খুলনা
বিএনপির সমাবেশ উপলক্ষে মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছে খুলনা
খুলনায় বিএনপির নির্ধারিত বিভাগীয় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে শনিবার বিকালে। সে উপলক্ষে সকাল থেকেই মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়েছে খুলনা মহানগর।
সকাল থেকেই সংলগ্ন এলাকা হতে ছোট-বড় মিছিল নিয়ে নগরীর সোনালী ব্যাংক প্রাঙ্গণে সমাবেশস্থলে দল ও বিএনপি’র সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের আসতে দেখা গেছে।
শুক্রবার সকাল থেকে খুলনা ও সারাদেশের মধ্যে ট্রেন ছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলাচল কার্যত বন্ধ থাকলেও ১০টি জেলার বিএনপি নেতাকর্মীরা বাধা অতিক্রম করে অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছান।
বিএনপি এর বিভাগীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ও সাম্প্রতিক আন্দোলনে বিএনপির পাঁচ নেতা-কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদে এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এ সমাবেশ করবে দলটি।
দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে যেখানে মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের জ্যৈষ্ঠ নেতারা বক্তব্য রাখবেন।
শুক্রবার রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ জ্যৈষ্ঠ নেতারা নগরীতে পৌঁছে সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন।
শুক্রবার রাত থেকেই সোনালী ব্যাংক চত্বরে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। নগরীর কেডি ঘোষ রোডে তারা মাদুর ও বালিশ পেতে রাত্রিযাপন করেন।
কাউকে সড়কে মাদুর বিছিয়ে খাবার খেতে দেখা গেছে আবার কাউকে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে দল বেঁধে কথা বলতে দেখা গেছে।
ছাত্রদলের রামপাল কলেজ শাখার কর্মী জিসান আহমেদ আহনাফ বলেন, ‘কলেজ থেকে ৫০০ নেতাকর্মী নিয়ে চারটি পিক-আপ ভ্যানে করে জিরো পয়েন্টে পৌঁছান হয় এবং কোনো যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছাই।’
এছাড়া রাত থেকে রূপসা ঘাট ও জেলখানা ঘাটে ছোট নৌকা চলাচল বন্ধ থাকায় ঘাটের দুই পাশে নদী পারাপারের অপেক্ষায় থাকা মানুষদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এর আগে শুক্রবার রাত ৮টায় নগরীর কেডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে অবস্থান নেয় বিএনপি অনুসারীরা।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা খুলনা রেলস্টেশনে হামলা চালিয়েছে: আ.লীগ
খুলনার সমাবেশে খারাপ কিছু হলে সরকার দায়ী থাকবে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শনিবার খুলনায় তাদের দলের বিভাগীয় সমাবেশে কোনো খারাপ ঘটনা ঘটলে সরকারকে দায়ী করা হবে।
তিনি বলেন, আগামীকাল (শনিবার) খুলনায় আমাদের বিভাগীয় সমাবেশ আছে। জনসভাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে খুলনায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সরকার। এছাড়া তারা খুলনার বিভিন্ন সড়কে আমাদের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল তাদের কর্মসূচিতে বাধা না দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আগামীকাল (শনিবার) খুলনায় আমাদের বিভাগীয় সমাবেশ আছে। জনসভাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে খুলনায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সরকার। এছাড়া তারা খুলনার বিভিন্ন সড়কে আমাদের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল তাদের কর্মসূচিতে বাধা না দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, যদি কোনো সমস্যা তৈরি হয়, সরকারকে সব দায়-দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে এবং এটা প্রমাণ করবে যে এই সরকার আসলে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না এবং তারা আমাদের মিটিং করতে দিতে চায় না।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, শনিবার খুলনায় তাদের দলের বিভাগীয় সমাবেশে কোনো খারাপ ঘটনা ঘটলে সরকারকে দায়ী করা হবে।
তিনি বলেন, আগামীকাল (শনিবার) খুলনায় আমাদের বিভাগীয় সমাবেশ আছে। জনসভাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে খুলনায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে সরকার। এছাড়া তারা খুলনার বিভিন্ন সড়কে আমাদের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল তাদের কর্মসূচিতে বাধা না দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, যদি কোনো সমস্যা তৈরি হয়, সরকারকে সব দায়-দায়িত্ব কাঁধে নিতে হবে এবং এটা প্রমাণ করবে যে এই সরকার আসলে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না এবং তারা আমাদের মিটিং করতে দিতে চায় না।
আরও পড়ুন: ক্ষমতা হারানোর ভয়ে কর্মকর্তাদের অপসারণ করছে সরকার: মির্জা ফখরুল
বিভাগীয় সমাবেশের অংশ হিসেবে ২১ ও ২২ অক্টোবর খুলনা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের মধ্যে শনিবার খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক প্রাঙ্গণে সমাবেশ করছে বিএনপি।
বৃহস্পতিবার রাতে খুলনা মহানগরীতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করে বলে অভিযোগ করেন বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, খুলনা নগরীর রাস্তায় যাকে পাওয়া যাবে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে তারা তথ্য পেয়েছেন।
ফখরুল খুলনায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টির অপচেষ্টা ও গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। এছাড়া বৃহস্পতিবার ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে বাইকে চড়ে আতঙ্ক ছড়ায়।
তিনি অবিলম্বে গ্রেপ্তার বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি জানান।
জনসভা বানচাল করতে শুক্রবার ও শনিবার খুলনায় গণপরিবহন ধর্মঘটের পেছনে সরকারের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন এই বিএনপি নেতা।
এছাড়া তারা সব গণপরিবহন বন্ধ করে দিয়েছে। তারা ট্রেন এবং লঞ্চ পরিষেবাও বন্ধ করে দিচ্ছে, জনসাধারণের চলাচল ব্যাহত করছে।
তিনি বলেন, এটা এখন প্রমাণিত হয়েছে যে সরকার চায় না জনগণ গণতান্ত্রিক উপায়ে তাদের মতামত প্রকাশ করুক। এছাড়া তারা দেশকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিতে চাইছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।
আমরা সরকারকে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির আহ্বান জানাই।
ফখরুল বলেন, সরকার জনমনে আতঙ্কের রোগে আক্রান্ত হওয়ায় এ ধরনের দমনমূলক কর্মকাণ্ডের আশ্রয় নিচ্ছে। জনতার ঢেউ দেখে তারা ভয় পেয়ে যায়। দেশের মানুষকে বাদ দিয়ে তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চায়।
তিনি বলেন, তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি, অযোগ্যতার কারণে দেশে ১৯৭৪ সালে মানবসৃষ্ট দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। বাংলাদেশেও এখন একই ঘটনা ঘটছে। আমরা এখন আগে থেকেই দুর্ভিক্ষের পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছি।’
আরও পড়ুন: ‘কারফিউ’ ভেঙে খুলনায় সমাবেশ করবে বিএনপি: ফখরুল
দুর্নীতি, অনিয়ম করে নিয়ন্ত্রণহীন সরকার দুর্ভিক্ষের কথা বলছে: ফখরুল
খুলনায় বাসের পর এবার লঞ্চ চলাচলও বন্ধ
বাসের পর এবার খুলনার নৌরুটে শুরু হয়েছে লঞ্চ ধর্মঘট। শুক্রবার সকাল থেকে খুলনা লঞ্চ টার্মিনাল থেকে কোন লঞ্চ ছেড়ে যায়নি ও আসেনি। দক্ষিণাঞ্চলের একটি রুটে প্রতিদিন ১৫ টি লঞ্চ চলাচল করে।
বাংলাদেশ লঞ্চ লেবার এসোসিয়েশনের খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন জানান, বেতন বৃদ্ধিসহ ১০ দফা দাবিতে তারা ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘট আহ্বান করেছেন। এর সঙ্গে বিএনপির সমাবেশের কোন সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: খুলনায় ২ দিনের পরিবহন ধর্মঘট শুরু, বিপাকে যাত্রীরা
ধর্মঘটে থাকা শ্রমিকরা জানান, লঞ্চ শ্রমিকদের বেতন বাড়ানো, ভৈরব থেকে নওয়াপাড়া পর্যন্ত নদীর খনন, ভারতগামী জাহাজের ল্যান্ডিং পাস দেয়ার দাবিসহ ১০ দফা দাবিতে ধর্মঘট পালন করছেন যাত্রীবাহী লঞ্চের শ্রমিকরা। শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে খুলনা থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে না। তবে মালবাহীসহ অন্যান্য লঞ্চ ও নৌযান চলাচল করছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, শনিবার (২২ অক্টোবর) খুলনার সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। এই গণসমাবেশে নেতাকর্মীদের আসা ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে বাস মালিক সমিতি এই ধর্মঘট ডেকেছে। এখন নৌ-পথও বন্ধ করে দিয়েছে। কোনোভাবেই গণসমাবেশ ঠেকানো যাবে না। যেকোনো মূল্যে সমাবেশ সফল করা হবে।
আরও পড়ুন:আকস্মিক বাস ধর্মঘটে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর রুটের যাত্রীদের দুর্ভোগ
খুলনায় সমাবেশের পূর্বে বিএনপির ১৩ নেতাকর্মী আটক
খুলনা মহানগরীর বসুপাড়া এলাকা থেকে বিএনপির জ্যৈষ্ঠ নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে পরিকল্পিত জনসভার আগে দেখা করতে এসে ১৩ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। দলটির নেতাকর্মীরা শুক্রবার এমনটাই দাবি করেছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন জানান, খুলনা জনসভা সমন্বয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা গয়েশ্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে দলের খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিতে খুলনায় আসেন। সমাবেশ শনিবার হওয়ার কথা আছে।
তিনি বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি কাজী খায়রুজ্জামান শিপনের বসুপাড়ার বাসায় অবস্থান করছেন।
রাতে গয়েশ্বরের সঙ্গে দেখা করতে আসা ১৩ নেতাকর্মীকে এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ আটক করে।
আরও পড়ুন: ‘কারফিউ’ ভেঙে খুলনায় সমাবেশ করবে বিএনপি: ফখরুল
গয়েশ্বর অভিযোগ করেন, ‘কেউ কেউ হাতে লাঠি ও কোমরে পিস্তল নিয়ে ঘরে ঢুকে ত্রাশের সৃষ্টি করে। তারা পুলিশ কি না বোঝার উপায় ছিল না। আমাকে দেখতে আসা ১৩ জনকে আটক করেছে তারা।’
নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে তারা বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলায় আসামিদের ধরেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে তিনি বলেন, ‘কোন এলাকা থেকে কাকে ধরা হয়েছে তা সকালেই জানাতে পারব।’
এদিকে, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শফিকুল আলম মনা অভিযোগ করেছেন, সমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের আটক করতে বৃহস্পতিবার রাতে নগরীর বিভিন্ন বাসা-বাড়ি ও হোটেলে অভিযান চালায় পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিএনপির মহাসমাবেশ সামনে রেখে খুলনায় ২ দিন বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা
এর আগে ২৮ সেপ্টেম্বর বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি, দলের নেতাকর্মীদের হত্যা ও মামলা দায়ের এবং জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ১০টি বিভাগীয় শহরে জনসভা করার ঘোষণা দেয় বিএনপি।
দলটি ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে দুটি বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেছে এবং তৃতীয়টি শনিবার খুলনায় অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: দুঃশাসন দীর্ঘায়িত করতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাইকারি গ্রেপ্তার করছে সরকার: ফখরুল
খুলনায় ২ দিনের পরিবহন ধর্মঘট শুরু, বিপাকে যাত্রীরা
বাস-মিনিবাস মালিক-শ্রমিকদের ডাকা দুই দিনের ধর্মঘটের কারণে শুক্রবার সকাল থেকে খুলনায় বাস চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী।
নছিমন-করিমন-ভটভটিসহ সকল যান চলাচল বন্ধের প্রতিবাদে ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে খুলনা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন।
ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে বিভাগের ১৮টি রুটে খুলনায় একটি বাসও ছেড়ে যায়নি ও প্রবেশ করেনি।
অনেক এলাকায় মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য কিছু গণপরিবহনের জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করছে।
সাতক্ষীরাগামী যাত্রী আকলিমা হোসেন জানান, তিনি খুলনার একটি প্রাইভেট ফার্মে কাজ করেন এবং প্রতি সপ্তাহে বাড়ি যান।
তিনি বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে আজ বাড়ি যেতে পারব বলে মনে হয় না। আমার মা অপেক্ষা করবে।’
সকাল থেকে কোনো বাস না থাকায় যশোরগামী অনেক যাত্রীকে খুলনার সোনাডাঙ্গা বাসস্যান্ড থেকে ফিরতে হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ যাত্রীদের একজন সনাতন রায় জানান, ধর্মঘটের কারণে যশোরে একটি বিয়েতে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা তাকে বাতিল করতে হয়েছে।
এর আগে বুধবার (১৯ অক্টোবর) খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির জরুরি সভায় পরিবহন দুইদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সমিতির কর্মকর্তা, শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও মালিকদের উপস্থিতিতে সভায় বলা হয়, হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত অমান্য করে সড়ক-মহাসড়কে নসিমন-করিমন, মহেন্দ্র, ইজিবাইক ও বিটিআরসির গাড়িগুলো চলাচল করছে। অবৈধ নছিমন-করিমন মাহেন্দ্র ইজিবাইক ও বিটিআরসির যত্রতত্র কাউন্টার বন্ধের দাবিতে ২১ থেকে ২২ অক্টোবর পর্যন্ত দুই দিন মালিক সমিতির সকল গাড়ি বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ‘কারফিউ’ ভেঙে খুলনায় সমাবেশ করবে বিএনপি: ফখরুল
তবে বিএনপি নেতারা বলেছেন, পরিবহন ধর্মঘট ডেকে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি ও নৌপথে সকল বাহন বন্ধ করে দিলেও শনিবারের খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ জনসমুদ্রে রূপ নেবে
খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এসএম শফিকুল আলম মনা বলেন, শনিবার (২২ অক্টোবর) নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্ত্বরে খুলনা বিভাগীয় গণসমাবেশ। এই সমসবেশে যাতে নেতা-কর্মীরা উপস্থিত হতে না পারে এ কারণে পরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। এছাড়া কোনো কারণ ছাড়াই নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে তাদের আটক করে সমাবেশ বানচাল করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, সব বাধা উপেক্ষা করে সমাবেশ সফল করা হবে।
বিএনপির বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু বলেন, মাগুরাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যে খুলনায় চলে এসেছেন। সমাবেশ সফল হবে।
পড়ুন: বিএনপির মহাসমাবেশ সামনে রেখে খুলনায় ২ দিন বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা
খুলনায় হত্যা মামলায় ১ জনের মৃত্যুদণ্ড
খুলনায় হত্যা মামলায় জসিম নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে খুলনার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক এস এম আশিকুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের আইনজীবী সাব্বির আহমেদ। রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক ছিল।
বাদীর দায়ের করা মামলা থেকে জানা গেছে, নিহত জাহাঙ্গীর হোসেন হাজী ইসমাঈল লিংক রোড ইসলাম কমিশনার মোড়ের বাসিন্দা হেলাল উদ্দীনের ছেলে। তিনি শেরে বাংলা রোড বিদ্যুত বিতরণ বিভাগের সাহায্যকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। হেলালের বাড়ির নিচতলায় জনৈক রবিউল ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস ও ঘরের সঙ্গে মুদি দোকানের ব্যবসা পরিচালনা করত।
আরও পড়ুন: মাদারীপুরে নির্বাচনী সহিংসতার মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
আসামি জসিম পেশায় একজন রিকশা চালক ছিলেন। তিনি রবিউলের প্রতিবেশি ছিলেন। ঘটনার ছয়দিন আগে রবিউলের দোকান থেকে একটি মোবাইল ফোন চুরি হয়। জসিম মোবাইল ফোন উদ্ধার করা বাবদ মুদি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৮০০ টাকা নেয়। কিন্তু মোবাইল ফোন উদ্ধার করে না দিয়ে জসিম টালবাহানা শুরু করে দেয়।
এ নিয়ে ওই এলাকায় একটি শালিসীর আয়োজন করে মুদি ব্যবসায়ী রবিউল। ২০১৫ সালের ১৯ মে শালিসীর পর জাহাঙ্গীর জসিমকে মোবাইল ফোন চুরির জন্য সন্দেহ করে এবং তাকে ঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য বলে।
এ ঘটনায় জসিম বাড়ির মালিক জাহাঙ্গীরের ওপর ক্ষিপ্ত হয়। ওই দিন বিকাল ৫টার দিকে জাহাঙ্গীর মুদি দোকান ব্যবসায়ীর বেঞ্চে বসে বাড়ির কাজ দেখাশুনা করছিলেন। আসামি জসিম পেছন থেকে জাহঙ্গীরের গলায় ও ঘাড়ে সজরে ধারালো ছুরি ঢুকিয়ে দেয়। এসময় আসামিকে ধাওয়া দিলে তিনি পালিয়ে যায়।
পরে জাহাঙ্গীরকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রাতে জাহাঙ্গীরের বড় ভাই বাদী হয়ে সোনাডাঙ্গা থানা একটি হত্যা মামলা করেন। একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর সোনাডাঙ্গা থানার এসআই জি এম নজরুল ইসলাম ঘাতক জসিমকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালীন ১৮ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।
আরও পড়ুন: হাটহাজারীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যায় প্রধান আসামির মৃত্যুদণ্ড
স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা: নারায়ণগঞ্জে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১ জনের যাবজ্জীবন
বিএনপির মহাসমাবেশ সামনে রেখে খুলনায় ২ দিন বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা
খুলনায় বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে দুই দিন আন্তজেলা বাস চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে খুলনা জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি ও খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন যৌথভাবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
খুলনা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বিপ্লব বলেন, আগামী ২১ ও ২২ অক্টোবর খুলনা থেকে সকল বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বাস মালিক সমিতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে, শ্রমিক ইউনিয়ন এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বাস চলাচল বন্ধ
এদিকে, আগামী ২২ অক্টোবর খুলনায় বিভাগীয় গণসমাবেশের আয়োজন করেছে বিএনপি। ওই দিন দুপুরে নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
খুলনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হাসান বাপ্পী অভিযোগ করে বলেন, খুলনার বিভিন্ন উপজেলা এবং বিভাগের ৯টি জেলা থেকে সমাবেশে নেতাকর্মীদের আসা বাধাগ্রস্ত করতে পরিকল্পিতভাবে বাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিষয়টি তারা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন। সে অনুযায়ী তারা প্রস্তুতি নিয়েছেন।
তিনি বলেন, বিভাগের ১০ জেলার নেতাকর্মীদের যে কোনোভাবে সমাবেশে আগেভাগে আসতে বলা হয়েছে। নেতাকর্মীরা আগে এসে খুলনা নগরীর আবাসিক হোটেল ও আত্মীয়দের বাসায় অবস্থান নেবেন।
প্রসঙ্গত, খুলনা থেকে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১২শ’ বাস দেশের ১৮টি রুটে চলাচল করে বলেও তিনি জানান।
আরও পড়ুন: খুলনায় বুধবার থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ
খুলনা থেকে ৩ রুটে বাস চলাচল বন্ধ
খুলনায় গ্লোবাল ইয়ুথ ক্লাইমেট সামিট শুরু ২০ অক্টোবর
প্রথম গ্লোবাল ইয়ুথ ক্লাইমেট সামিট ২০২২ আয়োজনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অলাভজনক সংস্থা গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টার আগামী ২০ অক্টোবর বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে। কিভাবে আজকের তরুণরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব প্রদান করতে পারে সেই পথ অনুসন্ধানে খুলনায় তিন দিনের এই কর্মসূচিতে একত্রিত হচ্ছে ৭০টি দেশ থেকে ৬৫০ জন তরুণ (১৫০ জন সশরীরে এবং ৫০০ জন অনলাইনে)।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) ঢাকার একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গ্লোবাল ইয়ুথ লিডারশিপ সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও ইজাজ আহমেদ বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন আজ মানবতার সামনে সবচেয়ে বড় সংকট। গত ১৪ বছর ধরে বাংলাদেশি যুবকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের পর আমি এখন জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় তরুণদের, বিশেষ করে দক্ষিণ মেরুর তরুণদের সংগঠিত করার জন্য একটি বৈশ্বিক সংস্থা চালু করছি।’
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো একটি জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমাদের বিশ্বব্যাপী এবং বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে হবে। জিওয়াইএলসি’র লক্ষ্য তরুণদের জলবায়ু বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করা, ব্যক্তিগতভাবে ও যৌথ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য তরুণদের নেতৃত্বের দক্ষতা তৈরি এবং জলবায়ু অভিবাসনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে ব্যবসা চালু করতে সক্ষম করা।
ইজাজ আহমেদ বলেন, আমরা খুলনাকে জিওয়াইএলসি সম্মেলনের উদ্বোধনী স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছি কারণ খুলনা বাংলাদেশের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ একটি অঞ্চল। খুলনায় সম্মেলনে যোগদানকারী এই ১৫০ জন তরুণ উপকূলীয় এলাকার লাউডোভ-এ উপকূলীয় বনায়নেও অংশ নেবেন। এর মাধ্যমে আমরা স্থানীয়ভাবে পরিচালিত জলবায়ু সহিষ্ণু বিভিন্ন কার্যক্রম এর প্রচার এবং মানুষের পাশাপাশি জীববৈচিত্র্যের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপকূলীয় বনায়নের গুরুত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করবো।
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণে যুবকদের ক্ষমতায়নের লক্ষে সামিটে অংশ নেয়া ১০ জন প্রতিনিধিকে তাদের জলবায়ু সহিষ্ণুতা ও জলবায়ু অভিবাসন বিষয়ক প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ১০০০ ডলার অনুদান প্রদান করা হবে।
জিওয়াইএলসি চেয়ারম্যান নিল ওয়াকার বলেন, তরুণরা শুধুমাত্র জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে দাবি জানায় না, তারা পথও দেখায়।
তিনি বলেন, ‘নেতৃত্ব, উদ্ভাবন, উদ্যোগী মনোভাব সাফল্যের পথ দেখায়। তবে আমাদের বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ দরকার। জিওয়াইএলসি সারাবিশ্বের তরুণদের আদর্শ, ধারণা এবং প্রতিভাকে ফলাফলে রূপান্তর করতে কাজ করবে।’
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের চিফ কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার হ্যান্স মার্টিন হোয়েগ হেনরিকসেন, বিওয়াইএলসি নির্বাহী পরিচালক তাহসিনাহ আহমেদ ও তরুণ জলবায়ু কর্মী শাকিলা ইসলাম বক্তব্য দেন।
নিজেই আত্মগোপনে ছিলেন রহিমা বেগম, আদালতে ছেলের জবানবন্দি
খুলনার রহিমা বেগম আত্মগোপনে থেকে নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়েছেন দাবি করে জবানবন্দি দিয়েছেন তার ছেলে মোহাম্মদ মিরাজ আল শাদী।
খুলনা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, সোমবার রহিমা বেগমের ছেলে কার্যালয়ে এসে স্বেচ্ছায় একটি জবানবন্দি দিতে চাইলেন। তিনি বলেন, তার মা যাদেরকে জড়িয়েছেন বা জমিজমা সংক্রান্ত যে বিরোধ মায়ের আত্মগোপনের পেছনে তাদের কোনো হাত নেই। তারা নির্দোষ। আমরা তখন তাকে বিজ্ঞ আদালতে পাঠিয়ে দেই। সংশ্লিষ্ট আদালতে তিনি জবানবন্দি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: খুলনার রহিমা খাতুনের খোঁজ ১৫ দিনেও মেলেনি
সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, মিরাজ আমাদের জানিয়েছেন যে তার মা এর আগেও একাধিকবার আত্মগোপন করেছিলেন। পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার বাবার সঙ্গে ঝগড়া করে। আর এবার জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধীদেরকে ফাঁসানোর জন্য।
মিরাজ বলেন, মায়ের আত্মগোপনের সংবাদ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমি যখন মহেশ্বরপাশায় যেয়ে দেখি যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা সবাই নিজ বাসায় আছেন। পরে তাদেরকে নিয়ে আমি আমার মাকে খুঁজি। এর মানে তিনি স্বেচ্ছায় গেছেন। তার জবানবন্দি আইনানুযায়ী আদালতে রেকর্ড হয়েছে।
পিবিআই পুলিশ সুপার বলেন, চলতি মাসে মামলার প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। কিছু প্রতিবেদনের অপেক্ষায় রয়েছি। যার মধ্যে নিখোঁজের আধাঘণ্টা আগে রহিমা বেগমের বিকাশে টাকা এসেছিল। এই টাকা কোথা থেকে এসেছিল আর কেনই এসেছিল, এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মিরাজ বলেন, আমার সঙ্গে মায়ের কোনো যোগাযোগ নেই। পিবিআই প্রতিবেদন দেয়ার পরই তার সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করার আইনি প্রক্রিয়ায় যাবো।
আরও পড়ুন: নিখোঁজ মাকে ফিরে পেতে ৬ সন্তানের আকুতি
রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান বলেন, আমি ঢাকায় রয়েছি। ফের মা নিখোঁজের বিষয়ে কিছু জানি না। এ বিষয়ে আমার ভাই মিরাজ অথবা বোন আদুরীর সঙ্গে কথা বলতে পারেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট রাত আনুমানিক ১০টার দিকে খুলনা মহানগরীর মহেশ্বরপাশার উত্তর বণিকপাড়ার নিজ বাসা থেকে টিউবওয়েলে পানি আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। এরপর আর ঘরে ফেরেননি তিনি। স্বামী ও ভাড়াটিয়ারা নলকূপের পাশে ঝোপঝাড়ে তার ব্যবহৃত ওড়না, স্যান্ডেল ও বালতি দেখতে পান। সেই রাতে মাকে খুঁজতে আত্মীয়-স্বজন, আশপাশসহ সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেন সন্তানরা।
রহিমার ছয় সন্তান কখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, কখনো মাইকিং, কখনো আত্মীয়-স্বজনদের দ্বারস্থ হয়েছেন। সাংবাদিক সম্মেলন ও মানববন্ধনও করেছেন। পুলিশ জানায়, গত ২৭ আগস্ট নগরীর মহেশ্বরপাশা এলাকার বাড়ির সামনে থেকে রহিমা বেগম নিখোঁজ হন- এ অভিযোগ তুলে তার মেয়ে আদরী খাতুন বাদী হয়ে পরদিন দৌলতপুর থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৫৫ বছর বয়সী এক নারী নিখোঁজ
পরে ২৪ সেপ্টেম্বর রাত পৌনে ১১টার দিকে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুসের বাড়ি থেকে রহিমা বেগমকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশের একটি টিম দিবাগত রাত ২টার দিকে তাকে নিয়ে দৌলতপুর থানায় পৌঁছায়। পরদিন বেলা ১১টার দিকে পুলিশ রহিমা বেগমকে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করে। ২৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে রহিমা বেগমকে (৫২) তার ছোট মেয়ে আদরী খাতুনের জিম্মায় দেন আদালত। রাতে খুলনা মহানগরীর বয়রা এলাকায় আদরীর বাসায় তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। ওইদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে খুলনা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এর বিচারক আল আমিনের কাছে জবানবন্দি দেন রহিমা বেগম।
গাইবান্ধার মতো খুলনায় ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ!
খুলনায় ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনের আগে ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ এনেছেন এক চেয়ারম্যান প্রার্থী ।
শনিবার খুলনা বিএমএ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান প্রার্থী চিকিৎসক শেখ বাহারুল আলম এ অভিযোগ করেন।অভিযোগে তিনি বলেন, ভোটারদের মধ্যে কালো টাকা বিতরণ করা হচ্ছে এবং খুলনার মেয়র, হুইপ ও সংসদ সদস্যরা নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিজয়ী করার চেষ্টা করছেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় মার্কেটে আগুন, ১৬টি দোকান পুড়ে গেছেআগামী ১৭ অক্টোবর খুলনায় অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে না বলে সতর্ক করে এই প্রার্থী গাইবান্ধার মতো নির্বাচনে কারচুপি না করতে প্রশাসনের প্রতি সজাগ থাকার আহ্বান জানান।তিনি সব ভোটকেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরা নজরদারির আওতায় আনার দাবি জানান।আসন্ন খুলনা জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত তিন প্রার্থী হলেন- খুলনা আ’লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশিদ এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ বাহারুল আলম ও মুর্তজা রশিদী দারা।এবারের নির্বাচনে ১০টি ভোট কেন্দ্র থেকে মোট ৯৩৭ জন ভোটার তাদের ভোট দেয়ার কথা রয়েছে।গত ১২ অক্টোবর বুধবার ভোট কারচুপি ও ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ সংসদীয় আসনের উপনির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
আরও পড়ুন: খুলনায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
জলবায়ু পরিবর্তন: খুলনায় চিংড়ি চাষ বিপন্ন