আওয়ামী লীগ
ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারত, আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সহযোগিতা করেছে। জীবনবাজি রেখে আমাদের পাশে থেকে যুদ্ধ করেছে, পরম আত্মত্যাগ স্বীকার করেছে।
তিনি বলেন, আমরা উভয় দেশই সবদিক থেকেই একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। যদিও অর্থনৈতিক এবং ভৌগোলিক দিক থেকে ভারত একটু বড় দেশ। তারপরও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর।
শুক্রবার (৯ জুন) কলকাতার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় পিয়ারলেস ইন হোটেলে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দারিদ্র্য বিমোচনে বাংলাদেশ একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, অসাম্প্রদায়িকতা, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের আদর্শ নিয়ে ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। সেদিন থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এসব আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়নি।
ধর্মনিরপেক্ষতা-অসাম্প্রদায়িকতার সঙ্গে কোন আপোষ করেনি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক বা না থাকুক, সবসময়ই অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে, আন্দোলন- সংগ্রাম করেছে।
কিন্তু দেশে বিএনপিসহ কিছু দল রয়েছে, যারা ক্ষমতায় আসার জন্য সবসময়ই ধর্মকে ব্যবহার করে।
বাঙালি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাতি হতে পারে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ভারত-বাংলাদেশের বাঙালিরা শতাব্দীর পর শতাব্দী একসঙ্গে থেকেছে। এখন বাস্তবতার কারণে দুটি দেশ, ভৌগোলিক অবস্থান ও রাষ্ট্রীয় পরিচয় ভিন্ন হলেও; বাঙালিদের চিন্তা-চেতনা, খাদ্যাভ্যাস, জীবনাচরণ, ভাষা-সংস্কৃতিসহ প্রায় সবকিছুই এক ও অভিন্ন।
সেজন্য, আমরা বাঙালিরা সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করলে বিশ্বে বাঙালিরা অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে পরিণত হতে পারে।
সামাজিক বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৮ সালের ডিসেম্বর মাসে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসে। সেই নির্বাচনে আমরা জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছি।
২০১৫ সালে আমরা দানা জাতীয় খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। এছাড়া সামাজিক ইনডেক্সগুলোতেও আমরা খুব ভালো ফল করেছি। অনেক ক্ষেত্রে ভারতের চেয়েও এগিয়ে আছি।
আরও পড়ুন: বাজেট বাস্তবসম্মত ও কৃষিবান্ধব: কৃষিমন্ত্রী
গাজীপুরের নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে সরকার বিচলিত নয়: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপির ধ্বংসাত্মক অপরাজনীতির কারণেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির নেতিবাচক ধ্বংসাত্মক, মানুষ পোড়ানোর অপরাজনীতি, নির্বাচন প্রতিহত করা-বয়কট করার অপরাজনীতির কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে।
তিনি বলেন, নতুন মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণার পর বিএনপির অন্তর্জ্বালা শুরু হয়েছে, কারণ তাদের তত্বাবধায়ক সরকারের দাবি যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি নাকচ করেছে এবং অন্য কোনো দেশের সমর্থনও পায়নি।
আরও পড়ুন: ৭ মে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে গণতন্ত্রও ফিরতো না: তথ্যমন্ত্রী
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী বিএনপি মহাসচিবের ‘আওয়ামী লীগ সরকারের কারণেই নতুন মার্কিন ভিসা নীতি’ বক্তব্যের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ফলে তাদের পক্ষে আগের মতো- নির্বাচন প্রতিহত করবো, বর্জন করবো- এগুলো বলার সুযোগ নাই। যে কারণে এখন ফখরুল সাহেব একটু হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে একেক সময় একেক কথা বলছেন। বিভিন্ন কথা বলে আত্মতুষ্টি লাভের চেষ্টা করছেন।
হাছান বলেন, সব কথার শেষ কথা হচ্ছে তাদেরকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। নির্বাচন প্রতিহত করার রাজনীতি তাদের পক্ষে আর করা সম্ভবপর নয়। তাই তাদেরকে অনুরোধ জানাবো, দেশে গণ্ডগোল করার পরিকল্পনা না করে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেন।
এক প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াত তো সবসময় এক আছে। তারা কোনো সময় বিচ্ছিন্ন হয় নাই, মাঝে মধ্যে মৌনতা অবলম্বন করে।
তিনি বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে তারা দেশে গণ্ডগোল করার চেষ্টা করবে। সেই গণ্ডগোল করার পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই তারা বিদ্যুৎকেন্দ্রের সামনে অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছে। এটি কোনো সাধারণ রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, গণ্ডগোল করার উদ্দেশ্যেই। সেই গণ্ডগোল তাদেরকে করতে দেওয়া হবে না। আমরা সতর্ক আছি, বিএনপি-জামায়াতকে কিভাবে মোকাবিলা করতে হয় দেশের জনগণ জানে।
একই সাথে ড. হাছান বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নানা কর্মসূচি ঘোষণা করবে, এটি অস্বাভাবিক কিছু নয়। তবে জামায়াত এবং বিএনপির সহিংসতা করার লক্ষ্যেই কর্মসূচি সাজাচ্ছে বলে আমরা মনে করি।
মন্ত্রী বলেন, তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশে একটি গণ্ডগোল করে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি করা, পানি ঘোলা করা, পানি ঘোলা করে সেখান থেকে মাছ শিকার করা। সেটি করার সুযোগ তারা পাবে না।
আরও পড়ুন: তথ্যমন্ত্রী সম্পর্কে অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা
নির্বাচনকে সামনে রেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা গুজবের উদ্ভব হচ্ছে- এ বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব বিশ্বব্যাপী একটি চ্যালেঞ্জ। আমি কয়েকদিন আগে এশিয়া মিডিয়া সামিটে গিয়েছিলাম সেখানে এই বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং সামিটের ঘোষণাপত্রে সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে। বিএনপি-জামায়াতের পেইড এজেন্ট যারা খুনের দায়ে, দুর্নীতির দায়ে পলাতক তারা বিদেশে বসে আর কিছু ব্যক্তিবিশেষ দেশ থেকে নানা গুজব ছড়ায়।
গুজব প্রতিরোধের জন্য সরকার নানা ব্যবস্থা নিয়েছে জানিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, আগামী জুলাই থেকে বিটিআরসির সক্ষমতা বাড়বে এবং আমাদের মন্ত্রণালয়েও গুজব প্রতিরোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, আর মূলধারার গণমাধ্যম পত্রিকা এবং টেলিভিশন করোনার মধ্যেও গুজবের বিরুদ্ধে অত্যন্ত বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছে। আমি আশা করবো, ভবিষ্যতেও নির্বাচনকে সামনে রেখে হোক, যে কোনো প্রেক্ষাপটেই হোক, গুজবের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম সবসময় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
৮ জুন বিএনপির বিদ্যুৎকেন্দ্র ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি তো আগে বিদ্যুৎ কেন্দ্র জ্বালিয়ে দিয়েছিলো, এবার যদি সেটা করে তাহলে জনগণ তাদেরকে প্রতিহত করবে, উচিৎ শিক্ষা দিবে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও প্রস্তুত আছে।
তিনি বলেন, আর তারা তো বিদ্যুৎ দিতে পারেনি। তারেক রহমানের খাম্বা ইন্টারনেশনাল কোম্পানি করে বিদ্যুতের খাম্বা বানিয়েছিলো বিদ্যুৎ না দিয়ে শুধু খাম্বা লাগিয়েছিলো। আমি আশা করবো তারা যখন বিদ্যুৎ কেন্দ্র ঘেরাও করতে যাবে তারেক রহমান যে শুধু খাম্বা দিয়েছিলো সেটিও মাথায় রাখবে।’
বিদ্যুৎ সরবরাহে ছেদ নিয়ে প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের সময় দেশের মাত্র ৪০ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় ছিলো।
তিনি আরও বলেন, এখন শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায়। এখন মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে এটি ঠিক কিন্তু বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেছেন ১৫ দিনের মধ্যে এটা পরিবর্তন হবে।
বিদ্যুতের এই অসুবিধা বিশ্বব্যাপী উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জার্মানিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এক সেকেন্ডের জন্যও কখনো বিদ্যুৎ যায়নি। সেখানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর বিদ্যুতের রেশনিং করা হচ্ছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সবাইকে এসএমএস করে বলা হয়েছে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ীভাবে ব্যবহার করার জন্য।
আরও পড়ুন: বিশ্বাঙ্গণে শেখ হাসিনা সরকারের প্রতি সমর্থন অনুধাবনে ব্যর্থ হলে বিএনপি ভুল করবে: তথ্যমন্ত্রী
৭ মে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরলে গণতন্ত্রও ফিরতো না: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘২০০৭ সালের ৭ মে যদি সমস্ত রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে এবং জীবনকে হাতের মুঠোয় নিয়ে শেখ হাসিনা দেশে না ফিরতেন, তাহলে বাংলাদেশে গণতন্ত্রও ফিরতো না।’
তিনি বলেন, ১৯৮১ সালে ১৭ মে তিনি প্রথম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশে পদার্পণ করেছিলেন। আজ ৭ মে, তার বিদেশ থেকে দ্বিতীয় দফা প্রত্যাবর্তনের দিন।
রবিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বাংলার স্থপতি’ শীর্ষক বইয়ের প্রকাশনা এবং গ্রন্থকার অ্যালভীন দীলিপ বাগচীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা উন্নয়নশীল দেশের ক্ষেত্রে উদাহরণ: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশ খ্রিস্টান যুব কল্যাণ সমিতির সভাপতি ইলারিশ আর গোমেজের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার, বিশপ থিওটোনিয়াস গোমেজ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আজ ৭ মে একটি ঐতিহাসিক দিন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের ইতিহাসে, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে; আজকের দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি বলেন, প্রথমে তার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছিলো, এরপর তার দেশে আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হলো। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেছিলেন যে আমার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে, আমি ঢাকায় গিয়ে মামলা লড়বো। আমি তখন তার বিশেষ সহকারী হিসেবে কাজ করতাম।
বিমানবন্দরে আমি নিজেও গিয়েছিলাম। বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় কোনো মানুষ দেখিনি, বিমানবন্দর থেকে তিনি আসছিলেন তখন রাস্তার দুই ধার ছাপিয়ে হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মানুষ চলে আসলো শেখ হাসিনাকে বরণ করার জন্য।
হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধু যেমন অসীম সাহসী ছিলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যাও তেমনি অসীম সাহসী। তার সবচেয়ে বড় গুণ হচ্ছে তিনি প্রচণ্ড সংকটের মধ্যে ধৈর্য্য হারান না, যেমন বঙ্গবন্ধু হারাননি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে ২৫ মার্চ যখন গ্রেপ্তার করা হয় তখন শুধু সেনাবাহিনী গিয়েছিলো তা নয়, তাকে গ্রেপ্তারের আগে চারপাশে বিভিন্ন বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, ধানমন্ডি এলাকায় গোলাগুলি করা হয়। তিনি সে সময় ধৈর্য্য হারাননি।
বঙ্গবন্ধু বরং পাকিস্তানিদের বলেছিলেন, তোমাদের এতো গোলাগুলি-বিস্ফোরণ ঘটানো, মানুষকে কষ্ট দেওয়ার প্রয়োজন ছিলো না। আমার কাছে আসলেই তো আমাকে নিয়ে যেতে পারতে। তাকে গ্রেপ্তারের পূর্ব মুহূর্তে তিনি স্বাধীনতা ঘোষণা করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও প্রচণ্ড সংকটে ধৈর্য্য হারাননি।
তিনি বলেন, বিবিসির অনলাইন জরিপে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচিত হয়েছিলেন। এর কারণ বিশ্লেষণে বলতে হয়, বাঙালি জাতিসত্ত্বার উন্মেষের পাঁচ হাজার বছর ইতিহাসে বাঙালি কখনো স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে নাই। বাংলা ভাষাভাষীর কিছু অঞ্চল নিয়ে কোনো কোনো সময় স্বাধীন রাজা ছিলো কিন্তু কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র কখনো প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। কিন্তু বাঙালির স্বাধীনতার আকাঙ্খা ছিলো।
তিনি আরও বলেন, তিতুমীর, সূর্যসেন, নেতাজী সুভাষ বসু অনেকেই স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে, বিদ্রোহ করেছে, কিন্তু স্বাধীনতা আসেনি। বঙ্গবন্ধুই সেই নেতা যিনি বাঙালি জাতিকে ধীরে ধীরে, পলে পলে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার লক্ষ্যে মনন তৈরি করে চূড়ান্তভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন এবং তার সেই ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি জাতি রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতাকে ছিনিয়ে এনেছে, জয় বাংলা শ্লোগানে মৃত্যুকে আলিঙ্গণ করেছে। বিশ্ব ইতিহাসে এমন উদাহরণ বিরল। এ জন্যই ইতিহাসের পাতায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, জাতির পিতা মুজিব তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।
তথ্যমন্ত্রী এ সময় ‘বাংলার স্থপতি’ বইয়ের গ্রন্থকার অ্যালভীন দীলিপ বাগচীকে অভিনন্দন জানান এবং বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ওপর বিশ্লেষণধর্মী ইতিহাসভিত্তিক এই গ্রন্থ রচনার জন্য দীলিপ বাগচী এবং তার পরিবারকে আন্তরিক ধন্যবাদ এবং আগামীতে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে গ্রন্থ রচনার জন্য তাকে অনুরোধ জানাই।
সেই সঙ্গে ড. হাছান বলেন, এখন বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিভিন্ন জন প্রচুর বই লেখে, অনেক ক্ষেত্রে লেখার প্রতিযোগিতাও তৈরি হয়েছে এবং সেটি করতে গিয়ে অনেক ইতিহাস বিকৃতি হচ্ছে এবং বইয়ের মান রক্ষিত হচ্ছে না। এ বিষয়ে আমি মনে করি বঙ্গবন্ধুর ওপর দেশে-বিদেশে যে সমস্ত বই রচিত হয়েছে সেগুলো নির্দিষ্ট মানদণ্ড মেনে চলা প্রয়োজন এবং বইতে কোনোভাবেই যেন ন্যূনতম ইতিহাস বিকৃতি না ঘটে সে ব্যাপারে সচেতন থাকা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: শিক্ষামন্ত্রীর মায়ের মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক
বাংলাদেশ নিয়ে বিশ্বের প্রশংসায় বিএনপি নেতাদের মাথা খারাপ: তথ্যমন্ত্রী
নাটোরে প্রতিপক্ষের হামলায় ৭ আ.লীগ নেতাকর্মী আহত
পূর্ব বিরোধের জেরে নাটোরের সিংড়ায় প্রতিপক্ষের হামলায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এমদাদুল হক বাবলুসহ দলটির স্থানীয় অন্তত সাত নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে বাবলুসহ তিনজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, শনিবার সন্ধ্যায় সিংড়া উপজেলার কলম ইউনিয়নের নুরপুর বাজারের একটি চায়ের দোকানে বসে গল্প করছিলেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিনের সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ ও মানবপাচার মামলার পৃথক রায়ে ৬ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান মইনুল হক চুন্নুর সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে সাতজন আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।
খবর পেয়ে হাসপাতালে যান আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
শুক্রবার এলাকার একটি ইফতার মাহফিল নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ তৈরি হয় বলে জানান এলাকাবাসী।
গোলযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির কর্মসূচিতে হামলা: নাটোরে আ.লীগ ও যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই: তোফায়েল আহমেদ
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, এই বাংলাদেশে আর কোনোদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলেও আমরা নির্বাচন করেছি।
তিনি বলেন, সেই নির্বাচনেও যথেষ্ট কারচুপি হয়েছে। এখন বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের অধীনে আগামী নির্বাচন হবে।
আরও পড়ুন: আর কখনও নির্দলীয় সরকার হবে না: তোফায়েল আহমেদ
মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা সদর উপজেলার ভেদুরিয়া ইউনিয়নের ব্যাংকের হাট স্কুল মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগের আয়োজনে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব ও দুস্থদের মাঝে পোশাক বিতরণকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ আশা করেন বিএনপি এবারের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। কারণ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করলে তারা রাজনীতি থেকে হারিয়ে যাবে। রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র হলো নির্বাচন।
তিনি বলেন, ‘সকল দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে অন্যতম উন্নয়নশীল দেশ। আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক বিশ্বে যথেষ্ট মর্যাদা অর্জন করেছি। আজকে গ্রামগুলো শহর হয়েছে। আজ গ্রাম আর গ্রাম নেই। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। আপনারা শান্তিতে আছেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে: তোফায়েল আহমেদ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম: তোফায়েল আহমেদ
বগুড়ায় আ.লীগ নেতা দুলুর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে ১ কোটি ৬ লক্ষ ১৩ হাজার টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনের অভিযোগে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য আসাদুর রহমান দুলুর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (৫ এপ্রিল) দুদক বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়ে সংস্থার সহকারি পরিচালক মো. তারিকুর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
দুদক জানায়, দুলুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর ২০২৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি তার সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ দেওয়া হয়। তিনি ওই বছরের ২৫ জুলাই তার সম্পদ বিবরণী দাখিল করেন। দুলুর দেওয়া সম্পদ বিবরণীতে দেখা যায় তার স্থাবর অস্থাবর মিলে সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৯২ লাখ ৫২ হাজার ২৬৯ টাকা। কিন্তু যাচাইকালে আওয়ামী লীগের এই নেতার স্থাবর-অস্থাবর মিলে সম্পদ পাওয়া যায় ৩ কোটি ৭২ লাখ ৭৭ হাজার ২০৯ টাকার। তার পারিবারিক ঋণ ও খরচ বাদ দিলে দুলুর মোট সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ কোটি ৭১ লাখ ৫২ হাজার ৩৬ টাকা। এই হিসেবে দুলু জ্ঞাত আয় বহির্ভূতভাবে ১ কোটি ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৯০ টাকার সম্পদ ভোগ-দখল রেখেছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা দুলুর দুর্নীতি মামলার বিচার ১ বছরে শেষ করার নির্দেশ
মামলার বাদী দুদকের সহকারি পরিচালক মো. তারিকুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগ নেতা দুলু অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন করায় দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ সালের ২৬ এর (২) ও ২৭ এর (১) ধারায় মামলা হয়েছে।
দুলু তার সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য, আয়ের উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে স্থানান্তর ও রূপান্তর করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ৪ (৩) (২) ধারায় অপরাধ করেছেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান দুলু বলেছেন, ‘আমার তথ্য গোপন করার কিছু নেই। মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা রিজভী ও দুলুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বিএনপি নেতা মিনু, দুলুসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
নাটোরে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ, আহত ৩০
নাটোরে পূর্বঘোষিত বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে দলটির ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুসহ দুই পক্ষের কমপক্ষে ৩০জন আহত হয়েছেন। শনিবার (১ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটার দিকে নাটোর শহরের আলাইপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে শরীফ নামে এক যুবদল কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নন্দীগ্রামে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে আহত ৩
জানা যায়, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী দুপুর আড়াইটার দিকে নাটোর শহরের আলাইপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি। কর্মসূচির প্রধান অতিথি কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বক্তব্য দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা কর্মীরা শান্তি মিছিল নিয়ে ওই এলাকায় পৌঁছলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এসময় বিএনপির মঞ্চ ভাঙচুর করা হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ চলে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এরপর সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের সামনে শান্তি সমাবেশ করে আওয়ামী লীগ।
এসময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান বিএনপি কর্মীদের হামলায় তাদের অনেক নেতাকর্মী আহত হওয়ার দাবি করেন।
অন্যদিকে, এ ঘটনার পর বিকাল সাড়ে ৩টায় দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু।
তিনি অভিযোগ করে জানান, তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ।
তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে দলের মনোনয়ন পাওয়ার প্রতিযোগিতা হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপির ওপর এ হামলা চালিয়েছে।
নাটোর সদর থানার পরিদর্শক তদন্ত আবুল কালাম জানান, বিএনপি আলাইপুরে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করে। অন্যদিকে অনিমা অডিটোরিয়ামের সামনে অবস্থান নেয় আওয়ামী লীগ। এক পর্যায়ের উভয়ের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: খুলনায় আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে ১৫ জন আহত
সিলেটে আওয়ামী লীগ-বিএনপি সংঘর্ষ
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ শেষ
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে দু’দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে।
সমিতির আওয়ামী লীগ সমর্থক নেতাদের পক্ষ থেকে গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এই নির্বাচন পরিচালনা করেন।
পুলিশি পাহারায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের ভোট দিতে দেখা যায়।
এবারের নির্বাচনে ৮ হাজার ৬০২ জন ভোটারের মধ্যে দুইদিনে ৪ হাজার ১৩৭ ভোট পড়েছে বলে দাবি এই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির।
অন্যদিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সবার সম্মতিতে বৈধভাবে গঠিত না হওয়ার অভিযোগ তুলে, এই ভোটে অংশ নেননি বিএনপি সমর্থক ও সমমনা আইনজীবীরা।
তবে আজও সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে দফায় দফায় মিছিল-পাল্টা মিছিল, ধস্তাধস্তি, হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবছর এই ভোট উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হলেও এবারের চিত্র ছিল কিছুটা ভিন্ন।
আরও পড়ুন: সমিতির নির্বাচন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
সমিতির এই ভোটের প্রথম দিনে ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের বের করে দেয়া, পুলিশি নির্যাতন, অবৈধ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে ভোটগ্রহণ, বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের রুমে তালা লাগিয়ে দেয়া ও আদালত চত্বরে বিপুল সংখ্যাক পুলিশের উপস্থিতির বিষয়গুলো বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতির আদালতে তুলে ধরেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা।
পরে খাসকামরায় নিয়ে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিরা বিএনপি সমর্থক আইনজীবী নেতাদের বক্তব্য শোনেন। এরপর সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যও শোনেন প্রধান বিচারপতি।
এরপর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মিছিল-শ্লোগান, ভোটের প্যান্ডেলের সামনে দু’পক্ষের ধাক্কাধাক্কি, পৃথক মামলায় বিএনপিপন্থী ২২ আইনজীবীর আগাম জামিন এবং বিকেলে দুপক্ষের ধাক্কাধাক্কির মধ্য দিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের অংশগ্রহণ ছাড়াই সমিতির দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। দিনভরই আদালত চত্বরে ছিল উত্তেজনা।
আইনজীবীর ভাষ্যমতে, সমিতির এবাবের ভোটকে ঘিরে উৎসবের পরিবর্তে উত্তেজনার আমেজ ছিল। তবে আজ রাতেই এই ভোট গণণা ও ফল ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান মো. মনিরুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের আপিল বিভাগে ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
সকালে আপিল বিভাগে শুনানির শুরুতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে নজীরবিহীন ঘটনা গতকাল (বুধবার) ঘটেছে, যা চলমান। আজও রুমে তালা লাগানো আছে, অনেকের রুমের চারপাশে পুলিশ দেয়া হয়েছে। বাইরে থেকে এ ঘটনার পেছনে কেউ আছে কিনা তা দেখতে হবে। এই অঙ্গনে এটা কি অনুমোদিত? তারা সমিতির জ্যেষ্ঠ সদস্যদেরও নির্যাতন করেছে। আমরা সুরক্ষা চাচ্ছি।’
সমিতির নির্বাচনে বিএনপি প্যানেল থেকে সম্পাদক প্রার্থী মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘সমিতির নির্বাচন হয় সব সময় উৎসবমুখর। তবে এবার কি হলো? আজও আমি রুমে ঢুকতে পারিনি। রুমের বাইরে থেকে তালা লাগানো। কক্ষের সামনে পুলিশ রয়েছে। পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
এ সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘মি. রুহুল কুদ্দুস আপনাদের সবাইকে সম্মান করি। আপনারা ২ জন ১১টার সময় (বিরতি) আসেন। কোনো করণীয় থাকলে করবো। প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও ডেকে নেবো।’
এ সময় সমিতির সভাপতি পদপ্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘নজিরবিহীন ঘটনা। ভোটকেন্দ্রে তিন চারশ পুলিশ ঢুকে ধাক্কা দিতে থাকে। সবাই পড়ে যাচ্ছিল আর পুলিশ পা দিয়ে পাড়িয়েছে। আমার পায়ে ব্যাথা আমি ঠিকমতো দাড়াতে পারছি না।’
এ সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘এ কথাগুলো ভেতরে বসে শুনি। ১১ টায় আসেন। এখন কোর্টের কাজ করি।’
পরে বেলা ১১টার পরে বিএনপি ফোরামের ৫জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তার খাস কামরায় সাক্ষাত করেন। এ সময় সেখানে আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতিরা ছিলেন। সেখানে তারা তাদের সব অভিযোগ তুলে ধরেন। সবকিছু শুনে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে প্রধান বিচারপতি বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের জানায়।
এরপর প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাত করে এসে অ্যাটর্নি জেনারেল নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি বলেছেন, এটা আমাদের বিষয় না। সমিতি একটি প্রাইভেট বডি। এটা বারের (আইনজীবী সমিতির) বিষয়। এখানে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই। আপনারা বারের সিনিয়র আইনজীবীদের নিয়ে বসে আলাপ করে সমস্যার সমাধান করেন। সবাই মিলে পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার চেষ্টা করেন।
পরিবেশ সুষ্ঠু আছে কিনা জানতে চাইলে সরাসরি জবাব না দিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে হলে দু’পক্ষকেই সমানভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। একপক্ষ ব্যালট ছিড়ে নিয়ে যাবে অপরপক্ষ বাধা দেবে তাহলে পরিবেশ ঠিক থাকবে কি করে? কাকে দোষ দেবেন? বিএনপি তো প্রথম থেকেই নির্বাচন করতে চাচ্ছিল না। আগের দিন রাতে ব্যালট পেপার ছিড়ে ফেলে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি সমর্থকরা পুনরায় নির্বাচন দাবি করতেই পারে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে এবং শত শত আইনজীবী লাইন ধরে ভোট দিচ্ছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
জানা যায়, সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান কে হবেন তা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ান দু’পক্ষের আইনজীবী নেতারা। পরে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান করা হয় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা, সাবেক বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুরুল হক চৌধুরীকে। কিন্তু ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বরে পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ সাংবাদিক ও আইনজীবী আহত
একাধিক সূত্র জানায়, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ভোট গণনার মেশিন ব্যবহার করতে চাইলে সমিতির বর্তমান সম্পাদক ও আওয়ামী ফোরামের সম্পাদক প্রার্থী আবদুন নূর দুলাল তাতে বাধা দেন। তিনি আলাদা ব্যালট পেপার তৈরি করে আনেন। এ নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৩ মার্চ বিকালে প্রার্থী পরিচিতি সভার পর সন্ধ্যায় মনসুরুল হক চৌধুরী পদত্যাগ করেন। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার বিএনপি ও আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীরা ফের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন।
সমিতির আওয়ামী ফোরামের নেতারা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুজ্জামানকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান করে নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি ঘোষণা করেন। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থকরা সমিতির সাবেক সহসভাপতি এ এস এম মোক্তার কবিরকে প্রধান করে একটি নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি গঠন করেন। বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়।
উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর উদ্যোগ নিলে বিএনপি-সমর্থিত প্যানেল থেকে মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচন পরিচালনা-সংক্রান্ত উপকমিটির সঙ্গে বিবাদে জড়ান। এক পর্যায়ে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও ভোটে আওয়ামী লীগ ফোরামের সভাপতি প্রার্থী মমতাজ উদ্দিন ফকির পুলিশ ডাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেলা ১১টার ৪০ মিনিটের দিকে সমিতির মিলনায়তনে কয়েকশ পুলিশ প্রবেশ করে। তারা বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করতে লাঠিচার্জ শুরু করলে প্রায় ১৫ জন আইনজীবী আহত হন।
এসময় পুলিশের সঙ্গে ঢোকা সাংবাদিকরা ঘটনার ছবি, ভিডিও নিতে থাকেন। ফলে পুলিশ সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়। সাংবাদিকদেরকেও বেধড়ক লাঠিপেটা করতে থাকলে এনটিএন নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাভেদ আক্তারসহ ১০-১২জন গণমাধ্যম কর্মী আহত হন।
পুলিশ দুঃখিত
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন চলাকালে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ।
সুপ্রিম কোর্টের বার ভবনে আইন, বিচার ও মানবাধিকারবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএএফ) কার্যালয়ে এসে এ দুঃখ প্রকাশ করে হারুন অর রশিদ বলেন, হঠাৎ করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশকে একটু হ্যান্ডেল করতে হয়েছে। হ্যান্ডেল করতে গিয়ে আমাদের কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পাশাপাশি আমার প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এজন্য আমি আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমাদের কমিশনার মহোদয়ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন, আসলে এটা উচিত হয়নি।
হারুন অর রশিদ বলেন, ভবিষ্যতে এই পবিত্র জায়গায় হ্যান্ডলিং করতে আমরা একটু সাবধান হব।
নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট
এদিকে সমিতির নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও নির্বাচনের সভাপতি প্রার্থী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট করেন। রিটে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, সুপ্রিম কোর্ট বারের বর্তমান কমিটির সম্পাদক, বর্তমান কমিটির সভাপতি ও চলমান নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, বিএনপি সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব ও সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন পরিচালনা সাব-কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মনসুরুল হক চৌধুরীকে বিবাদী করা হয়েছে।
পাশাপাশি অনুষ্ঠিত ২০২৩-২০২৪ সালের নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রিটে নির্বাচন পরিচালনার জন্য একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের আর্জি জানানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না: তোফায়েল
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু একজন মহান নেতা ছিলেন। যার জন্ম না হলে এই বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ভোলা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে ভোলায় জেলা আওয়ামী লীগের উদ্দ্যোগে আলোচনা সভায় সিঙ্গাপুর থেকে ভাচুর্য়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে: তোফায়েল আহমেদ
তিনি বলেন, আজ আমরা পাকিস্তানের দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতাম। একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে গোটা জাতিকে প্রস্তুত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, রক্ত যখন দিয়েছি। রক্ত আরও দিব। এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলো। আমরা ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলেছি।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, এই বছরের শেষে অথবা ২০২৪ সালে প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন। তাই সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। ভোলার প্রত্যেকটি গ্রাম ও শহরকে আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিণত করতে হবে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন, ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট জুলফিকার আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল ইসলাম, দৌলতখান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক আরজু, ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আজিজসহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই: জিএম কাদের
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম: তোফায়েল আহমেদ
আওয়ামী লীগ এতিম হয়ে গেছে: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ আজ এতিম হয়ে গেছে। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। পুলিশের পিছে পিছেও ঘুরছে। আর ছুরি, লাঠি, দা নিয়ে তারা শান্তি সমাবেশ করছে। ওরা নাকি জনগণের সম্পদ রক্ষা করবে।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউরি নুর আহম্মেদ সড়কে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
খসরু বলেন, ঢাকায়ও আমাদের সমাবেশ হয়েছে। লোকে লোকারণ্য ছিল সেই পদযাত্রা। এছাড়া তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত হলো ফয়সালা হবে রাজপথে। রাজপথ ছাড়া দ্বিতীয় আর কোনো পন্থা নেই। রাজপথে জনগণকে নিয়ে এ ফ্যাসিস্টকে হটাতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাবে। লাখো জনতা রাস্তায় নেমে গেছে। এরা কেউ বাড়ি ফিরে যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, এ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে তারা বিদায় করবে।
তিনি আরও বলেন, জনগণ এই ফ্যাসিস্টের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে দেশে জবাবদিতামূলক সংসদ ও সরকার আনবে।
কাজীর দেউরী নুর আহম্মেদ সড়ক থেকে পদযাত্রা শুরু করে লাভলেইন মোড়, জুবলী রোড়, তিনপুলের মাথা, বোস ব্রাদার্স, ডিসি হিল, বৌদ্ধ মন্দির, লাভলেইন হয়ে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় পদযাত্রা শুরুর আগে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবার রহমান শামীম, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, ভিপি হারুনুর রশীদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
আরও পড়ুন: আ.লীগ বিরোধী দলের মতো আচরণ করছে: আমীর খসরু
বিএনপির ২৭ দফা সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ: আমীর খসরু