হত্যা
সাতক্ষীরায় সন্তানকে হত্যার পর জ্বালিয়ে দিল বাবা!
সাতক্ষীরায় আট বছর বয়সী শিশু আরিফ বিল্লাহকে হত্যার পর আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত বাবা ইয়াসিন আলীকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ধলাবাড়িয়া মাঠপাড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরিফ বিল্লাহ ধলবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ
আরিফের মা রোকেয়া খাতুন জানান, সদর উপজেলার চুপড়িয়া গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে ইয়াছিন আলীর সঙ্গে তার ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। তিন বছর আগে ধলবাড়িয়া মাঠপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর পান তিনি। এরপর থেকে একমাত্র সন্তান আরিফ বিল্লাহসহ স্বামীকে নিয়ে তারা সেখানে বসবাস করতেন।
রোকেয়া বলেন, ‘আমার স্বামী মাদকাসক্ত ও অস্ত্র মামলার আসামি। এ নিয়ে স্বামীর সঙ্গে আমার বিরোধ লেগেই থাকে। মঙ্গলবার স্বামী আমাকে মারধর করলে আরিফকে নিয়ে আমি আমার নানা ধুলিহর গ্রামের ইজ্জত আলীর বাড়িতে আশ্রয় নিই।’
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে বাড়িতে প্রবেশের পথ নিয়ে বিরোধের জেরে নারীকে পিটিয়ে হত্যা, আহত ৫
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার নানার বাড়ি থেকে আরিফকে নিয়ে আসেন। রাতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে স্বজনদের ঘটনাটি জানায় ইয়াসিন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরে আগুন জ্বলছে দেখতে পায় গ্রামবাসী। ততক্ষণে পুড়ে অঙ্গার হয়ে গেছে শিশু আরিফ।
আরিফ বিল্লাহর দাদী মলুদা খাতুন জানান, ইয়াছিন তার ছেলেকে হত্যা করে ঘরে আগুন লাগিয়ে তার মামার বাড়ি আগরদাড়িতে চলে যায়। সেখানে সে সামনে যাকে পেয়েছে তাকে পিটিয়েছে। পরে ইয়াছিনকে শিকল দিয়ে বেঁধে রেখে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান, শিশুটির বাবাকে আটক করা হয়েছে। সম্ভবত, তিনি মাদকাসক্ত। থানায় তিনি অসংলগ্ন আচরণ করছেন।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে আ. লীগ প্রার্থীর সমর্থককে গুলি করে হত্যা
তিনি আরও জানান, ছেলেটির দেহ পুড়ে গেছে। চেনা যাচ্ছে না এমন অবস্থা। ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে কামরাঙ্গীরচর হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত গ্রেপ্তার
মানুষ পুড়িয়ে হত্যা সহ্য করা হবে না: শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে মানুষ পুড়িয়ে ও নির্বাচন বানচাল করে কাউকে ফায়দা লুটতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, ‘মানুষ জ্বালিয়ে, নির্বাচন বন্ধ করে তারা যে ফায়দা হাসিল করে, তা বাংলার মাটিতে হতে দেওয়া হবে না।’
রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাও উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনা অগ্নিসংযোগকারীদের এবং তাদের নির্দেশ দাতাদের নিন্দা জানিয়ে বলেন, মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা মহাপাপ, কোনো ধর্মই এটা মেনে নেয় না।
তিনি বলেন, যদি কারো জনসমর্থন পেতে হয়, তাহলে তারা জনগণের কল্যাণ ও উন্নয়নে তাদের অঙ্গীকার তুলে ধরতে পারে।
যিশু খ্রিস্টের জন্মস্থান ফিলিস্তিন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যজনক যে জায়গাটি এখন রক্তক্ষয়ী হামলার শিকার। এমনকি হাসপাতালগুলোতেও হামলা চালানো হচ্ছে। এমনকি অল্পবয়সী শিশু ও নারীরাও হামলা থেকে রেহাই পায়নি।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি মানুষের মন জয় করতে পারবে না: শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, এটা আমাদের জন্যও দুর্ভাগ্যজনক যে আমরা আমাদের দেশেও কিছু লোককে দেখছি রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষকে হত্যা করছে তারা।
তিনি বলেন, মানুষ হত্যার জন্য এই লোকেরা রেললাইন উপড়ে ফেলে এবং ট্রেনের বগিতে আগুন দেয়। ‘আমি জানি না এটা কী ধরনের রাজনীতি যে মানুষকে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। কেন এই আগুনের খেলা? কারো যদি আদর্শ ও রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকে, তারা জনগণের কাছে গিয়ে তাদের সামনে তুলে ধরতে পারেন।
সম্প্রতি ট্রেনে অগ্নিকাণ্ডে মা ও তার কোলে থাকা একটি শিশু জীবন্ত দগ্ধ হয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এমন করুণ দৃশ্য দেখতে চাই না। তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য মানুষের ক্ষতি করে পুড়িয়ে হত্যা করে তাদের কী লাভ হচ্ছে? এটা আমার প্রশ্ন। আমরা চাই এই ধরনের সহিংসতা বন্ধ হোক।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবতা সব ধর্মের শিক্ষা। তাই তার সরকার এই শিক্ষার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে দেশ চালাচ্ছে।
তিনি ববলেন, ‘এই মাটিতে শ্রেণি, বর্ণ, ধর্ম নির্বিশেষে সবাই স্বাধীনভাবে বসবাস করবে। আমরা সব মানুষের কল্যাণ ও উন্নয়ন কামনা করি।’
তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, তিনি বাংলাদেশকে একটি অসাম্প্রদায়িক দেশে পরিণত করেছিলেন। কারণ তিনি চেয়েছিলেন সব ধর্মের মানুষ স্বাধীনভাবে তাদের নিজ নিজ ধর্ম পালন করবে।
আরও পড়ুন: অগ্নিসংযোগ ও নাশকতাকারীদের রাজনীতি করার অধিকার নেই: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।
তিনি বলেন, ‘যেখানে সব ধর্মের মানুষ নির্বিঘ্নে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে পারে এবং আমরা সবাই মিলে (ধর্মীয়) উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করি। আমি মনে করি বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে বিশ্বের কাছে একটি উদাহরণ।’
শেখ হাসিনা ২০২৩ সালের বড়দিন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে তার পক্ষ থেকে বড়দিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
অনুষ্ঠানে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সদস্যরা বড়দিনের ক্যারোল ও দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন।
ঢাকার আর্চবিশপ বিজয় নাইসেফরাস ডি'ক্রুজ এবং বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও যৌথভাবে প্রধানমন্ত্রীর হাতে বড়দিনের শুভেচ্ছা কার্ড তুলে দেন।
নির্মল রোজারিওর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বড়দিনের কেক কাটেন প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি জুয়েল আড়ং, এমপি, অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, এমপি, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক মো. এ হামিদ জমাদ্দার, বাংলাদেশ খ্রিস্টান লীগের সভাপতি ড্যানিয়েল নির্মল ডি'কস্তা এবং বাংলাদেশ খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত আই কোরায়া প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মানুষ হত্যা করে সরকারকে উৎখাত করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী
মাদারীপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ
মাদারীপুরের কালকিনির লক্ষ্মীপুরে শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) মাদারীপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক সমর্থককে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
নিহত এস্কান্দার খান (৪০) স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা সিদ্দিকীর সমর্থক।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হাসান জানান, সকালে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপের সমর্থকরা এস্কান্দারকে বাসা থেকে ডেকে এনে ছুরিকাঘাত করে আহত করে।
তাকে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে রাত সাড়ে ১২টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুর-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা, আহত ৫
সাতকানিয়ায় নৌকা-স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ
সিরাজগঞ্জে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে কটুক্তি করায় সাবেক বিএনপি নেতা আতাউরকে শোকজ
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবদল নেতা নিহত, পরিবারের দাবি হত্যা
রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় রনি হোসেন নামে এক যুবদল নেতা নিহত হয়েছেন।তবে পরিবারের দাবি এটি পরিকল্পিত হত্যা।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকালে নগরীর উপকণ্ঠ খড়খড়ি বাইপাস এলাকার বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত রনি রাজশাহী জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি নগরীর টিকাপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: বগুড়ার শিবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কাভার্ডভ্যান চালক নিহত
রনিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করছে তার পরিবার। রনির ছোট ভাই মনা ইসলাম জানান, এলাকার প্রভাবশালী কিছু লোকজনের সঙ্গে আমাদের বিরোধ ছিল। কিছুদিন আগে ঝামেলাও হয়। আমার ভাই দুপুরে বাড়ি থেকে বের হয়। বিকালে তার লাশ পাই। আমরা ধারণা করছি, আমার ভাইকে তুলে নিয়ে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে ট্রাকচাপা দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করব।
নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম বলেন, যুবদল নেতা রনি নগরীর আমচত্বর থেকে মোটরসাইকেলে খড়খড়ি এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তার মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই রনির মৃত্যু হয়।
ওসি আরও বলেন, রনির লাশ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ট্রাকের চালককে আটক করার চেষ্টা করা হচ্ছে। নিহতের পরিবার অভিযোগ তুলছে যে এটি হত্যাকাণ্ড। আমরা তদন্ত করছি। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে পরিবার চাইলে মামলা করতে পারবে।
আরও পড়ুন: জামালপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত
চট্টগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ যুবক নিহত
বিএনপি-জামায়াতের আমলে হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না: আইনমন্ত্রী
বিএনপি-জামায়াতের আমলে হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
তিনি বলেন, হত্যা করলে কোনো বিচার হবে না- দেশে এমন একটি সংস্কৃতির জন্ম দিয়েছিল বিএনপি-জামায়াত। ওই সময় তারা হত্যা করলেও কোনো বিচার হতো না।
আরও পড়ুন: সরকার নীতি-নির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবে না, রুটিন কাজ করবে: আইনমন্ত্রী
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় তার নিজের নির্বাচনী এলাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ আসনের কসবার বাদৈর ঈদগাহ মাঠে এক সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, আমরা ভয় পেতাম, আমি-আপনি হত্যার শিকার হলে আমাদের ছেলে-মেয়েরা বিচার পাবে না। আমাদের পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে। তার বিচার আমরা পাইনি।
তিনি বলেন, বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিৎ। কারণ তিনি সরকারে এসে প্রথম যে কাজটি করেছেন, এই বিচারগুলো তিনি শেষ করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি তার মা-বাবা, ভাই বা পরিজনের হত্যা বিচার পেয়েছেন তা শুধু নয়, সারা বাংলাদেশের মানুষকে আশস্ত করেছেন তাদের প্রতি অন্যায় হলেও বিচার পাবেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতাদের মুক্তি নিয়ে কৃষিমন্ত্রীর বক্তব্য ব্যক্তিগত: আইনমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, আজকে বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিকের প্রতি অন্যায় হলে সেই বিচার হয়।
আনিসুল হক বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা হোক বিএনপি ও জামায়াত ইসলাম তা চায় না। তারা বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করতে চায়। নির্বাচনে জনগণের আগ্রহ দেখে বিএনপি ভীত হয়ে সন্ত্রাস করছে। সন্ত্রাস করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
আরও পড়ুন: টাইপিংয়ে ভুলের জন্য সংসদে পাস হওয়া শ্রম আইন ফেরত দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি: আইনমন্ত্রী
বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি: হাছান মাহমুদ
বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যখন আসন্ন, পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী তখন উপলব্ধি করতে পেরেছিল বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে যাচ্ছে। তাই জাতিকে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যেই ১৪ ডিসেম্বর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল। তবে তাদের হত্যা করেও বাঙালি জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি।’
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের সকালে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে যাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল, বাঙালি জাতির স্বাধীনতার লক্ষ্যে মনন তৈরি করতে বঙ্গবন্ধুর সহযোগী হিসেবে তারা তাদের লেখনী, বক্তব্যের মাধ্যমে ও নানাভাবে কাজ করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘গত ৫২ বছরের বেশি সময়ের এই পথ চলায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বহুদূর এগিয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে যদি বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে অপরাজনীতি, সাম্প্রদায়িকতা আশ্রয়ী রাজনীতি, জ্বালাও-পোড়াও ও ধংসাত্মক রাজনীতি না থাকত আমরা বঙ্গবন্ধুর সব স্বপ্ন এতদিনে বাস্তবায়ন করতে পারতাম।’
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে যারা স্বাধীনতা চায়নি, স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যারা পাকিস্তানিদের হয়ে যুদ্ধ করেছে; সেই জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতি করছে। এই অপরাজনীতি যদি দেশে না থাকত, দেশ আজ বহুদূর এগিয়ে যেতে পারত।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছে একটি গর্বিত জাতি এবং সারাবিশ্ব এই দেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অথচ দুঃখের বিষয় এখনও বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি হয়।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। আমরা যখন বিচারের ঘোষণা দিলাম তখন অনেকেই ভেবেছে এই বিচার হবে না। বিচার কার্যক্রম শুরুর পরও অনেকেই ভেবেছে কার্যক্রম শুরু হলেও শেষ হবে না। আবার রায় হওয়ার পরেও অনেকে ভেবেছিল রায় হলেও বাস্তবায়ন হবে না। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে পৃথিবীর অনেক বড় রাষ্ট্রের রক্তচক্ষু এবং অনেক চাপকে উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন এবং বিচারের রায় বাস্তবায়ন করেছেন। শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে সব মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হবে এবং বিচারের রায়ও কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেবে মানুষ: তথ্যমন্ত্রী
উখিয়ায় রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ইমাম হোসেন (৩০) নামক এক রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় উখিয়া ৪নং ক্যাম্পে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ইমাম হোসেন উখিয়ার ক্যাম্প- ৪ নং ক্যাম্পের মনির উল্লাহর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসাইন।
ওসি জানান, দুপুরের দিকে ক্যাম্পে অস্ত্রধারী কয়েকজন অজ্ঞাত সন্ত্রাসী ইমাম হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপ এ ঘটনা ঘটিয়েছে। ঘটনার পর ঘটনাস্থলে টহল বাড়ানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: উখিয়ায় আরসা-আরএসও 'বন্দুকযুদ্ধে' রোহিঙ্গা নিহত
সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা নিহত
উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরসা ও আরএসও'র দুই সদস্য নিহত
নরসিংদীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা
নরসিংদীতে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে। রবিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে শহরের বানিয়াছল বিলপাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবক চান্দু আল-আমীন বানিয়াছল এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার ছেলে।
আরও পড়ুন: সিলেটে ছাত্রলীগকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে একই এলাকার কাউসারের সঙ্গে মাদক ব্যবসা নিয়ে আল-আমিনের বিরোধ চলছিল। এর জেরে রবিবার রাতে বানিয়াছল বিলপাড় এলাকায় চান্দু আল-আমীনের রাড়িতে কাউসার হামলা চালিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর যখম করে চলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখনো কেউ অভিযোগ করতে আসেনি। পুলিশ নিজ উদ্যোগে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে স্ত্রী ও ২ সন্তানকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড
নওগাঁয় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
জয়পুরহাটে গলাকেটে বৃদ্ধকে হত্যার অভিযোগ, ২ ছেলে ও তাদের স্ত্রী আটক
জয়পুরহাটের কালাইয়ে এক ব্যক্তিকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের দুই ছেলে ও দুই পুত্রবধূকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) উপজেলার শিকটা গ্রামে নিজের ঘর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বাবুগঞ্জে বিএনপি নেতার স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যা!
নিহত সৈয়দ আলী আকন্দ (৭১) কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের শিকটা উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত মোতারাজ আলীর ছেলে৷
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন সৈয়দ আলী। শুক্রবার সকালে ছেলের বউ শ্বশুরকে ডাকতে গিয়ে গলাকাটা অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তার চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতলের মর্গে পাঠায়।
কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াসিম আল বারি জানান, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের ছেলে তৈয়ব আলী, নাজমুল ও তাদের স্ত্রী এজিনা ও রাহিমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় মেহমান হয়ে এসে কবিরাজকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ
নোয়াখালীতে অটোরিকশা চালককে গলাকেটে হত্যা
বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা
বগুড়ায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) বগুড়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ৩-এর বিচারক মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন এই রায় দেন।
আরও পড়ুন: সাকিবকে নিয়ে সমালোচনা: ধারাভাষ্য থেকে ওয়াকারের নাম প্রত্যাহারে হাইকোর্টের রুল
দণ্ডিত ব্যক্তি সবুজ মিয়া বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার জালশুকা দহপাড়া এলাকার হাকিম উদ্দিনের ছেলে।
এই মামলায় সবুজের বাবা-মাসহ অপর চার আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি এপিপি আইনজীবী বিনয় কুমার দাস বিশু।
তিনি জানান, ২০১২ সালের ২৩ আগস্ট সবুজ মিয়া তার স্ত্রী কোহিনুর বেগমকে মারপিট করে বালিশ চাপায় গুরুতর আহত করে। পরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় কোহিনুরের বড় ভাই লিটন বাবু মামলা করলে ১১ বছর পর আদালত এই হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তারেকের বক্তব্য মুছে ফেলতে বিটিআরসিকে হাইকোর্টের নির্দেশ
বিচারপতিকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য: বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমানকে হাইকোর্টে তলব