হত্যা
রাজশাহীতে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
রাজশাহীতে মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) রাত ৯টার দিকে রাজশাহী মহানগর পুলিশ (আরএমপি) দামকুড়া থানার চরমাজারদিয়াড় এলাকায় হাড়ুপাড়া ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক আবু সাঈদ (৩০) চরমাজারদিয়াড় মধ্যপাড়া গ্রামের আমির হোসেন চৌকিদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: নড়াইলে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
স্থানীয়রা জানান, আবু সাঈদের সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত ওই এলাকার কিছু মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শত্রুতা চলছিল। মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে আবু সাঈদ প্রতিবাদ করায় মাদক কারবারিদের সঙ্গে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়।
সেই বিরোধের জেরে অজ্ঞাত ১০ থেকে ১৫ জন সাঈদের পথ আটকে তার পায়ে গুলি করে এবং তাকে এলোপাতাড়ি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
পরে স্থানিয়রা সাঈদের পরিবারকে ফোন করে বিষয়টি জানালে তার পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ভর্তি করালে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয় দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া সাঈদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
এ ঘটনায় দামকুড়া থানায় নিহত সাঈদের স্ত্রী বাদী হয়ে রাতেই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করে আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান রাত থেকেই শুরু হয়েছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে জানান ওসি।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় কৃষককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাবেক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
কিশোরগঞ্জে দুই ভাইবোনকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার ৩
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে দুই সহোদর ভাইবোনকে হত্যা মামলার তিন আসামিকে জেলার করিমগঞ্জ ও লালমনিরহাট থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ এ তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, সহোদর ভাই-বোনকে হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি মো. ইমরানকে হোসেনপুর থানার ওসি ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান টিটুর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে রবিবার লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি বলেন, এছাড়া আরমান মিয়াসহ সংঘর্ষে জড়িত অপর এক শিশু আসামিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শনিবার (১৫ জুলাই) কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে নিখোঁজের ৩৮ ঘন্টা পর মাঝির লাশ উদ্ধার
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ আরও জানান, মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সহকারী পুলিশ সুপার মো. মোস্তাক সরকার, সহকারী পুলিশ সুপার (ডিএসবি) নুরে আলম অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সহকারী পুলিশ কমিশনার (হোসেনপুর সার্কেল) সুজন চন্দ্র সরকার।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুলাই কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর উপজেলার পূর্ব কুড়িমারা গ্রামে বাড়ির সীমানা ও জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলায় সহোদর ভাই-বোন মাহমুদুল হাসান আলমগীর (৩০) ও তার ছোটবোন নাদিরা আক্তারকে (২২) ধারালো অস্ত্রের আঘাতে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহতের পিতা মো. শামসুল ইসলাম বাদী হয়ে সাতজনকে আসামি করে হোসেনপুর থানায় একটি মামলা করেন।
আরও পড়ুন: কিশোরগঞ্জে পুকুর থেকে আ. লীগ নেতা বাদলের লাশ উদ্ধার
কিশোরগঞ্জে গর্তে জমা বৃষ্টির পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় ৬ জনের যাবজ্জীবন
জয়পুরহাটে পারিবারিক কলহের জের ধরে আব্দুল আলীম নামে একজনকে হত্যার ঘটনায় দুই ভাইসহ ছয়জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সেইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২-এর বিচারক আব্বাস উদ্দীন এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সদর উপজেলার কড়ই-কাদিরপুর গ্রামের আমিনুর ইসলাম, আব্দুল কুদ্দুস ও আব্দুল হান্নান, আনোয়ার, দুদু এবং ঘুটু আলম।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৭ মার্চ সদর উপজেলার হিচমী ফকিরপাড়া গ্রামের আব্দুল আলীম (৬২) রাতে পার্শ্ববর্তী কড়ই কাদিরপুর গ্রামের আব্দুল মান্নান মৌলভীর পুকুর পাহারা দিতে যান। পরদিন সকালে পুকুর পাড়ের পাশে ধানখেতের ভেতরে হাত ও পা বাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোসলেমা বেগম ২০০৯ সালের ৮মার্চ বাদী হয়ে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফারুক খলিল তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের সালের ২২ জুলাই আদালতে ছয়জনের নামে অভিযোগপত্র দেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে একই শাড়িতে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
জয়পুরহাটে হত্যা মামলায় আসামির মৃত্যুদণ্ড, বাদীর ৫ বছরের কারাদণ্ড
কুমিল্লায় ‘চোর’ সন্দেহে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
কুমিল্লা নগরীতে চোর সন্দেহে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১০ জুলাই) মধ্যরাতে নগরীর ঢুলিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাদ্দাম হোসেন (৩৫) নগরীর উনাইসার এলাকায় ভাড়া থাকতেন। তার বাড়ি জেলার মুরাদনগর উপজেলার রামপুর গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাদ্দাম কুমিল্লা ইপিজেডের ঝুট আনা-নেওয়ার শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে পাওনা টাকা চাওয়ায় ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার (১১ জুলাই) লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, শুনেছি সোমবার রাত ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার দিকে মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা নিয়ে সাদ্দামকে পিটিয়েছে জনতা। বেধড়ক পিটুনিতে তিনি মারা গেছেন। লাশ উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।
তিনি আরও বলেন, হত্যার ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে ‘মাদক বহন না করায়’ প্রতিবন্ধী কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
বাগেরহাটে আ.লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নড়াইলে ভাইয়ের বিরুদ্ধে ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
নড়াইলের লোহাগড়ায় তালগাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার আপন চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার হান্দলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত বাবুল শেখ (৫৫) ওই গ্রামের আফজাল শেখের ছেলে।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
স্থানীয়রা জানান, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাবুল শেখের চাচাতো ভাই রিপন ও তার লোকজন বাবুলের জমিতে থাকা তালগাছ কাটতে যায়। এসময় খবর পেয়ে বাবুল ঘটনাস্থলে যায়। পরে জমির গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রিপনের হাতে থাকা দেশিয় অস্ত্রের কোপে তিনি গুরুতর জখম হন।
পরে স্থানীয় লোকজন তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এছাড়া ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
কুমিল্লায় বাবাকে হত্যার দায়ে ৩ ছেলের মৃত্যুদণ্ড
চট্টগ্রামে ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রামে উচ্চস্বরে কথা বলতে নিষেধ করায় স্থানীয় এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুরে দিকে জেলার বাঁশখালীর গন্ডামারা বাজারে বদরুল হক (৬৭) নামে ওই ব্যবসায়ীকে হত্যা করা হয়।
নিহত ব্যবসায়ী বদরুল হক গন্ডামারার মৃত আবুল বশরের ছেলে।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, গণ্ডামারা বাজারের গাউছিয়া হোটেলে চা খাচ্ছিলেন বদরুল হকসহ কয়েকজন ব্যক্তি। কিছুক্ষণ পর ওই হোটেলে আসেন নুরুল আজিজ সিকদার।
এসময় নুরুল আজিজ উচ্চস্বরে কথা বলতে থাকেন। বদলুল হক তাকে উচ্চস্বরে কথা বলতে বারণ করেন। এরপরেও উচ্চস্বরে কথা বলায় বদরুল হক আজিজকে ‘নতুন পাগল ভাত পায় না, পুরান পাগলের আগমন’ বলে কটূক্তি করেন।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে পুলিশ কনস্টেবল নিহত
এতে আজিজ ক্ষিপ্ত হয়ে চায়ের দোকানের ক্যাশবাক্সে থাকা তরকারি কাটার ছুরি নিয়ে বদরুল হকের পেটে আঘাত করেন। ঘটনাস্থলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বদরুল।
তাৎক্ষণিক তাকে উদ্ধার করে বাঁশখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মককর্তা (ওসি) কামাল উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ অভিযুক্ত নুরুল আজিজকে আটক করেছে।
ঘটনাস্থল থেকে বাঁশখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুধাংশু শেখর হালদার বলেন, তুচ্ছ বিষয় নিয়ে একজন খুন হয়েছে। ঘাতক নুরুল আজিজ সিকদারকে ঘটনার আধা ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বদরুল হকের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে নিহত ১
ফার্মগেটে ছুরিকাঘাতে পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যুর ঘটনায় ৪ জন গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় বাবাকে হত্যার দায়ে ৩ ছেলের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বাবাকে হত্যার দায়ে তিন ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী নুরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মো. ফয়েজ উল্লাহ, মো. অহিদ উল্লাহ ও মো. শহিদ উল্লাহ।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি এলাকায় জমি লিখে না দেওয়ায় বাবা আব্দুল করিমকে পিটিয়ে হত্যা করেন তার ছেলেরা।
এ ঘটনায় নিহত আব্দুল করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাম্মত সাফিয়া খাতুন বাদী হয়ে তিন ছেলেসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি নুরুল ইসলাম বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তিন ছেলে, নাতি ও স্বজনেরা মিলে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে।
মামলায় ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
পরে এ মামলায় আটজনের মধ্যে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকিদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
মাগুরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
রাজশাহীতে ৮ বছরের শিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ ও হত্যা
রাজশাহী নগরীতে ৮ বছরের এক মেয়েশিশুকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার সকালে নগরীর ছোটবন গ্রাম এলাকার খোরশেদের মোড়ের এক পুকুর থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
এর আগে ভোর সাড়ে ৪টায় নাটোর জেলা থেকে অপহরণ করার অভিযোগে পলাশকে আটক করে পুলিশ।
নিহত শিশুর নাম আনিকা (৮)। সে নগরীর নওদাপাড়া এলাকার আজিম উদ্দিনের মেয়ে।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের শাহ মখদুম থানার উপপুলিশ কমিশনার নূর আলম বলেন, শনিবার সন্ধ্যার দিকে শিশুটিকে ঈদ সালামি দেওয়ার নাম করে অপহরণ করে নগরীর বড় বনগ্রাম এলাকার শাহিনের পুত্র পলাশ।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
তিনি আরও বলেন যে এ ঘটনায় সেই দিনই শিশুটির বাবা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ঘটনার তদন্তে নগরীর বড় বনগ্রাম পলাশের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া যায়। ভোর ৪টার দিকে নাটোর থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
নূর আলম বলেন, পলাশ জানায় যে মুক্তিপণের টাকা না দেওয়ায় শিশু আনিকাকে হত্যা করে লাশ পুকুরে ফেলে রাখা হয়েছে।
সোমবার সকালে নগরীর ছোটবনগ্রাম খোরশেদের মোড়ের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর আইনি পদক্ষেপ শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এই ঘটনায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গায় চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে ৫ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ
কক্সবাজারে ‘মাদক বহন না করায়’ প্রতিবন্ধী কিশোরকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
কক্সবাজার সদর উপজেলার আশ্রয়ন প্রকল্প এলাকায় শনিবার মাদক সরবরাহে অস্বীকৃতি জানানোয় মানসিক প্রতিবন্ধী এক কিশোরকে পিটিয়ে হত্যা করেছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা।
নিহত হেফাজ উদ্দিন ওই এলাকার সালেহ আহমদের ছেলে।
জানা যায়, মাদক বহনসহ নানা অপরাধমূলক কার্যক্রম করার জন্য কিশোর গ্যাং এর সদস্যরা চাপ দিতো প্রতিবন্ধী হেফাজ উদ্দিনকে।
অবৈধ কাজ করতে না চাওয়ায় তাকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করা হতো। এ বিষয় নিয়ে কাউন্সিলরকে একাধিক বার নালিশ করা হলেও কোনো সুরাহা পাই নাই। এ নিয়ে তাকে নানা ভাবে হুমকি-ধামকি দেওয়া হতো।
এর জের ধরে ৩০ জুন সন্ধ্যায় আবারও মারধর করে প্রতিবন্ধী হেফাজ উদ্দিনকে। স্থানীয়রা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
নিহত হেফাজ এর বাবা সালেহ আহমদ বলেন, কিশোর গ্যাং-এর মারধরের কারণে তার ছেলে মারা গেছে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকতার কামাল বলেন, এর আগেও হেফাজকে নির্যাতন করা হয়। পরে সালিশে বৈঠকে হেফাজকে নির্যাতন করবে না মর্মে মুচলেকা নেয়া হয় উচ্ছৃংখল কিশোরদের কাছ থেকে। যারাই এ ঘটনায় জড়িত থাকুক তাদের আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন।
কক্সবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, এলাকাবাসী আহত অবস্থায় হেফাজকে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
তিনি আরও বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।
আরও পড়ুন: কক্সবাজারে মানবপাচারকারী চক্রের ৫ সদস্য আটক
কক্সবাজারে ২৫ দিন পর নিখোঁজ ৩ বন্ধুর লাশ উদ্ধার
চৌগাছায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে স্বামীসহ ৩জন গ্রেপ্তার
যশোরের চৌগাছায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে তার শ্বশুর, শাশুড়ি ও স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে উপজেলার মুক্তদাহ গ্রামে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
নিহত ইসমত আরা (২৮) পৌরসভার (চৌগাছা) বিশ্বাসপাড়ার মশিয়ার রহমানের মেয়ে এবং মুক্তদাহ গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে মজনুর রহমান মজনুর স্ত্রী।
আরও পড়ুন: ঢাকায় জাল টাকা তৈরির কারখানার সন্ধান, গ্রেপ্তার ৯
পুলিশ জানায়, ১১ বছর আগে ইসমত আরার সঙ্গে মজনুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাদের ঘরে দুটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়। শুক্রবার রাতে হত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম সবুজ জানান, ইসমত আরাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি আরও জানান, নিহতের ভাই এ ঘটনায় চৌগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে হাতকড়া নিয়ে পালানোর ৩২ দিন পর আসামি গ্রেপ্তার
রাজধানীতে পলাতক হিযবুত তাহরীর নেতা গ্রেপ্তার: র্যাব