হত্যা
যশোরে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাতে যুবককে হত্যা
যশোরের শংকরপুরে ডেকে নিয়ে আকাশ নামের এক যুবককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) শংকরপুর বটতলা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। নিহত আকাশ ওই এলাকার তোতা মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নিহতের পরিবারের অভিযোগ- ঘটনার সঙ্গে সাব্বির ও তানভীর জড়িত। তাদের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইফুর রহমান বলেন, নিহতের গলায় ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে কারণে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। জড়িতদের আটকে অভিযান চলছে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে চুরির অপবাদে নির্যাতন করায় যুবকের আত্নহত্যা
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়িতে ইউপিডিএফ সদস্যকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে ছিল বিএনপি: হাছান মাহমুদ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, এটা দিবালোকের মতো স্পষ্ট, বিডিআর বিদ্রোহের পেছনে বিএনপি ছিল এবং দেশের স্মার্ট অফিসারদের হত্যা করেছে।
নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিপুল জনরায় নিয়ে সরকার গঠন করে সেই সরকার কি এমন কাজ করতে পারে? দিবালোকের মতো পরিষ্কার, এই বিপুল জনরায় দেখে বিএনপি তাদের জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিল এবং তারা ষড়যন্ত্র করে বিডিআর বিদ্রোহ করেছিল এবং আমাদের চৌকস অফিসারদের হত্যা করা হয়েছিল।’
হাছান মাহমুদ ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদ্রোহে যারা নিহত হয়েছেন তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে নিয়ে 'লবিস্ট সমর্থিত' বিবৃতি বিদেশি বিনিয়োগে প্রভাব ফেলবে না: হাছান মাহমুদ
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া দেরিতে বিছানা ছাড়লেও বিদ্রোহের দিনে ঘটনা শুরুর বেশ আগে তার সেনানিবাসের বাসা থেকে বেরিয়ে আসেন।
হাছান বলেন, ‘কেন তিনি সেদিন এত সকালে বিছানা ছেড়ে উঠেছিলেন? তার মানে তিনি বিদ্রোহের কথা আগে থেকেই জানতেন।’
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার ফোন কল রেকর্ড সরকার সংগ্রহ করেছে এবং জানে লন্ডনে তিনি কতবার কথা বলেছেন সেটি সরকার জানে। ‘সুতরাং এটা স্পষ্ট যে, বিএনপি এর সঙ্গে জড়িত।’
বিএনপি নেতা ড. মঈন খানের কথা উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, মঈন খান হয়তো ভুলে গেছেন যে, বিএনপি-জামায়াত আমলে বাংলাদেশ পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপি মনে করেছে নির্বাচন হবে না এবং তারা চেয়েছিল যাতে সংঘাত সৃষ্টি হয় এবং ভোটাররা যাতে ভোট দিতে না পারে।
তিনি বলেন, কিন্তু বিপুল সংখ্যক ভোটাররা এসেছে এবং নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়লাভ করেছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে।’
মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে আলোচনাকালে হাছান মাহমুদ বলেন, সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে তাদের মধ্যে অত্যন্ত খোলামেলা আলোচনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ
বিএনপিকে জনগণ কালো পতাকা ও বিদেশিরা লাল পতাকা দেখিয়েছে: হাছান মাহমুদ
জুয়ায় হারের ক্ষতি পোষাতে বিকাশ এজেন্টকে হত্যা: আসামিকে গ্রেপ্তার
রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার রূপসা বাজারের বিকাশ ব্যবসায়ী শরীফ খানকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে মো. তরিকুল শেখ নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে জেলা পুলিশ।
এর আগে, বুধবার শরীফকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ছুরিকাঘাতে কিশোর খুন, গ্রেপ্তার ২
নিহত শরীফ কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ধামবাড়িয়া গ্রামের মৃত হাকিম খানের ছেলে।
আসামি মো. তরিকুল শেখ কালুখালী উপজেলার রুপসা বাজারের চাঁদ আলী শেখের ছেলে।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাতে কালুখালি উপজেলার রূপসা সুইচ গেট বাজার এলাকায় জদুর সেলুনের দোকানের সামনে শরীফ খানের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শরীফের স্ত্রী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে কালুখালী থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়েরের পর কালুখালী থানা পুলিশ নিবিড়ভাবে তদন্ত শুরু করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তরিকুল শেখকে গ্রেপ্তার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে তরিকুল জানান, তিনি ও শরীফ একই বাজারে ব্যবসা করতেন। তরিকুল অনলাইন জুয়ায় আসক্ত ছিলেন এবং এভাবে অনেক টাকা হেরেছেন।
আরও পড়ুন: খতনার সময় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় দুই চিকিৎসক গ্রেপ্তার
তিনি পরিকল্পনা করেন, বিকাশের এজেন্ট শরীফকে হত্যা করে টাকা হাতিয়ে নেবেন। শরীফকে হত্যা করার জন্য তরিকুল তার চাচাতো ভাইয়ের ঘর থেকে দা সংগ্রহ করেন।
শরীফ রাতে বাড়িতে খাবার খেয়ে রূপসা বাজারের পাশে গাঁয়েবি মসজিদে ছেলেকে নিয়ে ওয়াজ মাহফিলে আসেন। বাবা-ছেলে দুইজন বসে ওয়াজ শোনার সময় তরিকুল তাকে ডেকে নিয়ে যান।
পুলিশ জানায়, পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী রুপসা সুইচ গেট এলাকায় জদুর দোকানের সামনে আসামি তরিকুল তাকে দা দিয়ে মাথায় কুপিয়ে হত্যা করেন।
রাজবাড়ী পুলিশ সুপার জি এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত তরিকুল শেখ নামে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: ১৬ বছর আত্মগোপনে থেকে অবশেষে গ্রেপ্তার!
ভাতিজার স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভাতিজার স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার তারাটি ইউনিয়নের কলাকান্দা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: সোনারগাঁয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে যুবক নিহত
নিহত মাহমুদা বেগম ওই এলাকার আব্দুর রউফের স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, চাচা আব্দুর রাজ্জাক ও ভাতিজা আব্দুর রউফদের দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার দুপুরে রাজ্জাক ও তার ছেলে মাসুদ মাহমুদা বেগমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। আহতাবস্থায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে বিকালে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) দিলীপ চন্দ্র সরকার বলেন, এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: গাজীপুরে সাজাপ্রাপ্ত ২৭ মামলার আসামি গ্রেপ্তার
বগুড়ায় ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩
কুষ্টিয়ায় প্রবাসীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, স্বজনদের দাবি হত্যা
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আমবাগান থেকে মো. হযরত নামে এক প্রবাস ফেরত যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের লাহিনীপাড়া গ্রামের সাধু মো. টুটুল ভেরোর আমবাগান থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
প্রবাস ফেরত ওই ব্যক্তি উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের দক্ষিণ ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে। প্রায় মাসখানেক আগে তিনি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেন।
আরও পড়ুন: ‘ভিডিও কলে স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ দেখায় জামাই’
তবে নিহতের স্বজনদের ভাষ্য, হযরতকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আমবাগানে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।
নিহতের বাবা আব্দুল হান্নান বলেন, আমার ছেলে মাস খানেক আগে দেশে ফিরে শ্বশুর বাড়িতে উঠেছিল। পারিবারিক কলহের কারণে ছেলে আমার বাড়ি থাকে না। তেমন যোগাযোগও ছিল না। সকালে খবর পেয়ে টুটুল সাধুর আমবাগানে লাশ পেয়েছি।
তার ভাষ্য, শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও স্থানীয়রা মিলে তার ছেলেকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে।
কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইমদাদুল হক জানান, ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে ছাত্রলীগ নেত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় বাবা-ছেলের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
কুষ্টিয়ায় স্ত্রীসহ ৩ জনকে হত্যা: সাবেক পুলিশ কর্মকর্তার মৃত্যুদণ্ড
বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্ত্রী-সন্তান ও যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যার ঘটনার একমাত্র আসামি বরখাস্ত হওয়া পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) সৌমেন রায়কে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রুহুল আমীন আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সৌমেন রায় মাগুরা সদর উপজেলার কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আসবা গ্রামের সুনীল রায়ের ছেলে।
তিনি খুলনার ফুলতলা থানায় এএসআই হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৩ জুন বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে কুষ্টিয়া শহরের কাস্টমস মোড় এলাকার নাজ ম্যানশন মার্কেটের বিকাশের দোকানের সামনে স্ত্রী আসমা খাতুন, আসমার ছেলে রবিন এবং আসমার প্রেমিক শাকিলকে সরকারি অস্ত্র দিয়ে গুলি করে হত্যা করেন এএসআই সৌমেন রায়। এ ঘটনায় পুলিশ তাকে ঘটনাস্থল থেকে সার্ভিস রিভলভার, গুলি ও ম্যাগজিনসহ আটক করে। পরে সেদিন বিকালে তাকে বরখাস্ত করা হয়। একই দিন রাতে এএসআই সৌমেন রায়কে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা করেন নিহত আসমা খাতুনের মা হাসিনা বেগম। পরদিন ১৪ জুন বিকালে কুষ্টিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এনামুল হকের আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সৌমেন। ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন সৌমেন রায়। এরপর থেকেই পলাতক সৌমেন।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার ২২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
মামলার বাদী হাসিনা বেগম বলেন, আমার মেয়ে, তার ছেলে রবিন ও শাকিল নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করেছে সৌমেন। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়ে জেনেছি সে হাইকোর্ট থেকে জামিনে বেরিয়ে ভারতে পালিয়েছে।
এমন নির্মম হত্যাকাণ্ডের একমাত্র আসামিকে জামিন দেওয়ায় আমি হতাশ।
তিনি আরও বলেন, আদালত সৌমেনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় আমি খুশি। তবে তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক।
আরও পড়ুন: সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৬ জনের যাবজ্জীবন
বগুড়ায় স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যার অভিযোগ
বগুড়ার আদমদীঘিতে স্ত্রীকে বটি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর অভিযোগ বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের চা বাগান মহল্লায় তাকে কুপিয়ে যখম করা হয়।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটের হত্যা মামলায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নিহত রাজিয়া সুলতানা চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমাস্তাপুর উপজেলার স্রীকান্দ গ্রামের বদিউজ্জামানের স্ত্রী ও বর্তমান সান্তাহার চা বাগান মহল্লায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) বকুল হোসেন জানান, শুক্রবার রাতে স্বামী বদিউজ্জামানের সঙ্গে রাজিয়া সুলতানার মনমালিন্য হয়। একপর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে তরকারি কাটা বটি দিয়ে স্ত্রীর শরীর বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে।
এসময় স্ত্রী চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে বদিউজ্জামান পালিয়ে যান। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় রাজিয়া সুলতানাকে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকালে তিনি মারা যান।
আদমদীঘি থানার অফিসার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, ঘটনার পর তার স্বামী পলাতক। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ছাত্রীদের উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হত্যা
পিছিয়েছে সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা
ছাত্রীদের উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে হত্যা
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে ছাত্রীদের উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় নিরব হোসেন নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সাড়ে ৪টার দিকে কাজী ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রায় একশ গজ পশ্চিমে চৌধুরীবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের পাশে ঘটনাটি ঘটে।
আরও পড়ুন: জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার ২২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
নিহত স্কুলছাত্র নিরব হোসেন কামারগাঁও আলহাজ কাজী ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র এবং মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
তার বাড়ি চাঁদপুরে। বাবা মারা যাওয়ার পর তার মা দুই ছেলেকে নিয়ে মামা খৈয়ম বেপারীর বাড়িতে থাকেন। দুই ছেলের মধ্যে নিরব বড়।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার শ্রীনগর উপজেলার কাজী ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতা চলাকালীন ওই বিদ্যালয়ের কয়েকজন ছাত্রীকে উত্যক্ত করে বখাটেরা।
নিরব ঘটনার প্রতিবাদ করে। এরই জেরে শুক্রবার বিকালে শ্রীনগর কাজী ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয় থেকে প্রায় একশ গজ পশ্চিমে চৌধুরীবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শহিদ মিনারের পাশে ধারালো ছুরি দিয়ে নিরবকে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা।
পরে স্থানীয় লোকজন নিরবকে শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক নিরবকে মৃত ঘোষণা করেন।
শ্রীনগর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ হাসপাতাল থেকে মর্গে পাঠানোর কাজ চলছে। কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে পুলিশ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: পিছিয়েছে সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা
জয়পুরহাটের হত্যা মামলায় ১৭ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র হত্যার ২২ বছর পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
জয়পুরহাটে স্কুলছাত্র মোয়াজ্জেম হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সুজনকে যৌথ অভিযানে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ৫ ও র্যাব-১০।
র্যাব -৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প সূত্রে জানা গেছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জয়পুরহাটের সদর উপজেলার ভাদসা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি মো. বাইতুল হোসেন সুজন (৩৮) জয়পুরহাট পৌর এলাকার দেবীপুর- মন্ডলপুর মহল্লার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০২ সালে ২৮ জুন জয়পুরহাট পৌর এলাকার প্রামাণিক পাড়ার ফজলুর রহমানের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেনকে তুলে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মৃত মোয়াজ্জেমের বাবা বাদী হয়ে জয়পুরহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০৩ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জের হত্যা মামলার ২ আসামি গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার
দীর্ঘ শুনানি শেষে গত ৩১ জানুয়ারি জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আব্বাস উদ্দিন অভিযুক্ত ১১ জন আসামিকে মৃত্যুদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে সুজনসহ ৬ জন আসামি পলাতক ছিলেন।
মামলার রায় ঘোষণার পর মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজর বৃদ্ধি করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জয়পুরহাটের সদর উপজেলার ভাদসা এলাকা থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করে র্যাবের যৌথ দল।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মঙ্গলবার রাতে সুজনকে জয়পুরহাট সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাভারে নৌকায় কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
কুমিল্লায় ২ কিশোর গ্যাংয়ের সংঘর্ষ: গ্রেপ্তার ১৬, অস্ত্র-ককটেল জব্দ
চট্টগ্রাম কারাগারে বন্দিকে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রুবেল দে নামে এক বন্দিকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (চমেক) জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রুবেল দে জেলার বোয়ালখালীর শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ জ্যৈষ্টপুরার বাসিন্দা সুনীল দের ছেলে। তিনি কারাগারের ৩ নম্বর পদ্মা ওয়ার্ডে বন্দি ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে কিশোরের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার
রুবেলের দুই মেয়ে রয়েছে এবং তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। বড় মেয়ে দশম শ্রেণিতে পড়ে এবং ছোট মেয়ের বয়স প্রায় ১০ বছর, সে স্থানীয় একটি স্কুলের শিক্ষার্থী।
রুবেলের শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে তার স্বজন অভিযোগ তুলেছে, কারাগারের ভেতরে কারারক্ষী বা অন্য কয়েদিরা তাকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছে কারাগার কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি রুবেল মাদকাসক্ত ছিল। তার মানসিক সমস্যা ছিল। অসুস্থ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
রুবেলের পরিবারের সদস্যরা জানায়, সম্প্রতি চোলাই মদসহ পুলিশ রুবেলকে গ্রেপ্তার করে। রুবেল কৃষক, মাদক বিক্রেতা নন। তবে মাঝে মাঝে তিনি মদ পান করতেন।
রুবেলের খালাতো ভাই রাজীব দে বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পরে আদালত ভবনের হাজতখানায় আমরা দেখা করেছিলাম। ২৮ জানুয়ারি বিকালে প্রিজন ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়ার সময় রুবেল সম্পূর্ণ সুস্থ ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরপর ২ ফেব্রুয়ারি তার সঙ্গে দেখা করতে আমরা চট্টগ্রাম কারাগারে গিয়েছিলাম। সেদিন আমরা দেখেছি, চারজন কারারক্ষী তাকে হুইলচেয়ারে করে ধরে ধরে নিয়ে আসছেন। রুবেল তাকাতে পারছিল না, মুখ থেকে লালা ঝরছিল। কারারক্ষীদের কাছে আমরা জানতে চেয়েছিলাম ওই অবস্থা কীভাবে হয়েছে কিন্তু তারা কোনো সদুত্তর দেননি।’
রাজীব বলেন, ‘আমরা রুবেলের ডান ভ্রু ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছি। সে সময় রুবেল এক রকম অচেতন অবস্থায় ছিল, আমরা কথা বলার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সে কোনো কথা বলতে পারেনি।’
চট্টগ্রাম কারাগারের ভারপ্রাপ্ত সিনিয়র জেল সুপার মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন বলেন, ‘মাদক নেওয়ার কারণে হাজতি রুবেলের মানসিক সমস্যা উইথড্রল সিন্ড্রোম ছিল। আমরা প্রথমে তাকে আলাদা ওয়ার্ডে রেখেছিলাম। পরে তাকে পদ্মা ৩ নম্বর ওয়ার্ডে অন্য বন্দিদের সঙ্গে রাখা হয়।’
তিনি আরও বলেন, সেখানে মানসিক সমস্যা আছে এমন একাধিক বন্দিদের রাখা হয়েছে। ভোর রাতে বুকে ব্যথার কথা বললে আমরা তাকে কারা হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়। কারাগারে কারারক্ষী বা অন্য বন্দি তাকে নির্যাতন করেনি।’
আরও পড়ুন: ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দির মৃত্যু
এদিকে রুবেলকে গ্রেপ্তার করা বোয়ালখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুসা বলেন, ‘গ্রেপ্তারের সময় রুবেল শারীরিক ও মানসিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন। আমাদের হেফাজতে থাকাকালে তার কোনো ধরনের অস্বাভাবিক উপসর্গ খুঁজে পাইনি।’
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আলামিন বলেন, ‘সুরতহাল করার সময় চোখের উপরে কপালে একটি আঘাতের চিহ্ন, শরীরের কয়েকটি স্থানে ও দুই হাতের কব্জিতে দাগ পেয়েছি। ময়নাতদন্তের মাধ্যমে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’
বোয়ালখালী থানার মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৭ জানুয়ারি বাড়ির পাশের এলাকা নন্দীপাড়া হরিমোহন এলাকায় চোলাই মদ বিক্রির সময় রাতে রুবেলকে আটক করে পুলিশ। তার কাছ থেকে ২০০ লিটার মদ জব্দ করা হয়। বোয়ালখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এসএম আবু মুসা বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পরের দিন বিকালে আদালত রুবেলকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়ার আদেশ দেন। এরপর থেকে রুবেল কারাগারেই ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভোট দেওয়ার আগ্রহ দেখায়নি যশোর কারাগারের বন্দিরা