পানিতে ডুবে মৃত্যু
পানিতে ডুবে মৃত্যু প্রতিরোধে পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের করণীয়
পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগই পানি হওয়ায় প্রাণোচ্ছ্বল গ্রহটির সৌন্দর্য্যের পরিমাণও যেন পানিতেই বেশি। আর তার টানেই বিশ্বব্যাপী ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে যান খাল-বিল, নদী-নালা ও সাগর সৈকতে। কিন্তু এই মায়ার ভেতরেও লুকিয়ে আছে ভয়ঙ্কর ঝুঁকি। মনোরম জলীয় সৌন্দর্য্যে অবগাহনের সময় এমনকি ছোট সুইমিং পুলটিও আশঙ্কাজনক বিপদগুলোকে ছাপিয়ে যেতে পারে। তবে এটা দুঃখজনক যে পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের পানিতে ডুবে মৃত্যু উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।এরকম দুর্ঘটনা পরিবার তো বটেই, গোটা দেশবাসীর জন্য আশঙ্কাজনক।তাই প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করার জন্য প্রতিটি দুর্ঘটনার পিছনের সুষ্পষ্ট কারণগুলো যাচাই করা আবশ্যক। যে বিষয়গুলোর ওপর মানুষের হাত নেই, সেগুলোকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্মূল করা সম্ভব নয়। এর জন্য ক্ষতি যথাসম্ভব কমিয়ে আনার জন্য প্রয়োজন পূর্ব সচেতনতা। আর যে কারণগুলোর ওপর মানুষের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সেগুলোর ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার ওপর জোর আরোপ করা। আর এই লক্ষ্যেই এই নিবন্ধে পানিতে ডুবে মৃত্যু এড়াতে ভ্রমণকারীদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা সম্পর্কিত নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে। চলুন, সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলোর বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: নিঝুম দ্বীপ ভ্রমণ গাইড: যাওয়ার উপায় ও আনুষঙ্গিক খরচ
পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঝুঁকি প্রতিরোধে পর্যটক ও ভ্রমণকারীদের জন্য ১৫টি টিপ্স
নির্ধারিত নিরাপদ অঞ্চলে সাঁতার কাটা
নিরাপত্তা ও উপভোগের জন্য বিশেষভাবে নির্ধারিত এলাকায় সাঁতার কাটুন। সৈকত এবং নদীর তীরবর্তী স্থানে প্রায়ই বিভিন্ন সংকেতের পতাকা দেখা যায়। এগুলো সেই স্থানের দুর্ঘটনা প্রবণতা চিহ্নিত করে।
এ সংকেতগুলো মেনে নির্দিষ্ট সীমানার মধ্যে সাঁতার কাটা উচিত। এই সীমানাগুলো সাঁতারের জন্য শুধু নিরাপদই নয়; এগুলোর মাঝে থাকলে বিশেষত একজন যোগ্য লাইফগার্ডের সজাগ দৃষ্টি সীমার মধ্যে থাকা যায়।
সহসা কোনো অনিশ্চিয়তায় সঙ্গে সঙ্গেই ডাঙায় ফিরে আসা
সাঁতার কাটার সময় চারপাশে অথবা নিজের শরীরে হঠাৎ কোনো অসঙ্গতি অনুভূত হলে তাৎক্ষণিকভাবে ডাঙায় ফিরে আসুন। এটা হতে পারে স্রোত তীব্র হওয়া, প্রচণ্ড বেগে বৃষ্টিপাত শুরু হওয়া কিংবা শরীরে হঠাৎ মাত্রাতিরিক্ত ক্লান্তি ভাব হওয়া।
কখনও কখনও আসন্ন কোনো বিপদের ব্যাপারে মন আগে থেকেই জানান দিতে শুরু করে। মনে রাখবেন, যে কোন সমস্যায় নিজের সহজাত প্রবৃত্তির ওপর বিশ্বাস রাখাটা বুদ্ধিমান সিদ্ধান্ত।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের শীর্ষ ১৫টি ঐতিহ্যবাহী স্থান
মতলব দক্ষিণে খেলতে খেলতে খাদের পানিতে পড়ে ২ শিশুর মৃত্যু
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় বাড়ির ভেতর খাদের পানিতে ডুবে মিনহাজ ও হামজালা নামের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার মুন্সিরহাট দিঘলদী গ্রামের মিজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
তিন বছরের মিনহাজ, এ গ্রামের মিজান মৃধার ছেলে এবং একই বয়সের পাশের বাড়ির হানজালা, মুক্তার মিজির ছেলে।
প্রতিবেশী আল আমিন জানান, মিনহাজ ও হানজালা উভয়েই উঠানে খেলছিল। তাদের মায়েরা নিজ নিজ ঘরে রান্নায় ব্যস্ত ছিলেন। দৌড়াদৌড়ির একপর্যায়ে শিশু দুটি বাড়ির উঠানের পাশে খাদের পানিতে পড়ে যায় সবার অজান্তে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তাদেরকে খাদের পানি থেকে তুলে দ্রুত নিকটস্থ চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক পরীক্ষার পর উভয়কে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে নেয়ার আগেই দুই শিশুর মৃত্যু হয়। উভয়ের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।
এ বিষয়ে মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন মিয়া অবগত হয়েছেন বলে জানান।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পুকুরের পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
বান্দরবানে পানিতে ডুবে ২ বোনের মৃত্যু
পদ্মায় গোসল করতে নেমে শিশুর মৃত্যু
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার পদ্মা নদীর দক্ষিণ চাঁদপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মৃত জিহাদ মোল্লা (৭) উপজেলার ব্রাক্ষাণ কান্দা এলাকার ইসলাম মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: পদ্মায় ডুবে যাওয়া বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে দুই বন্ধুর মৃত্যু
শিশুটির পরিবারের বরাত দিয়ে হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ইব্রাহিম মুসা জানান, দুপুরে জিহাদসহ কয়েকজন শিশু বাড়ির অদূরে পদ্মা নদীতে গোসল করতে যায়। গোসল করার সময় জিহাদ পানিতে ডুবে যায়। নদীতে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে জিহাদের বাবা মাকে খবর দেয় শিশুরা। পরে লোকজন নদী থেকে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। বিভিন্ন পরীক্ষার করার পর শিশু জিহাদকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
পদ্মায় ডুবে যাওয়া বন্ধুকে বাঁচাতে গিয়ে দুই বন্ধুর মৃত্যু
রাজশাহীর বোয়ালিয়ায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে এক বন্ধুকে উদ্ধার করতে গিয়ে পানিতে ডুবে অপর দুই বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে বোয়ালিয়া থানার বড়কুঠি এলাকায় তারা গোসল করতে নেমে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো বড়কুঠি এলাকায় সারিক আলী ছেলে ও লোকনাথ স্কুলের শিক্ষার্থী নিরব (১৫) এবং একই এলাকার সায়েদ আলীর ছেলে ও শাহিন শিক্ষাবোর্ড মডেল স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র শাহিন (১৬)।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে মৃত্যু
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, বড় কুঠির কাছে পদ্মা নদীতে নিরব, শাহিন ও সাজেদ এই তিন বন্ধুসহ আরও ১০ জন গোসল করছিল। এদের মধ্যে হঠাৎ সাজেদ পানিতে ডুবে যায়। তাকে বাঁচাতে যায় নিরব ও শাহিন। এ সময় সাজেদকে উদ্ধার করতে তারা দুজন পানিতে ডুবে যায়। সাজেদ পরে উঠে আসে।
আরও পড়ুন: খালার বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে মৃত্যু
ওসি জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে নিরব ও শাহিনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। তারা তিনজনের কেউ সাতাঁর জানে না।
আইনী প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।
মাগুরায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মাগুরায় পানিতে ডুবে তিন বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার দুপুরে শ্রীপুর উপজেলার সব্দালপুর ইউনিয়নের নোহাটা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত শিশু মো. রাহুল মোল্লা একই গ্রামের সৌদি প্রবাসী রানা মোল্লার ছেলে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
শিশুটির পরিবার জানান, ওই শিশুর মা ঘরের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় শিশু রাহুল বাইরে খেলছিল। কিছুক্ষণ পর সন্তানকে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। এক পর্যায়ে বাড়ির পুকুর থেকে রাহুলকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: শৈলকুপায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকদেব রায় জানান, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। কেউ অভিযোগ করলে অপমৃত্যু মামলা করা হবে।
পদ্মা নদীতে ডুবে মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু
রাজশাহীর পদ্মা নদীতে ডুবে এক মাদরাসাছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে রাজশাহী নগরীর পদ্মপাড় লালন শাহ্ মুক্তমঞ্চ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত মোসা. মাইমুনা খাতুন (১৩) চারঘাট উপজেলার অনুপমপুর এলাকার ফজলুল হকের মেয়ে ও মাদরাসাতুস সুফফাহ আল আরাবিয়াহর ছাত্রী।
এই ঘটনায় লুবনা (১২) নামে অপর এক ছাত্রী আহত হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়ুন: পঞ্চগড়ে নানা বাড়িতে বেড়াতে এসে পানিতে ডুবে মৃত্যু
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বান্ধবীদের সঙ্গে মুক্তমঞ্চ এলাকায় হাঁটার সময় পা ভেজাতে গিয়ে পানিতে পড়ে যায়। এসময় তার বান্ধবীরা তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করে তারা ব্যর্থ হয়। পরে ফায়ার সার্ভিস কর্মীর ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতারে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
একই ঘটনায় আরেক ছাত্রী বর্তমানে রামেক হাসপাতালে ভর্তি আছে বলে ওসি জানান।
জকিগঞ্জে পানিতে ডুবে ভাইবোনের মৃত্যু
সিলেটের জকিগঞ্জে পানিতে ডুবে ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে উপজেলার আনোরাশী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পানিতে ডুবে মারা যাওয়া শিশুরা হলো সাফওয়ান আহমদ (৭) ও মিনা বেগম (৪)। তারা ওই গ্রামের প্রবাসী ফখরুল ইসলামের সন্তান।
স্থানীয়রা জানায়, সোমবার দুপুরের দিকে সাফওয়ান ও মিনাকে দীর্ঘক্ষণ না পেয়ে খুঁজতে যান অভিভাবকরা। পরে বাড়ির পেছনে একটি পরিত্যক্ত পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম পানিতে ডুবে দুই ভাই-বোনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: হরিপুরে পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মাগুরায় পৃথক ঘটনায় ২ শিশুর মৃত্যু
মাগুরার শালিখা ও শ্রীপুর উপজেলায় শুক্রবার পৃথক ঘটনায় তিন বছরের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
তারা হলো, মুসলিমা (৩) শালিখা উপজেলার বুনাগাতীব ইউনিয়নের বাসিন্দা নূর ইসলামের মেয়ে ও শ্রীপুর উপজেলায়, আরাফাত (৩) শ্রীপুর উপজেলার বিলাথুর গ্রামের মেহেদী শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ
শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক নাথ বিশ্বাস জানান, শালিখা উপজেলার বুনাগাতী কানার মোড়ে সড়কে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাড়ি পাসের দোকান থেকে খীর আনতে গেলে একটি মোটরসাইকেল তাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এ ব্যাপারে শালিলখা থানায় মামলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিবহন ধর্মঘটে শিশু মৃত্যুর ঘটনায় মামলা
এদিকে, জেলার শ্রীপুর উপজেলায় বিলাথুর গ্রামে ওই দিন সকাল ১০টার দিকে আরাফাত নামে তিন বছরের এক শিশুর পুকুরের পানিতে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানায় একটি মামলা হয়েছে।
বাকেরগঞ্জে পুকুরে ডুবে মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু
বরিশালের বাকেরগঞ্জে পুকুরে ডুবে এক মাদরাসা ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার চরামদ্দি ইউনিয়নে মুগাখান মসজিদের পুকুরে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত বায়জিদ (১৪) পাশের দুধল ইউনিয়নের পেয়ারপুর গ্রামের আলম ফরাজির ছেলে ও চরামদ্দি মুগাখান মাদরাসার ছাত্র।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে পানিতে ডুবে দুই কিশোরের মৃত্যু
স্থানীয়দের বরাতে চরামদ্দি ইউপি চেয়ারম্যান গাউসল আলম লাল জানান, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে চরামদ্দি ইউনিয়নের মুগাখান মসজিদের পুকুরে গোসল করতে গিয়েছিল বায়জিদ। পরে পুকুরে বায়জিদ তলিয়ে গেলে স্থানীয়রা অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর পাঠায়। এরপর ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে বায়জিদের লাশ উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন: ভোলায় পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
পানিতে ডুবে শিশুসহ ৫ মৃত্যু, নিখোঁজ ৭
সিরাজগঞ্জ ও চাঁদপুর জেলায় বৃহস্পতিবার পৃথক দুর্ঘটনায় পানিতে ডুবে নারী, শিশুসহ পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে।
মৃতরা হলেন- জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার পাতশী মন্ডল পাড়া গ্রামের মৃত সৌরদ্দীনের স্ত্রী ঝিলিমন বেগম (৬০) ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার খরমা মধ্যপাড়া গ্রামের আবদুল জব্বারের স্ত্রী ফুল বেগম (৫০)। এছাড়া চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের রান্ধুনীমুড়া গ্রামের মনোয়ার হোসেনের আড়াই বছরের মেয়ে খাদিজা আক্তার, মতলব দক্ষিণের বাকরা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে মাইশা (২) ও একই উপজেলার মোল্লাডহর গ্রামের ছৈয়াল বাড়ির মৃত আনোয়ার মিয়ার স্ত্রী শিরিন বেগম (৫০)।
আরও পড়ুন: ভোলায় পানিতে ডুবে ২ শিশুর মৃত্যু
প্রতিনিধির পাঠানো খবরে জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার এনায়েতপুর থানা এলাকায় যমুনা নদীর তীব্র স্রোত এবং ঘূর্ণিপাকে ইঞ্জিনচালিত নৌকা থেকে পড়ে পানিতে ডুবে দুই নারীর মৃত্যু হয়। এঘটনায় আরও সাত জন নিখোঁজ রয়েছে।
এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান জানান, জামালপুর থেকে ৮০ জন যাত্রী নিয়ে ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকা এনায়েতপুর দরবার শরীফে আসছিল।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে স্পার বাঁধের সামনে প্রচণ্ড স্রোত ও ঘূর্ণিপাকে পড়ে নৌকাটি কাত হয়ে গেলে ১৪ থেকে ১৫ জন যাত্রী পানিতে পড়ে ডুবে যায়। এদের মধ্যে কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও ২ জনের লাশ উদ্ধার ও ৭ জন নিখোঁজ রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভাসানচরে পানিতে ডুবে ৩ রোহিঙ্গা শিশুর মৃত্যু
বেলকুচি ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছে।
এদিকে, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলায় পৃথক ঘটনায় পানিতে ডুবে দুই শিশু ও এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, হাজীগঞ্জ পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড রান্ধুনীমুড়া গ্রামের আড়াই বছরের খাদিজা আক্তার সকালে অন্যদের সাথে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে তার লাশ পানিতে পাওয়া যায়।
ওই দিন দুপুরে মতলব দক্ষিণের বাকরা গ্রামের দুই বছরের শিশু মাইশা হাজীগঞ্জের কাপাইকাপ গ্রামে খালার বাড়ি বেড়েতে গিয়ে খেলতে খেলতে সবার অজান্তে পুকুরের পানিতে পড়ে মারা যায় ।
এছাড়া হাজিগঞ্জ উপজেলার মোল্লাডহর গ্রামের ছৈয়াল বাড়ির মৃত আনোয়ার মিয়ার স্ত্রী শিরিন বেগম গোসলের সময় শাড়ি পেঁচিয়ে গেলে নিজেকে সামলাতে না পেরে পানিতে তলিয়ে যান বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরে বিকালে তার লাশ পুকুরের পানিতে ভেসে উঠে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে পানিতে ডুবে দুই কিশোরের মৃত্যু
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হারুনুর রশিদ জানান, নিহতদের পরিবারের কোনও অভিযোগ না থাকায় এবং লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে।