বরগুনা
বৌভাতের দিন বিলের গাছে ঝুলছিল বরের লাশ!
বরগুনার আমতলীতে বিয়ের দুইদিন পর বৌভাতের অনুষ্ঠানের দিনে বরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকালে উপজেলার চাওড়া চলাভাঙ্গা গ্রামে বিলের একটি গাছ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত কামাল হাওলাদার (২৭) ওই গ্রামের রাজ্জাক হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার ওই উপজেলার টিয়াখালী গ্রামে কামালকে বিয়ে করিয়ে বৌ তুলে আনা হয়। বুধবার বর কামালের বাড়িতে বৌভাতের অনুষ্ঠান ছিল।
পুলিশ ও স্বজনরা জানান, বুধবার দুপুরে বর-কনেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে গোসল করানোর প্রস্তুতি নেয় পরিবার। কিন্তু ওইদিন সকালে কামাল বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। কামালের ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বর বন্ধ পেয়ে পরিবারের লোকজন খুঁজতে থাকে। বিকালে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে বিলের মধ্যে গাছের সঙ্গে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পাওয়া যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কামালের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৭০ বৎসর বয়সের বৃদ্ধের আত্মহত্যা
চাঁদপুরে ২ মাদরাসা শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা!
বরগুনায় নসিমন উল্টে নিহত ১, আহত ৩
বরগুনায় মালবাহী নছিমন উল্টে একজন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে জেলার সদর উপজেলার পাজরাভাঙা নামক স্থানে এ ঘটনায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নিহত সেলিম ঘরামী (৪০) বরগুনা ৯নং এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের মাদারতলী গ্রামের বেলায়েত ঘরামীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বরগুনা পৌরশহর থেকে পাজরাভাঙা গ্রামের দিকে যাচ্ছিল মালবাহী নছিমন গাড়িটি। সদর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আলো আকনের বাড়ির সামনের রাস্তার স্পীডব্রেকার থাকায় খেয়াল না করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি গাছের সঙ্গে আঘাত লেগে উল্টে গিয়ে পার্শ্ববর্তী মাঠে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৯
পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক সেলিম ঘরামীকে মৃত ঘোষণা করেন।
বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মদ বলেন, খবর পেয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় একজন নিহত হয়েছে।আরও তিনজন আহত রয়েছেন। নছিমনটির চালক পলাতক রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন: রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মা-মেয়েসহ নিহত ৩
অপরিকল্পিত সেতুর কারণে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে না পুনঃখনন করা ভারানি খাল
দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পর দখলমুক্ত করে অবশেষে পুনঃখনন করা হলেও বেশ কয়েকটি অপরিকল্পিত সেতুর কারণে ঐতিহ্যবাহী বরগুনার ভারানি খাল প্রাণ ফিরে পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন সচেতন মহল।
জানা গেছে, বরগুনার প্রমত্তা পায়রা ও খাকদোন এই দুই নদের সংযোগ রক্ষাকারী ভারানী খাল দুই পাড়ে বহুবছর ধরে অবৈধ দখলদারদের কবলে পড়ে মরা খালে পরিণত হয়েছিল। খাকদোন নদের এ শাখা খালটি বরগুনা শহরের মাছবাজার এলাকার মাদরাসা সড়ক হয়ে বরগুনা সদর ও বুড়িরচর ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে দক্ষিণে ৯ কিলোমিটার গিয়ে পায়রা নদে গিয়ে যুক্ত হয়েছে। আর এই ৯ কিলোমিটারের মধ্যে মোট ১১টি সেতু গড়ে উঠেছে। প্রতিটা সেতুই এমন অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে যে বর্ষা মৌসুমে যেকোনো ছোট-বড় নৌযানের এই সেতুগুলোর নিচ দিয়ে যাতায়াত করা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
বরগুনা সদর উপজেলার সঙ্গে নৌপথ কেন্দ্রিক ব্যবসা বাণিজ্যের নির্ভরযোগ্য চলাচলের মাধ্যম ছিল খালটি। কিন্তু দখলদারদের দৌরাত্ম্য ও দূষণে সময়ের ব্যবধানে এটি মরা খালে পরিণত হয়। একই সঙ্গে ভারানি খালের সঙ্গে সংযুক্ত আরও সাতটি শাখা খালেরও একই অবস্থা।
সম্প্রতি বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ভারানি খাল দখলমুক্ত ও পুনঃখননের উদ্যোগ নেয়। খালের দুই তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর পুনঃখননের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। তবে অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত ১১টি সেতু বহাল তবিয়তে রয়েছে। এই সেতুগুলো ভেঙে পরিকল্পিতভাবে পুননির্মাণ না করা হলে এ খাল কখনোই প্রাণ খুঁজে পাবে না বলে অভিমত প্রকাশ করছেন অনেকেই।
২০১৭ সালে স্থানীয় পরিবেশবাদী ও সচেতন নাগরিকরা খালটি দখলমুক্ত করতে আন্দোলন শুরু করেন। দল-মত নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণ দফায় দফায় বরগুনায় অবস্থিত খাল দুটি অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে মুক্ত করে পানি প্রবাহ নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন-সমাবেশও করেছেন সংগঠন থেকে শুরু করে সকল শ্রেণিপেশার মানুষ। এতে জেলা প্রশাসন তৎপর হয়। বরগুনা জেলা প্রশাসন সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসের সহায়তায় উভয় পাড়ে ১৩৫ জন অবৈধ দখলদারের তালিকাও তৈরি করে।
আরও পড়ুন: সেতুর অভাবে ৩০ হাজার মানুষের দুর্ভোগ
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতি (বেলা) ২০১৮ সালে খালটির অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণের লক্ষ্যে উচ্চ আদালতে জনস্বার্থে মামলা দায়ের করে। প্রাথমিক শুনানি শেষে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি রাজিব আল জলিল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বরগুনা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বরগুনা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) খালটি থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বরগুনা জেলা প্রশাসন ভূমি অফিস ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতায় ২০১৯ সালের ৮ এপ্রিল উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ডিসেম্বরে শেষ হয়। এরপর বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ড খালটি পুনঃখননের প্রকল্প হাতে নেয়।
পাউবো কার্যালয়ের তথ্যমতে, ২০২০-২০২১ অর্থবছরে দুই কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ভারানী খালের পুনঃখনন কাজ শুরু হয়। চট্টগ্রাম জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স গরীবে নেওয়াজ ও পটুয়াখালী জেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আল মামুন এন্টারপ্রাইজ যৌথভাবে এ খাল খননের প্রকল্পটির কার্যাদেশ পায়। বরাদ্দ এই কাজের দৈর্ঘ্য ৪ কিলোমিটার ও প্রস্থ স্থানভেদে ২৬ থেকে ৩০ মিটার বা ৮৫ থেকে ১০০ ফুট ও নিম্নস্তরের প্রস্থ ১২ মিটার বা ৩৯ দশমিক ৩৬ ফুট গভীরতা ১ দশমিক ৫ মিটার থেকে ২ মিটার পর্যন্ত বা ৫ ফুট থেকে ৬ দশমিক ৫০ ফুট।
আরও পড়ুন: ‘ভোজ্য তেলের আমদানির পয়সায় পদ্মা সেতু নির্মাণ করা যাবে’
বরগুনায় স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বরগুনায় স্বামী ও স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বেতাগী উপজেলার জোয়ার করুনা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতরা হলেন-ওই এলাকার মো. মনিরের ছেলে আসলাম তার স্ত্রী ও এলাকার হিরু হাওলাদারের মেয়ে তামান্না আক্তার। নিহত আসলাম পেশায় দিন মজুর ছিলেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রীসহ নিহত ৪
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাছান জানান, সকালে খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করতে জোয়ার করুনা এলাকায় যায় পুলিশ। পরে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠায়। আসলাম ঢাকায় দিন মজুর হিসেবে কাজ করতো। দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
আরও পড়ুন: নবীনগরে নৌকাডুবে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু, সন্তান নিখোঁজ
বরগুনায় বিহারি পট্টিতে আগুন, দশ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা
বরগুনা শহরের গোলাম সরোয়ার সড়কের বিহারি পট্টিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বসত ঘর ও আবাসিক হোটেলসহ ১৯ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে। এতে পুলিশ, স্বেচ্ছাসেবকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আনুমানিক দশ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে স্থানীয়রা।
সোমবার রাত পৌনে দশটার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে ফায়ার সার্ভিসের ছয়টি ইউনিট।
অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাতের কারণ জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সোমবার রাত পৌনে দশটার দিকে একটি তুলার দোকানে আগুন লাগে। এর ১০-২০ মিনিটের মধ্যে আশপাশের কয়েকটি দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ফায়ার সার্ভিস বরগুনা স্টেশনের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে আমতলী, বেতাগী ও পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থেকে আরও পাঁচটি ইউনিট এসে আড়াই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আরও পড়ুন: রাজধানীর শ্যামলীতে পোশাক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে
বরগুনায় পিকআপ ভ্যান চাপায় মা-ছেলে নিহত
বরগুনায় পিকআপ ভ্যান চাপায় মা-ছেলে নিহত হয়েছেন। সোমবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে আমতলী-পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের চুনাখালী কালভার্ট এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চুনাখালী গ্রামের আবুল কালামের স্ত্রী নূরজাহান বেগম (৪০) ও তার ছেলে মো. রাকিব (১৬)।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে পিকআপের চাপায় বাবা-ছেলে নিহত
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম মিজানুর রহমান জানান, সোমবার সকালে মা নূরজাহান বেগম তার ছেলে রাকিবকে নিয়ে পায়ে হেটে একই সড়কের খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা ভাই কুদ্দুস পাহলানের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। এসময় আমতলী-পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের চুনাখালী কালভার্ট এলাকায় পৌঁছলে একটি ট্রাক ও পিকআপ ভ্যান ওভারটেক করার সময় পিকআপ ভ্যানটি মা ও ছেলেকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মা ও ছেলে নিহত হন। এসময় ওই পিকআপ ভ্যানের চালক ও তার সহকারী গাড়িটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীপুরে পিকআপ ভ্যান চাপায় মাদরাসা ছাত্র নিহত
খবর পেয়ে আমতলী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ভ্যানটি জব্দ করে এবং মা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আমতলী থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় আমতলী থানায় একটি মামলা রেকর্ডের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ওসি।
বরগুনায় ‘জিপিএস ট্র্যাকার’ সহ কচ্ছপ উদ্ধার
বরগুনা সদর উপজেলার চালিতাতলীর পায়রা নদী থেকে বড় আকৃতির একটি কচ্ছপ স্থানীয় জেলেদের জালে আটকা পড়েছে। কচ্ছপটির পিঠে বসানো রয়েছে ‘জিপিএস ট্র্যাকার’ (অবস্থান নির্ণায়ক যন্ত্র)।
শনিবার বিকালে চালিতাতলী এলাকায় কচ্ছপটি আটকা পড়ে।
জেলে শাহিন বলেন, নদীতে ইলিশ ধরার সময় জালে কচ্ছপটি আটকা পড়ে। পিঠে বসানো যন্ত্রটি দেখে প্রথমে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলাম। পরে খবর পেয়ে শত শত লোক দেখতে আসে। গ্রামের মানুষ দেখেও আতঙ্কিত হয়। পরে বন কর্মকর্তাদের খবর দিয়ে কচ্ছপটি তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বরগুনা সদর উপজেলার বন কর্মকর্তা মতিউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ ‘শাপলা পাতা’ মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি, বিলুপ্তির আশঙ্কা
'আর ভাঙা ঘরে থাকতে হবে না', ছোট ভাইকে বলেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর
ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে রাশিয়ার রকেট হামলায় বরগুনার বেতাগী উপজেলার বাসিন্দা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান আরিফের মৃত্যুতে পরিবারে চলছে আহাজারি। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সন্তান হাদিসকে হারিয়ে সংজ্ঞাহীন বাবা ও বেহুঁশ মা।
বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা ২৫ মিনিটের দিকে ইউক্রেনের অলিভিয়া বন্দরে বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’তে রকেটে করে বোমা হামলা চালায় রাশিয়া। এতে জাহাজে থাকা মেরিন ইঞ্জিনিয়ার মো. হাদিসুর রহমান আরিফ নিহত হন। তিনি ওই জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
জানা যায়, এসএসসি ও এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ পাওয়া আরিফ চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমির ৪৭তম ব্যাচের ছাত্র ছিলেন। লেখাপড়া শেষ করে তিনি এমভি বাংলার সমৃদ্ধি জাহাজে থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি নেন।
ইউক্রেনে জাহাজটি আটকে পড়ার পর থেকেই তাদের পরিবারের সকলের দুশ্চিন্তার মধ্য দিয়ে দিন কাটছিল। নানা শঙ্কার মধ্যে ছিলেন তারা। তাদের সেই শঙ্কাই সত্যি হলো। সন্তানের লাশ ফেরা নিয়ে এখন আশঙ্কায় রয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে রকেট হামলা, নিহত এক নাবিক
স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ‘এমভি বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজটিতে পাঁচ বছর যাবৎ চাকরি করছিলেন আরিফ।
নিহত হাদিসের ছোট ভাই মো. তারেক বলেন, বুধবার সকালেও ভাই আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। সেই সময়ে ফোনে বলেন, ‘ভাই আমাদের আর ভাঙা ঘরে থাকতে হবে না। বাড়িতে এসেই যেভাবে হোক ঘরের কাজ ধরবো।’
ফোনালাপে ইউক্রেনে বোমা, গুলির শব্দ ও যুদ্ধের অবস্থা নিয়েও কথা হয়। ভীতিকর পরিস্থিতি নিয়ে আরিফ শঙ্কিত ছিল বলেও জানান তিনি। বাড়ি ফেরার তাড়া অনুভব হয়েছিল আরিফের কথায়। বাড়ি ফিরে কি কি কাজ করবে, ছোট ভাইয়ের সঙ্গে তার একটি আলোচনাও করেন।
তারেক আরও বলেন, ‘আমরা জাহাজে থাকা আরিফের সহকর্মীদের কাছেই মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হয়েছি। এরপর থেকেই আমার বাবা বাকরুদ্ধ হয়ে বসে আছেন, মা বেহুঁশ।'
তিনি সরকারের কাছে অনুরোধ করেন, 'যাতে দ্রুত তার ভাইয়ের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
আরও পড়ুন: পুতিনকে ‘মূল্য’ দিতে হবে, হুঁশিয়ারি বাইডেনের
উল্লেখ্য, সিরামিকের কাঁচামাল ‘ক্লে’ পরিবহনের জন্য জাহাজটি তুরস্ক থেকে ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরের জলসীমায় পৌঁছায়। তবে যুদ্ধাবস্থা এড়াতে জাহাজটিকে সেখানে পৌঁছানোর পরই পণ্য বোঝাই না করে দ্রুত ফেরত আসার জন্য নির্দেশনা দেন শিপিং করপোরেশনের কর্মকর্তারা। শেষ মুহূর্তে বন্দরের পাইলট না পাওয়ায় ইউক্রেনের জলসীমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশের এই জাহাজ।
ঝালকাঠিতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫০
ঝালকাঠিতে গত মাসে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৫০ এ দাঁড়িয়েছে।
নিহত মনিকা রানী হালদার (৪০) বরগুনা পৌর শহরের গগন মেমোরিয়াল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দগ্ধ আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
আরও পড়ুন: লঞ্চে ধূমপান না করতে সতর্কীকরণ পদক্ষেপ নেয়া হবে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটউটের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আইউব হোসেন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, তার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। প্রথম থেকে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে পরবর্তীতে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন থাকার পর তার মৃত্যু হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৪ ডিসেম্বর ভোররাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। সে সময় লঞ্চটিতে ৮০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল।
গত ২৬ ডিসেম্বর নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান লঞ্চের চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে সামুদ্রিক আদালতে নৌ আইনে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে বরিশালগামী লঞ্চে আগুন, দ্রুত নিয়ন্ত্রণ
বাস-ট্রেন ও লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী বহনের সিদ্ধান্ত: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯
ঝালকাঠিতে গত মাসে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে আহত আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪৯ এ দাঁড়িয়েছে।
রাসেল (৩৮) দুপুরে হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন।
উল্লেখ্য, ২৪ ডিসেম্বর ভোররাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লাগে। সে সময় লঞ্চটিতে ৮০০ জনেরও বেশি যাত্রী ছিল।
গত ২৬ ডিসেম্বর নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান লঞ্চের চার মালিকসহ আটজনের বিরুদ্ধে সামুদ্রিক আদালতে নৌ আইনে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
আরও পড়ুন: লঞ্চে আগুন: দুই চালক কারাগারে
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: যমজ মেয়ের পর এবার ভেসে এলো মায়ের লাশ!