জন্ম
শেবাচিম হাসপাতালে একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম
একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিলেন ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সোনাউটা গ্রামের গৃহবধূ মুক্তা আক্তার পুতুল।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তিন ছেলে ও এক মেয়ের জন্ম দেন মুক্তা আক্তার পুতুল।
আরও পড়ুন: বরিশালে ভুল চিকিৎসায় সংকটাপন্ন প্রসূতি
তিনি ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার সোনাউটা গ্রামের বাসিন্দা ও বাহরাইন প্রবাসী সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী।
এর আগে শুক্রবার (৬ অক্টোবর) সকাল ৭টায় তিনি প্রসব বেদনা শুরু হলে শেবাচিম হাসপাতালের লেবার ওয়ার্ডে ভর্তি হন।
চার নবজাতকের নাম রাখা হয়েছে - সায়েম, সালিম, আলিম ও আয়শা।
এদিকে মা সুস্থ থাকলেও নবজাতকদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য নিউনেটাল ওয়ার্ডে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মনিরুজ্জামান শহিন বলেন, চারটি বাচ্চারই ওজন কম। অর্থাৎ ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় স্বাভাবিক একটি শিশুর শরীরে যে ওজন থাকার কথা, তা কারোরই নেই। তাই চারটি শিশুকেই হাসপাতালের নিউনেটাল ওয়ার্ডে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্ত্বাবধায়নে রাখা হয়েছে। এখনও কোনো শিশু শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না।
শেবাচিম হাসপাতালের শিশু বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. এম আর তালুকদার মুজিব জানিয়েছেন, তবে শিশুদের শারীরিক গঠন ও বাহ্যিক সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে। এদিকে ঘর আলো করে চার সন্তান জন্ম নেওয়ায় তাদের স্বজনেরা সবাই খুশি।
সন্তানদের নানী মায়া বেগম জানান, ১০ বছর আগে তার মেয়ে মুক্তার বিয়ে হয়েছে। গেল রমজানে দেশে থাকলেও বর্তমানে মুক্তার স্বামী সিদ্দিকুর রহমান বাহারাইন আছেন। তাদের সংসারে ৬-৭ বছরের একটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।
আরও পড়ুন: ফেনীতে একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম!
কুমিল্লায় একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম!
ঘুর্ণিঝড়ের সময় জন্ম, নবজাতকের নাম রাখা হলো 'মোখা'
অতি প্রবল ঘুর্ণিঝড় মোখা'র ভয়াবহতা থেকে বাঁচতে কক্সবাজারের পেকুয়া আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর কোল আলোকিত করা নবজাতকের নাম রাখা হলো 'মোখা'। যার পুরো নাম মোকাম্মেল হোসেন মোখা।
মোখা'র পিতা-মাতারা হলেন পেকুয়া উপজেলার রাজখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বামুলা পাড়ার মো. আরকান ও জয়নব বেগম।
রবিবার (১৪ মে) রাত ১টার দিকে পেকুয়া আশ্রয়কেন্দ্রে ওই নারী (অন্তঃসত্ত্বা) প্রসববেদনায় কাতরাতে শুরু করলে আশ্রয়কেন্দ্রের নিচে গাড়ি খোঁজাখুঁজি শুরু করেন নারীর স্বামী আরকান। কিন্তু মধ্যরাতে তিনি কোনো গাড়ি পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়লে আশ্রয়কেন্দ্র পর্যবেক্ষণে থাকা পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার নিজের সরকারি গাড়িতে করে জয়নব বেগমকে হাসপাতালে পৌঁছে দেন।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ-মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম শেষ করেছে: আবহাওয়া অধিদপ্তর
পরে এই দুর্যোগের মধ্যেই পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পৃথিবীর মুখ দেখেন 'মোখা। এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর হায়দার বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষের খোঁজ-খবর নিচ্ছিলাম। এসময় একটি খবর আসে এক গর্ভবতী নারী প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছেন। পরে আমাদের গাড়ি নিয়ে তকে সুস্থভাবেই হাসপাতালে নিয়ে আসি। তারপর সেখানেই মোখা'র জন্ম হয়। আমাদের উপস্থিতিতেই মোখার পরিবার মোকাম্মেল হোসেন মোখা নামকরণ করে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: কক্সবাজারে ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত
জামালপুরে একসঙ্গে ৪ কন্যা সন্তানের জন্ম!
জামালপুর শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আঞ্জুয়ারা বেগম(২০) নামের এক নারী। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে আমলাপাড়া এপোলো হাসপাতালে সফল অস্ত্রোপাচারের মাধ্যমে তিনি চার সন্তান প্রসব করেন।
আঞ্জুয়ারা জেলার সরিষাবাড়ী উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের চর সরিষাবাড়ী গ্রামের কাঠমিস্ত্রী আতাউর রহমান বাবুর স্ত্রী।
হাসপাতাল ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, আঞ্জুয়ারা বেগম প্রসববেদনা নিয়ে গত বুধবার জামালপুর শহরের আমলাপাড়ায় এপোলো হাসপাতালে ভর্তি হন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ও গাইনি সার্জন ডা. খায়রুল বাশার পলাশ তার সফল অস্ত্রোপচারে একে একে চারটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এ সংবাদে হাসপাতাল এলাকায় একনজর নবজাতকদের দেখতে অনেকেই ভিড় করেন।
আরও পড়ুন: ফেনীতে একসঙ্গে চার কন্যা সন্তানের জন্ম
গাইনি সার্জন ডা. খায়রুল বাশার পলাশ বলেন, বর্তমানে প্রসূতি ও নবজাতকরা সুস্থ আছেন। তবে বাচ্চাদের ওজন যথাক্রমে এক কেজি ৮০০ গ্রাম, এক কেজি ৭০০ গ্রাম, এক কেজি ৬০০ গ্রাম ও এক কেজি ৪০০ গ্রাম। তাদের ওজন কম হওয়ায় উন্নত চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
আঞ্জুয়ারার স্বামী আতাউর রহমান বাবুর জানান, প্রথম তারা সন্তানের বাবা-মা হলেন।
একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম হওয়ায় অবাক হয়েছেন এবং খুশিও হয়েছেন বলেও তিনি জানান।
এপোলো হাসপাতালের পরিচালক শরিফুজ্জামান রুবেল জামালী বলেন, বিষয়টি সত্যিই অবাক করার মতো। একে একে চারটি সন্তান প্রসব সত্যিই বিরল। খবরটি ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে আশপাশের অনেক মানুষ হাসপাতালে ছুটে আসেন।
বর্তমানে মা ও শিশুরা ভালো রয়েছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ায় তাড়িয়ে দিল স্বামীর পরিবার: নবজাতকের মায়ের মামলা
চাঁদপুরে বিদ্যালয়ের মাঠেই জন্ম নিল নবজাতক
চাঁদপুরে বাড়ি ফেরার পথে প্রসববেদনা ওঠায় বৃহস্পতিবার লেডি প্রতিমা মিত্র বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আয়েশা বেগম নামে এক নারী।
তিনি সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ছোটসুন্দর গ্রামের মোহাম্মদ শরীফ হোসেনের স্ত্রী।
প্রধান শিক্ষিকা মোরশেদা ইয়াসমিন জানান, আয়েশা শহরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একাই এসেছিলেন, তার বাচ্চা ডেলিভারির সম্ভাব্য তারিখ জানতে। তাকে মেডিকেল পরীক্ষা করার পর সম্ভাব্য ডেলিভারির তারিখ জানানো হয় আগামী ২২ নভেম্বর। এরপর বাড়ি ফেরার পথে ৩টার দিকে হঠাৎ তার প্রচণ্ড লেবার পেইন উঠে। তখন তিনি কোন উপায় না দেখে হাসপাতাল রোডেই অবস্থিত শহরের লেডি প্রতিমা মিত্র বালিকা বিদ্যালয়ে ঢুকে পড়েন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে উদ্ধার হওয়া নবজাতককে দত্তক নিলেন সেনা কর্মকর্তা
তিনি আরও জানান, তার পেইন দেখে বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে তাকে মাঠের এক কোণে বিছানার ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। এরপর নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়।
চাঁদপুরের ২৫০ শয্যা সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক ডা. আসিবুল আহসান চৌধুরি জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা তাকে খবর দেয়। এরপর নার্স ও অন্যরা স্টাফরা দ্রুত এসে প্রসূতি ও বাচ্চাকে হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে নিয়ে পোস্ট ডেলিভারি চিকিৎিসা দেন।
মা ও শিশু উভয়েই এখন ভালো আছেন বলে জানান আবাসিক চিকিৎসক।
আরও পড়ুন: নিখোঁজের ৪ দিন পর গাজীপুরে মিলল চুরি যাওয়া সেই নবজাতক
কুষ্টিয়ায় হাসপাতালে ফেলে যাওয়া সেই নবজাতকের দায়িত্ব নিলেন এসিল্যান্ড
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম: তোফায়েল আহমেদ
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম বলে মন্তব্য করেছেন ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেছেন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় আমরা সকলে একসঙ্গে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি।
আমাদের স্লোগান ছিল – ‘জাগো জাগো বাঙালি জাগো’, ‘বীর বাঙ্গালি অস্ত্র ধর, বাংলাদেশ স্বাধীন কর’। কে হিন্দু, কে মুসলিম সেই ভেদাভেদ ছিল না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির মধ্য দিয়েই বাংলাদেশের জন্ম।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গ্রামগুলো আজ শহরে পরিণত হয়েছে। প্রতিটি গ্রাম আজ আলোকিত, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। আমরা পদ্মাসেতু তৈরি করেছি। কর্ণফুলী ট্যানেলের কাজও দ্রুত এগিয়ে চলছে।
আরও পড়ুন: তোফায়েল আহমেদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল
এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা এগিয়ে চলেছি। আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবো। আওয়ামী লীগ সরকারের এসব উন্নয়ন বিএনপি দেখে না।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর দুটি স্বপ্ন ছিল। এক - বাংলাদেশ স্বাধীন করা। দুই - ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
প্রথমটি জাতির জনক করে গেছেন। দ্বিতীয়টি করার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশে উন্নিত হয়েছে।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, আজও আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেছি। বিশেষ করে ভোলায় আমরা সকল ধর্মের মানুষ এক এবং অভিন্ন হয়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে অত্যন্ত শান্তিতে বসবাস করছি।
এছাড়া আমাদের ধর্মের দিক থেকে কেউ মুসলিম, কেউ হিন্দু। কিন্তু মনের দিক থেকে আমরা সকলে এক। আমাদের ঈদে হিন্দু ভাইরা আসেন। তাদের পূজায় আমরা যাই। আমাদের মাঝে কোন ভেদাভেদ নেই।
ভোলা জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি গৌরাঙ্গ চন্দ্র দে এর সভাপতিত্বে তোফায়েল আহমদের ভোলার গাজীপুর রোডস্থ বাসভবনে এই মতবিনিময় সভায় বক্তাদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মমিন টুলু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার, সদর উপজেলা ভাইরাস চেয়ারম্যান মো. ইউনুছ, সদর উপজেলা পূজা পরিষদের সভাপতি মানস ঘোষ শান্ত প্রমুখ।
আরও পড়ুন: আর কখনও নির্দলীয় সরকার হবে না: তোফায়েল আহমেদ
দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে: তোফায়েল আহমেদ
চট্টগ্রামে একসঙ্গে ৪ সন্তান জন্ম
চট্টগ্রামে একসঙ্গে চার সন্তান জন্ম দিয়েছেন এক নারী। রবিবার নগরীর বেসরকারি সাউদার্ন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দেন তিনি। এদের মধ্যে তিনটি ছেলে ও একটি মেয়ে।
হাসপাতালের পরিচালক আবুল মনসুর মো. দিদারুল আলম রবিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, কক্সবাজারের মহেশখালী পৌরসভার সিকদার পাড়া এলাকার বাসিন্দা দুবাই প্রবাসী ওমর ফারুকের স্ত্রী কোহিনুর আক্তার (২৪) একসঙ্গে চার সন্তান জন্ম দিয়েছেন।
তিনি জানান, ওমর ফারুক-কোহিনুর আক্তার দম্পতির তিন বছর বয়সী আরও এক কন্যাসন্তান রয়েছে, যার জন্ম হয় অস্ত্রোপচার ছাড়াই। এখন চার সন্তান পেয়ে তারা অনেক খুশি।
হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের প্রধান চিকিৎসক ডা. নাছিমা আকতার সিজারিয়ান অপারেশন করেন।
চিকিৎসক বলেন, মা ও চার নবজাতক সুস্থ আছে।
আরও পড়ুন: স্বর্ণ চোরাচালান মামলা: চট্টগ্রামে চীনা নাগরিকের ৭ বছর কারাদণ্ড
চট্টগ্রামে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যূত,ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক
টেকনাফে ট্রাকচাপায় মা-ছেলে নিহত
জন্ম মৌলভীবাজারে পরিচয়পত্রে ‘ভেনিজুয়েলা ’
মৌলভীবাজার জেলার অন্তত ১২ জন স্থায়ী বাসিন্দাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) তাদের জন্মস্থান দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনিজুয়েলা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রবাসে ও দেশের বসবাসরত অনেকেই তাদের পুরনো জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো না কোনো ধরনের ভুল সংশোধন করতে জেলা ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দেয়ার পর নতুন করে হাস্যকর এই ভুলটি তথ্য উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: সনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র জাল, তবুও তিনি শিক্ষক!
বড়লেখা উপজেলার তালিমপুর গ্রামের রোমানা বেগম রবিবার ইউএনবি বলেন, জন্ম হল মৌলভীবাজার কিন্তু নাগরিক হয়ে গেলাম আমেরিকা নাকি ভেনেজুয়েলার। ভেনেজুয়েলা যে একটা দেশ সেটা তিনি জানতেন না।
রোমানা বলেন, তার নামের দ্বিতীয় অংশ 'বেগম' হলেও আগে পাওয়া জাতীয় পরিচয়পত্রে 'আক্তার' লেখা হয়েছে। সেটি সংশোধন করতে মে মাসে এনআইডি কার্ড জমা দিয়েছিলেন, তার পরিবর্তে এখন তিনি আরও গুরুতর ভুলসহ কার্ডটি হাতে পেয়েছেন।
বড়লেখা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এস এম সাদিকুর রহহমান জানান, নির্বাচন কমিশনের কেন্দ্রীয় সার্ভারে ত্রুটির কারণে এ ভুল হয়েছে। এ ব্যাপারে ইসিকে অবহিত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাস্তবে জীবিত হলেও জাতীয় পরিচয়পত্রে তারা মৃত!
ইসির সার্ভারে কারিগরি ত্রুটির কারণে সম্প্রতি সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ দেশের বেশ কয়েকটি জেলার এনআইডিতে একই ধরনের ভুল হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা নির্বাচন অফিস। ইসি বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছে।
কুমিল্লায় একসঙ্গে ৪ সন্তানের জন্ম!
কুমিল্লা নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন শিরিন আক্তার নামের এক নারী। বুধবার দুপুরে নগরীর মুন স্পেশালাইজড হাসপাতালে গাইনি বিভাগে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার সন্তান জন্ম দেন তিনি।
শিশুদের মধ্যে তিনটি ছেলে ও একটি মেয়ে সন্তান।
দম্পতি সাইফুল ও শিরিন কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলার ৪নং শশীদল গঙ্গানগর গ্রামের বাসিন্দা। রাবেয়া আক্তার নামে তাদের ৭ বছরের একটি মেয়ে শিশু আছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে জোড়া লাগানো দুই কন্যা শিশুর জন্ম
নবজাতকদের বাবা সাইফুল ইসলাম জানান, গত মঙ্গলবার অসুস্থ অবস্থায় তার স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. নাজমা মজুমদার লিরার তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চার নবজাতক ভূমিষ্ট হয়। চার নবজাতকের মধ্যে দুটি শিশু সুস্থ আছে। অন্য দুটি শিশু অসুস্থ থাকায় হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাখা হয়েছে।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা.নাজমা মজুমদার লিরা বলেন, ‘বাচ্চাদের মা সুস্থ আছেন। চারটি শিশু নয় মাসে জন্ম নেয়ায় কিছুটা সমস্যা রয়েছে। চারটি শিশুর মধ্যে দুটি শিশুর ওজন তুলনামূলক কম হওয়ায় তাদেরকে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় এক সাথে পাঁচ সন্তানের জন্ম!
কুড়িগ্রামে দু’টি মাথা বিশিষ্ট কন্যা শিশুর জন্ম
বঙ্গমাতার ৯১তম জন্মবার্ষিকীতে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার পুরস্কার প্রদান
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব-এর ৯১তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে সারা দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক এবং স্মাতক পর্যায়ে প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। যার উদ্যোগে ছিল বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগ। রবিবার বিকাল ৪টায় একাডেমির নাট্যশালা মিলনায়তনে এই প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত হিসাবে ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি এবং বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আয়োজক গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক জনাব আশরাফুল আলম পপলু।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো ৮-৩১ আগস্ট ২০২১ পর্যন্ত সারাদেশের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এবং স্নাতক এই দুই বিভাগে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কার ও ফেলোশিপ প্রদান
কুমিল্লায় চার সন্তানের জন্ম দিলেন এক নারী
কুমিল্লায় নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে একসঙ্গে চার সন্তানের জন্ম দিয়েছেন সাদিয়া আক্তার নামের এক প্রসূতি। নগরীর গোমতী হাসপাতালে গাইনি চিকিৎসক শাহিদা আক্তার রাখির তত্ত্বাবধানে নরমাল ডেলিভারিতে দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জন্ম হয়।
সাদিয়া সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজীর লালবাগের জিল্লুর রহমানের স্ত্রী। জিল্লুর রহামান একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। বুধবার সন্ধ্যায় জন্ম নেওয়া চার শিশুকে কুমিল্লার মডার্ন হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে (এনআইসিইউ) রাখা রয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকায় একসাথে ১০ সন্তান জন্মদানের দাবি নিয়ে ধোঁয়াশা
চার নবজাতকের বাবা জিল্লুর রহমান বলেন, ‘বর্তমানে হাসপাতালে অন্তঃসত্ত্বাকে নিয়ে গেলেই সিজার করে। তবে ডা. শাহিদা আক্তার রাখি আমার স্ত্রীকে চেকআপ করে বলেছেন, বাচ্চাগুলোর পজিশন ঠিক আছে। তিনি নরমাল ডেলিভারি করার জন্য বলেন। আমরাও রাজি হয়ে যাই। আল্লাহর রহমতে কোনও সমস্যা ছাড়াই চার সন্তানের বাবা হলাম। সবার দোয়া কামনা করছি।’
বুধবার সন্ধ্যায় যোগাযোগ করা হলে ডা. শাহিদা আক্তার রাখি বলেন, ‘নরমাল ডেলিভারিতে চার শিশুর জন্ম হওয়ায় আমি খুবই খুশি। শিশুদের মা সুস্থ আছেন। চার শিশুর মধ্যে প্রথমজনের ওজন প্রায় ১১০০ গ্রাম, দ্বিতীয় জনের ১০০০ গ্রাম, তৃতীয় জনের ওজন ৯০০ গ্রাম এবং চতুর্থ জনের ওজন ৮০০ গ্রাম। বাচ্চাগুলো ইম্যাচিউর হওয়ায় এনআইসিইউতে রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সবগুলো বাচ্চাই ভালো আছে।’
আরও পড়ুন: মরক্কোতে একসঙ্গে ৯ সুস্থ সন্তান প্রসব!
তিনি জানান, সিজার ছাড়াই চার শিশুর জন্মের ঘটনা কুমিল্লায় এর আগে ঘটেছে কি না জানি না। এর আগে একসঙ্গে তিন শিশুর নরমাল ডেলিভারি করেছি। নিয়মিত তাদের খোঁজ খবর রাখছি।