এফআইআর
মাগুরায় পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যু: পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ, ৫ পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর
মাগুরায় পুলিশি নির্যাতনে এক পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তের পাশাপাশি পাঁচ পুলিশের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার দুপুরে নিহতের স্ত্রী যমুনা বেগম আদালতে আবেদন করলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (দ্বিতীয়) সব্যসাচী এই আদেশ দেন।
বাদীর অভিযোগকে বিবেচনা করে এফআইআর নির্দেশ দেন এবং পিবিআইকে বিষয়টি তদন্ত করতে বলেন আদালত।
মামলার আসামিরা হলেন- নাকোল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এস আই) জামাল, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সিরাজ মোল্লা, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) জসিম ও পুলিশ ভ্যানচালক নাজমুল।
আরও পড়ুন: মাগুরায় পুলিশের নির্যাতনে পরিবহন শ্রমিকের মৃত্যুর অভিযোগ
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শনিবার এক ব্যক্তির মিথ্যা অভিযোগের প্রেক্ষিতে শ্রীপুর উপজেলার ওয়াপদা টিকিট কাউন্টারের কর্মী আব্দুস সালামকে (৪৫) মারধর করে আসামিরা। সালাম অজ্ঞান হয়ে পড়লে পুলিশ তাকে প্রথমে নাকোল ক্যাম্পে এবং পরে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে নিহতের স্বজন ও ওয়াপদা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় শ্রমিকরা এসআই জামালের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগ এনে প্রায় এক ঘণ্টা মাগুরা-ফরিদপুর সড়ক অবরোধ করে রাখে।
মাগুরার পুলিশ সুপার জহিরুল ইসলাম জানান, ওই দিনই এসআই জামালকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: শিয়ালের কামড়ে মাগুরায় আহত ৫
তিনি জানান, বিষয়টি তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নিহতের পরিবার শ্রীপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
এসপির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সহকর্মীর
বাগেরহাটের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিআইবি) পুলিশ সুপার (এসপি) মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন তারই এক নারী সহকর্মী। ভুক্তভোগী ওই পুলিশ পরিদর্শকের এই অভিযোগ মামলা হিসেবে গ্রহণ করার জন্য উত্তরা পূর্ব থানাকে নির্দেশ দিয়েছে ঢাকার একটি আদালত।
বৃহস্পতিবার ওই নারী পরিদর্শক আদালতে মামলার আবেদন জানালে মহিলা ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহার এই আদেশ দেন। আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আফরোজা অরেঞ্জ ইউএনবিকে খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, ২০১৯ সালে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্ত মোক্তার হোসেন উভয়ে সুদানে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত ছিলেন।ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর মোক্তার ভুক্তভোগীর বাসায় গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। ২২ ডিসেম্বর মোক্তার ক্ষমা চাইতে গিয়ে ভুক্তভোগীকে আবারও তার বাসায় ধর্ষণ করেন। এই ঘটনা কারো কাছে প্রকাশ না করার জন্য এসপি মোক্তার তাকে একাধিকবার হুমকি দেন। এক পর্যায়ে এসপি মোক্তার তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করেন। বাদী এই বিষয়ে পুলিশ বিভাগে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন যা এখনও তদন্তাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: ধর্ষণ মামলায় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক আহ্বায়ক মামুনের বিরুদ্ধে চার্জশিট
মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ‘দ্বিতীয় স্ত্রীর’ ধর্ষণ মামলা
৪ শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা: ওসিসহ ৭ পুলিশ বরখাস্তের রায় স্থগিত
এমসিতে ধর্ষণ: স্বামীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে ধর্ষকরা
সিলেট এমসি (মুরারিচাঁদ কলেজ) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে ধর্ষণের পর তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেটকার আটকে রেখে তা ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য ৫০ হাজার টাকা দাবি করে ধর্ষকরা।