নৌযান
ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: অভ্যন্তরীণ নৌযান চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি' উপকূলের দিকে অগ্রসর হওয়ায় শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে অভ্যন্তরীণ ও উপকূলীয় সব রুটে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নির্দেশনা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে বিআইটিডব্লিউএ।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি' অবস্থান করায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলেছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিধিলি: চট্টগ্রামে ৬০৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত
এদিকে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরগুলোকেও ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যে খেপুপাড়ার কাছে মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। আর ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার দুপুরের মধ্যে উপকূল অতিক্রম শুরু করতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর (বিএমডি)।
আরও পড়ুন: মোংলা-পায়রা উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি'
নৌযানের অগ্নি নিরাপত্তায় আরও সচেতন হোন: নৌপরিবহন অধিদপ্তরের ডিজি
অভ্যন্তরীণ নৌযানের অগ্নি নিরাপত্তায় আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) সকাল ১০টায় রাজধানীর সদরঘাটের সুন্দরবন-১৬ লঞ্চে অনুষ্ঠিত অভ্যন্তরীণ নৌযান ও জাহাজের অগ্নি নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নৌপরিবহন অধিদপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার ও শিপ সার্ভেয়ার মো. মঞ্জরুল কবির।
মহাপরিচালক কমডোর এম মাকসুদ আলম বলেন, নৌযানের অগ্নিসংযোগ হলে ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি হয়। একটি বাণিজ্যিক জাহাজের সরঞ্জামাদির বেশিরভাগ দেশের বাইরে থেকে আনার ফলে ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন: নৌ-পথের নিরাপত্তায় পদ্মা-মেঘনায় বিশেষ অভিযান
তিনি আরও বলেন, জাহাজের অগ্নি নিরাপত্তার ব্যাপারে জাহাজ পরিচালনাকারীরা অবহিত থাকলে খুব সহজে ক্ষতির পরিমাণ কমানো সম্ভব।
জাহাজ পরিচালনাকারীদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করার আহ্বান করে তিনি বলেন, এসব প্রাকটিক্যাল অভিজ্ঞতা জাহাজের অগ্নি নিরাপত্তার ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে এবং দুর্ঘটনা কমাতে সহায়তা করবে।
কর্মশালাটিতে প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে ঢাকা বন্দরের ইঞ্জিনিয়ার মো. সিরাজুল ইসলাম নৌযান ও জাহাজের অগ্নি নিরাপত্তাবিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
আরও পড়ুন: নৌ দুর্ঘটনা রোধে বাল্কহেড নিয়ন্ত্রণসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দাবি জাতীয় কমিটির
বিমান ও নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের: আইনমন্ত্রী
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আগামী দিনের ‘শোকেস’ মন্ত্রণালয়ে পরিণত হতে যাচ্ছে: নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
নৌ দুর্ঘটনা রোধে বাল্কহেড নিয়ন্ত্রণসহ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দাবি জাতীয় কমিটির
নৌ দুর্ঘটনা রোধে বালুবাহী নৌযান (বাল্কহেড) চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ সব ধরনের অবৈধ নৌযানের বিরুদ্ধে অভিযান শুরুর দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি। এজন্য সারা দেশে অবিলম্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
সোমবার (৭ আগস্ট) এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়সহ নৌপরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের প্রতি এই আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে সনদবিহীন চালককে (মাস্টার ও ড্রাইভার) শাস্তি প্রদানের পাশাপাশি অবৈধ চালক নিয়োগ দেওয়ায় নৌযান মালিককেও আইনের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
এ ছাড়া জনস্বার্থে জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশকেও এ কাজে সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান নাগরিক সংগঠনটির নেতারা।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: বাল্কহেডের মালিক-চালকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
বাল্কহেডের কারণে দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত নৌ দুর্ঘটনা ও যাত্রীবাহী নৌযান ডুবে প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, সূর্যাস্ত থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত বাল্কহেড চলাচল নিষিদ্ধ হলেও প্রশাসনের নাকের ডগায় রাতে শত শত বাল্কহেড চলাচল করছে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বরাত দিয়ে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতারা বলেন, নিবন্ধিত নৌযানের সংখ্যা ১৫ হাজার হলেও সারা দেশে বিভিন্ন ধরনের অন্তত ৮৫ হাজার নৌযান রয়েছে। এই ৭০ হাজার অবৈধ নৌযানের মধ্যে অন্তত ছয় হাজার রয়েছে বাল্কহেড।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নিবন্ধিত ১৫ হাজার নৌযানের মধ্যে নিয়মিত বার্ষিক জরিপ (ফিটনেস পরীক্ষা) করা হয় মাত্র আট হাজারের। নিয়ন্ত্রক সংস্থা নৌপরিবহন অধিদপ্তর ও বিআইডব্লিউটিএর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জ্ঞাতসারে অবশিষ্ট সাত হাজার ত্রুটিপূর্ণ নৌযান অবাধে চলাচল করছে।
কর্তৃপক্ষ সেগুলোর বিরুদ্ধে অদৃশ্য কারণে ব্যবস্থা না নেওয়ায় অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে।
জাতীয় কমিটি অবৈধ ও আইন অমান্যকারী নৌযান চলাচলের সুযোগ দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নৌযান মালিককেও উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছে।
শনিবার রাতে মুন্সিগঞ্জে পদ্মা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবে আটজন এবং ১৭ জুলাই রাতে ঢাকার কেরাণীগঞ্জে তৈলপট্টিঘাটে বুড়িগঙ্গা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় ওয়াটারবাস ডুবে তিন যাত্রীর মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ওয়াটার বাস ডুবে নিহত ৪
কাপ্তাই লেকে নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ
অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের নৌযান চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলায় জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে শনিবার (৫ আগস্ট) ভোর থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছেন রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান।
শুক্রবার (৪ আগস্ট) রাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং জরুরি সরকারি কাজে নিয়োজিত নৌযানসমূহ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মোখা: রাঙ্গামাটিতে জরুরি সতর্কতা জারি, কাপ্তাই হ্রদে নৌ চলাচল বন্ধ
এদিকে, গত চার দিন ধরে রাঙ্গামাটিতে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়েছে। ভারী বর্ষণের ফলে পাহাড় ধসেরও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান পাহাড়ের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার এবং সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা জারি করেছেন।
মাইকিং করে রাঙ্গামাটি শহরের শিমুলতলী, রূপনগর, লোকনাথ মন্দির এবং ভেদভেদি মুসলিম পাড়ার ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হচ্ছে।
এ ছাড়া পাহড়ের পাদদেশে বসবাসরতদের জন্য রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের ৯ ওয়ার্ডে ১৯টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলেও জেলা প্রশাসন জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: কাপ্তাই হ্রদে ২০ এপ্রিল থেকে ৩ মাস মাছ ধরা নিষেধ
কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানায় নৌ চলাচল ব্যাহত: সীমাহীন দুর্ভোগে এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা
চট্টগ্রাম বন্দরে দেশজুড়ে নৌযান শ্রমিকদের ধর্মঘটে পণ্য খালাস বন্ধ
নৌযান শ্রমিকরা মধ্যরাত থেকে দেশব্যাপী ধর্মঘট শুরু করায় রবিবার চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে।
শনিবার দিবাগত রাত থেকে ডাকা ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষমাণ বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাসে নিয়োজিত লাইটার জাহাজ, অয়েল ট্যাংকারসহ প্রায় সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ এই ধর্মঘটের ডাক দেয়।
চট্টগ্রাম বন্দরসহ সব নৌবন্দরে লাইটার জাহাজ ও অন্যান্য নৌযান রাখার জন্য পোতাশ্রয় নির্মাণ, চট্টগ্রাম, খুলনা ও বরিশালে পরীক্ষা কেন্দ্র, নৌ-আদালত স্থাপনসহ ১০ দফা দাবিতে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছে নৌযান শ্রমিকরা।
আরও পড়ুন: ধ্বংস করা হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের পচনশীল ৭৩ কনটেইনার পণ্য
বাংলাদেশ লাইটার ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের সহ-সভাপতি মো. নবী আলম বলেন, ১৫ নভেম্বর ১০ দফা দাবি নিয়ে এই অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়া হয়। তাই মধ্যরাত থেকে বন্দরের বহির্নোঙরে রাখা বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে সাধারণ শ্রমিকরা। একই সঙ্গে মাঝিরঘাট ও সদরঘাট এলাকার ১৮টি বেসরকারি ঘাটেও লাইটার জাহাজে করে পণ্য খালাসের কাজ বন্ধ রয়েছে।
নৌযান শ্রমিক সংগ্রাম পরিষদ চট্টগ্রামের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বলেন, সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা বেতন,কর্মরত অবস্থায় নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ১০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ, ভারতীয় লাইনে প্রটোকলে ল্যান্ডিং পাস ইস্যুসহ ১০ দফা দাবিতে ধর্মঘট চলছে। লাইটার জাহাজ, ট্যাংকার, যাত্রীবাহী লঞ্চ এ কর্মবিরতির আওতায় রয়েছে।
শ্রমিকদের ১০ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- নৌযান শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বুক প্রদানসহ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, খাদ্য ভাতা ও সমুদ্র ভাতার সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড ও নাবিক কল্যাণ তহবিল গঠন করা, দুর্ঘটনা ও কর্মস্থলে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা, চট্টগ্রাম থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে জ্বালানি তেল সরবরাহে দেশের স্বার্থবিরোধী অপরিণামদর্শী প্রকল্প বাস্তবায়নে চলমান কার্যক্রম বন্ধ করা, বালুবাহী বাল্কহেড ও ড্রেজারের রাত্রিকালীন চলাচলের ওপরে ঢালাও নিষেধাজ্ঞা শিথিল, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, ভারতগামী শ্রমিকদের লান্ডিং পাস প্রদানসহ ভারতীয় সীমানায় সবধরনের হয়রানি বন্ধ করা, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন নীতিমালা শতভাগ কার্যকর করে সকল লাইটারিং জাহাজকে সিরিয়াল মোতাবেক চলাচলে বাধ্য করা, চরপাড়া ঘাটে ইজারা বাতিল ও নৌপরিবহন অধিদ্প্তরের সব ধরনের অনিয়ম-অব্যবস্থাপনা বন্ধ করা।
আরও পড়ুন: লাইটার জাহাজ শ্রমিকদের ধর্মঘট, চট্টগ্রাম বন্দর থেকে পণ্য পরিবহন বন্ধ
চট্টগ্রাম বন্দর রিজিওনাল শিপিং হাব-এ পরিণত হয়েছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
সারাদেশে নৌযান চলাচল শুরু
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং-এর প্রভাবে সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় প্রায় ২৪ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার সকালে অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কার্যক্রম পুনরায় শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন জানান, বিআইডব্লিউটিএ সকাল ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে নৌযান চলাচল পুনরায় শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে। নদীবন্দরগুলো এখন ১ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেতের আওতায় রয়েছে।
এর আগে সোমবার সকাল ১০টায় বিআইডব্লিউটিএ সারাদেশের সব নৌপথে নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয়।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: কক্সবাজারের উপকূলে ১৩ ট্রলারডুবি
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সোমবার মধ্যরাতে ভোলার নিকটে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করলেও বৃষ্টিপাতের কারণে দ্রুত দুর্বল হয়ে নিম্নচাপে পরিণত হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সিত্রাং খুব দ্রুত উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয় ও বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করে এবং বর্তমানে ঢাকা-কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও তৎসংলগ্ন এলাকায় স্থল নিম্নচাপ হিসেবে অবস্থান করছে।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: উপকূলবাসীর পাশে দাঁড়াতে আ.লীগ নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং: তিন বিভাগের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’: সারাদেশে নৌযান চলাচল বন্ধ
ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সারাদেশের সব নৌপথে নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
বিআইডব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন ইউএনবিকে জানান, সোমবার সকাল ১০টা থেকে এই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে।
এছাড়া বিআইডব্লিউটিএর সব কর্মকর্তার ছুটি বাতিল করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার ভোররাতে খেপুপাড়ার নিকটে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে এবং ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবের কারণে সারাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।
রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত যাত্রীবাহী নৌযান চলাচলের অনুমতি
তৈরি পোশাক কারখানাসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানায় কাজে যোগ দিতে শ্রমিকদের পরিবহনের জন্য যাত্রীবাহী নৌযান রবিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। শনিবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এই তথ্য জানিয়েছে।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, সন্ধার পর এখন থেকে আগামীকাল রবিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করবে ।
বিআইডব্লিউটিএ এ বিষয়ে জন সংযোগ কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে বিআইডব্লিউটিএ লঞ্চের মালিক, মাস্টার, চালক, কর্মচারী ও যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোগান্তি উপেক্ষা করে ঢাকায় ছুটছে মানুষ
করোনা ভাইরাসের বিস্তাররোধে গত ২৩ জুলাই মধ্যরাত থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশব্যাপী সরকার ফের 'কঠোর' লকডাউন দিয়েছে। ঈদুল আজহার আগে বিআইডব্লিউটিএ ১৪ জুলাইয়ের মধ্যরাত থেকে ২৩ জুলাই ভোর ৬ টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য নির্দেশিকা বজায় রাখার শর্তে লঞ্চগুলোকে ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী বহন করার অনুমতি দেয়।
রবিবার ১ আগস্ট কলকারখানা আবার চালুর ঘোষণা আসার পর গণপরিবহন চলাচল বন্ধ থাকা সত্বেও লকডাউনের নবমতম দিনে শনিবার হাজার হাজার মানুষ ঢাকায় ফিরতে শুরু করে। কর্মস্থলে যোগ দিতে রাজধানীতে ফিরে আসার জন্য মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে দক্ষিণ -পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোর মানুয়ের প্রচুর ভিড় দেখা গেছে।
আরও পড়ুন: করোনায় আরও ২১৮ প্রাণহানি, শনাক্ত ৩০.২৪ শতাংশ
শুক্রবার থেকে ১৪ দিন বন্ধ থাকবে নৌযান চলাচল
শুক্রবার থেকে ১৪ দিন বন্ধ থাকবে নৌযান চলাচল
করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১৩ জুলাইয়ের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে ২৩ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে ৫ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত অভ্যন্তরীণ নৌপথে সকল ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
বাংলা অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) এর ১৩ জুলাই নৌযান পরিচালনা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি না মানলে জরিমানা: নৌ প্রতিমন্ত্রী
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা সকল ধরনের যাত্রীবাহী নৌযান হলো, লঞ্চ, স্পিডবোট, ট্রলার ও অন্যান্য। অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী নৌযানের মালিক, মাস্টার, ড্রাইভার, স্টাফ, যাত্রীসাধারণ ও সংশ্লিষ্ট সকলকে উক্ত নির্দেশনা মেনে চলতে বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয়েছে।
৭ জেলায় নৌযান চলাচল বন্ধ
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ঢাকার পার্শ্ববর্তী সাত জেলায় যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধি প্রতিরোধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) গতকাল রাতে এ সংক্রান্ত এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সাত জেলায় (মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, গাজীপুর, মাদারীপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ) যাত্রীবাহী নৌযান (লঞ্চ/স্পিডবোট/ট্রলার/অন্যান্য) চলাচল বন্ধ থাকবে। একই সময় হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত ঢাকা থেকেও সারাদেশে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
আরও পড়ুন: মঙ্গলবার থেকে ৭ জেলায় ‘লকডাউন’
পণ্য পরিবহন এবং জরুরি সেবা প্রদানকারী নৌযানের ক্ষেত্রে এ আদেশ কার্যকর হবে না।
অভ্যন্তরীণ নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী নৌযানের মালিক, মাস্টার, ড্রাইভার, স্টাফ, যাত্রীসাধারণ ও সংশ্লিষ্ট সকলকে উক্ত নির্দেশনা মেনে চলতে বিজ্ঞপ্তিতে অনুরোধ করা হয়েছে। আদেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এর আগে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে দেশের সাত জেলায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ৩০ জুন (বুধবার) রাত ১২ পর্যন্ত এই লকডাউন চলবে।
আরও পড়ুন: করোনায় বিশ্বব্যাপী মৃত্যু ৩৮ লাখ ৭২ হাজার ছাড়াল
সোমবার বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জরুরি সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
জেলাগুলো হলো-নারায়াণগঞ্জ,গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, রাজবাড়ী, মাদারীপুর ও গোপালগঞ্জ।
আরও পড়ুন: লকডাউন: খুলনায় কঠোর বিধিনিষেধ চলছে
তিনি জানান, এ সময় শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা ও জরুরি পরিষেবা যেমন-কৃষি উপকরণ, খাদ্যশস্য ও খাদ্যদ্রব্য পরিবহন, ত্রাণ বিতরণ, স্বাস্থ্যসেবা, কোভিড-১৯ টিকা প্রদান, বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস/জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরগুলোর কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, গণমাধ্যম, বেসরকারি নিরাপত্তা ব্যবস্থা, ডাক সেবাসহ অন্যান্য জরুরি ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ, তাদের কর্মচারী ও যানবাহন এবং পণ্যবাহী ট্রাক/লরি এ নিষেধাজ্ঞার আওতার বাইরে থাকবে।