আওয়ামী লীগ
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির ভোটগ্রহণ শেষ
সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচনে দু’দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে।
সমিতির আওয়ামী লীগ সমর্থক নেতাদের পক্ষ থেকে গঠিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটি এই নির্বাচন পরিচালনা করেন।
পুলিশি পাহারায় কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থক আইনজীবীদের ভোট দিতে দেখা যায়।
এবারের নির্বাচনে ৮ হাজার ৬০২ জন ভোটারের মধ্যে দুইদিনে ৪ হাজার ১৩৭ ভোট পড়েছে বলে দাবি এই নির্বাচন পরিচালনা কমিটির।
অন্যদিকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সবার সম্মতিতে বৈধভাবে গঠিত না হওয়ার অভিযোগ তুলে, এই ভোটে অংশ নেননি বিএনপি সমর্থক ও সমমনা আইনজীবীরা।
তবে আজও সুপ্রিমকোর্ট চত্বরে উভয় পক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে দফায় দফায় মিছিল-পাল্টা মিছিল, ধস্তাধস্তি, হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবছর এই ভোট উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হলেও এবারের চিত্র ছিল কিছুটা ভিন্ন।
আরও পড়ুন: সমিতির নির্বাচন বিষয়ে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল
সমিতির এই ভোটের প্রথম দিনে ভোটকেন্দ্র থেকে বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের বের করে দেয়া, পুলিশি নির্যাতন, অবৈধ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে ভোটগ্রহণ, বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের রুমে তালা লাগিয়ে দেয়া ও আদালত চত্বরে বিপুল সংখ্যাক পুলিশের উপস্থিতির বিষয়গুলো বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতির আদালতে তুলে ধরেন বিএনপি সমর্থক আইনজীবীরা।
পরে খাসকামরায় নিয়ে প্রধান বিচারপতিসহ আপিল বিভাগের বিচারপতিরা বিএনপি সমর্থক আইনজীবী নেতাদের বক্তব্য শোনেন। এরপর সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেলের বক্তব্যও শোনেন প্রধান বিচারপতি।
এরপর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মিছিল-শ্লোগান, ভোটের প্যান্ডেলের সামনে দু’পক্ষের ধাক্কাধাক্কি, পৃথক মামলায় বিএনপিপন্থী ২২ আইনজীবীর আগাম জামিন এবং বিকেলে দুপক্ষের ধাক্কাধাক্কির মধ্য দিয়ে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের অংশগ্রহণ ছাড়াই সমিতির দ্বিতীয় দিনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। দিনভরই আদালত চত্বরে ছিল উত্তেজনা।
আইনজীবীর ভাষ্যমতে, সমিতির এবাবের ভোটকে ঘিরে উৎসবের পরিবর্তে উত্তেজনার আমেজ ছিল। তবে আজ রাতেই এই ভোট গণণা ও ফল ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান মো. মনিরুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আট সদস্যের আপিল বিভাগে ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।
সকালে আপিল বিভাগে শুনানির শুরুতে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে নজীরবিহীন ঘটনা গতকাল (বুধবার) ঘটেছে, যা চলমান। আজও রুমে তালা লাগানো আছে, অনেকের রুমের চারপাশে পুলিশ দেয়া হয়েছে। বাইরে থেকে এ ঘটনার পেছনে কেউ আছে কিনা তা দেখতে হবে। এই অঙ্গনে এটা কি অনুমোদিত? তারা সমিতির জ্যেষ্ঠ সদস্যদেরও নির্যাতন করেছে। আমরা সুরক্ষা চাচ্ছি।’
সমিতির নির্বাচনে বিএনপি প্যানেল থেকে সম্পাদক প্রার্থী মো. রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘সমিতির নির্বাচন হয় সব সময় উৎসবমুখর। তবে এবার কি হলো? আজও আমি রুমে ঢুকতে পারিনি। রুমের বাইরে থেকে তালা লাগানো। কক্ষের সামনে পুলিশ রয়েছে। পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে ভোট কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির কাছে অভিযোগ উপস্থাপন করলেন বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা
এ সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘মি. রুহুল কুদ্দুস আপনাদের সবাইকে সম্মান করি। আপনারা ২ জন ১১টার সময় (বিরতি) আসেন। কোনো করণীয় থাকলে করবো। প্রয়োজনে অ্যাটর্নি জেনারেলকেও ডেকে নেবো।’
এ সময় সমিতির সভাপতি পদপ্রার্থী মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, ‘নজিরবিহীন ঘটনা। ভোটকেন্দ্রে তিন চারশ পুলিশ ঢুকে ধাক্কা দিতে থাকে। সবাই পড়ে যাচ্ছিল আর পুলিশ পা দিয়ে পাড়িয়েছে। আমার পায়ে ব্যাথা আমি ঠিকমতো দাড়াতে পারছি না।’
এ সময় প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, ‘এ কথাগুলো ভেতরে বসে শুনি। ১১ টায় আসেন। এখন কোর্টের কাজ করি।’
পরে বেলা ১১টার পরে বিএনপি ফোরামের ৫জন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রধান বিচারপতির সঙ্গে তার খাস কামরায় সাক্ষাত করেন। এ সময় সেখানে আপিল বিভাগের অন্যান্য বিচারপতিরা ছিলেন। সেখানে তারা তাদের সব অভিযোগ তুলে ধরেন। সবকিছু শুনে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলে সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে প্রধান বিচারপতি বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের জানায়।
এরপর প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাত করে এসে অ্যাটর্নি জেনারেল নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধান বিচারপতি বলেছেন, এটা আমাদের বিষয় না। সমিতি একটি প্রাইভেট বডি। এটা বারের (আইনজীবী সমিতির) বিষয়। এখানে প্রধান বিচারপতির করণীয় কিছু নেই। আপনারা বারের সিনিয়র আইনজীবীদের নিয়ে বসে আলাপ করে সমস্যার সমাধান করেন। সবাই মিলে পরিবেশ সুষ্ঠু রাখার চেষ্টা করেন।
পরিবেশ সুষ্ঠু আছে কিনা জানতে চাইলে সরাসরি জবাব না দিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে হলে দু’পক্ষকেই সমানভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। একপক্ষ ব্যালট ছিড়ে নিয়ে যাবে অপরপক্ষ বাধা দেবে তাহলে পরিবেশ ঠিক থাকবে কি করে? কাকে দোষ দেবেন? বিএনপি তো প্রথম থেকেই নির্বাচন করতে চাচ্ছিল না। আগের দিন রাতে ব্যালট পেপার ছিড়ে ফেলে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি সমর্থকরা পুনরায় নির্বাচন দাবি করতেই পারে। তবে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে হচ্ছে এবং শত শত আইনজীবী লাইন ধরে ভোট দিচ্ছেন বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
জানা যায়, সমিতির নির্বাচন পরিচালনা কমিটি নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত হয়। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান কে হবেন তা নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ান দু’পক্ষের আইনজীবী নেতারা। পরে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান করা হয় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতা, সাবেক বিচারপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মনসুরুল হক চৌধুরীকে। কিন্তু ১৩ মার্চ সন্ধ্যায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি পদত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: আদালত চত্বরে পুলিশের লাঠিচার্জে ১০ সাংবাদিক ও আইনজীবী আহত
একাধিক সূত্র জানায়, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি ভোট গণনার মেশিন ব্যবহার করতে চাইলে সমিতির বর্তমান সম্পাদক ও আওয়ামী ফোরামের সম্পাদক প্রার্থী আবদুন নূর দুলাল তাতে বাধা দেন। তিনি আলাদা ব্যালট পেপার তৈরি করে আনেন। এ নিয়ে বিরোধের জেরে গত ১৩ মার্চ বিকালে প্রার্থী পরিচিতি সভার পর সন্ধ্যায় মনসুরুল হক চৌধুরী পদত্যাগ করেন। এ অবস্থায় গত মঙ্গলবার বিএনপি ও আওয়ামী সমর্থক আইনজীবীরা ফের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে বিভক্ত হয়ে পড়েন।
সমিতির আওয়ামী ফোরামের নেতারা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মনিরুজ্জামানকে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান করে নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি ঘোষণা করেন। অন্যদিকে বিএনপি সমর্থকরা সমিতির সাবেক সহসভাপতি এ এস এম মোক্তার কবিরকে প্রধান করে একটি নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটি গঠন করেন। বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা যায়।
উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে বুধবার সকালে ভোট গ্রহণ শুরুর উদ্যোগ নিলে বিএনপি-সমর্থিত প্যানেল থেকে মনোনীত প্রার্থীরা নির্বাচন পরিচালনা-সংক্রান্ত উপকমিটির সঙ্গে বিবাদে জড়ান। এক পর্যায়ে আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও ভোটে আওয়ামী লীগ ফোরামের সভাপতি প্রার্থী মমতাজ উদ্দিন ফকির পুলিশ ডাকেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেলা ১১টার ৪০ মিনিটের দিকে সমিতির মিলনায়তনে কয়েকশ পুলিশ প্রবেশ করে। তারা বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের ভোটকেন্দ্র থেকে বের করতে লাঠিচার্জ শুরু করলে প্রায় ১৫ জন আইনজীবী আহত হন।
এসময় পুলিশের সঙ্গে ঢোকা সাংবাদিকরা ঘটনার ছবি, ভিডিও নিতে থাকেন। ফলে পুলিশ সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয়। সাংবাদিকদেরকেও বেধড়ক লাঠিপেটা করতে থাকলে এনটিএন নিউজের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জাভেদ আক্তারসহ ১০-১২জন গণমাধ্যম কর্মী আহত হন।
পুলিশ দুঃখিত
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন চলাকালে সাংবাদিকদের ওপর পুলিশি হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ।
সুপ্রিম কোর্টের বার ভবনে আইন, বিচার ও মানবাধিকারবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ল’রিপোর্টার্স ফোরাম (এলআরএএফ) কার্যালয়ে এসে এ দুঃখ প্রকাশ করে হারুন অর রশিদ বলেন, হঠাৎ করে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশকে একটু হ্যান্ডেল করতে হয়েছে। হ্যান্ডেল করতে গিয়ে আমাদের কিছু পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পাশাপাশি আমার প্রিয় সাংবাদিক ভাইদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। এজন্য আমি আমার ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আমাদের কমিশনার মহোদয়ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন, আসলে এটা উচিত হয়নি।
হারুন অর রশিদ বলেন, ভবিষ্যতে এই পবিত্র জায়গায় হ্যান্ডলিং করতে আমরা একটু সাবধান হব।
নির্বাচন স্থগিত চেয়ে রিট
এদিকে সমিতির নির্বাচন স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও নির্বাচনের সভাপতি প্রার্থী ইউনুছ আলী আকন্দ এ রিট করেন। রিটে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান, সুপ্রিম কোর্ট বারের বর্তমান কমিটির সম্পাদক, বর্তমান কমিটির সভাপতি ও চলমান নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেলের সভাপতি প্রার্থী সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মোমতাজ উদ্দিন ফকির, বিএনপি সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব ও সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন পরিচালনা সাব-কমিটির আহ্বায়ক সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মনসুরুল হক চৌধুরীকে বিবাদী করা হয়েছে।
পাশাপাশি অনুষ্ঠিত ২০২৩-২০২৪ সালের নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে রিটে নির্বাচন পরিচালনার জন্য একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োগের আর্জি জানানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না: তোফায়েল
আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু একজন মহান নেতা ছিলেন। যার জন্ম না হলে এই বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না।
মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় ভোলা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইউনেস্কো স্বীকৃত বিশ্ব ঐতিহ্যের দলিল ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে ভোলায় জেলা আওয়ামী লীগের উদ্দ্যোগে আলোচনা সভায় সিঙ্গাপুর থেকে ভাচুর্য়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে: তোফায়েল আহমেদ
তিনি বলেন, আজ আমরা পাকিস্তানের দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ থাকতাম। একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে গোটা জাতিকে প্রস্তুত করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, রক্ত যখন দিয়েছি। রক্ত আরও দিব। এই দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো। ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলো। আমরা ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলেছি।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, এই বছরের শেষে অথবা ২০২৪ সালে প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন। তাই সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। ভোলার প্রত্যেকটি গ্রাম ও শহরকে আওয়ামী লীগের দুর্গে পরিণত করতে হবে। তাই সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল কাদের মজনুর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন, ভোলা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট জুলফিকার আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল ইসলাম, দৌলতখান উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বাবুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক আরজু, ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আজিজসহ অন্যান্যরা।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই: জিএম কাদের
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম: তোফায়েল আহমেদ
আওয়ামী লীগ এতিম হয়ে গেছে: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগ আজ এতিম হয়ে গেছে। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। পুলিশের পিছে পিছেও ঘুরছে। আর ছুরি, লাঠি, দা নিয়ে তারা শান্তি সমাবেশ করছে। ওরা নাকি জনগণের সম্পদ রক্ষা করবে।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে চট্টগ্রাম নগরীর কাজির দেউরি নুর আহম্মেদ সড়কে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: আমীর খসরুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
খসরু বলেন, ঢাকায়ও আমাদের সমাবেশ হয়েছে। লোকে লোকারণ্য ছিল সেই পদযাত্রা। এছাড়া তারেক রহমানের সিদ্ধান্ত হলো ফয়সালা হবে রাজপথে। রাজপথ ছাড়া দ্বিতীয় আর কোনো পন্থা নেই। রাজপথে জনগণকে নিয়ে এ ফ্যাসিস্টকে হটাতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণ ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাবে। লাখো জনতা রাস্তায় নেমে গেছে। এরা কেউ বাড়ি ফিরে যাবে না। বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে, এ ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে তারা বিদায় করবে।
তিনি আরও বলেন, জনগণ এই ফ্যাসিস্টের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন করে দেশে জবাবদিতামূলক সংসদ ও সরকার আনবে।
কাজীর দেউরী নুর আহম্মেদ সড়ক থেকে পদযাত্রা শুরু করে লাভলেইন মোড়, জুবলী রোড়, তিনপুলের মাথা, বোস ব্রাদার্স, ডিসি হিল, বৌদ্ধ মন্দির, লাভলেইন হয়ে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় পদযাত্রা শুরুর আগে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবার রহমান শামীম, শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, ভিপি হারুনুর রশীদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
আরও পড়ুন: আ.লীগ বিরোধী দলের মতো আচরণ করছে: আমীর খসরু
বিএনপির ২৭ দফা সরকারবিরোধী আন্দোলনের অংশ: আমীর খসরু
ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ঝিনাইদহে আওয়ামী লীগ কর্মীকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষরা। শুক্রবার সদর উপজেলার সুড়োপাড়া গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
আহত আওয়ামী লীগ কর্মীর নাম ছব্দুল্লাহ।
এ ঘটনায় আহত ছব্দুল্লাহর ছেলে পলাশ বাদী হয়ে আট জনের নাম উল্লেখ করে এজাহার দাখিল করেছেন।
আরও পড়ুন: পটুয়াখালীতে কেন্দ্রের সামনে এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম
আসামিরা হলো- সদর উপজেলার সুড়োপাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম ওরফে জমিদার (৪০), উজ্জ্বল (৩৮), রফিকুল (৪০), লিটন (৩৫) সুজন (২৫), আশিক (২৭), মামুন (৪০), রাশেদ (৪৩) ও হিরাডাঙ্গা গ্রামের ফিরোজ হোসেন (৫৫) সহ অজ্ঞাতনামা আরও সাত থেকে আটজন।
মামলার বাদী পলাশ জানান, শনিবার সকালে আমার বাবা বাড়িতে ছিলেন। এসময় পূর্ব শত্রুতার জেরে মনিরুল ইসলাম ওরফে জমিদারের নেতৃত্বে উল্লেখিত আসামিরা আমার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্য ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তার শারিরীক অবস্থার অবনতি হওয়ায় চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, এই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: ববিতে হলে ঢুকে শিক্ষার্থীকে কুপিয়ে জখম: আটক ৪
কালিয়ায় ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে জখম
আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে প্রোথিত: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের ভিত অনেক গভীরে প্রোথিত।
তিনি বলেন, বিএনপি যে দিনের বেলায় পদযাত্রা আর রাতের বেলায় কূটনীতিকদের পদলেহন করে, এই সব করে আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় দেয়া যাবে না।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর শাহবাগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে 'সারাহ ইসলাম ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্লান্ট সেল' উদ্বোধন সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি সব মহানগরে বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এই কর্মসূচি আসলে পদযাত্রা নয়, বিএনপি এই পদযাত্রার নামে সারাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়। কয়েকদিন আগে ইউনিয়নে ইউনিয়নে পদযাত্রা করে তারা বিশৃঙ্খলা করার অপচেষ্টা চালিয়েছে। আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের সতর্ক পাহারায় এবং প্রশাসনের সতর্ক দৃষ্টির কারণে যেভাবে করতে চেয়েছিল সেভাবে করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না : তথ্যমন্ত্রী
এরপরও বিভিন্ন জায়গায় তাদের অস্ত্রধারীদের, সন্ত্রাসীদেরকে দেখা গেছে। এখন আবার ১৮ তারিখ কর্মসূচি দিয়েছে।
ড. হাছান বলেন, করোনা মহামারির মধ্যেও প্রত্যেক মানুষকে বিনামূল্যে করোনার টিকার প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ডোজ দেয়া হয়েছে এবং এখন চতুর্থ ডোজ দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া বিশ্বমন্দার মধ্যে, রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অর্থনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এটি আমার বক্তব্য নয়, বিশ্বব্যাংকের এ অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট, বিশ্বব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসে বলে গেছেন।
এদিকে আইএমএফের রিপোর্টে আমরা করোনা মহামারির মধ্যেও মাথাপিছু আয়ে ভারতকে ছাড়িয়েছি।
আমাদের সরকার যখন এইভাবে দেশকে উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপি এবং তার মিত্ররা নানা ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে' উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো এ সমস্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা না চালিয়ে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে, সেটিই তাদের জন্য মঙ্গলজনক হবে।
এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, মরণোত্তর অঙ্গদানের মাধ্যমে নিজের মৃত্যুর পরও আরও মানুষকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগটি অসাধারণ। মরণোত্তর অঙ্গদান করে চারজন মানুষকে সুস্থ করে তোলা সারাহ ইসলামের মা এখানে উপস্থিত আছেন। আমি সারাহ ইসলামের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বলবো, তিনি যে অসাধারণ কাজ করে গেছেন তা আমাদের সামনে এক অনন্য উদাহরণ।
বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারি হাসপাতালগুলোর উন্নয়নের জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত একটি হাসপাতাল তৈরি ও চালু হয়েছে, কিছুদিনের মধ্যেই পুরোদমে চালু হবে।
এছাড়া সেটি যে কোনো উন্নত দেশের চিকিৎসার চেয়ে কম নয় বরং অনেক ক্ষেত্রেই উন্নততর সেবা দেবে।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী সারাদেশে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রতি ছয় হাজার মানুষের জন্য একটি কমিউনিটি ক্লিনিক গড়ে দিয়েছেন।
এছাড়া ৩০ প্রকারের ওষুধ বিনামূল্যে সেখানে দেয়া হয়। এই অসাধারণ কাজটি উপমহাদেশে অন্য কোন দেশে নেই, এগুলো আমাদের সরকার করেছে।
বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোহম্মদ শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মরণোত্তর অঙ্গদানকারী সারাহ ইসলামের মাতা শবনম সুলতানা এবং মানব অঙ্গ প্রতিস্থাপন সার্জনরা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: একজন অসাধারণ ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি আন্দোলন নয়, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে: তথ্যমন্ত্রী
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ-বিএনপির ভাগাভাগি
চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতিসহ ৯টি পদে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ঐক্য পরিষদ এবং সাধারণ সম্পাদকসহ ১২টি পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ জয়ী হয়েছে।
রবিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে। রাতভর গণনা শেষে সোমবার ভোরে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন।
আরও পড়ুন: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন: সভাপতি খসরু, সম্পাদক কাজল নির্বাচিত
জেলা সমিতির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এবারের নির্বাচনে মোট পাঁচ হাজার ৩০৯ জন ভোটারের মধ্যে চার হাজার ১৪৫ জন ভোট দেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার রতন কুমার রায় বলেন, নির্বাচনে ঐক্য পরিষদ সভাপতিসহ ৯টি পদ পেয়েছে। সাধারণ সম্পাদকসহ ১২টি পদ পেয়েছে সমন্বয় পরিষদ।
ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি পদে জয় লাভ করেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সমর্থিত ঐক্য পরিষদ মনোনীত মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি ভোট পেয়েছেন দুই হাজার ৬৮২ টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিত সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের মনোনীত মনতোষ বড়ুয়া পেয়েছেন এক হাজার ৩৯৬ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে জয় লাভ করেছেন সমন্বয় পরিষদের এএসএম বজলুর রশিদ মিন্টু। তিনি ভোট পেয়েছেন দুই হাজার ২৮০ টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ঐক্যের মোহাম্মদ হাসান আলী চৌধুরী ভোট পেয়েছেন এক হাজার ৮২৪।
সিনিয়র সহসভাপতি পদে সমন্বয় পরিষদের মো. সেকান্দর চৌধুরী, সহ-সভাপতি সমন্বয়ের আব্দুল হক, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে সমন্বয়ের মোহাম্মদ ইমরান, অর্থ সম্পাদক পদে সমন্বয়ের মোশাররফ হোসেন,পাঠাগার সম্পাদক পদে সমন্বয়ের মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ঐক্যের মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বেলাল, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ঐক্যের মো. ওমর ফারুক ও তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ঐক্যের অলি আহমদ জয় লাভ করেন।
এ ছাড়া নির্বাহী সদস্যের ১১টি পদের মধ্যে ছয়টিতে সমন্বয় পরিষদ ও পাঁচটিতে ঐক্য পরিষদ জয় পেয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আইনজীবী সমিতির আদালত বর্জন প্রত্যাহার
সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত
জনগণই আওয়ামী লীগের পাহারাদার: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছে জনগণ। জনগণই আওয়ামী লীগের পাহারাদার। আন্দোলনে সরকারের পতন হবে না।
এছাড়া আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে বিএনপি ভেঙে যেতে পারে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে না আসলে বিএনপি অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। বিএনপির বহুলোক আওয়ামী লীগে যোগ দিতে আলাপ করতে পারে, অন্যান্য দলেও চলে যেতে পারে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সরাসরি মধ্যপ্রাচ্যে শাকসবজি ও ফলমূল পাঠাতে পারবে: কৃষিমন্ত্রী
শনিবার বিকালে টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ছিলিমপুরে এমএ করিম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠের ছিলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি সমাবেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপি জামায়াত অশুভ শক্তির সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও ষড়যন্ত্রমূলক অপরাজনীতির বিরুদ্ধে এ শান্তি সমাবেশ আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে না। বিএনপি যাতে আন্দোলনের নামে ২০১৫ সালের মতো তাণ্ডব চালাতে না পারে, এবং দেশকে অস্থির করে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিতে না পারে, সেজন্যই এই শান্তি সমাবেশের আয়োজন। এর মাধ্যমে আমরা আওয়ামী লীগের লাখ লাখ নেতাকর্মীকে সচেতন করছি ও সক্রিয় রাখছি। এ সমাবেশ মানুষের নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য।
তিনি বলেন, বিএনপি যতই আন্দোলন কর্মসূচি করুক, কোনক্রমেই বৈধ সরকারের পতন ঘটাতে পারবে না। আগে ঢাকায় আন্দোলন করতো বিএনপি, সেখানে ব্যর্থ হয়ে তারা বিভাগে, জেলায় আন্দোলন কর্মসূচি দিয়েছে, আর এখন ইউনিয়নে ইউনিয়নে কর্মসূচি দিচ্ছে।
ড. রাজ্জাক বলেন, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহযোগিতা করা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দায়িত্ব। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ কর্মসূচির মাধ্যমে সেই দায়িত্ব পালন করছে।
সমাবেশে আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক, সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম টিটু, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফারুক হোসেন মানিক ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: কানাডা পটাশিয়াম সার বিক্রি অব্যাহত রাখবে: কৃষিমন্ত্রী
সার ও বীজের দাম বাড়বে না: কৃষিমন্ত্রী
হিরো আলমকে তাচ্ছিল্য করে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের বক্তব্য শিষ্ঠাচার বহির্ভূত ও বৈষম্যমূলক: টিআইবি
বিএনপির ছেড়ে দেয়া সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে কেন্দ্র করে দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের বক্তব্যে হতাশা ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
একজন সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, সর্বোপরি দেশের একজন সাধারণ নাগরিককে নিয়ে দুটি রাজনৈতিক দলের বা কারোরই এমন উপহাস করার কোনো অধিকার নেই বলে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের পরিচালক শেখ মনজুর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন সংবাদে জানা যায় যে আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমকে কেন্দ্র করে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির অবমাননা ও উপহাসমূলক পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেয়ার ঘটনা পরিলক্ষিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনকালীন সহিংসতা প্রসঙ্গে সিইসির বক্তব্য আত্মঘাতী ও অপরিণামদর্শী: টিআইবি
দেশের দুটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের এমন বক্তব্য অনভিপ্রেত বলে উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে আমরা দেখেছি, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘হিরো আলম এখন জিরো হয়ে গেছে। হিরো আলমকে বিএনপি নির্বাচনে দাঁড় করিয়েছে। তারা সংসদকে ছোট করার জন্য হিরো আলমকে প্রার্থী করেছে।’ উল্টোদিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘...এই আওয়ামী লীগ হিরো আলমের কাছেও কতটা অসহায়। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তার সঙ্গে জিততে হয়।’ দুই ক্ষেত্রেই সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলমকে অবজ্ঞা বা তাচ্ছিল্যসূচক বিবেচনায় পরস্পরকে আক্রমণ করেছেন দুই নেতা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক রীতি অনুযায়ী পরস্পরকে নিয়ে বিষোদ্গার নতুন কিছু নয়। কিন্তু সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হোসেন আলমের ব্যক্তি পরিচয় ও অবস্থাকে মানদণ্ড হিসেবে দাঁড় করিয়ে দুই দল একে অপরকে আক্রমণ করেছেন। সেই মানদণ্ড যে ইতিবাচক কিছু নয়, বরং এর মাধ্যমে আলম এবং সর্বস্তরের সাধারণ মানুষকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে তা বলাই বাহুল্য।”
তিনি বলেন, “পাশাপাশি দেশের ‘সাধারণ’ একজন নাগরিকের প্রতি দুই বর্ষীয়ান রাজনীতিকের এমন আচরণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির স্থুলতাকেই জনসমক্ষে প্রতিষ্ঠিত করে।”
ড. জামান আরও বলেন, “সংবিধানের ৬৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক হলে এবং তার বয়স পঁচিশ বছর পূর্ণ হলে, কোনো উপযুক্ত আদালত কর্তৃক অপ্রকৃতিস্থ ঘোষিত না হলে, দেউলিয়া না হলে, বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ না করলে বা আনুগত্য স্বীকার না করাসহ কিছু শর্ত পূরণে তিনি সংসদ সদস্য হতে পারবেন। সংবিধানের শর্ত পূরণের পরও আলমকে কেন্দ্র করে দেশের বড় দুটি রাজনৈতিক দলের বক্তব্য শুধুমাত্র রাজনৈতিক শিষ্ঠাচারকেই ভুলুণ্ঠিত করে না, বরং তার সাংবিধানিক অধিকার অবজ্ঞার নামান্তরও বটে। ‘হিরো আলম নির্বাচিত হলে সংসদকে ছোট করা হতো’- এমন বক্তব্যের মাধ্যমে প্রকারন্তরে সংসদকে ছোট করা হয়েছে। কারণ, সংসদীয় গণতন্ত্রের চেতনা ও চর্চায় মানুষে-মানুষে বৈষম্যের প্রকাশ অগ্রহণযোগ্য।”
আরও পড়ুন: নির্বাচনে সরকারের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিতে আইনি সংস্কারের সুপারিশ টিআইবির
প্রস্তাবিত ‘ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা আইন’ নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন হবে: তোফায়েল আহমেদ
বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ।
তিনি বলেন, বিএনপি যে দাবি করছে তা কোন দিনই বাস্তবায়িত হবে না। কারণ এটা বাস্তবসম্মত না। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়, তারা নাকি ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচন করবে না। আমি দৃঢ়তার সঙ্গে বলি তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর কোন দিন আসবে না এবং বর্তমান সরকারের অধীনেই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
রবিবার বিকালে ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ও ধনিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন যে আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় আসে, তখনই মানুষের জন্য কিছু করে। মানুষ জানে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই দেশ দুর্নীতিমুক্ত থাকে এবং ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পায়।
আরও পড়ুন: আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই: জিএম কাদের
প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গ্রামকে শহরে পরিণত করেছে। আওয়ামী লীগের শাসনামলে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। আর্ন্তজাতিক বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশালী রাষ্ট্র হিসেবে বিবেচনা করে। আমরা স্বল্পন্নোত দেশ থেকে আমরা উন্নয়নশীল দেশে রুপান্তরিত হয়েছি। আমরা আশা করি ২০৪০ সালের মধ্যে একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবো।
তোফায়েল আহমেদ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, আপনারা আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিবেন। সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন। আজকে বাংলাদেশে যে উন্নতি হয়েছে তা ইতিহাসে বিরল।
তিনি বলেন, ভোলায় অনেক উন্নয়ন করা হয়েছে। নদী ভাঙনের হাত থেকে ভোলাকে রক্ষা করা হয়েছে এবং ভোলায় পর্যাপ্ত গ্যাস পাওয়া গেছে। সেই গ্যাসভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠবে। ভোলাকে শিল্প নগরীতে পরিণত করা হবে।
এ সময় জেলা আওয়াম লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মমিন টুলু, সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ, ভোলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শফিকুল ইসলাম, শিবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন, ধনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. এমদাদ হোসেন কবির প্রমুখ।
আরও পড়ুন: জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও আংশিকভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে: ইসি
তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা: ফখরুল
বাঙালিকে স্বাধীনতা এনে দিয়ে জাতির পিতা রয়েছেন অমর হয়ে: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, তাই তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, যুগে যুগে কোটি কোটি বাঙালির হৃদয়ে অমর।
শুক্রবার কক্সবাজারের রামু উপজেলা স্টেডিয়ামে আয়োজিত সপ্তাহব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু উৎসব ২০২৩’ এর ৬ষ্ঠ দিনের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আরও পড়ুন: বিএনপির সমাবেশ সফল করতে সরকার সহায়তা করছে: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশে খালি পায়ের বা ছেঁড়া কাপড় পরা মানুষ দেখা যায় না এবং প্রতিটি জনপদ উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে গেছে উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, এতো উন্নয়ন হয়েছে যে আকাশ থেকে আজ কক্সবাজারকে চেনা যায় না। এটাই বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার উন্নয়ন।
এছাড়া এ বছরেই ঢাকা-কক্সবাজার ট্রেন চালু হবে। কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বিকেএসপি, ক্যান্টনমেন্ট প্রতিষ্ঠা-এসব স্বপ্নকে সত্যে পরিণত করেছেন শেখ হাসিনা।
এ সময় বিএনপির রাজনীতির সমালোচনা করেন ও নৌকা মার্কায় ভোট চান তথ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিএনপি শীতের পাখি, তাদের দেখা যায় শুধু ভোটের সময়। করোনার সময় বিএনপিকে দেখা যায়নি। তখন কেবল আওয়ামী লীগ নেতারাই মানুষের পাশে ছিলেন। এতো বড় বড় উন্নয়ন কেবল বর্তমান সরকারই করেছে।
এছাড়া এই উন্নয়ন অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে আগামী নির্বাচনে আবারও সকলকে নৌকায় ভোট দেয়ার আহ্বান জানাই।
কক্সবাজার পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মার সভাপতিত্বে উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক কক্সবাজার-৩ আসনের এমপি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, কক্সবাজার জেলার পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আদনান ও স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দেন।
২৯ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সাত দিনের এই উৎসবে প্রতিদিন গভীর রাত পর্যন্ত মঞ্চে বঙ্গবন্ধুকে নিবেদন করে গান, কবিতা ও নাটক পরিবেশনা এবং বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ উপভোগ করতে হাজারো মানুষ সমবেত হন।
আরও পড়ুন: বিএনপির 'পদযাত্রা' কিংবা 'বসার যাত্রা', যে যাত্রাই করুক না কেন, কোনো লাভ হবে না: তথ্যমন্ত্রী
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা শুধুমাত্র পাকিস্তানে আছে: তথ্যমন্ত্রী