নেতৃত্ব
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে পাঁচ হাজার বছরের জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পাঁচ হাজার বছর আগে উন্মেষ ঘটা বাঙালি জাতি কখনো স্বাধীন ছিল না উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবিস্মরণীয় নেতৃত্বে জাতি স্বাধীনতা অর্জন করেছে। সেজন্যই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।
রবিবার (১৭ মার্চ) বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের নিয়ে সুগন্ধা ভবনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর প্রথম অফিস পরিদর্শন, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব আইন ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষায় তিতুমীর, সূর্যসেন, প্রীতিলতা, সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বে বিদ্রোহ হয়েছে, মুক্তি আসেনি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতাকে প্রায় ভুলতে বসা বাঙালিকে পলে পলে আন্দোলিত করে জাগিয়ে নিরস্ত্র জাতিকে মন্ত্র শেখালেন- বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো। তারপর হ্যামিলনের বংশীবাদকের মতো তার ডাকে এক নদী রক্ত পেরিয়ে বাঙালি স্বাধীনতা পেয়েছে। সেজন্যই তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা।
গাজায় নিহত হাজার হাজার শিশুর কথা স্মরণ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আমাদের জাতীয় শিশু দিবসটিকে ফিলিস্তিনের গাজায় নিহত হাজার শিশুর স্মৃতির প্রতি উৎসর্গ করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, গত অক্টোবর থেকে সেখানে ৩২ হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু-কিশোর।
এ সময় অনুষ্ঠানে অংশ নেন, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের শিক্ষায়তন ‘মনু মিয়ার স্কুলের’ শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: এনডিআই-আইআরআই স্বীকার করেছে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সহিংসতা কম হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
'জিম্মি নাবিক ও জাহাজ বিষয়ে সংবাদ প্রচারে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে আমরা যে বাংলাদেশ পেয়েছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা এগিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, ‘আজ আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছি। আগামী দিনে এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কোনো শরিকের জয়ের নিশ্চয়তা দেবে না: কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘একটা ভিশন নিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তবে অগ্রগতি-সমৃদ্ধির পথে প্রতিবন্ধকতা হলো সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘দেশে যে অপশক্তি নির্বাচনের বিরোধিতা করছে ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথে অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে, এরা শুধু সাম্প্রদায়িকতা কায়েম করতে চায় না, দেশের রাজনীতি ধ্বংস করাই এদের মূল লক্ষ্য।’
কাদের বলেন, ‘এই অপশক্তিকে রুখব এটাই আজকের দিনের অঙ্গীকার। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিরুদ্ধ শক্তিকে প্রতিহত করব, পরাজিত করব।’
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই: কাদের
আসন বণ্টনের বিষয় আসেনি: জাপার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কাদের
নেতৃত্ব অন্যের হাতে চলে যাওয়ার ভয়ে নির্বাচন চায় না তারেক: কৃষিমন্ত্রী
নেতৃত্ব অন্যের হাতে চলে যাওয়ার ভয়ে তারেক নির্বাচন চায় না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, আগামী মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বিএনপি একটা বড় রাজনৈতিক দল। অনেক চেষ্টা করেছি, নির্বাচনে আনার জন্য কিন্তু বিএনপি আসেনি। তাদের নেতা তারেক জিয়া সাজাপ্রাপ্ত, খালেদা জিয়া সাজাপ্রাপ্ত; তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবে না।
মঙ্গলবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত সেমিনার, সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড ও মৃত্তিকা দিবস পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, কাজেই বিএনপি যদি নির্বাচনে জিতেও, তারেক জিয়া ও খালেদা জিয়া নেতা থাকতে পারবে না। নেতৃত্ব চলে যাবে দলের অন্যদের কাছে। তাই নেতৃত্ব হারানোর ভয়ে তারেক জিয়া কিছুতেই চায় না নির্বাচন হোক, বিএনপি নির্বাচনে আসুক।
আরও পড়ুন: খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে কম সময়ে অধিক ফলনে গুরুত্ব দিচ্ছি: কৃষিমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, দেশটায় শান্তি দরকার, উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হচ্ছে। এটিকে, বানচাল করার জন্য আবারও সহিংসতা ও বর্বরতার পথ বেছে নিয়েছে বিএনপি। তারা ভুল পথে রয়েছে, নির্বাচন বর্জনের মাধ্যমে তারা আরও জনবিচ্ছিন্ন দলে পরিণত হবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্জিত সাফল্যের কথা শুনে সবাই অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যেখানে যাই, কথা বলি সারা পৃথিবীর মানুষই আমাদের প্রশংসা করে। সবাই আমাদের কথা শুনতে চায়। বাংলাদেশের সফলতার কথা যখন আমরা বলি, সবাই অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকে। তারা বিস্ময় প্রকাশ করে, কীভাবে বাংলাদেশের এত সাফল্য।
এবারের বিশ্ব মৃত্তিকা দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘মাটি ও পানি: জীবনের উৎস’।
মন্ত্রী বলেন, জমি কমছে, পানির উৎসও কমে যাচ্ছে। মাটির গুণাগুণও হ্রাস পাচ্ছে। এ অবস্থায় ১৭ কোটি মানুষের খাদ্য চাহিদা আমাদের মেটাতে হবে।
তিনি বলেন, বর্ধিত জনসংখ্যার খাবার জোগাড় করা অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষ আগে খাবার পেতো না, ভাত পেতো না। দেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে বার বার। ২০০৪-০৫ সালে উত্তরাঞ্চলে আমি দেখেছি মানুষের হাড্ডিসার চেহারা। এখন আর সেই অবস্থা নেই। এখন খাদ্যাভাব নেই, খাদ্যের কষ্ট আর নেই।
তিনি আরও বলেন, মাটি ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব দিতে হবে। দেশে প্রায় ১২ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর জমি লবণাক্ত। প্রায় ৩০ লাখ হেক্টর জমি উপকূলীয়। লবণাক্ত জমির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে পারলে সব ফসলে উদ্বৃত্ত হওয়া যাবে। উন্নত জাতের ধানের চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে চালে উদ্বৃত্ত হওয়া সম্ভব।
পরে মন্ত্রী সয়েল কেয়ার অ্যাওয়ার্ড-২০২৩, সয়েল অলিম্পিয়াড এবং মৃত্তিকা দিবসের পুরস্কার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন এবং 'ল্যান্ড অ্যান্ড সয়েল রিসোর্সেস ইউটিলাইজেশন গাইড'- বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।
সভাপতির বক্তব্যে কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, পানি ও মৃত্তিকা সম্পদের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে পানি ও মাটি আজ অবক্ষয়ের সম্মুখীন।
তিনি আরও বলেন, ভূমির যথাযথ ব্যবহার ও মাটির অবক্ষয় রোধ নিশ্চিত করার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখতে কৃষি মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে বিএআরসি নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মাহবুবুল হক পাটওয়ারী, মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জালাল উদ্দীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাদের মোকাবিলা করবে যুবসমাজ: কৃষিমন্ত্রী
বিএনপির শান্তিপ্রিয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না: কৃষিমন্ত্রী
শ্রম খাতের অগ্রগতি পর্যালোচনা: আগামী সপ্তাহে আসছে পাওলা পাম্পালোনির নেতৃত্বে ইইউ প্রতিনিধি দল
দেশের শ্রম খাতের সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) একটি প্রতিনিধি দলের আগামী সপ্তাহে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে।
ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। তারা অন্যান্য প্রাসঙ্গিক অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াও সরকারের শ্রম, বাণিজ্য এবং পররাষ্ট্র সচিবদের সঙ্গেও বৈঠক করবে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি ইউএনবিকে বলেন, শ্রম খাতের জন্য জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে ‘অগ্রগতির রক্ষণাবেক্ষণের’ লক্ষ্যেই মূলত এই সফর।
১২ নভেম্বর প্রতিনিধি দলের এখানে আসার কথা রয়েছে বলে এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাওয়া সম্ভব নয়: ইইউ প্রতিনিধি দলকে বিএনপি
বাংলাদেশ শ্রম খাতে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা (২০২১-২০২৬) গ্রহণ করেছে এবং অনুচ্ছেদ ২৬ এর অভিযোগের ফলস্বরূপ এই পরিকল্পনাটি আইএলও (আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা) গভর্নিং বডির কাছে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক উপস্থাপিত রোডম্যাপের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত।
রোডম্যাপের লক্ষ্য হলো সংগঠনের স্বাধীনতা এবং সম্মিলিত দর-কষাকষির অধিকারসহ দেশের শ্রম অধিকারগুলো পালনকে উন্নতি করা।
গত মাসে রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি বলেন, বাজারে প্রবেশাধিকার, জিএসপি প্লাসের জন্য বাংলাদেশের আবেদন বিবেচনায় ইউরোপীয় পার্লামেন্ট এবং কমিশনের জন্য শ্রম আইনকে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে একীভূত করা একটি ‘অপরিহার্য উপাদান’ হবে।
ঢাকায় এক সেমিনারে বক্তব্য উপস্থাপনের সময় বলেন, ‘এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ) এর পর পরবর্তী সবচেয়ে উদার জিএসপি প্রোগ্রাম জিএসপি প্লাসে যোগদানের সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশের।’
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল কয়েক মাস আগে ব্রাসেলসে ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসে (ইইএএস) পাওলা পাম্পালোনির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক আরও গভীর করা, এভরিথিং বাট আর্মস (ইবিএ), শ্রমিক কল্যাণ ও অধিকার এবং পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
প্রতিনিধি দল অর্থনৈতিক কর্মক্ষমতার দিক থেকে বাংলাদেশের চিত্তাকর্ষক অর্জন এবং গুরুত্বপূর্ণ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতির বিষয়ে পাওলা পাম্পালোনিকে অবহিত করেন, যেখানে শিল্প খাত, বিশেষ করে তৈরি পোশাক শিল্প উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।
সম্প্রতি ইইউ রাষ্ট্রদূত বলেন, শ্রম খাতে বাংলাদেশ ইইউ'র সঙ্গে সম্মত হওয়া জাতীয় কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন জিএসপি প্লাসের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্ধারক হবে।
ইইউ রাষ্ট্রদূত হোয়াইটলি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ শ্রম আইনের চলমান সংশোধনীগুলো নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা আশা করি, ত্রিপক্ষীয় অংশীজনদের সঙ্গে পরামর্শ করে এবং আইএলও'র কারিগরি সহায়তায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতার সঙ্গে এই সংশোধনী কার্যকর হবে।’
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ একটি উদীয়মান অর্থনীতি এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতির মহান গল্প রয়েছে।
আরও পড়ুন: ইইউ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক
আসিয়ান সম্মেলনে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেবেন
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ৪৩তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন এবং ১৮তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি নিয়মিত উড়োজাহাজ রাষ্ট্রপতি ও তার স্ত্রী অধ্যাপক ডা. রেবেকা সুলতানা এবং অন্যান্য সফরসঙ্গীদের নিয়ে সকাল সাড়ে ৮টায় হযরত শাহজালাল (র.) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাকার্তার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে।
অটিজম ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল ডিসঅর্ডার বিষয়ক বাংলাদেশের জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপার্সন সায়মা ওয়াজেদ এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও সফরে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে থাকবেন।
প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন বলেন, রাষ্ট্রপতি জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে (জেসিসি) আসিয়ান (অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনস) শীর্ষ সম্মেলন এবং পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন।
‘আসিয়ান ম্যাটার্স: এপিসেন্ট্রাম অব গ্রোথ’ থিম নিয়ে তিন দিনের আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলাকারী ১৬ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি চুয়াডাঙ্গায় গ্রেপ্তার
আসিয়ান সম্মেলনের পাশাপাশি তিনি ৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় ‘ইস্ট এশিয়া সামিট’-এও যোগ দেবেন।
পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন গেস্ট অব চেয়ার হিসেবে আইওআর এর দৃষ্টিকোণ থেকে বৃদ্ধির কেন্দ্রকে সমর্থন করার জন্য আঞ্চলিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করার বিষয়ে সমাপনী ভাষণ দেবেন।
এছাড়াও তিনি তার ইন্দোনেশিয়ার প্রতিপক্ষ জোকো উইডোডো এবং থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া ও তিমুর-লেস্তের রাষ্ট্রীয় নেতাদের সঙ্গে পৃথক দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন।
৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রপতি হুতান কোটা গেলোরা বুং কার্নোতে ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি কর্তৃক আয়োজিত গালা নৈশভোজে যোগ দেবেন।
জোকো উইডোডো ৪৩ তম আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে ১২টি বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন।
এএসইএএন হল ১১টি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলির একটি আন্তঃসরকারি সংস্থা- ব্রুনাই দারুসসালাম, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাও পিডিআর, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও তিমুর লেস্টে বা পূর্ব তিমুর।
আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন হল এর সদস্যদের দ্বারা অনুষ্ঠিত একটি দ্বিবার্ষিক সভা।
আসিয়ান সচিবালয় অনুসারে, ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি ১৮তম পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলনের (ইএএস) সভাপতিত্ব করবেন।
১০টি আসিয়ান দেশ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ান ফেডারেশন, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ভারতসহ ১৮ সদস্য নিয়ে এটি গঠিত।
প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ ফোরামের নেতা, কানাডার প্রধানমন্ত্রী, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) নির্বাহী পরিচালক এবং বিশ্বব্যাংক (বিশ্বব্যাংক)ও আসিয়ান সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন বলে জানা গেছে।
এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড.এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সফরে বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে জ্বালানি ও স্বাস্থ্য সহযোগিতার বিষয়ে বিভিন্ন খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা ছাড়াও দুটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলন এবং পূর্ব এশিয়া শীর্ষ সম্মেলন শেষ করে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন তার স্ত্রীসহ স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে জাকার্তা ত্যাগ করবেন।
সংশোধিত সময়সূচি অনুসারে রাষ্ট্রপতি ১৬ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: রেবেকা মমিন ও আব্দুল কুদ্দুসের মৃত্যুতে সংসদে শোকপ্রস্তাব গৃহীত
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের বিদায়ী সাক্ষাৎ
বঙ্গবন্ধুর সাহসী নেতৃত্ব ছিল বলে দেশ স্বাধীন হয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর মত সাহসী দূরদর্শী ও দেশপ্রেমিক নেতৃত্ব ছিল বলে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। এটা আমাদের সৌভাগ্য। আমরা বঙ্গবন্ধুর কাছে ঋণী।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু রক্ত দিয়ে আরও বেশি ঋণী করে গেছেন। তার রক্তের ঋণ শোধ করতে পারব না। কাজের মাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারব। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড একটি নির্মম হত্যাকাণ্ড। পৃথিবীর ইতিহাসে জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড।’
আরও পড়ুন: পরিবহন মন্ত্রণালয় আগামী দিনের ‘শোকেস’ মন্ত্রণালয়ে পরিণত হতে যাচ্ছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস: ‘শোক থেকে শক্তিতে নৌখাতের জয় যাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডকে জায়েজ করার জন্য বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়েছিল। সেগুলো মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মতো এত বড় হত্যাকাণ্ডের বিচার হবে না- খুনি চক্ররা এটা সংবিধানের সংযোজন করেছিল।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা বঙ্গবন্ধুর রক্তকে ভয় পায়, তারা তার রক্তকে বিচ্ছিন্ন করতে চেয়েছিল। সেই রক্তই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা নির্মাণ করতে চলেছে। ষড়যন্ত্রকারীরা শারীরিক হত্যাকাণ্ডের পরিবর্তে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করছে।
তিরি আরও বলেন, ‘আমাদের সবাইকে এ ধরনের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষার জন্য সচেতন থাকতে হবে। যদি আমরা এবার ব্যর্থ হয়ে যাই তাহলে দেশ ৫০ বছর পিছিয়ে যাবে।’
আরও পড়ুন: ঈদযাত্রা পুরোটাই ভাল ও আনন্দদায়ক হয়েছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঈদুল আজহায় ফেরিতে পচনশীল ছাড়া অন্যান্য পণ্য পরিবহন বন্ধ থাকবে ৭ দিন: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে ফোন করে তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। সোমবার (১৪ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সেক্রেটারি এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকারের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওইদিন দিনগত রাত সাড়ে ৮টা থেকে দুই নেতা কুশল বিনিময় করেন এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিভিন্ন ইস্যুতে একে অপরের সঙ্গে কথা বলেন।
শেখ হাসিনা ফোনকলের সময় উপস্থিত থাকার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানান। তিনি তার ভাই শেখ সাইদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। উভয় নেতা স্মরণ করেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ান ১৯৭৪ সালের মার্চ মাসে দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। শেখ হাসিনা বাংলাদেশি জনগণ, সরকার, লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুফিউল আনামের পরিবারের সদস্যদের এবং তার নিজের পক্ষে ইয়েমেনে অপহরণকারীদের কাছ থেকে আনামের মুক্তি লাভের লক্ষ্যে তাদের অসাধারণ প্রচেষ্টা এবং সফল আলোচনার জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রপতির পাশাপাশি দেশটির গোয়েন্দা ইউনিটের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তাদের সফল উদ্যোগের ফলে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সুফিউল আনাম সম্প্রতি ইয়েমেনে অপহরণকারীদের কাছ থেকে মুক্তি লাভ করেন।
তিনি দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদেরও ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নয়ন মডেলের প্রশংসা পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেনের
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আল-কায়েদার বন্দিদশা থেকে আমানের সফল মুক্তির আলোচনা তার দূরদর্শী নেতৃত্বে একটি শান্তি-নির্মাণকারী এবং দায়িত্বশীল জাতি হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সক্ষমতা প্রদর্শন করে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভবিষ্যতে এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এই ধরনের দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখবে। শেখ হাসিনা বলেন, এই ধরনের সহযোগিতা বিদ্যমান শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে এবং দুই শান্তিপ্রিয় দেশের মধ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ করবে।তিনি আশাপ্রকাশ করেন, বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাত আগামী বছরের মার্চে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে।সেই লক্ষ্যে, তিনি এই মাইলফলক অনুষ্ঠানটি উদযাপনের জন্য যৌথভাবে স্মারক কার্যক্রম গ্রহণের জন্য তার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।তিনি এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।প্রধানমন্ত্রী কপ২৮ আয়োজনের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনগণকেও অভিনন্দন জানান। তিনি কপ২৮ এর জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন। শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতে তার দেশে সবুজায়নকরণে প্রেসিডেন্টের ভূমিকার প্রশংসা করে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত বৈশ্বিক উষ্ণতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাগুলোর একটি সফল সমাধান খুঁজে বের করতে নেতৃত্ব দেবে। এছাড়া শান্তিপ্রিয় বাংলাদেশি কর্মীদের কাজ করার সুযোগ প্রদানের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট তাদের অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়নে এই শ্রমিকদের অবদানের প্রশংসা করেন।শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট ও তার পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানান এবং তার মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জনগণের জন্য অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাজ্য: প্রধানমন্ত্রীকে সারাহ কুক
সফররত দুই মার্কিন কংগ্রেস সদস্যের ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন
ভোটচোরের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আর কোনো ভোট হবে না: শিমুল বিশ্বাস
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেছেন,সারাদেশে পরিবর্তনের হাওয়া বইছে। এই ভোটচোরের নেতৃত্বে বাংলাদেশে আর কোনো ভোট হবে না।
তিনি বলেন, হাসিনার বিদায়ের ঘণ্টা বেজে গেছে। জাতিসংঘসহ পশ্চিমা বিশ্ব সেই জানান দিচ্ছে। অথচ বর্তমান সরকার তা বোঝার চেষ্টা করছে না। এই সরকার আজ ভোট চোর হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের উদ্যোগে খুলনা জেলা আইনজীবী মিলনায়তনে খুলনায় শ্রমিক জাগরণ সমাবেশের প্রস্তুতিমূলক এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন বিএনপি নেতা শিমুল বিশ্বাস
তিনি খুলনায় আগস্টের মাঝামাঝি সময়ে শ্রমিক জাগরণের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। খুলনার মৃত শিল্পাঞ্চলকে খুলনাকে আবারও জাগিয়ে তুলতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, বর্তমান অবৈধ ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে সংলাপের প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে কিন্তু আগে হাসিনার পদত্যাগ করতে হবে তারপর সংলাপের বিষয় বিএনপি ভাববে। এ সময় শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি মতিয়ার রহমানের সভাপতিত্বে প্রস্তুতি সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভাপতি মো. আনোয়ার হোসাইন।
আরও পড়ুন: জামিনে মুক্তি পেলেন শিমুল বিশ্বাস
বিশ্বব্যাংকের নতুন নেতৃত্বকে অবশ্যই জলবায়ুকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারে রাখতে হবে: ভি২০
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের নেতৃত্বের পরিবর্তনের ঘোষণার পর ভলনারেবল টোয়েন্টি গ্রুপ অব মিনিস্টারস অব ফাইন্যান্স (ভি২০) -এর সভাপতি জোর দিয়ে বলেছেন যে বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য একটি আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থা প্রয়োজন যা বিদ্যমান জলবায়ু সংকট অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে উপযুক্ত। তিনি বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী প্রধানকে জলবায়ুকে তার শীর্ষ অগ্রাধিকারের মধ্যে রাখার আহ্বান জানান।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাসের পদত্যাগের প্রতিক্রিয়ায় ঘানার অর্থমন্ত্রী এবং ভি২০ এর সভাপতি কেন ওফোরি-আত্তা উল্লেখ করেছেন যে ‘বিশ্বের আন্তর্জাতিক আর্থিক স্থাপত্যে প্রধান সংস্কার জরুরিভাবে প্রয়োজন যাতে ক্রমবর্ধমান জলবায়ু সংকট প্রতিরোধ করা দরকার যাতে বিশ্ব অর্থনীতি অপ্রতিরোধ্য হতে পারে।’
তিনি বিশেষভাবে ঋণের ক্ষেত্রে পরিবর্তনের আহ্বান জানান; জলবায়ু লক্ষ্য পূরণের জন্য আর্থিক প্রবাহের স্থানান্তর; এবং মূলধারার জলবায়ু ঝুঁকির প্রাতিষ্ঠানিক নজরদারি প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ম্যালপাসের পদত্যাগ ঘোষণা
তিনি প্যারিস চুক্তির এক দশমিক ৫সি নিরাপত্তা সীমা বজায় রাখার ক্ষেত্রে ক্রমাগত অসাম্যের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জি-৭ এর বর্তমান নির্গমনের ২৫ ভাগ এবং জি-২০ সদস্যরা সম্মিলিতভাবে বিশ্বকে ৩০সি এর বেশি উষ্ণায়নের পথে নিয়ে গেছে। এছাড়া এর সদস্যদের এনডিসিগুলো ইতোমধ্যেই ন্যায্য শেয়ারের ভিত্তিতে এক দশমিক ৫সি কার্বন বাজেট সম্পূর্ণরূপে নিঃশেষ করে দিয়েছে। যখন ভি-২০ একটি ন্যায্য শেয়ার ভিত্তিতে সম্পূর্ণরূপে নমনীয় থাকে।
বিশ্বব্যাংকের একটি নতুন নেতৃত্বকে অবশ্যই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসাবে ইতিবাচক জলবায়ু কর্মের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে (অর্থাৎ দুর্বল দেশগুলোর জন্য একটি ন্যায্য এবং যৌথ উত্তরণ অর্জন)।
ঘানা রিপাবলিকের অর্থমন্ত্রী এবং ভি২০-এর সভাপতি কেন ওফোরি-আত্তা বলেন, ‘আমরা শুধুমাত্র জলবায়ু অগ্রগামী নেতাদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে পারি। প্যারিস চুক্তি বহাল রাখতে আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার ক্রমাগত ব্যর্থতা আমাদের অর্থনীতি এবং সম্প্রদায়গুলোকে জলবায়ু সংকটের প্রথম সারিতে রেখেছে। পরবর্তী বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বের প্রথম পরীক্ষা হবে একে অপরের বিরুদ্ধে না দাঁড়িয়ে ঋণ, চাকরি এবং জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে কাজ করা।
‘আমাদের ভি২০’র ৫৮টি সদস্য অর্থনীতিতে দেড় বিলিয়ন জনগণকে সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে আমাদের নীতিগত অভিজ্ঞতা এবং দৃষ্টিভঙ্গি দেয় যা আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সমর্থন ও কাজ করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ৷ আমরা বিশ্বব্যাংকের নতুন নেতৃত্বকে একটি ব্যাপক ঋণ সংস্কার, চাকরি, ডিজিটালাইজেশন, জলবায়ু স্মার্ট আর্থিক প্রবাহ নিশ্চিত করতে এবং ক্রমবর্ধমান ভয়ঙ্কর মূলধনের ব্যয় কমানোর প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই কর্মসূচিকে সাহসীভাবে সমর্থন করার জন্য নতুন ব্যাংকের প্রেসিডেন্টও ভি২০-এর ওপর নির্ভর করতে পারেন। বৈশ্বিক আর্থিক ব্যবস্থায় প্রয়োজনীয় পরিবর্তন উন্মুক্ত করার জন্য আমরা নতুন নেতৃত্বের দিকে নজর দিচ্ছি, কারণ আমরা সবাই জলবায়ু সহনশীল বৈশ্বিক অর্থনীতি গড়ে তোলার জন্য কাজ করছি।’
২০২৩ সালের এপ্রিলে বিশ্ব ব্যাংক এবং আইএমএফ গ্রীষ্মকালীন বৈঠকের সময় ভি২০ মন্ত্রীরা মিলিত হবেন।
বর্তমানে ঘানা প্রজাতন্ত্রের অর্থমন্ত্রী কেন ওফোরি-আত্তার সভাপতিত্বে ভি২০ গ্রুপ অব ফাইন্যান্স মিনিস্টারস হলো জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য পদ্ধতিগতভাবে ঝুঁকিপূর্ণ অর্থনীতিগুলোর একটি নিবেদিত সহযোগিতা উদ্যোগ।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোকে বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা করা উচিৎ: প্রধানমন্ত্রী
তৈরি পোশাক কারখানায় ‘সবুজ বিপ্লবের’ নেতৃত্বে এগিয়ে বাংলাদেশ
তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের কারখানাগুলো সবুজ কারখানার মানদণ্ডে এগিয়ে আছে। যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন (এলইইডি) সার্টিফিকেশন প্রাপ্ত বাংলাদেশে এ ধরনের কারখানার সংখ্যা এখন ১৮৭টি।
চট্টগ্রামভিত্তিক কেডিএস গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান কেডিএস আইডিআর সর্বশেষ নতুন প্রজন্মের এই কারখানার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
সোমবার বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল জানান যে ১ ফেব্রুয়ারি তারা ১০০ এর মধ্যে ৮৪ স্কোর নিয়ে প্ল্যাটিনাম সার্টিফিকেশন পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘শীর্ষ ১০০ গ্রিন ফ্যাক্টরি ইউনিটের মধ্যে ৫০টিই বাংলাদেশের। আর সেরা ১০ জনের মধ্যে আটজন এখান থেকেই এসেছেন।’
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পে জুলাই-ডিসেম্বরে ১৬% বেড়ে রপ্তানি ২৩ বিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
২০২৩ সালে চারটি কারখানা ইউনিট ইতোমধ্যে এলইইডি সার্টিফিকেশন অর্জন করেছে।
নরসিংদীর পাঁচদোনার আমানত শাহ ফেব্রিক্স ইউএসজিবিসি থেকে এ বছরের প্রথম এলইইডি সার্টিফিকেট পেয়েছে।
ইউএসজিবিসি অনুসারে, বাংলাদেশের ১৮৭টি গ্রিন-সার্টিফাইড কারখানার মধ্যে ৬৩টি প্লাটিনাম-রেটেড, ১১০টি গোল্ড-রেটেড, ১০টি সিলভার-রেটেড ও চারটি গ্রিন-সার্টিফাইড।
ইউএসজিবিসি বেশ কয়েকটি মানদণ্ডের ওপর ভিত্তি করে কারখানাগুলোকে সার্টিফিকেশন দিয়ে সম্মানিত করে।
মানদণ্ডগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- বিদ্যুৎ, পানি ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা।
সেরা পারফর্মারদের প্ল্যাটিনাম,এরপর যথাক্রমে গোল্ড ও সিলভার সার্টিফিকেশন দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: ২০২২ সাল ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর বছর: বিজিএমইএ