খুলনা
খুলনা বিভাগের ৩৬টি আসনে ভোটার এক কোটি ৩৪ লাখ ৪৬ হাজার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা এক কোটি ৩৪ লাখ ৪৬ হাজার ৭৮৩জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬৭ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯১জন এবং নারী ভোটারের সংখ্যা ৬৭ লাখ ২০৫ জন।
মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪ হাজার ৯৮৪ টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩০ হাজার ২৫৩টি। খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবীর এসব তথ্য জানান।
খুলনা বিভাগের মোট ৩৬টি সংসদীয় আসনের মধ্যে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের সংখ্যা ৩২২টি, যার মধ্যে বৈধ ২২৮টি, বাতিল ৯৪ টি এবং প্রত্যাহার করা হয় ৩৮টি মনোনয়নপত্র। বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনের মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২৩৬ জন।
বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে খুলনা জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৮৮২জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১০ লাখ ৮৪ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৯ লাখ ৯৯ হাজার ৭৮৪ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ১৪ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৭৯৩টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৪৭২০টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩৯ জন।
আরও পড়ুন: খুলনা-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আকরাম হোসেনের গুলি করার হুমকি!
বাগেরহাট জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১২ লাখ ৮১ হাজার ১৩৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৮৬জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৬ লাখ ৩৭ হাজার ৪০ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৮৮টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ২৭৯৬টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২৬ জন।
সাতক্ষীরা জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৭ লাখ ৪৬ হাজার ২২৪ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ৭৬ হাজার ৯৮৪ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ৬৯ হাজার ২২৮জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ১২ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬০২টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩৭১৮টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩০ জন।
যশোর জেলার ৬টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ২৩ লাখ ৩৯ হাজার ৫৫ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ১১ লাখ ৭৬ হাজার ১০৫জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ১১ লাখ ৬২ হাজার ৯৫৩ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ১৫জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৮২৫টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৫ হাজার ২১৭টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩২জন।
নড়াইল জেলার ২টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৬ লাখ ৪১ হাজার ১৩২ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ২১ হাজার জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ২০ হাজার ১২৯জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৩ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৫৭টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ৪৪১টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৪ জন।
মেহেরপুর জেলার ২টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৯৬৬ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৭৭ হাজার ৪৯জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ২ লাখ ৭৮ হাজার ৯১৫জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ২জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২০৭টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ২৯৮টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৩জন।
আরও পড়ুন: খুলনা-৪ আসন: আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে আ. লীগের প্রার্থীকে আদালতে তলব
ঝিনাইদহ জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৫ লাখ ১ হাজার ৪৮০জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৭ লাখ ৫৪ হাজার ৬৭০ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৭ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ১২জন, জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৫৮৫টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩ হাজার ৪২১টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২৬জন।
কুষ্টিয়া জেলার ৪টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ১৬ লাখ ৪৩ হাজার ৯১২ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ২২ হাজার ৫১৬জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৮ লাখ ২১ হাজার ৩৮৮জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৫৭৮ টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ৩৮২৩টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৩১ জন।
চুয়াডাঙ্গা জেলার ২টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৯ লাখ ৫০ হাজার ৭৮ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭৯২জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৪ লাখ ৭৪ হাজার ২৭৮ জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৮জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৩৫৪ টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ২ হাজার ২২২টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৫ জন।
মাগুরা জেলার ২টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭ লাখ ৮৭ হাজার ৯২০ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৯৮ হাজার ২০৫ জন, নারী ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭১০জন, হিজড়া ভোটারের সংখ্যা ৫ জন। জেলায় ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ২৯৫টি এবং ভোটকক্ষের সংখ্যা ১ হাজার ৫৯৭টি। মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১০ জন।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ১০ জন রিটার্নিং অফিসার, ৭১ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার, ৪ হাজার ৯৮৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৩০ হাজার ২৫৩ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৬০ হাজার ৫০৬ জন পোলিং দায়িত্ব পালন করবেন।
আরও পড়ুন: জমে উঠেছে খুলনা- ৪ আসনের নির্বাচন, হবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই
কবি আবু বকর সিদ্দিক আর নেই
বিজয়ের মাসের শেষ প্রান্তে এসে নীরবে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গেলেন বিদিশা এরশাদের বাবা কবি আবু বকর সিদ্দিক।
বৃহস্পতিবার (২৮ডিসেম্বর) ভোর পৌনে ৬টার দিকে খুলনা মহানগরীর ৫নং মুন্সিপাড়ায় ছোট বোনের বাড়িতে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯১ বছর।
কবির ছোট বোনের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, প্রয় একযুগ যাবৎ মামা আবু বকর সিদ্দিক আমাদের বাসায় থাকতেন। আজ বৃহস্পতিবার বাদ যোহর খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে কবির জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।
মৃত্যুকালে কবি ৫ মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লা সিটি মেয়র রিফাত আর নেই
বরেণ্য শিক্ষক ও কবি আবু বকর সিদ্দিক দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন।
আবু বকর সিদ্দিক একাধারে ছিলেন কবি, কথাসাহিত্যিক, ছড়াকার, ঔপন্যাসিক, ছোটগল্পকার ও সমালোচক। তিনি ১৯৩৪ সালে ১৯ আগস্ট রবিবার বাগেরহাট জেলার গোটাপাড়া গ্রামে নানাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতৃনিবাস একই জেলার বৈটপুর গ্রামে। বাবা মতিয়র রহমান পাটোয়ারী ছিলেন একজন সরকারি চাকুরে।
বাবার চাকরিসূত্রে ১৯৩৫ সাল থেকে তিনি হুগলি শহরে এবং ১৯৪৩ সাল থেকে বর্ধমানে বসবাস করেন। বাল্যকাল থেকেই লেখাপড়ার প্রতি তার ছিল প্রবল ঝোঁক। ১৯৪৬ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে থাকাকালীন তার প্রথম কবিতা আবদুস সাত্তার সম্পাদিত বর্ধমানের কথা পত্রিকায় ছাপা হয়।
তিনি বাগেরহাট মাধ্যমিক সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৫২ সালে মাধ্যমিক, ১৯৫৪ সালে বাগেরহাট সরকারি পিসি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং একই কলেজ থেকে ১৯৫৬ সালে স্নাতক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৫৮ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
পেশাগত জীবনে শিক্ষকতাকেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। তিনি পর্যায়ক্রমে চাখার ফজলুল হক কলেজ, দৌলতপুর বিএল কলেজ, কুষ্টিয়া কলেজ, বাগেরহাট পিসি কলেজ এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেন।
আরও পড়ুন: প্রবীণ সাংবাদিক এম ওয়াহিদুল্লাহ আর নেই
১৯৯৪ সালের ৭ জুলাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর কুইন্স ইউনিভার্সিটি ও ঢাকার নটর ডেম কলেজে অধ্যাপনা করেন।
তিনি কবিতা লিখতে বেশি পছন্দ করতেন। তার প্রকাশিত ধবল দুধের স্বরগ্রাম (১৯৬৯), বিনিদ্র কালের ভেলা (১৯৭৬), হে লোকসভ্যতা (১৯৮৪), মানুষ তোমার বিক্ষত দিনসহ (১৯৮৬) আঠারোটি কাব্যগ্রন্থ আছে। আছে হট্টমালা (২০০১) নামে একটি ছড়াগ্রন্থও।
তার লেখা গল্পগ্রন্থের সংখ্যা ১০টি। তিনি জলরাক্ষস (১৯৮৫), খরাদাহ, একাত্তরের হৃদয়ভস্ম, বারুদপোড়া প্রহর (১৯৯৬) নামে উপন্যাসও লিখেছেন।
সাহিত্যে অবদানের জন্য কবি আবুবকর সিদ্দিক ভূষিত হয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮), বাংলাদেশ কথাশিল্পী সংসদ পুরস্কার, বঙ্গভাষা সংস্কৃতি প্রচার সমিতি পুরস্কার (কলকাতা), খুলনা সাহিত্য পরিষদ পুরস্কার, বাগেরহাট ফাউন্ডেশন পুরস্কার, ঋষিজ পদকসহ দেশি-বিদেশি বহু পুরস্কার ও সম্মাননায়।
আরও পড়ুন: সাবেক কূটনীতিক ওয়ালিউর রহমান আর নেই
খুলনায় জুট মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
খুলনার দিঘলিয়ায় জুট মিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার নগরঘাট সংলগ্ন জামান জুট মিলে এ আগুন লাগে। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
খুলনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন সিকদার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: গণপরিবহনে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে অগণতান্ত্রিক শক্তির বিকাশ হয়: টিআইবি
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে নগরঘাট এলাকার জামান জুট মিলে আগুন লাগে। সংবাদ পেয়ে রাত ১০টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর রাত ১১টা ২৩ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
দিঘলিয়ার জামান জুট মিলের ম্যানেজার রিপন মোল্লা বলেন, সোমবার রাত ৯টায় মিল বন্ধ করে বাসায় চলে আসার পর আগুন লাগার সংবাদ পান তিনি। সংবাদ পেয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
খুলনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, আগুন লাগার সংবাদ পেয়ে খুলনার ৪টি ফায়ার স্টেশনের ৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বসতঘরে আগুন লেগে বৃদ্ধের মৃত্যু
খুলনায় সরিষার বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা
খুলনায় এবার সরিষার বাম্পার ফলনের হাতছানিতে কৃষকের চোখে-মুখে আনন্দের রেখা ফুটেছে। চলতি মওসুমে খুলনায় রেকর্ড পরিমাণ জমিতে উন্নত জাতের সরিষা চাষ করেছেন চাষিরা।
এ মওসুমে ২৮৯ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ বেড়েছে। ৯ উপজেলার পাশাপাশি শহরের বিভিন্ন মাঠে মাঠে হলুদের সমারোহ দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। বেড়ে ওঠা ফসল আর ফুল দেখে অধিক ফলনের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
উন্নত জাতের বীজ ও সার প্রণোদনা পাওয়ার পাশাপাশি গত বছর সরিষা চাষ করে লাভবান হওয়ায় এবার কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছরও প্রত্যেক সরিষা চাষি অধিক মুনাফা লাভ করবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
আরও পড়ুন: প্লাস্টিক দূষণ সংকট: বুড়িগঙ্গার নিকটবর্তী স্থানীয়দের পুনর্ব্যবহারযোগ্য প্রকল্প গ্রহণ
খুলনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মওসুমে জেলায় এক হাজার ৯৫৪ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দৌলতপুর মেট্রো এলাকায় ১৪ হেক্টর, লবণচরায় ৭ হেক্টর, রূপসা উপজেলায় ৩০৫ হেক্টর, বটিয়াঘাটা উপজেলায় ২৫০ হেক্টর, দিঘলিয়া উপজেলায় ১২০ হেক্টর, ফুলতলা উপজেলায় ১৮০ হেক্টর, ডুমুরিয়া উপজেলায় ৪২০ হেক্টর, তেরখাদা উপজেলায় ১৬০ হেক্টর, দাকোপ উপজেলায় ২৮ হেক্টর, পাইকগাছা উপজেলায় ২৬০ হেক্টর ও কয়রা উপজেলায় ২১০ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়েছে।
গত বছর খুলনায় এক হাজার ৬৬৫ হেক্টর জমিতে সরিষা চাষ করা হয়।
এদিকে সরিষা চাষে উদ্বুদ্ধ করতে জেলার এক হাজার ৮২০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদের জন্য ১৩ হাজার ৬০০ জন চাষিকে বীজ ও সার দিয়ে সহায়তা করেছে কৃষি বিভাগ। দৌলতপুর মেট্রো এলাকার ৫০ জন, লবণচরা মেট্রোর ৫০ জন, রূপসা উপজেলার দুই হাজার জন, বটিয়াঘাটার এক হাজার ৮০০ জন, দিঘলিয়ার এক হাজান ২০০ জন, ফুলতলার এক হাজার ৪০০ জন, ডুমুরিয়ার দুই হাজার ৩০০ জন, তেরখাদার এক হাজার ২০০ জন, দাকোপের ৩০০ জন, পাইকগাছার এক হাজার ৮০০ জন ও কয়রার এক হাজার ৫০০ জন চাষির প্রত্যেককে এক কেজি বীজ, ১০ কেজি ডিএপি সার ও ১০ কেজি এমওপি সার প্রণোদনা দিয়েছে কৃষি বিভাগ।
আরও পড়ুন: চাকরির পেছনে না ছুটে কমলা চাষে স্বাবলম্বী হওয়ার পথে কুড়িগ্রামের যুবক
খুলনায় নির্বাচনী প্রচারে নামেনি ৬ জাপা প্রার্থী
ক্ষোভ ও হতাশায় খুলনার ছয়টি আসনে এখনও নির্বাচনী প্রচারে নামেননি জাতীয় পার্টির (জাপা) ছয় প্রার্থী।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে এখনই সরে যাওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন তাদের তিনজন। বাকি তিনজন আরও দু-তিনদিন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পক্ষে মত দিয়েছেন।
তবে দলের জেলা, মহানগর, থানা, উপজেলা ও ওয়ার্ড কমিটিগুলোর অধিকাংশ নেতাই মতবিনিময় সভায় নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পক্ষে মত ব্যক্ত করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নগরীর ডাকবাংলো মোড়ে জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ে সভা করেন দলের নেতা-কর্মীরা।
এতে দলের ছয় প্রার্থী, মহানগর, জেলা, থানা, উপজেলা ও ওয়ার্ড কমিটি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় অধিকাংশ নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে তারা সন্তুষ্ট নন।
নেতা-কর্মীরা জানান, মূলত খুলনার একটি আসনেও আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ছাড় না দেওয়ায় নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ ও হতাশ।
তাদের ধারণা ছিল, খুলনা-৬ আসনটি আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেবে, কিন্তু তা হয়নি।
আরও পড়ুন: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন: ২৮৯ আসনে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ জাপার
বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতা জানান, খুলনা-৩ আসনের প্রার্থী মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, খুলনা-৫ আসনের প্রার্থী মো. শাহীদ আলম ও খুলনা-৬ আসনের প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু নির্বাচন থেকে এখনই সরে যাওয়ার পক্ষে মত দেন।
তবে বাকি তিন প্রার্থী দলের নেতাদের মনোভাবের বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানিয়ে তাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে মত দেন।
খুলনা-৪ আসনের প্রার্থী মো. ফরহাদ আহমেদ বলেন, বেশিরভাগ নেতা তাদের বক্তৃতায় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে যাওয়ার পক্ষে মত দেন। সভায় দু-এক দিনের মধ্যে ঢাকায় গিয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে বিষয়টি জানানো হবে। সেখান থেকে সন্তোষজনক সমাধান না পেলে তারা ছয় প্রার্থী খুলনায় ফিরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচন বর্জন করতে পারেন।
খুলনা-৩ আসনের প্রার্থী ও মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আসন ভাগাভাগি নিয়েই মূলত নেতা-কর্মীর মাঝে ক্ষোভ। আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন দেওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। ওই আসনগুলোর বাইরে আমরা যাতে ভোট না পাই সেই ধরনের একটা কাজ হয়ে গেছে। এখন তো মানুষ আমাদের দালাল বলছে। আমরা ভোটারদের কাছে গিয়ে কী বলব?
খুলনা-২ আসনের প্রার্থী মো. গাউসুল আজম বলেন, দলের নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করায় আমরা এখনও প্রচার শুরু করিনি।
খুলনা-১ আসনের প্রার্থী কাজী হাসানুর রশীদ বলেন, কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতার কারণে এখনও নির্বাচনী প্রচারে নামিনি। আমরা ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব।
খুলনা-৫ আসনের প্রার্থী মো. শাহীদ আলম বলেন, খুলনায় জাতীয় পার্টিকে একটি আসনেও ছাড় দেয়নি আওয়ামী লীগ। সে কারণে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। সভায় দলের নেতারা আমাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার জন্য বলেছেন।
খুলনা-৬ আসনের প্রার্থী ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু বলেন, কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেব, প্রচারে নামব নাকি নির্বাচন থেকে সরে যাব।
আরও পড়ুন: রংপুর-৩ আসনে জাপার মনোনয়ন ফরম নিলেন জিএম কাদের
আসন বণ্টনের বিষয় আসেনি: জাপার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কাদের
খুলনায় পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষেও গতি নেই কাজের
খুলনায় প্রথম ১০০ শয্যার পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের কাজের গতি নেই।
কার্যাদেশের দুই বছরে কাজ এগিয়েছে মাত্র ২১ শতাংশ। এরই মধ্যে ফুরিয়েছে প্রকল্পের মেয়াদ। ফলে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। এই ভবনে শুধু ক্যান্সার রোগীদের সেবাই নয়, সেবা পাবে কিডনী ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীরাও। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পের কাজ শেষ হবে বলে দাবি গণপূর্ত বিভাগের।
স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিভাগীয় শহরে সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের আওতায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ক্যান্সার, কিডনী ও হৃদরোগের পৃথক তিনটি ইউনিট হবে।
হাসপাতালের বহির্বিভাগের পেছনে ২৩ হাজার ২৫০ দশমিক ৪৬ বর্গমিটার জমিতে দুটি বেজমেন্ট ফ্লোর ও ১৫ তলা বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করা হবে। এই ভবন নির্মাণের জন্য এমবিপিএল ও এসএনবিপিএল (জেভি) ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে গণপূর্ত বিভাগের চুক্তি হয়েছিল ২০২১ সালের ৩১ অক্টোবর। সেই অনুযায়ী ২০২৩ সালের ৩১ এপ্রিলের মধ্যে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। আর প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ এগিয়েছে মাত্র ২১ শতাংশ।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৩০ টাকায় প্রতি প্যাকেট ‘কুকুরের মাংসের বিরিয়ানি’ বিক্রি, গ্রেপ্তার ৪
গণপূর্ত বিভাগ থেকে জানা গেছে, খুলনায় ১০০ শয্যা বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ ছিল চলতি বছরের জুন পর্যন্ত। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। প্রকল্পের ডিপিপি মূল্য ১৭৫ কোটি ৭২ লাখ ৮৫ হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮২ কোটি ৩৬ লাখ ১৯ হাজার টাকা চুক্তিমূল্যে বেজমেন্টসহ ১৫ তলা ভবন নির্মাণকাজ শেষ পর্যায়ে। যার ২১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে গণপূর্তের দাবি।
জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় দুটি বেজমেন্ট ও ১৫ তলা ভবনসহ ১৭ তলা পাইল ফাউন্ডেশন হবে।
বেজমেন্ট-২ থেকে ৭ম তলা পর্যন্ত হবে ক্যান্সার ইউনিট। এতে থাকবে লিনিয়র এক্সলেটর, সিটি সিমুলেটর, ব্রাকিথেরাপি, কেমোথেরাপি।
৮ম তলা থেকে ১১ তলা পর্যন্ত হবে কিডনী ইউনিট। এখানে থাকবে কিডনী ডায়ালাসিস ইউনিট, কিডনী ট্রান্সপ্লান্ট ওটি, পোস্ট ট্রান্সপ্লান্ট, আইসিইউ।
আর ১২ তলা থেকে ১৫ তলা পর্যন্ত হবে হৃদরোগ ইউনিট। এই ইউনিটে থাকবে সিসিইউ, আইসিইউ, কার্ডিয়াক ওটি, পেডিয়াট্রিক কার্ডিয়াক সার্জারি, ক্যাথ ল্যাব।
এছাড়া প্রকল্পের আওতায় থাকবে র্যাম্প, চলন্ত সিঁড়ি এবং কোভিড-১৯ এর লিফট ইত্যাদি। থাকবে সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (এস.টি.পি), ৩০০ কেভিএ বৈদ্যুতিক সাব-স্টেশন, ১০০০ কেভিএ জেনারেটর, লিফট, ফায়ার ফাইটিং সিস্টেম।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসএন বিল্ডার্স প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক শেখ দাউদ হায়দার বলেন, প্রকল্পের কার্যাদেশ দেওয়া হলেও জমিতে স্থাপনাসহ নানা জটিলতার কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। বর্তমানে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে।
ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রজেক্ট ম্যানেজার শেখ গোলাম কুদ্দুস বলেন, দুটি বেজমেন্টের কাজ শেষ হয়েছে। প্রতি মাসে ভবনের একটি করে ছাদ ঢালাই দেওয়া সম্ভব। একদিকে ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ চলবে, অন্যদিকে ফিনিশিংয়ের কাজ চলবে। দ্রুত ভবন নির্মাণ করা সম্ভব হবে।
গণপূর্ত বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার বিশ্বাস জানান, প্রকল্প গ্রহণের অনেক পরে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। এটি সময় সাপেক্ষ। এখন পর্যন্ত ২১ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বর্তমানে দ্রুত গতিতে কাজ চলছে। প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ: পুলিশ
খুলনায় ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ: পুলিশ
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৭৯৩টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬৩১টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত ভোটকেন্দ্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
আরও পড়ুন: শতবছর পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ভেঙে ফেলা হবে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, খুলনা-১ আসনের বটিয়াঘাটা উপজেলায় ৪৬টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৩৩টি ঝুঁকিপূর্ণ এবং দাকোপ উপজেলার ৪৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩১টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়া খুলনা-৪ আসনের রূপসা উপজেলার ৫৯টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৪৯টি, তেরখাদা উপজেলার ৩৬টি এবং একই আসনের দিঘলিয়া উপজেলার ৩৮টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ২১টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
খুলনা-৫ আসনের ফুলতলা উপজেলার ২৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১২টি এবং ডুমুরিয়া উপজেলার ৮৮টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬৮টি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এদিকে পাইকগাছা উপজেলার ৭৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি এবং কয়রা উপজেলার ৬৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোজাম্মেল হক জানান, খুলনা-২ আসনের ১৫৭টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ৬১টি এবং খুলনা-৩ আসনের ১১৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৭টি ভোটকেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এছাড়া খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন ৩১০টি ভোটকেন্দ্রের সবগুলোই ঝুঁকিপূর্ণ।
তবে নির্বাচনকে সামনে রেখে অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে নিয়মিত অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন: ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনরক্ষায় জরায়ু মুখের ক্যান্সারের পূর্ব অবস্থা শনাক্তের বিনামূল্যে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
ঝুঁকিপূর্ণ ১০ জেলার মানুষকে রাত ৮টার মধ্যে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলা হয়েছে: প্রতিমন্ত্রী
১ জানুয়ারি থেকে খুলনা-যশোর-মোংলা রুটে চলাচল করবে ৩ জোড়া নতুন ট্রেন
যাত্রী সুবিধার কথা বিবেচনা করে খুলনা-যশোর-মোংলা রুটে ৩ জোড়া যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।
এর আগে ২ নভেম্বর খুলনা-মোংলা নতুন সেকশন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ পথে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
খুলনা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাসুদ রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অনুসারে, এর মধ্যে খুলনা-যশোর পথে এক জোড়া এবং যশোর-মোংলা পথে দুই জোড়া ট্রেন চলাচল করবে।
খুলনা থেকে ট্রেন ছাড়বে সকাল ৬টায়, যশোর পৌঁছাবে সকাল ৭টা ১০মিনিটে, যশোর থেকে ট্রেন ছাড়বে সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে এবং খুলনা পৌঁছাবে সকাল ১০টা ২৫ মিনিটে। মোংলা থেকে ট্রেন ছাড়বে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে, ট্রেনটি যশোর স্টেশনে পৌঁছাবে দুপুর ১টা ৫ মিনিটে, সেখান থেকে ১টা ৫৫ মিনিটে ট্রেন ছেড়ে মোংলা পৌঁছাবে বিকাল ৪টা ২৫ মিনিটে।
অন্যদিকে মোংলা থেকে ট্রেন ছাড়বে বিকাল ৪টা ৫০ মিনিটে, যশোর পৌঁছাবে বিকাল ৭টা ১০ মিনিটে, যশোর থেকে বিকাল ৭টা ৪০ মিনিটে ট্রেন ছেড়ে খুলনা পৌঁছাবে রাত ৯টায়। যশোর থেকে মোংলা পর্যন্ত এ ট্রেনের ভাড়া ধরা হয়েছে, শোভন সাধারণ ১২৫ টাকা, শোভন চেয়ার ১৫০ টাকা ও প্রথম শ্রেণির সিট ২০০ টাকা।
খুলনার ১১ থানার ওসি রদবদল
খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) ৪টি এবং জেলার ৭টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পদে রদবদল হয়েছে। এর মধ্যে দু’টি থানার ওসিদের জেলার বাইরে বদলি করা হয়েছে। বাকি ৯টি থানার ওসিদের জেলা ও নগরীর ভেতরে অন্য থানায় বদলি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) রদবদল সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কেএমপি কমিশনার ও খুলনা পুলিশ সুপার।
কেএমপি কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, নগরীর সদর থানার ওসিকে আড়ংঘাটায় থানায়, আড়ংঘাটার ওসিকে সোনাডাঙ্গা থানায়, সোনাডাঙ্গা থানার ওসিকে খানজাহান আলী থানায় এবং খানজাহান আলী থানার ওসিকে খুলনা সদর থানায় বদলি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সিএমপির ৪ থানার ওসি ও ৭ এসি পদে রদবদল
দু-এক দিনের মধ্যে তারা নতুন কর্মস্থলে যোগ দেবেন বলে জানান তিনি।
খুলনা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান বলেন, জেলার রূপসা, দিঘলিয়া, বটিয়াঘাটা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, ফুলতলা ও দাকোপ থানার ওসিকে বদলি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এর মধ্যে ডুমুরিয়া থানার ওসিকে মেহেরপুর সদরে এবং দাকোপ থানার ওসিকে মুজিবনগর থানায় বদলি করা হয়। নড়াইল জেলা সদরের ওসিকে ডুমুরিয়া থানায় এবং নড়াগাতি থানার ওসিকে পাইকগাছা থানায় বদলি করা হয়। বাকি ৫ জনকে জেলার ভেতরেই রদবদল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ৩৩৮ ওসি ও ২০৫ জন ইউএনওর বদলির প্রস্তাবে ইসির অনুমোদন
ইসির নির্দেশনা অনুযায়ী ‘শিগগিরই’ ওসিদের বদলি শুরু করবে ডিএমপি
খুলনার ৬ আসনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষ
খুলনায় আরও ছয় প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনার তিনটি আসনের ২০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে এ ঘোষণা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন।
তিনি জানান, এই তিন আসনে ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ এবং একজনের অপেক্ষামাণ।
খুলনার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন জানান, খুলনার ছয়টি আসনের মধ্যে সোমবার তিনটি আসনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন: মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বৃহস্পতিবার
তিনি আরও জানান, এ তিনটি আসনে ২০ প্রার্থীর মধ্যে ছয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আর একজনের মনোনয়নপত্র অপেক্ষমাণ। ১৩ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি জানান, খুলবার ছয়টি আসনে জমা দেওয়া ৫৩ জনের মনোনয়নপত্র দুই দিন যাচাই-বাছাই শেষে ২৮ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ করা হয়েছে। ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আর একজনের ফলাফল অপেক্ষমাণ।
তিনি আরও জানান, মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।
এর আগে রবিবার (৩ ডিসেম্বর) (খুলনা- ৪, ৫ ও ৬) তিনটি আসনে ১৮ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছিল। ফলে দুই দিনের যাচাই-বাছাইয়ে খুলনার ছয়টি আসনে ২৪ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হলো।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে খুলনা-১ আসনের তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় জাকের পার্টির মো. আজিজুর রহমান; সমর্থনকারীদের জাল সই এবং প্রার্থী হিসেবে ঘোষণাপত্রে সই না করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রশান্ত কুমার রায় এবং নিজ আসনের মোট ভোটারের এক শতাংশ ভোটারের পূর্ণাঙ্গ তালিকা না দেওয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ আবেদ আলীর মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
খুলনা-২ আসনে ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী হিদায়েতুল্লাহর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। আর গণতন্ত্রী পার্টির মো. মতিয়ার রহমানের মনোনয়নপত্রটি অপেক্ষমাণ।
মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে খুলনা-৩ আসনের দুই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে সমর্থনকারীদের জাল সই থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী কাইজার আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাতেমা জামান সাথীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।
আরও পড়ুন: মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন সাকিব আল হাসান
জাতীয় নির্বাচন: মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ