হত্যা
রাঙ্গামাটিতে ২ ইউপিডিএফ সদস্যকে গুলি করে হত্যা
রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের মাচালং ব্রিজ পাড়ায় ইউপিডিএফ প্রসিত দলের সদস্য দীপায়ন চাকমা (৩৮) ও আশিষ চাকমাকে (৪৫) গুলি করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করে সাজেক থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
নিহত দুইজন হলেন, মোরঘোনা ২ নম্বর ওয়ার্ড বাঘাইছড়ি রূপাকারি ইউনিয়নের মৃত শান্তি কুমার চাকনার ছেলে আশিষ চাকমা।
অপরজন হলেন- উত্তর এগুজ্জ্যাছড়ি ৫ নম্বর ওয়ার্ড বাঘাইছড়ির সাজেক ইউনিয়নের মৃত অনিল বরন চাকমার ছেলে দিপায়ন চাকমা।
তবে ইউপিডিএফের দাবি জেএসএস সন্তু লারমার লোকজন এই হত্যার সঙ্গে জড়িত।
তবে ইউপিডিএফের অভিযোগ অস্বীকার করে জেএসএস সন্তু লারমা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ত্রিদিপ চাকমা বলেন, সাজেক এলাকায় জেএসএসের কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম নেই। ইউপিডিএফের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে গুলি করে হত্যা
সাজেক থানার সার্কেল এএসপি ও রাঙ্গামাটির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল আওয়াল হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, অজ্ঞাত সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছে। খবর পাওয়ার পরপরই সাজেক থানা থেকে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
রাঙ্গামাটি জেলা পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ জানিয়েছেন, বাঘাইছড়ির মাচালং এলাকায় দুইজন নিহত হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। ঘটনা নিয়ে মামলা হবে এবং যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
খুলনায় ২ সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা!
খুলনার ডুমুরিয়ায় মা তার দুই শিশু সন্তানকে হত্যা করে নিজে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে ডুমুরিয়া উপজেলার গুটুদিয়া ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
মৃতরা হলেন- ডুমুরিয়া উপজেলার কমলপুর গ্রামের মান্নান সরদারের স্ত্রী ডলি বেগম, তার কন্যা ফাতেমা (৬) ও ৭ মাস বয়সী ছেলে ওমর।
আরও পড়ুন: খুলনায় আরও দুই দিন বন্ধ থাকবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে যেকোনো সময়ে নিজ বাড়িতে পারিবারিক কলহলের কারণে ডলি বেগম তার দুই সন্তানকে হত্যা করে তিনি নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
খুলনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসিফ ইকবাল বলেন, সবকিছু দেখে আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি- মা ডলি বেগম আত্মহত্যা করেছেন। তবে আত্মহত্যার আগে তিনি তার দুই শিশু সন্তানকে হত্যা করেন। এ ব্যাপারে তদন্ত হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে সঠিক তথ্য জানানো যাবে।
আরও পড়ুন: হাতীবান্ধায় ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা নারীর আত্মহত্যা!
এনজিওর ঋণের চাপে রাবি কর্মচারীর আত্মহত্যার অভিযোগ
ভ্যানচালক হত্যা: দেহের পর এবার মাথা উদ্ধার
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় উদ্ধার করা মাথাবিহীন সেই লাশের পরিচয় পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
একদিন পর লাশের মাথা উদ্ধার হলে লাশ শনাক্ত করে পরিবার।
শনিবার (২০ জানুয়ারি) সকালে ওই উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের দালালপাড়া থেকে মাথা, মোবাইল ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, আটক ১৩
লাশটি উপজেলার সিঙ্গিমারী গ্রামের আব্দুর ছাত্তারের ছেলে মনিকুল ইসলামের বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে একই ইউনিয়নের রমনীগঞ্জ থেকে তার মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রতিবেশী একজনের ভ্যান চুরির অভিযোগ উঠায় কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ মনিকুল ইসলাম। এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য বের করতে পুলিশের পাশাপাশি সিআইডিও তদন্ত করছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে সিঙ্গিমারী গ্রামের আবুল কাসেমের ছেলে বাবুলের একটি ভ্যান চুরি হয়। ওই চুরি ঘটনায় মনিকুল ইসলামকে সন্দেহ করে বাবুলের পরিবারের লোকজন। এ ঘটনার পর থেকে মনিকুল নিখোঁজ হন। শুক্রবার বিকালে ভুট্টাখেতে তার লাশ দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ভুট্টাখেত থেকে মাথাবিহীন লাশ উদ্ধার
এদিকে শনিবার সকালে দালালপাড়া এলাকায় একটি বাঁশঝাড়ে ছুরি, মোবাইল ও গর্ত দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা। পরে পুলিশ গিয়ে গর্ত থেকে মাথা উদ্ধার করে।
কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত না হলেও স্থানীয়দের ধারণা, ওই ভ্যান চুরির ঘটনার কারণে মনিকুল হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে পারেন।
মনিকুলের স্ত্রী শাকিলা আক্তার জানান, বৃহস্পতিবার বিকালে ফোনে তার স্বামীর সঙ্গে কথা হয়। স্বামী তাকে জানান, রাত ৮টার মধ্যে বাড়ি এসে কাপড় নিয়ে ঢাকা চলে যাবেন। মোবাইল ফোন পাশে রাখতে বলেন। তিনি বাড়ি আসবেন এটা কাউকে বলতে নিষেধ করেন। কিন্তু রাত ৮টার পর তাকে আর ফোনে পাওয়া যায়নি।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, পুরো বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মনিকুলের মা বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন: লালমনিরহাটে ১৮৩ বোতল ফেনসিডিল জব্দ, আটক ১
শরীয়তপুরে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড
শরীয়তপুরে ফিরোজা বেগম নামে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে শরীয়তপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহমেদ এ রায় ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৬ বছর পর হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড, একজনের যাবজ্জীবন
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন, নিজাম বালী (৪৫), মোহাম্মদ আলী (৩৫), ওমর ফারুক বেপারী (২৪), আল আমীন বেপারী (২০) ও ইব্রাহীম মোল্লা (২১)।
আসামিরা ডামুড্যা উপজেলার দক্ষিণ সুতলকাঠীর বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আদালতের নির্দেশে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর তিন আসামি পলাতক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল বিকালে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় ডামুড্যা উপজেলার ধানকাঠি ইউনিয়নের ভূঁইয়া বাজার এলাকার ৫৫ বছর বয়সী ফিরোজা বেগম।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডাদেশ চূড়ান্ত হওয়ার আগে আসামিকে কনডেমড সেলে রাখার বিষয়ে রায় যেকোনো দিন
২১ এপ্রিল বাড়ি থেকে ১০ কিলোমিটার দূরের একটি ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন ওই নারীর ছোট ভাই লাল মিয়া সরদার বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ২/৩ জনকে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে শরীয়তপুর আদালতে একটি হত্যা মামলা করেন।
আসামিদের মধ্যে পাঁচজন জড়িত থাকায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পুলিশ। বাকি আসামি চার্জশিট থেকে অব্যাহতি পায়।
পরে ২৮ এপ্রিল ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে নিজাম বালীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন ওমর ফারুক ও মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা ওই নারীকে পালাক্রমে ধর্ষণের পর হত্যা করার কথা আদালতের কাছে স্বীকার করেন। ওই তিনজন আদালতে হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির বিধান চ্যালেঞ্জ করে রিট
আর অন্য দুই আসামি ইব্রাহিম, আল-আমীন পলাতক। পরে ওমর ফারুক জামিনে গিয়ে পলাতক। এ ঘটনায় পরবর্তীকালে পুলিশ ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
দীর্ঘ ৫ বছর যুক্তিতর্ক ও ২২ জনের স্বাক্ষগ্রহণ শেষে মঙ্গলবার দুপুরে শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ হত্যা ও ধর্ষণ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
নিহত ফিরোজা বেগমের ছেলে শাহ্ জালাল হাওলাদার বলেন, অভিযুক্তদের পাঁচজনকে ফাঁসির রায় দিয়েছেন আদালত। সরকারের কাছে আমাদের চাওয়া উচ্চ আদালতে যেন এই রায় বহাল রেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্যকর করা হয়।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি সানাল মিয়া বলেন, এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। এই মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আমরা রাষ্ট্রপক্ষ এই রায়ে সন্তুষ্ট।
নোয়াখালীতে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে শাহিদুজ্জামান পলাশ নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। মাথায় ভারী কোনো বস্তুর আঘাতে তার মৃত্যু হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নাটেশ্বর গ্রাম থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসায় ঢুকে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ৩
শাহিদুজ্জামান পলাশ সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ আসনের সোনাইমুড়ী উপজেলার নাটেশ্বর ইউনিয়নে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্ট ছিলেন এবং ওই গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে।
নীয়রা জানায়, পলাশ নাটেশ্বর গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে। পাঁচ বছর আগে সৌদি আরব থেকে দেশে আসেন তিনি। এরই মধ্যে ইতালি যাওয়ার জন্য টাকাও জমা দিয়েছিলেন। সদ্য শেষ হওয়া সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ-সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান ভুইঁয়া মানিকের পক্ষে একটি কেন্দ্রে এজেন্টের দায়িত্বে ছিলেন পলাশ।
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
পলাশের ফেসবুক আইডি দেখে নির্বাচনে তার অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মৃত্যুর কিছুক্ষণ আগেও তিনি ‘অল মানিক ভাই’ লিখে একটি পোস্ট করেছিলেন।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মাথা ভারী কোনো জিনিস দিয়ে আঘাত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রূপগঞ্জে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
তিনি আরও জানান, পলাশ স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে থাকতেন। তার বাড়িতে একটি মুরগির খামার ছিল। শনিবার বিকালে কয়েকটি মুরগি বিক্রি করার পর খামারে কর্মরত দুই কর্মচারী সন্ধ্যায় চলে যায়। এরপর থেকে পলাশ একা খামারে ছিলেন। রাত ৮টার দিকে স্ত্রীকে ফোন করে তিনি জানান, খামার থেকে একটি হাঁস পার্টিতে যাবেন। তারপর বাড়ি ফিরবেন। এরপর রাত ১০টার দিকে স্থানীয় লোকজন তার ঘরের পাশে পলাশের রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখে।
বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করছি এবং হত্যার কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা চলছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাঘায় স্ত্রীর ভাইকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
শরীয়তপুরে কৃষককে কুপিয়ে হত্যা!
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় নাওডোবা ইউনিয়নে দাউদ খান নামে এক কৃষককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানাধীন পশ্চিম নাওডোবা এলাকার মেছের মুন্সী কান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: নরসিংদীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নিহত দাউদ খান মেছের মুন্সী কান্দি গ্রামের মৃত ইসমাইল খানের ছেলে।
পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানা পুলিশ জানায়, দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের পার্শ্ববর্তী মৃত নুরুল ইসলাম মাতবরের ছেলে মোজাম্মেল মাতবরের পরিবারের সঙ্গে জমিসংক্রান্ত বিরোধ ছিল দাউদ খানের পরিবারের।
যার ফলে স্থানীয়রা সন্দেহ করে মোজাম্মেল মাতবরকে অভিযুক্ত হিসেবে আটক করে পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানা পুলিশের হাতে তুলে দেয়। লাশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে কুপিয়ে হত্যা
নাওডোবা ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীর হোসাইন বলেন, রাতের আঁধারে কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি। বিষয়টি সকালে শুনেছি।
পদ্মাসেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, সকালে খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিভিন্ন আলামতসহ লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, ২ ভাই আটক
তিনি আরও বলেন, পাশাপাশি স্থানীয়দের হাত থেকে মোজাম্মেল মাতবরকে উদ্ধার করে আমাদের হেফাজতে নিয়েছি।
ওসি বলেন, এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্ত্রী ও ২ সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
পাওনা টাকা চাওয়ায় চোখ উপড়ে ফারুককে হত্যা: র্যাব
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এশিয়ান হাইওয়ের পাশ থেকে ফারুক নামে এক ব্যক্তির চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধারের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর উত্তরা, গাজীপুরের টঙ্গী, লক্ষীপুরের রায়পুর এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারীসহ জড়িত পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ১৪৮ প্লাটুন বিজিবি ও র্যাবের ৪২২ টহল দল মোতায়েন
আটকরা হলেন- মো. নিজাম উদ্দিন (৩৬), মো. সোহাগ (৩৮), জহিরুল ইসলাম (৪৮), রনি হোসেন (২৩) ও বাদশা (২৩)।
শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানানো হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, নিজাম ঢাকা এক্সপ্রেস পরিবহন নামের একটি প্রতিষ্ঠানের কাউন্টার ম্যানেজার, আর ফারুক কাউন্টারম্যান।
আরও পড়ুন: জাতীয় নির্বাচন ২০২৪: সারা দেশে র্যাবের ৭০০ টহল দল মোতায়েন
তাদের দুজনের কর্মস্থল টঙ্গী এলাকায়। নিজামের কাছে ফারুক টাকা পেতেন। ফারুক পাওনা টাকা চাইলে দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এই বিরোধের জের ধরে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন নিজাম।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত সোমবার পাওনা টাকা দেওয়ার কথা বলে ফারুককে কাউন্টারে ডেকে আনেন নিজাম। এরপর নিজাম ও তার চার সহযোগী ফারুককে মারধর করেন। মারধরের পর ফারুককে ঢাকা এক্সপ্রেস পরিবহনের একটি খালি বাসে উঠিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আবারও এলোপাতাড়ি আঘাত করা হয়।
আরও পড়ুন: ঢাকায় ৩০টি ককটেল ও ২৮টি পেট্রোলবোমা জব্দ, আটক ৩: র্যাব
তিনি বলেন, একপর্যায়ে সোহাগ ও রনি ফারুকের হাত-পা চেপে ধরেন। বাদশা ফারুকের বাম চোখ উপড়ে ফেলেন। পরে ফারুকের লাশ বাসে করে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এশিয়ান হাইওয়ের পাশে রঘুরামপুর এলাকার নির্জন স্থানে ফেলা হয়।
জড়িতরা গ্রেপ্তার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যান বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে পরিত্যক্ত ঘর থেকে ৪১টি ককটেল উদ্ধার করেছে র্যাব
রূপগঞ্জে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে হাফসা আক্তার কাকলী নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী সাইফুল ইসলাম শাকিল মোল্লার বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার রাতে গোলাকান্দাইল শিংলাবো এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় ‘চোর’ সন্দেহে শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
নিহত হাফসা আক্তার কাকলী (২৭) রূপগঞ্জের ভুলতা ইউনিয়নের লাভড়াপাড়া গ্রামের ইসমাঈল মিয়া মামুনের মেয়ে এবং স্বামী সাইফুল ইসলাম শাকিল মোল্লা শিংলাবো গ্রামের আব্দুস ছালাম মিয়ার ছেলে। তাদের সংসারে সাইফা আক্তার (৫) ও আবদুল্লাহ (২) নামে দুইটি সন্তান রয়েছে।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দ্বীপক চন্দ্র জানায়, ছয় বছর আগে সাইফুল ইসলামের সঙ্গে বিয়ে হয় হাফসা আক্তার কাকলীর। এদিকে গত এক বছর ধরে সাইফুল ইসলাম বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
আরও পড়ুন: কেরাণীগঞ্জে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় স্ত্রী কাকলী ও স্বামী সাইফুল ইসলামের মধ্যে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত। এই নিয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকালে কাকলী তার ছেলে-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাবার বাসায় চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ সময় সাইফুল ইসলাম ও কাকলীর মধ্যে ঝগড়া হয়।
ওসি বলেন, একপর্যায়ে সাইফুল ইসলাম ও তার পরিবারের সদস্যরা কাকলীকে পিটিয়ে জখম করে। কাকলীর ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে রূপগঞ্জের ইউএস বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাতে চিকিৎসকরা কাকলীকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বাড়িতে প্রবেশের পথ নিয়ে বিরোধের জেরে নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আহত ৫
তিনি বলেন, খবর পেয়ে কাকলীর স্বামী ও পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়। কাকলীর হাত, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে।
এ ব্যাপারে কাকলীর বাবা ইসমাঈল মিয়া মামুন বাদী হয়ে স্বামী সাইফুল ইসলাম শাকিল মোল্লা, শ্বশুর আব্দুল গণি মোল্লা, শাশুড়ি শাহিদা বেগম, ননদ সিমা বেগম ও মামা শ্বশুর মোক্তার হোসেনকে আসামি করে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: মনপুরায় মানসিক প্রতিবন্ধী নারীর লাশ উদ্ধার
রূপগঞ্জ থানা ওসি দীপক চন্দ্র সাহা আরও বলেন, এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
গাজীপুরে নারীকে হত্যা, লাশ পড়ে ছিল রাস্তায়
গাজীপুরের কোনাবাড়ী থেকে ৩৪ বছর বয়সী এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুর্বৃত্তরা তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ রাস্তায় ফেলে গেছে বলে ধারণা পুলিশের।
মঙ্গলবার(৯ জানুয়ারি) সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানার আমবাগ পশ্চিমপাড়া এলাকায় বোর্ড মিলের পাশ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় নৌকা প্রার্থীর সমর্থকের লাশ উদ্ধার
নিহত আছিয়া বেগম টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর উপজেলার চাকুরিয়া হাওল ভাঙ্গা এলাকার আমির হোসেনের মেয়ে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের কোনাবাড়ী থানার আমবাগ পশ্চিমপাড়া এলাকায় বোর্ড মিলের পাশে স্থানীয় লোকজন এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পুলিশকে খবর দিলে নিহতের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায় কোনাবাড়ী থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ধানখেত থেকে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম জানান, এটি হত্যাজনিত ঘটনা। কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে, কারা ঘটিয়েছে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, নিহত ওই নারীর মাথা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন আছে। এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়নি।
আরও পড়ুন: চিরিরবন্দরে রাজমিস্ত্রির ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার
নোয়াখালীতে তরুণকে গলা কেটে হত্যা
পূর্ববিরোধের জের ধরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় ইসমাইল হোসেন নামে এক তরুণকে ছুরিকাঘাতে করেছে দুর্বৃত্তরা।
সোমবার উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের পূর্ব একলাশপুর গ্রামের হাজী ইসমাইল মিস্ত্রির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগ
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একলাশপুর ইউনিয়নের হাজী ইসলাম মিস্ত্রি বাড়ির একটি ঘরে প্রায় সময় বসে চার বন্ধুসহ আড্ডা দিতেন আসিফ। এখানে বসে তারা নেশা করতেন বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের।
অন্যদিনের মতো সোমবার সকালেও তারা একসঙ্গে ওই ঘরে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর ওই ঘর থেকে চিৎকার দিয়ে বের হয়ে ঘরের সামনে এসে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েন আসিফ।
আরও পড়ুন: নাটোরে স্বাস্থ্যকর্মীকে গলা কেটে হত্যা
ওই সময় ঘরের ভেতরে থাকা তার চার বন্ধু বের হয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। পরে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, যে নিহত হয়েছে এবং ওই ঘরটিতে যারা থাকত তারা সবাই পূর্বপরিচিত বলে আমরা প্রাথমিকভাবে জেনেছি।
তিনি আরও জানান, ধারালো ছুরি দিয়ে হত্যাকারীরা আসিফের ঘাড় কেটে দিয়েছে এবং রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিাযোগ