বেতন
বকেয়া বেতনের দাবিতে রাজপথে তারাপুর বাগানের চা শ্রমিকরা
দুই সপ্তাহ ধরে বেতন না পাওয়া, প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত বকেয়ার তৃতীয় কিস্তি না পাওয়াসহ সাত দফা দাবিতে সিলেটের তারাপুর চা বাগানের অচলাবস্থা দীর্ঘায়িত হচ্ছে।
চার দিন ধরে কাজ বন্ধ করে কর্মবিরতি চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকরা।
দাবি বাস্তবায়নে মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) থেকে কর্মবিরতির পাশাপাশি অবস্থান, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে তারাপুর চা বাগান শ্রমিক ও পঞ্চায়েত কমিটি।
আরও পড়ুন: আলোচনা ছাড়াই রাত ৩টায় চুক্তি সাক্ষর: আন্দোলন অব্যাহত চা শ্রমিকদের
চা বাগান শ্রমিকদের কর্মবিরতির কারণে শুকনো মৌসুমের কলম বন্ধ থাকায় উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বেতন না পাওয়ায় শ্রমিকদের ঘরে ঘরে অভাব, হাহাকার দেখা দিয়েছে।
স্কুলে সন্তানদের ভর্তি করতে পারছেন না শ্রমিকরা।
তারাপুর চা বাগানের শ্রমিক তারুনী মোদী বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে কোনো বেতন ভাতা পাচ্ছি না। ঘরে ঘরে খাদ্যাভাব দেখা দিয়েছে। বাগান বন্ধ থাকুক এটা চাই না, বাধ্য হয়ে আন্দোলন শুরু করেছি।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে ৭ দফা দাবিতে চা শ্রমিকদের মানববন্ধন
অপর শ্রমিক বেলী রায় বলেন, বেতন বকেয়া থাকায় সন্তানদের স্কুলে ভর্তি যেমন করতে পারিনি, তেমনি নতুন ক্লাসের বইও কিনে দিতে পারছি না। আমরা আমাদের ন্যায্য পাওনাটা চাই। আমরা কাজ বন্ধ করে আন্দোলনে নেমেছি।
পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুনীল মোদী জানান, কর্তৃপক্ষ বার বার বেতন আটকে দিচ্ছে আমাদের। এতে করে শ্রমিক পরিবারে নানান সংকট বাড়ছে। বার বার বাগান বন্ধ থাকাটা আমরাও চাই না। বাধ্য হয়ে অভাবের তাড়নায় আন্দোলন করছি।
আরও পড়ুন: কাজে ফিরেছেন চা শ্রমিকরা
পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি চৈতন্য মোদী জানান, গত দুই সপ্তাহ ধরে বেতন না পেয়ে আমরা ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বকেয়া বেতনের সব কিস্তি অন্যান্য বাগানে পরিশোধ করা হলেও আমরা শেষ কিস্তি পাচ্ছি না। আমরা দাবি আদায়ে রাজপথে নেমেছি। জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি।
আরও পড়ুন: চা শ্রমিকদের ধর্মঘট অব্যাহত, মৌলভীবাজারে সড়ক অবরোধ
গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২০,৪০০ টাকা দাবি, মালিকদের ১০,৪০০ টাকা প্রস্তাব
পোশাক শ্রমিকদের প্রতিনিধিরা ন্যূনতম মাসিক বেতন ২০ হাজার ৪০০ টাকা এবং মালিক প্রতিনিধিরা তাদের ন্যূনতম বেতন ২৪০০ টাকা বাড়িয়ে ১০ হাজার ৪০০ টাকা করার প্রস্তাব করেন।
রবিবার রাজধানীর পল্টনে ন্যূনতম মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ে বোর্ডের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লার কাছে জাতীয় পোশাক শ্রমিক কর্মচারি লীগের (জেজিএসকেএল) সভাপতি সিরাজুল ইসলাম রনি এবং বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি ও পোশাক মালিকদের প্রতিনিধি মো. সিদ্দিকুর রহমান নিজ নিজ পক্ষ থেকে প্রস্তাব পেশ করেন।
উভয় পক্ষের প্রস্তাব পাওয়ার পর লিয়াকত আলী বলেন, শ্রমিক পক্ষ ২০ হাজার ৪০০ টাকা এবং মালিক পক্ষ ১০ হাজার ৪০০ টাকা চাচ্ছে। উভয় পক্ষের প্রস্তাবে বেশ ব্যবধান রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘মজুরি বোর্ডের পঞ্চম সভা ১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। বৈঠকে ব্যবধান কমানোর প্রস্তাব করা হবে।’
বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শ্রমিক ও মালিকপক্ষের প্রস্তাবে সব সময়ই পার্থক্য থাকে।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে ৩,৪২৮ গার্মেন্টস কর্মী ও পরিবারকে অর্থ প্রদান
৩০ হাজার গার্মেন্টস শ্রমিকের সুস্থতায় বিজিএমইএ-আয়াত এডুকেশনের চুক্তি
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা এবং শিল্প উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে আমরা এই প্রস্তাব করেছি।’
প্রস্তাবের যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং তারপর ইসরাইল-হামাস যুদ্ধ শুরু হয়। সব বিষয় বিবেচনা করে মজুরি বাড়াতে হবে।
তবে, যেহেতু চেয়ারম্যান শ্রমিক ও মালিকদের মজুরি কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন, আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মালিকদের সঙ্গে আলোচনা করব এবং পরবর্তী বৈঠকে তাদের জানাব।
এছাড়া বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) শ্রমিকদের জীবনমান মূল্যায়ন করে ন্যূনতম বেতন ১৭ হাজার ৫৬৫ টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে।
গাজীপুরে বেতন-ভাতার দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
গাজীপুরের টঙ্গীতে বেতন-ভাতার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে প্রিন্স জ্যাকের্ড সোয়েটার লিমিটেড নামের একটি কারখানার শ্রমিকরা। এসময় শ্রমিক-পুলিশের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
বুধবার (২১ জুন) সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করায় শ্রমিকদের বিক্ষোভ
শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগরের টঙ্গীর সাতাইশ এলাকার ওই কারখানাটির প্রায় সাড়ে ৭শ’ শ্রমিকের মধ্যে ৫০ জন শ্রমিকের এপ্রিল মাসের বেতনের ৫০ শতাংশ বকেয়া রাখে কারখানার মালিকপক্ষ।
গত মে মাস আবারও কারখানা সকল শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বকেয়া রাখেন তারা।
মঙ্গলবার (২০ জুন) শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার কথা থাকলেও কারখানার মালিকপক্ষ শ্রমিকদের বেতন ভাতা পরিশোধ করেনি। ওই দিন শ্রমিকরা দিনভর বেতন-ভাতার জন্য অপেক্ষা করে বিকালে বিক্ষোভ করে চলে যান।
বুধবার (২১ জুন) সকালে কারখানার শ্রমিকরা কারখানায় এসে তালাবদ্ধ দেখতে পায়। পরে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান নিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধের উদ্দেশ্যে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বের হয়।
এসময় পুলিশ শ্রমিকদের মহাসড়কে উঠতে বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয়। শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করতে ২ রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেট নিক্ষেপ করে পুলিশ।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের টঙ্গী জোনের পরিদর্শক মো. ওসমান গণি জানান, বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেছিল। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন: ওভারটাইম ও ঈদ বোনাসের দাবিতে গাজীপুরে পোশাকশ্রমিকদের বিক্ষোভ
মারধর ও ছাঁটাইয়ের অভিযোগে বরিশালে শ্রমিকদের বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ
ঈদের আগেই পোশাক শ্রমিকদের বেতন ও ঈদ বোনাস পরিশোধ করুন: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঈদুল আজহার আগে পোশাক শ্রমিকদের জুন মাসের অর্ধেক বেতন এবং ঈদ বোনাস পরিশোধ করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বলেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন।
তিনি বলেন, ‘গার্মেন্টস মালিকদের জুন মাসের ১৫ দিনের বেতন এবং ঈদুল আযহার ছুটির আগে ঈদ বোনাস দিতে বলা হয়েছে এবং বেতন পরিশোধকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের গার্মেন্টস অস্থিরতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারি রাখবে।’
রবিবার সচিবালয়ে ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্নে করতে পোশাক মালিকদের পর্যায়ক্রমে ঈদের ছুটি দিতে বলেন তিনি।
জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৯ জুন বা ৩০ জুন ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকায় এ বছর সারাদেশে মোট ৮ হাজার ৩৯৯টি পশুর হাট বসবে।
সতর্কবার্তা জারি করে মন্ত্রী বলেন, সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ কাউকে রাস্তায় গরু বোঝাই গাড়ি থামাতে দেওয়া হবে না। যদি কেউ গরু বোঝাই যানবাহন থামানোর সঙ্গে জড়িত থাকে তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্থানীয় সুপারকে অবহিত করতে হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে মোড়ে ও গরুর হাটে ওয়াচ টাওয়ার ও সিসিটিভি বসানো হবে।
তিনি গরু ব্যবসায়ীদের গরুবোঝাই গাড়ির উপরে নির্দিষ্ট গরুর হাটের ট্যাগ দিয়ে একটি ব্যানার টাঙাতে বলেন।
আসাদুজ্জামান বলেন, মহাসড়ক ও সড়কে কোনো পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না এবং গরুর হাটে ‘হাসিল’ সাইনবোর্ড দেখতে হবে।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গরুর হাটে একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হবে এবং এর পাশাপাশি সেখানে সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: আমরা লক্ষ্য রাখব সড়কে যাতে পশুর হাট না বসে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, এটিএম বুথ, জাল নোট শনাক্ত করার মেশিন এবং পশুচিকিৎসক গরুর হাটে পাওয়া যাবে।
বাস ও লঞ্চ টার্মিনাল, রেলস্টেশন ও ফেরি ঘাটে ডোপিং গ্যাং সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, এই চক্রের তৎপরতা সম্পর্কে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো সতর্ক থাকবে।
ঈদের ছুটিতে ডাকাতি, ছিনতাই, চুরি ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে গোয়েন্দা দলের নজরদারি বাড়ানো হবে এবং এই সময়ে র্যাবের টহল দৃশ্যমান থাকবে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, যান চলাচল নিশ্চিত করতে সড়ক, মহাসড়ক এবং শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ও মোড়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
২৪টি পয়েন্টকে যানজটের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে উল্লেখ করে আসাদুজ্জামান বলেন, এসব স্থানে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং ঈদের ছুটিতে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাত্রা নিশ্চিত করতে হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে কাজ করবে।
নৌপথে দুর্ঘটনা এড়াতে মন্ত্রী বলেন, লঞ্চের ধারণক্ষমতার বাইরে অতিরিক্ত যাত্রী নেওয়া এবং যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার ব্যবস্থা নেবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
ঈদের জামাতের কথা বলতে গিয়ে মন্ত্রী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
আসন্ন ঈদুল আজহার ছুটি একদিন বাড়ানোর বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সীমান্ত এলাকা দিয়ে কোনো দেশ থেকে গবাদিপশু প্রবেশের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে এবং প্রতিবেশি দেশগুলো থেকে গবাদিপশু প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তরক্ষী সদস্যরা প্রস্তুত রয়েছে।
আরও পড়ুন: জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দিলেও নীতি পরিবর্তন করেনি আ. লীগ: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা চাইলে বাড়তি নিরাপত্তা ফেরত দিতে পারেন, তার জন্য অর্থ দিতে হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
ঈদের ছুটির আগেই বোনাস ও জুন মাসের ১৫ দিনের বেতন দিতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান ঈদুল আজহার ছুটির আগেই শ্রমিকদের ঈদ বোনাস এবং জুন মাসের ১৫ দিনের বেতন দেওয়ার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ঈদ যেহেতু মাসের শেষ দিকে, তাই মালিকেরা ঈদ বোনাসের সঙ্গে চলতি জুন মাসের ১৫ দিনের বেতনটাও পরিশোধ করবেন।
আরও পড়ুন: ৭ জুলাইয়ের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকালে রাজধানীর বিজয়নগর শ্রম ভবনের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ- টিসিসি এর ৭৫ তম এবং আরএমজি টিসিসির ১৫ তম সভায় সভাপতি হিসেবে তিনি এ ঘোষণা দেন।
শ্রমিক নেতাদের জুন মাসের পূর্ণ বেতন দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, ১৫ দিনের বেতন বাধ্যতামূলক। তবে কোনো মালিকের সক্ষমতা থাকলে ইচ্ছে করলে পূর্ণ মাসের বেতন দিতে পারবেন। তবে সেটা বাধ্যতামূলক নয়।
তিনি বলেন, গার্মেন্টস যেহেতু রপ্তানিমুখী শিল্প এবং ঈদে ঘরমুখো মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে মালিকগণ উভয় বিষয় মাথায় রেখে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনার ছুটির বিষয়টি নির্ধারণ করবেন।
শ্রমিক নেতারা শ্রমিকদের জন্য রেশন এর ব্যবস্থার দাবি জানালে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমিকবান্ধব প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল। প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের রেশন এর দাবির বিষয়ে অবগত। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।
মালিক শ্রমিক সবাই মিলে যাতে সুন্দরভাবে ঈদ উদযাপন করতে পারেন সেজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং প্রতিমন্ত্রী সবাইকে ঈদুল আজহার অগ্রীম শুভেচ্ছা জানান।
আরও পড়ুন: সোমবার থেকে রাত ৮টার পর দোকান বন্ধ থাকবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ছুটির আগেই বোনাস ও এপ্রিলের ১৫ দিনের বেতন দেয়ার নির্দেশ শ্রম প্রতিমন্ত্রীর
শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ও বেতন দিতে ১৫০০ কোটি টাকা সরকারি সহায়তা চায় বিকেএমইএ
আসন্ন ঈদুল ফিতরের আগে শ্রমিকদের বেতন ও বোনাস পরিশোধে সরকারের কাছে দেড় হাজার কোটি টাকা সহায়তা চায় বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ)।
নিটওয়্যার কারখানা মালিক সমিতির দাবি, আর্থিক সহায়তা না পেলে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন দেওয়া নিয়ে মারাত্মক সংকটে পড়তে পারে রপ্তানিখাত।
আরও পড়ুন: ২০২২ সাল ছিল ঘুরে দাঁড়ানোর বছর: বিজিএমইএ
বিকেএমইএ অর্থ মন্ত্রণালয়ের অধীনে অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিবের কাছে আর্থিক সহায়তা সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে।
গত ৩০ মার্চ বিকেএমইএ সভাপতি একেএম সেলিম ওসমান সাক্ষরিত ওই চিঠিতে সরকারের কাছে নগদ সহায়তার অনুরোধ জানানো হয়।
রবিবার বিকেএমইএর নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ হাতেম ইউএনবিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতি বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়েছে। টিকে থাকার এই সংগ্রামে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতও একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করছে।
চলমান বৈশ্বিক মন্দার কারণে বেশিরভাগ কারখানায় পর্যাপ্ত কার্যাদেশ না থাকায় উৎপাদন চলছে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ক্ষমতায়।
বিকেএমইএ চিঠিতে উল্লেখ করেছে, মাস শেষে শ্রমিকদের বেতন পরিশোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
বিকেএমইএ বলেছে, ইতোমধ্যে রপ্তানি করা পণ্যের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রেতারাও তাদের বকেয়া সময়মতো পরিশোধ করছেন না।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, চলতি মাসে বেতন ও ঈদ বোনাস দেওয়া নিয়ে ব্যাপক চাপ রয়েছে। ‘এমন পরিস্থিতিতে সরকার ও অর্থ বিভাগের সহযোগিতা ছাড়া এই চাপ সামলানো খুব কঠিন হবে।’
আরও পড়ুন: ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে হাইকমিশনের সহায়তা চায় বিজিএমইএ
তৈরি পোশাক শিল্পে জুলাই-ডিসেম্বরে ১৬% বেড়ে রপ্তানি ২৩ বিলিয়ন ডলার: বিজিএমইএ
সৌদি থেকে ফিরলেন নুর নাহার, বেতনের ১৯ লাখ টাকা উদ্ধার
সৌদি আরবের রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তায় ছয় বছর পর দেশে ফিরেছেন গৃহকর্মী নুর নাহার। একই সঙ্গে দূতাবাসের প্রচেষ্টায় নুর নাহারের নিয়োগকর্তা সৌদি নাগরিকের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ছয় বছরের বেতন ও ভাতা বাবদ প্রায় ১৯ লাখ টাকা।
নুর নাহার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া নিবাসী আবুল কালামের মেয়ে।
জানা যায়, ২০১৬ সালে মানসিক ভারসাম্যহীন বেকার স্বামী এবং একমাত্র মেয়েকে রেখে ভাগ্য ফেরাবার আশায় গৃহকর্মী হিসেবে সৌদি আরবে যান তিনি। যাওয়ার পর পরিবারের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তার। দীর্ঘ ছয় বছর অতিবাহিত হওয়ায় তাকে ফিরে পাওয়ার আশা একরকম ছেড়েই দেয় তার পরিবার। অপরদিকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে নুর নাহারও অনেকটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে।
বিষয়টি বাংলাদেশ দূতাবাসের নজরে আসলে নূর নাহারকে রিয়াদের হোতা বনি তামিম এলাকা থেকে উদ্ধার করে সেইফহোমে আশ্রয় দেয়া হয়। তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। মানসিক ভারসাম্যহীনতার কারণে তিনি বাংলাদেশে তার ঠিকানা বলতে পারছিলেন না। এ অবস্থায় পাসপোর্টে বর্ণিত ঠিকানা ও ছবি পাঠিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, রাঙ্গুনিয়ার সহায়তায় তার পরিবারের সঙ্গে দূতাবাসের শ্রম-কল্যাণ উইংয়ের যোগাযোগ স্থাপিত হয়।
তার বাবা আবুল কালাম জানান, সৌদি আরবে যাওয়ার পর দীর্ঘ ছয় বছরে দেশে কোন টাকা পাঠায়নি নুর নাহার।
আরও পড়ুন:রঘুনাথপুর সীমান্তবর্তী মাঠ থেকে অজ্ঞাত যুবকের লাশ উদ্ধার
এ প্রেক্ষিতে দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ উইংয়ের পক্ষ থেকে নূর নাহারের সৌদি নিয়োগকর্তাকে খুঁজে বের করা হয়। দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ উইংয়ের প্রচেষ্টার ফলে সৌদি নিয়োগকর্তার কাছ থেকে নিয়োগচুক্তির শর্ত মোতাবেক ছয় বছরের সমস্ত পাওনা বেতন-ভাতা বাবদ মোট ৬৮ হাজার ১৭ সৌদি রিয়াল (১৯ লাখ ৩৬ হাজার ৬৪৮) টাকা আদায় করা সম্ভব হয়।
নুর নাহারের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধির সহায়তায় তার নামে সংশ্লিষ্ট সোনালী ব্যাংকে একটি একাউন্ট খোলা হয়। উক্ত একাউন্টে তার সমস্ত পাওনা টাকা জমা করা হয়। সোমবার নুর নাহার বাংলাদেশে তার পাওনা অর্থ বুঝে পেয়েছে বলে জানা গেছে।
দীর্ঘ ছয় বছর রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে নুর নাহারকে ফিরে পেয়ে এবং তার কষ্টার্জিত সমস্ত পাওনা টাকা বুঝে পেয়ে তার পরিবারে এখন আনন্দের বন্যা। তার বাবা আবুল কালাম আনন্দের কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিপিএম (বার) এর প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানান। এ ছাড়া দূতাবাসের সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
আরও পড়ুন:চুয়াডাঙ্গায় ডাকবাংলো থেকে বিআরটিএ পরিদর্শকের লাশ উদ্ধার
নাটোরে দাখিল পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
বেতন না দিয়ে পোশাক কারখানা বন্ধ, বিজিএমইএ অফিস ঘেরাও
বেইস টেক্সটাইল নামে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে বিজিএমইএ’র অফিস ঘেরা ও কর্মসূচি পালন করেছেন।
সোমবার দুপুরের দিকে নগরী খুলশী থানাধীন ঝাউতলাস্থ বিজিএমইএ ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এছাড়া পাওনা আদায়ে শিল্প পুলিশ ও বিজিএমইএ কর্মকর্তাদের আশ্বাসে দুইদিনের জন্য আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেয়া হয়।
আন্দোলনকারী শ্রমিকরা জানান, কোন ধরনের পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ১৩ আগস্ট বেইস টেক্সটাইল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া তিন মাসের পাওনা পরিশোধ না করে হঠাৎ কারখানা বন্ধ করায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমিকরা। তাই পাওনা আদায়ের জন্য শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে বিজিএমইএ অফিস ঘেরাও করেছে।
আরও পড়ুন:ওয়াসার এমডি’র বেতন-বোনাসের হিসাব চাইলেন হাইকোর্ট
শ্রমিকরা আরও জানায়, মালিকপক্ষ বিনা অপরাধে কাউকে কিছু না বলে বেতন বকেয়া রেখে শ্রমিক ছাঁটাই শুরু করে এবং কোরাবানির ঈদে কারখানা কয়েকদিনের জন্য বন্ধ রাখলেও পরে আর চালু করেনি কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন পূর্বাঞ্চলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন জানান, দুইদিনের মধ্যে পাওনা পরিশোধের বিষয়ে সমাধান না পেলে লাগাতার কর্মসূচির ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতারা।
এর আগে গত ২৭ জুলাই নগরের চান্দগাঁও থানাধীন বাহির সিগন্যাল মোড়ে একই দাবিতে সড়ক অবরোধ করেন এই কারখানার শ্রমিকরা। পরে পুলিশ ও শ্রম আদালতের পক্ষ থেকে আইনি সহায়তার মাধ্যমে বকেয়া আদায়ের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।
আরও পড়ুন:৭ জুলাইয়ের মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস পরিশোধ করতে হবে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী
শ্রমিকদের বেতন দিতে শিল্পাঞ্চলে ৮ ও ৯ জুলাই ব্যাংক খোলা
শ্রমিকদের বেতন দিতে শিল্পাঞ্চলে ৮ ও ৯ জুলাই ব্যাংক খোলা
ঈদুল আজহার আগে পোশাক শ্রমিকদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের জন্য শুক্র ও শনিবার (৮ ও ৯ জুলাই) গার্মেন্টস বেল্টের ব্যাংক শাখা খোলার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ-সাইট সুপারভিশন বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব তফসিলি ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গার্মেন্টস শ্রমিকদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতা পরিশোধের জন্য ঢাকা মহানগর, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা ও নারায়ণগঞ্জের ব্যাংক শাখা শুক্র ও শনিবার পুরো দিন খোলা থাকবে।
পোশাক শ্রমিকদের রপ্তানি বিল পরিশোধের সুবিধার্থে চট্টগ্রাম মহানগর ও শিল্পাঞ্চলে ব্যাংকের শাখা খোলা রাখারও নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
স্থানীয় প্রশাসনের সমন্বয়ে ব্যাংক শাখায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
উল্লেখ্য, আগামী ১০ জুলাই সারাদেশে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। ঈদ উপলক্ষে ৯, ১০ ও ১১ জুলাই সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সতর্কতামূলক মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক
পদ্মা সেতু উদ্বোধনে ১০০ টাকার স্মারক নোট ছাড়বে বাংলাদেশ ব্যাংক
জুন মাসের বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবি পোশাক শ্রমিকদের
ঈদ বোনাসসহ জুন মাসের বেতন অবিলম্বে পরিশোধের দাবিতে শুক্রবার রাজধানীতে পোশাক শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে।
গার্মেন্ট শ্রমিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ (জি-স্কপ), ২০টি শ্রমিক সংগঠনের জোট জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় শ্রমিক নেতারা নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মহার্ঘ ভাতা প্রবর্তন, ভর্তুকি মূল্যে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে শ্রমিকদের জন্য রেশন ব্যবস্থা এবং কম ভাড়ায় শ্রমিকদের আবাসন নিশ্চিত করার দাবি জানান।
জি-স্কপের যুগ্ম সমন্বয়কারী আব্দুল ওয়াহেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংগঠনটির যুগ্ম সমন্বয়কারী কামরুল আহসান, গার্মেন্ট শ্রমিক ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, মাদারল্যান্ড গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি সালেহা ইসলাম শান্তনা, গার্মেন্ট ও দর্জি শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মোহাম্মদ রফিক প্রমুখ বক্তব্য দেন।
শ্রমিক নেতারা দাবি করেন, ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন এবং ক্রয় আদেশ বৃদ্ধির মধ্যে পোশাক কারখানার মালিকরা এখন খুব ভালো সময় পার করছেন। কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি এবং কাজের প্রচণ্ড চাপের কারণে পোশাক শ্রমিকরা এখন সবচেয়ে খারাপ সময়ের মুখোমুখি হচ্ছেন।
নেতারা শিগগিরই পুরো বেতন ও পূর্ণাঙ্গ ঈদ বোনাস পরিশোধের দাবি জানান।
আরও পড়ুন: টানা তৃতীয় দিনের মতো পোশাক শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
‘দীর্ঘতম ঈদের ছুটি’ কাটিয়ে কারখানায় ফিরেছে পোশাক শ্রমিকেরা