হত্যা
উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ১৮ বছর বয়সী এক রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের কুতুপালং-৮ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
রোহিঙ্গা যুবক মোহাম্মদ ইউনুস ওই ক্যাম্পের মো. হামিদ হোসেনের ছেলে।
আরও পড়ুন: ভারতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে একই পরিবারের ৬ জনকে গুলি করে হত্যা
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলি জানান, রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ আরএসও সোর্স সন্দেহে আরসার সন্ত্রাসীরা ওই যুবককে গুলি করে করে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, খবর পেয়ে রোহিঙ্গাদের সহযোগিতায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা
উখিয়ায় রোহিঙ্গা মাঝিকে গুলি করে হত্যা
চট্টগ্রামে হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড, ৮ জনের যাবজ্জীবন
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় মাহামুদুল হক হত্যা মামলায় ২ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) চট্টগ্রামের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ড. আবুল হাসানাতের আদালত এ রায় দেন। রায়ে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় খালাস পেয়েছেন কলিম উল্লাহর ছেলে আব্দুল মালেক।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন- লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদ ইউনিয়নের রাজঘাটা এলাকার মৃত ইয়াকুব মিয্ঞার ছেলে শামসুল ইসলাম ও তার ভাই সৈয়দ আহম্মেদ।
আরও পড়ুন: বরিশালে শিশু ধর্ষণের ঘটনায় ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- একই এলাকার মৃত ইয়াকুম মিয্ঞার ছেলে আইয়ুব আলী, আইয়ুব আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম, মো. ইউসুফের ছেলে আজম বাদশা ও আলমগীর, বেলায়েত আলীর তিন ছেলে জসিম উদ্দীন আবুল কাশেম ও নাজিম উদ্দীন এবং একই থানার পদুয়া ইউনিয়নের নোয়াপাড়া এলাকার আব্দুল হাকীমের ছেলে নুরুল আলম।
রায়ের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী নাজিম উদ্দীন।
ঘটনার বিবরণে আদালত সূত্রে জানা যায়, ২২ বছর আগে ২০০১ সালের ৩ নভেম্বর লোহাগাড়া থানার আমিরাবাদ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড রাজঘাটা এলাকায় ভুক্তভোগী মাহামুদুল হককে মারধর ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে সন্ত্রাসীরা।
৫ নভেম্বর মাহামুদুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
এ ঘটনায় মাহামুদুল হকের ভাই আলী আহমেদ বাদী হয়ে ১১ নভেম্বর ১৩ জনের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া থানায় মামলা করে। পুলিশ তদন্ত শেষে ২০০২ সালের ২৮ জানুয়ারি আদালতে এজাহারভুক্ত ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।
২০০৬ সালের ৮ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ। মামলায় বিচার চলাকালে ২ জন আসামির মৃত্যু হয়।
মামলায় মোট ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় সাহেদের তিন বছরের কারাদণ্ড
সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেদোয়ানের ৩ বছরের কারাদণ্ড
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যার নীল নকশা: ডেপুটি স্পিকার
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করার একটি নীল নকশা।
তিনি বলেন, আগস্ট মাস বাঙালি জাতির রক্তক্ষরণের মাস। ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের ধারাবাহিকতায় সংঘটিত হয় ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা।
আরও পড়ুন: মাদক নিয়ন্ত্রণে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে: ডেপুটি স্পিকার
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) পাবনা জেলার বেড়া উপজেলার কৈটোলায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব বালিকা বিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, বিএনপি-জামায়াত সরকার আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করতেই এই অপচেষ্টা চালায়। গ্রেনেড হামলার পর উপর্যুপরি গুলি করে শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে একটি গোষ্ঠী এদেশে পাকিস্থানি সরকার কায়েম করতে চেয়েছিল। তারা এদেশের উন্নয়নকে পেছনে নিয়ে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে দেশে ফিরে এলেন। জাতির পিতা হত্যার বিচার করলেন এদেশের মাটিতেই। এছাড়া বাংলাদেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে দিন রাত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন: আহমেদ ফিরোজ কবিরের মায়ের মৃত্যুতে ডেপুটি স্পিকারের শোক
সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীদের অবদানের যোগ্য সম্মান দিতে হবে: ডেপুটি স্পিকার
শেখ হাসিনাকে হত্যার জন্য রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট ষড়যন্ত্র ছিল ২১ আগস্ট: সাক্ষী আহত নাজিব
২১ আগস্টের জঘন্য গ্রেনেড হামলার মুহূর্ত স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই ও তার সাবেক ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কর্মী নাজিব আহমেদ বলেছেন, খুনিরা আসলে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে যা করতে পারিন, তাই করতে চেয়েছিল। তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা ও আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতাকে হত্যা করতে চেয়েছিল।
তিনি ইউএনবিকে বলেন, “এটি রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট চূড়ান্ত ষড়যন্ত্র ছিল (খুনিদের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার জন্য)। তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পলাতক খুনিদের ফিরিয়ে এনে এই মামলার রায় কার্যকর করা উচিত।
নাজিব বলেন, ‘আদালতের রায় কার্যকর হলে যাদের আমরা হারিয়েছি তাদের আত্মা শান্তি পাবে।’
২০০৪ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় থাকাকালীন বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। প্রধান টার্গেট ছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ভয়াবহ হামলায় ২৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার জন আহত হন। আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সৌভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে গেলেও বারবার গ্রেনেড বিস্ফোরণে তার শ্রবণশক্তি বিঘ্নিত হয়। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা: হত্যাকারীদের ফাঁসি দেখতে চান মাহাবুবুর রশিদের মা-বাবা
তিনি বলেন, তাদের একটি একক লক্ষ্য ছিল যে তাকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া। ‘আমরা সেটা করতে পেরেছিলাম। আমরা রাজনৈতিকভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিলাম এবং তাকে রক্ষা করার দায়িত্ব আমাদের ছিল। আমরা তাকে একা রেখে পালিয়ে যাইনি। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সাফল্য যে আমরা নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাকে খুনিদের হাত থেকে রক্ষা করতে পেরেছি।’
নাজিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জীবিত দেখে তিনি আজ সন্তুষ্ট। ‘আমি তাকে সুরক্ষিত রাখতে যেকোনো যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত। এখনো আমার সেই শক্তি ও সাহস আছে।’ সর্ব শক্তিমান আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছেন।
নাজিব বলেন, ওই হামলার দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে না থাকলে এটা তার জন্য সারাজীবসের কষ্ট হয়ে থাকত।
আরও পড়ুন: আর যেন ১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তি না হয়: আইইবি নেতারা
তিনি বলেন, ‘ আমি অনুভব করতে পারি আমার শরীরে গ্রেনেডের স্প্লিন্টার এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় হাঁটতে থাকে। আমরা যারা স্প্লিন্টার সহ্য করছি কেবল ব্যথা বুঝতে পারি। আমরা, যারা আমাদের শরীরে স্প্লিন্টার বহন করছি, এমনকি এমআরআই (ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং) করতে পারি না, এই কষ্ট অন্য কাউকে বোঝানো যাবে না।’
প্রথমবার যখন বিস্ফোরণ হয়, সেই সময়ের কথা মনে করে নাজিব বলেন, ‘একপর্যায়ে সব নেতা তাদের বক্তৃতা শেষ করেন। বক্তব্যের শেষ অংশে ছিলেন নেত্রী হাসিনা। তিনি জয় বাংলা উচ্চারণ করেন এবং জয় বঙ্গবন্ধু উচ্চারণ করতে থাকেন। ঠিক সেই মুহূর্তে, আমি লক্ষ্য করলাম সিটি হোটেলের সামনে থেকে একটি কালো বস্তু আমাদের দিকে উড়ে আসছে। এক সেকেন্ডের মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটে।’
সব সময় তার নিরাপত্তার জন্য যারা নিয়োজিত ছিলেন তাদের মধ্যে তিনি নিজেকে সবচেয়ে সিনিয়র বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘সাধারণত, বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে পুলিশ ও আয়ামী লীগ নেতারা একত্রিত হয়, কিন্তু সেই নির্দিষ্ট দিনে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা-কর্মীকে ছাদে থাকতে দেওয়া হয়নি। ছাদে কোনো পুলিশ মোতায়েন ছিল না। আমরা সেই সময় এটিকে খুব বেশি গুরুত্বের সঙ্গে নিইনি তবে এটি আমাদের নজরে এসেছিল।’
তিনি বলেন, কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে যখন বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণ ঘটল, তখনই আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা-কর্মীরা তিন দিক থেকে শেখ হাসিনাকে ঘিরে ফেলেন। সেই মুহূর্তের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ট্রাকে ছিলাম। হানিফ ভাই, মায়া ভাই ও স্কোয়াড্রন লিডার মামুন তিন দিক থেকে আপাকে (হাসিনা) রক্ষা করেছেন।’
আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, ‘তার সামনের দিকে একটি টেবিলের মতো কিছু ছিল।এ কারণে তার শরীরের অর্ধেক অংশ ঢাকা থাকলেও অর্ধেক অংশ ফাঁকা ছিল। আমি সামনের দিকটি অবরুদ্ধ করেছিলাম। যে কোনো মূল্যে তাকে রক্ষা করার জন্য আমরা একটি মানবঢাল তৈরি করেছি।’
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তাকে সর্বশক্তিমান আল্লাহকে স্মরণ করতে বলেন। ‘শুধু আল্লাহই আমাদের রক্ষা করতে পারেন।তখন আমরা একত্রে দোয়া ইউনুস পাঠ করছিলাম। আমাদের উপর আবার হামলা হয় এবং স্প্লিন্টারটি আমাকে এবং অন্যদের আঘাত করে।’
তারা ট্রাক থেকে নেমে হাসিনাকে এসইউভিতে নিয়ে যেতে সক্ষম হযন। মেজর মামুন দৌড়ে গিয়ে গাড়ির বাম দরজা খুলে দেন। শেখ হাসিনা তার ভেতর ঢুকে পড়েন। নাজিব, তারেক, শোয়েব, মামুন ও মায়া তাকে অনুসরণ করেন।
তারা ভীতিকর দৃশ্য দেখেছে এবং আহতদের মধ্যে কয়েকজন রাস্তায় পড়ে আছে, প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে, কেউ জমাট রক্তের উপর বসে কাঁদছে এবং কিছু স্থির দেহ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমি দেখলাম আইভি চাচি (আইভি রহমান) রক্তাক্ত নিথর অবস্থায় পড়ে আছেন। আমি আমার চাচাতো ভাই বাহাউদ্দিন নাসিম রক্তাক্ত অবস্থায় উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে কিন্তু ব্যর্থ হচ্ছে।’
গাড়ি থেকে নেমে হাসিনা তার দলের লোকদের কিছু টাকা দেন এবং দ্রুত ঘটনাস্থলে যেতে বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার (২১ আগস্ট) গ্রেনেড হামলা মামলার বিচারিক আদালতের রায় দ্রুত বাস্তবায়নের উপর জোর দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এই ২১ আগস্ট দিনের বেলায় আইভি রহমানসহ আমাদের নেতা-কর্মীদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। বিচার হয়েছে। এর (ট্রায়াল কোর্ট) রায় দেওয়া হয়েছে। এই রায় শিগগিরই কার্যকর করা উচিত।’
ঢাকার একটি আদালত এর মধ্যে ৪৯ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে এবং তাদের মধ্যে ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১৯ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে। আরও ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিএনপি নেতা তারেক রহমানসহ ১৮ দণ্ডিত আসামি পলাতক রয়েছেন।
বর্তমানে রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে শুনানি চলছে উচ্চ আদালতে। আজকের আলোচনায় সভাপতিত্ব করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, গ্রেনেড হামলা মামলার কিছু সাজাপ্রাপ্ত আসামি এখন কারাগারে থাকলেও মূল হোতা দেশের বাইরে থাকেন।
আরও পড়ুন: ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ১৯তম বার্ষিকী আজ
ঠাকুরগাঁওয়ে ছুরিকাঘাতে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য হত্যা, আটক ৩
ঠাকুরগাঁও শহরের পরিষদপাড়ায় শুক্রবার (১৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ওরাঁও সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তিতে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহত ইষ্টিফান তিরকী (৫০) কলেজ পাড়া এলাকার মৃত দানিয়েল তিরকীর ছেলে। দুই সন্তানের জনক স্টিফান পেশায় সেচ পাম্পসহ বিভিন্ন যন্ত্রাংশ মেরামতকারী (টেকনিশিয়ান) ছিলেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে জমি নিয়ে বিরোধ, দেবরের হাতে ভাবি খুনের অভিযোগ
আটককৃতরা হলেন- পরিষদপাড়া এলাকার মৃত শিলিউস টপ্পর ছেলে জুলিয়ান টপ্প (৪২), জসেন্ড তিরকীর ছেলে প্রদিপ তিরকী (১৯) এবং মৃত বন্ধন তীগ্যার ছেলে মনোরঞ্জন তীগ্যা (৩৭)।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইষ্টিফান রাত ৯ টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়ে জেলা পরিষদ পাড়ায় যায়। সেখানে রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে রবি ড্রাইভারের বাড়ির সামনে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় তার ওপর। তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় পুরো এলাকা অন্ধকারে ঢেকে যায়। হৈচৈ চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা ছুটে এসে ইষ্টিফানকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে। তা দেখে ওই এলাকার মনোরঞ্জন তিগ্যা নামে এক প্রতিবেশী ইষ্টিফান তিরকীকে উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদের সভাপতি য্যাকোব খালকো জানান, ঘটনার কয়েক মিনিট আগে তার সঙ্গে কথা হয়। এরপর কিছুক্ষণ পড়ে শুনতে পাই ইষ্টিফান খুন হয়েছে। আমি এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ বলেন, এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। দ্রুতই দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মা-মেয়ে খুন
সিলেটে ছুরিকাঘাতে স্ত্রীকে খুন, স্বামী গ্রেপ্তার
নড়াইলে কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নড়াইলের লোহাগড়ার কল্যাণপুর গ্রামে এক কৃষককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত সুফল বিশ্বাস (৩৬) ওই গ্রামের অনিল বিশ্বাসের ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
নিহতের পরিবার জানায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে সুফল পাট জাগ দেওয়ার কাজ করছিলেন। এসময় ওই গ্রামের রোস্তম শেখ এবং তার দুই ছেলে তমাল ও রুবেল হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে সুফলকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। তাকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে রাতে মারা যান।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে। এই খবর লেখা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
আরও পড়ুন: নড়াইলে যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
নড়াইলে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
ঢাকার উত্তরায় কিশোরকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা
রাজধানীর উত্তরায় বৃহস্পতিবার(১৭ আগস্ট) রাতে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত লিমন (১৮) ওই এলাকার বাসিন্দা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
লিমনের বন্ধু মো. লিয়ন জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে লিমনসহ পাঁচ বন্ধু ৫ নম্বর সেক্টরের ৯ নম্বর সড়কে হাঁটতে যায়।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পায়ের রগ কেটে যুবককে হত্যা, আহত ১
হঠাৎ লিমনের সঙ্গে তার এক বন্ধু ওবায়দুল (১৮) তালা ঝগড়া করে। তবে ওবায়দুল স্থান ত্যাগ করে মমিনুল ও শাহজালালের সঙ্গে ফিরে এসে লিমনকে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে।
তাকে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে স্থানান্তর করা হলে চিকিৎসক রাত ১০টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: দিনাজপুরে মাদকাসক্ত যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক ২
দিনাজপুরে মাদকাসক্ত যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগে আটক ২
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুই মামার বিরুদ্ধে।বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ৬ নম্বর অমরপুর ইউনিয়নের লক্ষীপুর উত্তরপাড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত লাবু হোসেন লিমন (২৫) একই গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে।
চিরিরবন্দর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নুর আলম বাবি বলেন, এ ঘটনায় নিহতের দুই মামাকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পরিবারের সদস্যরা জানান, লিমন দীর্ঘদিন ধরে মাদক সেবন করে আসছিলেন। তিনি প্রায়ই বাড়ি থেকে জিনিসপত্র চুরি করতেন, আসবাবপত্র ভাংচুর করতেন এবং মাদকের টাকার জন্য তার বাবা-মাকে মারধর করতেন। এতে হতাশ হয়ে লিমনের বড় মামা হায়দার আলী (৫৫) ও ছোট মামা হাসমত আলী হাসু (২৬) তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনরা তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
‘তারা ঘটনাটিকে দুর্ঘটনা হিসেবে আড়াল করতে চেয়েছিল’। কিন্তু পুলিশ তদন্ত শেষে এর আসল ঘটনা জানতে পেরেছে বলেও জানান এসআই।
এসআই আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গ্রেপ্তার দু’জনকে আগামীকাল আদালতে হাজির করা হবে।
আরও পড়ুন: মায়ের বকুনিতে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পায়ের রগ কেটে যুবককে হত্যা, আহত ১
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে এক যুবকের পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। এসময় আওয়াল মিয়া নামের (৪৭) একজন গুরুতর আহত হন।
সোমবার (১৫ আগস্ট) রাতে উপজেলার তালশহর পশ্চিম ইউনিয়নের তালশহর বাজারে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত জনি মিয়া (৩৫) ওই এলাকার মো. মকসেন মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে অটোরিকশা চালককে গলাকেটে হত্যা
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহমেদ বলেন, জনি মিয়া ও আওয়াল মিয়া রাত ১০টার দিকে তালশহর বাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে বাজার সংলগ্ন সেতু অতিক্রম করতেই কয়েকজন অতর্কিতভাবে তাদের ওপর হামলা করে। এসময় জনি মিয়ার দুই পায়ের রগ কেটে ফেলে এবং সঙ্গে থাকা আওয়ালকেও কুপিয়ে আহত করা হয়।
পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় পাঠান। ঢাকায় যাওয়ার পথে রাত ২টার দিকে নরসিংদীতে জনি মিয়া মারা যায়।
তিনি আরও বলেন, নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অভিযোগ সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মা-মেয়ে হত্যা মামলায় ৩ ভাই গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় চুরির অপবাদে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার কুশীলবদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠন করা হবে: আইনমন্ত্রী
আইন,বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিশন গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘এজন্য প্রয়োজনীয় আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আপনাদের সহযোগিতা পেলে আইনটি পাস করা হবে।’
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) নিজ নির্বাচনী এলাকা আখাউড়ার আইনজীবী সিরাজুল হক পৌর মুক্তমঞ্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: উপাত্ত সুরক্ষা যেন হয়, আইনে সে ব্যবস্থাই থাকবে: আইনমন্ত্রী
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, পৌর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আনিসুল হক বলেন, আমরা কোনো প্রতিহিংসার জন্য নেপথ্যের কুশীলবদের চিহ্নিত করবো না বরং বাঙালি ও নতুন প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্যই এই কমিশন গঠন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার জন্য বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। ঘাতকরা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করে ষড়যন্ত্র করার জন্য আজকের দিনটিকে বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু আমাদের সৌভাগ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।
তিনি বলেন, ‘এ দিনে শুধু বঙ্গবন্ধুকে নয়, তার পরিবারের অন্য ১৭ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ হত্যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশকে হত্যা করা। খুনিরা জানতেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করা হলে বাংলাদেশকে হত্যা করা যাবে।’
তিনি আরও বলেন, যারা বাংলাদেশকে চাননি, একাত্তরের সেই পরাজিত শক্তি বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেন। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা বিদেশে না থাকলে তাদের আমরা আজ জীবিত পেতাম না।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু দু’জন খুনির একজন যুক্তরাষ্ট্রে, আরেকজন কানাডায় অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্রে যিনি আছেন তাকে ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে জোর আলোচনা চলছে। তবে কানাডার আইনে আছে সে দেশে অবস্থানকারী কারো অন্য দেশে মৃত্যুদণ্ড হলে তাকে ফেরত দেয় না। যতক্ষণ পর্যন্ত বাকি খুনিদের দেশে ফেরত এনে বিচারের রায় পরিপূর্ণভাবে কার্যকর না করা যাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদেরকে ফেরাতে চেষ্টা চালিয়ে যাব।’
সোনার বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিশোধ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আরও পড়ুন: সাইবার নিরাপত্তা আইনে কোনো সাংবাদিককে হয়রানি করা হবে না: আইনমন্ত্রী
টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাত প্রধানমন্ত্রীর