়। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার ধমনীতে, শিরায় বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবাহমান, যে রক্ত পরাভব মানে না, আপোষ জানে না। সমস্ত ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে দেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে।'
হাছান বলেন, '১৯৭১ সালে যারা দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তাদেরই নতুন সংস্করণ হচ্ছে বিএনপি। এবং তাদের সহযোগী হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী, যারা দেশের স্বাধীনতার শুধু বিরোধিতাই করেনি, স্বাধীনতা সংগ্রামে এদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে অস্ত্রধারণ করেছিল। তাই এই বিএনপি-জামাত চক্র আজকে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে, আগামী নির্বাচনকে ভন্ডুল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।'
'কিন্তু, সমস্ত ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আগামী নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে'-এই প্রত্যয় ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, 'সেই নির্বাচনে যদি বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসে আমরা স্বাগত জানাই। তবে কেউ না আসলেও কোনো অসুবিধা নাই। এই নির্বাচন আমাদের, এই দেশ আমাদের, এখানে নির্বাচন কিভাবে হবে সেটি আমরা ঠিক করবো। আমাদেরকে কারো গণতন্ত্র শেখাতে হবে না। গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা আমরা জানি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অবশ্যই অব্যাহত থাকবে।'
আরও পড়ুন: শুধু শমসের-তৈমুর নয় আরও অনেকেই বিএনপি থেকে চলে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
যত অপপ্রচারই হোক, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আ. লীগ ক্ষমতায় আসবে: কানাডায় তথ্যমন্ত্রী
বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিদেশি পর্যবেক্ষক আসুক আর না আসুক, আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনটা হচ্ছে আমাদের। তাই এরই মধ্যে স্থানীয় সরকারসহ যে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই, আর বিএনপি চায় পালাতে: তথ্যমন্ত্রী
এসময় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল, কী করল না- এতে কিছুই আসে যায় না। এটি নিয়ে বিএনপিকেও আর দেশ অস্থিতিশীল করার সুযোগ দেওয়া হবে না।
ভারতে যখন নির্বাচন হয় তখন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সেখানে যান কি না- এমন প্রশ্ন রেখে হাছান মাহমুদ বলেন, সেখানে এটি নিয়ে এত কথাবার্তা হয়? কিংবা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যখন নির্বাচন হয় সেখানে কি আমাদের দেশ থেকে কিংবা অন্য কোনো দেশ থেকে পর্যবেক্ষক যায়? যায় না।
তিনি বলেন, আমাদের দেশেই নির্বাচন এলে কে পর্যবেক্ষণ করল, কে করল না- এগুলো নিয়ে নানা মাতামাতি হয়। যদি বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসেন, তাহলে তাদের স্বাগত জানাই, না এলেও কোনো অসুবিধা নেই।
মন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছোট আকারের পর্যবেক্ষক দল পাঠাবে বলেছে। তাদের বাজেট স্বল্পতার কথাও তারা চিঠিতে উল্লেখ করেছে। ইইউর পর্যবেক্ষক যে আকারেই আসুক বা না আসুক আমাদের দেশে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আছে, সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবে।
বিএনপি লংমার্চ কর্মসূচিতে হরতাল-অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচির জন্য নেতা-কর্মীদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে, এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের প্রস্তুতি আছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া অবরোধের ডাক দিয়ে দেশের মানুষকে একশ দিন অবরুদ্ধ করে রেখেছিল।
তিনি আরও বলেন, পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে শত শত মানুষ পুড়িয়েছিল, হাজার হাজার মানুষকে ঝলসে দিয়েছিল আগুনে। দেশে এ ধরনের নৃশংস ঘটনা বিএনপি আর করতে পারবে না, দেশের মানুষ করতে দেবে না। সেই অপচেষ্টা করলে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে।
আরও পড়ুন: শুধু শমসের-তৈমুর নয় আরও অনেকেই বিএনপি থেকে চলে যাবে: তথ্যমন্ত্রী
যত অপপ্রচারই হোক, সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আ. লীগ ক্ষমতায় আসবে: কানাডায় তথ্যমন্ত্রী
দেশের কূটনৈতিক অর্জন নিয়ে মিথ্যাচার করছে বিএনপি: কাদের
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর বাংলাদেশ সফর এবং সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ব্রিকস ও জি-টোয়েন্টি সম্মেলনে দেশের কূটনৈতিক অর্জন নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি নেতাদের ‘মিথ্যাচারের’ নিন্দা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার এক সংবাদ বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বিএনপি কোটি কোটি ডলারের জন্য লবিস্ট ফার্ম নিয়োগ করে দেশের বিরুদ্ধে ক্রমাগত অপবাদ ও মিথ্যাচারের মাধ্যমে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন করার গভীর ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে।’
আরও পড়ুন:ষড়যন্ত্রকারীরা প্রস্তুত হচ্ছে, আমরাও প্রস্তুত আছি : ওবায়দুল কাদের
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের ।
তিনি বলেন. ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণ আফ্রিকায় সাম্প্রতিক ব্রিকস সম্মেলনে এবং ভারতে জি২০ সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে আমাদের জাতির জন্য অতুলনীয় মর্যাদা ও সম্মান এনেছেন।’
এসব আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতি বিশ্ব নেতাদের উল্লেখযোগ্য দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এসব আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ বিশ্ব দরবারে একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে শেখ হাসিনার অবস্থানকে তুলে ধরেছে এবং এসব তার দক্ষ নেতৃত্বের স্বীকৃতি।
তিনি বলেন, 'বিশ্ব নেতারা যখন বাংলাদেশের সঙ্গে উন্নয়ন অংশীদার হিসেবে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করছেন, তখন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী সক্রিয়ভাবে দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্য তারই প্রমাণ।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে যেসব উন্নয়ন প্রকল্প মানুষের জীবনযাত্রার উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে, সেগুলোর প্রতি ঈর্ষা পোষণ করে একটি রাজনৈতিক দল কতটা দেউলিয়া হতে পারে।
আরও পড়ুন: বিএনপি উন্নয়নের সুবিধা নেয় কিন্তু প্রশংসা করতে পারে না: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'বিএনপি একদিকে তাদের ব্যাপক ব্যর্থতার সঙ্গে লড়াই করছে, অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন উদ্যোগ এবং তার বৈশ্বিক নেতৃত্বের প্রশংসা অব্যাহত থাকায় তারা হতাশার সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে।’
বিএনপির বিরুদ্ধে জনগণকে বিভ্রান্ত করতে উন্নয়ন প্রকল্প সম্পর্কে ভুল, বানোয়াট ও বিকৃত তথ্য প্রচারের অভিযোগ করেন কাদের।
আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই, আর বিএনপি চায় পালাতে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমরা নির্বাচনের মাঠে সবার সঙ্গে খেলে জিততে চাই। আর বিএনপি শুধু পালিয়ে যেতে চায়। তাদেরকে বলব মাঠ থেকে পালিয়ে না যাওয়ার জন্য।’
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেব গতদিন বলেছেন, আওয়ামী লীগ ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চায়। প্রকৃতপক্ষে আমরা কখনো ফাঁকা মাঠে গোল দিতে চাই না। আমরা চাই আগামী নির্বাচনে বিএনপি পূর্ণশক্তি নিয়ে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু বিএনপির কথাবার্তায় মনে হচ্ছে, নির্বাচনে হেরে যাওয়ার ভয়ে তারা মাঠ ছেড়েই চলে যেতে চাচ্ছে।
তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবকে বলব মাঠে আসার জন্য এবং আমাদের সঙ্গে খেলার জন্য। আমরা খেলেই জিততে চাই। আমরা চাই সকল রাজনৈতিক দল আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এবং সেই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের মানুষ আগামী দিনের সরকার নির্বাচিত করুক।
আরও পড়ুন: বিএনপিকে লাল পতাকা দেখিয়েছে জনগণ: তথ্যমন্ত্রী
জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের আমূল পরিবর্তন ঘটেছে, প্রতি শহর-গ্রামের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের মুখে আগের ডাল-ভাতের পরিবর্তে এখন মাংসের দাম বাড়লে সেটি নিয়ে কথা শোনা যায়।
তিনি বলেন, আগে মানুষ ইট বিছানো রাস্তার দাবি দিতো, এখন কার্পেটিং করা রাস্তার দাবি দেয়। এখন মানুষ ভাত-কাপড়ের কথা বলে না, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের কথা বলে এবং আমাদের সরকার সেটি মোটামুটিভাবে নিশ্চিত করেছে, দেশের শতভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।
তিনি আরও বলেন, মানুষের জীবনমানের এই উত্তরণ ও পরিবর্তনের প্রেক্ষিতে জনগণের ওপর আমাদের আস্থা আছে বিধায় আমরা সবার সঙ্গে নির্বাচনের মাঠে খেলে জিততে চাই আর বিএনপি শুধু পালিয়ে যেতে চায়।
সরকার বিএনপিকে নির্বাচনে আনার জন্য সংলাপের ডাক দেবে কি না-এ প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন আয়োজক প্রতিষ্ঠান হচ্ছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের মাঠে আমরা একটা পক্ষ। আমরা তো আয়োজক পক্ষ নই। সুতরাং নির্বাচন নিয়ে তাদের যদি কোনো অভাব-অভিযোগ কিছু থাকে তারা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে কথা বলতে পারে। আর নির্বাচন কমিশন যদি আমাদের ডাকে তাহলে আমরা সেখানে যাবো।
হাছান মাহমুদ বলেন, আমি মনে করি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব। ২০১৮ সালে নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেছিল, পরে সেটিকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালিয়েছিল; এখনও চালিয়ে যাচ্ছে। আশা করবো এ নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন প্রতিহত করার ক্ষমতা বিএনপির নাই। ২০১৪ সালে আমরা তাদেরকে মোকাবিলা করেছি, ২০১৪ সালের পরিস্থিতি বিএনপি আর কখনো সৃষ্টি করতে পারবে না। নির্বাচনে অবশ্যই সব রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করুক আমরা সেটিই চাই। কিন্তু গণতন্ত্রে জনগণের অংশগ্রহণটাই হচ্ছে মুখ্য।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ১৯৭০ সালে নির্বাচনের সময় মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে শ্লোগান দেওয়া হয়েছিল ‘ভোটের বাক্সে লাথি মারো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো। অথচ ১৯৭০ সালে সেই নির্বাচন না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তখন অনেক রাজনৈতিক দল সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে নাই, কিন্তু জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে এবং দেশ স্বাধীন হয়েছে। গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি ও তাদের মিত্ররা অংশগ্রহণ করেনি, তবুও ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। আমরা চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। কিন্তু সেখানে জনগণের অংশগ্রহণটাই হচ্ছে মুখ্য। জনগণের অংশগ্রহণ থাকলে সেই ভোট নিশ্চয়ই গণতন্ত্রের বিচারে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে নির্বাচন হবে: তথ্যমন্ত্রী
বুদ্ধিজীবীদের বিবৃতি কি বুদ্ধি খাটিয়ে শ্রমিকদের বঞ্চিত করতে- প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর
আন্দোলনের নামে যা খুশি তাই করলে সমুচিত শিক্ষা দেওয়া হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন বানচালের পায়তারা করছে, আন্দোলন করছে নির্বাচন করতে দেবে না বলে।
তিনি বলেন, বিএনপি ২০১৩-১৪ সালে আগুন সন্ত্রাস ও হরতাল দিয়ে তাণ্ডব সৃষ্টি করেছিল। এবারও আন্দোলনের নামে আগুন সন্ত্রাস, হরতাল ও যা খুশি তাই করতে চাইলে, তাদের সমুচিত শিক্ষা দেওয়া হবে।
শনিবার (২৬ আগস্ট) বিকালে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে দুঃস্থ, অসহায় ও যুব মহিলাদের মাঝে ঢেউটিন, নগদ অর্থ ও সেলাই মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, সংবিধানের আলোকে নির্বাচন হবে। বিএনপিকে নির্বাচনের মাধ্যমেই ক্ষমতায় আসতে হবে।
তিনি বলেন, একসময় এদেশে ছনের-খড়ের-পাটকাঠির ঘরই বেশি ছিল, আবার এসব ঘর নির্মাণেও অনেকের সামর্থ্য ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভাবনীয় উন্নয়নের ফলে ছন-খড়-পাটকাঠির ঘর আজ প্রায় দেখাই যায় না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে দেশের একটি মানুষও ঘরহীন থাকবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী আরও বলেন, দেশের ১০ ভাগ মানুষের ঘর-বাড়ি নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে কেউ ঘরহীন, ভূমিহীন থাকবে না। তিনি গৃহহীনদের পর্যায়ক্রমে জমিসহ পাকা ঘর করে দিচ্ছেন। আগামী ২ বছরের মধ্যে কেউ ঘরহীন থাকবে না।
আরও পড়ুন: অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য বিএনপি অস্থির হয়ে পড়েছে: কৃষিমন্ত্রী
বছরে চার ফসলের সম্ভাবনা জাগাচ্ছে ব্রি৯৮ আউশ ধান: কৃষিমন্ত্রী
হবিগঞ্জে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ২ শতাধিক
হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২ শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় বিএনপির জেলা কার্যালয় ভাঙচুর করা হয়।
রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বিকালে হবিগঞ্জ বিএনপি আয়োজিত পদযাত্রা শেষে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশসহ দেড় শতাধিক মানুষ আহত হন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে জেলা আওয়ামী লীগ রবিবার বিকালে শায়েস্তানগর এলাকায় সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে। এতে আওযামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
স্থানীয়রা জানান, হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষ শুরুর জন্য উভয় পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করেছে।
তবে সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে।
সূত্র জানায়, রবিবার বিকালে নগরীতে মিছিল বের করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
মিছিলটি শায়েস্তানগর এলাকায় বিএনপির আঞ্চলিক কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে সাঈদীর জানাজাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আইনজীবী লুৎফুর রহমান এ সংঘর্ষের জন্য বিএনপিকে দায়ি করেন।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হামলা করেছে। আমাদের নেতা-কর্মীরা তা প্রতিহত করতে গিয়ে সংঘর্ষের রূপ নেয়।’
শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সৈয়দ মুশফিক আহমেদ ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন বলেন, ‘লগি, বৈঠা নিয়ে আওয়ামী লীগের মিছিল থেকেই জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক মেয়র জিকে গউছের বাসায় হামলা চালানো হয়েছে।’
তিনি জানান, সংঘর্ষে প্রায় একশ’ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে দেড় শতাধিক আহত
ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সংঘর্ষ: ক্লাস বর্জন খুমেক শিক্ষার্থীদের
আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দল ৩ দিনের ভারত সফরে যাচ্ছে
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে রবিবার (৬ আগস্ট) তিন দিনের সফরে ভারতের নয়াদিল্লি যাচ্ছে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল।
শনিবার (৫ আগস্ট) আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী জানান, ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির আমন্ত্রণে দেশটিতে সফরে যাচ্ছে প্রতিনিধি দলটি।
প্রতিনিধি দলে আরও রয়েছেন- আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, নির্বাহী কমিটির সদস্য মেরিনা জাহান ও সংসদ সদস্য আরমা দত্ত।
আরও পড়ুন: জি-২০ উন্নয়ন মন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে ভারত সফরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এই সফরে প্রতিনিধি দলটি ভারতের সরকার ও বিজেপির প্রতিনিধিদের সঙ্গে একাধিক বৈঠকে মিলিত হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়া বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডাসহ রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক হবে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলটির।
আরও পড়ুন: ৩ দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
৪ দিনের ভারত সফর শেষে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী