খুলনা
জলবায়ু পরিবর্তন: খুলনায় চিংড়ি চাষ বিপন্ন
খুলনার চাষি ও রপ্তানিকারকরা চিংড়ির উৎপাদন কমে যাওয়ায় চিন্তিত। কারণ, এ অঞ্চল থেকে রপ্তানিতেও প্রভাব পড়েছে। প্রধানত জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তাপমাত্রার পরিবর্তনে এই প্রতিবন্ধকতা তৈরি হচ্ছে।
২০২১-২০২২ অর্থবছরে খুলনা থেকে মাত্র ৩৩ হাজার ২৭১ টন চিংড়ি রপ্তানি হয়েছে। ২০১১-১২ অর্থবছরের ৪২ হাজার ৪৮৯ টন রপ্তানির হিসাবে যা বেশ কম।
শিল্প পরিচালকরা বলছেন যে জলাশয়গুলো তাদের নাব্যতা হারাচ্ছে। চাঁদের মহাকর্ষীয় টানের কারণে প্রাকৃতিক ভরা জোয়ারের দুর্বল শক্তির কারণে লবণাক্ততার স্তর ওঠানামা করছে। যা এই অঞ্চলে চিংড়ি চাষকে প্রভাবিত করছে।
বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবীর ইউএনবিকে বলেন, ‘৬০’র দশকে দেশে চিংড়ি চাষ শুরু হয়েছিল। পরবর্তীতে এটি শিল্প হয়ে ওঠে।’
তিনি বলেন, ‘গুণগত মানের কারণে ৮০’র দশক থেকে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত বাগদা চিংড়ি বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়। কিন্তু এখন জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে চিংড়ি উৎপাদন কমেছে। সেই সঙ্গে চাহিদা ও দামও কমেছে।’
হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাল-বিল, নদী-নালা শুকিয়ে ভরাট হয়ে গেছে। পানির উষ্ণতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে চিংড়ির মৃত্যুহার বেড়েছে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় জেল-ইনজেক্টেড চিংড়ি জব্দ, আটক ১৮
তিনি বলেন, ‘প্রাকৃতিক চিংড়ির পোনাও মিলছে না। অল্প কিছু পাওয়া গেলেও ঘেরে ছাড়ার পর পানির তাপমাত্রা সহনীয় না থাকায় সেগুলো টিকছে না। ফুটন্ত পানিতে চিংড়ি কতক্ষণ টিকতে পারে? তাপমাত্রা সহনীয় থাকার কথা ছিল। কিন্তু তা এখন নেই।’
ভালো পরিবেশ না থাকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, চিংড়ির পোনা খুবই স্পর্শকাতর। এর জন্য পানি, খাবার, পরিবেশ ও তাপমাত্রা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
মৃত্যুহার বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি তাপমাত্রা সহনীয় না থাকা ও রোগবালাই শেষ না হওয়াকে ইঙ্গিত করেন।
খুলনা বিভাগীয় পোনা মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও পাইকগাছা উপজেলার পুরস্কারপ্রাপ্ত ঘের ব্যবসায়ী গোলাম কিবরিয়া রিপন বলেন, ‘জানুয়ারি মাস থেকে এই অঞ্চলের নদ-নদীতে লবণাক্ত পানি চলে আসে। গত বছর লবণাক্ত পানি আসতে দেরি হয়। ফলে এক মাস পিছিয়ে ফেব্রুয়ারি মাসে লবণাক্ত পানি আসে। এ বছরও তাই হয়েছে। বৃষ্টির সময় বৃষ্টি নেই। পানিতে লবণের পরিমাণ অসময়ে বেশি হচ্ছে, আবার প্রয়োজনের সময় কমে যাচ্ছে।’
চিংড়ির চাষ ব্যাহত হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সাধারণত মে-জুন মাসে পানিতে লবণের মাত্রা ১৬-১৮ পিপিটি থাকে। কিন্তু মাঝে মধ্যে ৮-১০ পিপিটিতে নেমে আসে। বৃষ্টির স্বাভাবিক গতি ঠিক না থাকায় লবণের মাত্রায় হ্রাস-বৃদ্ধি ঘটে।
কিবরিয়া জানান, ‘আগে সনাতন পদ্ধতির ঘেরে হ্যাচারির পোনা ছাড়ার পর ৬০-৭০ শতাংশ টিকতো। এখন ১৫-২০ শতাংশ পোনাও বাঁচে না। সময়মতো বৃষ্টি না হওয়া ও লবণের মাত্রায় হ্রাস-বৃদ্ধির কারণে চিংড়ি চাষে লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। এ অবস্থায় কেউ কেউ চিংড়ি ছেড়ে সাদা মাছ চাষ করছেন।’
আরও পড়ুন: কলাপাতায় চিংড়ি ভাপা
নদ-নদীর নাব্যতা ফেরাতে ড্রেজিং করা জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নদ-নদীর নাব্যতা হারিয়ে যাচ্ছে। সেখানে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। জোয়ারের পানি ঘেরে ঢোকানোর ফলে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা আসতো। কিন্তু নাব্যতা সংকটের কারণে এখন ওসব পোনা আসে না। পানির এ অবস্থার কারণে মাটির তারতম্যে পরিবর্তন হয়েছে হয়তো। যে কারণে চিংড়ি চাষে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। ৩০-৪০ বছর ধরে আমরা যারা চিংড়ি চাষ করছি, তারাও লোকসানে পড়েছি।’
খুলনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব কুমার বলেন, ‘পানির তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে চাষিদের ঘেরের গভীরতা বৃদ্ধির পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ বন্ধে নজরদারি বাড়ানোসহ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।’
চাষি থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাতকরণ কোম্পানির মালিক ও শ্রমিকদের নিয়ে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার কথা জানান জয়দেব কুমার।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবান অ্যান্ড রিজিওনাল প্ল্যানিং বিভাগের প্রধান ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. মোস্তফা সারোয়ার বলেন, ‘তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে চিংড়ির রেণুর মৃত্যুরহার বেড়েছে। প্রাকৃতিক খাদ্যচক্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে কৃত্রিম খাবার দেয়া লাগছে। এতে অল্প কিছু রেণু টিকছে। বাকিগুলো মারা যাচ্ছে।’
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে রেণুর স্বাভাবিক বৃদ্ধির পরিবেশ তৈরি না হওয়ার কথা বলেন মোস্তফা। তিনি বলেন, ‘রেণুর তাপ সহ্য ক্ষমতা আর বয়স্ক চিংড়ির তাপ সহ্য ক্ষমতার পার্থক্য আছে। সাধারণত ঘের তৈরির পর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে রেণু ছাড়া হয়। মার্চে এসে মারাত্মক গরম পড়ে। তখন তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি হলে তো পানির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি থাকে না। সেটি ২৭ ডিগ্রিতে উঠে যায়। যা রেণুর জন্য সহনীয় পর্যায়ে থাকে না।’
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির গবেষণা: হাওরের ইকোসিস্টেম সার্ভিসে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিরূপণ
তিনি আরও বলেন, গরম পানিতে রেণু টিকতে পারছে কম। আর ঘেরের গভীরতা কম, ঘেরে পানির উচ্চতাও বাড়ে না। বায়ুর তাপে পানি গরম হয়ে ওঠে। যা চিংড়ির স্বাভাবিক বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে। তাপমাত্রা বাড়লে যেকোনো ধরনের ভাইরাসের দাপট বেড়ে যায়। ভাইরাসের জীবনচক্র সক্রিয় অবস্থানে রাখতে প্রয়োজন তাপমাত্রা।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ার বিষয় উল্লেখ করে মোস্তফা বলেন, ‘এতে গরমের কারণে চিংড়ির পোনার টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়ছে। এ অবস্থায় যদি ভাইরাস পানির সংস্পর্শে চলে আসে সেটা ভাইরাসের জন্য সহনীয় অবস্থান। ফলে বড় চিংড়িতে ভাইরাস আক্রান্তে সময় লাগলেও ছোট চিংড়ি আক্রান্ত হতে সময় লাগে না। এজন্য রেণু দ্রুত মারা যায়। চিংড়িতে মড়ক দেখা দেয়।’
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নতুন বৈশ্বিক উদ্যোগ চায় ঢাকা
খুলনায় মার্কেটে আগুন, ১৬টি দোকান পুড়ে গেছে
খুলনা সদর উপজেলার বড়ো বাজারে বুধবার দুপুরে আগুনে কমক্ষে ১৬টি দোকান পুড়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুর ১টার দিকে ভৈরব বাসস্ট্যান্ডের পাশের বাজারের একটি দোকানে আগুন লাগে এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই তা পাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
খুলনা ফায়ার সার্ভিসের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মো. সালাহ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি দমকল কাজে লাগানো হয় এবং আগুন নেভাতে তাদের প্রায় এক ঘণ্টা সময় লেগে যায়।
আরও পড়ুন: খুলনার রূপসা ইউসেপ স্কুলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
দুর্গাপূজার ছুটির কারণে আজ বুধবার বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তিনি বলেন, আগুনের সঠিক উৎস ও ক্ষতির পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন: রাজধানীর এরশাদ মার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে
খুলনায় পাটকলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
খুলনার রূপসা ইউসেপ স্কুলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
খুলনা নগরীর রূপসা ইউসেপ স্কুলে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। রবিবার রাত পৌনে ১২টার দিকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে আগুনে পুড়েছে ২১ দোকান
টুটপাড়া ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো.নজরুল ইসলাম বলেন, রাত পৌনে ১২টার হঠাৎ ইউসেপ স্কুলে আগুন লাগে। এলাকার মানুষ স্বেচ্ছায় আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়া। পরে ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহায়তা রাত ২টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
আরও পড়ুন: খুলনায় পাটকলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
তিনি জানান, টুটপাড়ার তিনটি ও বয়রা ফায়ার সার্ভিসের দুটি মোট পাঁচটি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ করেছে।
খুলনা মাতিয়েছে ‘অপারেশন সুন্দরবন’ টিম
‘অপারেশন সুন্দরবন’ টিম শনিবার খুলনা শহরে সিনেমাটির প্রচারে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। বিকাল ৫টায় তারা খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে খুলনা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থা, কুয়েট ফিল্ম সোসাইটি ও ফুড স্টুডিও’র আয়োজনে একটি সংবর্ধনায় যোগ দেয়।
সেখানে খুলনা সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংস্থার সভাপতি মনিরুজ্জামান লাভলু ও কুয়েট ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি সিফাত তাদের বরণ করে নেয়। সিয়াম আহমেদ, জিয়াউল রোশান, নুসরাত ফারিয়া ও পরিচালক দীপঙ্কর দীপন খুলনাবাসীকে বলেন, অপারেশন সুন্দরবন খুলনাবাসীর সিনেমা।
এরপর অপারেশন সুন্দরবন সিনেমার শিল্পীরা দর্শক সবাইকে নিয়ে হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখার আহ্বান জানান। পরে ‘তার হাওয়াতে’ গানের সাথে সিয়াম ও ফারিয়া একটি ছোট পারফরমেন্স করেন। এই সময় দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনা লক্ষ্য করা যায়। সেলফি তোলা ও প্রিয় নায়ক নায়িকাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে খুলনার তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ দেখা যায়।
আরও পড়ুন: মুক্তি পেল ‘বিউটি সার্কাস’ ও ‘অপারেশন সুন্দরবন’
টিম ‘অপারেশন সুন্দরবন’ খুলনার শঙ্খ ও লিবার্টি সিনেমা হলের আমন্ত্রণে সিনেমা হলে যান। সেখানে লিবার্টি সিনেমা হলের মালিক শাহজাহান ও শঙ্খ সিনেমা হলের মালিক কামালের পক্ষে টিমকে স্বাগত জানানো হয়। অপারেশন সুন্দরবন টিমের পক্ষ থেকে শঙ্খ সিনেমা ও লিবার্টি সিনেমার সকল কর্মকতা ও স্টাফদের শুভেচ্ছা উপহার দেয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে অপারেশন সুন্দরবন সিনেমার পরিচালক দীপঙ্কর দীপন বলেন, ‘সিনেমা হলের সাথে যুক্ত প্রত্যেকটা মানুষ আমাদের কাছে খুব কাছের। পোস্টার ম্যান, গেট ম্যান, লাইট ম্যান, প্রচার ম্যান, অপারেটর প্রত্যেকটা মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের সিনেমায় অবদান রেখে চলছেন। আমি দেখেছি একটি সিনেমা হিট হলে তারা কি পরিমাণ খুশি হয়। আজ টিম অপারেশন সুন্দরবন তাদের পারিবারের জন্য শুভেচ্ছা উপহার নিয়ে তাদের বাংলা সিনেমায় অবদানকে সম্মান জানাতে চায়।’
আরও পড়ুন: ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমার শুটিং শুরু
ওটিটির পর্দায় প্রথমবারের মতো মিশা সওদাগর
বিয়ে না দেয়ায় ছোট ভাইয়ের দায়ের কোপে বড় ভাইয়ের হাত বিচ্ছিন্ন!
খুলনার কয়রায় বিয়ে না দেয়ায় ঝগড়ার জেরে ছোট ভাইয়ের দায়ের কোপে বড় ভাইয়ের হাত বিছিন্ন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ছোট ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের মেঘারআইট গ্রামে শুক্রবার এই ঘটনাট ঘটে।
আহত বড় ভাই শাহাদাৎ হোসেন এবং আটক ছোট ভাইয়ের নাম শাকিল। তারা একই এলাকার সোহরাব মিস্ত্রির ছেলে।
আরও পড়ুন: বরিশালে বোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ: ‘কারিগরের’ দুই হাত বিচ্ছিন্ন
কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম দোহা বলেন, দুই ভাইয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। শুক্রবার শাকিল তার বড় ভাই শাহাদাৎ হোসেনের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায় ধারালো দা দিয়ে কোপ দিলে শাহাদাতের বাম হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রতিবেশীদের কয়েকজন জানিয়েছেন শাকিল বিয়ে করতে চাইছিলেন, এই নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল।
আরও পড়ুন: লোহাগড়ায় বোমা বিস্ফোরণে যুবকের হাত বিচ্ছিন্ন
ওসি জানান,এলাকাবাসীর সহযোগিতায় শাকিলকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাস-ট্রাক সংঘর্ষে উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষিকার হাত বিচ্ছিন্ন
স্থানীয়রা জানায়, আহত শাহাদাৎকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
খুলনায় পুকুরে ডুবে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
খুলনার কয়রা উপজেলায় পুকুরে ডুবে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার উপজেলার মহেশবরীপুর ইউনিয়নের খোদোলকাটি গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত প্রিয়া মাঝি(১৬) একই গ্রামের নীতিশ মাঝির মেয়ে। সে এ বছর স্থানীয় একটি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মনি রায় বলেন,‘ প্রিয়াপুকুরে ডুবে যায়। স্নান করার সময় সে সম্ভবত মৃগী রোগে আক্রান্ত হয়েছিল। ’
তিনি আরও বলেন,‘পরে স্থানীয়রা পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করে।’
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে সড়ক দুর্ঘটনায় দাখিল পরীক্ষার্থী নিহত
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
চৌদ্দগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ এসএসসি পরীক্ষার্থী নিহত
রহিমা বেগমের নিখোঁজ ঘটনা ‘অপহরণ’ নয়: পিবিআই
ফরিদপুরে জীবিত খোঁজ পাওয়া রহিমা বেগমের ‘নিখোঁজ’ ঘটনা ‘অপহরণ’ নয় বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
বুধবার পিবিআই খুলনার পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘খুলনার দৌলতপুরের বাসা থেকে অপহরণের কোনো প্রমাণ আমরা পাইনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও মামলাটি তদন্ত করছি এবং রহিমা বেগম তার নিখোঁজের বিষয়ে মিথ্যা অভিযোগ করে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
এদিকে, মামলায় গ্রেপ্তারদের পরিবারের সদস্যরা দাবি করেছেন, রহিমা বেগমের মেয়ে মরিয়ম মান্নান রহস্যজনকভাবে এই নিখোঁজের পেছনের ‘মাস্টারমাইন্ড’। মরিয়মসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সত্য উদঘাটন করা যাবে বলে জানান তারা।
আরও পড়ুন: খুলনার ‘নিখোঁজ’ রহিমা ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ফরিদপুরে ছিলেন: পুলিশ
২৯ দিন ধরে ‘নিখোঁজ’ থাকা রহিমা বেগমের জবানবন্দি ২৫ সেপ্টেম্বর আদালতে রেকর্ড করার পর তাকে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বাদীর আইনজীবী আফরুজ্জামান টুটুল জানান, পরে তাকে খুলনার বয়রা এলাকায় তার ছোট মেয়ে আদুরী আক্তারের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়।
রহিমা তার বিবৃতিতে ‘জমি বিরোধের জেরে অপহরণ’ হওয়ার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছেন।
তিনি বলেন, তাকে অপহরণ করে চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তিনি নিজে ফরিদপুর যান।
আগের রাতে ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা থেকে রহিমাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: খুলনার ‘নিখোঁজ’ রহিমা বেগম ফরিদপুরে জীবিত উদ্ধার: পুলিশ
খুলনায় পিবিআই কার্যালয়ে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করার সময় রহিমা দাবি করেন, ‘আমার বাড়ির সামনে থেকে অজ্ঞাতপরিচয়ে কয়েকজন আমাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।’
এ সময় রহিমার বরাত দিয়ে মুশফিকুর রহমান জানান, ‘গোলাম কিবরিয়া ও মো. মহিউদ্দিন নামে দুই ব্যক্তি যাদের সাথে জমি নিয়ে রহিমার বিরোধ ছিল তারা জোরপূর্বক একটি খালি কাগজে তার স্বাক্ষর নিয়ে মাত্র এক হাজার টাকা দিয়ে তাকে দূরবর্তী স্থানে ফেলে রেখে যায়।’
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে খুলনার নিখোঁজ নারীর লাশ পাওয়ার বিষয়ে পরিবারের সন্দেহ প্রকাশ
খুলনার রহিমাকে পিবিআইয়ে হস্তান্তর
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া খুলনার রহিমা বেগমকে আজ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, রহিমা গত ২৯ দিন ধরে ‘নিখোঁজ’ ছিল এবং আজ তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার কুদ্দুসের বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। তিনি ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে সেখানে ছিলেন।
খুলনা মহানগর পুলিশের (উত্তর) উপকমিশনার মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ বাড়িটিতে গেলে রহিমাকে দুই নারীর সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। পুলিশ অফিসাররা প্রশ্ন করা শুরু করলে তিনি কথা বলা বন্ধ করেন।
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু মামলাটি পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়েছে, তারা এখন বিষয়টি দেখবে। রহিমার ‘নিখোঁজ’ হওয়ার এই পুরো ঘটনা ও তাকে খোঁজ করা সারাদেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া যে আমরা তাকে খুঁজে বের করতে পেরেছি। আমরা সবাই খুশি এবং স্বস্তি পেয়েছি। বাকিটা পিবিআই তদন্ত করবে। আমি আশাবাদী যে পিবিআই রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হবে।’
ফরিদপুরের যে বাড়িতে রহিমাকে পাওয়া গেছে সেখান থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: খুলনার ‘নিখোঁজ’ রহিমা ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ফরিদপুরে ছিলেন: পুলিশ
এ প্রসঙ্গে রহিমার ছেলে সাদী বলেন, ‘যেহেতু আমার মা জীবিত উদ্ধার হয়েছে, সেহেতু তার মুখে নিখোঁজের বিষয়টি জানলে তিনি ভালো বলতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় যদি আমার পরিবারের কেউ জড়িত থাকে তবে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বিষয়টি আরও তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন মোল্লা জাহাঙ্গীর।
উল্লেখ্য, দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়ায় গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে বাড়ি থেকে বের হন রহিমা খাতুন (৫৫)। দীর্ঘ সময় পার হলেও তিনি আর বাসায় ফেরেননি। পরে মায়ের খোঁজে বের হয়ে সন্তানরা মায়ের ব্যবহৃত স্যান্ডেল, গায়ের ওড়না ও কলস রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। রাতে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নেয়ার পর তাকে না পাওয়া গেলে সাধারণ ডায়েরি এবং পরবর্তীতে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন তারা।
গত ২০ দিনেও রহিমার খোঁজ মেলেনি। এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের আবেদনে মামলাটি পিবিআইয়ের যাচ্ছে। এ পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ছয় জনকে গ্রেপ্তার করলেও কোনো তথ্য উদঘাটন করা যায়নি।
আরও পড়ুন: খুলনার ‘নিখোঁজ’ রহিমা বেগম ফরিদপুরে জীবিত উদ্ধার: পুলিশ
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরের আদেশ হয়েছে। কিন্তু ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নথি হস্তান্তর হয়নি। পিবিআই যেদিন চাইবে সেদিনই নথি হস্তান্তর করা হবে। এ জটিলতার কারণে এ মামলায় গৃহবধূর স্বামীর রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি। পিবিআই মামলাটি বুঝে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। এ পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামী হেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, পলাশ, জুয়েল এবং হেলাল শরীফ।
নিখোঁজ রহিমা খাতুনের মেয়ে মরিয়ম মান্নান বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ আমার মায়ের সন্ধান দিতে পারেনি। ফলে ১৩ সেপ্টেম্বর ১৮তম দিনে আমার ছোট বোন আদুরি আক্তার আদালতে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তরের আবেদন করে। শুনানি শেষে ওই দিনই আদালত মামলা পিবিআইতে হস্তান্তরের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে খুলনার নিখোঁজ নারীর লাশ পাওয়ার বিষয়ে পরিবারের সন্দেহ প্রকাশ
খুলনার ‘নিখোঁজ’ রহিমা ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ফরিদপুরে ছিলেন: পুলিশ
নিখোঁজের ২৯ দিন পর ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলা থেকে খুলনার রহিমা বেগমকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে তিনি ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ছিলেন। বিষয়টি জানিয়েছে পুলিশ।
রবিববার রাত আড়াইটার দিকে খুলনার দৌলতপুর থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) উপ-কমিশনার (উত্তর) মোল্লা জাহাঙ্গীর হোসেন এ তথ্য জানান।
মোল্লা জাহাঙ্গীর বলেন, রহিমা তার আত্মগোপনের বিষয়ে পুলিশের কোনো প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছেন না এবং তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর থেকে তিনি ‘নির্বাক’ রয়েছেন।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার রাতে কেএমপির একটি দল ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের কুদ্দুস মোল্লার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রহিমাকে অক্ষত অবস্থায় পায়।
আরও পড়ুন: খুলনার ‘নিখোঁজ’ রহিমা বেগম ফরিদপুরে জীবিত উদ্ধার: পুলিশ
রাত ২টার দিকে রহিমা বেগমকে দৌলতপুর থানায় নিয়ে আসা হয়।
এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই বাড়ি থেকে দুই নারীসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
কুদ্দুসের স্বজনরা পুলিশকে জানান, ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে রহিমা ওই বাড়িতেই ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে রহিমার ছেলে সাদী বলেন, ‘যেহেতু আমার মা জীবিত উদ্ধার হয়েছে, সেহেতু তার মুখে নিখোঁজের বিষয়টি জানলে তিনি ভালো বলতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘এ ঘটনায় যদি আমার পরিবারের কেউ জড়িত থাকে তবে প্রশাসন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।’
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বিষয়টি আরও তদন্ত করবে বলে জানিয়েছেন মোল্লা জাহাঙ্গীর।
আরও পড়ুন: ময়মনসিংহে খুলনার নিখোঁজ নারীর লাশ পাওয়ার বিষয়ে পরিবারের সন্দেহ প্রকাশ
উল্লেখ্য, দৌলতপুর মহেশ্বরপাশা বণিকপাড়ায় গত ২৭ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে পানি আনতে বাড়ি থেকে বের হন রহিমা খাতুন (৫৫)। দীর্ঘ সময় পার হলেও তিনি আর বাসায় ফেরেননি। পরে মায়ের খোঁজে বের হয়ে সন্তানরা মায়ের ব্যবহৃত স্যান্ডেল, গায়ের ওড়না ও কলস রাস্তার ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। রাতে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নেয়ার পর তাকে না পাওয়া গেলে সাধারণ ডায়েরি এবং পরবর্তীতে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় মামলা দায়ের করেন তারা।
গত ২০ দিনেও রহিমার খোঁজ মেলেনি। এ অবস্থায় পরিবারের সদস্যদের আবেদনে মামলাটি পিবিআইয়ের যাচ্ছে। এ পর্যন্ত পুলিশ ও র্যাব যৌথ অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজন ছয় জনকে গ্রেপ্তার করলেও কোনো তথ্য উদঘাটন করা যায়নি।
আরও পড়ুন: খুলনায় রহিমা খাতুন নিখোঁজ মামলার তদন্তভার পিবিআইয়ের হাতে
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরের আদেশ হয়েছে। কিন্তু ১৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নথি হস্তান্তর হয়নি। পিবিআই যেদিন চাইবে সেদিনই নথি হস্তান্তর করা হবে। এ জটিলতার কারণে এ মামলায় গৃহবধূর স্বামীর রিমান্ড আবেদনের শুনানি হয়নি। পিবিআই মামলাটি বুঝে নিয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। এ পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) প্রধান প্রকৌশল কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. গোলাম কিবরিয়া, নিখোঁজ গৃহবধূর স্বামী হেলাল হাওলাদার, দৌলতপুর মহেশ্বরপশা বণিকপাড়া এলাকার মহিউদ্দিন, পলাশ, জুয়েল এবং হেলাল শরীফ।
নিখোঁজ রহিমা খাতুনের মেয়ে মরিয়ম মান্নান বলেন, ১২ সেপ্টেম্বর ১৭ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ আমার মায়ের সন্ধান দিতে পারেনি। ফলে ১৩ সেপ্টেম্বর ১৮তম দিনে আমার ছোট বোন আদুরি আক্তার আদালতে মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তরের আবেদন করে। শুনানি শেষে ওই দিনই আদালত মামলা পিবিআইতে হস্তান্তরের আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: খুলনায় রহিমা ১৮ দিন ধরে নিখোঁজ, স্বামীসহ গ্রেপ্তার ৬
খুলনায় তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
খুলনা মহানগরীতে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় ফজলুর রহমান শাওন নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছেন পুলিশ। এ মামলার বাকি তিন আসামি এখনও পলাতক রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর আড়ংঘাটা থানার তেলিগাতী মধ্যপাড়া এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
আসামিরা হলেন- খালিশপুর নয়াবাটি এলাকার ফজলুর রহমান শাওন, খালিশপুর হাউজিং এলাকার আবু কাশেমের ছেলে সোয়ান, তেলিগাতী মধ্যপাড়া ক্লাব মোড়ের লিয়াকত শেখের ছেলে রুবেল শেখ ও অজ্ঞাত পরিচয় একজন।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যা: প্রাইভেট শিক্ষকের ৩ দিনের রিমান্ড
মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়,পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে খালিশপুর নয়াবাটি এলাকার ফজলুর রহমান শাওন বৃহস্পতিবার বিকালে ভুক্তভোগী তরুণীকে নগরীর ফুলবাড়িগেট এলাকায় নিয়ে যান। সন্ধ্যায় আড্ডা দেয়ার সময় চায়ের সঙ্গে নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে ওই তরুণীকে তেলিগাতী মধ্যপাড়ার আজগর সরদারের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই রাতে অভিযুক্ত চারজন ভুক্তভোগীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে।
আড়ংঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওহিদুজ্জামান বলেন,সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগী নিজেই বাদি হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও জানান, ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক)হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুই কিশোরীকে ধর্ষণ: তিনজনের যাবজ্জীবন
সিরাজগঞ্জে প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার