খুলনা
খুলনায় এলপি গ্যাস সংকট, বিপাকে ক্রেতারা
খুলনার বাজারে হঠাৎ করে এলপি (লিকুইফাইড পেট্রোলিয়াম) গ্যাসের সংকট দেখা দিয়েছে। খুচরা বিক্রেতারা টাকা দিয়েও গ্যাস কিনতে পারছেন না।
গ্যাস নিয়ে লুকোচুরির কারণে খুচরা পর্যায়ে দাম বেড়ে গেছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত। কৃত্রিম সংকট তৈরি হওয়ায় বেশি দাম দিয়েই গ্যাস কিনতে বাধ্য হচ্ছেন জানিয়েছেন গ্রাহকরা।
আরও পড়ুন: এলপি গ্যাসের দাম কেজি প্রতি কমল ৮.৬৮ টাকা
গত কয়েকদিন নগরীর শেখপাড়া, ময়লাপোতা মোড়, সঙ্গিতা সিনেমা হলের মোড়, শেখপাড়া বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজারসহ ১০টির বেশি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পরিবেশক ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে দু-একটি কোম্পানির বাইরে কোনো এলপি গ্যাস সিলিন্ডার নেই। আগে যেখানে তারা ছয়-সাতটি কোম্পানির এলপি গ্যাস রাখতেন, এখন তারা দু-তিনটি কোম্পানির কাছ থেকে সিলিন্ডার গ্যাস পাচ্ছেন। খালি সিলিন্ডার পড়ে আছে অনেক বিক্রেতার দোকানে।
নগরীর শামসুর রহমান সড়কের এলপি গ্যাস বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতি মাসে ছয়টি অপারেটরের প্রায় ২০০টি এলপিজি সিলিন্ডার বিক্রি করেন তিনি। অপারেটরদের কাছ থেকে সরবরাহ না পাওয়ায় গত মাসে তার ৪০ শতাংশ ব্যবসা কমেছে।
তিনি জানান, বেশি দাম দিয়েও এলপি গ্যাস দোকানে তুলতে পারছেন না তিনি। স্বাভাবিক সরবরাহ দেয়া কোম্পানিগুলো এখন সরবরাহ করতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে। অগ্রিম টাকা দিয়েও পাবেন কিনা সে আশা পাচ্ছেন না তিনি।
একই কথা জানান গোবরচাকা বউ বাজারের মুদি ব্যবসায়ী সবুজ। তিনি জানান, প্রতি মাসে দুটি এলপিজি কোম্পানি অন্তত ৫০টি গ্যাস সিলিন্ডার বিক্রি করলেও এখন ঠিকমতো পণ্য পাচ্ছেন না। গ্যাসের সংকট জানিয়ে সরবরাহকারীরা পণ্য ডেলিভারি দিচ্ছেন না। তবে বেশি দাম অফার করলে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
সরবরাহ কমার বিষয়ে কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাড়া পাওয়া যায়নি। এছাড়া গণমাধ্যমে তাদের বক্তব্য দিতে নিষেধ রয়েছে বলে জানান কয়েকজন।
তাদের ভাষ্য মতে, ডলার সংকটে পণ্য আমদানিতে চাহিদা অনুযায়ী ব্যাংকে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে না পারায় বেশির ভাগ কোম্পানি ব্যবসায়িকভাবে লোকসানে পড়েছে। এরই মধ্যে সব কোম্পানির বিপণন ৪০-৫০ শতাংশ কমে গেছে।
নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনে (২ জানুয়ারি) এলপি গ্যামের দাম কমিয়ে দেয় সরকার। ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৬৫ টাকা কমিয়ে এক হাজার ২৩২ টাকা নির্ধারণ করে সরকার।
দাম কমানোর সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান আবদুল জলিল জানান, ডিসেম্বর মাসের জন্য সৌদি আরামকোর প্রোপেন ও বিউটেনের ঘোষিত সৌদি কন্ট্রাক্ট প্রাইস প্রতি মেট্রিক টন ৬৫০ মার্কিন ডলার ছিল। জানুয়ারি মাসে যা কমে যায় ৫৯০ ও ৬০৯ ডলারে।
কিন্তু বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক হাজার ৩৫০ টাকার নিচে কোনো গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। বসন্ধুরা গ্যাসের সরবরাহ কম থাকায় ওই গ্যাস বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪৫০ টাকায়। আবার কোনো কোনো বিক্রেতা ১৫০০ টাকায়ও গ্যাস বিক্রি করছেন।
সার্বিক বিষয় নিয়ে খুলনা এলপি গ্যাস দোকান মালিক সমিতির সভাপতি তোবারক হোসেন তপু বলেন, কোম্পানিগুলো গ্যাস দিচ্ছে না। ৫০ সিলিন্ডার চাইলে ১০টি দিচ্ছে। তারা আমাদের বলছে, এলসি খোলা যাচ্ছে না, ডলার সংকট। সত্য-মিথ্যা তারাই জানে।
তিনি বলেন, খুচরা বিক্রেতাদের হাতে কিছু নেই। গ্যাস বিক্রি নিয়ন্ত্রণ করে ৮/১০টি কোম্পানি। তারা যা বলবেন, সেটাই মেনে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: খুলনায় এলপি গ্যাস ক্রস ফিলিং চক্রের ৩ সদস্য আটক
খুলনায় এলপি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম ঊর্ধ্বমুখী
সুন্দরবনে হরিণের মাংস-গুলিসহ এক ‘শিকারি’ আটক
খুলনার সুন্দরবনের নীলকমল অভয়ারণ্য এলাকা থেকে হরিণের মাংস, বন্দুকের গুলিসহ এক ‘শিকারি’কে আটক করেছে বন বিভাগ।
বুধবার সন্ধ্যায় একটি ট্রলারসহ হিরু আকন (২৫) নামে ওই ব্যক্তিকে আটক করা হয় এবং বৃহস্পতিবার তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
হিরু আকন বরগুনা জেলার তালতলা গ্রামের মালেক আকনের ছেলে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে হরিণের পা’সহ ২ শিকারি আটক
এ সময় ট্রলার থেকে প্রায় ২০ কেজি হরিণের মাংস, একটি হরিণের চামড়া, বন্দুকের ১৯ রাউন্ড গুলি, লাইসেন্সের ফটোকপি, একটি চাপাতি, হরিণ ধরার ফাঁদ উদ্ধার করা হয়।
সুন্দরবনের নীলকমল অভয়ারণ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম জানান, বুধবার বিকালে অভয়ারণ্য এলাকার পুটনীর দ্বীপে টহল দেয়ার সময় চরে হরিণ ধরার ফাঁদ দেখতে পাই। কিছু দূরে অবস্থান নিয়ে আমরা অপেক্ষা করি। কিছু সময় পর দেখা যায়, চার থেকে পাঁচ জন ব্যক্তি ফাঁদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। তাদের একজনের হাতে বন্দুক এবং একজনের হাতে রাম দা।
বনরক্ষীদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের কয়েকজন বনের ভেতরে, একজন ট্রলার নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় স্পিডবোড নিয়ে ট্রলারকে ধাওয়া করে হিরু আকনকে আটক করা হয়।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে হিরু আকন জানিয়েছে, বন্দুকধারী ব্যক্তির নাম আবদুল মালেক। তার বাড়ি খুলনা নগরীর মুসলমানপাড়া এলাকায়, রামদা ধারী ব্যক্তির নাম মো. মামুন।
তাদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে হরিণের মাংস ও দু’টি চামড়াসহ ২ শিকারি আটক
বাঘ শিকারি ‘বাঘ হাবিব’ আটক
খুলনায় নাশকতার মামলায় বিএনপির ৬৬ নেতাকর্মী কারাগারে
খুলনায় পুলিশের দায়ের করা নাশকতা সহিংসতার তিন মামলায় মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন সহ ৬৬ নেতাকর্মীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার (২৫ জানুয়ারী) অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করেন, গত ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ বানচাল করতে খুলনার প্রতিটি থানায় পুলিশ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হযরানিূলক নাশকতা সহিংসতা ও সরকার উৎখাত পরিকল্পনার অভিযোগে মামলা করে। এসব মামলায় প্রায় অর্ধশত নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন। অন্যরা উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন লাভ করেন। আজ তারা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর হয়।
আরও পড়ুন: যুগপৎ আন্দোলন: ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ শুরু
খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা ও লবনচরা থানার এই তিন মামলায় অন্য যাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন মহানগর বিএনপির অন্যতম যুগ্ম আহবায়ক মাসুদ পারভেজ বাবু, মহানগর বিএনপির সদস্য গাজী আফসারউদ্দিন, কাজী শফিকুল ইসলাম, মাসুদ খান বাদল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক ইবাদুল হক রুবায়েদ, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক ইসতিয়াক আহমেদ, সদস্য সচিব মো. তাজিম বিশ্বাস, স্বেচ্ছাসেবক দল সদর থানা আহবায়ক খায়রুজ্জামান সজীব, নগর ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ সুমন, বিএনপি নেতা জালু মিয়া, ফারুক আহমেদ, জামাল উদ্দিন মোড়ল, শহিদ খান, নাসিম আহমেদ প্রমুখ।
শুনানীকালে আদালতে আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট মঞ্জুর আহমেদ, গাজী আব্দুল বারী, এস আর ফারুক, মাসুদ হোসেন রনি, মোমরেজুল ইসলাম, আখতার জাহান রুকু, মশিউর রহমান নান্নু, তৌহিদুর রহমান চৌধুরী তুষারসহ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে আদেশ ঘোষণার পর আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের শত শত নেতাকর্মী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
তারা মিথ্যা বানোয়াট রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার, নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি এবং অবৈধ সরকারের পদত্যাগ দাবি করে মিছিল করেন ও স্লোগান দেন।
আরও পড়ুন: বুধবার দেশব্যাপী সমাবেশ করবে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো
জাতীয় সংসদ এখন ‘একদলীয় ক্লাব’: ফখরুল
খুলনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ঘের মালিকের মৃত্যু
খুলনার ফুলতলায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ঘের মালিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অপর এক ঘের ব্যবসায়ী। মঙ্গলবার রাতে ফুলতলার বাড্ডাগাতী এলাকার রুহের বিলে এ ঘটনাটি ঘটে।
নিহত ঘের মালিক হলেন ওই এলাকার কামাল বিশ্বাস।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মা-মেয়ের মৃত্যু
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, রুহের বিলে বাড্ডাগাতী গ্রামের হুমায়ূন কবিরের একটি ঘের রয়েছে। সেখানকার মাছ চুরি বন্ধে তিনি পল্লী বিদ্যুতের তার টেনে ঘেরের চারপাশে ছড়িয়ে রাখে। দুপুর ১১টার দিকে ঘের মালিকের ছেলে সেলিম সেখানে গেলে তিনি বিদ্যুতায়িত হয়ে পড়েন।
তাকে ওই অবস্থায় দেখে উদ্ধারে পাশ্ববর্তী ঘের মালিক কামাল বিশ্বাস এগিয়ে গেলে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পড়েন।
পরে এলাকাবাসী তাদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক কামাল বিশ্বাসকে মৃত ঘোষণা করেন।
ফুলতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস তালুকদার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কারও কোনো অভিযোগ না থাকায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মহেশপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
কিশোরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু
৮ বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা: বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর
দেশের বিভিন্ন স্থানে শনিবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি)।
বিএমডি জানিয়েছে, ‘দেশের আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।’
আরও পড়ুন: সারাদেশে শুষ্ক আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অফিস
এছাড়া নদী অববাহিকা ও তৎসংলগ্ন এলাকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও তা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
বিএমডি আরও জানিয়েছে, রংপুর বিভাগ এবং নওগাঁ ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এদিকে শনিবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেতুলিয়ায় ৬ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চট্টগ্রাম বিভাগের টেকনাফে ২৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
সারাদেশে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা, আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
খুলনায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে নিঁখোজ: ৫ দিন পর ফাতেমার লাশ উদ্ধার
খুলনায় পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে নিঁখোজের পাঁচদিন পর ফাতেমা বেগম নামের এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) রাতে নগরীর লবণচরা এলাকায় রূপসা নদীর তীর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, গত ৭ জানুয়ারি দুপুরে পাওনা চার হাজার টাকা আনতে এনজিও কর্মী তহমিনার বাসায় যান ফাতেমা বেগম। এরপর থেকে আর তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। অবশেষে খুলনার বটিয়াঘাটার পুটিমারী বাজার সংলগ্ন নদীতে ভাসমান তার সন্ধান পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: পাবনায় নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
ফাতেমা হত্যাকাণ্ডের বিবরণ জানিয়ে খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) (তদন্ত) নিমাই চন্দ্র কুণ্ডু বলেন, নবলোক এনজিওর কর্মী তহমিনা। ৪০ হাজার টাকা এনজিও থেকে লোন করিয়ে দেবে বলে ভিকটিমের কাছ থেকে চার হাজার টাকা নেয়। কিন্তু এনজিও থেকে লোনের টাকা পাস না হওয়ায় ফাতেমা বেগমের সঙ্গে নয়ছয় করতে থাকে সে।
তিনি জানান, গত ৭ জানুয়ারি দুপুরে খাবার শেষ করে ফাতেমা বেগম পাওনার চার হাজার টাকা ফেরত আনতে নগরীর দারোগা পাড়ায় তহমিনার বাসায় যান। এ সময়ে টাকা নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তহমিনা পাশে থাকা ইট দিয়ে ফাতেমার মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এ সময়ে তহমিনা ভয়ে ঘুমন্ত স্বামী ফারুখকে ডেকে তোলে। লাশ কী করা হবে এ নিয়ে তারা ভাবতে থাকতে। একসময়ে ঘরের মধ্য থেকে প্লাস্টিকে বস্তা এনে ফাতেমা বেগমের লাশ পেচিয়ে পুটিমারী নদীতে ফেলে দেয়।
ওসি আরও জানান, ফাতেমা বেগমের সন্ধানে এনজিও কর্মী তহমিনাদের বাড়ির আশপাশের বাড়ির কয়েকটি সিসি টিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তাদের থানায় তলব করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তারা উভয় ফাতেমা বেগমকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে।
তিনি বলেন, তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সকলে নদীতে স্থানীয় ডুবরি নামানো হয়। কিন্তু তার লাশ পাওয়া যায়নি। বিকালে স্থানীয়রা মহিলার লাশ ভাসতে দেখে থানায় খবর দিলে ফাতেমা বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে নিজেদের দায় স্বীকার করে তহমিনা দম্পত্তি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। পরে তাদের কারাগারে পাঠান আদালত।
আরও পড়ুন: মাগুরায় নিজের বাসা থেকে কলেজ শিক্ষকের লাশ উদ্ধার
উল্লাপাড়ায় পুকুর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
খুলনায় লুণ্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার জব্দ, ‘অজ্ঞান পার্টি’র ৮ সদস্য গ্রেপ্তার
খুলনার ডুমুরিয়ারসহ বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ‘অজ্ঞান পার্টি’র আট সদস্যকে গ্রেপ্তারের দাবি করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) ডুমুরিয়া থানায় সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ‘অজ্ঞান পার্টির’ ৫৯ সদস্য গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তাররা হলেন- সাতক্ষীরা সদরের ধুলহর বেড়বাড়ি এলাকার মৃত জামাল উদ্দিন গাজীর ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৫), একই জেলার পাটকেলঘাটার চৌগাছা গ্রামের মৃত শেখ আলফাজ উদ্দিনের ছেলে শেখ পলাশ আহমেদ (৪৫) ও আশাশুনির রাধারআটি এলাকার সামাদ মিস্ত্রীর ছেলে সুমন মিস্ত্রী (৩০), তালার জেটুয়া গ্রামের মৃত সামেদ আলী আকুঞ্জীর ছেলে জিয়াউর আকুঞ্জি ওরফে জিয়া (৪০), ডুমুরিয়ার গুটুদিয়া গ্রামের শেখ রুহুল আমিনের ছেলে শেখ আরিফুল ইসলাম (৩৪), যশোর ঝিকরগাছার মধুখালি হাটখোলা এলাকার মৃত গোলাম মণ্ডলের ছেলে রমজান আলী মণ্ডল ওরফে মনা (৫১) ও বেনাপোল পোর্ট থানার কায়েডা এলাকার মৃত বজলু মোড়লের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৪৬) এবং একই থানার কাগজপুর খেদাপাড়া এলাকার মৃত আজগর আলীর ছেলে বাবুল হোসেন (৩৩)।
মোহাম্মদ মাহবুব হাসান সংবাদ সম্মেলনে জানান, ডুমুরিয়া উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে একটি আন্তঃজেলা অজ্ঞান পার্টি সক্রিয় ছিলো। পরিবারের সদস্যদের অগোচরে প্রতারণা করে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে স্বর্ণালংকারসহ দামি জিনিস লুট করে নিতো।
এসব ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের দুটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এ আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বেশ কিছু অলঙ্কার যেমন- তিনটি সোনার রুলি (বালা), চারটি আংটি, একটি চেইন, কিছু রুপার গহনা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল, সাতটি মোবাইল ফোন ও কয়েকটি হাতুড়ি জব্দ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এখনো আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এদের নিকট থেকে আমরা অনেক তথ্য ও এদের সহযোগীদের নাম ও তাদেরকে শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছি। এছাড়া কিছু চোরাই অলংকার, মোবাইল ফোন দোকানে বিক্রি করা হয়েছে, সেগুলো উদ্ধার করা হবে। আবার ওই চোরদের সহয়তাকারী হিসেবে স্থানীয়ভাবে অনেকের নাম উঠে এসেছে। তদন্তের স্বার্থে আর আপনাদের বেশি কিছু জানাতে পারছি না।
ডুমুরিয়া থানা সূত্রে জানা গেছে, অজ্ঞাতপরিচয় আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে গত বছরের ৯ নভেম্বর বিকাল ৩টার দিকে ডুমুরিয়ার খর্নিয়ায় একটি মুদি দোকানের সামনে ডাবের মধ্যে চেতনানাশক প্রয়োগের মাধ্যমে সালাউদ্দিনকে অচেতন করেন এবং নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও এটিএম কার্ড চুরি করে নিয়ে যায়। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়।
এছাড়া গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে জাকিরুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যদের কে বা কারা চেতনা নাশক ওষুধ প্রয়োগ করে রাতে ঘরের গ্রিল কেটে মোবাইল, স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ডুমুরিয়া থানায় আরও একটি মামলা হয়।
মামলা দু’টির অপরাধের ধরন একই হওয়ায় এদের মধ্যে একটা চক্র কাজ করছে এমন ধারণা নিয়ে মামলা দুটি তদন্তে নামে এবং চক্রটিকে ধরার জন্য অভিযানে নামে পুলিশ।
ডুমুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া বলেন, ডুমুরিয়া থানা এলাকাসহ বিভিন্ন জেলায় একাধিক বার অভিযান পরিচালনা করে মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত মোট আট আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং লুন্ঠিত স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে প্রাণ গেল চাকরিজীবীর
খুলনায় পুকুরে ডুবে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
দেশের কিছু অংশে জেঁকে বসেছে শৈত্যপ্রবাহ; থাকবে আরও ২-৩ দিন
একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ দেশের বিভিন্ন অংশে বয়ে যাচ্ছে। আরও দুই থেকে তিন দিন এমন অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের (বিএমডি) আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দেশের বেশির ভাগ এলাকায় তাপমাত্রা কমেছে।
শনিবার সকালে ঢাকায় ১১ দশকি পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে - যা এই মৌসুমের সর্বনিম্ন।
তিনি আগাম বার্তায় বলেন, দেশে এরূপ পরিস্থিতি আগামী দুই-তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। আগামী ১১ থেকে ১২ জানুয়ারির মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
শনিবার বিএমডির এক বুলেটিনে বলা হয়েছে, রাজশাহী বিভাগ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ, দিনাজপুর, নীলফামারী, পঞ্চগড়, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা ও বরিশাল জেলায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আজ সন্ধ্যা ৬টায় আগামী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এতে বলা হয়েছে, সারাদেশে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আরও পড়ুন: দেশের বিভিন্ন স্থানে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছে
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং কোথাও কোথাও তা দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
দিন ও রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাওয়ায় সারাদেশে মাঝারি থেকে তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন: শৈত্যপ্রবাহ: চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস
খুলনায় ঝুট গোডাউনে আগুন নিয়ন্ত্রণে, চলছে নির্বাপণ
খুলনার আড়ংঘাটায় পাটের ঝুট গোডাউনে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। শনিবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর ২টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এর আগে দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টায় আড়ংঘাটা সড়কের বকুলতলা এলাকায় পাটের ঝুট গোডাউনে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
জানা যায়, ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে থেমে থেমে গোডাউন থাকা ঝুট থেকে আগুন জ্বলছে। বর্তমানে আগুন নির্বাপনের কাজ চলছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ইস্টার্ন ব্যাংকের আগুন নিয়ন্ত্রণে
খুলনা বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিস অফিসের উপসহকারি পরিচালক তানহারুল ইসলাম বলেন, আড়ংঘাটা বকুলতলা এলাকায় পাটের ঝুট গোডাউনে আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে আমরা দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করি। আমাদের শার্ট ইউনিট দেড়ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে দুপুর ২টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছে। এখন নির্বাপণের কাজ চলছে। আগুনের সূত্রপাত কিভাবে হয়েছে জানা যায়নি। এ বিষয়ে তদন্ত করা হবে।
তিনি বলেন, এখানে এসে গোডাউনের কাউকে পাওয়া যায়নি। আমরা নিজেরাই টিন সরিয়ে কাজ করছি।
আড়ংঘাটা ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আল আমিন বলেন, দুপুর ১২টার পর গোডাউন থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। বসতি এলাকায় গোডাউন করা হয়েছে। এখানে এরআগেও কয়েকবার আগুন লেগেছিল। আগুনে গোডাউনের আশপাশের কয়েকটি ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: খিলক্ষেতে ১৪ তলা ভবনে আগুন
গাজীপুরে ঝুটের গোডাউনে আগুন, দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে
মায়ের স্মৃতি বিজড়িত জমি ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী
খুলনার দিঘলিয়ায় মা ফজিলাতুন নেছা মুজিবের স্মৃতি বিজড়িত জমি ও পাট গোডাউন ঘুরে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় বোন শেখ রেহেনাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যক্তিগত সফরে শুক্রবার বিকাল ৩টা ৫৫ মিনিটে গোপালগঞ্জ থেকে সড়কপথে খুলনার দিঘলিয়ায় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। পরে নগরঘাট ফেরি পার হয়ে বিকাল ৪টায় তার মায়ের নামে কেনা জমি ও পাট গোডাউনে যান। সেখানে প্রায় ৪০ মিনিট অবস্থান করেন প্রধানমন্ত্রী।
দিঘলিয়া থেকে প্রধানমন্ত্রী খুলনা নগরীর শেরে বাংলা সড়কে অবস্থিত প্রয়াত চাচা শেখ আবু নাসেরের বাড়িতে যান। বঙ্গবন্ধু খুলনায় এসে এই বাড়িতে অবস্থান করতেন। সেখানে দলের নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে স্বাক্ষাত করেন। ওই বাড়িতে প্রধানমন্ত্রী মাগরিবের নামাজ আদায় শেষে সড়ক পথে খুলনা ত্যাগ করেন।
ওই বাড়িতে প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, সংসদ সদস্য শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, খুলনার মেয়র তালুকদার আবদুল খালেকসহ আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে দুপুর থেকেই খুলনা শহর বাইপাস ও দৌলতপুত, ফুলবাড়িগেটে সড়কের দুই পাশে অবস্থান নেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। প্রধানমন্ত্রীর গাড়ি বহর খুলনায় প্রবেশ করলে নেতাকর্মীরা স্লোগান দিয়ে তাকে স্বাগত জানান। এছাড়া, প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে সড়কে লাগানো হয় অসংখ্য তোরণ।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে খুলনায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
রূপসা সেতু থেকে শুরু করে খুলনা শহর বাইপাস, দিঘলিয়া ও শেখপাড়ার চাচার বাড়ি এলাকায় মোতায়েন করা হয় আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে ৪ হাজার সদস্য।
বৃহস্পতিবার রাত থেকেই ভৈরব ও রূপসা নদী নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও স্থানীয় লোকজন জানান, পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার সহধর্মিনী বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের নামে দিঘলিয়ার ভৈরব নদের কোলঘেষে নগরঘাট এলাকায় ১ একর ৪৪ শতক জমিতে পাট গোডাউন ও এক কক্ষ বিশিষ্ট ঘরসহ জমি কেনেন। তৎকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুর ভাই শেখ আবু নাসের এ জমি দেখাশোনা করতেন। বাবা-মায়ের মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী এ জমির মালিক হলেও জমিটির কথা জানতেন না তিনি। ২০০৭ সালে তিনি তার আইনজীবীর মাধ্যমে এ জমির খোঁজ পান।
খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী এবং দিঘলিয়া গ্রামের বাসিন্দা বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এই জমি দেখাশোনা করে থাকেন।
২০২০ সালের দিকে প্রধানমন্ত্রীর জমিতে থাকা পুরাতন পাট গোডাউনটি ভেঙে সেখানে নতুন করে গোডাউন ও একটি রেস্ট হাউজ নির্মাণ করা হয়েছে। গোডাউনটি একজন পাট ব্যবসায়ীকে ভাড়া দেওয়া হয়েছে। গোডাউন সংলগ্ন পাকা রাস্তার নামকরণ হয়েছে শেখ রাসেলের নামে। এই প্রথম প্রধানমন্ত্রী এই স্থান পরিদর্শন করলেন।
প্রসঙ্গত, এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবশেষ ২০১৮ সালের ৩ মার্চ খুলনায় এসেছিলেন।
আরও পড়ুন: বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব পদক পেলেন ৫ বিশিষ্ট নারী
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর অন্যতম পথ প্রদর্শক ফজিলাতুন্নেছা মুজিব: প্রতিমন্ত্রী